ইস্পাম মেইল

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ০৫/১১/২০১৪ - ১০:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের সকালটাই কেমন যেন অন্যরকম। আযম সাহেব আইফোনের ক্যামেরায় সেলফি মোডে নিজের চেহারা দেখে আঁতকে উঠেন। প্রতিদিন বাইশ পদ দিয়ে খাওয়ার পরেও একি হাল হয়েছে চেহারার!মাত্র কিছুদিন আগে নব্বই অতিক্রম করলেন। এত অল্প বয়সেই মুখ থেকে লাবণ্য হারানো শুরু হয়েছে।আচারটা কি একটু কম খাওয়া হচ্ছে আজকাল? দই আর আচার এই দুই জিনিশ চেহারার লাবণ্য ধরে রাখে। ডিম আর দুধ যোগায় শক্তি, দই আর আচার সৌন্দর্য। এর সবকয়টাই তো খাচ্ছেন প্রতিদিন। নাহ, কাল থেকে পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিতে হবে। মাথা থেকে ঝাঁকিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করেন। উঠে হাসপাতালের খাট থেকে নামতে গিয়ে মাথাটা একটু ঘুরে যায়। খাটের কোনা ধরে টাল সামলিয়ে বসে পড়েন। লক্ষণ খারাপ, লক্ষণ খারাপ বলে বিড়বিড় করেন। দিন কি তবে শেষ হয়ে আসছে?

অন্যদিকে চারিদিকে জোর গুজব শুনতে পাচ্ছেন এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই নাকি আরও দুই তিনজনের ফাঁসির রায় দিয়ে দিতে পারে। এত চেষ্টা করেও কাদেরকে বাঁচাতে পারলেন না। বাকিদেরও কি একই অবস্থা হবে? ফোন করে কথা বলা দরকার সবার সাথে। আপিলেও যদি ফাঁসির রায় আসে তবে শেষ ভরসা এরাই।

প্রথমে ফোন করেন হিউম্যান রাইট ওয়াচে। কিন্নরী কণ্ঠের তরুণী মিষ্টি গলায় বলে, হিউম্যান রাইট ওয়াচ ইমারজেন্সি কল সেন্টার। হাউ মে আই হেল্প ইউ ?
আযম সাহেব খড়খড়ে গলায় বলেন, বদি আদমরে ফোন দাও।
বদি তার পুরনো চ্যালা। ছোটবেলা থেকে জামাতের খেয়ে পরে বড় হইছে। বিদেশে গিয়েই নাম বদলে বদি আদম হয়ে গেছে ব্র্যাড এডামস। দৌড়ে এসে ফোন ধরে বদি,
- বলেন বস
আযম অন্যমনস্কভাবে গুনগুন করে গান ধরেন,
- চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও।
বদি জোর গলায় বলে,
- টেনশন নিয়েন না বস। চিঠি রেডি। আমি নিজামি স্যার, কামারুজ্জামান স্যার, সাঈদী স্যার, কাসেম স্যার সহ সবার নামেই এক কপি চিঠি ড্রাফ্‌ট করে রাখছি। যখন দরকার হবে তখনই পাঠাবো। সব রেডি, খালি তারিখ, সিল আর স্বাক্ষর বসাবো আর পাঠায়ে দিব। নো অরিস।
- অই ছেড়া, তুমারে না বলছি আমার সাথে ইংরেজি চুদাবা না। হয় বাংলা বল, নাইলে উর্দু। নো অরিসের বাচ্চা, কাদেররে তো ঝুলায়া দিল। তুমার চিঠি দিয়ে বালটাও তো ফালাইতে পারলা না।
বদি আদম কিছু না বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
- যাই হোক, চিঠির খসড়া পড়ে শুনাও একটু। আগেরবার কি বাল ছাল জানি লিখছিলা কে জানে। দেখি এইবার কি লিখছ।
- চিঠি তো বস ইংরেজিতে।
- তো ইংরেজিতেই পড় না। আমি একজন ভাষা সৈনিক, সব ভাষায় আমার সমান দখল।
বদি পড়ে যায়,
- হিউম্যান রাইট ইন বাংলাদেশ ইজ আন্ডার ডেঞ্জার। গভমেন্ট ইজ কিলিং ইসলামিক লিডারস লাইক বার্ডস। উই আর ভেরি ভেরি ওরিড।
- অই ছেড়া, তুমি কোন স্কুল থেকে পাশ করছ?
- হাজি রহমতুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী বস।
- এ কি হালত তুমার ইংরেজির?ফাদার ইল, কাম শার্প স্টাইলে চিঠি লিখছ। কোন সালে পাশ?
- ৭২ এ বস।
- ও! এই নি তবে কাহিনী। অই তুমার অফিসের রিসিপশনের ওই যে কি মহিলা। মারদিয়া মুমতাজ না কি জানি নাম।
- মারিয়া ম্যাটিজ বস।
- ওরে দিয়া ঠিক করাও চিঠি। আর চিঠি ঠিক হইলে এক কপি নিয়া আমার কাছে আসতে বইল।মেয়েটারে দেখি না অনেকদিন।
- জি বস।

ফোন কেটে দিয়ে দিয়ে আযম সাহেব এবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে ফোন লাগান। ফোন ধরে আবু ফয়েজ। আযম গুনগুন করে বলেন,
- চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও।
- চিঠি সব রেডি স্যার। যখন বলবেন সাইন করে পাঠিয়ে দেব স্যার।

তারপর জাতিসংঘে আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ফোন দিয়ে গুনগুন করেন,
- চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও।

সবশেষে লন্ডনে ফোন দেন। ৭১ এর পর সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা ছিল সৌদি। কালে কালে সেটা হয়েছে লন্ডন। ডায়াল করতে করতে তিনি মুচকি মুচকি হাসেন আর মনে মনে বলেন, এককালে তোরা ওইখানে বসে আমাদের এইখানে নীল চাষ করতি আর এখন আমি এইখানে বসে তোদের ওইখানে ছাগলের চাষ করি। হে হে হে হে।
ফোন ধরে মিষ্টি গলা শুনতে পাওয়া মাত্রই বলেন,
- সাঈদা মামনি। কেমন আছ আম্মু? চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও।
- চিঠি রেডি আছে আঙ্কেল।

একের পর এক ফোনের ধকলে হাঁপিয়ে যান তিনি। বুকের মাঝখানে চিনচিনে ব্যথা। উঠে দাড়াতে গিয়ে মাথা ঘুরে আবার ধপ করে বসে পড়েন। বেল বাজিয়ে নার্সকে কল করেন কোনমতে। নার্সের মুখ আর ব্যস্ততা দেখে বুঝতে পারেন তার অবস্থা আসলেই খারাপ। অজ্ঞান হয়ে যাবার আগ মুহূর্তে গুনগুন করেন, চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও।

কাশিমপুর কারাগারের ছোট একটা সেলের মধ্যে অস্থিরভাবে পায়চারী করেন কামারুজ্জামান। কারারক্ষী আসা মাত্রই দৌড়ে ছুটে আসেন,
- চিঠি কি আসছে?
হাতের চাবি দিয়ে কান চুলকাতে চুলকাতে কারারক্ষী বলে,
- আমি কি ডাকপিয়ন?
- আরে ভাই বলেন না। কোন চিঠি কি আসছে?
- না, আহে নাই।
দিন যায়, রাত যায়। পরদিন আবার কারারক্ষীকে দেখে দৌড়ে আসেন।
- চিঠি কি আসছে?
- আ মর জ্বালা! কার চিঠি?
- সাঈদা মেডাম, আব্বাস ভাই, আদম ভাই যে কারো?
- নাহ, আসে নাই।
- আজব। চিঠি আসতে আসতে আমার ঝুলার সময় হয়ে যাবে যে!

দিন যায়, রাত যায়। এক সপ্তাহ পার হয়ে যায়। আচমকা একদিন সকালে কারারক্ষী হাসিমুখে এক গাদা চিঠি হাতে নিয়ে আসে। খুশীতে কামারুজ্জামান কেঁদেই ফেলেন। ভুলে নাই, এরা আমাকে ভুলে নাই। টাকা ট্র্যান্সফার হতে মনে হয় একটু দেরি হয়েছিল। তাই চিঠিরও দেরি।

দুরুদুরু বুকে খামের দিকে না তাকিয়েই প্রথম চিঠিটা খুলেন কামারুজ্জামান। মনে মনে হিসাব করেন কে পাঠাতে পারে। সাঈদা, নিশ্চয়ই সাঈদা। আর না হলে বদি আদম। চিঠি খুলে একটু হকচকিয়ে যান। চিঠিতে লিখা -
ক্যান্সার, বাতব্যথা, হেপাটাইটিস, প্যারালাইসিস, ডায়বেটিকস, টিউমার, হাপানী ও ধ্বজভঙ্গ ইত্যাদি জটিল ও পুরনো রোগের গ্যারান্টি সহকারে চিকিৎসা করা হয়। শারীরিক অক্ষমতার চিকিৎসায় ২৪ ঘণ্টায় ফলাফল, বিফলে মূল্য ফেরত। শতভাগ গ্যারান্টিতে মাত্র এক মাসের মধ্যে রুগ্ন-ভগ্ন স্বাস্থ্য সুস্থ-সবল করা হবে।

খামের দিকে তাকিয়ে দেখেন প্রেরক ইউনানি আয়ুর্বেদী, কালিয়াকৈর। বিরক্ত হয়ে দ্বিতীয় চিঠি খুলেন।

জরুরী ভাবে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি হ্ইবে নগদ অথবা কিস্তিতে। ডাউন পেমেন্ট ১০-১৫ লাখ টাকা। বাকী টাকা ১ বৎসরের কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ফ্ল্যাটের বৈশিষ্ট্য: ৩টি বেড রুম,১টি সারভেন্ট রুম, বাথরুম ৩টি, ড্রইং, ডাইনিং, কিচেন, ৪টি বারান্দাসহ। অভিজ্ঞ আর্কিটেক্ট দ্বারা নির্মিত বিল্ডিং। মনোরম পরিবেশ। একেবারে ই-ব্লকে মেইন রোডের সাথে। নিজস্ব জেনারেটর, ২টি সিঁড়ি, একটি ৮ প্যাসেঞ্জার লিফট। ও অন্যান্য অত্যাধুনিক সকল ব্যবস্থা রয়েছে।

অস্থির হয়ে তৃতীয় চিঠির দিকে হাত বাড়ান কামারুজ্জামান।

ঘামাচি, ব্রণ, মেছতা, দাদ, পাঁচড়া, খুজলি, একজিমা সহ যে কোন চর্ম ও যৌন রোগের চিকিৎসা ...

চিঠি শেষ না করেই হাত থেকে ফেলে দেন কামরুজ্জামান।আঁতিপাঁতি করে বাকি খামগুলোর প্রেরকের নাম দেখেন একে একে। ফার্নিচার বিক্রয়, জমি বিক্রয়, বিউটি পার্লার, অর্শ ও ভগন্দরের চিকিৎসা, পাত্রী চাই, আপনি কি দুই দিনে দুই ইঞ্চি লম্বা হতে চান, মেদ ভুঁড়ি কি করির বিজ্ঞাপন। সবগুলোতেই প্রাপকের জায়গায় তার নাম লিখা।

কামারুজ্জামান কারারক্ষীদের দিকে তাকিয়ে হতভম্ব মুখে বলেন,
- এগুলা কি?
কারারক্ষীদের কান চুলকাতে চুলকাতে বলে
- মুনে হয় ইস্পাম মেইল।
- কি!
-ইস্পাম মেইল।

মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়েন কামারুজ্জামান। স্প্যাম মেইল জিনিসটার সাথে প্রথম পরিচিত হন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে। শখ করে একটু এই সেই ওয়েবসাইটে ঢুকার পরেই তার ইমেইলে ছোট জিনিস লম্বা করুন থেকে শুরু করে নাইজেরিয়াতে এক মিলিয়ন ডলার জেতার মেইল আসা শুরু হয়। তারপর বিদেশে থাকার সময় বাসার ঠিকানাতে সহ্য করেছেন কাগুজে স্প্যাম মেইলের অত্যাচার। এই বিজ্ঞাপন, সেই বিজ্ঞাপনের ভিড়ে দরকারি চিঠিটাই খুঁজে পাওয়া মুশকিল হত। এই বিজ্ঞাপনের ক্ষমতা এত বেড়ে গেছে এখন যে কারাগারেও শুরু হয়েছে স্প্যাম মেইলের অত্যাচার! হতাশ হয়ে মাটিতে বসে পড়েন তিনি।

কারারক্ষী গুনগুন করে 'চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও' গাইতে গাইতে চলে যায়।

দিন যায় রাত যায়। কাঙ্ক্ষিত চিঠি আর আসে না। বরং একদিন লাল কাপড়ে প্যাঁচানো চিঠিটা চলে আসে। জল্লাদ শাহাজাহান তার দায়িত্ব পালন করে।

ফাঁসির পরদিন ময়লা পরিষ্কার করতে গিয়ে ডাস্টবিনে কিছু চিঠি খুঁজে পায় ঝাড়ুদার । ইংরেজিতে ঠিকানা লেখা আর বন্ধ খাম দেখে জরুরি মনে করে নিয়ে আসে কারারক্ষীর কাছে। কারারক্ষী এক নজর তাকিয়ে খামগুলো দেখে। গোটা কয়েক মানবাধিকার সংস্থা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ সবাই আছে। ঝাড়ুদারকে বলে,
- এইগুলা টুকায়ে নিয়ে আসছিস কেন আবার?
- ভাবলাম, কামের কিছু নাকি।
কান চুলকাতে চুলকাতে কারারক্ষী বলে,
- না না, ফালায়ে দে। সব ইস্পাম মেইল।

প্রাসঙ্গিক গল্প - কুখ্যাত জারজ

আপডেটঃ
গল্পটার নাম (আগের নাম ছিল - চিঠি দিও প্রতিদিন) এবং শেষ অংশ একটু বদলে দিলাম বেশ কিছু পাঠকের ফিডব্যাক পাবার পর। ব্লগে লেখার মজাই আলাদা। লোকজন ভুলচুক ঠিক করে দেয়, দারুণ দারুণ পরামর্শ দেয়। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি এবার গল্পের শেষটা আগের থেকে কিছুটা ভাল হয়েছে।


মন্তব্য

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ছোটবেলায় ট্রান্সলেশন পড়তাম, "ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেল"।
চিঠির অ্যাকশন হইবার পূর্বেই সবকিছু . . .

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

এইবার গল্পে ঝাঁজ এসেছে হাততালি

লায়না এর ছবি

ভালো আছি, ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

আপনার কুখ্যাত জারজ গল্পটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।

এই গল্পটাও ভালো হয়েছে। শেষে আরো টুইস্ট আশাকরছিলাম। লাল কাপড়ে মোড়া চিঠি (মৃত্যুর পরোয়ানা) চলে আসার ব্যাপারটা ঢুকানো যেত।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ঠিক ঠিক মিলে গেল।

চরম উদাস এর ছবি

মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রথমে লাল কাপড়ে মোড়ানো চিঠির কথা দিয়েই শেষ করেছিলাম। পরে মনে হল, একটু মশকরা মুডেই শেষ করি। মন মেজাজ বেশী ভালো তো এইজন্য চোখ টিপি

sudip এর ছবি

অস্থির
গুল্লি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সত্যপীর এর ছবি

রিসেপশনিস্ট মারিয়া ম্যাটিজ কিন্তু কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির পরে খুব বকে দিছিল সবাইকে। সাবধানে থাকিয়েন ভাইয়েরা, পালানোর চেষ্টা করি লাভ নাই মন খারাপ

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

মনে আছে হো হো হো

মরুদ্যান এর ছবি

ভয়ে ভরমি খাই পড়ি গেলাম। তয় আল্লাহ এহনো দেহায়না ক্যারে? চিন্তিত

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মরুদ্যান এর ছবি

দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লাগলো দেঁতো হাসি । মনটা ফুরফুরা লাগে ইদানিং। দ্রুত কাচ্চি খাইতে চাই।
অফটপিকঃ এসো নিজে করি-এর কি হইলো?

ইসরাত

চরম উদাস এর ছবি

এসো নিজে করি কুকিং

Tasbira islam এর ছবি

হো হো হো

অতিথি লেখক এর ছবি

বদি আদমরে ফোনটা দেয়ার পর থেকে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা।

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

সুবোধ অবোধ এর ছবি

প্রথম অংশ বেশি ভাল্লাগছে। পরের অংশ উদাসীয় না। মন খারাপ

ডায়াল করতে করতে তিনি মুচকি মুচকি হাসেন আর মনে মনে বলেন, এককালে তোরা ওইখানে বসে আমাদের এইখানে নীল চাষ করতি আর এখন আমি এইখানে বসে তোদের ওইখানে ছাগলের চাষ করি। হে হে হে হে।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

সেশে একটু বেশি তাড়াহুড়া করে ফেলেছি মনে হয়। অনেকেই একই কথা বলছে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লাইনে আসুন

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি এই স্ক্রীনশট দিয়েছেন আগে দেখলে আমি আর দিতাম না!! ইয়ে, মানে...

ফারাসাত

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে, মানে...

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

চরম হইছে বস, জাস্ট চরম ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

চরম উদাস এর ছবি

থিঙ্কু

বন্দনা এর ছবি

প্রতিদিন বাইশ পদ দিয়ে খাওয়ার পরেও একি হাল হয়েছে চেহারার

গড়াগড়ি দিয়া হাসি এই লাইন্টা দু-দুবার করে পড়তে হলে, হাসতে হাসতে মরে যাচ্ছি, আর এটা বলতেই লগ ইন করলাম উদাসদা।

চরম উদাস এর ছবি

চোখ টিপি

অভিমন্যু . এর ছবি

গুল্লি

________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ!
আচ্ছা, ওদের মনস্তত্ত্ব বুঝলেন কিকরে বলুনতো? হাসি

চরম উদাস এর ছবি

এমনে এমনেই দেঁতো হাসি

নিমো  এর ছবি

শেষের দিকে চরম উদাস মানের পাঞ্চ পাই নাই চউদা।

চরম উদাস এর ছবি

শেষটা বদলে দিয়েছি। দেখেন দেখি এবার একটু বেটার কিনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

সবশেষে লন্ডনে ফোন দেন। ৭১ এর পর সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা ছিল সৌদি। কালে কালে সেটা হয়েছে লন্ডন। ডায়াল করতে করতে তিনি মুচকি মুচকি হাসেন আর মনে মনে বলেন, এককালে তোরা ওইখানে বসে আমাদের এইখানে নীল চাষ করতি আর এখন আমি এইখানে বসে তোদের ওইখানে ছাগলের চাষ করি। হে হে হে হে।

চলুক

কড়িকাঠুরে

তারেক অণু এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

নাম বদলে গ্যালো? অ্যাঁ
চউদাও প্রথমালোয় যোগ দিছে রে ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

বদলে যাও, বদলে দাও দাও দাও দাও দেঁতো হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আরি, গপ্পের ল্যাঞ্জাও যে বদলায় দিছেন খিয়াল করি নাই। গুল্লি হইছে

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মৃষৎ এর ছবি

শেষ ভালৈছে এইবার মিজান, পিষে ফ্যালো

সাইদ এর ছবি

আমরা কি এমন চউদা চেয়েছিলাম মিজান, পিষে ফ্যালো

খেকশিয়াল এর ছবি

হাহাহাহা দারুণ উদাসদা, দারুণ!

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
কারারক্ষীর কান চুলকানির টাইমিংটা সেইরকম হয়েছে।

রিপন

মাসুদ সজীব এর ছবি

লন্ডন এখন ছাগলখানার আদর্শ জায়গা হয়ে যাচ্ছে, সেখানে বসে বসে একজন মুখ দিয়ে উচ্চারিত শব্দমালায় নিত্যনতুন ইতিহাস সৃষ্টি করছে, তার সাথে কি কুনু কথা হয় নাই? ভবিষ্যত গপ্পে এই নব ইতিহাস সৃষ্টিকারীর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে আপনিও নতুন একখান ইতিহাস রচণা কইরেন চোখ টিপি

গপ্প দারুণ হইচ্ছে বদ্দা হাসি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

হা হা হা!

ওডিন এর ছবি

চিঠি আইসা পড়ছে শুনলাম শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহ

হাসতে হাসতে কাইটা দিলাম। আবার হাসলাম। মিজান, পিষে ফ্যালো

<<দেশাল>>

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।