স্বামী পটলানন্দ ভরপেট খেয়ে ধ্যানে বসার পাঁয়তারা করছিলেন। শিষ্য গোবরানন্দ দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে তাকে থামাল।
- এইবার কতদিনের জন্য বসছেন স্বামী?
- দুই তিন মাস। বেশীও হতে পারে।
- ঝামেলাটার একটা সুরাহা করে যেতেন আগে।
স্বামী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন,
- এইবার কি ঘটনা?
- আপনাকে নিয়ে ঘটিনন্দ গ্রুপের সাথে বাটিনন্দ গ্রুপের মারামারি হয়েছে।
গোবরানন্দ বলে যায়। স্বামী উদাস মুখে ঘটনা শুনতে থাকেন।
- ঘটিনন্দ গ্রুপের সাথে বাটিনন্দ গ্রুপের ঝামেলা। শুরু হয়েছিল সামান্য ব্যাপার নিয়ে। ঘটিনন্দরা ধ্যান করতো উত্তর দিকে মুখ করে। কারণ আপনি উত্তরে মুখ করে ধ্যান করেন। বাটিনন্দ কিছু চ্যালা জুটিয়ে দক্ষিণ দিকে মুখ করে ধ্যান শুরু করে। তাদের বক্তব্য আপনি মুখ উত্তর দিকে ফিরালেও আপনার নিতম্ব থাকে দক্ষিণে। আর যেহেতু তারা আপনার অনুসারী তাই তাদের উচিৎ আপনার পশ্চাৎ অনুসরণ করা। এই নিয়ে দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটি, মারামারি, কিলাকিলি।
- আচ্ছা। ফিরে এসে দেখব কি করা যায়।
স্বামী ধ্যানে বসেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়। দিন পেরিয়ে মাস যায়। দুই মাস পর চোখ খুলে দেখেন গোবরানন্দ উৎকণ্ঠিত মুখে বসে আছে।
- একটা ভালো খবর আছে, দুইটা খারাপ।
- ভালো খবর বল আগে
- ভালো খবর হচ্ছে ফেসবুকে আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ হয়ে গেছে। আপনার নাম নিয়ে পোস্ট দিলেই মিনিমাম হাজার দশেক লাইক শেয়ার পড়ে যায়।
- খারাপ খবর?
- পাঁচজন মৃত। ঘটিনন্দ গ্রুপের তিনজন, বাটিনন্দ গ্রুপের দুই। আহত বিশজনের উপর।
- হুম। আরেক খারাপ খবর?
- আপনাকে অপমান করার দায়ে ধরানন্দ আর সারানন্দকে জবাই করেছে উগ্রানন্দ দলবল নিয়ে।
- ধুর্বাল। আমি থাকি এই গুহায়। আর আমার অপমান হয় আনন্দনগরে। এটা কেমন কথা?
- একটা কিছু করেন স্বামী। দিনকে দিন অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
স্বামী দুই মাসের খাওয়া এক বেলায় সাবাড় করতে করতে বলেন,
- আবার মাস দুয়েকের জন্য বসবো। ফিরে আসি, তারপর দেখা যাবে।
আরও দুইমাস পর চোখ খুলে স্বামী দেখতে পান হতভম্ব মুখে গোবরানন্দ বসে আছে সামনে। মৃদু গলায় জিজ্ঞেস করেন,
- এবার কতজন?
- শ দুয়েক। আরও বেশী হতে পারে।
স্বামী পটলানন্দের গৌর চেহারায় একটু মেঘ জমা হয়। গোবরানন্দকে বেশী কিছু খুলে বলতে হয়না। স্বামী তার দিব্য দৃষ্টি দিয়ে প্রায় সবই দেখতে পান। বলেন,
- চল যাই আনন্দ নগরে।
স্বামী পটলানন্দ নেঙটির উপর একটা ধুতি চাপিয়ে নেন। মাথার অবশিষ্ট চুলগুলো আয়নায় দাড়িয়ে একটু ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেন। অনেকদিন পর ভক্তদের দর্শন দিতে যাচ্ছেন। একটু পরিপাটি হবার দরকার আছে। আয়নায় দাড়িয়ে তার প্রতিবিম্ব দেখে একটু অবাক হন।। গোবরানন্দ কে ডেকে বলেন, দেখ দেখি কাণ্ড, আমার চেয়ে আমার চিত্র বেশী উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার! গোবরানন্দ বিরস মুখে বলে, কোনদিন দেখবেন আপনার চিত্রই আপনাকে গিলে খাবে।
আনন্দ নগরের প্রবেশ মুখেই স্বামী দেখতে পান বিরাট হৈ হট্টগোল। আণ্ডানন্দ তীব্র গলায় বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছে। তাকে ঘিরে হাজারো উজবুকানন্দের ভিড়। আণ্ডানন্দের পিতা তার পুত্রের নামকরণ করেছিলেন স্বভাব দেখেই। ছোটবেলা থেকেই কাবিল ছেলে আণ্ডা দেখলেই তাতে তা দিতে বসে যায়। ছোটবেলা তা দিতে বসত শুধু নিজের ঘরের ডিমে, বড় হয়ে যেখানেই আণ্ডা দেখে সেখানেই বসে যায় তা দিতে। স্বামী পটলানন্দ কে এই বিষয়ে আণ্ডানন্দের বিন্দুমাত্র ধারনাও ছিল না। কিন্তু স্বামী পটলানন্দ নিয়ে হৈ চৈ শুরু হতেই আণ্ডানন্দ বসে গেল আণ্ডায় তা দিতে। গোটা দশেক উজবুকানন্দ জোগাড় করে চিৎকার করে বলল, স্বামী পটলানন্দের এই অবমাননা মেনে নেয়া যায় না কোনভাবেই। এইসব অবমাননাকারীদের জুতিয়ে লম্বা করা দরকার। আণ্ডানন্দের চিৎকার শুনে উজবুকানন্দের সংখ্যা দশ থেকে বেড়ে একশ, একশ থেকে বেড়ে এক হাজার হয়ে গেল চোখের নিমিষেই। আণ্ডানন্দের কাণ্ড দেখে স্বামী বেশ অবাক হন। ছেলেটা তার সম্মান রক্ষায় জান লড়িয়ে দিচ্ছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু তার সম্মান টা গেল কখন? তিনি জিজ্ঞেস করেন,
- ওহে গোবরানন্দ। শেষবার যখন ধ্যানে বসলাম আমার সম্মান তো আমার সাথেই ছিল। এখন কি খোয়া গেল নাকি? গেলেই বা কোথায় গেল?
আরেকটু সামনে এগিয়ে দেখতে পান গোল পাকিয়েছে বেহায়ানন্দ। সেও শত শত উজবুকানন্দ জড়ো করে ঘ্যানঘ্যান করে যাচ্ছে, স্বামী পটলানন্দের অপমান, মানি না, মানব না।
বেহায়ানন্দের নামও তার স্বভাব অনুসারেই হয়েছে। ব্যাটা আদর খেলেও হাসে, মার খেলেও হাসে। আনন্দ নগর থেকে অতিকায় হস্তীরা বিলোপ হয়ে গিয়েছে, তেলাপোকা বেহায়ানন্দ হাসতে হাসতে টিকে আছে। স্বামী পটলানন্দ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন,
-এটাই সেই বেহায়ানন্দ না যাকে গতবার সব উজবুকানন্দ মিলে বাজারে ন্যাংটো করে পিটাল?
-হ্যাঁ স্বামী। মার খেয়েও দাঁত বের করে হেসেছে। উজবুকানন্দদের মেমোরি শর্ট। যারা মার দিয়েছে তারাই আবার তার কথা শুনে লাফায়।
মধ্যানন্দ সবসময় মাঝে থাকে। ডানেও যায় না, বামেও যায় না। মাঝেমাঝে ডানে গোলমাল দেখলে একটু বামে সরে আসে, আর বামে গোলমাল দেখলে একটু ডানে সরে আসে। তাই তার চ্যালাদের নিয়ে মধ্যানন্দ শহরের ঠিক মধ্যখানেই বসে আছে। মধ্যানন্দ কথা বলে মৃদু গলায়। কোন উত্তেজনা নেই, অতিরিক্ত চিৎকার চ্যাঁচামেচি নেই। তবে তার দলের উজবুকানন্দের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী।
মধ্যানন্দ মৃদু গলায় বলে যায়,
- এটাও ঠিক নয়। তবে ওটাও ঠিক নয়।
উজবুকানন্দরা সায় দেয়
-ঠিক ঠিক
- এটা ভালো। তবে ওটাও বেশ ভালো।
উজবুকানন্দরা সায় দেয়
-ঠিক ঠিক
আরও সামনে এগিয়ে দেখতে পান ঘটিনন্দ আর বাটিনন্দ গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থা নিয়েছে। উগ্রানন্দ চিৎকার করে দুই গ্রুপকেই তাল দিয়ে যাচ্ছে। স্বামী তাদের মাঝে একটা উঁচু ঢিবির উপর দাড়িয়ে বলেন,
- থামা এসব। আমি স্বামী পটলানন্দ বলছি, থামা মারামারি।
হাজারে হাজারে উজবুকানন্দ একে অপরের দিকে তাকিয়ে রাগে ফুঁসছিল। স্বামীর কথা শুনে শান্ত হয়। স্বামী জিজ্ঞেস করেন,
- ধরানন্দকে কেন মেরেছিস তোরা?
উজবুকানন্দ এক বলে,
- ওই দুরাত্মা স্বামী পটলানন্দকে নিয়ে খারাপ কথা বলেছে।
- কি খারাপ কথা বলেছে?
পাশ থেকে ফিসফিস করে গোবরানন্দ বলে
- পার্কে বসে প্রেম করছিল। প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলেছিল, তোমার পটল চেরা চোখে হারিয়ে যায় মন। পাশ থেকে উগ্রানন্দ শুনতে পেয়ে বাকি সব উজবুকানন্দকে বলে, ধরানন্দ স্বামী পটলানন্দকে চিরে ফেলতে চেয়েছে। এরপর সবাই মিলে ধরানন্দকেই ধরে চিরে ফেলে।
স্বামী আবার চিৎকার করে জিজ্ঞেস করেন,
- আর সারানন্দ?
উজবুকানন্দ দুই বলে,
- ওই পাপিষ্ঠ স্বামী পটলানন্দকে অপমান করেছে।
পাশ থেকে গোবরানন্দ বলে,
- ও বলেছিল ধ্যান করা সময়ের অপচয়। কোন গেইন নাই শুধু পেইন।
স্বামী পটলানন্দ বিড়বিড় করে বলেন,
- কথা তো মিছা বলে নাই। অনেকদিন ধরে আমিও এটা ভাবতেছি। এত ধ্যান করে কি পেলাম গিবনে?
স্বামী বিরক্ত গলায় ভক্তদের বলেন,
- আমার অপমান নিয়ে এত চিন্তা কেন তোদের?
সব উজবুকানন্দ এক যোগে চিৎকার করে বলে,
- স্বামী পটলানন্দ আমাদের জান। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে পটলানন্দের একচুল অপমান হতে দিবো না।
পটলানন্দের মাথায় চুলের সংখ্যা সর্বমোট এগারো খানা। তিনি বিরক্ত হয়ে সে থেকে একখানা চুল ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে বললেন,
- পটলানন্দের মায়রে বাপ। এই যে পটলানন্দের এক চুল অপমান হল। কি করবি তোরা এবার?
উজবুকানন্দের দল রাগে ফুঁসে উঠে। আণ্ডানন্দ সুযোগ পেয়ে আণ্ডা তা দিতে বসে যায়। জোর গলায় শ্লোগান দেয়,
- পটলানন্দের এক চুল অপমান ...
উজবুকানন্দের দল বলে,
- মানি না, মানব না।
বেহায়ানন্দ শ্লোগান দেয়,
- স্বামীর ইজ্জত
উজবুকানন্দের দল বলে,
- আমাদের হায়াত মওত
স্বামী পটলানন্দ এবার তার ধুতি খুলে পুরো দিগম্বর হয়ে বলেন,
- ইজ্জতের মায়রে বাপ!
উজবুকানন্দের দল রাগে শিউরে উঠে।
মধ্যানন্দ বলে, মারামারি ঠিক নয়। কিন্তু স্বামী পটলানন্দের অপমানও ঠিক নয়।
উগ্রানন্দ চিৎকার করে বলে, স্বামী পটলানন্দের এক চুল অপমানের বদলে এক পুকুর রক্ত চাই।
দেখতে দেখতে উজবুকানন্দের দল স্বামীকে ঘিরে ফেলে। মারতে মারতে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়।
গোবরানন্দ চিৎকার করে বলে, ওরে উজবুকের দল থাম। ইনিই তো স্বামী পটলানন্দ।
উজবুকানন্দ এক বলে, স্বামী পটলানন্দকে অবমাননা করার অধিকার কারোরই নেই।
উজবুকানন্দ দুই বলে, এমনকি স্বামী পটলানন্দেরও নেই।
আণ্ডানন্দ চিৎকার করে তাল দিয়ে যায়, মার জানোয়ারকে মার।
মারতে মারতে এক সময় উজবুকানন্দের দল হাঁপিয়ে যায়। বেহায়ানন্দ জল নিয়ে দৌড়ে আসে। উজবুকানন্দের দল জল খেয়ে চাঙ্গা হয়। নতুন উদ্যমে মার শুরু হয়। গোবরানন্দ হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে থাকে। তার চোখের সামনেই স্বামী পটলানন্দ অবমাননার দায়ে উজবুকানন্দরা পিটিয়ে স্বামী পটলানন্দকেই কিমা বানিয়ে ফেলে।
মধ্যানন্দ কাছে এসে বলে, আহা এভাবে মারাটা ঠিক না। তবে স্বামী পটলানন্দ নিয়ে আজেবাজে কথা বলাও ঠিক না।
উগ্রানন্দ চিৎকার করে,জবাই করে ফেলে দে শুয়োরকে।
উজবুকানন্দরা মিলে মিশে স্বামী পটলানন্দকে অপমান করার অপরাধে স্বামী পটলানন্দকে জবাই করে ফেলে।
স্বামী পটলানন্দ বিরক্ত মুখে জবাই হতে হতে বলেন,
'উজবুকনন বাচানং পটলন উত্তমং' অর্থাৎ উজবুকদের মাঝে বেঁচে থাকার চেয়ে পটল তোলা উত্তম।
(গল্পে মুখফোড় এর প্রভাব প্রবল। দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকি, মুখা একটা কিছু ছাড়বে। ছাড়ে না।
তাই নিজেই মুখার মতো করে লিখার অপচেষ্টা করি।)
মন্তব্য
দিলেন তো মুখাদার কথা মনে করায়া! মুখাদার অপমান করায় এখন আপনার পুসি কাই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
..................................................................
#Banshibir.
এই পটলানন্দ সেই পটলানন্দ ছিল না, বলে তাকে বাঁচিয়ে তোলা বেশী মুশকিল নাকি??
আহ! চারদিকে খালি আনন্দ আর আনন্দ। এর মাঝে "সাধারণ বোধানন্দ"টাই কেবল নেই।
হ
এইভাবে আমার নন্দানুভূতিতে আঘাত?
সাক্ষী সত্যানন্দ বইলা কি আমার ইজ্জত নাই?
আইজকা বিজয়ার দিন কিছু কইলাম না,
হাজী সা'বেরে এট্টূ শারদীয় শুভেচ্ছা দিলাম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পুরা গল্প লেখার সময় মাথার মধ্যে খালি আপনার নামটাই ঘুরছে। বহুকষ্টে সত্যানন্দকে গল্পে এনে পচানি দেয়ার লোভ সামলেছি। আগামী পর্বে হবে নে
হুমম,
তাইলে গলায় (!) বিব বেঁধে, সেজেগুজে পুটুমারা খেতে রেডি হইগে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনার তো সাহস কম না মশাই
ক্যানো?
বিবটা আর কোথাও বাঁধা উচিত ছিল- বলছেন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
রেডি হইচ্চেন পুটুমারা খেতে আর বিবিধ বাঁধবেন গলায়??!!! কেমনে কি??
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
এইরাম আলপটকা প্রশ্নের উত্তর দিবার পারত পটলানন্দ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বিব কি কেবল গলাতে হয়? বিব ঘাড়ে হয়, পেটে হয়, কোমড়ে হয় ...
..................................................................
#Banshibir.
আমি মরি পুটুর জ্বালায়, সবাই আছে বিব নিয়া
এইডা কিছু হইল?? দুইন্যাতে ইঞ্ছাপ নাইরে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
পটলানন্দ পটল তুলুক, তাতে কি? সম্মান রক্ষা বলে কথা!!!
মুখা রে মিস্ করি।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
আপনে দুষ্টানন্দ, আপনার কল্লা চাই।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মানুষজন চোখ দান করে, অর্গান দান করে, আমি আমার কল্লা সেই কবে ত্রান তহবিলে দান করে দিছি।
মুখা! মুখা!
(তোফা! তোফা!)
ফারাসাত
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
নন্দে নন্দেতো তালগোল পাকিয়ে ফেল্লামহে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
এই যে আমি। আমিই সত্য। আদি, অকৃত্রিম, খাটি নন্দ।
ভুয়া নন্দের পেছনে সময় নষ্ট করিবেন না, লাইনে আসুন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তাইলে আমাদের জগানন্দ মানে জগাইর কি হবে?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনে একটা অশ্লীষ চরমানন্দ!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আবার জিগস
আণ্ডানন্দকে চিনতে পেরে বিমলানন্দ পেলাম
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
উপরে পীরবাবা তো ছবিই দিয়া দিছে। মধ্যানন্দরে চিনেন নাই?
ঢাকেশ্বরী অত্যুচ্চবিদ্যালয়ের আইনের এত বড় মাস্টর।
[তয়, এই নামটা জুইতের হয় নাই। মধ্যমানন্দ হইলে ভাল হইত]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
হ
মানিক বাবুর মত একদিন আপনার এই গল্পও পরিশোধিত হয়ে আসবে সেই দুয়া করছি । হিন্দু নাম ব্যবহার করে আপনি ৯০% মুসলমানের অনুভূতিতে যে আঘাত দিয়েছেন, তাতে আপনার আর দেশে আসা উচিত হবে না
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
মুসলমানের নরম অনুভূতিতে আঘাত দিবো, এত বড় জালিমের মতো কথা কি করে বললেন আমি? ঢিল মারি আম গাছে, পড়ে যদি কাঁঠাল আমার কি দুষ?
এইবার নিরানন্দ থাকা কি ঠিক হবে!
আনন্দে আসিলাম!
শুভকামনা। অনিঃশেষ।
দীপংকর চন্দ
পটলানন্দকে অবমাননা করার অপরাধে স্বয়ং পটলানন্দই গণপিটুনিতে পটল তুলিল? যাই হোক, এ প্রসঙ্গে মধ্যানন্দের বিবেচনাই আমার বিবেচনা। আহা! এভাবে মারাটা ঠিক হয় নাই। তবে স্বামী পটলানন্দকে নিয়ে পটলানন্দের অমন আজেবাজে কথা বলাও ঠিক হয় নাই।
হ
পটল বাচুক আর মরুক আপনার কি? এখন উজবুকানন্দদের দিন। লাইনে আসুন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দারুণ! কত রকম ঢঙে যে গল্প বলা যায়!
সুলতানা সাদিয়া
লেখায় উপচে পড়া বিনোদন। খুব ভাল লাগল
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
পটলানন্দ মইরা গেল, উদাসানন্দ খাড়ায় খাড়ায় দেখল?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
চরমানন্দ পেলুম !
রাসিক রেজা নাহিয়েন
গল্প পড়ে চরমানন্দ পেলাম।
নতুন মন্তব্য করুন