• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইসিএল বিতর্ক পরবর্তী ভাবনা

উলুম্বুশ এর ছবি
লিখেছেন উলুম্বুশ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/১০/২০০৮ - ৬:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিউজিল্যান্ড এসেছে বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলতে। অনেকদিন ধরেই চিন্তায় আছি। কি যে হয়। ১৪ জন চলে গেল। আসলে চিন্তার কিছু নেই। ওরা থাকলেও আমরা যা করতাম না থাকাতে তার চেয়ে খারাপ আর কি করব। তাও যতবার তাদের কথা মনে হয় তখনই মনে হয় সবগুলা বেঈমান। এ কথা ভাবতে ভাবতেই কিছু দৃশ্য মনে পড়ল।
ঘটনা ১
ইন্টার পরীক্ষা ভালভাবে পাশ করে তখন বুয়েটে ঢোকার জন্য পড়ালেখা করছি। আর ভাবছি জীবনের শেষ ইচ্ছা বুয়েটে একটা ভাল সাবজেক্ট পেয়ে গেলে আর কিছু লাগবে না। আল্লাহর রহমতে পেয়েও গেলাম একটা। কিন্তু খুব বেশিদিন লাগল না ১ বছরের মাথাতেই একটা স্কলারশীপ পেলাম জাপানে। বেশ ভাল টাকা দেয় ওরা। আর উন্নত বিশ্বে থাকার লোভ তো আছেই। কি আর করা ২ টার্ম করার পর পাড়ি জমালাম জাপানে। একবার ও ভাবিনি আমার জন্য বুয়েটের একটা সিট আগামী ৪ বছর খালি যাবে।

ঘটনা ২
আমাদের বন্ধুরা বের হয়েই ধুপধাপ চাকরীতে ঢুকে গেল। তাও বিশাল বিশাল লম্বা বেতনের। দেশে গেলে আর নিজের মানিব্যাগে হাত দিতে হয় না। যেখানেই যাই ওরাই খরচ দেয়। গ্রামীণ এ এক বন্ধু আছে ধারণা করা যায় ওর মাসিক বেতন ৪০-৫০ হাজার। আমার হিসাবে প্রতিদিন একটা ৫০০ টাকার নোট খেয়ে আরেকটা ছেড়া যায়। ওদেরও একই মত। অফিস মোবাইল বিল দেয় ট্রান্সপোর্ট দেয় খরচের জায়গা খুব কম। হঠাৎ করে আমার সেই বন্ধু বলল দোস্ত বিদেশ চলে যাচ্ছি। ভাবলাম ওর বুঝি আবার পড়ালেখার ঝোঁক উঠল। কিন্তু না শুনলাম সে নাইজার যাচ্ছে চাকরী করতে। ৩ মাসের কন্ট্র্যাক্ট জব। সেটার জন্য গ্রামীণ ইস্তফা দিয়ে দিবে। জিজ্ঞেস করলাম দরকারটা কি এখানেই তো ভাল আছিস। উত্তর, না দোস্ত অনেক টাকা দিবে। দুই বছর এইরকম কন্ট্র্যাক্ট করে টাকা কামিয়ে আর কিছু ভাবতে হবেনা। লাইফ দাঁড়িয়ে যাবে। আমরা অপেক্ষায় আছি সে টাকা কামিয়ে ফিরবে আর আমরা একটা খাওয়া পাব। ও একবার ও ভাবেনি গত ১ বছর গ্রামীণ তাকে কাজ শিখিয়েছে এখন ও চলে গেলে কার কি ক্ষতি হবে।

ঘটনা ৩
এই ঘটনা বেশি বলতে হবে না। বাংলাদেশ দলের ১৪ জন প্লেয়ারের আইসিএল এ যাওয়া উপলক্ষ্যে অবসর গ্রহণ। এখানেও কেউ ভাবল না এতদিন ধরে ওদের কে জাতীয় দলের মোড়কে দেশ কত খরচ করেছে।

৩টা ঘটনাই আমার কাছে একই লাগে। আমরা সবাই একইরকম। টাকা কতকাল আর আমাদের এইভাবে কিনে নিবে?


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তপু ভাই, অনেকদিন পর সচলে আপনার লেখা পাইলাম। আছেন কেমন?
কথা ভালো বলছেন। ঠিক কথা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

উলুম্বুশ এর ছবি

অনেকদিন পরে সচলে লেখলাম। আসলে দেশে ছিলাম দেড় মাস। আসলাম ঈদের আগের দিন। বুঝই অবস্থা মনটা অনেক খারাপ ছিল।
ঈদ কেমন করলা ভাল আছ তো?
ঐ ১৪ জন এর ব্যাপারে আমার একটা মতামত ছিল যে তাদের কে মিডিয়াগত ভাবে বয়কট করতে হবে। যাতে কোন পেপারে ওদের নাম ও না আসে। খুবই খেপছিলাম। পরে এইসব মনে হইল।
---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই

---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই

রণদীপম বসু এর ছবি

তিনটা ঘটনা কিন্তু এক রকম নয়।
প্রথমটাতে আপনি স্কলারশীপ নিয়ে বাইরে যাচ্ছেন আরো উন্নতমানের পড়াশুনার সুযোগ নিয়ে। ওখানে থেকে গেলে আপনার দেশপ্রেমে ঘাটতি হবে কেন ? আপনার প্রচুর দেশপ্রেম, কিন্তু রাষ্ট্র আপনার গ্রহণযোগ্য জবের সুযোগ দিলো না, তখন কী করবেন ? বুয়েট থেকে বেরুলেই এখন আর চাকরি হয় না। প্রাইভেট কোম্পানিগুলো হয়তো দিলোই, তাতে রাষ্ট্রের দায়িত্বপালন হয়ে গেলো ? বরং এখন যে রেমিট্যান্সটা রাষ্ট্র পাচ্ছে, তাও কি কম ?

দ্বিতীয়ত আপনার বন্ধুর বেটার চান্স পাওয়াটা গ্রহণ না করাই তো হতো ভুল। যে পদটা খালি হলো ওটাতে আরেকজন সেবা দেয়ার সুযোগ পেলো। কোম্পানিও কম খরচে বেশি আদায়ের সুয়োগ পেলো। আমি তো বলি এখানে আপনার বন্ধু আরো বেশি দেশপ্রেম দেখালেন।

ঢাকা ওয়ারিয়র্সের বিষয়টাতে ক্ষেপে উঠারও কোন কারণ দেখি না। যে ১৪ জন গেলেন সবাই নিয়মিত প্লেয়ার নন। কতোজনকে তো সাইডলাইনে বসে বসে খেলোয়ারি জীবনের ইতি টানতে হতো। সেক্ষেত্রে এরা দেশের জন্য বেশ কিছু রেমিট্যান্সের পাশাপাশি বিদেশে লালসবুজ পতাকার প্রজেকশানও হবে। আর সিনিয়র কারো কারো প্রতি তো বিসিসি অবিচারই করেছে। ২০০০সাল থেকে আগামীর ক্রিকেট টীম বানানোর যে প্রক্রিয়া, আট বছর পরে এসেও যে হাল তাতে এরা ঠিক কাজটিই করেছেন। নইলে বিসিসি নিজেদের স্বেচ্ছাচার ছেড়ে নিজেদের দিকে তাকানোরই সুযোগ পেতো না। ধাক্কা খেয়ে এখন অন্তত এসব নিয়ে ভাববার একটা মওকা তৈরি হয়েছে। যা আগামীতে ভালো ফলাফল বয়ে আনার একটা সম্ভাবনা তৈরি করলো। এজন্য ঢাকা ওয়ারিয়র্সকে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে। নইলে আমরাই অপরাধী হয়ে যাবো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ঘটনার অন্য পাশটাও দেখুন না কেন?

দেশ তাদের পেছনে খরচটা করেছে, তারা কি দেশকে কিছু দেয় নি? পৃথিবীটা হলো প্রতিযোগিতার। সুতরাং বেটার অপশনের পিছনে সবাই ছুটবে।

আর আপনি খেলোয়াড়দের দিকটা মোটেও দেখেন নাই। খেলোয়াড়রা কেন গেলো, আফতাবের মত খেলোয়াড় কেন যায়, একবার ভেবেছেন কি? একবারও ভেবেছেন কি দলের নির্বাচন পলিসি কিভাবে কাজ করে? পাইলট, রফিকের মত খেলোয়াড়কে কিভাবে অবসর নিতে বাধ্য করা হলো, বাশারের মত খেলোয়াড়কে কিভাবে ধবংস করা হলো? সর্বোপরি, টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ৮ বছর পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন কোথায় দাঁড়িয়ে? বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট আজ কোথায় দাঁড়িয়ে? কেন বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি হয় না? কেন ১০০ রানের আগে অলআউট হয় বাংলাদেশ? এর জন্য দায়ী কে, কারা?

খেলোয়াড়রা মাঠে খেলে, তাদের ওপর চোখটা সবার আগে পড়ে, তারপরে কোচ। কিন্তু আসল নাটের গুরুরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান, কমান্ডো ট্রেনিংকে ভাবেন সমাধানের টনিক, লটারী সিস্টেমে দল নির্বাচিত করেন আর দেশের টাকায় দেশবিদেশ ভ্রমণ করেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আর আইসিএল একটি চমৎকার উদ্যোগ। অর্থলিপ্সু বিসিসিআই, যারা বাংলাদেশ দলকে আমন্ত্রণ জানায় না, তাদের দেশে খেলতে, তাদের মনোপলির শিকার হয়ে আইসিএল মেরুদন্ডহীন আইসিসির কাছ থেকে স্বীকৃত পায় না।

তবে আইসিএলে খেলা কাউকে ব্যান করার নির্দেশ আইসিসিরও না। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পুরোপুরি স্বাধীনতা বিসিবির। আইসিএলের কন্ট্রাক্ট অনুসারে তারা দেশের জন্য নির্বাচিত হলে আইসিএল তাদেরকে ছেড়ে দিতে বাধ্য। সুতরাং দোষটা কার? আইসিএলের না, বিসিসিআইয়ের, বিসিবির।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বুয়েটের সিট নষ্ট করার ব্যাপারটা আমাকেও ভোগায়। বুয়েট-আইবিএ দুটোতেই অ্যাডমিশন ছিল, অথচ এক বছরের মাথায় পাড়ি দিলাম আমেরিকা। আমার ফেলে আসা সিটটায় কাউকে নেওয়ার একটা সিস্টেম থাকলে অপচয় হত না। ভাল পোস্ট।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় বুয়েট বা অন্য ইনস্টিটিউশনগুলো শুরুতেই কিছু বাড়তি ভর্তি করায়, এধরনের কেসগুলো তাদের মাথায় থাকে। ফলে মন খারাপের কোন কারণ নাই।

উলুম্বুশ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনাদের কথার সাথে একমত হতে পারলাম না। আপনার যা বলছেন তার কারণ হচ্ছে বাশার, নাফিস এদের পরিবর্তে যাদের দলে নেওয়া হয়েছে তারা ভাল খেলতে পারেনি। এমন নয় যে বাশার , নাফিস এরা ভাল খেলেছে তাও তাদেরকে চান্স দেওয়া হয়নি। বাশার এবং নাফিস এরা যথেষ্ট চান্স পেয়েছে। আর আফতাব কেন গেল তার একমাত্র কারণ টাকাই। সে নিয়মিতই দলে ছিল। প্রথমে পরীক্ষা দিবে বলে একটা সিরিজ নিজেই বাদ দিল এরপর আবার ইনজুরিতে পড়ল। আমাদের নির্বাচকরা খুব একটা ভাল নীতিতে নাই জানি তাই বলে অন্ধের মত তাদের কে নন্দ ঘোষ বানানো আমি মেনে নিতে পারি না। রেমিটেন্স দেওয়াই যদি সব হয় তাহলে তো তারা আমার থেকে অনেক ভাল কাজ করছে। তাও কেন যেন মেনে নিতে পারি না। মনে হয় হুজুগে বাঙ্গালী আমি।
---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই

---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমাদের নির্বাচকরা খুব একটা ভাল নীতিতে নাই জানি তাই বলে অন্ধের মত তাদের কে নন্দ ঘোষ বানানো আমি মেনে নিতে পারি না।

অন্ধের মত তাদেরকে নন্দঘোষ কোথায় বানালাম? আচ্ছা আপনার কথা মেনে নিয়ে বলি, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট গড়ের মালিক (বাশার) এবং সর্বোচ্চ ওডিআই গড়ের মালিক (নাফিস) দুইজনই চরম ভুয়া। তাদেরকে লাথি মারা জায়েজ। কিন্তু তাদের পরিবর্তে যারা ঢুকছে, তারা কি বেটার পারফর্ম করছে? ঘরোয়া ক্রিকেটে, এ দলে তাদের পারফর্ম্যান্স কেমন ছিলো যা তাদেরকে সিলেক্টেড হতে সাহায্য করে?

আচ্ছা, অতো প্যাচের দরকার নেই। স্রেফ পাইলট কেন বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়লো, এই জিনিসটা আপনি যৌক্তিকভাবে বুঝান।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমার মতামতটা একটু ভিন্ন। সেটা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।

জাতিগত ভাবে আমাদের মধ্যে, অর্থাৎ বাংলাদেশীদের মধ্যে পেশাদারীত্বের একটা অভাব আছে। দু-একটা ব্যতিক্রম আছে, তবে সাধারণ সত্য সেটাই। আর সেজন্যই আমরা এই ক্রিকেটারদের দলবদ্ধ "হিজরত" কে বাঁকা চোখে দেখি। এইজন্য আমরা "ও ভাবেনি গত ১ বছর গ্রামীণ তাকে কাজ শিখিয়েছে" ধরনের চিন্তা করি। আজকালকার ইঁদুর দৌড়ের করপোরেট জগতে লয়ালিটির কোন মূল্য নেই। আপনার বন্ধু যদি গ্রামীনে থেকে যেতেন, আর কোন এক সময় যদি গ্রামীনের তাকে আর প্রয়োজন না হতো, গ্রামীন তাকে দু-মাসের নোটিসে অথবা বিনা নোটিসে ছুড়ে ফেলতে একটুও দ্বিধা করতো না।

আই সি এল-এ যাবার পেছনে টাকার অংকটাই বড় ভূমিকা পালন করে সন্দেহ নেই, কিন্ত তাতে খারাপ টা কি হল? অন্যান্য চাকুরিজীবিরা বা ব্যবসায়ীরা কি সবসময়ই তাদের বেতন বাড়াবার বা আয় বাড়াবার চেষ্টা করছেন না? সেটাই কি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয়? একটা কথা মনে রাখবেন, এরা কিন্তু যখন বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন, এরা ছিলেন বিসিবি-র বেতনভূক্ত চাকুরিজীবি। যে সব খেলোয়াড়েরা গেলেন, তাদের দু'একজন ছাড়া কারোরই জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা ছিলো না। তাদের ক্যারিয়ারের ভালো সময়ে যে উপার্জন বা সঞ্চয়টা করেছেন সেটাই সম্বল। বয়সে ছোট যারা গেছেন, তাদের সারা জীবনের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই উপার্জন করতে পারতেন কি না সন্দেহ। তাদের দুর্দিনে এই "সহানুভূতিশীল" এবং "দেশপ্রেমিক" আমরা ফিরেও তাকাতাম না। দেশকে বিনিময়ে যদি দেবার কথা বলেন, তাহলে রফিক-সুমনরা দেশের জন্য ভালোই অবদান রেখেছেন। এরা কোন অসদুপায়ে টাকা উপার্জন করতে যাননি। কোন বেআইনী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে যাননি। এদের সাথে তুলনা করুন একদল বাংলাদেশি শ্রমিক যারা জীবিকার সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যেখানে এখনো পর্যন্ত দেশে কোন উন্নত মানের জাতীয় লীগই নিয়মিতভাবে চালাতে পারেনি, সেখানে এই খেলোয়ারদের "দেশদ্রোহী" বলে গালাগাল করাটা নেহাতই ছেলেমি।

আমাদের উচিৎ ঢাকা ওয়ারিয়রসকে সমর্থন এবং উৎসাহ দেয়া, বিদেশে যে কোন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক লীগে বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে তাদের সাফল্য কামনা করা, তাদের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, এবং সর্বোপরি তাদের খেলার মানের উন্নয়ন হলে তাদের জাতীয় দলে খেলার সুযোগ করে দেয়া। এরা যদি দেশে বেকার বসে থেকে, দারিদ্রে বা ইনজুরিতে ভুগে হতাশায় শেষ বয়সে, "এই দেশে ক্রিকেট খেলাটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল" জাতীয় মন্তব্য করেন, তার চাইতে আই সি এল-এ এখন এরা যদি ভালো ফলাফল করে দেখাতে পারেন, তাতে এই দেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন অনেক বেশি হবে।

আরেকটা কথা। দেশত্যাগ করা মানেই দেশপ্রেম ত্যাগ করা নয়। দেশে থেকে যাওয়া ঘুষখোর প্রকৌশলী সহপাঠীদের তুলনায় সৎ উপার্জনে চলা এবং রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীরা কিন্তু দেশের অর্থনীতিতে অনেক বেশী পজিটিভ অবদান রাখছেন। বুয়েট থেকে যে প্রকৌশলী আজকে জাপানে বা আমেরিকার কর্পোরেট জগতে সাফল্য লাভ করেছেন, তিনি কিন্তু বুয়েটকে চিনিয়েছেন ওই নাক উঁচু বিদেশীদের কাছে। দেশের ভবিষ্যতের জন্য সেটা কিন্তু কম পাওয়া নয়। ভেবে দেখুন ভারতের আই আই টি গুলোর ব্যপক পরিচিতির কারনে আমেরিকাতে ভারতের ছাত্ররা গত কুড়ি বছরে কি পরিমান সুযোগ পেয়েছে। "টাকা কতকাল আর আমাদের এইভাবে কিনে নিবে" এটা না ভেবে দেশের খেলোয়াড়, প্রকৌশলী বা অন্য যে কোন পেশার লোকদের এইরকমভাবে পেশাদারী মনোভাব নিয়ে দেশের বাইরে থেকে টাকা উপার্জন করাটাকে একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এতে আখেরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতিই নিশ্চিত হয়।

হিমু এর ছবি

মন্তব্যে জাঝা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত আহমেদ এর ছবি
রাফি এর ছবি

সর্বাংশে সহমত...।
আই.সি.এল এর প্রতি বি.সি.বি র এই মনোভাবের নিন্দা জানাই...।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কে যেন কোথায় লিখেছিল, দেশকে সাহায্য করার জন্যই দেশের বাইরে যান।

আলমগীর এর ছবি

এ বিষয়ে আগে লেইখা "জায়েজ করার চেষ্টা" করছি। আবারও কই:
প্রফুল্ল বাবু যখন বিশ্বব্যাংকের হয়ে বাংলাদেশে যান, বড় একটা অংশ তাকে সহ্য করতে পারে না শ্রেফ ভারতীয় বলে। সে জায়গায় যদি একজন সাদা হতো কোন সমস্যা ছিলো না। আবার যদি দুর্ঘটনা বশত কোন বাংলাদেশী সে পদে যাইত তা হইলে বক্তব্যটা কী হইত? শালা দেশের কথা চিন্তা না কইরা বিশ্ব নিয়া পইড়া রইছে। নাকি আমোদিত হইতাম যে লোকটা দেশের মান উজ্জল করছে?

ডেভ হোয়াটমোর যখন বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার খেলায় বাংলাদেশের কোচ হিসাবে বাংলাদেশকে সাপোর্টে রাখেন তখন কোন অস্ট্রেলিয় আহা, উহু করে না। তারা বরং গর্বিত হয় যে অস্ট্রেলিয়া থেকে অত ভাল কোচ তৈরি হয়।

১৪জনকে পুনরায় বেইমান প্রমাণের চেষ্টা কীভাবে "বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইসিএল বিতর্ক পরবর্তী ভাবনা" হয়?

তান্ভীর এর ছবি

তপু তোর বক্তব্যে মজা পেলুম... তুই নিজে জাপান গেছিস বলে নিযেকে দেশদ্রোহী ভাবতেসিস কেন? গেছিস আরো ভাল কিছু করতে আর ভাল শিক্ষা পেতে, তারপর তুই দেশকে কত টুকু দিবি এইটা তোর ব্যাপার... বুয়েটের সিট এর বেপারটা আপেক্ষিক কারন ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম হলে এই জায়গাটা শুন্য থাকত না। এই খানে তোর আসলেই করার কিসু ছিল না... কারন তুই না গেলে জাপানে অন্য কেউ যাইত। আমার ইউনিভার্সিটিতে প্রচুর মিডল ইষ্ট আর আফ্রিকান পোলাপাইন পড়ত ভাল স্কলারশীপও পাইত, তাইলেতো ওদের ও দেশদ্রোহী বলতে হয়...

আমার বেপার যেটা বলেছিস... আমার গ্রামীন ছাড়ার ১ মাস আগে ২০০ কর্মী ছাটাই করেছে গ্রামীন ফোন্‌, একবারও চিন্তা করে নাই এত কষ্ট করে কাজ কেন শিখিয়েছি... আসার আগে ২ ইয়ারের বন্ডের টাকা বুঝায়ে দিয়ে আসছি... আমার দায়বন্ধতা থাকবে কেন?? আমাকে গ্রামীন তার নিজের প্রয়োজনে কাজ শিখাইসে, আমার প্রয়োজনে না... আজকে আফ্রিকা তে প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছে কন্সাল্টেন্ট হিসাবে... এরা যে পরিমান রেমিটেন্স দেশে পাঠাছছে ঐটা খুব কম কিছু না আমাদের দেশের জন্য...
গ্রামীন ফোন, এরিক্সন এক সময় বাইরে থেকে প্রচুর কন্সাল্টেন্ট নিয়ে যেত বাইরে থেকে... এখনও এরা একজন বাইরের কন্সাল্টেন্টদের বেতন দেয় ১৫০০০ USD সেখানে একি কাজ করা বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ৬০-৭০ হাজার টাকা... অথচ একি ইঞ্জিনিয়াররাই বাইরে এসে সমবেতন পাছছে... জাতি হিসাবে আমরা অনেক আবেগপ্রবন... এক্টা উধাহরন দেই...
আমার আসার সময় প্লেন রুট ছিল... ঢাকা-দোহা-লিবিয়া-ক্যাসাব্লাঙ্কা-নিয়ামেই একমাত্র ঢাকা এয়ারপোর্ট এই এয়ার হোস্টেসদের যাত্রীদের শেষ মুহুর্তে মোবাইল ফোন র কান্না কাটি বন্ধ করতে হয়... র কোন এয়ারপোর্টে আমি কাউকে মোবাইল বন্ধ করতে বলতে শুনি নাই...

আর খেলোয়ারদের কথা জা বললি সেইটা হল বিসিবি কোন অধিকারে ওদের নিষিদ্ধ করে সেইটা নিয়ে আমার যথেস্ট প্রশ্ন আছে... এখানেও আবেগ বেপারটার মুল্য অনেক কম... এরা বাইরে খেলতে গেছে এতে এদের স্কিল ভাল হবে... এক্সপেরিএন্স বারবে... আজকের যুগটাই অনেক প্রতিযোগিতার... টিকে থাকতে হলে অনেক প্রফেশনাল হতে হবে...

আবারও বলছি... দেশের জন্য কিছু যদি করতে চাস তোকে এখানেও প্রফেশনাল হতে হবে... শুধু আবেগ দিয়ে কিছু করা সম্ভব না...

তান্ভীর এর ছবি

তপু তোর বক্তব্যে মজা পেলুম... তুই নিজে জাপান গেছিস বলে নিযেকে দেশদ্রোহী ভাবতেসিস কেন? গেছিস আরো ভাল কিছু করতে আর ভাল শিক্ষা পেতে, তারপর তুই দেশকে কত টুকু দিবি এইটা তোর ব্যাপার... বুয়েটের সিট এর বেপারটা আপেক্ষিক কারন ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম হলে এই জায়গাটা শুন্য থাকত না। এই খানে তোর আসলেই করার কিসু ছিল না... কারন তুই না গেলে জাপানে অন্য কেউ যাইত। আমার ইউনিভার্সিটিতে প্রচুর মিডল ইষ্ট আর আফ্রিকান পোলাপাইন পড়ত ভাল স্কলারশীপও পাইত, তাইলেতো ওদের ও দেশদ্রোহী বলতে হয়...

আমার বেপার যেটা বলেছিস... আমার গ্রামীন ছাড়ার ১ মাস আগে ২০০ কর্মী ছাটাই করেছে গ্রামীন ফোন্‌, একবারও চিন্তা করে নাই এত কষ্ট করে কাজ কেন শিখিয়েছি... আসার আগে ২ ইয়ারের বন্ডের টাকা বুঝায়ে দিয়ে আসছি... আমার দায়বন্ধতা থাকবে কেন?? আমাকে গ্রামীন তার নিজের প্রয়োজনে কাজ শিখাইসে, আমার প্রয়োজনে না... আজকে আফ্রিকা তে প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছে কন্সাল্টেন্ট হিসাবে... এরা যে পরিমান রেমিটেন্স দেশে পাঠাছছে ঐটা খুব কম কিছু না আমাদের দেশের জন্য...
গ্রামীন ফোন, এরিক্সন এক সময় বাইরে থেকে প্রচুর কন্সাল্টেন্ট নিয়ে যেত বাইরে থেকে... এখনও এরা একজন বাইরের কন্সাল্টেন্টদের বেতন দেয় ১৫০০০ USD সেখানে একি কাজ করা বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ৬০-৭০ হাজার টাকা... অথচ একি ইঞ্জিনিয়াররাই বাইরে এসে সমবেতন পাছছে... জাতি হিসাবে আমরা অনেক আবেগপ্রবন... এক্টা উধাহরন দেই...
আমার আসার সময় প্লেন রুট ছিল... ঢাকা-দোহা-লিবিয়া-ক্যাসাব্লাঙ্কা-নিয়ামেই একমাত্র ঢাকা এয়ারপোর্ট এই এয়ার হোস্টেসদের যাত্রীদের শেষ মুহুর্তে মোবাইল ফোন র কান্না কাটি বন্ধ করতে হয়... র কোন এয়ারপোর্টে আমি কাউকে মোবাইল বন্ধ করতে বলতে শুনি নাই...

আর খেলোয়ারদের কথা জা বললি সেইটা হল বিসিবি কোন অধিকারে ওদের নিষিদ্ধ করে সেইটা নিয়ে আমার যথেস্ট প্রশ্ন আছে... এখানেও আবেগ বেপারটার মুল্য অনেক কম... এরা বাইরে খেলতে গেছে এতে এদের স্কিল ভাল হবে... এক্সপেরিএন্স বারবে... আজকের যুগটাই অনেক প্রতিযোগিতার... টিকে থাকতে হলে অনেক প্রফেশনাল হতে হবে...

আবারও বলছি... দেশের জন্য কিছু যদি করতে চাস তোকে এখানেও প্রফেশনাল হতে হবে... শুধু আবেগ দিয়ে কিছু করা সম্ভব না...

উলুম্বুশ এর ছবি

ভাবনাটা আসলে ভাইয়া আমার একান্ত নিজস্ব ভাবনা। সব বুঝতে পেরেও কেন যেন খারাপ লাগছে মেনে নিতে পারছিনা।
@যুধিষ্ঠির
ভাইয়া আপনার কমেন্ট অনেক ভাল লাগল
---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই

---------------------------------------------------------
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক, জ্যোৎস্নায় দিও সামান্য ঠাঁই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।