উগ্রতা পরিহার করুন

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বুধ, ০১/০৪/২০১৫ - ৮:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেখুন আমি বরাবর বলে আসছি যে কোন ধরণের উগ্রতা আমার বড়ই অপছন্দ। আজকে আমাদের সমাজে যে এত হানাহানি, এত কাটাকাটি তার মূলে রয়েছে আমাদের উগ্র আচরণ। আমরা দিন দিন কথায়, আচরণে, কাজেকর্মে উগ্র হয়ে যাচ্ছি। পরপর বেশ কয়েকটি নাস্তিক হত্যা হবার পর আমি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম, উগ্র নাস্তিক আর আর উগ্র আস্তিক কেউ কারুর থেকে কম নয়। একজনে ধারে কাটে তো অন্যে ভারে। কিন্তু কেউ কারো থেকে কম উগ্র বা সমাজের জন্য কম ক্ষতিকারক নয়। যে কোন ক্ষেত্রে, যে কোনধরনের উগ্রতা অবশ্য পরিহার্য।

একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখলেই বোঝা যায়, রানা প্লাজার উগ্র কর্মচারী আর উগ্র মিস্টার রানা দুটোই সমান অপরাধী। বিল্ডিং তো আর পাহাড় না, ধ্বসে পড়তেই পারে। এমনকি পাহাড়ও ধ্বসে যায় মাঝেমাঝে। সেই তুলনায় বিল্ডিং বা বিল্ডিং মালিকের কি দোষ? হাঁটাচলার সময় আমাদের সবার সাবধান হওয়া জরুরী। জমিনের উপর ধুপধাপ করে হেঁটে বেরালে জমিন দেবে যায়, আর বিল্ডিং তো যেতেই পারে। প্রতিদিন যদি হাজার খানেক গার্মেন্টস কর্মী অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে সজোরে বিল্ডিং এর উপর পা ফেলে ঘুরে বেড়ায় তবে আজ হোক কাল হোক সেই বিল্ডিং এর ধ্বংস অনিবার্য। রানারও দোষ আছে। তার একটু খেয়াল রাখা উচিৎ ছিল বিল্ডিং এর দিকে। কিন্তু দিনশেষে উগ্র রানা আর উগ্র কর্মচারী দুজনের কারো দোষই কারুর থেকে কম নয়।

আপনারা কয়দিন পরপর বর্ডারে ফেলানি হত্যা নিয়ে হৈ চৈ করেন। একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন। উগ্র ফেলানি আর উগ্র বিএসএফ দুটোই সমাজের জন্য সমান ক্ষতিকর। বর্ডার তো আর হাঁটাহাঁটি করা বা খেলার জায়গা না। সেখানে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করলে, বিশেষ করে উজ্জ্বল কাপড় পরে হাঁটাহাঁটি করলে সেটা অনেক দূর থেকে দেখা যায়। যারা বর্ডারের দায়িত্বে আছেন তাদের চোখে লাগে। আপনার চোখে যদি কোন উগ্র জিনিস আঘাত করে তবে আপনি উগ্র হয়ে দুই একটা গুলি ছুড়তেই পারেন। দিনশেষে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি, উগ্র ফেলানি আর উগ্র বিএসএফ দুটোই আমাদের পরিহার করতে হবে।

উগ্র আম্পায়ার আর উগ্র খেলোয়াড় দুটোই খেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আম্পায়ার খানিক চোখের ভুলে একটা আউট নিয়ে একটু এদিক সেদিক করেছে। কিন্তু তারপর আপনি কি আমাদের টীম ক্যাপ্টেন মাশরাফির আচরণ খেয়াল করেছেন। মানি মাশরাফি মুখে কিছু বলেননি। এমনকি হাত পা নেড়ে কোন অঙ্গভঙ্গিও করেন নি। কিন্তু আপনি কি খুব ভালো করে তার চোখ দুটো খেয়াল করেছেন? না, তার চোখ রক্তচক্ষু হয়নি। কিন্তু একটু ভালো করে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে তার চোখে অসন্তুষ্টির ছায়া ছিল। উগ্র আম্পায়ার আর খেলোয়াড়ের উগ্র চোখ দুটোই তাই পরিহার্য।

উগ্র ফিলিস্তিনি আর উগ্র ইসরায়েল দুটোই সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর। মাঝেমাঝে যখন গাজায় বোমা ফেলা হয় তখন ঘরের বাইরে ঘুরাঘুরি করা ঠিক নয়। ঘরে থাকলেও সেখানে বোমা পড়তে পারে। তাই মাটির নিচে কোথাও গিয়ে অপেক্ষা করা উচিৎ। শেষ বোমা হামলার সময়েও আমি দেখেছি বেশ কিছু উগ্র ফিলিস্তিনি শিশু ঘরের বাইরে রাস্তায় ঘুরাঘুরি করছিল।বোমার সময় তাদের রাস্তায় ঘুরঘুর করতে দিলে বোমা খাবে না তো কি রসগোল্লা খাবে? যেমন উগ্র শিশু, তেমনি তার উগ্র বাবা মা। মানি ইসরায়েল মাঝেমাঝে একটু বেপরোয়া হয়ে উঠে। কিন্তু তাদেরকে অযথা খোঁচাখুঁচি করার জন্য ফিলিস্তিনদের দোষটাও একেবারে কম নয়। বোমা খেয়ে দুই একটা উগ্র ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে কিন্তু তাই বলে সেটার জন্য পুরো ইসরায়েলকে কেন দোষারোপ করতে হবে? আমাকে খুঁজে দেখান ইসরায়েল এর সংবিধানে কোথায় লিখা আছে বোমা মারা ঠিক কাজ। তাই বলি উগ্র ইসরায়েলি আর উগ্র ফিলিস্তিনি দুটোর কেউই কারো চেয়ে কম অপরাধী নয়। একজন বোমা মারে তো আরেকজন কিছু একটা তো মারে অবশ্যই। কিছু না মারলে এমনি এমনি ওরা বোমা মারবে কেন?

গত কয় মাস ধরে পেট্রোল বোমা মারা নিয়ে চলছে হৈচৈ। পেট্রোল বোমার একটা ব্যাপার আছে। মন দিয়ে খেয়াল করে দেখবেন এই পর্যন্ত যতগুলা বাসে বোমা মারা হয়েছে তাদের বডি লাল বা অন্য কাছাকাছি উগ্র রঙ এর ছিল। আর তা ছাড়া বাস থাকবে বেশিরভাগ সময় বাস ডিপোতে, এভাবে রাস্তাঘাতে এত ঘুরাঘুরির কি মানে? গায়ের কটকটে রঙ মেখে বাস রাস্তাঘাটে বেশী ঘুরাফেরা করলে সেটাতে পেট্রোল বোমা পড়তেই পারে। আর তাই উগ্র বাস, বাস মালিক, বাসের প্যাসেঞ্জার আর বাসে পেট্রোলবোমা হামলাকারী দুই পক্ষকেই সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে।

মাত্র গত সপ্তাহে রাজশাহীতে আট বছরের উগ্র শিশুকে ধর্ষণ করেছে আবদুল আজিজ নামে ষাট বছরের উগ্র এক বৃদ্ধ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে পালিয়ে যান ধর্ষক আবদুল আজিজ। ধর্ষণ কখনোই ভালো কিছু নয়, ধর্ষকের শাস্তি অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু তাই বলে শিশুটিকেও উগ্রতা পরিহার করতে হবে। আট বছর বয়েস হিসেবে একটু কম মনে হতে পারে কিন্তু সতর্কতার কোন বয়েস নেই। শিশুটির উচিৎ ছিল উগ্রভাবে যেখানে সেখানে না ঘুরে বেশি বেশি জামাকাপড় পরে বেশিরভাগ সময় ঘরে বসে থাকা। ধর্ষককে মাফ করার প্রশ্ন আসে না, তবে আবদুল আজিজ যখন ধর্ষণের পর শিশুটির হাতে দশটি টাকা দিয়েছেন তার মানে তিনি একেবারে অমানুষ নন। এরকম কাজ করার পেছনে উগ্র শিশুটির কি প্ররোচনা ছিল সেটাও ভালো করে খতিয়ে দেখতে হবে। উগ্র ধর্ষক বৃদ্ধ আর আট বছরের ধর্ষিতা শিশু দুজনকেই শাস্তি দেয়া উচিৎ। দুটোর কেউই সমাজের জন্য কোন অংশে কম ক্ষতিকারক নয়।

আমরা ১৪ই ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে হৈচৈ করি। কিন্তু একটু খোলা মন নিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনার দাবী রাখে। উগ্র বুদ্ধিজীবী আর আর তাদের হত্যা করা উগ্র সৈনিক দুটোই সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর। মুনীর চৌধুরী ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে উগ্রতা করার জন্য সরকারের হাতে বন্দী হন। কিন্তু জেলে বসেও তার উগ্রতা থামেনি। জেলে বসেই তিনি উগ্র দেশ-বিরোধী ও ধর্মবিরোধী নাটক কবর রচনা করে উগ্রভাবে আরও উস্কানি দেন। যেই মুনীর চৌধুরীকে শহীদ বুদ্ধিজীবী বলে বলে আপনার মাথায় তুলে নাচেন, আপনারা কি জানেন সেই মুনীর চৌধুরী মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করেছিল? ১৯৫৯ সালে আবার বাংলা একাডেমীতে সরকারের ভাষা-সংস্কার কমিটির রিপোর্ট নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন তিনি। সেই প্রবন্ধে তিনি মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করেন এবং সেইসময় ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য সরকারের কাছে তাঁকে কৈফিয়ত দিতে হয়। ভাষার কথা বলতে গিয়ে মুসলমানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত, এ কেমন উগ্রতা? এরপর আবার তিনি ১৯৬৬ সালে রেডিও ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান প্রচারে পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেন। মুসলমান কবি ও শিল্পীদের বাদ দিয়ে হিন্দু কবিদের দালালি করার জন্য সেসময় আবারও অনেকের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে। সেখানেই থেমে থাকেনি তার উগ্রতা। ১৯৬৮ সালে আবার পাকিস্তান সরকার বাংলা বর্ণমালাকে রোমান বর্ণমালা দিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিলে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এরপর আবার মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তার উগ্র কিশোর ছেলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়। পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান নিজে মুনীর চৌধুরীকে চিঠি পাঠিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তিনি যেন উগ্র কোনো কাজে জড়িত না হন। তারপরেও থামেনি তার উগ্রতা। তখন যদি কিছু উগ্র সৈনিক এসে তাকে হত্যা করে সেটাকে কি খুব বড় কোন অন্যায় বলা যাবে? উগ্র মুনীর চৌধুরী আর উগ্র পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দুইই সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

স্যাটায়ার টা চরম উগ্র হয়েছে হাততালি

নিটোল আরন্যক

স্পর্শ এর ছবি

হায় হায়! অনলাইন সেলিব্রিটিদের ভাত মেরে দিলেন তো! উগ্রতাবিরোধী ভক্তরা সব দলে দলে আপনার পতাকাতলে এসে ভিড়বে।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

আপ্নিও জয়েন করেন। আর কতদিন উগ্রতা করবেন? উগ্রতার বদলে মহব্বত খান, কোপের উপর চাপ কমান।

স্পর্শ এর ছবি

উগ্রতা পরিহার করতে বলে আপনি আমার উগ্রতানুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। আপনার খবরাছে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গুরু গুরু

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শান্ত শান   এর ছবি

উগ্রতা পরিহার করুন

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক
আপনার লেখাটায় স্যাটায়ার ট্যাগ দেন, নাহলে মানুষ ভুল বুঝে যাইতে পারে।

উগ্র ফিলিস্তিনি আর উগ্র ইসরায়েল দুটোই সমাজের জন্য ভয়ঙ্কর।

এটা অবশ্য পশ্চিমা বিশ্বের সরকার গুলির এক বুলি। "anti-semitism" এর ভয়ে কখনওই শুধু ইজরাইলের আগ্রাসনের কথা বলা হয় না।

- নীল কাকাতুয়া

সত্যপীর এর ছবি

চিন্তাভাবনা ট্যাগ ঠিক আছে।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

স্যাটায়ার কই দেখলেন? গভীর চিন্তাভাবনা করে মনের কথা লিখি, আর লোকে বলে স্যাটায়ার ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

উফ আপনি পারেনও। হাসাতে হাসাতে পেটে ব্যাথা করে দেন। খাইছে

- নীল কাকাতুয়া

ঋভু সাবর্ণি  এর ছবি

হরতালে রাস্তায় সাধারণ জনগণের অবাধ চলাচল বন্ধ করতে হবে। কারণ এটা বড় ধরণের উগ্রতা। বিম্পি-জামাতের মতো উগ্র দল হরতাল দেওয়ার পরও উগ্র জনগণ রাস্তায় চলাচল করে। এরা পেট্রোল বোমা খাবে না কি, আদর খাবে। সাধারণ জনগণ এবং বিম্পি-জামাত উভয়ের উগ্রতাই সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক বাহ চমৎকার, এভাবেই আমরা ঘরে-বাইরে সর্বত্র উগ্রতা পরিহার করে শান্ত নম্র ভদ্র হয়ে বেঁচে থাকবো।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

চরম উদাস এর ছবি

গত কয় মাস ধরে পেট্রোল বোমা মারা নিয়ে চলছে হৈচৈ। পেট্রোল বোমার একটা ব্যাপার আছে। মন দিয়ে খেয়াল করে দেখবেন এই পর্যন্ত যতগুলা বাসে বোমা মারা হয়েছে তাদের বডি লাল বা অন্য কাছাকাছি উগ্র রঙ এর ছিল। আর তা ছাড়া বাস থাকবে বেশিরভাগ সময় বাস ডিপোতে, এভাবে রাস্তাঘাতে এত ঘুরাঘুরির কি মানে? গায়ের কটকটে রঙ মেখে বাস রাস্তাঘাটে বেশী ঘুরাফেরা করলে সেটাতে পেট্রোল বোমা পড়তেই পারে। আর তাই উগ্র বাস, বাস মালিক, বাসের প্যাসেঞ্জার আর বাসে পেট্রোলবোমা হামলাকারী দুই পক্ষকেই সামাজিকভাবে বর্জন করতে হবে।

- > এই অংশটা লেখায় যোগ করে দিলাম।

স্পর্শ এর ছবি

এই প্যারাগ্রাফটা কিন্তু স্যাটায়ারের মত শোনাচ্ছে। এতে মূল লেখাটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরে যে হাজার হাজার পাঠক খুশি মনে শেয়ার দিয়েছিলেন তারা নিদারুণ মনক্ষুন্ন হবেন।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

লজিকে যুক্তি আছে। দুই পক্ষ থেকে হাগার হাগার লাইক পাচ্ছিলাম, এখন বুঝি সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। আবারও বলছি, এটা কোন স্যাটায়ার না গো, কঠিন বাস্তব ।

নৃ এর ছবি

সকল প্রকার উগ্রতা পরিহার করাই উচিত। এমনকি প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়েও উগ্র হওয়া উচিত না।
উত্তম জাঝা!

bashabi এর ছবি

অসাধারণ লেখা ।

আমাদের সুশীল সমাজ এর উদাহরণ দেখে এখন আর কাউ কে বিশ্বাস করতে ভয় লাগে। বড় বড় কমিউনিস্ট নেতা রা এখন সবাই ধর্মভীরু হয়ে তাদের পাপ খন্ডন করছে। আপনার তো পাপ এর বোঝা অনেক ভারী হয়ে গেল. ভয় হয় কোন দিন আপনি ও না দোজখ (অথবা PUBLIC চোখ টিপি ) এর ভয়ে তওবা করা শুরু করেন।

ধ্রুব আলম এর ছবি

গুরু গুরু

ইয়ামেন এর ছবি

'হাগার হাগার লিক' পাবার রাজ্যে স্বাগতম। অচিরে আপনিও আরিফ আর হুসাইনের ন্যায় জনপ্রিয় বলগার হয়ে দাঁড়াবেন এনশাল্লাহ।
বাই দ্যা ওয়ে, ফুল গাছ লতা পাতা নিয়ে বলগটা কবে নাগাদ লিখছেন ভায়া? দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আপনি আসলেই চরম একটা লোক!
গুরু গুরু

চরম উদাস এর ছবি

আবার চরম উগ্র বইলেন না কিন্তু। আমি চরম নরম মানুষ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

ভেবেছিলাম ব্লগ থেকে দূরে থাকবো। কিন্তু এই লেখা দিয়ে আপনি লগ-ইন করতে বাধ্য করলেন!

গুরু গুরু

সাইদ এর ছবি

এক হাতে তালি বাজে না ইয়ে, মানে...

বিঃ দ্রঃ আমার মন্তব্যটি সারকাজম

ইমতিয়াজ সিদ্দিক এর ছবি

উগ্র নয় শুদ্র থাকতে হবে
প্রশ্ন করলে মাথায় চাপাতি রবে

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি আসলেই চরম... গুরু গুরু

দেবদ্যুতি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

মাত্র কদিন আগে এক সত্তরোর্ধ বুড়ো আক্ষেপ করে বলছিল শেখ মুজিবের উগ্রতার জন্যই সোনার পাকিস্তান ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেছিল।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

চরম উদাস এর ছবি

পঁচিশে মার্চের গণহত্যাতা না হলে দেশের বড় এক অংশ বুঝতেই পারতোনা তারা কোথায় আছে। শুধুশুধু পাকিস্তানি আর্মিকে ক্ষ্যাপায়ে লাভ কি? সবই আওয়ামীলীগের বিশৃঙ্খলা। সবই ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র। এই বলে বলে তার বেশ দিনকাল কাটিয়ে দিচ্ছিল।

rizvee এর ছবি

চোখ টিপি উগ্র হয়ে উগ্রতা পরিহার করুন
শয়তানী হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সরবরাহ করা এবং নিরপেক্ষ - নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের কথা বাদ পড়ে গেছে , দেখতে পাচ্ছি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার সংস্থা "হেফাজত অধিকার" কোথায় গেল ?

ট্রোল

মাসুদ সজীব এর ছবি

মুসলমান-মুসলমান ভাই ভাই, আসুন মুসলমান রাজাকার ভাই আর ‍মুসলমান মুক্তিযুদ্ধা ভাই এক হয়ে মিশে যাই। ‍উগ্রতা পরিহার করে মিলেমিশে সোনার বাংলা গড়ে তুলি। চোখ টিপি

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

রীতিমত উগ্র একটা লেখা। আজ থেকে আপনার নাম উগ্র উদাস হওয়া উচিত। নিজ দায়িত্বে হেলমেট পরে রাস্তায় ঘুরাফেরা করবেন। নয়তো অচিরেই কোপা শামসু নামকরণের স্বার্থকতা উপলব্ধি করবেন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

উগ্র আর চরম তো প্রায় কাছাকাছি! দুটোই এক্সট্রিম হো হো হো

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদাস দা, চরম লিখেছেন।

[চূড়ান্ত]

আরফিন পিয়াল চৌধুরী  এর ছবি

অসাধারন একটি লেখা! সকল মডারেট,
নব্য-মুমীন, লাইকখোর বুদ্ধীবেশ্যাদের গালে প্রচন্ড এক চপেটাঘাত।

রাজিব এর ছবি

উগ্রতা পরিহার করে লাইনে আসুন, মিলে মিশে থাকুন ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

গুরু গুরু

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

আয়নামতি এর ছবি

গুরু গুরু
চ্রম শব্দটাই তো উগ্র নতুন করে উদাসদার নামের পাশে উগ্র না লিখলেও চলে কিন্তু!

দিগন্ত এর ছবি

আপনি কি নাম পরিবর্তন করে চরম উদাস থেকে উগ্র উদাস হচ্ছেন নাকি অনুপ্রাস মেনে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সুবোধ অবোধ এর ছবি
ইলুসন  এর ছবি

চমৎকার স্যাটায়ার।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

যতই নরম বাণী দেন কাম হপে না, বুলুগার মানেই উগ্র, তারা নাস্তিক। তাদের উগ্রভাবে কুপানোই মুমিনদের কম্ম।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

rizvee এর ছবি

রীতিমত উগ্র একটা লেখা। আজ থেকে আপনার নাম উগ্র উদাস হওয়া উচিত। নিজ দায়িত্বে হেলমেট পরে রাস্তায় ঘুরাফেরা করবেন। নয়তো অচিরেই কোপা শামসু নামকরণের স্বার্থকতা উপলব্ধি করবেন।

শেহাব এর ছবি

সচৌলায়তৌনের সবচেয়ে উগ্রৌ লেইখা।

সত্যপীর এর ছবি

হো হো হো

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লিখেছেন উদাস ভাই। সুশীলদের লজ্জা শরম বলে কিছু থাকলে এই লেখা দেখার পর ইঁদুরের মত গর্তে লুকানো উচিৎ হাসি

টিউলিপ এর ছবি

গুরু গুরু

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মাসুদ সজীব এর ছবি

বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই, এই লুক সুবিধার না। ‍উনি উগ্রতার সাথে রাজনীতি মিশান, ইতিহাস মিশান, সমাজ মিশান। এগুলো সহি কাজ নয়। বাংলাদেশ কওমি পার্টিকে বিব্রত করতে উনার এই অপচেষ্টা। খাইছে

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওরে নারে... জীবনে কি কি উগ্রতা করেছি তার হিসেব কচ্চিলুম ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

গুরু গুরু পারফেক্ট। এই কথাগুলোই ঘুরছিল মাথায়। কিন্তু শূয়োরের বাচ্চাদের মাথায় এই লেখা ঢুকবে বলে মনে হয় না।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

এক লহমা এর ছবি

চলুক
আচ্ছা, উগ্র লেখক আর সেই লেখা যে পড়ে সেই উগ্র পাঠক দুজনেই ত সমান দোষী, তাই না? তবে আপনার লেখাটা কি উগ্র হইছে? কি জানি! লেখার মধ্যে প্রচুর বার 'উগ্র' কথাটা ছাড়া আর কিছু ত উগ্র পেলাম না। একেবারে চরম নরম লেখা। তারপরেও আপনার উপরে উগ্রতা দোষ এল! আর সেই লেখা আমি পড়ে ফেললাম! আর বাঁচা গেল না!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমাকে খুঁজে দেখান ইসরায়েল এর সংবিধানে কোথায় লিখা আছে বোমা মারা ঠিক কাজ।

এই বাক্যটা 'চরম উগ্র' হয়েছে! যার বোঝার সে বুঝলে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

চরম উদাস এর ছবি

আহা, আমি তো নরম দিলেই বললাম

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমে পইড়া টাস্কি খাইছিলাম , , পড়ে সানে-নাজুল বুঝলাম । আপনার লেখা ফাস্ট টাইম পড়ার কুফল চলুক

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। উগ্রের দমন আর শান্ত'র পালন করতে হবে।

অভিমন্যু . এর ছবি

ঐ মিয়া এরে ওরে উগ্র কইলেন মাগার আপ্নের এই লিখাটাইতো উগ্র, এখন আমরা উগ্র হইলে সেই দোষ কিন্তু আপ্নের। শয়তানী হাসি

________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

নাশতারান এর ছবি

মোক্ষম!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিকেত এর ছবি

আপ্নে এমুন ফাটাফাটি লিখেন কেম্নে ??!! গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনে আসলেই বস পাব্লিক! হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি

উগ্র চরম উদাসনেস পরিহার করুন

রানা মেহের এর ছবি

আমি এই কয়দিনে বিশ্বাস করেই নিয়েছি
অভিজিৎ দা, ওয়াসিকুর কিংবা অন্যান্যদের মারা যাবার জন্য
তাদের উগ্রতাই মোটামুটি দায়ী।
আপনার লেখা পড়ে মনে মনে শান্তি পেলাম।
আমি আসলে ঠিক লাইনেই ভাবছি।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

গগন শিরীষ  এর ছবি

অসাধারন! খুব বেশি লোক এভাবে লিখতে পারেনা।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

তানিম এহসান এর ছবি

সেইরাম হইছে!

অতিথি লেখক এর ছবি

হতাশ লাগে যখন দেখি সিংহভাগি কানা।

অতিথি লেখক এর ছবি

হতাশ লাগে যখন দেখি সিংহভাগি কানা। বাঙালিকে দেখায়ো না আঙুল, হয়ে যাবে নিজেই ভন্ডুল শ্রীপদ দাস

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

এই পোস্টু পরশুর আগের দিনই পড়ছিলাম। উগ্রতা এড়াইতে তিনদিন পরে কমেন্টাইলাম।

স্যাম এর ছবি

আপনার আগে পড়ে, পরে কমেন্ট করেছি, আমি আপনার চেয়ে কম উগ্র দেঁতো হাসি

কুয়াশা কুয়াশা এর ছবি

মানছি পাকিস্তানিরা বাঙ্গালীর ওপর কম অত্যাচার করেনি, কিন্তু তাই বলে বঙ্গবন্ধুরও ওরকম সময়ে এমন জ্বালাময়ী ভাষন দেয়া ঠিক হয়নি। দেখলেন তো, শুধু শুধু ত্রিশ লাখ মানুষ মারা গেলো। আরে ভাই পাকিস্তানী আব্বুদের এত না ক্ষেপিয়ে ধীরে ধীরে হাতে ধরে, পা টিপে দিয়ে, পিঠের বিচি গেলে দিয়ে, চুলের উকুনটা এনে দিয়ে শান্তিপূর্নভাবেই তো স্বাধীনতা আনা যেত। আসলে সবকিছু মূলে এই উগ্রতা, এদেশের জন্মের সাথেই তো উগ্রতা জড়িয়ে আছে। এজন্যই তো এদেশটার উন্নতি হয়না। ব্লাডি হোল বাংলাদেশ। আই হেট পলিটিক্স, শান্তি চাই, ইসলামেই শান্তি, বাংলাদেশে ইসলাম চাই, তবে আমি কিন্তু লস এনজেলস কিংবা মায়ামী বীচে অর্ধনগ্ন মেয়েদের সার্ফীং দেখা বাদ দিয়ে দেশে যেতে পারমুনা। নামাজ পড়তে পারমুনা, একদিনে তিনটা কইরা রোজা রাখমু, তারপর ইফতারে আবার তিন গামলা খামু, ইউনি গার্লফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করমু, ছ্যাকা দিলে সেই সেক্সের ভিডিও আপ কইরা আবার বলমু এসব মেয়েদের নোংরামি এভাবেই প্রচার করা উচিত, অতঃপর বিয়ের সময় হিজাব করা লক্ষী একটা মেয়ে বিয়া করমু। ইয়েস, আই এম দ্যা সহীয়েস্ট মডারেট মুসলি, আমি মানবসভ্যতার ইতিহাসে সবথেকে ধূর্ত ও সুবিধাভোগী পশুদের একজন।

অতিথি লেখক এর ছবি

<অসাধারন উগ্র লেখা>

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লেখাটা অনেক উগ্র হয়েছে। হাসি

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

প্রত্যেকটা বাক্য কোট করার মতো। অসম্ভব একটা চপেটাঘাত ।।।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।