আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মানুষ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কিছুকাল আগে থেকেই দেশোদ্ধারের যে নেশায় আচ্ছন্ন হয়েছিলাম তা অনেক কিছু দেখেশুনে এত দিনের ব্যবধানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছিলো।
এই সুন্দর পৃথিবীতে অনেককাল কাটিয়ে আমি এখন প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে পৌঁছেছি। বৈষয়িক কর্মকান্ডে তেমন আর একটা জড়িত নই তাই আছে অখন্ড অবসর।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মানুষ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কিছুকাল আগে থেকেই দেশোদ্ধারের যে নেশায় আচ্ছন্ন হয়েছিলাম তা অনেক কিছু দেখেশুনে এত দিনের ব্যবধানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছিলো।
এই সুন্দর পৃথিবীতে অনেককাল কাটিয়ে আমি এখন প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসে পৌঁছেছি। বৈষয়িক কর্মকান্ডে তেমন আর একটা জড়িত নই তাই আছে অখন্ড অবসর।
অল্প কিছুকাল আগে আমার ছেলের পরামর্শে 'সচলায়তন' এ ঢুঁ মারতে গিয়ে সেখানে লটকে গেলাম। বেশ কিছুটা সময় এখন সেখানেই কাটে।
বিগত ২১-০১-২০১২ ইং তারিখে সচলায়তনে জনাব হিমুর, 'আসুন, ১ মার্চ ভারত বনধ করি' শিরোনামটি দেখে বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। লেখাটি পড়ে তার মর্ম অনুধাবন করে বড়ই অনুপ্রাণিত হই। দেশোদ্ধারের নেশাটা আবারো মনের মধ্যে ভুস করে মাথা উঁচু করে চাগিয়ে ওঠে।
শুরু করলাম আমার বৃহত্তর পরিবার (ভাই-বোন, ভাগনে-ভাগনী, নাতি- নাতনী, নিকট আত্বীয়) এর সাথে আপাত নিরীহ সাধারণ আলোচনা।
উদ্দেশ্য, অন্তত নূন্যতম একটি সচেতনতা তৈরী করা। নতুন প্রজন্ম কী ভাবছে, সেটা জানার প্রচেষ্টাও বটে।
নব প্রজন্মের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে আমার আগ্রহও বহুগুণ বেড়ে গেল। আরেকটু সক্রিয় হলাম, বন্ধু-বান্ধব পরিচিতজনদের সাথে সাক্ষাতে অথবা টেলিফোনে মত বিনিময় করলাম। উদ্দেশ্যটা বুঝিয়ে বলবার চেষ্টা করলাম।
তাঁদেরকে ধারনা দিলাম, এটা ভারত বিরোধিতা বা পাকিস্তান প্রেম নয়, নিখাদ দেশপ্রেম।
উদ্দেশ্য : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর নির্মম বর্বরতার চিত্রটি ভারতীয় সরকার এবং জনগণের গোচরে আনবার মানসে একটি প্রতীকী কর্মসূচী।
বার্তা : আমরা, বাংলাদেশী জনগণ এ ধরনের বর্বরোচিত আচরনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও অপমানিত।
করণীয় : ১ মার্চ ২০১২ ইং তারিখে সব ধরণের ভারতীয় পণ্য এবং সেবা গ্রহণ করা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখা।
একটি দিনের বর্জন থেকে হয়তো আহামরি তেমন কিছু প্রাপ্তি ঘটবেনা। তবুও শুরু করাটা প্রয়োজন। সময়ের দাবীও বটে।
আমার অতি সীমিত জ্ঞানে যেটুকু বুঝতে পারছি, আমরা সুদূরপ্রসারী কোন আগ্রাসনের স্বীকার হতে চলেছি।
বর্তমান বিশ্বে আগ্রাসনের প্রকারভেদ :
(১) সামরিক সাম্রাজ্যবাদ (মিলিটারি ইম্পিরিয়েলিজম্)
(২) রাজনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ (পলিটিক্যাল ইম্পিরিয়েলিজম্)
(৩) অর্থনীতিক সাম্রাজ্যবাদ (ইকনোমিক ইম্পিরিয়েলিজম্)
(৪) সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ (কালচারাল ইম্পিরিয়েলিজম্)
(৫) সাম্প্রচারিক সাম্রাজ্যবাদ ( ইনফরমেশনাল ইম্পিরিয়েলিজম্)
অবশ্য এই সকল মতবাদ সম্পর্কে আমার তেমন কোন ধারনা নেই। বিশদে কিছুই জানাতে পারবোনা। ক্ষমা করবেন।
আগ্রাসনের প্রকার নির্নয় করে আপনারাই বিবেচনা করুন, আমরা কোথায় যাচ্ছি!
সবশেষে একটি অনুরোধ, কারও কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে কর্মসূচিকে সফল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করুন।
১ মার্চ ভারত বনধ কর্মসূচীর সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি।
অধমের ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।
মন্তব্য
১ মার্চ ভারত বনধ-এর সফলতা কামনা করছি। সাথে আছি, থাকবো।
টুইটার
ধন্যবাদ, 'সবে মিলে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ'।
আপনার নিক 'প্রৌঢ় ভাবনা', তাই ধরে নিচ্ছি আপনার বয়স ৬০+
আপনাকে তাই বয়ঃজ্যেষ্ঠ হিসাবে আনাকে প্রথমেই সন্মান প্রদান করি.....
শুধু একটাই প্রশ্ন____
শুধু একদিন দেশপ্রেম, ৩৬৫ দিন নয় কেন ?
ভারতবর্ষ একটা বিশাল মুদিখানা..........................
সঠিক টাকা দিয়ে সঠিক প্রয়োজনীয় জিনিস কিনি মাত্র
যা বিনোদনর একটা মাধ্যম মাত্র
চ্যালেঞ্জ রইল সফল ভাবে এই উদ্যোগ প্রত্যাখ্যাত হবে__
কারণ সাধারণ মানুষের বিকল্প খোঁজে, সঠিক বিকল্প তৈরী করুন আপনা থেকেই ৩৬৫ দিন ভারত বন্ধ হবে, সফল করতে হবে না কষ্ট করে....
এই মন্তব্য করার সাথে সথে আমি, আপনাদের চোখে একজন ভাকু/ ভাদা হয়ে যাব
তাই যারা আমাকে এই রূপ আক্রমণ করবেন তাদের জন্য রইল শুভেচ্ছা।।।।।।।।।।।
-Lao Tzu
"History repeats itself,"
ভারতবর্ষে সাহায্যকৃত কষ্টার্জীত স্বাধীনতা আমার গ্রহণ করব না.....
ভারতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতা, জাতীয় সঙ্গীত হতে পারে না.....
জাতীয় কবি তাহলে কেন ভারতীয় হবে .....
---- সুতরাং দেরীতে হলেও আপনার কথায় প্রথম শুরু হবে..... কি বলেন,
যুক্তি যুক্ত কোন উত্তর আছে কি ?????????????????
ঝগড়া না করে খণ্ডণ করুন যুক্তি
আমি তো জানি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি, উনি ভারতীয় কবি হলেন কবে থেকে? উনার জীবিতাবস্থায় ভারত নামে কোন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না। আর ভারত বর্জন মানে কোন অর্থেই উনাকে বর্জন করা বুঝায় না। রবীন্দ্রনাথ যতটা ভারতের, ততটাই আমাদের।
"ভারতবর্ষে সাহায্যকৃত কষ্টার্জীত স্বাধীনতা আমার গ্রহণ করব না" - এই কথা সচলের কে কোথায় কবে বলেছে?
ঘ্যাচাং
আপনি কোন যুক্তি দেখাননি, অন্তত আমি খুঁজে পাইনি যা খন্ডন করব। ভারত বর্জন বলতে আপনি হয়ত ভাবছেন, ভারতের সাথে সম্পর্কে শেষ করে দেওয়া। ভুল ভাবছেন। ১লা মার্চের ভারত বর্জনের ডাক, ভারতের প্রতি আমাদের একটা ম্যাসেজ। ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল সবার আগে, দুঃখজনক হলেও, সরকার সেটা অনুধাবন করতে ব্যর্থ। তাই নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের সুনির্দিষ্ট দাবী দাওয়ার ভিত্তিতে বর্জনের ডাক দিচ্ছি। দিনশেষে প্রতিবেশী ভারতকে আমরা বন্ধু হিসেবেই চাই, কিন্তু সেই সুম্পর্কের ভিত্তি হতে হবে সমানে সমানে বর্তমানের মত একপাক্ষিক নয়।
রবীন্দ্রনাথ '৪৭ এর আগে যে ব্রিটিশ ভারত ছিলো, সে সময়ের একজন বাঙালি কবি। '৪৭ এর আগে আমরাও ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিলাম। একে ব্রিটিশদের কবল থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরাও প্রাণ দিয়েছিলো। যদি ব্রিটিশ ভারত আর এই ভারতের মধ্যে পার্থক্য না বোঝেন, তবে কথা না বাড়ানোই ভালো।
ভারত উপমহাদেশ বললে মানা যেতো। ভারতীয় তথা, 'ভারত রাষ্ট্রের নাগরিক' বানিয়ে ফেলাটা মানা গেল না। রবিঠাকুরের জন্ম আর মৃত্যু একীভূত ভারত উপমহাদেশে। তাঁকে ভারত রাষ্ট্রের নাগরিক বানিয়ে ফেলাটা বোধ করি ঠিক হলো না।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আপনার সব কিছু আপনা থেকেই হয়ে যায়, তাই না? সঠিক বিকল্প অন্য লোকে তৈরি করে দিবে, ইন দ্য মিন টাইম আপনি ভারতের মুদিখানা থেকে "সঠিক টাকা" দিয়ে "সঠিক প্রয়োজনীয় জিনিস" কিনে যাবেন। বেটা বলদ কোনহানকার।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
@প্রত্যাখ্যাতঃ ভারতবর্ষ না লিখে ভারত লিখাটা সঠিক। কারণ ভারতবর্ষ বলতে সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ বুঝায়
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
প্রথমেই বলি বয়ঃজ্যেষ্ঠ হিসাবে আপনি আমাকে সম্মান প্রদান করতে পারেন, সেটা আমি অবশ্যই গ্রহণ করবো কিন্তু সন্মান নয়। বয়ঃজ্যেষ্ঠ হিসাবে প্রথম উপদেশ, বাংলা বানান এবং শব্দপ্রয়োগ সঠিকভাবে শিখুন। আপনার মন্তব্যে আমাকে বয়ঃজ্যেষ্ঠ ঠাওরানোতে ধরেই নিচ্ছি আপনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম। আমি কি আমার লেখায় কোথাও এমন আভাস দিয়েছি যে, ১ দিনের জন্য দেশপ্রেম।
আপনি বিকল্প তৈরি (তৈরি বানানটাও আপনি ভুল লিখেছেন) করতে বলেছেন, সেটাও আমরাই করে দেব, আপনি কি করবেন তাইলে ? আর একটা কথা, কোন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের মানুষের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না। সেটা অন্তত আপনাদের শোভা পায়না। আপনি আমাকে সম্মান প্রদর্শনের নামে যেভাবে উপহাস করেছেন, সামান্য ভদ্রতাজ্ঞান থাকলে সেটা করতেননা। জন্মেই অনেক কিছু পেয়ে গিয়েছেন তাই ত্যাগের মূল্যায়ন করতে শেখেননি। কামনা করি,শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
এটাই আসল কথা।
বাংলাদেশে, সাধারন মানুষেরাই ত্যাগের অসাধারন দৃষ্টান্ত নির্মান করেছেন। আর চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন, গাদা বন্দুক দিয়ে মিসাইলের মোকাবেলা করেছি বুক চিতিয়ে, নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও মাঠ ছেড়ে যাইনি। আমার গ্রামের বাড়িটিই ছিল দক্ষিনবঙ্গের মুজিব বাহিনির ট্রানজিট ক্যাম্প। আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার আহার, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছি, মাথার উপর বিরাট এক শংকা নিয়ে। মুজিব বাহিনীর এরিয়া কমান্ডার আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।
ক্ষমা করবেন, বড্ড বেশী ব্যক্তিগত বিষয় এসে গেল।, অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি বলেই।
বস, বলদ লোকের কথায় মনে কষ্ট নিয়েন না। আমরা যারা জানার তারা জানি আমরা মুফতে কি পেয়েছি। আপনার মতো মানুষদের সময়ের মূল্য অনেক। আবেগ বা যুক্তি দিয়ে হুদাই এদের পিছে সময় নষ্ট কইরেন না। তাই আসেন গান গেয়ে বলি "বলদদের বলদের মতো থাকতে দাও, এরা নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছে ..."।
ঘ্যাচাং
আরে এদের কথায় মনে কিছু নিয়েন না। কিছু লোক আছে শুধু সমালোচনায় উস্তাদ। এরা অন্য লোকের করে দেয়া সঠিক বিকল্প ভোগ করতে পারবে কিন্তু নিজে কিছু করতে পারবে না।
হ্যাটস অফ আপনাকে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মন খারাপ করবেন না ভাই, আপনি ঠিক জায়গাতেই আছেন।
ভাইয়া, আপনার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলো নিয়ে লিখুন না! মুক্তিযুদ্ধকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন বা রনাঙ্গনে ছিলেন, তাদের প্রত্যেকেরই উচিত সেইসব ঘটনা নতুন প্রজন্মের সাথে শেয়ার করা! এই ব্যক্তিস্মৃতিগুলোও মুক্তিযুদ্ধের দলিল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
অনেক স্মৃতিই বড় কষ্টের, বড় বেদনার, একান্তই আপনার। সেগুলো না হয় নিজের হয়েই থাক।
@ প্রত্যাখাত, ভারত বর্জনের এতগুলো ব্লগ পড়ে এই বুঝলেন ?? ১দিনের দিনের দেশপ্রেমের ডাক কয়টা লেখায় দেওয়া হয়েছে?? শুরুটা তো ১দিনেই হতে পারে, না কি? যাদের অন্তরে এই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে তারা কেউ ১ মার্চ এর জন্যও বসে ছিলনা। তারা আগেই মন থেকে সচেতন হয়ে গিয়েছে। আমাদের এই আহ্বান যদি এতই ঠুনকো হত তাহলে ভারতীয় এয়ারটেল কোম্পানি কেবল ১ মার্চ এর জন্য ঐ বিশেষ ছাঁড় দিত না। দুঃখ নেই আমার, আপনার মত খুঁত ধরা মানুষের কথা ছাড়াও অনেক আশাবাদী মানুষ আছে, যাদের ভূমিকাতেই সব কিছুর শুরুটা সম্ভব হয়।
"সঠিক বিকল্প তৈরী করুন আপনা থেকেই ৩৬৫ দিন ভারত বন্ধ হবে, সফল করতে হবে না কষ্ট করে...."
ভারতীয়+বিদেশী পন্যের যোগ্য দেশী বিকল্প সৃষ্টিও আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। ৩৬৫ দিনই যাতে আমাদের উন্নত পণ্য চলতে পারে তার জন্যই আজকের শুরু দরকার। আপনি আমি দেশী পণ্য না কিনলে কি আপনা থেকেই দেশী বিকল্পের প্রসার হবে ??
অন্য ভুবন
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
এই কর্মসূচী/আন্দলন একা একা বহুদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছি। ইন্ডিয়ান জিনিসপত্র আমার ব্যক্তিগত জীবনে বিন্দুমাত্র পাত্তা পায়না
আমাদের পরিবারে আমার মা-বোনের কাছে ভারতীয় শাড়ী চুড়ীর চেয়ে মিরপুরী কাতান, টাঙ্গাইলের তাঁত আর জামদানীই বেশি আদরনীয়। আব্জাব টিভি চ্যানেল না দেখার জন্য ওদেরকে প্রাণপন কনভিন্স করে যাচ্ছি। সফল আমি হবই
আপনার এই চমৎকার তথ্যমুলক, ইন্সপায়ারিং পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ, আপনাকেও।
১লা মার্চের জন্য আমাকে আলাদা কিছু করতে হবে না, কারন ছোটবেলা থেকেই আমার ভারত এলার্জি। আমার পরিবারেও ভারতীয় পন্য বা বিনোদন নিয়ে আহ্লাদ তো নেই-ই বরং কিছু ক্ষেত্রে বিতৃষ্ণা আছে। সত্যি বলতে কি, আমার কষ্ট করে রোজগারের টাকা এদের নিম্নমানের জিনিষের পিছনে খরচ করতে কিছুতেই মন উঠে না।
আশেপাশের মানুষদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করব। ব্যাপারটা শুধু ভারত বর্জন নয়, নিজেদের পন্য ও সংস্কৃতিকে এর উপযুক্ত স্বীকৃতি দেয়া ও তা নিয়ে গর্বিত হওয়াটাও জরুরি। ভারতকে ঘৃণা করার আগে আমরা নিজের দেশকে ভালবাসতে শিখি।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমি আমার লেখায় সব সময় বলেছি, ভারত বিরোধিতা নয়, নিজেদের আত্মসম্মান রক্ষা করা।
ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য।
সাথে আছি, থাকব।
শাফি।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ভারতীয় পণ্য বলতে গেলে ব্যবহারই করি না। সুতরাং আমার জন্য প্রায় প্রতিদিনই ১ লা মার্চ। আশাকরি এই সচেতনতা ছড়িয়ে পড়বে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এটাতো একটা প্রতীকী কর্মসূচী। যে যেখানেই থাকুন, সমর্থন যোগানোটাই মুখ্য।
ধন্যবাদ, সমর্থন যোগানোর জন্য।
আমারো তাসনিম ভাইয়ের মতই অবস্থা। তথাপি মনে মনে ও সরবে সাথে আছি।
আপনাদের সমর্থন এ প্রজন্মকে অনেক উৎসাহ যোগাবে।
সাথে আছি, থাকব।
ধন্যবাদ, আমরা সকলেই একসাথে থাকবো।
এই প্রত্যাখ্যান কিন্তু এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে, ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি শুধু, আপনার এই লেখা এই আবারো ছড়িয়ে দেয়াটাকে উৎসাহিত করবে, সাধুবাদ আপনাকে।
’যুবকেরা প্রেম করে, পৌঢ়রা ঘর’ .. সুমনের এই গানের লাইনটা দেখছি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়
ভারতীয় জিনিস বলতে দরিদ্র-বেকার অবস্থায় অনেকদিন আগে খুবই স্বল্পমূল্যে একটা সেকেন্ডহ্যান্ড বাজাজ চেতাক কিনেছিলাম। গত কয়েকবছর ওটা আর চালাই না। ইদানিং ওটা আমাদের বাড়ির ব্যবসার কর্মচারীদের দিয়ে দিয়েছি টুকটাক কাজের জন্যে ব্যবহার করতে। তবে ১ মার্চ ওটায় স্টার্ট হবেনা, ওদেরকে বলে দিয়েছি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমাদের জন্য প্রকৃত হুমকি হচ্ছে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। এটাই একটা জাতিকে পঙ্গু করে ফেলে, নির্ভরশীল করে ফেলে, এবং শুরু হয় অর্থনীতিক আগ্রাসন। দেশপ্রেমিক নেতার বড়ই অভাব, তাই জনগণকেই সে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি, আপনি এই জনগণেরই অংশ।
ধন্যবাদ, সমর্থন যোগানোর জন্য।
আর কখনোই ওটা স্টার্ট না দিলে হয় না দাদা?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হয়না তা ঠিক না, তবে কিছু বাস্তবতা বিচার করতে হবে,
১। আমি ওটাকে বিক্রি করে দিলে বা দান করে দিলেও সেই ইনডিয়ান জিনিসটাই অন্য কেউ চালাবে।
২। ওটাকে পরিত্যাক্ত করে ফেলে রেখে দেওয়ার মতো জায়গা নস্ট করার মানে নেই।
৩। ওটার পুরো ইউটিলিটি না নিয়ে ফেলে দিলে ইনডিয়াকে অলরেডি দিয়ে দেওয়া পয়সাটাই পানিতে পড়বে।
এটার ব্যবহার খুবই সীমিত, দৈনিক ২-৩ বার বাজারে যাওয়ার জন্যে ব্যবহৃত হয় মাত্র। দৈনিক ব্যবহার ২০ কিলোমিটারেরও কম। এখন নতুন একটা বাইক কিনলে কেনা যায় কিন্তু সীমিত ব্যবহারের হিসেব করলে নতুন বাইক কেনাটা যুক্তিসঙ্গত হয়না। তাই এটা সম্পূর্ণরূপে ভাঙ্গাড়িতে রূপান্তরিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পহেলা মার্চের ভারত বর্জনের সাথে আছি। আসলে প্রতিদিনই ভারত বর্জনের পক্ষে আমি। এটা প্রয়োজন অনেক কারণে। আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য তথা সীমান্তে বিএসএফ-এর নির্বিচার বাংলাদেশীদের হত্যা, নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি জনজাগরণ এবং এ ব্যাপারে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিআকর্ষণ করা। তাছাড়াও লেখক যে দেশপ্রেমের কথা বলেছেন সে দেশপ্রেম দেখানো যদি আরেকটি উদ্দেশ্য হয় তাহলে আমাদের উচিত সর্বস্তরে যথাসম্ভব ভারত বর্জন করে চলা। কারণ আমাদের ক্ষুদ্র অর্থনীতিতে ভারতীয় পণ্য, ফ্র্যাঞ্চাইজ ও অন্যান্য সেবা যথাসম্ভব বর্জন না করলে আমাদের দেশীয় পণ্য ও সেবার বাজার ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে এই ধ্বংসের প্রক্রিয়ার মধ্যেই আছি আমরা। আমাদের তাঁত শিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে - যারা টিকে আছে তারা কোনমতে মরার মত টিকে আছে।
এ সম্পর্কে আসুন স্মরণ করি কীভাবে বৃটিশ বেনিয়ারা ধীরে ধীরে প্রথমত তাদের লবণ দিয়ে দেশীয় লবণ শিল্প ধ্বংসের শুরুর পর ভারতবর্ষের বিভিন্ন ট্রেডে থাকা সকল দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করে দেয়। যার জন্য মহাত্মা গান্ধী স্বদেশী আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। এই কারণেও হয়ত দুনিয়ায় যত আবিস্কার দেখি সবই পশ্চিমে।
পৃথিবীতে আরো অনেক দেশ আছে এমনকি ভারতই মুক্ত বাণিজ্যকে সমর্থনের (স্ট্র্যাটেজিক) কারণে হয়ত বাংলাদেশী কোন কোন পণ্য তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে কিন্তু তাদের দেশপ্রেমিক জনগণ সে পণ্য খুব একটা কেনে না। এমনটা আমি শুনেছি জাপানীদের মধ্যেও আছে। আমেরিকান পণ্য আছে পাশাপাশি, দামেও সস্তা, কিন্তু তারা নিজের দেশের পণ্যটাই কিনছেন।
আমাদের অনেক আগেই উচিত ছিল এই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারতীয় পণ্য যতটা সম্ভব বর্জন করে চলা। এতে দেশের মানুষ হিসেবে আমরা নিজেদেরকেই বরং সম্মানিত করব। আমাদের এই আন্দোলন অবশ্যই ভারতবিদ্বেষ বা ভারতশত্রুতা নয়। আসুন, সকলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সারা বছরই ভারতীয় পণ্য এড়িয়ে চলি!!!!
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
সাথে আছি।
...........................
Every Picture Tells a Story
তাসনীম ভাইয়ের কথা কপি মেরে দেই:
আমিও ঐ প্রতিমন্তব্যটাই কপিপেস্ট করে দেই,
মিথ্যে বলবো না, আমি প্রচুর ভারতীয় গান শুনি, মুভি দেখি। তবে বেশ কিছুদিন সঙ্গত কারণেই ওসব থেকে বিরত আছি।
আমাদের পক্ষ থেকে এমন ম্যাসেজ আরো আগেই ভারতকে জানান দেবার দরকার ছিল। যাইহোক, দেরিতে হলেও শুরুটা হয়ে গেছে দেখে ভালো লাগছে। কর্মসূচী সফল হোক।
ভারতীয় গান শোনাটা দোষের, সে কথা বলবোনা। শুধু ভারতীয় কেন, অন্যান্য ভাষার গান, সিনেমা এসবতো আমরা প্রায় সকলেই দেখি। যেটা প্রয়োজন মনে করি, নিজের দেশ, নিজের সংস্কৃতিকে কখনও হেয় করবোনা বা কাউকে এরকম করতে দেখলে প্রতিহত করার চেষ্টা করা। মূল কথা, এই প্রজম্নের মধ্যে একটা সচেতনতা তৈরি করা যাতে তাঁরা নিজের দেশকে নিয়ে গর্ব বোধ করে। আমাদের ঐতিহ্যগুলো নিয়ে আসলেও গর্ব করা যায় বৈকি ।
আমিও ভারতীয় পণ্য ব্যবহারে তেমন উৎসাহী নই, মা-বোনের হিন্দি সিরিয়াল দেখা বন্ধ করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি,ভারতীয় পণ্য বলতে বাতাসটেলের সিম,কেচি করে দিবো ওই দিন । ভারতের বাহাদুরি বের হইতেসে দেখার ইচ্ছা আমার,কিন্তু তার চাইতেও বেশি খুশী হইতাম যদি এই করে আমাদের রাজনীতিবিদদের একটা মেরুদণ্ড গজাতো।
রাজনীতিবিদদের মেরুদন্ডের চেয়ে প্রথমে প্রয়োজন একটি বিবেকদন্ড গজানো। তাইলেই সব হবে।
১ মার্চ ভারত বনধ-এর সফলতা কামনা করছি।
সাথে আছি, থাকবো!
সারা বছরই ভারত বনধ হোক!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আমি ভারতের কিছু ব্যবহার এম্নিতেই করিনা । না শাড়ি কিনি না সিরিয়াল দেখি না অন্য কিছু । তবে আগে
মাঝে মাঝে কিছু আঁচার কিনতাম বছর খানেক ধরে তাও কিনি না কারণ বিদেশে বসেও আমার নিজের দেশেরই বেশ ভালো ভালো আঁচার পাওয়া যায় । প্রাণের আঁচার তো আছেই, নিকোবিনাই কম কিসে নিজের দেশের জিনিষকে প্রমোট করার মানসে এমনিতেই খুজে খুঁজে আমি নিজের দেশের জিনিষই কিনি । তারপর ও প্রতীকী অর্থে সাথে অবশ্যই আছি, থাকব ।
অলরেডি বর্জনেই আছি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পারছি না, সেগুলোর বিকল্প এলেই পুরাপুরি বর্জন।
১ তারিখে সব বাদ।
১লা মার্চ ভারত বর্জনের প্রথম সফলতা হবে, ভারতের মগজমুক্ত বাংলাদেশী মাথা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আবারও বলছি, আমার এ লেখার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো মার্জনার চোখে দেখবেন। আবেগের কারনে অনেক অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের উল্লেখ করেছি, সে কারনেও ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের সহযোগিতা ও সহমর্মিতার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সবাই সুস্থ থাকুন। আনন্দে থাকুন।
সাথে তো আছিই। দুঃখ হলো আমার নিজের পরিবারেই কয়েকটা বলদ আছে। কোনও ভাবেই সেগুলোকে বোঝাতে পারিনি। আর আমার মেজাজ এক্টুতেই গরম হয়ে যায়; চেষ্টা করেও সামলাতে পারিনা। কাজেই সেই 'রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন' সেই ভয়ে তর্কযুদ্ধেও অবতীর্ণ হইনি। কয়েকটা পোস্ট প্রিন্ট করে নিয়ে গিয়ে পড়তে দেব, দেখা যাক কী হয়।
হাল ছাড়বেন না পাঁঠাদা। বোঝাতে থাকুন, দেখবেন একসময় তারা ঠিকই বিষয়গুলো অনুধাবন করতে সক্ষম হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্য।
আর আপনার পরিবারের লোকেদের বিষয়ে বলবো, আপনি ধৈর্যহারা হবেন না। 'একবার না পারলে দেখ শতবার।
ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয় এবং ভাবনাদা। গতকালকে প্রিন্ট আউট করে নিয়ে বাসায় দিয়েছি। বলেছি মানুক না মানুক যেন একবার পরে দেখে বিষয়গুলো। আসল সমস্যা হচ্ছে ৭ ভাই-বোনের মধ্যে ৭ নম্বর হওয়ায় কেউ গোনাতেই ধরেনা। দেখা যাক কি হয়।
নতুন মন্তব্য করুন