সময়টা সম্ভবত ১৯৬৪ সালের শেষাংশ। দক্ষিণ বঙ্গের খুলনা শহর। আমরা তখন ২০-২৫ জন ছাত্র, স্কুলের ছুটির পর আবার কোন কোন দিন টিফিন পিরিয়ডের সময় রাস্তায় মিছিল করতাম। আমাদের নেতা কিন্তু আমাদের স্কুলের ছাত্র ছিলেন না। তিনি আমাদের স্কুলের সিনিয়র ছাত্রদের সাহায্যে কিছু ছাত্র যোগাড় করে মিছিলের নেতৃত্ব দিতেন। আমরা বিভিন্ন মহল্লায় সরু সরু রাস্তায় মিছিল করতাম। মিছিলের পুরোভাগে থেকে নেতা শ্লোগান দিতেন, 'ভোট ফর - আমরা সমস্বরে চেঁচিয়ে বলতাম, 'ফাতিমা জিন্নাহ।' 'ভোট ফর - ফাতিমা জিন্নাহ।' 'ভোট ফর - ফাতিমা জিন্নাহ।' ব্যাস, এই ভাবে হয়তো এক-দুমাইল প্রদক্ষিণ করে আমাদের মিছিল শেষ হয়ে যেত। তারপর আমরা যার যার গন্তব্যে চলে যেতাম।
আমরা কিন্তু তখন এ সবের তাৎপর্য বুঝতাম না। আমাদেরকে এটা বোঝানো হয়েছিলো যে, আমরা যেটা করছি সেটা দেশের মঙ্গলের জন্য। আর তাইতেই আমরা খুশী। বাব্বা, এই বালক বয়সেই আমরা দেশের জন্য কাজ করছি! আমাদের ভিতর এক ধরণের গর্ববোধ কাজ করতো।
আর এভাবেই ধীরে ধীরে আমার ছাত্র রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
এক্ষণে কিঞ্চিৎ ইতিহাস আলোচনার প্রয়োজন বোধ করছি।
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর অর্থাৎ হিন্দুস্তান-পাকিস্তান হবার পর প্রথম গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর অকাল মৃত্যু এবং পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নওয়াবজাদা লিয়াকত আলী খান আততায়ীর হাতে নিহত হবার পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি শুন্যতার সৃষ্টি হয়। এই সময়কালে ১৭ অক্টোবর ১৯৫১ সাল থেকে ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেন, খাজা নাজিমুদ্দিন, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী, চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, হুসেন সহীদ সোহরাওয়ার্দী, ইব্রাহিম ইসমাইল চুন্দ্রীগড়, ফিরোজ খান নূন প্রমুখ। এ থেকেই বোঝা যায় সে সময়টায় পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটি অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিরাজ করছিল।
১৯৪৭ পরবর্তী পাকিস্তানের রাজনীতিতে ছিল একক মুসলিম লীগের প্রাধান্য আর ব্যক্তিবিশেষের ই্চ্ছাধীন। গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুর পর প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের আগ্রহে তুলনামূলক কম জনপ্রিয় কিন্তু লিয়াকত আলী খানের চামচা খাজা নাজিমুদ্দিনকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় গভর্ণর জেনারেল হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
লিয়াকত আলী খান নিহত হবার পর খাজা নাজিমুদ্দিন নিজেই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে গভর্ণর জেনারেলের পদ ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে গভর্ণর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ, অসাংবিধানিক ভাবে খাজা নাজিমুদ্দিনকে বরখাস্ত করে বগুড়ার মোহাম্মদ আলীকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেন।
নীতিগতভাবে পাকিস্তানে সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও সকল ক্ষমতা কেন্দ্রে গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতেই কুক্ষিগত হয়ে পড়ে। কেন্দ্রে কোনরূপ নির্বাচন ছাড়াই মাত্র ৭৯ জন সদস্য নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রদূত ইত্যাদি পদের নিয়োগ প্রদান করেন। দেশে একটি সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র গড়ে ওঠে এবং এদের মাধ্যমেই সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়।
এই সময়কালের মধ্যে মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদ থেকে পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় নেতাদের সরিয়ে দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। যাঁরা পশ্চিমাদের পা-চাটা ধামাধরা তাদেরকেই শুধু কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পরে ১৯৫৪ সালে প্রথমবারের মত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন হয়।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের কার্যকারনে বাঙালিদের মধ্যে একটি জাতীয়তাবোধ জন্ম নিয়েছিলো এবং সময়ের সাথে সাথে সেই চেতনা আরও দৃঢ়তর হয়েছিলো। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারাও বাংলার জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, পশ্চিম পাকিস্তান আমাদেরকে শোষণ করছে, ন্যায্য অধিকার থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করছে। এজন্য আওয়ামী লীগ ও ভাসানী ন্যাপ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে বললে মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যিনি একাধারে ছিলেন পীর আবার অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ছিলেন কমিউনিস্ট চিন্তাধারার বাহক, তাঁর কথা অবশ্যই বলতে হবে। শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ প্রমুখ নেতারাও ছিলেন বটে তবে তাঁরা তখনও অত্ত বড় নেতা হয়ে ওঠেন নি।
১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে, 'আওয়ামী লীগ', শের-এ-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের 'কৃষক শ্রমিক পার্টি, মুহম্মদ দানেশের 'গণতন্ত্রী দল' এবং নেজামে ইসলাম সম্মিলিতভাবে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে ২১ দফা দাবি নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামে। এই নির্বাচনে ২৩৭ টি আসনের মধ্যে ২২৩ টি আসন লাভ করে 'হক-ভাসানীর নৌকা' বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষমতাধর পাকিস্তানীরা এটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। ঢাকার আদমজী পাটকলে দাঙ্গা-হাঙ্গামার তুচ্ছ অজুহাতে মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং প্রতিরক্ষা সচিব ইস্কান্দর মীর্জাকে গভর্ণর নিযুক্ত করা হয়।
তদানিন্তন পাকিস্তানের প্রসিডেন্ট গোলাম মোহাম্মদের এই আদেশের বিরুদ্ধে গণপরিষদের সভাপতি 'তমিজ উদ্দিন খান' আদালতের শরণাপন্ন হন। সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে ১৯৫৫ সালের জুন মাসে মুসলিম লীগ, যুক্তফ্রন্টের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে। ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান গৃহিত হয় এবং ২৩ মার্চ থেকে কার্যকরী হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব বাংলার নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান। আর দেশটির নাম হয়, 'ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান।
তখন পাকিস্তানের উভয় অংশেই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে কোন ধরনের মতৈক্য বা সমঝোতা ছিলনা। একটা সময় এমন অবস্থার সৃষ্টি হলো যে সকাল-বিকাল ক্ষমতার পরিবর্তন হতে দেখা গেল। শেষ পর্যন্ত পারস্পরিক দ্বন্দ ও আভ্যন্তরিন কোন্দলের কারনে অবস্থা সামরিক শাসনের অনুকুল অবস্থারই সৃষ্টি হয়। এটা রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি চরম ব্যর্থতা।
এমতাবস্থায় ১৯৫৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাইয়ীদ ইস্কান্দর মীর্জা মার্শাল'ল জারী করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তিনি ছিলেন বাংলার নবাব মীর জাফর আলী খাঁর উত্তরসূরী। তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত জে: মোহাম্মদ আইয়ুব খানকে তিনি চীফ মার্শাল'ল এডমিনিসট্রেটর হিসাবে নিয়োগ দেন। কিন্তু ২১ দিনের মাথায় জে: আগা মোহাম্মদ আইয়ুব খান, ইস্কান্দর মীর্জাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বনে যান।
ঐ সময়টাতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন ছিল ঝঞ্চাবিক্ষুব্ধ ও অনিশ্চিত। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছিল প্রায় সূদুর পরাহত। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন রকম সমঝোতা ছিলোনা। এবং জে : আইয়ুব খান এই অবস্থারই সুযোগ নিয়েছিলেন।
পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলিও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, আইয়ুব খানের এই ক্ষমতা দখলকে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রীক বলেই প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। আইয়ুব খানও দীর্ঘকাল কোন প্রকার রেফারেন্ডাম বা নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা আঁকড়ে ছিলেন। অনেক ভেবে-চিন্তে ১৯৬২ সালে তিনি পাকিস্তানের সংবিধান বাতিল ঘোষণা করে নতুন এক ফর্মুলা দিলেন,'মৌলিক গণতন্ত্র' (বেসিক ডেমোক্রেসী)। এই ফর্মুলা অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তান থেকে ৪০ হাজার এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকেও সম পরিমান অর্থাৎ ৪০ হাজার মৌলিক গণতন্ত্রী যারা হবেন জনগণের প্রতিনিধি, এদের দ্বারাই স্থানীয় সরকার পরিচালিত হবে। এখানে আবার ৪টি স্তর থাকবে, ১) ইউনিয়ন পঞ্চায়েৎ, ২) তহসিল কাউন্সিল বা থানা কাউন্সিল, ৩) জেলা কাউন্সিল ও ৪) বিভাগীয় কাউন্সিল। প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনেও জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে শুধুমাত্র এরাই ভোট দিতে পারবেন।
১৯৬৪ সালের ২১ নভেম্বর 'মৌলিক গণতন্ত্রী'দের ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। আমলাদের প্ররোচনায় নির্বাচন কমিশন পূর্ব পাকিস্তানের অনেককেই নানা অজুহাতে নির্বাচনের অষোগ্য ঘোষণা করেছিলেন। এবং তাদের মনোনীত ব্যক্তিবর্গই নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনও ছিল দৃষ্টিকটু ভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট।
প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়, ২ জানুয়ারী, ১৯৬৫ইং। এই নির্বাচনে পাকিস্তানের আইয়ুব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আইয়ুব খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একজোট হয়েছিলো।
তদানিন্তন বিরোধী রাজনৈতিক দল, ১) কাউন্সিল মুসলিম লীগ,( খাজা নাজিমুদ্দিন, মিয়া মুমতাজ খান দৌলতানা০ ২) আওয়ামী লীগ,( শেখ মুজিবুর রহমান) ৩) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি,( মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী) ৪) উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি,( ওয়ালী খান) ৫) নিজাম-ই-ইসলাম পার্টি,( চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, ফরিদ আহমেদ ) ৬) জামায়াত-এ-ইসলাম (মওলানা মওদুদী) । দীর্ঘ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তারা একমত হয়ে ১৯৬৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি রাজনৈতিক মোর্চা গঠণ করে, 'কন্বাইন্ড পলিটিক্যাল পার্টিস' সক্ষেপে 'কপ'। আর এই কপের পক্ষে প্রেসিডেন্সিয়াল প্রার্থী হবার জন্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন মিস ফাতিমা জিন্নাহকে আহ্বান জানানো হয়। মিস ফাতিমা জিন্নাহও এই প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করে আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে প্রার্থী হবার বাসনা প্রকাশ করেন।
আমরা তাই মিস ফাতিমা জিন্নাহর পক্ষে আপনাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছিলাম।
আগামীতে আরও আসবে ?
ঝাঁপি খুলে আবারও পুরাতন একটি নোটবই পেলুম। কখন, কোথায়, কিভাবে এগুলো পেয়েছিলাম, তা আজ আর মনে করতে পারিনা। তাই সূত্র চাইলে জানাতে পারবোনা।ক্ষমা করবেন।
মন্তব্য
আপনার সাথে যোগাযোগের উপায়টা জানিয়েন ইনবক্সে।
facebook
ধন্যবাদ। অবশই জানাবো। কবে নাগাদ আসছেন ? মাঝে সুমাদ্রি এসেছিলো। ওর সাথে দেখা হয়েছে।
ফাতেমা জিন্নার নির্বাচনী প্রতীক ছিল হারিকেন, আর আইয়ুব খানের গোলাপ ফুল। পুর্ব পাকিস্তানের মৌলিক গণতন্ত্রীরা হারিকেনের আলো ঘরে ঘরে জ্বালার ব্যাপারে উৎসাহী হন নি, তারা গোলাপের সৌরভ ছড়িয়ে দিতেই আগ্রহী হয়েছিলেন। তাদের বিপুল ভোটেই আইয়ুবের তথাকথিত বিজয় লাভ ঘটেছিল।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
জী, তারা গোলাপ ফুলকেই পছন্দ করেছিলো সাথে কিছু নগদ সুবিধা।
আর আমলাদের প্ররোচনাতো ছিলই।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ জানাবার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
এই প্রজন্মের অনেকের কাছেই শুনি, তাঁরা বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস জানতে চায় ! সত্যিই কী জানত চায়।
আগামি পর্ব লেখার কি আর প্রয়োজন আছে ? ভেবে ছিলাম, আমি সামান্য যা জানি এবং নিজের যা অবলোকন ও অভিজ্ঞতা তা লিপিবদ্ধ করে যাই। ইতিহাস যেভাবে বদলে যাচ্ছে তাতে সত্য কতটা থাকবে, ভাবছি।
না না, লেখা চলুক, অবশ্যই প্রয়োজন আছে।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
এই ফাতিমা জিন্নাহর নামেই কি ফাতিমা স্কুল!
পড়বার জন্য ধন্যবাদ।
দুঃখিত, আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।
আমার মায়ের কাছে এই ফাতিমা জিন্নাহর গল্প শুনেছিলাম । মৌলিক গনতন্ত্রীদের কথাও ।
জেনারেলরা সব সময়ই ঘাপটি মেরে অপেক্ষায় থাকেন । আর পাকিস্তানের জেনারেলরাতো ছিলেনই ।
লেখা চলুক ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জী, বলছেন ! বেশ, লেখা চলবে।
লেখা চলুক। অপেক্ষায় রইলাম।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
এই ইতিহাসের অনেকটাই বইয়ে পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ব্যপ্তি আসুক
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ। বইয়ের সব ইতিহাসই কি বিশ্বাসযোগ্য ?
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও আসবে।
অবশ্যই আছে। ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ইতিহাসবিদরা যখন ইতিহাস লেখেন নানা বিষয় মাথায় রেখেই লেখেন, তার অবস্থান, তার রাজনৈতিক আদর্শ এবং আরো অনেক কিছু। সাধারণ মানুষ যখন জীবন কাহিনি লেখেন তখন এতো কিছু'র ধার ধারতে হয় না। ৫০ জন যদি একটা সময় নিয়ে লেখেন তাহলে কিন্তু ৫০ টা ভার্সন পাওয়া যায় না, ২-৩টে ভার্সনই পাওয়া যায় আর তার থেকে সত্যটা খুব সহজেই বেরিয়ে আসে। ইতিহাস আমার কাছে ওমুক সালে ওমুক রাজা ওমুক দেশ জয় করেছিলেন নয়, ইতিহাস হচ্ছে ওমুক যুদ্ধের সময় মানুষ কি ভেবেছিল, তাদের কী স্বপ্ন ছিল, কী চাওয়া পাওয়া ছিল, সেটা জানতে পারা।
ধন্যবাদ, উৎসাহ যোগাবার জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন