সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ১ মার্চ ২০১২ ইং তারিখে আমরা প্রথম বারের মতো ভারত বনধ কর্মসূচি পালন করি। তারই ধারাবাহিকতায় এই ১৫ই মার্চের কর্মসূচি।
কোন বড় অর্জনই একদিনে আসেনা। তার জন্য প্রয়োজন, বিশ্বস্থ অঙ্গিকার, ত্যাগের মানসিকতা, দৃঢ় সংকল্প আর লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত্য কার্যকরভাবে লেগে থাকার ধৈর্য্য।
সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ১ মার্চ ২০১২ ইং তারিখে আমরা প্রথম বারের মতো ভারত বনধ কর্মসূচি পালন করি। তারই ধারাবাহিকতায় এই ১৫ই মার্চের কর্মসূচি।
কোন বড় অর্জনই একদিনে আসেনা। তার জন্য প্রয়োজন, বিশ্বস্থ অঙ্গিকার, ত্যাগের মানসিকতা, দৃঢ় সংকল্প আর লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত্য কার্যকরভাবে লেগে থাকার ধৈর্য্য।
পুরনো কথা বলি, দেখুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে বা নয় মাসে আসেনি। মুক্তিযুদ্ধের জন্য জনসাধারণকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগেছে। অবশ্য কিছু কিছু ঘটনা একে ত্বরান্বিত করেছে বটে। তবে এই আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করা গিয়েছিলো আকাঙ্খা প্রবল ছিল বলেই। সংকল্পে তাঁরা ছিলেন দৃঢ়। ত্য্যাগের মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ।
সীমান্তে বিএসএফ এর কর্মকান্ডে আমরা ক্ষুব্ধ, অপমানিত, আমাদের আত্মসম্মানবোধ আঘাতপ্রাপ্ত।
আমি আবারও বলছি, কোন দেশের প্রতি বৈরিতা নয়, নতজানু মানসিকতাও কাম্য নয়, আমরা আমাদের আত্মসম্মান রক্ষা করতে চাই। করতে হবে। করবো।
জানি, দু-একদিনের কর্মসূচিতে তেমন কিছুই অর্জন হবেনা। তবে ধীরে হলেও মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে। মৃদুভাবে হলেও একটা ধাক্কা দেওয়া গেছে বটে। এখন এটাকে সাধারণ জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেবার পথ খুঁজতে হবে। আর আমাদের কাজ হবে, ধৈর্য্য সহকারে লেগে থেকে এ কর্মসূচিকে এগিয়ে নেওয়া।
আর একটি বিষয়, কর্মসূচিটিকে একটি দৃশ্যমান আকার দিতে হবে যাতে করে প্রিন্টমিডিয়া ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায় তাহলেই কেবল আমরা বিষয়টিকে সাধারনের গোচরে আনতে পারবো।
আর এ কর্মসূচি এগিয়ে নেবার জন্য এ প্রজন্মকেই মূল ভূমিকাটি পালন করতে হবে। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় জেনেছি, বাংলাদেশের সব বড় অর্জনের পিছনের শক্তিটি ছিল, ছাত্র-যুব সমাজ।
ছাত্র-যুব সমাজের প্রতি এ পৌঢ়ের আবেদন, আপনারা সংকল্পবদ্ধ হোন, শপথ গ্রহন করুন, যে কোন মূল্যে দেশের সম্মান অক্ষুন্ন রাখবেন।
'এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার সময় তার।'
পরিশেষে আবারও বলি, 'কারও সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব', কিন্তু আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে নয়, তাকে রক্ষা করেই।
১৫ই মার্চের ভারত বনধ কর্মসূচির সর্বাত্মক সফলতা কামনা করছি।
মন্তব্য
সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
টুইটার
ধন্যবাদ। আমিও আপনাদের সাথেরই লোক।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য-সেবা-বিনোদনের সবচেয়ে বড় প্রোমোটার। নির্লজ্জ আলুপেপার, এস্তেঞ্জা কালুপেপার থেকে শুরু করে দায়িত্বশীলতার ভড়ং কপচানো খালুপেপারে প্রতিদিন এগুলোকে প্রোমোট করা হয়। আমাদের ১ মার্চের কর্মসূচির প্রত্যক্ষ বেনিফিশিয়ারি কিন্তু আলুপেপার, তারা এয়ারটেলের পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন পেয়েছে সেদিন। এরা তাদের খদ্দেরকে চটাবে না। আর এরা চায় চটকদার খবর। কতগুলি আবাল হ্যাক করে ভারতের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে, এই টাইপ সুপারফিশিয়াল মাকালতোষ খবরকে এরা গুরুত্ব দেয় বেশি। এদের অপেক্ষায় বসে না থেকে মানুষকে বোঝানোর কাজটা আমাদেরই নিতে হবে। হয়তো কর্মসূচির গতি তাতে কিছুটা শ্লথ হবে, কিন্তু তাতে কিছু এসে যায় না। এত বছর ধরে যে মানসিকতা আমাদের ভেতরে শেকড় গেড়ে বসেছে, সেটা ওপড়াতেও সময় লাগবে। একদিনেই নিশ্চয়ই ফল আশা করছি না আমরা?
বাংলাদেশের সব পত্রিকা ভারতীয় চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানসূচী ছাপায়। এটি কোন ভাবে যদি বন্ধ করা যেত।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
সাম্বাদিগরা হাইকোর্টকে পর্যন্ত ঝাড়ি দিয়ে বলে গণ্ডির ভিতর থাকতে, আর আমরা তো পাবলিক। এইসব বললেই বলবে, চাহিদা আছে দেখেই তারা ছাপায়। দেশে তো হেরোইনেরও চাহিদা আছে, তাহলে কোথায় কখন হেরোইন পাওয়া যাবে সেইটাও ছাপাক।
ভাবটাইতো জানা নেই।
হ্যাঁ, যে কোন মূল্যেই হোক আত্মসম্মান রক্ষা করতে হবে। সময় লাগুক, চেষ্টা করে যাব। প্রয়োজনে কয়েক জনম।
ভারত বনধের সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
ভারত বনধ সফল হোক!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
সাথে আছি, থাকবো।
সময় লাগবে, তবে হাল ধরে থাকলে তবেই গন্তব্যে পৌঁছা সম্ভব।
অবশ্যই সম্ভব।
সর্বোত্তম চেষ্টা করব । ভারত বনধ সফল হোক !
সব্বাই মিলে চেষ্টা করবো।
সফল হোক।
সাথে ছিলাম , আছি , থাকব
অবশ্যই থাকবেন। শেষ অবধি থাকবেন।
সাথে ছিলাম , আছি , থাকব
facebook
সবাই একসাথে থাকবো।
আছি।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমিও আছি।
আছি, আজীবন।
প্রতিদিনই হোক ১৫ ই মার্চ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রতিদিনই হোক ১৫ই মার্চ।
ফুল-চন্দন পড়ুক। তাহলেতো বিবাহ বার্ষিকীর গিফট এর পয়সাটা বেঁচে যেত।
আগের বারও ছিলাম,এইবারও থাকবো আশা করি।যদিও এবার একটু ঝামেলার মধ্যে আছি,যতদুর পারি চেষ্টা করব।
ঝামেলার ইতি হোক।
ভারতীয় পণ্য ব্যাবহারের ক্ষেত্রে নিজে সচেতন হচ্ছি। আরও সুখবর হচ্ছে, সচেতনতা যে তৈরি হচ্ছে তা ছোট ভাই ও কাজিনদের মাঝেও দেখতে পাচ্ছি।
এটাই আমাদের সমবেত প্রচেষ্টার ফসল।
চলুন, আশাবাদী হই।
আজ ১৫ মার্চ।
শাফি।
জী। ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন