• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

ফুটন্ত গোলাপ

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০১/২০১৬ - ১১:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাহিত্যের রূপ ঠিক কিরকম হতে পারে সে নিয়ে হয়তো আলোচনা পর্যালোচনা চলতে পারে। তবে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বলা যায় সাহিত্য শুধু একরূপই হতে পারে। যার শুরুতে থাকবে সুভানাল্লা আর শেষে আলহামদুলিল্লাহ। আর মাঝখানের পুরোটা বাঁধা থাকবে একটা লাইনের মাঝে। লাইনের বাইরে গেলেই কোপ। দেশের বখে যাওয়া নাস্তিক মুরতাদ সাহিত্যিকরা হয়তো ভেবে ভেবে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলছেন, কিভাবে লাইনে থেকে জান বাঁচানো যায় এই নিয়ে। তাদের জন্যই আমার আজকের এসো নিজে করি, কিভাবে সহিহ সাহিত্যিক হবেন। থুক্কু, এটা আসলে এসো নিজে করি নয়। এটাকে বরং পাঠ প্রতিক্রিয়া বলা যায়। সদ্য পড়া কাসেম বিন আবুবাকারের 'ফুটন্ত গোলাপ' এর পাঠ প্রতিক্রিয়া। সন্দেশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লেখতে বসে মনে প্রশ্ন জাগলো, গত বছরে আমার আবিষ্কার করা লেখক এবং লেখা কোনটি। উত্তর এক নিমিষে পেয়ে গেলাম, কাসেম বিন আবুবাকার এবং তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ফুটন্ত গোলাপ ।

শুরুতেই প্রশ্ন জাগতে পারে কাসেম বিন আবুবাকার কে? এই প্রশ্নের উত্তর দিব, আপনি কে? কে আপনি যে এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের নাম জানেন না? যদি ভেবে থাকেন হুমায়ূন আহমেদ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক তবে সেটা সম্পূর্ণ ভুল। কাসেম বিন আবুবাকার এর বই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী বিক্রিত (বা বিকৃত) বই। তার কালজয়ী উপন্যাস ফুটন্ত গোলাপ এর সংস্করণ বের হয়েছে ত্রিশ এর অধিক। চট করে মনে করে দেখুন তো হুমায়ূন আহমেদ এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ত্রিশ এর অধিক সংস্করণ হওয়া বই কয়টি। আর বেশী ভ্যাজর ভ্যাজর না করে পাঠ প্রতিক্রিয়া শুরু করি।

উপন্যাসের ছোট্ট ভূমিকাতেই লেখক উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সমাজের চরম অবনতি উপলব্ধি করেই তিনি এই উপন্যাস রচনা করতে উৎসাহী হয়েছেন। তার ভাষাতেই বলি,
আমার মনে হয়েছে এভাবে যদি দিন দিন আমরা প্রগতি ও নারী স্বাধীনতার নাম নিয়ে চলতে থাকি ...(তাইলে খবর আছে)
বিদেশি শিক্ষার সংগে সংগে তাদের ভালো দিকটা বাদ দিয়ে খারাপ দিকটা অনুসরণ করে আমরা যেন ' কাকের ময়ুর হওয়ার মতো' মেতে উঠেছি ... (ইত্যাদি ইত্যাদি)
সেই সাথে এ ও বলেছেন - “যদি এই বাস্তবধর্মী উপন্যাস পড়ে বর্তমান যুবক সমাজ সামান্যতম জ্ঞানলাভ করে সেইমতো চলার প্রেরণা পায়, তবে নিজেকে ধন্য মনে করবো”। ঠিক একারণেই বখে যাওয়া যুবক সমাজ আকা নাস্তিক বলগারদের জন্য অত্যন্ত জরুরী তার বই পড়া। এই উপন্যাসের প্রতি পদে পদে আছে শিহরণ, আছে জ্ঞান, আছে লাইনে চলা এবং থাকার উপায়।

উপন্যাসের প্রথম পাতাতেই আমরা দেখতে পাই নায়িকা লাইলীকে লাইব্রেরীর সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে নায়ক সেলিমের সাথে ধাক্কা খাবার দৃশ্য। দৃশ্যটি পরিচিত এবং প্রায় সমস্ত বাংলা হিন্দি সিনেমায় অবস্থিত মনে হলেও রচনাশৈলীর কারণে সেই সাধারণ দৃশ্যটি অসাধারণ হয়ে উঠেছে। ধাক্কা খেয়ে লাইলীর মনের অবস্থা লেখক অসাধারণ দক্ষতার সাথে চিত্রিত করেছেন এভাবে -
"ইয়া আল্লাহ একি হল বলে লাইলী কি করবে ভেবে না পেরে সেলিমের দীর্ঘ বলিষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পৌরুষদীপ্ত চেহারার দিকে লজ্জামিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে সব কিছু ভুলে গেল।"

সেলিমের স্বাস্থ্য যদি দীর্ঘ বলিষ্ঠ না হতো আর লাইলী যদি আজকালকার ফটকা যুবতী হতো তবে হয়তো ধাক্কা খেয়ে সে বলে বসতো, ধুর বাল। কিন্তু লাইলী তো সেরকম বখে যাওয়া যুবতী নয়। একইভাবে আজকালকার ফটকা লেখকরা হয়তো শর্টকাটে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফেলতেন, সেলিমের সাথে ধাক্কা খেয়ে লাইলীর অর্গাজম হয়ে গেল। কিন্তু লেখক সেরকম চটুল ভাষায় না গিয়ে সহজ অথচ অলঙ্কার পূর্ণ ভাষায় লাইলীর ধাক্কা খাওয়া, মজনুর আই মিন সেলিমের স্বাস্থ্য ও যৌবন এবং সেই যৌবনকে দেখে লাইলীর 'কিরাম কিরাম লাগার' চিত্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই তো গেল লাইলীর অবস্থা। এর পরের প্যারাতেই লেখক সেলিমের অবস্থা বর্ণনা করেছেন,
"আর সেলিম তার দিকে চেয়ে খুব অবাক হল। এতরূপ যে কোন মেয়ের থাকতে পারে, সে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। লাইলীর টকটকে ফর্সা গোলগাল মুখটা শুধু দেখা যাচ্ছে। কারণ সে বোরখা পরে আছে।"

আবারও বলি, কোন চটুল লেখক হলে শর্টকাটে বলে ফেলতেন, লাইলীকে দেখে সেলিমেরও ইয়ে হয়ে গেল। কিন্তু লেখক সেই ছোট রাস্তায় না হেঁটে অসাধারণ রচনাশৈলী দিয়ে বর্ণনা করেছেন বোরখা পরা লাইলীর সৌন্দর্যকে। শুধু তার গোলগাল ফর্সা মুখ দেখেই সেলিমের যেভাবে ইয়ে হয়ে গেল, আর কিছু দেখলে হয়তো মাল্টিপল ইয়ে হয়ে যেত। কিন্তু সে লাইনে না যাই বরং। এদিকে পরে যাওয়া বই তুলতে গিয়ে লাইলীর হাত ঠেকে যায় সেলিমের হাতে। আবারও ইয়ে হয়ে যায়। আঁতকে উঠে লাইলী 'হায় আল্লাহ' বলে নিজের হাত টেনে নিয়ে লজ্জায় দৌড় দেয়। আর সেলিম মনে মনে ভাবে -
“এত নিখুঁত সুন্দরী মেয়ে এই প্রথম সে দেখল। মেয়েটি যেন একটা 'ফুটন্ত গোলাপ'।”
এই যে হয়ে গেল! উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা প্রথম পাতাতেই পেয়ে গেলাম আমরা। একশত ভাগ সহিহ লোকেরা নারীদেরকে সবসময় নানা ফুল ফল ও খাবারের নাম দিয়ে সম্মানিত করেন। তাই ফুল, গোলাপ, কলি, ফুটন্ত গোলাপ, তেঁতুল থেকে শুরু করে লজেন্স পর্যন্ত নানা বিশেষণে নারীরা বিশেষিত হয়। সেই ধারাতে ফুটন্ত গোলাপ অবশ্যই চমৎকার এবং প্রাসঙ্গিক নামকরণ। সেই সাথে মনে হয় 'ফুটন্ত গোলাপ' না হয়ে নামটা 'গাছন্ত তেঁতুল' বা 'প্যাকেটের লজেন্স' হতে পারতো। তবে ভাষাশৈলী বিবেচনা করে 'ফুটন্ত গোলাপ' আরও বেশী সুন্দর নাম।

এতক্ষণ পর্যন্ত উপন্যাসে মাত্র প্রথম পাতার অর্ধেক পর্যন্ত এগিয়েছে। বাকি আছে আরও একশত ত্রিশটি পাতা। কিন্তু এই আধা পাতাতেই ঘটনা এগিয়ে গেছে অনেক দূর। ঘটনা আরও খানি আগালে আমরা জানতে পারি সেলিম সম্পর্কে। সেলিম একজন খুব ভালো ফুটবল খেলোয়াড়। জুডো, কারাত এবং বক্সিং-এ পারদর্শী। নিজের গাড়ি নিজেই ড্রাইভ করে। তাদের দুটো গাড়ি। অন্যটির জন্য একজন শিক্ষিত ড্রাইভার আছে। বন্ধু-বান্ধবী আত্মীয়, অনাত্মীয় ও ভার্সিটির কত মেয়ে যে তার পেছনে জোঁকের মতো লেগে থাকে। অপরদিকে লাইলীরা বড়ই গরীব। লাইলী আর সেলিমের মিল শুধু এক জায়গায়। তারা দুজনেই নিজ নিজ ক্লাসে ফার্স্ট হয়। লাইলী ক্লাস এইট নাইন টেন সব পরীক্ষা থেকে শুরু করে আইএ তে সব বোর্ডের সব গ্রুপের মধ্যে ফার্স্ট। সম্ভবত দেশের ইতিহাসের প্রথম ছাত্রী যে ম্যাট্রিক ইন্টার সবখানে ফার্স্ট হয়ে এখন ইসলামিক ইতিহাসে অনার্স করে। এবং স্বাভাবিকভাবেই ইসলামিক হিস্ট্রিতে অনার্সের সব ক্লাসেও সে ফার্স্টই হয়। অন্যদিকে সেলিম স্ট্যাটিস্টিকস এ অনার্স পড়ে এবং স্বভাবতই সেখানে সে ফার্স্ট হয়। এই ফার্স্ট হওয়া ছাড়া বাকি সব অমিল আর অমিল। সেলিম বিশাল বড়লোকের ছেলে। বিশাল অভিজাত। এতই অভিজাত যে সে কলিংবেলও বাজায় অভিজাতভাবে। লেখকের বর্ণনায় লাইলীর বাড়িতে গিয়ে সেলিমের কলিংবেল বাজানো ফুটে উঠেছে, “ ঠিক এমন সময় কলিং বেলটা বিরতি দিয়ে দু’বার বেজে উঠলো। কলিংবেল বাজার মধ্যেও যেন আভিজাত্য আছে।” সামান্য কলিংবেল বাজানো লেখকের বর্ণনায় অসামান্য হয়ে উঠেছে। একটু চিন্তা করলেই আমরা সত্য বুঝতে পারি। মধ্যবিত্ত কলিংবেল বাজায় এভাবে, পিড়িং পিড়িং (২ সেকেন্ড বিরতি) পিড়িং পিড়িং। কলিংবেল বাজানোর মধ্যে তার অস্থিরতা ও অনাভিজাত্য ফুটে ওঠে। ফকিররা কলিংবেল বাজায় ভয়ে ভয়ে, আরও বিরতি দিয়ে, পিড়িং (দশ সেকেন্ড) পিড়িং। অন্যদিকে সেলিমের আভিজাত্য ফুটে ওঠে পিড়িং (ছয় সেকেন্ড) পিড়িং করে একেবারে উপযুক্ত বিরতি দিয়ে কলিংবেল বাজানোর মধ্য দিয়ে। যাইহোক, অন্যদিকে লাইলী গরীব ঘরের, বাবা কেরানি। লাইলী ধর্মপ্রাণ। সেলিম তেমন ধর্মকর্ম করেনা। ঠিক ধরেছেন, উপন্যাসের শেষে গিয়ে লাইলী ঠিকঠিক সেলিমকে লাইনে নিয়ে আসবে।

উপন্যাস আরও আগালে আমরা লাইলী সম্পর্কে আরও জানতে পারি। জানতে পারি, লাইলী চা বা কফি কিছু খায় না। শুধু দুধ খায়। একটু আগে আমরা জেনেছি সেলিম কিভাবে কলিংবেল বাজায়। এবারে জেনে নেই লাইলী কিভাবে দুধ খায়।
সেলিমের মা জিজ্ঞেস করে,
চা বা কফি কিছু খাবে?
জি না বলে লাইলি দুধের গ্লাসটা দুহাতে ধরে মুখের কাছে নিয়ে প্রথমে বিসমিল্লাহ, বলে এক ঢোক খেয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলল। দ্বিতীয়বারও তাই করল এবং শেষ বারে সবটা খেয়ে আবার আলহামদুলিল্লাহ বলল।

মাত্র দুটি লাইনে লেখক লাইলির দুধ খাওয়ার বর্ণনার মধ্য দিয়ে কত কিছুই না ফুটিয়ে তুলেছেন। এই মাত্র দুটি লাইন থেকে আমরা জানি
- চা/কফি খাওয়া মেয়েছেলেদের জন্য ভালো কিছু নয়
- হ্যাঁ বা না এর আগে জি বলতে হয়
-দুধের গ্লাস বা যে কোন গ্লাস দুই হাতে ধরতে হয়
- দুধ সবসময় এক ঢোঁক এক ঢোঁক করে খেতে হয়
- প্রতি ঢোঁকের শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়

সে যাই হোক, ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দিচ্ছি। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন লাইলী সেলিমের বাড়িতে এসে দুধ খাচ্ছে। আরেকটু পিছিয়ে যাই। লাইলীকে খুঁজে পাবার জন্য সেলিম হাজির হয় মিলাদুন্নবির এক মাহফিলে। সেখানে গিয়ে কবিতা পড়ে,

প্রিয়তমা, ও আমার ভালবাসার সৌগন্ধময় প্রিয়তমা,
বড় আশা নিয়ে এসেছি এখানে, তুমি আছ কিনা জানিনা।
তবু অ্যাজ আমি শোনাব তমায় আমার মর্মবেদনা,
ও বাতাস পৌঁছে দিও তার কানে আমার কামনা ও বাসনা।
...
আল্লাহগো তুমি দেখা করে দিও আমার প্রেয়সির সনে।
ওগো প্রিয়তমা, সত্যিইযদি এসে থাক এই শুভ মাহফিলে,
তা হলে পিপাসা আমার মিটিয়ে দিও সব শেষে দেখা দিয়ে।

কবিতা শুনে সৌগন্ধময় লাইলীর আবারও ইয়ে হয়ে যায়। সেলিমের সাথে একটু খুনসুটি হয়। এর পরের সিনেই আমরা দেখতে পাই লাইলীকে কিছু গুণ্ডা তাদের জীপে তুলে ফেলে। লাইলীর চিৎকার পাশ থেকে এক প্রাইভেট কারের ড্রাইভার শুনতে পায়। সে ড্রাইভার আর কেউ নয়, সেলিম নিজে। লেখক চতুরতার সাথে আমাদেরকে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন সেলিম নিজের গাড়ি নিজেই চালায় আর সেলিম জুডো, কারাত, বক্সিং আর ফুটবলে পারদর্শী। তাই এর পরে কি হতে পারে সেটা আমরা খানিকটা অনুমান করতে পারি। সেলিম চার গুণ্ডাকে প্যাদিয়ে বাপের নাম ভুলিয়ে দেয়। তারপর, খবরদার আর কখনও এরকম কাজ করবেনা বলে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর সেলিম আর তার মাতা মিলে লাইলীকে উদ্ধার করে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। তারপরেই লাইলী দুধ খায়।

সেলিম আর লাইলীর কথোপকথনে মাঝেমাঝেই “নারীর সঙ্গে দেখা হবে রুটি বেলার কাঠে, কাপড় কাচার ঘাটে, রাইতের বেলা খাটে। এর বাইরে আর কুথাও নারী দেখলেই মাইর” এর বিষয়টি উঠে এসেছে। যেমন একদা সেলিম লাইলীকে মেয়েদের প্রধান ধর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, "আমি তো জানি মেয়েদের প্রধান ধর্ম হল, স্বামীকে সব বিষয়ে অনুসরণ করা এবং তার প্রত্যেক কথা ও কাজে সম্মতি দিয়ে সেই মতো করা।"
লাইলী বলে, "আপনি ঠিকই জানেন। তবে অর্ধেকটা। বাকি অর্ধেকটা হল, স্বামী যদি স্ত্রীকে আল্লাহ ও রসুলের আইনের বাইরে কোন কাজ করতে বলে তাহলে সে স্বামীর আদেশ অমান্য করে আল্লাহ ও রাসুলের আদেশ মানবে।"

একইভাবে লাইলীর সাথে তার সখী সুলতানার কথোপকথনে উঠে আসে নারী স্বাধীনতার নামে উলঙ্গপনা করার বিষয়টি।
“ বর্তমান যুগের নররা দিব্যি মাথায় হ্যাট, গলায় নেকটাই, পায়ে মোজা এবং ফুলপ্যান্ট ও ফুলশার্ট পরে শরীরের কোন অংশই মেয়েদের দেখাতে চায়না। অপরদিকে নারীকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় সাথে সাথে করে ঘুরে বেড়াচ্ছি। নারীদের পোশাক দেখে মনে হচ্ছে, তারা জাঙ্গিয়া ও বেসীয়ার পরে বেড়াতেও কুণ্ঠাবোধ করবে না। আর সেই কারণে পৃথিবীর সব দেশে মেয়েদের কদর কমে যাচ্ছে। অথচ আল্লাহ রাসুল (দঃ) মেয়েদের কিমতি (দামী) জিনিস বলে উল্লেখ করেছেন। একটু বিবেচনা করলে বুঝতে পারবেন। কেউ দামী জিনিসকে যেখানে সেখানে উন্মুক্ত করে ফেলে রাখে না। ফেলে রাখলে তার কি অবস্থা হবে সবাই জানে। ভালো জিনিস দেখলে কার না লোভ হবে। যেই সুযোগ পাবে সেই হাত বাড়াবার চেষ্টা করবে। ফলে নানারকম অশান্তি সৃষ্টি হবে। নারী স্বাধীনতার নাম করে করে মেয়েরা যে সর্বক্ষেত্রে পর্দা না মেনে যত্রতত্র অবাধ বিচরণ করছে, তার ফলাফল যে কত বিষময়, টা তো অহরহ গ্রামে গঞ্জে ও শহরে এবং খবরের কাগজে দেখতে পাচ্ছি।”

প্যাকেট ছাড়া লজেন্স অথবা পাহারাদার ছাড়া তেঁতুল গাছ অথবা সিন্দুক ছাড়া গয়না ফেলে রাখলে কি হতে পারে সেটা আমরা সবাই জানি। লেখক বারবার আমাদেরকে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে দেশের মেয়েরা জাঙ্গিয়া ও বেসীয়ার পরে ঘুরতে পারে এটা কল্পনা করে লেখক একই সাথে আনন্দে ও ভয়ে শিউরে উঠছেন। সেইসাথে ভালো জিনিস দেখলে যে কারোরই লোভ হতে পারে, সেটা লোভির দোষ নয় বরং জিনিসের দোষ সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। পেন্টি, ব্রা, বেসিয়ার, জাঙ্গিয়া এই শব্দগুলা এক বিশেষ শ্রেণীর সহিহ লোকজন বেশ আরামের সাথে উচ্চারণ করে থাকেন। শব্দগুলা উচ্চারণের সময় বস্তুগুলা কল্পনা করে তাদের চোখ আমোদে বুদ হয়ে যায়। লেখক তার লেখার পরতে পরতে এই আমোদের যোগান দিয়েছেন।

ঘটনা আরও এগুলে আমরা লাইলীর গুনাগুন সম্পর্কে আরও জানতে পারি। লাইলী চমৎকার গান গায়। তবে হিন্দু ইহুদী নাছারাদের রবীন্দ্রসঙ্গীত না। একেবারে সহিহ উর্দু গজল। “ নেগাহুকী সাদমে বেখুদ বানাদে, মুঝে সোফিয়া জামে ওহদাৎ পিলাদে” গেয়ে সে সবাইকে পাগল করে দেয়। পাঠক হিসেবে গজলের মানে পুরো না বুঝলেও ধারণা করতে পারি এখানে সোফিয়ার দেয়া জাম খেয়ে স্বাদে পাগল হয়ে যাবার কথা বলা হয়েছে এখানে। তার গান শুনে তাকে টিভি রেডিওতে গান গাওয়ার কথা বলা হলে লাইলী ঝাড়ি দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়, ইসলামে গান বাজনা হারাম। মনে পরে যায় আমার এক সহিহ শিক্ষকের কাহিনী। যিনি গান শুনে একটি মেয়েকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন। তারপর ফতোয়া দিয়েছিলেন, গান বাজনা হারাম, শুধু বেডরুমে চলতে পারে, এর বাইরে না। লাইলীও প্রায় একই কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বেডরুমে গান গাওয়া সুবিচার, আর রেডিও টিভিতে গাওয়া ব্যভিচার।

সে যাই হোক, ফুটন্ত গোলাপের রিভিউ লিখতে থাকলে দেখা যাবে সেই বিষয়ে আলাদা একটা বইই লিখে ফেলেছি। গবেষণা করার মতো সেই পরিমাণে মণিমুক্তা এই বইতে আছে। তারচেয়ে বরং আমি এইখানেই ক্ষ্যামা দেই এই অনুরোধ করে, আজই বইখানা পড়ে দেখুন। রিভিউ শেষে একটি কথা বলেই শেষ করি। কাসেম বিন আবুবাকারের পাঠক কারা সেটা বুঝতে সমস্যা হয় না। কেন এই দেশে তার বই লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয় সেটাও বুঝতে সমস্যা হয়না। এই পাঠকেরাই বই পড়তে পড়তে স্বপ্ন দেখে, লাইলির মতো একটি ফুটন্ত গোলাপ তারা একদিন পাবে। এবং সেই গোলাপ একান্ত তারই হবে। একেবারে প্যাকেট করা অবস্থায়, আলো বাতাস মুক্ত অবস্থায় সেই গোলাপ তার সিন্দুকে থাকবে। সেই গোলাপের হাত পা মুখ কিছুই থাকবে না, শুধু গন্ধ থাকবে। এই পাঠকেরাই অফলাইনে গিয়ে ওড়না সরে যাওয়া কিশোরীটিকে দেখে লালা ফেলে , তারপর আবার গালি দেয় ওই মাগি তোর বুকে ওড়না কই। এই পাঠকেরাই অনলাইনে এসে সাকিব আল হাসানের সদ্য জন্মানো ফুটফুটে মেয়েটিকে কুৎসিত ভাষায় গালি দেয়। এরাই মুশফিকুর রহিমের হাস্যোজ্জ্বল বাবা মায়ের ছবিতে অকল্পনীয় নোংরা গালি দেয় তার বৃদ্ধা মা বোরখা পরেনি বলে। এই পাঠকেরাই একই সাথে ধর্মগ্রন্থের বাণী আর চটি পছন্দ করে। এই পাঠকেরাই মেয়েদের সামলে চলার উপদেশ দেয়। আপনি যেমন হয়তো জানেন না কাসেম বিন আবুবাকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। তেমনি হয়তো জানেন না তার লক্ষ লক্ষ পাঠকেরা এভাবেই ভাবে, এভাবেই চায়, এভাবেই ফুটন্ত গোলাপের স্বপ্ন দেখে, এভাবেই লোল ফেলে।


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

কাশেম বকরি ঠিকই জানে কে কোথায় লোল ফেলে। সেইটা টার্গেট করেই সে লেখে। এই পাঠকেরা বাঁশেরকেল্লা, প্রতিদিন একটি হাদিস, এই ছেড়ি তোর ওড়না কই — সবগুলো গ্রুপের একনিষ্ঠ মেম্বর।

চরম উদাস এর ছবি

কথা সইত্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি যেমন হয়তো জানেন না কাসেম বিন আবুবাকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। তেমনি হয়তো জানেন না তার লক্ষ লক্ষ পাঠকেরা এভাবেই ভাবে, এভাবেই চায়, এভাবেই ফুটন্ত গোলাপের স্বপ্ন দেখে, এভাবেই লোল ফেলে।

সেটাই :(

--
ঘুমকুমার

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি আমারে ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। স্কুলের ব্যাগে বন্ধুর বাবার লাইব্রেরি থেকে ফুটন্ত গোলাপ বাসায় নিয়ে গেসিলাম। সেদিনই স্কুলের রেজাল্ট দিছে। বাসায় আসার পর মা ব্যাগের ভিতর রিপোর্ট কার্ডের আগে ফুটন্ত গোলাপ আবিষ্কার করলেন। কি যে ঝাড়ি খাইছিলাম। তবে মা শুধু শুধু গাইল দিছিল। এই যে দেখেন রকমারি ডট কম কাসেম বিন আবুবাকারে তাদের ওয়েবসাইট সয়লাব করে ফেলছে।
_____________________
সৌমিত্র পালিত

মেঘলা মানুষ এর ছবি

রকমারির সাইটে ১১ টা পেজ, প্রতিটায় ১০টা করে বই। ১১০ টা বই লিখেছেন উনি ?!?

হতাশা পন্থী এর ছবি

অনেকদিন পরে সম্ভাবত কমেন্ট করলাম, অনেকদিন পরে সচলে অচল হইতে সচল হইতে হইলো। চরম উদাস! বেশি দরকার ছিলো, লেখাটা বেশি দরকার ছিলো!

চরম উদাস এর ছবি

নিয়মিত সচল হউন
হতাশাপন্থী থেকে আশাপন্থী হউন

অতিথি লেখক এর ছবি

কঠিন লেখক দেখছি!

রাসিক রেজা নাহিয়েন

আলতাইর এর ছবি

হইছে কাম!! চউদা গোলাপ পর্যন্ত আইসা পড়ছে! এইবার ফুল-লতা-পাতা নিয়া বলগ দিবে!!! এদ্দিনে লাইনে চলেই এলেন!!!

চরম উদাস এর ছবি

:p

দেশীছেলে  এর ছবি

ছবির প্রচ্ছদে নিশ্চয় লায়লীর ছবি। হলুদ গোলাপ দিয়ে শুরু, লাল গোলাপে শেষ .. সাধু ... সাধু :))

সুদীপ্ত কর এর ছবি

সেই গোলাপের হাত পা মুখ কিছুই থাকবে না, শুধু গন্ধ থাকবে। এই পাঠকেরাই অফলাইনে গিয়ে ওড়না সরে যাওয়া কিশোরীটিকে দেখে লালা ফেলে , তারপর আবার গালি দেয় ওই মাগি তোর বুকে ওড়না কই। এই পাঠকেরাই অনলাইনে এসে

সাকিব আল হাসানের সদ্য জন্মানো ফুটফুটে মেয়েটিকে কুৎসিত ভাষায় গালি দেয়। এরাই মুশফিকুর রহিমের হাস্যোজ্জ্বল বাবা মায়ের ছবিতে অকল্পনীয় নোংরা গালি দেয় তার বৃদ্ধা মা বোরখা পরেনি বলে। এই পাঠকেরাই একই সাথে ধর্মগ্রন্থের বাণী আর চটি পছন্দ করে। এই পাঠকেরাই মেয়েদের সামলে চলার উপদেশ দেয়। আপনি যেমন হয়তো জানেন না কাসেম বিন আবুবাকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক। তেমনি হয়তো জানেন না তার লক্ষ লক্ষ পাঠকেরা এভাবেই ভাবে, এভাবেই চায়, এভাবেই ফুটন্ত গোলাপের স্বপ্ন দেখে, এভাবেই লোল ফেলে

একদম কড়া রিভিউ।

চরম উদাস এর ছবি

(ধইন্যা)

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

এইগুলা শালারা একেকটা ক্লাসিক সাইকো। নো চিকিচ্ছা, ডাইরেক্ট ঘ্যাচাং ছাড়া কোনো উপায় নাই।

মালিবাগে দেখলাম 'পিস স্কুল' খুলছে। এক্কেবারে শিশুকাল হতে সহিহ কসাই বানানোর প্রক্রিয়া আর কি! তো, ঐ স্কুলের নবম শ্রেনীতে এইটারে 'সাহিত্য' হিসেবে পাঠ্য করলে মনে হয় ভালো হইবো।

আপনার লেখা নিয়া কিছু বলার নাই। কয়েকবার হাসতে হাসতে 'শালা' বইলা চিল্লাইলাম। কিন্তু বুঝলাম না কারে বললাম এইটা, আপনারে নাকি বাকার বোকাচোদারে!

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

চরম উদাস এর ছবি

;)

অতিথি লেখক এর ছবি

:) আমারো আসলে বইয়ের কভারে রকমারি.কম দেখলে ভাল লাগতো!

চরম উদাস এর ছবি

হাতের কাছে যেই ছবি পাইছি দিয়া দিছি আরকি :)

মেঘলা মানুষ এর ছবি

(গুলি)
এটা মনে হয় বাংলাদেশের "৫০ ধরণের ধূসর রং" এর সমতূল্য একটা বই।
রিভিউ যা লিখেছেন, আজকেই বাজার থেকে বর্তমান সংস্করণ ফুরিয়ে যাবে মনে হচ্ছে ):)

চরম উদাস এর ছবি

:)) ৫০ ধরণের ধূসর রং ... ওই উপন্যাসও মনে হয় একই লেখকের লেখা।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক আগে এই লেখকের একটা বই পড়েছিলাম "বোরখা পড়া সেই মেয়েটি"। ঐ বইয়ের সাথে "ফুটন্ত গোলাপ"-এর অনেক মিল। :)
তবে, রিভিউ পড়ে এতটাই হাসছিলম যে, কলিগরা পাগল-টাগল ভাবা শুরু করছে।

- সব্যসাচী মিস্ত্রী বাবু

ঝড়ো হাওয়া এর ছবি

"এর পরের সিনেই আমরা দেখতে পাই লাইলীকে কিছু গুণ্ডা তাদের জীপে তুলে ফেলে।"

"প্যাকেট ছাড়া লজেন্স অথবা পাহারাদার ছাড়া তেঁতুল গাছ অথবা সিন্দুক ছাড়া গয়না ফেলে রাখলে কি হতে পারে সেটা আমরা সবাই জানি।"

গুণ্ডারা প্যাকেট সহ লজেন্সও খায়।

চরম উদাস এর ছবি

:D
ভেরি গুড পয়েন্ট

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশেষে একজন প্রকৃত আস্তিক লেখকের দেখা পেলাম। পুরোপুরি আস্তিক লেখক না হওয়া সত্বেও চ উ-কে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছি না, এমন একজন ছহি লেখকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যে। এর জন্যে উপরওয়ালার কাছে দোয়া চাই, উনি যেন চ উ-কে এ ধরণের ছহি সাহিত্য পাঠে এবং পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখায় ব্যবৃত রাখেন। আর তা করলেই উনি অচিরেই একজন ছহি লেখকে রূপান্তরিত না হয়ে পারবেন না।
দেশে নাস্তিকদের যে দাপদাপি শুরু হয়েছে তাতে আমার খুব ভয় যে তারা যে কোন মূহুর্তে পরহেজগার লেখক আবুবাকারের উপর চাপাতিঘাত থুক্কু ইহুদী নাছারাদের দ্বারা আবিষ্কৃত কোন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে বসতে পারে। তাই অচিরেই ‘মহান লেখক আবুবাকার রক্ষা পরিষদ’ গড়ে তুলতে হবে। সেই সাথে সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আস্তিক রক্ষা সৈনিকদের জানিয়ে দিতে হবে তারা যেন তাদের প্রভাব খাটিয়ে দেশের এমন একজন ছহি লেখকের জন্য নিছিদ্র নিরাপত্তা বিধান করেন। বাকার ভাই দীর্ঘজীবি হোন, চ উ ভাইয়ের আস্তিকায়ন সম্পূর্ণ হোক।

- পামাআলে

চরম উদাস এর ছবি

আমিন

rinve tushar এর ছবি

ফুটন্ত গোলাপের চেয়ে 'বোরখা পরা সেই মেয়েটি'র কদর বেশী। চট্টগ্রামে বিয়ের গিফট হিসাবে এ লেখকের বইয়ের বেশ সুনাম ...

ফারাবী এর ছবি

ভাল তথ্য দিলেন :D

আবুল ফজল ইবনে মোবারক  এর ছবি

চট্টগ্রামের গুণপনা একের পর এক যা শুনতেছি, তাতে মনে হচ্ছে Gotham City এর মত চট্টগ্রামেরও আর কোন আশা নাই। :(

চরম উদাস এর ছবি

'বোরখা পরা সেই মেয়েটি'র একটা রিভিউ লেখা এখন সময়ের দাবী।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

খালি সময়ের দাবি না, আমাদেরও দাবি। ):)

হিমু এর ছবি

লাইলী লইট্যা ফিশ রান্না করে কোন চ্যাপ্টারে গিয়ে?

সত্যপীর এর ছবি

শুরুতেই প্রশ্ন জাগতে পারে কাসেম বিন আবুবাকার কে? এই প্রশ্নের উত্তর দিব, আপনি কে?

হ ঠিকাছে। কয়টা কথা কইতে মঞ্চাইছিল কিন্তু আমি কে। হু এম আই টু হাসাহাসি :(

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

সেটাই, কে আপনি? কি হিম্মৎ আপনার?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আহা। এমন দীনদার সাহিত্য-সমালোচনা বহুকাল পড়ি না। তয় গোলাপটা কোথায় কীভাবে ফুটিল আর শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়া ঝরিল সেই বিষয়ে আলোকপাত না করায় মনে হইতে আছে সমালোচক গোলাপিদোষে আক্রান্ত হইয়া সাহিত্যের প্রতি যথেষ্ঠ সুবিচার করেন নাই (লানৎ বর্ষিত হোক এইসব পক্ষপাতের উপর)

০২
দ্বীনদার বান্দীরে নিয়া যে কিতাব; সেই কিতাবের প্রচ্ছদে বেপর্দা বেদ্বীন নারীর ছবি এই বিষয়টি কী করিয়া বিজ্ঞ সমালোচকের দৃষ্টি এড়াইয়া গেলো তাহা ভাবিয়া যুগপৎ চিন্তিতি ভাবিত ও উদ্বেগিত হইতেছি। এই বিষয়টি তো সর্বজন বিদেয় যে কিতাবখানা হজরৎ উপন্যাসিকের রচনা হইলেও প্রচ্ছদখানা তিনার রচনা নহে (চিত্র রচনা হারাম)। সুতরাং এইক্ষেত্রে ভাবিবার যথেষ্ট অবকাশ রহিয়াছে যে এলেমদার পাঠককূলের ঈমান নষ্ট করিবার মানসে ইহুদি নাসরা প্রভাবিত বেনিয়া প্রকাশক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচ্ছদে 'প্রক্ষিপ্ত গোলাপ' এর ছবি ছাপাইয়া পাঠকদিগকে পুস্তকস্থ ছহিহ গোলাপের ঘেরান নেওয়া হইতে বিরত রাখিবার প্রয়াস পাইয়াছেন

চরম উদাস এর ছবি

বইয়ের কাভারে যে বেগানা আওরাত এর ছবি এইটা লেখা উচিৎ ছিল। লাস্ট মোমেন্টে লেখার সাথে প্রচ্ছদ পোস্ট করতে গিয়া এই তামাশা খেয়াল করছি :D

চৈতী ‍আহমেদ এর ছবি

মনে করিয়ে দিলেন অনেক কিছু, ‍ইয়ে করে বিয়ে, গরীবের বৌ -স্কুলে যে বয়সে বই পড়ার নেশায় পেয়ে বসেছিলো সেই বয়সে‍ই ‍স্কুলের কোনো ‍এক বন্ধুর কাছ থেকে এই বইগুলো হাতে পেয়ে মিছা কইয়া লাভ নাই পইড়া ফেলছিলাম, মা ‍আর ভাইয়ার হাত থেকে লুকিয়ে খাটের নীচে জানালা দিয়ে ছিটকে ‍আসা ‍আলোতে‍ই পড়ে ফেলেছিলাম। নিষিদ্ধ বই পড়ার ‍আনন্দ নিয়ে‍ই। ‍আমার কপাল ভালো মা তখন বঙ্কিম, শরৎ, রবীন্দ্রনাথ, নিমাই, মীর মোশারফ হোসেন কখনও কিনে কখনও লাইব্রেরি থেকে ‍এনে পড়তেন। ভাইয়ার তোষকের নীচে পেয়ে যেতাম মাসুদ রানা, কুয়াশা, বিভিন্ন সাইন্স ফিকশন- ‍ ‍আর বাবা রাখতো সাপ্তাহিক বিচিত্রা, ‍এই বিচিত্রা নিয়ে চলতো মা ভাইয়া ‍আর ‍আমার টম জেরি গেম। এগুলোই হয়েতো ‍আমাকে বিপথে নিয়ে গিয়েছে, তা না হলে হয়তো বই পড়ার নেশাতে ‍আমি ঠিকই লাইনে ‍উঠে যেতাম, ‍আবু বাকার প্রদর্শিত লাইনে। কারণ তখনই ‍আমার সহপাঠি ছিলো বেশ কয়েকটি প্যাকেট করা লজেন্স, যারা কাশেম বিন ‍আবুবাকার ‍এর বই পড়তো পাঠ্য বইয়ের নীচে রেখে। প্রকাশ্যে বিনিময় করতো মোকসেদুল মোমেনিন, নেয়ামুল কোরআন।
‍চরম রিভিউ হইছে। হাসতে হাসতে চুলায় চায়ের পানি শুকিয়ে গেছে।

সৈকত চৌধুরী  এর ছবি

আবু বকরি সত্যিই বেশ জনপ্রিয়। একবার বইমেলায় কার বই কেমন বিক্রি হচ্ছে এরকম একটা খবরে দেখলাম সে সবাইকে এমনকি হুমায়ুন আহমেদকেও টপকিয়ে গেছে। কাডল পাতাকে এ দেশের জাতীয় খাদ্য ঘোষণা করা যায় চউদা।

Md Nure Alam এর ছবি

বলিহারি মশাই! আপনার সময় হোল কি করে এই রকম একটা উপন্যাস পড়ার? তাহলে কি ধরে নিতে পারি যে সব বিখ্যাত সাহিত্যিকদের বই পড়া শেষ? আর না হলে তো আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে প্রশ্ন জাগে আপনার সময়ের মূল্য নিয়ে!
আর আপনার লেখায় বিশিষ্ট একটা গোষ্ঠী কে খুশি করার কিনবা একটু ইন্টেলেকচুয়াল অরগাসম দেয়ার চেষ্টা প্রকট। কিন্তু আমার ধারনা ছিল যে লেখা হবে সার্বজনীন।
বেয়াদবি মাফ করবেন আমার ধারণা ভুল ও হতে পারে।আর দয়া করে বাঙলা বানান ভুল থাকলে শুধরে দিবেন।

ফাই সিদ্ধি এর ছবি

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।এ কালজয়ী উপন্যাসটিতে বোরখা পরা নগ্নমুখী ফুটন্ত লাইলীর দুধ না খেয়ে চা খাওয়া,বোরখা না পরে খাকা নির্লাজ-বেহায়া নারী সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে,,,,,,,,সুবাহাআল্লাহ।তবে উপন্যাসিকের ব্যর্থতা যে নেই তা কিন্তু না --লাইলী কিভাবে শহী তরিকায় সহবাস করে তা তিনি বেমালুম চেপে গেছেন।এটাকে ব্যর্ততাই বলা যায়।আশাকরি ফুটন্ত টগর উপন্যাসে তা তুলে ধরবেন।এছাড়া এ উপন্যাসটিতে লেখক যথেষ্ট সাহসিকতার,উদারতার পরিচয় দিয়েছেন যেমন-
১।লাইলীকে বোরখা পরিয়েছেন কিন্তু মুখ নগ্ন রেখেছেন,ইচ্ছা করলেই তিনি মুখের উপর ঢাকনা বসিয়ে দিতে পারতেন সে ক্ষমতা তার ছিল।
২।লাইলীকে তিনি মাদ্রাসায় না পড়িয়ে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে পড়িয়েছেন অথচ মাদ্রাসায় পড়ানোর মত যথেষ্ট যোগ্যতা ছিল তার।
৩।লাইলীকে তিনি অংকপড়ুয়া,তরতাজা খেলোয়াড়ের সাথে প্রেম করিয়েছেন,চাইলেই কিন্তু মওলানা নিজামী বা মওলানা মান্নানদের সাথে লাইলীর রসায়ন ঘটিয়ে দিতে পারতেন।
যাহোক,শহী সমাজের অনেক চিত্র এতে উপন্যাসিক নিপুন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন,আলহামদুল্লিাহ,,,।
আল্লাহসুবাহনুতাল্লা কাশেম বিন আবুবাকার কে অনেক অনেক হায়াত দিন।
আমিন।

রিয়াজ এর ছবি

সেলিমের দেখি বারেবারে ইয়ে হয়ে যাচ্ছে, নায়কের বরাতে লেখকের চরিত্র ফুটে উঠেছে মনে হয়।

আবুল ফজল ইবনে মোবারক  এর ছবি

আবার্জিগায়! :p

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

বোরকা পড়া সেই মেয়েটি, এই রকম আরেকটা বই এর কথা শুনসিলাম। মনে হয় রাইটারের নাম মুরাদ আলি অথবা এম ডি মুরাদ।

শুরুতেই প্রশ্ন জাগতে পারে কাসেম বিন আবুবাকার কে? এই প্রশ্নের উত্তর দিব, আপনি কে?

এইটাই হলো আসল কথা

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্ভবত ক্লাস সেভেন-এইটে পড়েছিলাম, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তেমন এলেম হয়নি, বরং ঐ যে ‘লেখক তার লেখার পরতে পরতে এই আমোদের যোগান দিয়েছেন।’, তার ফলে আমার তো ভয়ানক অবস্থা!

যে জায়গাগুলোতে হাসির দমক ঠেকাতে পারনিঃ

সেই সাথে মনে হয় 'ফুটন্ত গোলাপ' না হয়ে নামটা 'গাছন্ত তেঁতুল' বা 'প্যাকেটের লজেন্স' হতে পারতো। তবে ভাষাশৈলী বিবেচনা করে 'ফুটন্ত গোলাপ' আরও বেশী সুন্দর নাম।

সেলিম এতই অভিজাত যে সে কলিংবেলও বাজায় অভিজাতভাবে। লেখকের বর্ণনায় লাইলীর বাড়িতে গিয়ে সেলিমের কলিংবেল বাজানো ফুটে উঠেছে, “ ঠিক এমন সময় কলিং বেলটা বিরতি দিয়ে দু’বার বেজে উঠলো। কলিংবেল বাজার মধ্যেও যেন আভিজাত্য আছে।” সামান্য কলিংবেল বাজানো লেখকের বর্ণনায় অসামান্য হয়ে উঠেছে।

সেলিম চার গুণ্ডাকে প্যাদিয়ে বাপের নাম ভুলিয়ে দেয়। তারপর, খবরদার আর কখনও এরকম কাজ করবেনা বলে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর সেলিম আর তার মাতা মিলে লাইলীকে উদ্ধার করে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। তারপরেই লাইলী দুধ খায়।

বেডরুমে গান গাওয়া সুবিচার, আর রেডিও টিভিতে গাওয়া ব্যভিচার।

।।।।।।।
অনিত্র

আরিফ এর ছবি

পুরা লিখাটা আমার এক বন্ধুকে পড়ে শুনিয়েছি, অসাধারণ।

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটার একটা সিনেমা বানানো ফরজে আইন হয়ে গেছে। বাংলার মাজিদি কি পারে না "ফুটন্ত গোলাপ - The Boiling Rose" বানিয়ে দেশ ও জাতি কে ধন্য করতে? সেলিমের ভূমিকায় অভিনয় করে ট্যাটুরাজ আরিফার কি পারে না বাংলাদেশের জন্য অস্কার ছিনিয়ে আনতে? হরলিক্স পাগলা বিতর্করাজ কি পারে না ......... (এই হালা এইখানে কেম্নে ফিট খায় জানিনা, তবে নামটা ঢুকায় দিতে হাত নিশপিশ করতেসিলো তাই দিয়ে দিলাম)। :p

আপ্নে অমানুষ! ^:)^

ফারাসাত

আবুল ফজল ইবনে মোবারক  এর ছবি

Boiling রুজ নামডা ভালা পাইছি!

চরম উদাস এর ছবি

Boiling Rose =)) কসম কইতেছি এই নামে সিনেমা না বানাইলেও একটা নাটক বানামুই বানামু, একটা দ্যা থাকতে হবে আগে। ফুটন্ত গোলাপ - The Boiling Rose

অতিথি লেখক এর ছবি

দ্যা দিসিলাম তো, অধিক "ইয়ে"র কারণে চোখ এড়ায় গেছে হয়তো আপনার!! :p

ফারাসাত

সত্যপীর এর ছবি

ফুটন্ত গোলাপ - The Boiling Rose

=))

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

ফুটন্ত গোলাপের একটা ইমো এখন সময়ের দাবী :p , ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে সেই দাবী জানিয়ে গেলুম ;) ।

-আতোকেন

শিশিরকণা এর ছবি


চলবে?

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

আবার জিগায়। :D

- আতোকেন

মেঘলা মানুষ এর ছবি

গোলাপ আঁকা থালার ওপর গোলাপের ছবিওয়ালা পিরিচ, তার ওপর গোলাপের ছবিওয়ালা চায়ের কাপ, তার মধ‌্যে চায়ের মধ্যে ভাসমান গোলাপের পাঁপড়ি - পুরোই গোলাপception

শিশিরকণা এর ছবি

এই ছবিতে অল্প সমস্যা আছে। গোলাপ ফুটন্ত বা boiling নাই। Already boiled হয়ে বা ফুটে গেছে। ইহা গোলাপ সিদ্ধ করা চা।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

Ashanour Rahman Khan এর ছবি

রিভিউ পড়ে যা বুঝলাম, বই টার নাম ফুটন্ত গোলাপ না হয়ে লুকান্ত কুঁড়ি হলে ভালো হতো। গোলাপ ফুটে গেলে তা আর লুক্কায়িত থাকে কিভাবে? :D

ফারাবী এর ছবি

সবসময়েই প্রবল, আমাদের দেশেও একই ধারার প্রসার দেখা যাচ্ছে।

স্যাটায়ার তুখোর ছিল (গুলি)

ফারাবী এর ছবি

মন্তব্যের অর্ধেক অংশ নেই হয়ে গেল কি করে? যা হোক, এটা বাদ পড়ে গেছিল- ইসলামাইজেশনে এই ধরনের 'সাহিত্য' বড় ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশেও একই ধারার সূত্রপাত হয়েছে আর কি।

হাসিব এর ছবি

এসব সবসময়ই ছিলো। আপনার চোখে পড়ে নাই। বইমেলার বাইরে ফুটপাতে এগুলো বিক্রি হয়। হুমায়ুন আহমেদ টাইপের লোক লাগবে এদের সাথে প্রতিযোগিতার টেবিলে উঠতে।

দেবদ্যুতি এর ছবি

গিয়েছিলাম বিয়ের দাওয়াতে, কলিগ বলে আপনার এই রিভিউ পড়ে হাসতে হাসতে তার অবস্থা খারাপ। অনুষ্ঠান থেকে ফিরেই পড়ে ফেললাম। হাজার হোক, আমার স্কুলের পাঠাগারেও মিস্টার কাসেমের বই ছিল এবং ছোটকালে আমি তার কিছু পড়েছিও বটে। আহা! ফুটন্ত গোলাপটা পড়া হয় নাই, পড়ে কিছু সহীহ জ্ঞানার্জন করব কি না ভাবছি :-?

লেখা চরমস্য চরম।

...............................................................
“আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস”

বাদুর পাগল এর ছবি

হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাইতে খাইতে পেট ব্যাথা হইয়া গেলো গা ! =))

মারুফ এর ছবি

ঠিকই তো, আমি কে? কে আমি প্রশ্ন করার? ^:)^
আমি কে এইটা না জানলেও এই রিভিউয়ের পর এই বইখানার যে বর্তমান সংস্করণ শেষ হয়া আরেকটা সংস্করণ নতুন আইতাছে তা আমি ঠিকই জানি। :))

বলগার এর ছবি

সহীহ ইসলামিক চটি, উত্তেজনা বাড়বে ধীরে ধীরে ;)

তাইনাকি এর ছবি

ইয়ে দাদা, ভিতরে ওই সব নাই ? :p

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম হইছে ! ^:)^

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখক = কাসেম বিন আবুবকর = আবুবকরের ছেলে কাসেম;
আবার, আবুবকর = ছাগলের আব্বা;
সুতরাং লেখক = ছাগল (প্রমানিত)

-চিহুয়াহুয়া

শিশিরকণা এর ছবি

(ছাগুভি)

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

অতিথি লেখক এর ছবি

ছহি বাক(কথা) শিল্পী বাকের ভাইয়ের কাল(কালো) জয়ী ছহি উপন্যাসের জনপ্রিয়তার গোলাপ এমনিতেই বগবগিয়ে ফুটিতেছিল। তাহার উপর চরম উদাসের কৃপায় এর জনপ্রিয়তা দেশের গন্ডি পার হইয়া এইবার আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উৎক্ষেপিত হইয়াছে। ইহাতে আমরা ছহি পাঠকবৃন্দ এক দিকে যেমন খুশি হইয়াছি কিন্তু অন্য দিকে ভয়ে কাঁপিতেছি। পাছে না আবার ইহুদী নাছারা ষড়যন্ত্রকারীরা এই পাক পবিত্র উন্যাসটিকে নোবেল পুরস্কার দিয়া ইহার ছহিত্ব ধর্ষণ করতঃ ইহাকে বাংলা ভাষার সেই মালোয়ান লেখকের সাহিত্যের কাতারে দাঁড় করাইয়া দেয়। বাংলা ছহি সাহিত্যের এই অমূল্য রত্নটিকে নাছাড়াদের নোবেলাঘাত হইতে রক্ষা করার নিমিত্ত মোমিনগণ অতি শীগ্র একটি ‘‘আন্তর্জাতিক ছহি নোবেল কমিটি’’ গঠন করিয়া তাহার প্রথম সাহিত্যের নোবেল পুরস্কারটি সাহিত্য হযরত বাকের ভাইকে দিয়া ফুটন্ত গোলাপ’র ইজ্জত রক্ষা করিবেন- এই জোর আওয়াজ তুলিয়া গেলাম।

- পামাআলে

সপ্তম এর ছবি

"বেডরুমে গান গাওয়া সুবিচার, রেডিও টিভিতে গান গাওয়া ব্যভিচার!!!"
কথা সইত্য ;) ;) ;)

অতিথি লেখক এর ছবি

সাহিত্যের দুনিয়ায় একটা অনিঃশেষ বিতর্ক আছে – গরুছাগল খেতে চায় বলে বাজারে ভুষিমাল পাওয়া যায় নাকি বাজারে ভুষিমাল পাওয়া যায় বলে গরুছাগলে সেটা খেতে বাধ্য হয়। এই ব্যাপারে আমার অবস্থান প্রথম পক্ষে। অর্থাৎ, গরুছাগল খেতে চায় বলে বাজারে ভুষিমাল পাওয়া যায়। সাহিত্যের বাজারে কিন্তু সব রকমের খাবারই পাওয়া যায়, কিন্তু ভুষিমালের বিপুল চাহিদা প্রমাণ করে ভোক্তাদের বড় অংশ নির্ভেজাল গরুছাগল যারা ভুষিমাল খেতে আগ্রহী। সুতরাং, ভুষিমাল উৎপাদনের জন্য মিলমালিককে দোষারোপ করা বেকার।

দুনিয়ার কোন কোন দেশে বইয়ের দোকানগুলো ঘুরলে দেখা যায় বেশিরভাগ দোকানে কেবল চার রকমের বই পাওয়া – নানা রকম পরীক্ষার গাইড বই, ধর্মীয় বই, আদিরসাত্মক বই এবং রান্নার বই। পরীক্ষার গাইড বই দরকার পার্থিব জীবনে ত্বরক্কী অর্জনের জন্য, ধর্মীয় বই দরকার পরকালে ত্বরক্কী অর্জনের জন্য। খেতে আর যৌনকর্ম করতে যদি না-ই শিখলো তাহলে স্বর্গে গিয়ে লোকে করবে কী? তাই আদিরসাত্মক বই আর রান্নার বই দরকার। যে দেশের জনমানস এই চার কর্মে আবদ্ধ সে দেশের সাহিত্যে লাল কৃষ্ণচূড়া, কচি লাউ, রসেভরা জাম্বুরা ইত্যাদিই ফলবে। ঠকের কাজ ঠকবাজী করা, তাই আইন বলে ‘ক্রেতা সাবধান’! ক্রেতা সেধে মরলে দোষটা তারই।

কোন একটা দেশের দশ জন মানুষের সাথে ধর্ম-রাজনীতি-ব্যক্তিজীবন-নারীর অবস্থান নিয়ে কথা বললে সেই দেশের জনমানস সম্পর্কে আঁচ পেয়ে যাবেন। তখন সেই দেশের পপুলার সাহিত্যের কনটেন্ট কী হবে সেটাও আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

পাঠককূলের মধ্যে কতোজন ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিলে কামনা-বাসনা-পিপাসা মিটিয়ে দেবার কবিতা আবৃত্তি শুনেছেন জানি না, আমি শুনিনি। এমন কবিতা লেখা এবং ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিলে পাঠ করার ব্যাপারে ইসলামের বিধান কী?

মেঘলা মানুষ এর ছবি

হে নাম না জানা মন্তব্যকারী, আপনার মন্তব্যে (Y)

সুবোধ অবোধ এর ছবি

ছোটবেলায় আরেকটা বইয়ের নাম দেখেই আকৃষ্ট হয়েছিলাম-"বোরখার আড়ালে কি?" কার কাছ থেকে যেন এনে চুরি করে বইয়ের ভাঁজে, বালিশের নিচে, লেপের নিচে বিভিন্নভাবে কসরত করে পড়েও মনমতো কিছু না পেয়ে বড়ই হতাশ হয়েছিলুম!! :( :p

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(জাঝা)

হুমম... আল্লামা লইট্যার বিজ্ঞানভিত্তিক বইটার রিভ্যু এবার করতেই হয়! ):)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

আর কবে নামাবে! সেই মে মাস থেকে বসে আছি! :D

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

বইটার পাতা উল্টাতেও ডর করে! :S

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

:))

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

এক লহমা এর ছবি

(Y)
"লেখক তার লেখার পরতে পরতে এই আমোদের যোগান দিয়েছেন।" - এই। এইটই হচ্ছে আসল কথা। আমোদগেঁড়ে (ভাষা- কৃতজ্ঞতা ঃ সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ) জনতা যা ভালবাসবে সেরকম বইয়ের সৃষ্টি/প্রচার/বিক্রী চরম হবে। আর আমোদের সহীহ করণের জন্য যা যা করা দরকার যেমন, নেক পথে থাকার বাণী মিশিয়ে দেওয়া, ঐসব বইয়ের যোগানদাররা তাও করবে বৈকি! মজাটা হচ্ছে যে দ্বিতীয়টির প্রচার-প্রসারেও প্রথমটির উপযোগিতা অতি জবরদস্ত। অতএব The Boiling Rose-এ বাগান ভরে যাবে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

একশত ভাগ সহিহ লোকেরা নারীদেরকে সবসময় নানা ফুল ফল ও খাবারের নাম দিয়ে সম্মানিত করেন

আমিও একবার এক নারীকে কাবাব নাম দিয়া সম্মান দিছিলাম, আর তার ছুডো ভাইরে হাড্ডি। :D

লাইলী চা বা কফি কিছু খায় না। শুধু দুধ খায়

ভুল হইল না তো? লাইলী, নাকি সেলিম? দুধ কে খায়?

ঈয়াসীন এর ছবি

(Y)

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই ইন্টার্ভিউ দেখে তো মনে হল লাইলী (এবং কাসেম বিন আবুবাকার)-র মতো চিন্তাভাবনা বাংলাদেশের মুসলমান নারীসমাজে বেশ শক্ত খুঁটি গেঁড়ে বসেছে!

https://www.youtube.com/watch?v=5HN9582bhGQ&feature=youtu.be

Emran

স্যাম এর ছবি

নতুন বই হবেনা? :(

চরম উদাস এর ছবি

:(

সো এর ছবি

আপনার লেখার রহস্য বুঝে ফেলেছি। প্রথমে কাতুকুতু, তারপর শেষ প্যারাগ্রাফে গিয়ে পেটে ঘুষি। =((

ঝিঁ ঝিঁ পোকা এর ছবি

^:)^

অতিথি লেখক এর ছবি

কেন যেন মনে হয় সর্বত্র এরাই আছে, শুধু ফেসবুকে না, অনলাইনের কুৎসিত দৌরাত্ম্যে বাঁধা না পেয়ে দিনদিন সাহসী হয়ে উঠছে ।
-------------
নূড়ি

আয়নামতি এর ছবি

সহহাচল তাহসীন এই লোকের নাম বলেছিল, আমি ভাবছিলাম মজা করেছে।
এখন তো দেখি সত্যিই সত্যিই এমন লেখকও আছেন তার আবার কুটি কুটি ভক্ত পাঠক!
জ্বী হ্যাঁ রিভিইটি পড়লেম, সুবহানল্লাহ সেইরাম হইছে লেখা। ইহা পড়ার সুযোগ দিলো সচল, আলহামদুলিল্লাহ।

অতিথি লেখক এর ছবি

=DX

-কেউ না

অতিথি লেখক এর ছবি

=DX

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চরম উদাস নিপাত যাক। এই উসকানি মূলক বোলগ পড়ে ছোটবোন আমার জন্মদিনে ‘The Boiling Rose’ কিনে দিছে। এইটা কিছু হইল! X(

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

চরম উদাস এর ছবি

:))

অতিথি লেখক এর ছবি

বোরখা পরা সত্বেও বখাটেরা গাড়িতে তুলে নিলো, এ কেমন কথা?
......ডা শাহেদা

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মনে হয়, খেলার সাথে রাজনীতি মেশায় নাই 8)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অনিকেত এর ছবি

ফাডায়ালচেন গো--- ^:)^

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।