হঠাৎই কেন যেন সেদিন সেই চাষীর বলা কথাটি মনে পড়ে গেল।
পড়ন্তবেলায় সুরকী বাঁধানো পথ দিয়ে রাজা মহাশয় সভাসদ সহ প্রাসাদে ফিরছিলেন। হঠাৎই ক্ষেতের মাঝে এক চাষী চেচিয়ে উঠলো, 'ওরে একটু হাত চালিয়ে, বেলা যে পড়ে এলো।'কথাটা রাজা মহাশয়ের বুকের মাঝে শেলের মতো বিঁধলো। চাষীটা হয়তো তার সাথীকে তাগাদা দিয়েছে, সাঁঝ হয়ে এলো বলে তাড়াতাড়ি কাজ সারতে। আর এই কথাটাই রাজা মহাশয়কে তাঁর জীবন সায়াহ্নের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। তিনি ভাবাবেগে আক্রান্ত হলেন। পথিমধ্যে তিনি আর একটি কথাও বলেন নি। পরদিন থেকে নাকি আর তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। লোকে বলে তিনি নাকি সন্যাস গ্রহণ করেছিলেন। সত্যমিথ্যা জানিনা। আমি শুধু কথার ভিতরকার ভাবটুকুই বুঝতে চেয়েছি।
ভাবের কথায় মনে পড়লো, কোথায় জানি পড়েছিলাম - প্রয়াগের এক উদলা গা জটাধারী সন্যাসী বলেছিলেন, 'সুখদুঃখটা কেমন জানিস? প্রয়াগে তীর্থ করলে, আর পকেট ভরে পুণ্যি নিয়ে গেলেই সব শেষ না। সুখদুঃখের মাপ জ্ঞানটা থাকা দরকার। পৃথিবীটাকে দেখে নিয়েছিস তো। আহ্, (তারেক অনুর) সেই দেখার কথা হচ্ছেনা, ঘরে বসে ভুগোল ম্যাপ নিয়ে নাড়াচাড়া করেছিস তো। সেখানে দেখেছিস না, পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। কেমন কী না। ওটাই হলো সুখদুঃখের ভাগ। তিন ভাগ জলের মতো দুঃখ, স্থলের এক ভাগ সুখ।'
পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। জীবনের তিন ভাগ দুঃখ, এক ভাগ সুখ। এটা কি দার্শনিকতা? বাংলার মাঠেঘাটে, গাছতলায় মানুষের মুখে মুখে এমন অনেক কথার জন্ম হয়। এখন বোঝ হে কথা, যে জান সন্ধান।
তথাপি মনে একটা খটকা, প্রাণের মাঝে ধন্দের দোলা। কেবল যে বাংলার কথাই বলছি, লাঙ্গলবন্দের স্নানের ঘাট কী প্রয়াগের সঙ্গমে নেই? প্রয়াগের গাছতলা প্রাগে? অথবা প্রাগের ঘাট সাইবেরিয়ায়? বঙ্গপোসাগরের কূলে কিংবা অতলান্তিকের বেলাভূমে? সত্যি মিথ্যা জানিনা। অবুঝ মন বলে আছে। আর সেখানেও ঐ শ্রেণীর মানুষও আছে, যাঁরা নিত্যি-নতুন দর্শন-কথার জন্ম দেয়।
আর আমি বলি, সুখ থাকে দুঃখের কুন্ডলীতে। সামান্য জীবনকালের কয়েকটি স্বপ্নময় মুহূর্তমাত্র। এই দুঃখের মাঝ থেকেই হঠাৎই একটুখানি সুখ ছলকে ওঠে। সেগুলোকেই আঁকড়ে ধরে জীবনটা পার করে দিন। আশপাশে তাকিয়ে দেখুন, অন্যদের চেয়ে আপনি সুখী।
ইদানিং আমার বড্ড ইচ্ছে হয়, সনাতন ধর্মের 'পুনর্জন্ম' তত্ত্বে বিশ্বাস করতে। পরিচিতজনেরা অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, জন্ম একটি মুসলিম পরিবারে, ধর্মকর্মে কখনও আগ্রহ ছিলনা, প্রধান প্রধান পরবগুলো শুধুমাত্র সামাজীক কারনে পালন করা এ বেটা এখন বলে কি!
বলি কী আর সাধেরে ভাই। 'আমার সাধ না মিটিল / আশা না পুরিল, এ জীবনে কত কিছুই দেখার বাকি, জানার বাকি, করার বাকি। বুঝে উঠবার আগেই তো দেখছি জীবনটা শেষের পথে। জন্মের পর থেকে কেমন যেন এলোমেলো ভাবেই জীবনটা পার হয়ে গেল। কোথা দিয়ে কেমন করে এতটা সময় পার হয়ে গেল, টেরই পেলাম না। আগে বুঝিনি, জীবনটা এত মূল্যবান। তাই আরেকটি মানব জনম বড্ড প্রয়োজন।
হুহু, এখনতো বুঝে গিয়েছি জীবনের অর্থ। পরের বার আর এমনটি হবেনা। শুরু থেকেই জীবনের একটা ছক কেটে নেব। সেখানে নির্দিষ্ট করা থাকবে, কোন বয়সে কতদিন পর্যন্ত 'তারেক অনু'কে অনুসরণ করা হবে, কতদিনই বা 'উচ্ছলা'র রন্ধন প্রক্রিয়া শিক্ষায় ব্যয় হবে, থাকবে 'তাসনীমের' শিশুপালন বিষয়ক শিক্ষার ঠিকুজিও। থাকবে হান্দায়ে দেবার সুনির্দিষ্ট সময়ের নির্দেশও। আরও থাকবে- দাড়ান, দাড়ান, হঠাৎই সচল সজলের একটা মন্তব্যের কথা মনে পড়ে গেল। সত্যিইতো তখনও কি পার্থিব বিষয়াদি থাকবে না কি মাঙ্গলিক! অর্থাৎ তখন মানুষ পৃথিবীতে বাস করবে না কি মঙ্গল গ্রহে?
থাক আপাতত ছক কষে আর কাজ নেই। সে না হয় পরেই দেখা যাবে। বরং আসুন দেখি, সনাতন ধর্মে 'পুনর্জন্ম' তত্ত্বের উদ্ভব হলো কি ভাবে আর এই তত্ত্বে কি বলছে।
বৈদিক যুগের একটা সময়ে ( সময়কালটা ধরা হয়- ৭০০ খ্রীঃ পূঃ থেকে ৬০০ খ্রীঃ পূঃ এর মধ্যে ) বর্ণাশ্রম প্রথার কারনে সাধারণজন যেমন, শিল্পী, কৃষক, কর্মকার, দাসদাসী এদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এই সময়ে কিছু জ্ঞানী ব্যক্তি ও শ্রমণেরা বিভিন্ন স্থানে সাধারণজনের মাঝে যুক্তি উপস্থাপন পূর্বক মত প্রকাশ করতে থাকেন যে, "তুমি, তোমার পরিশ্রমে কষ্টার্জিত ফল অন্যকে ভোগ করতে দিয়ে নিজে কষ্ট করছো। ওরা তোমাকে বিশ্বাস করাতে চায় যে, তুমি কষ্ট ও ত্যাগ করলে মরে গিয়ে স্বর্গে যাবে। কিন্তু কেউ স্বর্গে মৃত জীবকে সুখভোগ করতে দেখেনি।" আরও এবংবিধ কথাবার্তা।
এসব কথা শুনে এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে সাধারণজনেরা বৈদিক যুগের প্রচলিত প্রথা সমূহ যেমন, মন্ত্র, যপ, দান, হোম, যজ্ঞ, প্রায়শ্চিত্ত প্রভৃতি ক্রিয়াকর্ম সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করতে শুরু করে।
এমতাবস্থায়, রাজানুগ্রহে এবং সামন্তবর্গের সহায়তায় স্বার্থান্বেষী ব্রাহ্মণ পুরোহিতগণ নতুন এক ধর্মমত উপস্থাপন করেন। 'ব্রহ্মবাদ' ও 'পুনর্জন্মবাদ'।
'ব্রহ্মবাদে' নিরাকার একেশ্বরের ধারনা প্রচার করা হয়। আর 'পুনর্জন্মবাদ' বা 'জন্মান্তরবাদ', জন্ম-মৃত্যু-পুনর্জন্ম এই ধরনের একটি চক্রে আবদ্ধ।
'পুনর্জন্মবাদে' বলা হয়, "পুন পুন জন্মগ্রহণ করে সৎকর্ম দ্বারা পাপক্ষয়ের মাধ্যমে পূণ্যার্জন করে উচ্চকুলে জন্ম সম্ভব।"
আর "এ সসারে উঁচু-নিচু ভাব, ছোট-বড় জাতি, ধনী-নির্ধনের প্রভেদ, বর্তমানে হীনকুলে জন্মের কারন, তা'হল পূর্বজন্ম কৃত ফল।"
আমি এখন এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎকর্ম করার প্রতিজ্ঞা করছি, যাতে আরেকটি মানব জনম পেতে পারি, আর একটি উচ্চকুলে, নিদেনপক্ষে একটি প্রভাবশালী সচ্ছল পরিবারে জন্মগ্রহণ করতে পারি। আপনারাও সৎকর্ম করুন যাতে আবার আপনাদের সাথে 'সচলায়তনে' যোগাযোগ হয়, তা সে এই পৃথিবীতেই হোক অথবা মঙ্গলগ্রহে।
পরিশেষে বলি, মানব জনম কিন্তু একটাই। আপনার পুঁজিও এই একটা জীবনই, কাজেই ভেবেচিন্তে, বুঝেশুনে খরচ করবেন।
মন্তব্য
হা হা হা এ ভাবেই ধর্মাবতার হয়ে গেলেন আপনি। আমার বাচ্চা-কাচ্চা সাবলম্বী হয়ে গেলে একটা কালাসনিকফ কিনব।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
হাহা, বেহেশতে যাবার আশায় তো! দেখেন, সেখানে গেলে কি পাবেন-
'মুহাম্মদ ইবন মুতাকিল (র)...... আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ বলেছেন, 'জান্নাতে প্রথম প্রবেশকারী........। সেখানে তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের; তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের ধুনুচীতে থাকবে সুগন্ধ কাঠ। ...........। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দুজন স্ত্রী থাকবে যাদের সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার হাঁড়ের মজ্জা দেখা যাবে।.........।'
হাদিস নং-৩০১৮, ৫ম খন্ড বুখারী শরীফ, ইসলামিক ফাউন্ডেসন, বাংলাদেশ কতৃক প্রকাশিত।
স্বর্ণের পাত্র থেকে পান না করে আমি বোতল থেকেই বিয়ার খেতে পচ্ছন্দ করব হয়তো। তবে ধরাধামে স্বর্ণ পেলে মন্দ হত না।
"তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দুজন স্ত্রী থাকবে যাদের সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার হাঁড়ের মজ্জা দেখা যাবে।.........।'"
তা হলো তো মুস্কিল। সেই সব, কী বলব পচাগলা স্ত্রী দিয়ে কী করব?
যাই হোক লেখাটা বেশ লেগেছে। আমি হিন্দু ধর্মের বর্ণ প্রথা নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাই। যে কোন ধর্ম/ইতিহাস সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানেন। আমাকে কিছু বইয়ের নাম দিলে খুব ভাল হয়। বিষয়টা সম্পর্কে জানি অল্প। কিন্তু লিখতে প্রায় সবটা জানতে হয়। যদিও লেখায় তার সামন্য অংশই ব্যবহার হয় সাধারণত।
ধন্যবাদ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অতীব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, এখন আপনাকে সাহায্য করার মত কোন ধারনা আমার নেই। সে অনেকদিন আগে, প্রায় ৩০-৩৫ বছর পূর্বে এসব বিষয়ে আগ্রহের কারণে বিভিন্ন লাইব্রেরী ঢুঁড়ে, মসজিদ-মন্দিরের কালেকশন থেকে খসড়া নিতাম। বাসায় এসে সেগুলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে নোটবইতে লিখে রাখতাম। কিছু বইও অবশ্য যোগাড় করেছিলাম। কিন্তু সে সব বই আর এখন আমার কাছে নেই। নির্দিষ্ট কোন বইয়ের নামও এখন বলতে পারবোনা।
একটা কথা বলি, অবশ্য এটা একেবারেই ব্যক্তিগত মত, বউ হাতছাড়া হয়ে গেলে তা হয়তো আবার কখনও ফেরত আসতে পারে, কিন্তু একখানা ভাল বই হাতছাড়া হয়ে গেলে তা আর কখনই ফেরত পাওয়া যায়না।
ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
আমি হিন্দু ধর্মের বর্ণ প্রথা নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাই। লেখা পড়তে চাই।
একটা বিষয়, আর্য’রা আসার আগে ও পরে সনাতন ধর্মের যে রুপান্তর প্রক্রিয়া এই নিয়ে আমার পড়াশুনো করার বিস্তর আগ্রহ। কেউ কোন রেফারেন্স দিতে পারবেন?
দারুণ!
গোল পৃথিবী (অথবা গোল মঙ্গলগ্রহ), দেখা হয়ে যাবে একদিন ঠিক
..................................................................
#Banshibir.
হ্যাঁ, দেখা হয়ে যাবে একদিন ঠিক এবং তা এই পৃথিবীতেই।
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন।
কি বিশ্রী চিত্রকল্প! হাঁড়ের মজ্জা দূরে থাক, পরিপাকতন্ত্র দেখা যাবে ভাবতেই বমি আসছে।
বেশ, আপনার জন্য নাহয়, হাজ্জাজ ইবন মিনহাল (র)......... আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস আশকারী (রা) থেকে বর্ণিত, নবী বলেছেন, '(জান্নাতে মু'মিনদের জন্য) গুণগত মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতার দৈর্ঘ ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোনে মু'মিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনও দেখেনি।'........।
হাদিস নং-৩০১৬, বুখারী শরীফ (৫ম খন্ড), ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কতৃক প্রকাশিত।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
..................................................................
#Banshibir.
পীর সাহেবের এরকম গড়াগড়ি দিয়ে হাসাহাসি ঠিক না। হাহাহা।
সৎকর্ম করার জন্য উদ্ধুদ্ধ করতে স্বর্গের অথবা উচ্চতর পরজন্মের দোহাই দেবার দরকার নেই। কারণ, নরকের ভয় অথবা পরজন্মে নীচ জন্মের ভয় মানুষকে অপকর্ম হতে বিরত রাখতে পারেনি। কোন ঐশ্বরিক গ্রন্থ সমর্থণ করুক বা না করুক, মানুষের জীবন একটাই। এই এক জন্মে মানুষ সৎকর্ম করবে করবে কোন্ যুক্তিতে? কারণ, অন্য অনেকের সৎকর্মের ফল ভোগ করে সে যে ঋণে ঋণী হয়েছে তার পরিশোধের নিমিত্তে এবং তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শ্রেয়তর ভবিষ্যত নির্মাণের লক্ষ্যেই তাকে সৎকর্ম করতে হবে। এর অন্যথা করে কেউ যদি হীন জীবন যাপন করতে চায় তা সে করতে পারে। জীবনে সবার লক্ষ্য এক নয়, হতে পারে না। একমাত্র মানুষই পারে নিজের জন্য বিধি সৃষ্টি করতে এবং সেই বিধি অনুযায়ী চলে সভ্যতাকে সামনে এগিয়ে নিতে। মানুষের শ্রেষ্ঠত্বটা এখানে। ঐশ্বরিক বিধান এখানে প্রয়োজনীয় নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ্যাঁ, আপনার সাথে ঐক্যমত্য পোষণ করেই বলছি, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই সৎকর্ম করা প্রয়োজন। এ পৃথিবীতে নিজেরা ভাল থাকতে হলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভাল রাখতে হলে, এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য রাখতে হলে সৎকর্ম অবশ্য প্রয়োজন। আর এও জানি, মনুষ্য জীবন একটাই।
ধন্যবাদ, সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।
আমার বাসা থেকে দশ মিনিটের হাঁটা পথ পেরুলে সমুদ্র। স্থানীয়ভাবে 'দইজ্জার/দইরগার পার' নামে ঢাকা হয়। ওখানে জেলে পেশার মানুষরা একটা গান গাই- 'আমরা হুদাই আইছি, হুদাই আবার নাই হয়া যামু...'।
এজন্যই জীবন হয়ত এত রুটিন, নিয়মের বালাই করে না। আর হা-হুতাশ মানুষের জীবনে থাকবেই।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
বাহ্, এওতো এক ধরনের দার্শনিকতা।
হ্যাঁ, এটাই জীবনের স্বভাবিক নিয়ম। বুঝিতো।
ধন্যবাদ, িস্তারিত মতামতের জন্য। ভাল থাকবেন।
ভাল লেগেছে। চিন্তার খোরাক পেলাম। আমার বরাবরি পুনর্জন্মে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, মনে হয় আবার যদি ফিরে আসতে পারতাম।
চিন্তা করতে থাকুন। তারপরও মনে রাখবেন, জীবন কিন্তু একটাই।
জীবন এত ছোট ক্যানে!
facebook
জীবন এত ছোট্ট ক্যানে!
খুব অদ্ভুত এই যে আমি এই মুহুর্তে কবি বইটিতে চোখ বুলাচ্ছিলাম ..
সেই মানব জনম একটাই!!
জী, মানব জনম একটাই।
তাইরে নাইরে নাইরে গেল সারাটা জীবন...
ধুর- তাইরে নাইরেই ভাল
তাইরে নাইরে না......
ধন্যবাদ।
পরকালের চিন্তায় সৎকর্ম করতে আমি একদমই নারাজ, ওসব নিজের তাগিদে করতে হয়।
একটা বিষয় ভাবুন ভাইয়া, পুনর্জন্ম নিয়ে ভাবতে ভাবতে, পরবর্তী জীবনে পশুকুলে জন্ম না নেয়ার কিংবা উচ্চ-বংশে জন্ম নেয়ার তাগিদে তখনকার মানুষগুলো যেমন জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে বেঁচে ছিল এখন যেমন ধান উঠলেই একজন মেহনতি কৃষক ধান ভর্তি ডালা নিয়ে ছুটে যায় গদ্দিনশীন পীর কিংবা পুরোহিতের কাছে...
সাধারণ মানুষের সরল বিশ্বাস এর উপর মনে হয় পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি বাজি ধরা হয়েছে, করা হয়েছে সবচাইতে বৃহৎ অনিষ্ট, অপকর্মগুলো।
শুধুমাত্র ধর্মের দোহাই দিয়েই বঞ্চনা সম্ভব এবং সারা পৃথিবীতে সেটাই চলছে।
ভুল, আপনাকে চিনের বিপ্লবকে ঘিরে তৈরী করা একটি চলচিত্র "To Live" দেখার অনুরোধ রইলো .. সেখানে মাওবাদ কি করতে পারে সেটা বলা হয়েছে .. আসলে মানুষের স্বকীয়তা, স্বাধীনতা খর্ব করে অপরের উপর খবরদারি করা সকল সমস্যার উত্স ..
সহমত।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
পুনর্জন্মের ধারণাটা আমার কাছে খুব অসাড় মনে হয় না। এই জন্মে যে আপনি হেটে চলে বেড়াচ্ছেন, আপনার দেহ, মস্তিষ্ক একটা নির্দিষ্ট ছকে বাধা অণু পরমাণুর সমষ্টি বৈ তো নয়। আরও গভীরে তরঙ্গ কণার সম্পর্ক ধরলে বলতে হয়, আপনি কিছু শক্তির সমষ্টি রূপ মাত্র। যখন মরে পচে গেলে যাবেন, সেই অণু পরমাণু, ইলেক্ট্রন নানাভাবে পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে, হয়ত অন্য কোন প্রাণের শরীরে গিয়ে সমবেত হবে, সেটাই কি আপনার পুনর্জন্ম নয়? হতে পারে সেটা গাছ, মাছ, পাখি, বাতাস বা চুরাশি লক্ষ জন্মের কোন এক জন্মে মানুষের আকারে?
ফেসবুকের অনেক আব্জাব শেয়ারের মাঝে কোথাও একটা এই টাইপ বাণী দেখেছিলাম, " When someone dies, it doesn't mean he's gone, he's just less organized".
পরজন্মে আমি গাছ হতে চাই, প্রজাপতি, মৌমাছি, মেঘ, নদী, মাছ, বালু সব হতে চাই, কিন্তু আর মানুষ হতে চাই না।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ধন্যবাদ, বিস্তারিত মতামতের জন্য।
চাইলেই কি সব পাওয়া যায়? তবুও বলি, আপনি যেন পান।
দারুণ লাগলো।
কষ্ট করে পুনর্জন্মে যাবার দরকার কি বস? সবাই মিলে স্বর্গে গিয়া একসাথে হৈ হল্লা করুম নে। আমি সহজে স্বর্গপ্রাপ্তির জন্য একটা একটা টিউটোরিয়াল লিখতেছি, কিভাবে স্বর্গে যাবেন / How to go to heaven (without trying very hard) । ওইটা ফলো করলেই মনে করেন আমরা সচলের সবাই একসাথে দিব্যি গরগরিয়ে স্বর্গে চলে যাবো
আমার বাপের একখান থিওরী আছে, সে নিজে ধর্ম কর্মের খেতা পুড়লেও আম্মারে কষে ধর্ম কর্ম করতে উৎসাহিত করে, কারণ "সতী নারী বেহেশতে সঙ্গী হিসেবে পাবে তার স্বামীকে।"
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আপনার আব্বাতো ভাল একটা ফন্দি এঁটেছে। ফোকটে বেহেশতে যাবার ভাল একটা ফিকির!
আপনার আব্বাকে সেলাম।
স্বর্গে এখন সুখ নাইরে ভাই। স্বর্গ এখন জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ। নানাবিধ ঝামেলা। সেই কবেইতো তেত্রিশ কোটি দেবতার স্থান সংকুলান না হবার কারনে অনেক দেবতারা ভারতবর্ষে চলে এসেছিলেন। খবর পাইছি, অবস্থা এখন আরও খারাপ।
ভাল থাকুন।
এ সম্পর্কে সাম্প্রতিক দেখা একটি সিনেমার ভাষ্য না দিয়ে পারলাম না ..
"I am Jaguar Paw, son of Flint Sky. My Father hunted this forest before me. My name is Jaguar Paw. I am a hunter. This is my forest. And my sons will hunt it with their sons after I am gone. " - Apocalypto movie
উপরের এ কথাটি ভবচক্রের সহজ ব্যাক্ষা ..
পুনশ্চ, জন্মান্তর বা পুনর্জন্ম এই ভারতবর্ষের কেও প্রথম ভেবেছে তা বলা কঠিন, বিচ্ছিন্ন সভ্যতার মাঝেও এই একই চিন্তাধারা দেখতে পারা যায় ..
আর ইসলামে বর্ণিত পুনর্জন্ম কথাটিকে এবং স্বর্গাবর্ননাকে আমার ইউটোপিয়া বলে বিশ্বাস হয় .. আমি কোনো অবমাননার মনোভাব থেকে একথাটি বলিনি ..
পরমার্থ, অ্যাপোক্যালিপ্টো সিনেমার ওই সংলাপে জন্মান্তর বা পুনর্জন্ম কই আছে বুঝলাম না । জন্মান্তর, বিশেষত কর্মফল একটি ছাগু ভাবনা। নিম্নবর্ণকে সারাজীবন সুবোধ নিম্নবর্গ করে রাখাই এই ভাবনার প্রধাণ উপযোগীতা।
১- "My Father hunted this forest before me."
২- "I am a hunter."
৩- "And my sons will hunt it with their sons after I am gone."
এখানে তিন পুরুষের মাঝে একই ভাবে তাদের জীবিকা আর মনন আবর্তিত হচ্ছে .. এটি হচ্ছে মানুষের কালোত্তীর্ণ জ্ঞান এবং তার আবহে এগিয়ে যাওয়ার বর্ণনা .. উপরে বর্ণিত মানুষের জীবনের আবর্তনকে যাকে বুদ্ধদেব ভবচক্র বলেন .. পুনর্জন্ম এবং জন্মান্তরবাদ মুটামুটি কাছাকাছি একটি তত্ত্ব .. এ তত্ত্ব কেও উদ্ভাবন করেনি এটি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম, যা মানুষ বিশ্লেষণ করেছে ..
আর আপনার সাথে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম না .. সব কিছুই ভালো ভাবলে ভালো মন্দ ভাবলে মন্দ .. আপনি শিশুকাল থেকে একে মন্দভাবে দেখে তাকে মন্দ ভাবছেন .. অন্য ধর্মকে মন্দ বলা ধর্ম প্রচারের হাতিয়ার ..
পাহাড়ে শিক্ষার প্রসার কম, একথা বললে বাস্তবতাকেই বোঝানো হচ্ছে .. সেখানে শিক্ষা একটি জরুরি বিষয় .. মাদার তেরেসা এদেশে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে বলেন "How do you love them if you judge them" .. এখানে তিনি মানুষে মানুষে বিভেদকে উস্কে দিয়ে ধর্মপ্রচারের চেষ্টা করেছেন .. উনি মানুষের উন্নতি চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ায় মন দিতেন কোনো ধর্ম প্রচারের বাইরে থেকে .. আমাকে গারো ভেবে তো আমাকে নিয়মিত বয়ান আর যিশুর বানীসমৃদ্ধ ইমেইল প্রেরণ শুরু করেছেন তার অনুসারীরা .. কোনো মতবাদ বা দর্শন পড়ে দেখতে পারে প্রয়োজনে কিন্তু এজন্য ধর্মান্তরিত হতে হবে কি কারণে ?
আমি নিজে ব্রাহ্মন নই .. এদেশে মানুষেরা অতীতে ছোট ছোট গ্রামে বিভক্ত ছিল .. কোনো নগর সভ্যতা ছিল না, একারণে পূর্বে এদেশের মানুষদের ঢালাওভাবে শুদ্র বলা হয় .. এটি একটি ঘৃণার উত্স, এটি আত্মগ্লানির সৃষ্টি করে .. কিন্তু ভেদাভেদ মন্দ যদি তবে বাঙালি বলে নাচ কেনে ? বিচিত্র জাতির বিচিত্র আচার দেখেছ কি নয়নে ! ..
এত কিছুর পরও আমার পুনর্জন্মকে সহজ আর স্বাভাবিক একটি জীবনবোধ মনে হয় ..
এত কিছুর পরও আমার ইসলামের কিছু কিছু বিষয় ভালো মনে হয়, আমি বিশেষভাবে কিছু বলতে চাই না কারণ এতে আমি কোনো অবমাননার ফাদে পরে যেতে পারি ..
নিজের ছুটি, পূজার ছুটি, ঈদের ছুটি মিলিয়ে বেশ ক'দিন গ্রামে নেটবিহীন থাকায় আপনার কমেন্ট দেখতে এবং জবাব দিতে দেরী হয়ে গেলো। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
জ্বী না। সবকিছুই ভালো ভাবলে ভালো, খারাপ ভাবলে খারাপ না। সবকিছু এরকম সাবজেক্টিভ ভাবে দেখা যায় বলে মনে হয় না। দ্বিতীয়ত আপনি ধরেই নিচ্ছেন আমি ছোটবেলা থেকেই এটাকে মন্দভাবে দেখে আসছি এবং অন্য ধর্মের লোক হওয়ায় এই মতবাদকে খারাপ বলছি! এই অপ্রয়োজনীয় অনুমানের কারণ কী? আমাকে শিশুকাল থেকে এই মতবাদকে সত্যি বলে শেখানো হয়েছে এবং অন্ততঃ ১৪-১৫ বছর পর্যন্ত এটাকে সত্যি বলেই ভেবে এসেছি। আমার এই ব্যক্তিগত তথ্য অপ্রয়োজনীয় হলেও এখানে উল্লেখ করলাম এটা দেখানোর জন্য যে আপনার এই ধরণের অনুমান শুধু অপ্রয়োজনীয়ই নই, অনেকসময় ভ্রান্তও বটে। আপনি সরাসরি আমার বক্তব্যের বিরোধীতা করতে পারতেন কিংবা আমাকে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে বলতে পারতেন। আমি ছোটবেলা থেকে মন্দ ভাবছি না বড় হয়ে মন্দ ভাবছি তা জানার দরকার কী?
এই মুভি সংলাপের ব্যাপারে আমার ব্যাখ্যা খুবই পার্থিব। এখানে একটি ভুখন্ডের পর বংশানুক্রমিক মালিকানা দাবি করা হয়েছে এবং আপনি যে বললেন 'এখানে তিন পুরুষের মাঝে একই ভাবে তাদের জীবিকা আর মনন আবর্তিত হচ্ছে' তা ঠিক কিন্তু আপনি এখানে ' মানুষের কালোত্তীর্ণ জ্ঞান এবং তার আবহে এগিয়ে যাওয়ার বর্ণনা' কোথায় পেলেন? আবর্তিত হওয়া মানে তো একই জায়গায় ঘোরা (তিন পুরুষ ধরে) এগিয়ে যাওয়া না তো! কিন্তু এর থেকেও বড় প্রশ্ন হলো আপনি এখানে জন্মান্তর আর পূনর্জন্ম কোথায় পেলেন? আগের জন্মের কর্মফলের কারনে পরের জন্ম নির্ধারণ হওয়ায় তো জন্মান্তর, নাকি? জন্মান্তর আর কর্মফলের ধারণার মধ্যে পুরুষানুক্রমিক কিছু নেই যদিও এর সুবিধা আর দূর্ভোগ পুরুষানুক্রমিক। আর হ্যাঁ, এটা মোটেও প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম না, মানুষ শুধু এটা বিশ্লেষণই করেনি, এটা বানিয়েছেও মানুষ। মানুষ অমিত প্রতিভাবান!
আপনার মন্তব্যের বাকী অংশ আমার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হইছে।
একটি চাকা ঘুরলে সামনে যাবে, এই রথযাত্রাকে আপনার স্থির মনে হচ্ছে .. সে জন্য বলা, এই বিষয়টি আপনার বিচারের ঊর্ধে .. আমি আপনার মধ্যে স্পষ্ট বিদ্বেষ এবং আপনার কথায় ছাগু গালি-ভূষণ দেখতে পাচ্ছি .. আপনার হিংস্রতার কাছে বাক্যালাপ বনগরুর সামনে গিয়ে দৌড়ানোর মত, আর অমিত রাখল বালক নই .. আপনার উপরের কথায় কোনো যুক্তির চিহ্নমাত্র নেই .. একই কথার পুনরাবৃত্তিতে লেখা একটি বিদ্বেষ গদ্য ..
দুষ্কর্মকে ঘৃনা করুন, ধারনাকে নয় ..
পরমার্থ ইজ অন ফায়ার এগেইন !! গুরু এতদিন কোথায় ছিলেন ???
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"বংগবীর আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, তুই থাম।"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
♪♫ এমন মানবজমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহা! এ সুর প্রাণের কোথায় যেন বাজে। সুরে ডাক দিয়ে যায়।
কাল কাটালি কালের বশে, কোন কালে তোর্ হবে দিশে !
এই গানটি প্রাসঙ্গিক হতে পারে , দারুন গান .. গানটি শুনতে একটু গুগল করে নিতে পারেন ..
Some folks are born silver spoon in hand,
...
...
It ain't me, it ain't me, I ain't no millionaire's son, no.
It ain't me, it ain't me; I ain't no fortunate one, no.
নতুন মন্তব্য করুন