সাবধানে থাকিও নারী পর্দারও আড়ালে

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৪/২০১৫ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের লেখা 'উগ্রতা পরিহার করুন' পড়ে অনেকেই আমার উপর কুপিত হয়ে কুপানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনলাইনে অফলাইনে। আমি যাই বঙ্গে, কপাল যায় সঙ্গে। ভালো ভালো উপদেশমূলক লেখা লিখলেও লোকে সেটাকে স্যাটায়ার ভেবে কুপিত হয়। এককালে স্যাটায়ার লেখক ছিলাম বটে কিন্তু চারিদিকের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে লাইনে এসে গেছি সময়মত। তাই লেখার উপরে স্যাটায়ার সিল না দেয়া থাকলে সেটিকে স্যাটায়ার ভেবে লেখককে কোপানো জায়েজ বলে ফতোয়া দিবেন না, পিলিজ লাগে।উপরে স্যাটায়ার সিল দেখে সঠিক স্যাটায়ার চিনুন। শুরুতেই বলে নিচ্ছি, এই লেখার উপর কোন স্যাটায়ার সিল নাই। এবারের লেখা দেশের নারী সমাজের জন্য। দেশের নারী সমাজ যে দিনকে দিন বখে যাচ্ছে এটা এখন প্রকাশিত সত্য। এই বখাটেপনা ও নির্লজ্জতার কারণেই তারা ঘরে বাইরে একটু লাঞ্ছিত অপমানিত হচ্ছে। তাই নারীদেরকে একটু সাবধানে সামলে সুমলে থাকার আদেশ উপদেশ নিয়েই এই লেখা।

খেয়াল রাখবেন নারীর শুরুতেই 'না' আছে। নারী যদি পুরুষের মতো সকল কিছু করার অনুমতি থাকতো তবে নারীর নাম নারী হতো না, হারী বা হাড়ি একটা কিছু হতো। যদিও দুষ্টু লোকে এই বলে ত্যানা প্যাঁচাতে পারে, পুরুষের শুরুতে পু আছে। পু মানেই পুটু, পু মানেই দুর্গন্ধ। এই পু আসলে সেই পু নয়। এই পু মানে নিশ্চয়ই ভালো কিছু। সেই যাই হোক, পু বাদ দিয়ে না তে ফেরত যাই। পুরাকালে নারীর পুরো নাম ছিল 'না করি , না পারি', সেটা দিনে দিনে সংক্ষেপিত হয়ে নারী শব্দে রূপান্তর ঘটেছে। তাই খেয়াল রাখতে হবে নারীর করার ও পারার উপর অনেক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পুরুষ যা করতে পারে, তার সবকিছু নারীর পক্ষে করা সম্ভব নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীর ব্রেনের আকার পুরুষের ব্রেন থেকে ছোট। তা সে যত গবেট পুরুষই হোক না কেন। সেই ক্ষেত্রে নারীর দেহের আকার, শক্তি সামর্থ্য সবই পুরুষ থেকে অনেক কম। প্রায় অর্ধেক বলা যেতে পারে। আর তাই নারীকে বেঁচে থাকতে হলে নিতে হবে পুরুষের সহায়তা, থাকতে হবে সামলে সুমলে।

পহেলা বৈশাখের বেলেল্লাপনা অনুষ্ঠানে গিয়ে কিছু নারী লাঞ্ছিত হয়েছেন। এই নিয়ে অনলাইনে অফলাইনে চলছে তোলপাড়। নানাজনে নানা কথা বলছেন। তার মাঝে একদলের কথা বেশ মনে ধরেছে আমার। তারা ইরশাদ করেছেন, সবার উপরে শালীনতা সত্য, তাহার উপরে নাই। নির্লজ্জতা উগ্রতা কমানোর কোন বিকল্প নেই। এই যে নারীরা শালীনতা হারালো কারণ একটাই, তাদের নির্লজ্জতা। লজ্জা নারীর ভূষণ, কামড়ানো পুরুষের ফ্যাশন। কিছুদিন আগের বাঘের খাঁচার সামনে গিয়ে একজন উগ্র লোক খাঁচার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে হাত নেড়েচেড়ে বাঘকে উত্যক্ত করছিল। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। বাঘ এসে কামড় দিয়ে হাত খেয়ে ফেলেছে। এখানে অবুঝ বাঘের দোষ এক আনা হলে, হাত নাড়াচাড়া করা উগ্র ও অশালীন লোকটির দোষ পনের আনা। বাঘের দিকে হাত বাড়িয়ে লাড়াচাড়া করলে বাঘ কামড়ে হাত নিয়ে নিবেই। কিছু করার নেই। যেমন কর্ম তেমন ফল। কামড় খেয়ে পরে 'আম্মা আমারে বাঘে কামড়াইছে' বলে চিক্কুর দিয়ে লাভ নেই। আর তাই যে সকল মেয়েগুলো শালীনতা হারালো, আসলে তাদের শালীনতা ছিলই না।

প্রমাণ যোগাড় করতে আমি গুগলে ধর্ষণ লিখে খবরাখবর বের করে কিছুক্ষণ গবেষণা করলাম। যা ভেবেছি তাই। এই পর্যন্ত দেশে যতগুলো ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানি হয়েছে তার সবগুলার কারণ ছিল মেয়েদের উগ্র চালচলন, নির্লজ্জ আচরণ, আজেবাজে পোশাক পরিধান ইত্যাদি। প্রাসঙ্গিক কিছু খবর তুলে দিচ্ছি গত দুই এক বছরের। পড়লেই বোঝা যায় এখানে দায়ী কে।

প্রাসঙ্গিক খবর ১ - নীলফামারীতে ছয় বছরের শিশু ধর্ষিত।নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ছয় বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ধর্ষক নওশাদকে (২২) আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
অন্তরালের খবর - শিশুটি বারবার হাত নেড়ে নওশাদকে বিরক্ত ও উত্যক্ত করছিল। তার নির্লজ্জতায় উত্যক্ত হয়ে নওশাদ একটু কামড়ে দেয়।

প্রাসঙ্গিক খবর ২ - ছয় বছরের শিশু ধর্ষণ, আসামি পলাতক। । মিরপুরের পাইকপাড়ার ছয় বছরের একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। শিশুর মা জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তাঁর মেয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছিল না।
অন্তরালের খবর - ধর্ষণের আগে শিশুটি বারবার হাত নেড়ে পলাতক আসামীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল বলে জানা যায়। এতে অজ্ঞাত আসামি বিরক্ত হয়ে শিশুটিকে একটু শিক্ষা দেয়।

প্রাসঙ্গিক খবর ৩ - মিরপুরে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষিত। রাজধানীর মিরপুরে পাঁচ বছরের এক শিশু ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়িওয়ালার ছেলে ইমরান হোসেন পলাশকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১০টার দিকে বাসায় একা পেয়ে পলাশ শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
অন্তরালের খবর - শিশুটি খালি বাড়িতে পলাশকে ডেকে তার মুখের সামনে হাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। এতে পলাশ বিরক্ত হয়ে তার হাত কামড়ে দেয়, সাথে একটু ধর্ষণও করে দেয়।

প্রাসঙ্গিক খবর ৪ - ফুলপুরে ৩ বছরের শিশু ধর্ষিত : ধর্ষক গ্রেফতার। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর ইউনিয়নের পলাশকান্দা গ্রামে ৩ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে আবু রায়হান (১৫)। জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টায় পাশের বাড়ির আবু রায়হান শিশুটিকে ফুসলিয়ে পাশের এক জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
অন্তরালের খবর - এখানে ফুসলিয়ে শব্দটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জানতে হবে আবু রায়হান শিশুটিকে ফুসলিয়েছিল নাকি শিশুটি আবু রায়হানকে। দ্বিতীয়টি হবার সম্ভাবনাই বেশি। অথবা এমনও হতে পারে, এই অশালীন শিশুটিও আবু রায়হানের মুখের সামনে হাত নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। আর এই কারণেই আবু রায়হান ফুসলে যায়। ফলাফল খানিক শ্লীলতাহানি।

আমার কথা বিশ্বাস না হলে নিজে গুগল সার্চ দিয়ে দেখুন। এরকম হাজার হাজার খবর পাবেন। নির্লজ্জ, উগ্র, উত্যক্তকারী নারীর বয়েস আট, সাত, ছয়, পাঁচ, চার, তিন এমনকি তারও নিচে বলে খুঁজে পেয়েছি। তাই ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি ঠেকানোর জন্য শালীন হওয়ার বিকল্প নেই। ভালো ভালো লম্বা লম্বা বড় বড় বস্তার ভিতরে নিজেকে ভরে বস্তার মুখ সেলাই করে রাখার কোন বিকল্প নেই। আমাদের পাড়ার এক মুদির দোকান থেকে থেকে খালি চিনি চুরি হয়ে যেত। চল্লিশ কেজির চিনির বস্তা, বেচা হতো মাত্র ত্রিশ কেজি। বাকি দশ কেজি কই যায় হিসাব নেই। একদিন পাড়ার এক চতুর লোক এসে বেয়াক্কেল মুদির চোখ খুলে দিল। পাশাপাশি দুই বস্তা চিনি। একটা নতুন বস্তা, মুখ বন্ধ। সেটা থেকে কখনো চিনি চুরি হয় না। চুরি হয় খোলা বস্তা থেকে। তাই বুদ্ধি দিল প্রতিবার চিনি বেচার পর ভালো করে সুই সূতা দিয়ে খোলা বস্তার মুখ সেলাই করে দিতে। তারপর আবার কাস্টমার চাইলে বস্তার মুখ খুলে চিনি দিয়ে আবার বস্তার মুখ সেলাই। সহজ বুদ্ধি কিন্তু কার্যকর। প্রতিবার বস্তার মুখ সেলাই করা আর খোলা বিরাট হ্যাপার কাজ। কিন্তু এই কষ্ট স্বীকার করে নেয়ার পর চিনি চুরি বন্ধ হয়ে গেল। তাই নারীদের বলি নিজেকে বস্তায় ভরে প্রতিদিন সেলাই করে রাখুন। মাঝেমাঝে আলো বাতাস দানা পানি দরকার হলে অল্প সময়ের জন্য বস্তার মুখ খুলে দ্রুত কাজ শেষ করে আবার বস্তা সেলাই করে দিন। বেচারা মুদির অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। এরপরে কে যেন এসে তার আস্ত চল্লিশ কেজির নতুন চিনির বস্তাই উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গে বরং না যাই। আমার কথা বিশ্বাস না হলে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়ানো পর্যটক তারেক অণুকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। তিনি বেশ আগেই বলে গেছেন, বেশি করে পোশাক পরুন, ধর্ষণ প্রতিরোধ করুন!

এক গবেষণায় দেখা গেছে ১৯৭১ সালে আমাদের দেশের যে লাখ কয়েক নারী ধর্ষিত হয়েছিল তাদের কেউই লাজুক, শালীন, বা বোরখা পরিহিতা ছিল না। যারা সালওয়ার কামিজ পরে ছিল তারা অল্প ধর্ষিত হয়েছে, যারা শাড়ি পরে ছিল তারা খানিক বেশি, আর যারা জিনস মিন্স পরেছিল তাদের কথা আর নাই বা বললাম। ওই যে বাঘের খাঁচায় হাত ঢুকালে, এমনি হাত না ঢুকিয়ে খাঁচার সামনে হাঁটাহাঁটি করলেও ফলাফল কি হতে পারে সেটা জানেনইতো। আরও এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশে ধর্ষিতার সংখ্যা আরও এক বা দুই লাখ বেশি হতে পারত। কিন্তু এরা সবাই বোরখা বা শালীন পোশাক পরে থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রতিবারই যখন এরা পাক আর্মির হাতে পরেছে, তারা 'মাইজি আপ বহুত আচ্ছা হো , আপ ঘার যাইয়ে' বলে তাদের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে নিরাপদে।

কেউ বলে পহেলা বৈশাখের ঘটনার সাথে মৌলবাদীরা জড়িত। জড়িত হলে দোষের কিছু দেখি না। পহেলা বৈশাখ যে হারাম উৎসব এটা উনারা অনেকদিন থেকেই বলে আসছেন। লোকজন বিশেষ করে নারীগণ তাও পাত্তা না দিয়ে বেলেল্লাপনা করে যাচ্ছে। পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেয়ে গরীবকে সাহায্য করুন, গান বাজনা না করে ইবাদত বন্দেগী করুন ইত্যাদি কাতর আবেদন তারা অনেকদিন থেকেই করে যাচ্ছেন। লোকজন এইসব না শুনে ক্রমাগত বেলেল্লাপনা করে যাচ্ছে। যার ফলাফল মাঝেমাঝে বটমূলে বোমা খাওয়া বা এরকম শ্লীলতাহানি। "অই ছেড়ি, ওড়না গলায় না দিয়া বুকে দে, কামে দিবো" পেজের গ্রাহক সংখ্যা এই মুহূর্তে ৯৩.১৬৪ জন। নতুন গজানো "উল্টা-পাল্টা ড্রেস পরিহিত মেয়েদেরকে ইভ-টিজিং করার অনুমতি দেওয়া হোক" এর গ্রাহক সংখ্যা সেই তুলনায় খানিক কম। তবে দেশের সাথে এরাও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে তাই চাইলেই চোখের নিমিষে পেয়ে যাবেন লাখ খানেক মানুষকে মেয়েদের ওড়না ঠিকমতো পরিয়ে দেয়ার জন্য বা উল্টাপাল্টা ড্রেস টেনে খুলে দেয়ার জন্য। এই ভাইয়েরা দিনের পর দিন আমাদের সতর্ক করে যাচ্ছেন, দিয়ে যাচ্ছেন ইভ টিজিং বা সকল রকমের লাঞ্ছনা থেকে মুক্তির ওয়ান স্টপ উপায়। বলে যাচ্ছেন পর্দা করা, সাবধানে থাকার কোন বিকল্প নেই। না করলে ফলাফল অবধারিত।

লেখাটার এই পর্যন্ত এসে মৌলবাদীদের আরও বেশ খানিক গালিটালি দিয়ে দিব্যি লেখাটা এখানেই শেষ করে ফেলা যেত। 'সবই ব্যাদে আছে' বলে চোখ বন্ধ করে সকল অপকর্মের দায় দায়িত্ব জামাতের কাঁধে তুলে দেয়া যেত। কিন্তু ওরে নারে, পিকচার আভি ভি বাকি হ্যাঁয় ...

কিছু কিছু দুষ্টু খবরে প্রকাশ পহেলা বৈশাখের এরকম কয়েকটি ঘটনার সাথে ছাত্রলীগ জড়িত। দুই একজন নাকি ধরাও পড়েছে হাতে নাতে। জগন্নাথের এক উত্ত্যক্তকারী ছাত্রলীগকর্মীকে গতকাল বহিষ্কার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরে করা হয়েছে পাঁচ ছাত্রলীগকে। যদিও শোনা গেছে এরা কেউ নাকি আসলে প্রকৃত ছাত্রলীগ নন! প্রকৃত ছাত্রলীগ কখনোই এমন কাজ করতে পারে না! তাই শুধু শুধু ছাত্রলীগকে ঢালাও দোষারোপ করার আগে একটু বাস্তবতা ভেবে দেখুন। ছাত্রলীগের অনেক দায়িত্ব কর্তব্য আছে। তারা আমাদের মতো কম্পুটারের সামনে বসে লেখালেখি করে সময় নষ্ট করেনা। তাদের অনলাইন কওমি গ্যাং চাপাতি নিয়ে অনলাইন পাহারা দিলেও লেখালেখি করে নষ্ট করার মতো সময় তাদের নেই। তারা কোথায় অন্যায় অবিচার দেখলে সকলে মিলে, 'ওই মার খানকির পুলারে', 'ওই ধর কুত্তার বাচ্চারে' বলে দ্রুত গালি দিয়ে বিচার নিশ্চিত করে। আর অফলাইনের ছাত্রলীগের তো আরও কত কাজ থাকে। মাঝেমাঝে বিশ্বজিৎ কোপাতে হয়, এর তার ঠ্যাঙ ভেঙ্গে দিতে হয়, জামাতি শিক্ষককে একটু রগড়ে দিতে হয়। এত এত কাজ করার পর তার চোখের সামনে যদি অর্ধ উলঙ্গ নারীকে ঘুরাফিরা করতে দেখে তবে কি আর মাথা ঠিক থাকে? তাকে পূর্ণ উলঙ্গ করে তারা দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে। ভাসুরের নাম মুখে নেয়া হারাম। আর তাই এরকম ছোটোখাটো দুই একটা ঘটনার জন্য ভাসুরদের নাম মুখে নিয়ে দেশকে এগিয়ে যেতে বাধাগ্রস্ত করবেন না। এই যে ইনি একজন ভাসুর, নাম ফজলুল হক রাসেল। উপস ... ভাসুরের নাম মুখেই নিয়ে ফেললাম বুঝি। আচ্ছা ধরি তার নাম ভাসুর। ভাসুর সাহেব ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।

১৯৯৯ এর থার্টি ফাস্ট নাইটের চাঞ্চল্যকর বাঁধন কেসের ইনি অন্যতম আসামি ছিলেন। আপাতত খালাস পেয়ে সুখে শান্তিতেই আছেন। আজ থেকে পনের বছর আগের ঘটনা। ভেবে দেখুন বেচারাকে কি কষ্টই না করতে হয়েছে বাঁধনের কাপড় টেনে খুলতে। ভিড়ের মধ্যে কেউ জায়গা দেয় না। প্রায় চার পাঁচ ফুট দূরে দাড়িয়ে ঝুঁকে হাত বাড়িয়ে তবেই না পেয়েছেন বাঁধনের কাপড়ের নাগাল। এত কষ্ট করার পর আবার কোর্টে গিয়ে যদি মামলা টামলা সামলাতে হয় সেটা কি মেনে নেয়া যায়। সে যাই হোক, বীর ভাসুর সাহেব সব মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন এটাই আনন্দের কথা। ইংরেজি নববর্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝাণ্ডা তারাই প্রথম তুলে ধরেছেন। এবারে বাংলা নববর্ষের পুটুও তারাই মেরে দেশের সমান রক্ষায় এগিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশাই সকলের।

দেশে নানা বিভক্তি থাকলেও এই একটি ব্যাপারে দেশের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির বেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। । দেশের নির্লজ্জ নারীকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে এরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। একজন হয়তো টান দিয়ে কাপড় খুলে দিল, আরেকজন ভুভুজেলা বাজিয়ে উচিৎ শিক্ষা হয়েছে বলে বাজনা বাজালো। এই একটা ব্যাপারে পুরাই, একজনে ছবি আঁকে একমনে, আরেকজনে বসে বসে রঙ মাখে। মাঝেমাঝে অবশ্য কিছু বেয়াদবরা এসে সেই ছবিটা নষ্ট করার চেষ্টা করে।

একজনে ছবি আঁকে এক মনে -



আরেকজনে বসে বসে রঙ মাখে -

আর সেই ছবিটা নষ্ট করে, কোন জনা কোন জনা -

লাকি আক্তার, লিটন নন্দী এসব বেরসিক চীন রাশিয়া কিউবা কিছু একটার দালালরা এভাবে দেশের সুন্দর ছবিটাকে নষ্ট করছে তার প্রতিবাদ জানাই। দেশের মৌলবাদীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আওমি কওমি লীগ যখন দেশের নাস্তিক নিধন থেকে শুরু করে বেপর্দা নারীকে শিক্ষা দেয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তখন কিছু বেয়াক্কেল লোক এসে ভুভুজেলার সুরে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। অফলাইনে আওমীলীগ টেনে কাপড় খুলে, অনলাইনে কওমিলিগ বসে ফতোয়া দেয়, মাইয়া ঘরে থেকে বের হইছিল কেন বলে। অফলাইনে তারা বেরসিক লিটনের হাত ভেঙ্গে দেয়, অনলাইনে লাকি আক্তারকে তারা মিষ্টি মধুর গালি দিয়ে যায়। কি চমৎকার ভুভুজেলার সিম্ফনি।

তাই সবার সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলি, বেশী করে লজ্জা খান, ধর্ষণের উপর চাপ কমান। বেশি করে পর্দা করুন, ধর্ষণ প্রতিরোধ করুন। ঘরের ভেতর বসে রুটি বেলুন, বাইরের গজব থেকে মুক্ত থাকুন।

সবশেষে ঘরে বসে গুনগুন করে এই গজল গান ,

সাবধানে থাকিও নারী পর্দারও আড়ালে
জামাত আওমি কওমি ঠেঙ্গাবে বাইর হইলে।


মন্তব্য

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাইয়া এইটা কি লিখলা? মন খারাপ

অধিক শোকে পাথরবস্থা! হাসি ঠাট্টা চুলায় গেছে! আজ অফিসেও শুনলাম, মেয়েরা এইসব অনুষ্ঠানে যায় কেন? আর কি সব পোশাক পরেরে ভাই, এদের গায়ে মানুষ হাত দিবে না তো কার গায়ে দিবে! বুঝো!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

চরম উদাস এর ছবি

হ, গায়ে হাত দেয়া তো পুরা হক এক্কেবারে।

সবজান্তা এর ছবি

উদাস বামাতি, নাকি চরম বামাতি- নাম হিসাবে কোনটা বেশি ভাল্লাগে, সেইটা আগেই ঠিক কইরা ফেলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশ্চিত আপনাকে বামাতি বানানো হবে, নামটা অন্তত নিজের পছন্দমতো রাখার সুযোগ যাতে পান, তাই শুভানুধ্যায়ী হিসাবে একটু সুবুদ্ধি দিলাম আর কী।

চরম উদাস এর ছবি

বামদের নিয়েও তো জীবনে কম মশকরা করি নাই। ওই দলেও ঠাই পাবার কোন চান্স দেখি না মন খারাপ

সবজান্তা এর ছবি

আপনাকে বামেদের দলে ঠাই নিতে হবে না, যাদেরকে লেখার মধ্যে ধুয়া দিলেন, তারাই আপনাকে বামাতি বানাবে কিছুক্ষণের মধ্যে। কারণ লাকি আক্তারের নানা সময়ের কিছু ব্যাখাতীত উদ্ভট কাজের পরও আপনি তার স্ট্যাটাসের পক্ষে কথা বলছেন। আপনার অদৃষ্টে যে বামাতি নাম সোনার হরফে লেখা আছে, সেইটা আমি বেশ দেখতে পাচ্ছি।

অন্যদিকে বামেরা মোটামুটি নির্বিষ। আমিও ছাত্রজীবনে তাদের নিয়া অনেক হাসি তামশা করসি। তারা দুঃখ পাইসে, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করসে, কিন্তু সম্মিলিত হাসাহাসির কাছে খুব একটা পাত্তা পায় নাই। কাজেই বামেদের নিয়া টেমশম নিয়েন না। তাদের কেউই সিরিয়াসলি নেয় না, যদিও তারাই সম্ভবত সবচে সিরিয়াস। আয়রনি, কিন্তু এক্কেবারে ট্রু স্টোরি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

সাফি এর ছবি

বামাতি আম্রিকা ফেরত* পিএইচ্ডি চৌদাস।

* ফেরত কেন, এইটা জানতে হলে ছোটা চেতনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশে নানা বিভক্তি থাকলেও এই একটি ব্যাপারে দেশের ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির বেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। । দেশের নির্লজ্জ নারীকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে এরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। একজন হয়তো টান দিয়ে কাপড় খুলে দিল, আরেকজন ভুভুজেলা বাজিয়ে উচিৎ শিক্ষা হয়েছে বলে বাজনা বাজালো। এই একটা ব্যাপারে পুরাই, একজনে ছবি আঁকে একমনে, আরেকজনে বসে বসে রঙ মাখে। মাঝেমাঝে অবশ্য কিছু বেয়াদবরা এসে সেই ছবিটা নষ্ট করার চেষ্টা করে।

চলুক । হাজার হোক ‘পুরুষ পুরুষ’ ভাই ভাই। আপনার মতো যারা পুরুষবেশে থেকেও নিজেদের ‘পুরুষ’ পরিচয় ভুলে যায় তারাই সেই ছবিটা নষ্ট করার চেষ্টায় থাকে, বুঝলাম।

আচ্ছা-এমন আরবি উচ্চারণে বাংলা বলার তাৎপর্যটা কী-জানেন নাকি?

দেবদ্যুতি

চরম উদাস এর ছবি

কিসের কথা বলেন? গজল? এমনে গাইলে মনে হয় সওয়াব বেশি ...

স্পর্শ এর ছবি

জামায়াত, কওমিলীত, কুকুর, শুয়োর এইসব চিরকালই ছিলো। যেটা আগে ছিলো না তা হচ্ছে শতশত নির্বীজ মানুষ। অভিজিৎ দার হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে পয়লাবৈশাখে মেয়েদের উপর আক্রমন এইসবই ঘটেছে হাজার মানুষের সামনে। যারা নিরব দর্শকের ভূমিকাপালন করে গেছে। বাঙালির মানসচিত্রের এই পরিবর্তন কোনো ভাবেই বুঝে উঠতে পারছি না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

চরম উদাস এর ছবি

কি আর কইতাম ...

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

মেয়েদের শ্লীলতাহানির ব্যাপারে এই হচ্ছে কওমি গ্যাং এর আমীরের অবস্থান।
যেহেতু মেয়েদের হাত দিয়া নির্যাতন করেছে, পুড়ায় নাই তাই সব ঠিক আছে।
সব দোষ লাকি আক্তারের, কারণ তার দল প্রতিবাদ করেছে।
সরকার বলেছে বিকাল পাঁচটার পর ঘরের বাইরে না থাকতে। তাই পাঁচটার পর কিছু হলে সরকারকে দায়ী করা যাবে না!
যেহেতু মেয়েরা ইয়ে ড্রেস পরেছে তাই তাদের কিছু হলে তাদের দোষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

পহেলা বৈশাখে গেলে গ্রোপিং হয়, তাই পয়লা বইশাখে যাওয়া মানা। হজ্ব করতে গেলেও গ্রোপিং হয়, তাইলে কি মেয়েদের হজ্ব করতে যাআও ঠিক হবেনা?

http://www.thejakartapost.com/news/2013/01/18/sexual-abuse-may-occur-even-holy-places.html?hc_location=ufi

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আগে ছিলো ছাত্রলীগের প্রকোপ, এখন সাথে যোগ হয়েছে সাইবার ছাত্রলীগ। দল হিসাবে আওয়ামী লীগ যতো ভালো কাজই করুক না কেন, সব কিছু হেগে-মুতে একাকার করে দেওয়ার জন্য সদাপ্রস্তুত রয়েছে ছাত্রলীগ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

গুগুল মশাইয়ের কাছে হাত পেতে কিছু ঘটনা পোস্ট করার ইচ্ছা ছিলো। আপনার লেখায় তার একাংশ (শিশুধর্ষণ) চলে এসেছে। বাকিটা লেখার ধৈর্য বা স্থিরতা নাই এইসব ঘটনা পড়ে। এখনও বিশ্বাস করতে পারি না কীভাবে মানুষ এতটা সংগঠিত হয়ে এই অপকর্ম করতে পারে।

যারা এর পরেও নারীদের দোষ দেয়, তাদের কোন্‌ গোয়ালে রাখা দরকার জানি না। পুরুষ মানুষ এমন এক চিড়িয়া যে শুধু নারী বা শিশু কেন, বিভিন্ন রকম পশুকেও রেহাই দেয় না। কবে যে বাংলার ক্ষেতে-খামারে নিকাব পরা গরুর প্রচলনের দাবি উঠবে কে জানে।

আয়নামতি এর ছবি

ধুর হুদাই সব অপপচার! কোথাও কিচ্ছুটি হয়নাই তু।
এই প্রোপিকটা চিনেছেন ভাইয়া? অণুদার ঐ পোস্টে দিয়েছিলেন।

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এই রকম কিছু রোবট ছাড়লে খারাপ হয়না, কেউ কাপড় খুলতে আসলে তাকে ধরে উলটা তার পুটূ মেরে দিবে সবার সামনে।

সাজ্জাদূর রহমান

অতিথি লেখক এর ছবি

শুনেছি বৈশাখী বা যে কোন মেলাতে মেয়েদের উত্যক্ত করা নাকি মেলার আকর্ষন, সেটা চিরন্তন, এ কারনেই গানে কবিতায় সেটা ফুটে উঠে ওঁয়া ওঁয়া
আমার বউ তাদের ঘটনা বলেছিল, তারা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তখন পহেলা বৈশাখে তারা কয়েক বান্ধবী ও এক বন্ধু মিলে ভিড়ের ভিতর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে নিপীড়নের স্বীকার হয়েছিল, সেই দুঃক্ষে সে দেশে আর কোনদিন কোন মেলাতে যায় নাই।

মেলার এই ঘটনা দেখে ১৯৯৩ এর বইমেলার একটা ঘটনা মনে পড়লো। সেটাই ছিল শেষ বইমেলা, যখন টিএসসি হতে শুরু করে দোয়েল চত্বর এর ঐ রাস্তাতে খাবার স্টল, গানের স্টল বসতো। আমাদের খাবারের স্টল ছিল। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে ঐ রাস্তাতেই সবার সামনেই কয়েকজন ছেলে মিলে ২টা মেয়ের শাড়ী টান দিয়ে প্রায় খুলে ফেলার উপক্রম, টান মেরেই ছেলেগুলো দিলো দৌড়। আমাদের স্টলের কাছেই ঘটেছিল, আমাদের স্টলের ৩ জন দৌড় দিয়ে ধরে ফেললাম ছেলেগুলোকে, মুহূর্তেই দেখলাম কোথা হতে দল বেঁধে অনেক ছেলে চলে এসেছে আমাদের মারার জন্য। অনেক স্টল ছিলো ক্যাডারদের, তারা এসে আমরা সবাই মিলে ঐ ছেলেগুলোদের যে কয়টাকে পারলাম, ভালোই সাইজ করেছিলাম। আমরা ঐদিন ঐ রকম সাইজ না করলে ঐ ছেলেগুলো হয়তো আবার সাহস পেতো। দল বেঁধে এই সব বদদের পোঁদে ছ্যাকা না দিলে তারা শান্ত হবে না।

সাজ্জাদূর রহমান

সোহান এর ছবি

"জামাতি শিক্ষককে একটু রগড়ে দিতে হয়।" এইতো লাইনে এসেছেন। জামাতকে রগড়ে দিলে আপনার এতো জ্বলে কেন? হেহ?

অতঃপর প্রসঙ্গ পরিবর্তন হয়ে লেখার মূল সুর থেকে সরে গেলো ছাত্রলীগ। এই এক লাইনের জবাব চেয়ে এখন তাদের কৃতকর্ম হালালকরণ প্রক্রিয়া শুরু শয়তানী হাসি

চরম উদাস এর ছবি

ইয়ে মানে, টেকাটুকার সাপ্লাই আসছে তো জামাত থেকে, তাই জ্বলে। কিছু কথা থাক না গুপন ... ইয়ে, মানে...

ইয়ামেন এর ছবি

"খেয়াল রাখবেন নারীর শুরুতেই 'না' আছে। নারী যদি পুরুষের মতো সকল কিছু করার অনুমতি থাকতো তবে নারীর নাম নারী হতো না, হারী বা হাড়ি একটা কিছু হতো।"

ঠিক, ঠিক! দেখেন নারীর অপর একটা নাম আছে, 'মেয়ে', 'মেয়েমানুষ', ইত্যাদি। শুরু হয় 'ম' দিয়ে, 'ম' দিয়ে কিন্তু 'মার দেয়া'ও শুরু হয়। তাই দেখেন না দুনিয়ার তামাম ভদ্দরনোকেরা কিন্তু তাদের আউরাতদের নিয়মিত প্রহার করে লাইনে রাখে। এটা যে ভালোবেসেই তাদের ঠিক পথে রাখতেই করা দুষ্টু প্রগতিশীল বা নারীস্বাধীনতায় বিশ্বাসী যারা তারা বুঝতেই চায় না!
দেখছেন, আমিও আপনার মত লাইনে আসিতেছি, আপনার উগ্রতা পরিহার করার লেখাটাই আমার অনুপ্রেরনা। দোয়া রাইখেন চউ-দা!

আরে ইয়ে, মানে, লেখাটা কিন্তু সেইরকম হয়েছে। বাংলায় লেখো বাপু!

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

চরম উদাস এর ছবি

দুয়া ...

foring camelia এর ছবি

মাদ্রাসার ছেলে বাচ্চাগুলা যে ধর্ষিত হয় এর জন্য চিনি , কলা , মধু , বস্তা টাইপ কোন থিউরী নাই ?

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা এর ছবি

আপনি এসব কি শুরু কইচ্ছেন,স্নুপ ডগরে ইরাম কইচ্ছেন কেন! সব অপপ্রচার,এইডা হইতেই পারে না।উনারা কত্ত ভালা পুলাপাইন, ছিঃ ছিঃ এসব বলতে হয়ত নাকি।
সব অপরাধ তিনিদের পর্দাতো করেইনাই তার উপর ৫টার আগে ঘরে যাবি তা না ড্যাং ড্যাং করে রাস্তায় বেড়ানো,সব কর্ম ফল।
পুরুষ মানুষ থেকে মানুষ হতে যত সমস্যা আমাদের।আর কত? মন খারাপ
বড্ড ভয় হচ্ছে এরকম চললে পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে আর খুব বেশি দেরি নেই।অন্ধকার গব্বরটা খুব কাছেই ঘুরঘুর করছে।প্রতিরোধ দরকার অচিরেই

ইকারাসের ডানা  এর ছবি

এইসব কাজগুলো মূলত করে নিউ ব্যাচের ছেলেপেলেরা, যারা নতুন ভর্তি হয়ে এক আধটু পলিটিক্স করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে। ছাত্রলীগের দায় মূলত সাংগঠিকভাবে অনেক শক্ত ব্যবস্থা না নেয়া। কিন্তু এইসব হ্যারাজমেন্ট নিশ্চয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ডিসিশন না। আর ছাত্রইউনিয়ন নিজেও ঢাবির ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করছে না। রিলায়েবল সোর্স থেকেই যাচাই করতে পারেন। তারা দায়ী করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। আর এই ঘটনা রমনা বটমূলে বোমাহামলার মতই অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা। ঘটনার স্টাইল দেখলেই বোঝা যায়, বখাটে দ্বারা সংঘটিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা না এইটা। ছাত্র ইউনিয়ন বা অন্য কেউ এভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি না করলে বরং এই ঘটনার ব্যাড এফেক্টগুলো মোকাবেলা করা যাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সিএনজির পিছনে লেখা, "পর্দা নারীর মর্জদা বৃদ্ধি করে"। য়ুনিভার্সিটি পাশ বন্ধুরে দেখাইলাম । বন্ধু কইল, ঠিক কথাই তো লিখছে । আমি কইলাম, না এতে ভুল আছে । বন্ধু ব্যাপক উত্তেজিত হইল, অন্তত মর্যাদা বানানের ভুলও তার চোখে পড়ল না ।

সুতরাং বেশি কইরা ফর্দা করেন, মর্জদা বৃদ্ধি করেন ।

এখন আমিও লাইনে চইলে আইছি । এরকম কিছু চোখে পড়লে মনে মনে গুন গুন করি,

নারীর ভুষণ পর্দা আ আ আ . . . .
সাবধানে থাকিও নারী পর্দার আরালে . .

কালা মাহুত

মুক্তমন এর ছবি

আসলেই তো, ম দিয়ে মাইর দেওয়াও শুরু হয় ৷ এখন তামাম নারী জাতি এসে মাইর দেওয়া শুরু করলেও মন্দ হয়না,কী কন !

মরুদ্যান এর ছবি

মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

এক লহমা এর ছবি

চলুক বরাবরের মতই।
যে ভয়ংকর এবং কুৎসিত ঘটনার ধারাবাহিকতার প্রতিক্রিয়ায়, প্রতিবাদে এই লেখা নিকট ভবিষ্যতে ত বটেই, হিসাবে আসে এমন কোন ভবিষ্যতেই সেই ধারবাহিকতা কমবার কোন আশা করা মনে হয়, নিতান্ত অবাস্তব। মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আপনার পোস্ট পড়ে গা গুলাচ্ছে। গা গুলানো বন্ধ করতে ভাবছি গা বন্ধ নিবো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আয়নামতি এর ছবি

গা গুলানো বন্ধ করতে ভাবছি গা বন্ধ নিবো।

'গা বন্ধ' এটা কি জিনিস রে আপু?

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

আয়নামতির প্রপিকে যেটা দেখা যায়।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

আসিফ এর ছবি

লেখাটা পড়ে হাসি আসলো। সারাক্ষণ বামাতি বামাতি করে এখন বামদের প্রশংসা করে কথা লিখতে হচ্ছে! ভালোই!

চরম উদাস এর ছবি

বামাতি কাদের বলা হয় এবং কেন বলা হয় সেটা একটু জেনে আসেন, হাসি আরেকটু বিস্তৃত হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চামে চিকনে যারা কমেন্ট কইরা যায় তাদেরকে কি 'চামাতি' বলা যায়??

ফারাসাত

গগন শিরীষ  এর ছবি

এ জিনিস তো আর নতুন নয়,মাকসুদের "মেলায় যাইরে " গানেও বখাটে আর ললনাদের কথাটা আছে।কয়েক বছর আগে আনন্দমোহন কলেজে কারেন্ট চলে যাওয়ার পর একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল।কিছুদিন আগে সবাই মিলে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানেও তাই। এর মানে হচ্ছে আমরা ভুল থেকে শিখছি না। মানুষকে মুল্যবোধ শেখানো জরুরী কিন্তু সেটা দীর্ঘমেয়াদী একটা ব্যাপার। আপাতত দরকার হচ্ছে এদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া।কিন্তু সেটাই বা হচ্ছে কোথায়? আমরা পরীক্ষায় বারবার ভুল করছি,ফল তো আর নিজে নিজে ভাল হবেনা!

লেখা যথারীতি দুর্দান্ত!

অতিথি লেখক এর ছবি

মূল সমস্যাটা আমাদের নৈতিক শিক্ষায় নিহিত বলে মনে হয়। যে শিক্ষা আমরা পরিবার থেকে বা বিদ্যায়াতন থেকে পাই।

এর সমাধান বের করবার ও প্রায়োগিক অবস্থানে কাজ করবার জন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত। সেটা ক্ষমতাশীন ছাড়া কেউ পারবে বলেও মনে হয় না।

স্বপ্নকথক

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এমনই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, "আমার কী দোষ! আপনারা আমাকে ভুল বুঝবেন না। নিজের বোন ভেবে শুধু বোঁটাতে একটু কুরকুরানী দিয়েছিলাম।" (বাঙালী জীবনে রমণী - শ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরী)"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

একমাত্র বাংলাদেশেই মনে হয় কোন কুৎসিত ঘটনার নায়কেরও অ্যাপোলজিস্ট থাকে। কুত্তার বাচ্চা গালিটা দিলে কুকুরেরও অপমান হবে, তাই দিলাম না। এগুলো কোন দল টলের ব্যাপার না। কিছু সুযোগসন্ধানী সংঘবদ্ধ লাফাঙ্গা চিরকালই এসব কাজ করে গেছে, এখন আরো বাড়ছে, কোন শাস্তি হয় না এদের। দলবদ্ধ কুকর্ম এক রকমের জায়েজ হয়ে গেছে। সুতরাং মজা নেও। যারা করছে তাদের ঘরে মা বোন নিশ্চয়ই আছে। তাদের কেউ লাঞ্ছিত হলে তখন এরা মানবতার গীত গাইবে। আবার নিজেরা মজা করার সময় মজাই মজা নেবে। এই চক্রে আটকে গেছে অভিশপ্ত স্বমেহিত বাঙালী।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শাব্দিক এর ছবি

আপনে এইগুলি কি কন?
উনিশটা সিসি ক্যামেরায় কিসু দেখাইল না, আপনে বিদেশে বইসা কি কলবের আয়নায় দেখেন এইসব?

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

চরম উদাস এর ছবি

হ, কিছু হয় নাই। সব মিডিয়ার চক্রান্ত দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পুলাপাইন কথা এট্টু বেশিই কয়। প্রক্টরের কী দুষ, পুলিশেরইবা কী? নারী তুমি শালীন হও!

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

লেখালাখি কইরা লাভ নাই। আমরাই লিখি আমরাই পড়ি। মন খারাপ
আর ঐদিকে হেগো কাম হেরা করে। মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ সেট।

পুনশ্চঃ "একটু রগড়ে দেয়া" সংক্রান্ত অংশটি এই লেখায় মানাচ্ছে না।
(ফেসবুকেতে আপনার দেয়া ব্যাখ্যা পড়েছি, তাতে সন্তুষ্ট। তবুও। )

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সব ঘটনার কিছু বেনিফিশিয়ারি থাকে। এই ঘটনার পরও বিভিন্ন গোষ্ঠীকে দেখা গেল মূলত তার নিজ গোষ্ঠীর স্বার্থে কীভাবে ঘটনাকে কাজে লাগানো যায় সেই নিয়ে মত্ত থাকতে। মূল ঘটনা নিয়ে আগ্রহ কতজনের সেটা ঠিক বোঝা গেল না।

আপনি যেভাবে মানুষের বিভিন্ন অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে কারা যে আপনার কল্লা ফেলবে সেটা নিয়ে এক বিশাল বিতর্ক তৈরি হবার সম্ভাবনা তৈরি করে দিচ্ছেন। কনফিউশান সৃষ্টি করার জন্য মাইনাস।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

yusuf ahmed এর ছবি

মন খারাপ গান টা শুনে হৃদি ভেসে গেলো অলকানন্দা জলে...

রানা মেহের এর ছবি

লেখাটা আপনার অন্যান্য লেখার মত ভাল হয়েছে।
তবে কওমি প্লাটুনকে বাঁশ দিতে গিয়ে ছাত্রলীগকে অনেক বেশি টেনে আনা হয়েছে মনে হল। একটু অস্বস্তি লাগলো তাই।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

চরম উদাস এর ছবি

ছাত্রলীগকে বেশি টানা হয়েছে এটা আমিও জানি। কিন্তু টানাটা কি একেবারে যুক্তিহীন? বাঁধন এর কেসই বলেন বা জাহাঙ্গীরনগর এর মানিক কেস বলেন তারা সে সময় কি করেছে? কেউ যদি আকাম করে থাকে তাকে দল থেকে বের করে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার, তাহলে পুরো অর্গানাইজেশন এর দিকে আঙ্গুল তোলা যুক্তিযুক্ত হবে না। কিন্তু এধরনের কাজগুলোর পর তাদের ভূমিকা কি ছিল? বেশ কিছু সময় প্রতিবাদের বদলে তারা বুক পেতে কিছু কুলাঙ্গারকে রক্ষা করতে চেয়েছে। ঢাকা ভার্সিটির কেসে ছাত্রলীগ জড়িত এরকম কোন পরিষ্কার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু একই দিনে জগন্নাথ আর জাহাঙ্গীরনগরের অপকর্মে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এজন্য সন্দেহের তীর তাদের দিকে ছুড়ছে সবাই। ঘোলা পানি পেয়ে বাকিরাও নেমে পড়ছে মাছ শিকারে যে যার মতো। এইসব দেখে শুনে তাই বিরক্ত। আমার মনে হয় তারা নির্দোষ হলে সবার আগে তাদের এগিয়ে আসা উচিৎ প্রতিবাদে , প্রতিরোধে। সে না করে বরং অনলাইনে অফলাইনে অদ্ভুত সব কর্মকাণ্ড করে বাকিদের মাছ শিকারের সুযোগ আরও করে দিচ্ছে ভালোমতো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পহেলা বৈশাখের পর আমার অফিসেও শুনেছি "তারপরও মেয়েদের লজ্জা হয় না, বের হতেই হবে!" ঘরে ঘরে এখন এইরকম মনোভাব। এর পরিবর্তন না ঘটলে আর কিছুদিন পর নারী আপাদমস্তক বস্তা পরেও পার পাবে না!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।