- একদিন সকালবেলা পরাশর ডাক্তার নিজের প্রকাণ্ড লাইব্রেরিতে বসে চিঠি লিখছিলেন। চোরের মতো নিঃশব্দে ঘরে ঢুকে নগেন ধীরে ধীরে
- ধীরে ধীরে
- জ্বী, ধীরে ধীরে
- না না মানে একটু ধীরে ধীরে পড়ুন। কি নাম নাম বললেন ডাক্তারের?
- জ্বী, পরাশর ডাক্তার
- আর রোগী?
- নগেন
- বদলে ইসমাইল ডাক্তার আর মাহমুদ রোগী করে দিন
- জ্বী আচ্ছা, কিন্তু কেন?
- লেখা ছাপতে চান?
- চাইতো।
- তাহলে কেন দিয়ে কি করবেন? ইসমাইল আর মাহমুদ শুনতে অনেক মোলায়েম শোনায়। লেখা তো আর লেখকের কথা চিন্তা করে ছাপিনা আমরা। পাঠকের কথাটা আগে ভাবতে হয়। পরাশর-নগেনের চেয়ে ইসমাইল আর মাহমুদের সাথে পাঠকরা সহজে একাত্ম হতে পারবে। বুঝলেন?
- জ্বী জ্বী
- আচ্ছা এর পরে পড়েন।
- নগেন তার মামাবাড়িতে থেকে কলেজে পড়ে।
- আবার নগেন?
- জ্বী মানে মাহমুদ তার মামাবাড়িতে থেকে কলেজে পড়ে। মাস দুই আগে মাহমুদের মামার শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণ রাখতে গিয়ে পরাশর ডাক্তার না না ইসমাইল ডাক্তার মাহমুদকে দেখেছিলেন।
- শ্রাদ্ধ?
- জ্বী শ্রাদ্ধ।
- কূলখানি করুন ওটাকে।
- জ্বী?
- মাহমুদের মামার কি শ্রাদ্ধ হয়? মাহমুদের মামার হয় কূলখানি।
- জ্বী জ্বী, তা ঠিক।
- পড়ে যান।
- বড়লোক কৃপণ মামার যে ধরণের আদর বেচারি চিরকাল পেয়ে এসেছে তাতে মামার পরলোক যাত্রায় তার খুব বেশী দুঃখ হবার কথা না।বাইরে মামাকে খুব শ্রদ্ধা ভক্তি দেখালেও মনে মনে মাহমুদ যে তাকে প্রায়ই যমের বাড়ি পাঠাত
- যমের বাড়ি?
- জ্বী মানে বদলে কি আজরাইলের বাড়ি করে দিব?
- ফাজলামি করলেন নাকি আমার সাথে? আজরাইলের কি বাড়ি আছে?
- তাহলে কি করবো?
- সবাই কি আমাকে বলে দিতে হবে? দোজখের আগুনে পাঠাত করে দিন। এর পর পড়েন।
- নগেন মানে মাহমুদ হঠাৎ কাঁদোকাঁদো হয়ে বলল, ডাক্তার কাকা, সত্যি করে একটা কথা বলবেন? আমি কি পাগল হয়ে গেছি?
- কাকা?
- জ্বী, কাকা।
- কাকা শব্দটা একটু ইয়ে শোনায় না?
- হিন্দুয়ানী?
- না না, তা বলিনি। তবে চাচা হলে একটু মোলায়েম শোনায়। পড়েন পড়েন।
- বাইরে যেমন ব্যবহারই করে থাকুন, মামা তাকে নিজের ছেলেদের মতোই ভালবাসতেন জেনে পরলোকগত মামার জন্য আন্তরিক শ্রদ্ধাভক্তিতে তার মন ভরে গেল। আর সেই সঙ্গে জাগল এরকম দেবতার মতো মানুষকে সারাজীবন ভক্তি ভালোবাসার
- দেবতা?
- বদলে ফেরেশতা করে দিব?
- হ্যাঁ হ্যাঁ, এইতো শিখে গেছেন।
চলতে থাকলো এভাবে। প্রণাম হয়ে গেল সালাম। দিদিমা হয়ে গেল দাদি। প্রেতাত্মা হয়ে গেল শয়তান। আরও কিছু অদল বদলের পর সম্পাদকের মুখে একটু হাসি ফুটে।
- কি নাম বললেন?
- কার? ডাক্তারের?
- না না আপনার গল্পের।
- জি, তৈলচিত্রের ভূত।
- ভূত?
- জ্বী, ভূত।
- জ্বীন করে দেয়া যায় না?
- জ্বীন?
- জ্বীন চিনেন না? লেখক হয়েছেন, সবসময় সত্যের চর্চা করবেন। ভূত প্রেত বলে কিছু নেই। মানুষকে মিথ্যা শিখিয়ে কি লাভ? ছাপার হরফে লেখা দেখলেই মানুষ সেটাকে সত্য ধরে নেয়। আমাদের তাই সতর্ক থাকতে হয় কোন মিথ্যা কিছু যেন ছাপার হরফে না আসে। জ্বীন করে দিন ভূত বদলে।
- জ্বীন আছে?
- কি বলেন এসব আপনি? জ্বীন আছে। বদলে জ্বীন করে দিন।
- তৈলচিত্রের জ্বীন, কেমন হয়ে যায় না।
- কেন, ঠিকই তো শোনাচ্ছে। আচ্ছা যান জ্বীন করা লাগবে না। বদলে আছর করে দিন। ভূত হোক, জ্বীন হোক তার একটা আছর তো থাকবে। তৈলচিত্রের আছর, এটা বেশ শোনাচ্ছে।
- জ্বী আচ্ছা। আর কিছু?
- কি নাম বললেন?
- কার? লেখার?
- আরে না লেখকের। মানে আপনার নাম।
- মানিক।
- মানিক কি?
- বন্দ্যোপাধ্যায়
- না না হবে না। মানিক রহমান করে দিচ্ছি, চলবে?
- জ্বী আচ্ছা।
মন্তব্য
কিছুই বলার নাই। ভাগ্যিস আমাদের কোন ভালো মিউজিয়াম নেই
সাদামাটা বেচুবাবু
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এই যুগে বেচে থাকলে নিশ্চই লেখালেখি ছেড়ে খই ভাজার কাজ করতেন ।
ননস্টপ
হা হা হা!!!!!!!!!!!!!!!!
হ উত্তম সম্পাদক। মুমিনের জন্য প্রতিষ্ঠিত মাদারাসা শিক্ষা আধুনিকীকরণ করতে গিয়ে বি'দাত শিক্ষা ঢুকিয়ে দিবার মানে কী?
কিশোর নৌকা চালাইব আর কিশোরী শাফলা ফুল তুলব! কী বি'দাত কাইজ কারবার! কিশোরীর জেন্ডার বদলাই দাও। কিশোর করি দাও, হিজাবে কাম হইব?
মালাউনগো কবিতা, গল্প এইসব কোমলমতি হবু মুমিন বাচ্চাগো পড়াইয়া কী বেশরিয়ার কাম করব নাকি? দাও ছেঁটে। দাও ছেঁটে, দাও ছেঁটে।
সোজা কথা- রাষ্ট্র কর্তৃক বেশরিয়া বি'দাত কর্ম প্রকল্প গ্রহণযোগ্য হইবেনা। সুবাহানাল্লাহ্।
-দেব প্রসাদ দেবু
খুব বেশি দেরি নাই। এরা অচিরেই হিন্দুয়ানি কবির জাতীয় সংগীত বদলাতে বলবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
জাতীয় সঙ্গীত বদলানোর জন্য বহু আগে জনৈক তেলাপোকা ব্লগে লিখেছিল আর সেটা সাদরে প্রথম ব্লগ সংকলনে ছাপা হয়েছিল।
লিঙ্ক আছে নাকি?? ঘটনা জানতে মন চায়।
এখানে দেখেন। ছাগুচীফ নিজখুরে আর্কাইভিঙ কর্ছেন
অজ্ঞাতবাস
খাইছে আমারে, এই বস্তু এতদিন দেখি নাই কেন
তেলাপোকার লেখাটা মুছে ফেলেছে, হার্ড কপি আছে আমার কাছে। মাসুদা ভাট্টির প্রতিক্রিয়ার লিংক পেলাম।
আপনাদের খালি হিংসা। সেই কবে দেশটার খতনা হইছে, কিন্তু মাত্র সেদিন ঘোষণা আইছে যে দেশ মদিনা সনদ অনুযায়ী চলবে। দেশটারে এইবার সহিহ তরিকায় বেড়ে উঠতে দ্যান দেখি। তিনকোনা ছাগলের ক্ষুরে দণ্ডবৎ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তারপর একদিন মালাউনের রচনা জাতীয় সংগীত ৯০% মুসলমানের দেশে চলতে পারে না অজুহাতে বন্ধ হয়ে যাবে। আপনার আমার মত দুই চারটা ভোটের কথা মাথায় রেখে তো রাজনীতি করা যাবে না ভাই। নিজেকে সাচ্চা মুসলিম দল প্রমাণ করতে হবে না?
মাসুদ সজীব
ইতিহাস বইয়ে 'জ্বীন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস' অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি।
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
শিখেন বুঝছেন। ভবিষ্যতে মাদ্রাসা পাঠ্যবইয়ে এসো নিজে করি সিরিজ দেখতে চাইলে নাম চরম উদাস পাল্টায়া বহৎ বেখবর বা এইরকম কিছু একটা রাখেন। মডুমামারে কইলে নিক চেঞ্জ কইরা দিব।
..................................................................
#Banshibir.
একটা ভালো দেইখা মোগলাই নাম দিয়ে দেন
লীলেনদা মোগলাই নাম দিছে তো। গোলাম গরম উদ্দৌলা। পুরা নাম এইটাঃ কিতাবে নহর আমীরুল বহর আমপারা সিপারা সিপাহেসালার রোশনি এ সচল দুষমনে কিল্লা সুবহানাল্লা বাহাদুর গোলাম গরম উদ্দৌলা আল ডালাসি।
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁ, এখনই সময় নিজেকে পাল্টে নেবার। সব কিছু পাল্টে নেবার, পারলে জীবনটাই। হয়তো কিছুদিন পরে চাকরিতে মাদ্রাসা কোটা চালু হবে। তাই এখনই মুক্তিযোদ্ধা সনদ নয় মাদ্রাসাপাসের সনদ সংগ্রহ করুন। সময় থাকতে লাইনে আসুন। হা হা হা।
গতবারের টা পোষায়া গেছে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
গরীব বাচ্চা গুলার জন্য খারাপ লাগে। ওরা জানেও না খালি ধর্মের ঠুলি চোখে পরিয়ে অন্ধ বানিয়ে দিচ্ছে কতগুলো ক্ষমতালোভী ইতর। ভবিষ্যতের প্রয়োজনে নিজেদের উন্মাদ চাহিদা পুরণের বলি হিসেবে পাবার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে তারা আধুনিকায়ন করতে দেয়না। আর যখন তাদের বড় হয়ে বোঝার সময় হয়, তখন তারাও তাদের পূর্বসূরীদের তখতের পেছনে লালায়ীত।
---- মনজুর এলাহী ----
খবরে দেখলাম। অকল্পণীয়! এটাকে কি ১% পরিবর্তন মনে করে কেউ কোন প্রতিবাদ করছে না?
রু
মাগধী বা গৌড়ীয় প্রাকৃত যারা বলত তারাও তো হিন্দু ছিল ।
শুধু সাহিত্যে নয় , নিষ্ঠুর বিধাতা অবিচার করে আজকের 'এদের' মুখে হিন্দুয়ানী বাংলা ভাষাটা সেঁটে দিয়েছে । এই ভাষায় কথা বলতে এদের না জানি কত কষ্ট হয় ! আফসুস ।
রাজর্ষি
বিষয়টাতে শৈল্পিক সত্তা খুব আহত হয়েছে
_____________________
Give Her Freedom!
তাও ভালো বলে বসেনি লেখকের পায়জামা পরিহিত ছবি ছাড়া লেখা ছাপানো যাবে না!
____________________________
আমারও নিক পাল্টাইতে হবে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সবাই লাইনে আসতেছে গুরুমশাই, থুক্কু- ওস্তাদ
কড়িকাঠুরে
হেঁ হেঁ হেঁ, এরই নাম সহীহ এসলামী পদ্ধতিতে ঢুকিয়ে দেয়া। কি ঢোকানো হলো, তা নাহয় উহ্যই রাখলাম।
----ইমরান ওয়াহিদ
এইটা পরিমিতিবোধের জন্য এত চমৎকার হয়েছে।
সাথে খবরের লিঙ্কটা দিয়ে দিলে ভাল হয়। কয়েক বছর পরে যখন কোনো পাঠক এইটা পড়বে তখন কনটেক্সটটা স্মরণে থাকলেই গল্পটার তাৎপর্য বোঝা যাবে।
খবরের লিঙ্কটা পাওয়া যাবে?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
মাদ্রাসার উপযোগী করতে পাঠ্যবইয়ে অদ্ভুত পরিবর্তন
বোঝা গেল। মৌলবাদের ক্রমাগত প্রসার ঘটার পক্ষে বেশ জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তোমার গল্প তো গল্প নয় দেখি, একেবারে হাতে গরম বাস্তব!
এ গল্প অত্যন্ত সুলিখিত। কিন্তু সে সব প্রশংসাবাক্য ত এ গল্পের জন্য নয়! এ গল্প যেন ঠিক লোকেদের নজরে পড়ে ভয়াবহ বিকৃতিগুলোকে বাধা দিতে পারে, এই আকাঙ্খা জানাই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
৫ তারা অতি অবশ্যই।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
৫/৬ বছর আগে গ্রামের বাড়ী যাওয়ার পথে বৃষ্টির জন্য আশ্রয় নিয়েছিলাম এক মাদ্রাসায়, ছাত্ররা তাদের একটা রূমে বসতে দিয়েছিল। এক জনের বাংলা বই ঘেটে দেখলাম একটা পরিচিত গল্প, গল্পের নাম হচ্ছে গফুর। আমরা অবশ্য পড়েছিলাম মহেশ নামে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অনেক প্রশংসা শুনেছি, তিনি মন্ত্রী হবার আগেই।
ভালো কাজ কিছু হয়তো করেছেন, কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে পাইকারি হারে যে অরাজকতা চলছে, তাতে তো তাকে অনেকটা আল শাহরিয়ার রোকনের মতো মনে হচ্ছে- খবরের কাগজে দৈনিকই নামের আগে বিশেষণ বসে, প্রতিভাবান, কিন্তু প্রতিভার প্রকাশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একদিনও দেখেছি বলে মনে পড়ে না। আমাদের শিক্ষামন্ত্রীরও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এবং অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে কেবল সুনামই শুনে আসছি, কিন্তু কাজে কর্মে তার কোন প্রতিফলন দেখি না।
গল্প বরাবরের মতোই লক্ষ্যভেদী- যদিও এমন গল্প লিখার মতো প্রেক্ষাপট দেশে তৈরি হচ্ছে, এই ব্যাপারটাই লজ্জার।
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার কাছে ভদ্রলোককে ভয়াবহ রকমের একা বলে মনে হয়
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কড়া। পুরাই স্পট অন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
একই ভাবে আমাদের গ্রামের হিন্দু পাড়াটি বিলীন হয়ে মক্তবপাড়া হয়ে গিয়েছে। চরম বেদনাদায়ক!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
একটা কনভার্সন টেবিল বানিয়ে ফেললেই তো হয়। 'এই' শব্দ থাকলে তাকে 'ঐটা' দিয়ে রিপ্লেস করতে হবে।
এরকম 'আপোষ ' দুঃখজনক।
আমাদের জাতীয় সংগীতকেও মাদ্রাসায় গাওয়ার উপযোগী করে তোলা যেতে পারে।
আমার সুনেহরী বাঙ্গাল
আমি তোমার মেহবুব।
হামেশা তোমার আসমান
তোমার হাওয়া
বাঁসরি হয়ে রূহে বাজে খুব।
আমার সুনেহরী বাঙ্গাল
আমি তোমার মেহবুব।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
মানিক রহমানের নামের আগে মোহাম্মদ নেই কেন?
তামান্না ঝুমু
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু পানি ("জল" শব্দটাকে বাদ দেয়া হলো!) থাকে।।।।
এইসবে চইলত না। চরম উদাসের মুমিনাইজড নাম চাই
হ, কেউকেউ এর মধ্যেই নামের মধ্যে দাস দেখে ছুপা হিন্দু বলে চেঁচামেচি করতেছে। চরম উ দাস বদলায়ে চরম উ গেলমান করতে আপত্তি নাই
চরম উ দাস= চরম উদ-দৌলা গোলাম। খালি 'চ' এর স্থলে 'গ' রিপ্লেস করে একটু উলট পালট করলে কিন্তু ভালোই খাড়াইব= গোলাম গরম উদ-দ্দৌলা
..................................................................
#Banshibir.
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
চরম উদ দৌলা গোলাম নামটা কিন্তু চরম। কিন্তু চরম শব্দটা তবুও মালাউন থেকে যায়। চরমের জায়গায় ছহীহ হলে কেমন হয়? অক্ষরগুলোও কিন্তু মালাউন। বাংলা মালাউন অক্ষরের পরিবর্তে আরবি বা উর্দু হরফ ব্যবহার করা উচিত।
তামান্না ঝুমু
চরম এর বদলে বহুত বা খুউব ব্যবহার করা যায়
বহুত বেখাবার।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
ভালো থাকবেন।
----------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
- বেশ সুমিষ্ট হয়েছে
-সুমিষ্ট?
-লাজওয়াব করে দেবো?
-হ্যাঁ, হ্যাঁ, লাজওয়াব করে দিন। সুমিষ্ট এর মত বাখওয়াস শব্দ মানুষ শুনবে কেন?
লেখকের দুটি লেখা পড়লাম।।। এবং মাথার ওপরে থাকা যন্ত্র হয়ে গেলাম।।।
(শেষ লাইনটা অসাধারন!!! )
""- না না হবে না। মানিক রহমান করে দিচ্ছি, চলবে?
- জ্বী আচ্ছা। ""
--------------------------------
--- সোহেল মাহামুদ 0অতি ক্ষুদ্র একজন0
--------------------------------
আচ্ছা! লেখাগুলো আরবী বা ফারসিতে ট্রান্সলেট করে তারপর পাঠ্য করা যায় না? হুদ্দাই হিন্দুয়ানি ভাষা ইউজের দরকার কী?
শুধু কথোপকথনে স্বল্প পরিসরে ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়া। পড়ে হাসছি কিন্তু ভেতরটা পুড়ছে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
নতুন মন্তব্য করুন