সপ্তদ্বীপ - বসুমতী
পুরাণ ঘেঁটে পাওয়া যায়, আদিতে পৃথিবী (আর্থ) সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। এগুলো হলো (১) জম্বুদ্বীপ, (২) লাক্ষাদ্বীপ, (৩) শ্যামলীদ্বীপ, (৪) কুশদ্বীপ, (৫) ক্রৌঞ্চদ্বীপ, (৬) শ্বকদ্বীপ ও (৭) পুষ্করদ্বীপ।
এগুলি আবার সাতটি সাগর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। সাগরগুলো আবার এক একটি এক এক ধরনের পদার্থ দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল, যেমন লবনাক্ত জল, ইক্ষুরস, সুরা, ঘি, দধি, দুগ্ধ এবং জল।
জম্বুদ্বীপ আবার সুদর্শন দ্বীপ নামেও পরিচিত ছিল। বলা হয় জম্বুদ্বীপ নামটি এসেছে জম্বুল (কালোজাম) গাছের নাম থেকে।
বিষ্ণুপুরাণে বলা হয়েছে, এই গাছের ফল ছিল হাতির ন্যায় বৃহদাকার। সেই পাকা ফল গাছ থেকে পাহাড়ের উপর পড়ে তার রস থেকেই জম্বু নদীর উৎপত্তি।
মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে জম্বুদ্বীপের উত্তর ও দক্ষিণ দিক ছিল নিচু ও অপ্রশস্ত। আর মধ্য ভাগ ছিল উঁচু ও বিস্তৃত। এই উঁচু ও বিস্তৃত অংশেই ছিল মেরু পর্বতের অবস্থান। মেরু পর্বতের ঠিক মধ্যিখানেই ছিল, ইলাবৃতবর্ষ। সুমেরুর পূর্বে ভদ্রাশ্ববর্ষ (চীনদেশ), পশ্চিমে কেতুমালাবর্ষ এবং দক্ষিণে ভারতবর্ষ। আবার তদ্দক্ষিণে হরিবর্ষ এবং উত্তরে কামাকবর্ষ। আরও উত্তরে হিরণ্ময়বর্ষ এবং তার পরে উত্তর কুরুবর্ষ।
আবার পুরাণের প্রাজ্ঞ ব্যাখ্যাকারগণ বলেছেন, "ভারতের উত্তরে হিমালয়। হিমালয়ের উত্তরে হেমকূট, তার দক্ষিণে কিম্পুরুষবর্ষ। হেমকূটের উত্তরে হরিবর্ষ। হরিবর্ষের উত্তর সীমা, নিষধ পর্ব্বত। নিষধের উত্তরে 'ইলাবৃতবর্ষ'। ইলাবৃতের উত্তরসীমা, নীলাচল। এই ইলাবৃতবর্ষ, এখনকার মধ্য এশিয়ার অন্তর্গত। আধুনিক পামির, পূর্ব তুর্কীস্থান, ইলাবৃতবর্ষের অন্তর্গত। এই ইলাবৃতবর্ষই হচ্ছে স্বর্গ।
পূরাকালে এই 'ইলাবৃতবর্ষ' অতি সম্বৃদ্ধ স্থান ছিলো। পরে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদনদী শুকিয়ে তথাকার সভ্যতা লুপ্ত হয়। আরও একটি কারণ, তেত্রিশ কোটি দেবতা! অর্থাৎ স্বর্গ অত্যন্ত জনাকীর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছিলো। অতএব ভারতবর্ষে আগমন। দেবগণ আধুনিক তুর্কিস্থান থেকে কাশ্মীরের পথে পাঞ্জাব হয়ে বিন্ধ্যাচলের উত্তরপ্রদেশ দখল করেন। তারপর বিন্ধ্যের দক্ষিণেও অগ্রসর হন। তাঁরা আস্তে আস্তে সারা ভারতবর্ষেই ছড়িয়ে পড়েছিলেন। যেমন, ইলাবৃতবর্ষ, কাশ্মীর, বিন্ধ্যোত্তর ভারত এবং দক্ষিণাপথ পর্যায়ক্রমে স্বর্গ, অন্তরীক্ষ, মর্ত্য, পাতাল নামে পরিচিত। ভারতীয়দের পূর্বপুরুষেরা প্রথমে কাশ্মীর বা অন্তরীক্ষে এসে বাস করেন তাই তার অপর নাম, পিতৃলোক।
এই মেরু পর্বতের উপরিভাগেই ছিল ব্রহ্মার রাজ্য ব্রহ্মপুরী। এই ব্রহ্মপুরী, আকাশগঙ্গা নামে একটি নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত ছিল।
আকাশগঙ্গার উৎপত্তি হয়েছিল প্রভু বিষ্ণুর পদতল থেকে। আবার এও বলা হয় স্বর্গ থেকেই আকাশগঙ্গার উৎপত্তি।
পরবর্তীতে আকাশগঙ্গা চারটি শাখায় বিভক্ত হয়ে পূর্ব দিকে সীতা, পশ্চিমে চক্ষু, উত্তরে ভদ্রা এবং দক্ষিণে অলকানন্দা নাম ধারণ করে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে।
প্রসঙ্গক্রমে এখানে আব্রাহামিক ধর্মমতের একটি বিষয় উল্লেখের লোভ সম্বরন করতে পারলাম না। এই অংশটি হিব্রু বাইবেলের 'তোরাহ' ('তাওরাত') অংশ থেকে উদ্ধৃত।
"এবং মহাপ্রভু ঈশ্বর ইডেনের পূর্বদিকে একটি উদ্যান সৃজন করিলেন এবং সেখানে তিনি মনুষ্যটিকে অবস্থিত করিলেন যাঁহাকে তিনি সৃষ্টি করিয়াছেন (আদিপুস্তক বা জেনেসিস ২:৮)। এবং ইডেন হইতে একটি নদী ঐ উদ্যানে জলসিঞ্চনের জন্য প্রবাহিত হইল। সেখান হইতে নদীটি চারটি ধারায় বিভক্ত হইয়া প্রথম ধারাটি 'পিসন' নাম ধারণ করিয়া, উত্তম স্বর্ণ, ডিলিয়াম ও অনিক্স পাথর সম্বৃদ্ধ সমগ্র 'হাবিলাহ' অঞ্চলকে বিধৌত করে। দ্বিতীয় ধারাটি 'গিহন' নাম ধারণ করিয়া একই রকম ভাবে সমগ্র ইথিওপিয়াকে জল দান করে। তৃতীয় ধারাটি টাইগ্রিস নামে পূর্ব আসিরিয়ার দিকে প্রবাহিত হয় এবং চতুর্থ ধারাটি হইল ইউফ্রেটিস (আদিপুস্তক ২: ১০-১৪)।"
এবার দেখা যাক, ইসলাম কি বলে,
ছহীহ হাদীস মুসলিম শরীফ থেকে উদ্ধৃত,
৹ মালিক ইবন সা, সা, আ(রা) থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর গোত্রের এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :.............এরপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বর্ণনা করেছেন যে, তিনি সিদরাতুল মুনতাহা (অথবা জান্নাতের)-র পাদদেশ থেকে চারটি প্রবহমান ঝর্ণাধারা দেখতে পেলেন। এর দুটি অভ্যন্তরে আর দুটি বাইরের দিকে প্রবাহিত। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে ভাই জিবরীল, এ ঝর্ণাধারাগুলোর তাৎপর্য কি? তিনি বললেন, অভ্যন্তরের নহর দুটি হচ্ছে জান্নাতের (একটি দুধের অপরটি মধুর)। আর বাইরের দুটি হলো, (ইরাকের) ফোরাত নদী ও (মিশরের) নীলনদ। অতঃপর আমার সম্মুখে 'বাইতুল মামুর'কে উন্মুক্ত করে তুলে ধরা হলো।
হাদীস নং - ৩২৪ এর অংশ বিশেষ, সহীহ মুসলিম, ১ম খন্ড। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, কাঁটাবন মসজিদ ক্যাম্পাস, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১০০০ কতৃক প্রকাশিত।
৹ আনাস ইবন মালিক (র) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর মিরাজ সম্পর্কে বলেন : আমার কাছে বোরাক আনা হলো। .....................অতঃপর তিনি (জিবরীল আ) আমাকে সঙ্গে নিয়ে 'সিদরাতুল মুনতাহা' পর্যন্ত পৌঁছলেন। (সীমান্তের মধ্যে কুলবৃক্ষ) দেখলাম উক্ত বৃক্ষের পাতা হচ্ছে হাতির কানের মতো বৃহৎ এবং ফল হচ্ছে বড় বড় মটকীর মতো ও পুরু। এমন অরূপ রংএ তা আবৃত, আল্লাহর কোন সৃষ্ট প্রাণীর পক্ষে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
হাদীস নং - ৩১৯ এর অংশ বিশেষ,সহীহ মুসলিম, ১ম খন্ড। বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, কাঁটাবন মসজিদ ক্যাম্পাস, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১০০০ কতৃক প্রকাশিত।
স্বর্গোদ্যানের অবস্থান নির্ণয় করতে গিয়ে আমেরিকার শিকাগো ইউনিভার্সিটির আর্কিওলজিস্ট জেমস হেনরি ব্রেস্টেড, তাঁর 'এনসিয়েন্ট রেকর্ডস অফ ইজিপ্ট' (১৯০৬ সালে প্রকাশিত) বইতে 'ফার্টাইল ক্রিসেন্ট' নামে একটি অর্ধচন্দ্রাকার উর্বর ভূখন্ডের উল্লেখ করেছেন, যা কিনা টাইগ্রিস, ইউফ্রেটিস বিধৌত মেসোপটোমিয়াকেই নির্দেশ করে।
আর 'পিসন' ও 'গিহন' নদী দুটির বিষয়ে বলা হয়, কালের গর্ভে নদী দুটি বিলীন হয়ে গেছে। আবার অনেকেরই ধারনা, এই নদী দুটি হচ্ছে, মিশরের 'নীল' ও ভারতবর্ষের 'গঙ্গা'।
এই 'ফার্টাইল ক্রিসেন্ট' ভূখন্ডটি 'উরুক পিরিয়ড'এ নগর সভ্যতার উন্মেসে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। সম্ভবত সে কারনেই ঐ সময়কে 'সভ্যতার শৈশবাবস্থা' বলেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
উরুক (হিব্রু - এরেখ), ছিল সুমের(পরবর্তীতে ব্যাবিলনিয়া) রাজ্যের একটি প্রাচীণ নগর। সুমের এর অবস্থান ছিল, ইউফ্রেটিস নদীর বর্তমান অবস্থানের পূর্ব দিকে।
সুমেরিয়ান মিথ ও সাহিত্য অনুসারে রাজা এনমার্কর উরুক নগর প্রতিষ্ঠা করেন। 'এনমর্কর এন্ড দ্য লর্ড অব আরাটা' কাব্যগাঁথায় পাওয়া যায়, রাজা এনমার্কর, দেবী ইনান্নার উদ্দেশ্যে উরুক নগরীতে 'এন্না টেম্পল' (হাউস অব হেভেনস) নির্মান করেন।
(উরুক পিরিয়ড : খ্রী: পূ: ৪০০০ থেকে খ্রী: পূ: ২৯০০)।
পুরাণের মিথের সাথে কিছুটা মিল থাকার কারনে এত কথা লিখলাম।
পুরাণকথায় ফিরে যাই,
ভারতবর্ষের পূর্ব দিকে বাস করতো 'কিরাত'এরা আর পশ্চিমে 'যবন'এরা।
এই পৃথিবী আবার ভূ-অভ্যন্তরে সাতটি অঞ্চলে বিভক্ত। (১) অতল - ময়পুত্র মহামায়ার রাজত্ব, (২) বিতল - হাটকেশ্বর হর , (৩) নিতল - বৈরোচন বলি, (৪) সুতল - অঙ্গ-বঙ্গ, কলিঙ্গ, (৫) তলাতল - ময় ত্রিপুরাধিপতি, (৬) রসাতল - দানবজাতি ও (৭) পাতাল - নাগজাতি। পুরাণের প্রাজ্ঞ ব্যাখ্যাকারগণ এমনটাই বলেছেন।
পুরাণ কাহিনী লিখতে গেলে এক জনমে শেষ হবেনা। এক মহাপুরাণই আছে ১৮টা। এর সম্মিলিত শ্লোকের সংখ্যা সাত লক্ষাধিক। আরও আছে, উপ পুরাণ, স্থল পুরাণ, কূল পুরাণ। আবারও আছে, বৌদ্ধপুরাণ, জৈনপূরাণ। তাছাড়া অতসব আমার জানাও নেই। আমার এ সীমাবদ্ধতা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আশাকরি। তাই পুরাণকথার এখানেই ইতি টানছি। ধন্যবাদ সকলকে, আমাকে উৎসাহ যোগানোর জন্য।
"ঝাঁপি খুলে একটি পুরাতন নোটবই পেলুম। তখনকার দিনে আমাদের দেশে ইন্টারনেটের সুবিধা ছিলনা। বই-পুস্তক ঘেঁটেই যা কিছু পাওয়া। কখন, কোথায়, কিভাবে এগুলো পেয়েছিলাম তা আর এখন মনে করতে পারিনা। তাই সূত্র জনাতে পারবোনা। ক্ষমা করবেন।"
মন্তব্য
এই মাল মানুষ বিশ্বাস করত নাকি? খাইছে
তবে দ্বীপের চারদিকে সুরার আইডিয়াটা ভালু, ইচ্ছা মতো নেমে গেলেই হলো আর আশেপাশে বড়দের দেখলেই ডুব দিয়ে ঢকাঢক
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
রায়হান আবীর ভাই পুরান সমূহ ছিল ইতিহাস গ্রন্থ। এখানে বর্ণনা এর বাড়ানো অভিব্যাক্তি থাকলেও তার আলাদা তাৎপর্য আর রূপক অর্থ ছিল, এই যে সুরা,লবনাক্ত জল, ইক্ষুরস, , ঘি, দধি, দুগ্ধ এবং জল এসবের মাধ্যমে আসলে বিভিন্ন তটরেখা আর তার মান(বসবাস কারী জাতি সমুহের ক্ষেত্রে) বোঝানো হয়েছে আর আগেকার হিন্দুরা ইডিয়ট ছিল না সেটা আমরা প্রমাণ পেয়েছি।
পুরান = সাহিত্য়। পুরানকে ইতিহাস বলতে যাওয়া শিশুসুলভ।
***
"আগেকার হিন্দুরা ইডিয়ট ছিল না"
'আগেকার হিন্দু' মানে ঠিক কোন জনগোষ্ঠীর কথা বলছেন আপনি? বেদ-পুরানে 'হিন্দু' বলে কোন জাতি-ধর্মের উল্লেখ আছে কি?
ইক্ষাকু বংশের পুরো ধারা কিন্তু পুরানে নিখুঁত ভাবে সংরক্ষিত ছিল এছাড়াও সে সময়কালিন আরয অনার্য টানাপড়েন ও ভালমতই বোঝা যায় পুরান পড়লে এজন্য এই সাহিত্যকে আমি ঐতিহাসিক সাহিত্যবলি কিছু ক্ষেত্রে
'ঠাকুর মার ঝুলি' ও 'লরড অব দা রিং' জাতীয় কেতাবে রাজকুমার, রাক্ষস, পরী ও ডাইনিদের বংশধারা বর্ণিত থাকে, শিশুরা সেইসব চরিত্রের ভেতরকার 'টানাপড়েন' আঁচ করতে পারে, কিছু শিশু সেইসব গল্পে এতটাই অভিভূত হয় যে এতে তাদের নিদ্রানষ্ট ঘটে থাকে। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কেরা জানে যে 'ঠাকুর মার ঝুলি', 'লরড অব দা রিং' 'আরব্য়রজনী' ও 'পুরান' ইতিহাসের অন্তর্গত নয়।
ধন্যবাদ, পড়বার জন্য।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
পুরাতন মন্তব্য় আবার, পৌরানিক ভারতবর্ষ আর আজকের ভারত গণরাজ্য় (রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া) এক বস্তু নয়।
যদি
(১) "ভারতবর্ষের পূর্ব দিকে বাস করতো 'কিরাত'এরা আর পশ্চিমে 'যবন'এরা" এই তথ্য় ব্য়াবহার করি, (২) 'কিরাত' বলতে আজকের উত্তরপ্রদেশ-নেপালের লোকদের ধরে নেই,
(৩) যবন বলতে গ্রীকভাষিদের ধরে নেই (গত্য়ান্তর নেই, কারন গ্রীকদের আসিরিয় ভাষায় বলা হচ্ছে ইওয়ানু, পারস্য়ে বলা হচ্ছে য়াভানু, হিব্রুতে বলা হচ্ছে য়াভান, আরবী-তুরকীতে বলা হচ্ছে ইউনানি) যাদের রাজত্ব পূবদিকে একদা আজকের পাটনাতক বিস্তৃত ছিল
তাহলে ভারতবর্ষকে উত্তরভারতের একটি সামন্তরাজত্ব বলা ছাড়া উপায় থাকেনা।
মহাভারতের কুরুরাজ্য় নিয়ে কিছু কথা এখানে আছে। এ বিষয়ে আপনার আগ্রহ আছে বলে ভাবলাম এই লেখাটি আপনার মনঃপুত হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ, লিঙ্কটার জন্য। জী হ্যা, বিভিন্ন ধর্মমত এবং মিথ বিষয়ে আমার দীর্ঘকাল যাবত বড়ই আগ্রহ।
ধন্যবাদ।
ইথিওপিয়া আর আসিরিয়া তাহলে ইডেন থেকে প্রবাহিত নদীর শাখা নদী দ্বারা বিধৌত?
'কিরাত' বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে? আর যতদূর জানি, মুসলিম জনগোষ্ঠিকে 'যবন' আখ্যায়িত করে থাকে অমুসলিমগোষ্ঠি আমাদের উপমহাদেশে। সেক্ষেত্রে আপনার উদ্ধৃত 'যবন' কাদের নির্দেশ করছে?
যবন শব্দের অর্থ মূলত ছিল গ্রিক এবং পশ্চিমা ভাষাভাষী ব্যাক্তিবৃন্দ ।আলেকজান্ডার এর বংশ ধরদের কে যবন বলা হত আর তাদের রাজ্যকে যবনরাজ্য বলা হত।
ধন্যবাদ, কাজি মামুন। আপনার প্রশ্নের জবাব, দুর্দান্ত আর অতিথী লেখকের কাছ থেকে মোটামুটি পেয়েই গিয়েছেন।
ভারতের পূর্বদিকে তখন কয়েকটি জাতিগোষ্ঠি বাস করতো, কিরাত, নিষাদ, দমিল ইত্যাদি। এরা তখনও কৃষিকাজ শেখেনি। পশু-পাখি ও মৎস শিকারই ছিল এদের জীবিকা। আর 'যবন' বলতে 'গ্রীক'দেরই বুঝানো হয়েছে।
আমার তো মনে হয় "পুরাণ কথা" এই পর্বে শেষ না করে অন্ততঃ আরো একটি পর্বে প্রসারিত হোক। সেখানে আসুক পুরাণ কথা নিয়ে লেখকের নিজস্ব অভিজ্ঞান ও উপলব্ধির সারাৎসার!
এই সংক্ষেপিত সংকলন নিঃসন্দেহে একটি শ্রমসাধ্য কাজ। সেজন্য লেখক ধন্যবাদার্হ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
জনাব রোমেল চৌধুরী, নিরন্তর উৎসাহ যুগিয়ে যাবার জন্য এবং আমাকে অতি মূল্যায়িত করবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখালেখির মানের দিক বিবেচনায় আমি একজন ছা-পোষা কেরানি গোত্রীয় লেখক। ফাইল-পত্র গুছিয়ে স্যারদের (পাঠকদের) টেবিল পর্যন্ত্য পৌঁছে দেওয়াই আমার কাজ ( সে কাজও সব সময় সঠিক ভাবে করতে পারিনে)। নোট-ফোট (মন্তব্য,বিশ্লেষণ) লেখা, সে তো স্যারদেরই কাজ।
সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।
সপ্তদ্বীপসমৃদ্ধ বসুমতীর যে বর্ণনা পাওয়া গেল সেটা দিয়ে কেউ কি একটা ম্যাপ আঁকতে পারবেন? তারপর সে ম্যাপটাতে নির্দেশিত বিভিন্ন জায়গাগুলোর কয়েকটার বর্তমান নাম উল্লেখ করে দিতে পারবেন? অনুরোধটা ওপেন রাখলাম। একই অনুরোধ জেনেসিসের বর্ণনার জন্যও রাখলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ, সময় দিয়ে পড়বার জন্য। আপনার মত পাঠকদের প্রতি আমারও একই অনুরোধ রইল।
আমার আবার আগে থেকে পড়তে হবে, ভুলে গেছি সব । তবে আপনার এই প্রচেষ্টার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানতে পারছি, যদি ও মনে রাখতে পারিনা আমি কিছুই।
ধন্যবাদ, আমাকে উৎসাহ যোগানোর জন্য।
এতো অল্পতেই শেষ করে দিলন ?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ, পড়বার জন্য। সেই কবে অখ্যাত সব লাইব্রেরী থেকে খুঁজে পেতে দু-চারটে বই পড়ে খেয়ালের বশে কিছু নোট রেখেছিলাম, সেগুলোই ঘসে-মেজে ভয়ে ভয়ে আপনাদের সমীপে উপস্থাপন করেছি। এখনকার প্রজন্ম বিভিন্ন বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখে। কখন, কোথায়, কার কাছে ধরা খেয়ে যাব, তাই মানে মানে কেটে পড়াই সঙ্গত নয় কি ?
আবারও ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
facebook
একগাদা
নতুন মন্তব্য করুন