আজ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার। এই দিনে মার্কিন দেশে 'লেবার ডে' পালিত হয়। আমরা যেমন, ১মে 'মহান মে দিবস' আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করি, আমেরিকায় তেমনটি হয়না। আমেরিকায় সম্ভবত এটাকে তারা সমাজতান্ত্রিক বিষয় বলেই ধারনা করে। তাই প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবারে আমেরিকায় 'লেবার ডে' পালিত হয়।
কাকতালীয় ভাবে আমি আজ আমেরিকার শিকাগো শহরেই অবস্থান করছি। সকালবেলায় গিয়েছিলাম ১৮৮৬ সালের শ্রমিক আন্দোলনের সেই ঐতিহাসিক স্থান 'হে মার্কেট' অঞ্চলে।
শিকাগোবাসীরা সম্ভবত তুলনামূলক একটু উদারপন্থী। অথবা শিকাগো সিটি প্রশাসনে হয়তো কখনওবা শ্রমিকপ্রেমী উদারপন্থী কোন ব্যক্তি বা দল ক্ষমতায়িত হয়েছিলো, তখন ঐ এলাকায় হয়তো সেই নির্দিষ্ট জায়গাটিতেই যেখানে 'হে মার্কেট কমপ্লেক্স' ছিল তার সামনে মালবাহী ভ্যানের উপরে দাঁড়িয়ে শ্রমিক নেতারা বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেই স্থানটিতে একটি স্মৃতি-ভাস্কর্য, "হে মার্কেট মেমোরিয়াল" নির্মিত হয়েছে।
অধমের একটি অতি সাধারন ক্যামেরায় কাঁচা হাতে তোলা ঐ মেমোরিয়াল এবং মার্কেট চত্বরের এবং ঐ স্থানের কিছু ছবি দেয়া গেল।
গ্রীল ঘেরা জায়গাটিই 'হে মার্কেট' চত্বর। সম্ভবতঃ জায়গাটিকে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
মূল ভাষ্কর্য এবং এলাকাটির রক্ষণাবেক্ষণে অবহেলার ছাপ সুস্পষ্ট। আগেই বলেছি, সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের সরকার 'মে দিবস' বা 'আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস'কে সমাজতান্ত্রিক বিষয় বলেই ধারনা করে।
কৃষক, শ্রমিক, জনতার জয় হোক।
মন্তব্য
আপনি কি এখনো শিকাগোতেই আছেন? আমার বাসা এই জায়গাটা থেকে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে। আমার কাছে মনে হয়েছে, কেন জানি যে জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়েছে, সেখানটাতে সিটি কর্পোরেশানের খুব বেশি মনোযোগ নেই, বিশেষ করে শহরের অন্য সব জায়গার তুলনায়। তবে, এমনো হতে পারে, জায়গাটা যেভাবে ছিলো, যতদূরসম্ভব সেভাবেই রেখে দিতে চাইছে তারা।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আমি যতটুকু জেনেছি জায়গাটি সেভাবেই রেখেছে।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
বিষয়ান্তর : আমি আরও কয়েকদিন শিকাগোতে থাকবো।
আশেপাশে দেখি কেউই নেই !!!
ভাস্কর্যটি একবার চাক্ষুষ দেখতে পারলে ভাল হত, সাথে মইনুল রাজুর বাসাটাও....
রাসিক রেজা নাহিয়েন
আপনি শিকাগো আসলে জানাবেন, আপনাকে আমার বাসা দেখাতে নিয়ে আসবো।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ।
গতকাল সারাদিন এই ভাইবাই কাটাইছি,সেপ্টেম্বরে আবার "লেবার ডে"কেন।
ধন্যবাদ
হা হা, আমেরিকায় ১মে শ্রমিক দিবস পালিত হয়না। সম্ভবত এটাকে তারা সমাজতান্ত্রিক বিষয় বলেই ধারনা করে। তাই প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবারে আমেরিকায় 'লেবার ডে' পালিত হয়।
ধন্যবাদ আপননাকে।
হ্যাঁ, জায়গাটা বড্ড নিরিবিলি মনে হয়েছে, তাছাড়া 'লেবার ডে'র ছুটির কারনে একেবারেই ফাঁকা। আমি আর আমার ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিলনা।
এখানে এলেই ভাস্কর্যটি চাক্ষুস দেখতে পাবেন তবে মইনুল রাজুর বাসার বিষয়টি তাঁর আয়ত্বে।
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
আপনার ইনবক্সে একটা ম্যাসেজ পাঠিয়েছি।
-ধন্যবাদ
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
ছবি সুন্দর এসেছে, কাঁচা হাতের তোলা কথাটা বিনয় মনে হলো। আর, আমি শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম, কোন মহান মার্কেট কে সম্বোধন করা হলো- হে মার্কেট!! এখন বুঝলাম নামটাই এমন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান, পৃথিবীর ইতিহাসই পাল্টে দিয়েছে।
-------------------------------------------------
ভালবাসা কেবল নিজেকে দেয় এবং নিজ থেকে নেয়-
ভালবাসার যেমন নিজেরও কিছু নেই, তেমনি সেও কারো নয়;
কেননা, ভালবাসার জন্য শুধু ভালবাসাই যথেষ্ট।
ধন্যবাদ, পড়বার এবং মন্তব্য করবার জন্য।
রবার্ট ফ্রস্টের বাড়ী গেছিলেন যে বড় ! সেটার লেখা কবে পাচ্ছি?
হ্যাপি ঘোরাঘুরি !
facebook
ধধন্যবাদ।
ভাবনা-দাদা, অনেক ধন্যবাদ এই ইতিহাস পাল্টে দেওয়া ঘটনার স্মরণসৌধটির সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। লেখা, ছবি দুই-ই ভাল লেগেছে। আরো লেখা পাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে রাখলাম।
- একলহমা
অনেক অনেক
ছবিতে কি আপনারেও দেখা যায়?
হ্যাঁ, ছেলে ছিলযে সাথে। তাছাড়া একটু পদচিহ্ন রাখলাম। কেউ কেউ তো বলতেও পারতো, ছবিগুলো নেট থেকে দেয়া।
যাহোক, পড়বার ও মন্তব্য করবার জন্য ধন্যবাদ।
ধুর আপনি তো তাইলে তরুণ ভাবনা।
আপনাদের মাধ্যমেই আমার এই বিশ্ব দেখা। ভালো লাগছে খুব।
-নিয়াজ
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
বুর্জোয়াদের বিরুদ্ধে ভাতৃত্ব-সাম্যের জয় হউক।
ধন্যবাদ ঐতিহাসিক স্থানের ছবি দেয়ার জন্য।
রঙধনু
ধন্যবাদ আপনাকেও।
শিকাগো দেখলাম, আপনাকেও দেখলাম, আপনি তো রীতিমত যুবক এখনো, নিক পাল্টে ফেলেন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বয়সটাতো আর পাল্টানো যাবেনা। তাছাড়া........।
যাহোক, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২ ন ছবিটাতে কি ওটা আপনি?
আমিই।
ধন্যবাদ, পড়বার জন্য।
ভালো লাগলো। সেই যে কবে রাতের ঢাকার ছবি দিয়েছিলেন, আবার এই ছবি দিলেন - এরপর যদি বলেন "কাঁচা হাতে তোলা" তাহলে খবর আছে কইলাম, আপনার ছবি তোলার হাত অন্তত আমার থেকে ভালো! তবে হ্যাঁ, কাঁচা কথাটা আরেকটা জিনিসের সাথে যায় - আপনার নিক। পাল্টে ফেলেন দেখি---
____________________________
পাল্টাতে চাইলেই কী সব পাল্টানো যায় ! বয়সটাতো বিবেচনায় রাখতে হবে। আমার যা বয়স তাকে বাংলাদেশে বুড়োই বলে, আমিতো একটু নখরা করে প্রৌঢ় বলেই চালিয়ে দিচ্ছি। তাছাড়া আবার ভাব পাল্টালে অনেকেই যে ন্যাকামি বলবে !
ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
-------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আপনিও ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন।
এইদিনে প্রাসঙ্গিক।
পোস্টটা আগে বোধ হয় কোনোভাবে মিস হয়েছিল। যা হোক এসে ভালো হলো, হে মার্টের সাথে সাথে আপনার দেখাও পেলাম।
স্বয়ম
ধন্যবাদ। দেখা কি সত্যিই পেলেন!
নতুন মন্তব্য করুন