আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
ভাষা: লিঙ্গায়েত নির্মানে একটি শক্তিশালী প্রপঞ্চ।
ভাষা শুধুমাত্র একের সাথে অপরের যোগাযোগের মাধ্যমই নয়। ভাষা প্রতিনিয়ত সমাজ-বাস্তবতাকে নির্মাণ ও উপস্থাপনও করে বটে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ভাষার বিন্যাসও হয়ে ওঠে পুরুষতান্ত্রিক। তাই ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে পুরুষ পক্ষপাত পুরুষকে ক্ষমতাবান আর নারীকে অধস্তনরূপে চিত্রিত করে। তাই ভাষা হয়ে ওঠে নারী-পুরুষের লিঙ্গায়েত নির্মানে বিশেষ একটি উপাদান। আর এই সাংস্কৃতিক ধারা নির্মানে নারী-পুরুষের ক্ষমতা-সম্পর্ক বিশেষ ভুমিকা রাখে। পুরুষ থাকে এই ক্ষমতা-সম্পর্কের কেন্দ্রে, নারীর অবস্থান প্রান্তে। অর্থাৎ ভাষার ব্যবহারে নারী-পুরুষের লিঙ্গায়েত পরিচয় নির্মাণে পুরুষতন্ত্র প্রচণ্ডভাবেই ক্রিয়াশীল।
প্রগৌতিহাসিক যুগে যখন মানুষ লজ্জা নিবারনের জন্য কোন আচ্ছাদন ব্যবহার করতোনা, শীত নিবারনের জন্য হয়তো পশুর চামড়া বা গাছের বাকল ব্যবহার করতো। যখন মানুষের ক্ষুধা ও যৌনতা ভিন্ন অন্য কোন ধারনা ছিলোনা। তখনও নিশ্চয় মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য ধ্বনির ব্যবহার এবং ক্ষেত্র বিশেষে আকার ইঙ্গিতের প্রচলন ছিল বোধহয়। তখনকার সময়ে, মানুষ্য প্রজাতির যে শ্রেণী সন্তান প্রসব করতো তাদের কি কোন বিশেষ অর্থপূর্ণ শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করা হতো?
ডারউইনীয় বিবর্তনের মতবাদ অনুসারে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে হোমোস্যাপিয়েন্স শ্রেণীর মানুষের শরীর, মস্তিস্ক, বাকযন্ত্র, শ্রবণযন্ত্র ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয়েছে ধ্বনির উচ্চারণ ও শ্রবণের সামর্থ অর্জনের জন্য।
লুইস হেনরী মর্গান, তাঁর 'Ancient Society' বইতে, মানব সমাজের বিবর্তনকে দুটি ভাগে ভাগ করেছেন, ১) প্রাগরাজনৈতিক পর্ব, ২) রাজনৈতিক পর্ব। তিনি আবার প্রাগরাজনৈতিক স্তরকে বন্য ও বর্বর এই দুটি যুগে ভাগ করেছেন। বন্য যুগকে তিনি আবার তিন ভাগে ভাগ করেছেন; নিম্ন, মধ্য এবং উচ্চ অবস্থা। যাহোক সে অন্য আলোচনার বিষয়। আমাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে আসা যাক।
এরকম কল্পানুমান (hypothesis) অযৌক্তিক নয় যে হোমোস্যাপিয়ান্স মানুষের বিবর্তনের প্রাগরাজনৈতিক স্তরে কোন এক সময়ে ধীরে ধীরে ভাষার উদ্ভব হয়েছে। লুইস হেনরী মর্গান এবং ফেডরিক এঙ্গেলস, দুজনেই মনে করেন যে, মানুষ স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলতে শিখেছিলো বন্য যুগের নিম্ন পর্যায়ে। অবশ্য এঙ্গেলসের মতে বন্য যুগের নিম্ন পর্যায় বহু হাজার বছর স্থায়ী হয়েছে। ধারনা করা যেতে পারে যে, এই পর্যায়ে মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতো অর্থাৎ সমাজ গঠনের প্রাকপ্রস্তুতি পর্ব তখন শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে সমাজ গঠনে ভাষা নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে নাকি সমাজ গঠিত হবার কারণে ভাষার উদ্ভব হয়েছে, সে বিচার বড় দুরূহ।
নারী নিজের কাঠামোতে বাস করেনা, নারী বাস করে পুরুষের নির্মাণ করে দেওয়া কাঠামোর মধ্যে:
আমাদের ভাষা নির্মানের আদিকাল থেকেই শব্দের অর্থভেদে তার লিঙ্গায়েত পরিচয় নির্মিত হয়ে যায়। এই যেমন, শিশু জন্মের সময় লিঙ্গবান হলে অর্থাৎ তার শরীরে পুং-জনন চিহ্নটি থাকলে সে পুরুষ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে যায়। নাম হয়, রাম, রহিম ইত্যাদি জাতিয়। আর শিশু জন্মের সময় তার পুং-জনন চিহ্নটির অনুপস্থতিতে তার শরীরে স্ত্রীজনন চিহ্ন থাকার কারণে সে যোনিবতী বা স্ত্রীজাতি, এবং তার নাম হয়, সীতা বা রহিমা। যেমন 'জন' নাম শুনলেই আমরা পুরুষ বুঝি আর 'মেরী' স্ত্রীলোক। সেই সুবাদে হিমাদ্রি পুরুষ আর আয়নামতি নারী। আবার ফাহাদ এবং সাদিয়াও তাই বটে! মানুষের নাম দিয়ে যে ব্যক্তি পরিচয় সেখানেও ঐ নামের সাহায্যেই নারী-পুরুষের লিঙ্গায়েত চিহ্নিত হয়ে যায়।
মানব ভাষা একটা মুদ্রার মতো। যার দুটি দিক রয়েছে। একদিকে রয়েছে রূপ আর অপরদিকে অর্থ। রূপকের পোশাকী নাম দ্যোতক আর অর্থ হচ্ছে দ্যোতিত।
(দ্যোতি বা দ্যোত: প্রকাশ, দীপ্তিশীল। দ্যোতক: প্রকাশক, ব্যঞ্জক, বাচক। দ্যোতিত: দীপিত, উদ্ভাসিত। > বঙ্গীয় শব্দকোষ)
ব্যক্তি হিসাবে 'রাম', 'রহিম', 'সীতা', রহিমা', 'জন', 'মেরী', 'হিমাদ্রি', 'আয়নামতি', 'ফাহাদ', 'সাদিয়া', সবই হচ্ছে দ্যোতিত বা নির্দেশিত। পুরুষত্ব এবং নারীত্ব এঁদের সহজাত বা স্বকীয় বৈশিষ্ট। আর নামশব্দ হিসাবে এগুলো হচ্ছে দ্যোতক। দ্যোতিত বা নির্দেশিত একটি জাগতিক বাস্তবতা, দ্যোতক একটি ভাষিক বাস্তবতা। দ্যোতিতে যা দৈহিক চিহ্ন বা জনন চিহ্ন (sex) দ্যোতকে তা বৈয়াকরণিক চিহ্ন বা লিঙ্গ (gender)। একে অর্থনির্ভর লিঙ্গবিভাগও বলা হচ্ছে কারণ নামশব্দগুলো যেমন রাম, রহিম, সীতা, রহিমা, জন, মেরী, হিমাদ্রি, আয়নামতি, ফাহাদ, সাদিয়া এগুলোতে এমন চিহ্ন নেই যা দেখে এগুলোকে পুরুষ বা স্ত্রী নামশব্দ হিসাবে চেনা যায়। এগুলো পুরুষ বা স্ত্রী নামশব্দ কারণ এদের দ্যোতক/নির্দেশিত ব্যক্তিটি পুরুষ বা নারী। এখানে শব্দের দ্যোতনা বা অর্থ অনুসারে শব্দটির লিঙ্গ নির্ধারিত হচ্ছে। আবার ভাষার বিশেষণের ব্যবহারেও মানুষের লিঙ্গায়েত পরিচয় চিহ্নিত হচ্ছে, যেমন, সুন্দর এবং সুন্দরী। আবার এমন কিছু জীব আছে যাদের যৌনচিহ্ন প্রকটিত নয়। এসব জীবের লিঙ্গিয় পরিচয় শব্দ দ্বারা চিহ্নিত নয়। যেমন, সাপ, তিমি, মাছ, মৌমাছি, মাছি, তেলাপোকা ইত্যাদি।
জীবনসঙ্গী হিসেবে স্ত্রীকে অর্ধাঙ্গিনী বলা হয়ে থাকে তবে পুরুষকে সেই অর্থে অর্ধাঙ্গী বলার রেওয়াজ নেই। পুরুষ সর্বদাই পূর্ণাঙ্গ। আরেকটি শব্দ 'সতী'। শব্দটি স্ত্রীবোধক। এর অর্থে বলা হয়, যে নারী বিয়ের আগে তার কুমারীত্ব রক্ষা করে এবং বিবাহ পরবর্তীকালে স্বামীর প্রতি সকল অর্থে বিশ্বস্ত থাকে। আদর্শ নারী হচ্ছে সতীসাধ্বী পতিব্রতা স্ত্রী। আর সৎ হচ্ছে পুরুষবাচক শব্দ। সৎ হতে হলে একজন পুরুষের যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে একগামীতা বিষয়টা মুখ্য নয়। এখানে সততার পরিসর ব্যপক বিস্তৃত।
এখানে প্রধান বিষয়টি হলো সমাজে নারী ও পুরুষের লিঙ্গীয় ভুমিকা ভিন্নভাবে নির্মিত। নারীর সুন্দরী, আদুরে, হিংসুটে, মমতাময়ী, সহিষ্ণু, কোমল, ত্যাগী, অযৌক্তিক, বোকাসোকা, এইসব গৎবাঁধা ভূমিকার বিপরীতে পুরুষ হলো কঠোর, বুদ্ধিমান, সবজান্তা, সাহসী, শক্তিশালী, ব্যবস্থাপক প্রভৃতি বৈশিষ্টের অধিকারী যা অবশ্যই নারীর ভুমিকা হতে মর্যাদাসম্পন্ন, গুরুত্বপূর্ণ।
আবার সামাজীক স্তর ভেদে ভাষার ব্যবহারে ভিন্নতা দেখা যায়। নিম্নবর্গীয় মানুষের ভাষা আর উচ্চবর্গীয় মানুষের ভাষার ব্যবহারে বিস্তর ফারাক। এই উচ্চবর্গীয় শ্রেণীরই ভাষা বিনির্মানে কার্যকরী অংশীদারীত্ব। উচ্চবর্গীয় শ্রেণীর ব্যবহারিক ভাষা অনেকাংশে অলঙ্কারসম্বৃদ্ধ। নিম্নবর্গীয় জনসমষ্টির ভাষা ব্যবহারে সচরাচর তেমনটি দেখা যায়না। এই যেমন, মাগী, মিনসে আর ম্যাডাম, জনাবে যেমনটি পার্থক্য।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার লৌকিক ছড়াগুলি নিয়ে প্রবন্ধ রচনায় ছড়াগুলিকে আখ্যায়িত করলেন, 'ছেলেভুলানো ছড়া' শিশুভুলানো কিন্তু বলেননি। এই ছড়াগুলি এক ধরণের ঘুমপাড়ানি ছড়াই বটে, যা কিনা ছেলে-মেয়ে উভয় শ্রেণীর জন্যই প্রযোজ্য। এই ফোকলোর নিয়ে যাঁরা লেখেন, গবেষণা করেন তাঁদেরও ব্যক্তিক চিন্তা-চেতনের গহীনেও সেই পিতৃতান্ত্রিক ভাবধারার মানসিকতাই বিদ্যমান থাকে।
নারী সম্পর্কে বিশেষ কিছু উদ্ধৃতি:
"সাধ্বী স্ত্রী, পতিকে দেবতার তুল্য জ্ঞান করিবেন, ও দেবতাজ্ঞানে পূজা করিবেন।" (নারীধর্ম ও বিবাহ > নীলকন্ঠ মজুমদার এম, এ)
'আমরা যেমন বলে শ্রেষ্ঠ, মেয়েরা তেমনই রূপে শ্রেষ্ঠ; অন্তঃকরণের বিষয়ে আমরা যেমন বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ, মেয়েরা তেমনই হৃদয়ে শ্রেষ্ঠ; তাই স্ত্রী পুরুষ দুই জাতি পরস্পর পরস্পরকে অবলম্বন করতে পারছে। স্ত্রীলোকের বুদ্ধি পুরুষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম বলে ... স্ত্রীশিক্ষা অত্যাবশ্যক এটা প্রমান করবার সময় স্ত্রীলোকের বুদ্ধি পুরুষের ঠিক সমান একথা গায়ের জোরে তোলবার কোন দরকার নেই।" (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
"যখন শারিরীক দুর্বলতা ও অলঙ্ঘনীয় অবস্থাভেদে মেয়েদের সেই গৃহের মধ্যে থাকতেই হবে তখন কাজে-কাজেই প্রাণধারণের জন্য পুরুষদের উপর তার নির্ভর করতেই হবে।" (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
"প্রকৃতিই রমনীকে বিশেষ কার্য্যভার ও তদনুরূপ প্রবৃত্তি দিয়া গৃহবাসিনী করিয়াছন-- পুরুষের সার্ব্বভৌমিক স্বার্থপরতা ও উৎপীড়ন নহে -- অতএব বাহিরের কর্ম দিলে তিনি সুখীও হইবেন না, সফলও হইবেন না।" (অনন্যা > রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
"নারী কিছু গুণের অভাববশতই নারী; আমরা মনে করি নারীস্বভাব স্বাভাবিকভাবেই বিকারগস্ত।" বলেছেন, বিখ্যাত দার্শনিক অ্যারিস্তোতল।
হুমায়ুন আহমদের 'এইসব দিনরাত্রি নাটকের সংলাপ, 'পুরুষ মানুষকে রান্নঘরে দেখলেই আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়' অথবা, 'কাপড় মেলা মেয়েদের কাজ'।
'বলবীর্যশালী পুরুষ ভিন্ন অবলা নারীর গত্যন্তর নাই।'
যাক বাবা, বাঁচা গেল (এখানে 'বাবা' শব্দটির ব্যবহার দেখুন)
পুরুষ জননেন্দ্রিয়কে কেন 'সোনা' 'ধন' ইতাদি বলা হয়েছে! এ শব্দগুলি কি নারীগণের দ্বারা উদ্ভুত নাকি পুরুষেরাই তাদের জননেন্দ্রিয়টিকে মাহাত্ম্যপূর্ণ করতে এ ধরণের নামকরন করেছে!
এওতো সেই ভাষারই খেলা!
অসম্পূর্ণ।
সহায়ক গ্রন্থসমূহ:
১) নারী: হুমায়ুন আজাদ।
২) চর্চা, নৃবিজ্ঞানের প্রবন্ধ সংকলন: জহির আহমেদ ও মানস চৌধুরী সম্পাদিত।
৩) বিবাহ ও নারীধর্ম: নীলকন্ঠ মজুমদার এম, এ।
৪) রবীন্দ্রনাথের চোখে 'নারী': ডঃ হুমায়ুন আজাদ।
৫) Ancient Society: Lewis H. Morgan L.L.D
আগের পর্বসমূহ:
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশবিশেষ
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা
ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
মন্তব্য
ভাবনার দুয়ার প্রসারিত হচ্ছেই। পাঁচতারা।
(উদাহরণ হিসেবে আয়নামতির নাম পারফেক্ট, হাহাহা। আয়নামতি কোথায়?)
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
কেন পারফেক্ট? এইটা উদাহরণসহ বুঝাইয়া বলো আপু।
এক্ষেত্রে সাদিয়া হলে কি পারফেক্ট হতো না?(এসো ক্যাচাল করি )
আমি ভাই ক্যাচালে নাই, পৌঢ় দাদা পারলে নামটা সাদিয়া করে দিন।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
বেশ, ক্যাচাল মিটিয়ে দিলাম। খুশিতো!
ধ্যাৎ ক্যাচালের হুমকিতেই এই দশা! সত্যি করতাম নাকি! যাক সাদিয়াপু'র নাম ওঠে গেলু তাতেই খুশি
যা সুরত বানিয়েেন, তাতে আপনাকে বোঝাই দায়! হুমকিতেতো ভয় পাবারই কথা!
ভয়ে আপনি আজ্ঞে করতে লেগেছেন দেখি!
১০০% হালাল পদ্ধতিতে ব্লগিং করতে এই বেবস্হা
লাভ নাই, তখন উনারা ঘন্টা বাজাইয়া কহিবেনঃ
হুদাই কামাড়ু'র মত চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়া ল্যাখতে থাকেন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আয়নাদি, আপনার ব্লগ ছবিখানা ও কিন্তু ১০০% হালার আর সহি হয়েছে। আপনি পারবেন সহি ব্লগার হতে
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
যত্তসব ফাজিল ফক্কর! হাসাহাসি না করে এট্টু আলোচনা তো করা যায় নাকি?
কষ্ট করে একটা পোস্ট লেখা হয়েছে হাসাহাসির জন্য নাকি
এমন আচরণ করে আমার নামানুভূতিতে আঘাত করায় ধিক্কার জানাই।
এইরাম অনুভূতিপ্রবণ প্রোফাইল দেইখা ডরাইলাম গো আয়নাভূতি দি
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"আয়নাভূতি"
ও রে বাবারে, কতকাল এমন হাসি হাসি নি! সাক্ষীটা একটা যন্তর!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
১) আয়নামতির অনুভূতি = আয়নাভূতি, ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
২) আয়নামতি রূপ অনুভূতি = আয়নাভূতি, রূপক কর্মধারয় সমাস
৩) যাহা আয়নামতি তাহাই অনুভূতি = আয়নাভূতি, কর্মধারয় সমাস
৪) অনুভূতিপ্রবণ যে আয়নামতি = আয়নাভূতি, মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
হি হি হি... লহমাদা, যেইটা লাগে, বাইচ্ছা লন। একদাম, স্টক সীমিত।
[ বাই দ্য ওয়ে, আঁই কি কইচ্চি? আঁরে মেশিন কইয়া গাইল দিলেন ক্যা? ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
[ কি যে কও! সে মেশিন ত ইস্পেশাল মেশিন! আর ঐ মেশিন বুঝাইতে 'মেশিন'-ই কওন লাগে। যন্তর সেই আমাদের টেইম থেকে অতি নিরীহ আমোদ-বাচক ভাল-কাজ-করা বিশেষণ! (এখানে একটা মাথায় জল ঢালার ইমো লাগত) ]
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
তা, সাক্ষী সত্যানন্দ একখান 'যন্তর-মন্তর'ই বটে! 'মেশিন' শব্দটা দেল্যুর কারণে ইদানিং গালিরই সমার্থক!
সাক্ষী, আমি কিন্তু কিছু কই নাই! আকাশ, বাতাশ, সচল সাক্ষী রইলো।
হুমমম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দাদাই তুমিও!!!
হিহিহি... পোকিতির পোতিশোদ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কপালে দুষ্কু আছে তুমার!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কি করব, যা একটা নাম নামিয়েছে! তবে যেদিন ওরে সামনাসামনি পাবে সেদিন তুমি এর শোধ তুলে নিয়ে পোকিতই পোকিতির পোতিশোদ কারে কয়, বুজিয়ে দিও। আমি তোমায় কিচ্ছু বলব না। ভাবনাদাও কিচ্ছু বলবে না (তারে ত সে আগেই থার্ড পার্সন করে দিয়েচে ) ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
সবাই এইরাম নিরপেক্ষ অবস্থান নিচ্চে কেনু
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
রে সত্যানন্দ(সত্য না ছাই!) কপালে অনেক আছে খারাবি আছে কিন্তু।
এত্ত এত্ত প্রকার হাসির কারণ ঠিক বোধগম্য হলোনা। সত্যি বলছি, মাথার উপর দিয়ে গেল!
ধন্যাদ, পড়বার জন্য।
এইটা আমার আর আয়নাভূতি দি'র অভ্যন্তরীণ ব্যাপার আপনার ভাগে পপকর্ণ
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অ! আমি তাইলে থার্ড পারসন। তা, বেশ। পপকর্নটাই কাজে লাগাই।
সত্যানন্দী, ভাবনাদা কে জরাথ্রুস্টের সন্ধানে বইটা দেয়া গেল নাকি জান্তে তো পার্লেম না?
দিদিগো, বইটা আমি সংগ্রহ করেছি। তবে বইটা আমার আগ্রহ বা চাহিদা কোনটাই মেটাতে পারেনি। সচলে আমার একটা লেখা, [url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42333 ]ধর্মসার- (৪) জরথুস্ত্র ও পারসীক ধর্ম[/url]
বইটা এখনও পড়িনি, আপিল-রিভিউ দুটোই খারিজ করে দেব কি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
শুধু জরথুস্ত্র নয়, বিস্তৃত পরিসরে বইটা লেখা। হয়তো আপনার তৃষ্ণা মেটাতেও পারে। আমিতো সুনির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক চেয়েছিলাম, তাইতে....
ওহ, তাহলে কামাড়ুর মতন ভেবে নেই
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভাবুন, তবে সময় কিন্তু আর নাই। সিদ্ধান্ত এখনই।
এ বইয়ের নাম পড়তে গিয়েই তো দাঁত নড়ে যায়! আপনার আগ্রহ দেখেই বইটার ই সংকলন খুঁজে বের করি। সময় সুযোগ পেলে আপনার পোস্টটা পড়বো।
জী, পড়বেন বটে। প্রতিক্রিয়া জানাতে ভুলবেন না যেন!
পড়ছি। অসাধারণ সিরিজ।
স্মপূর্ণতার দাবি আগেও রেখেছিলাম, এবারো জারি থাকলো।
স্বয়ম
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগলো।
৫ তারা
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অসংখ্য ধন্যবাদ, উৎসাহ জাগানিয়া মন্তব্যের জন্য।
আয়নামতির পাশে হিমাদ্রি নামটা বেশ মানিয়েছে মজা পেলেম নিজের নিকটা দেখে।
----
এরকম একটা পোস্টে সেভাবে আলোচনা কিংবা মন্তব্য হতে না দেখে রাগ লাগে।
আলোচনা থেকে আরো কিছু ওঠে আসতে পারতো, যা থেকে আমাদের জানাটা সমৃদ্ধ হয়।
ঘোড়ার ডিম, নারী বিষয়ক বলেই কি এ রকম অবহেলা?
নাকি লেখার ধরন তেমন আকর্ষণীয় না কোনটা এক্ষেত্রে? সেটাও বলা হোক না রে বাবা!
ভাইয়া, এটা আসলে নিজের স্বার্থেই বললাম, কিছু মনে করবেন না প্লিজ!
-------
কিছু কৌতুহল(বুদ্ধিহীন অতি অবশ্যই),
আপনি লিখেছেন উচ্চবর্গীয় এবং নিম্নবর্গীয়দের ভাষার ব্যবহারে ফারাক আছে। এবং উচ্চবর্গীয় শ্রেণীরই ভাষা বিনির্মাণে কার্যকরী অংশীদারীত্ব। তাহলে ভাষা বা শব্দের অপব্যবহারে উচ্চবর্গীয় শ্রেণী কিছু বলে না কেন? সেটা নারীর প্রতি হচ্ছে বলে? নাকি নিম্নবর্গীয়রা বলছে, ছ্যা ছ্যা ওদের কথায় কি আসে যায় সেরকম মনোভাব এখানে কাজ করে? তাদের এই র্নিলিপ্ততায়
দেখেন শব্দের কি দশা! মা (শব্দের অর্থ জননী, মাতা) শব্দের পাশে গী(যার অর্থ জ্ঞান, বচন, বাণী) বসিয়ে এই নিম্নবর্গীয় মানুষেরা(নারী/পুরুষ নির্বিশেষে) গালি হিসেবে ব্যবহার করে মনের ঝাল ঝাড়ে। খামোখাই নিম্নশ্রণির দোষ দেয়া। নারীর জ্ঞানকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার জন্য আসলে এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ফাজলামি। বাংলা অভিধানে কি শব্দটা আছে? জানিনা সঠিক।
এরকম অনেক অনেক শব্দ আছে যা উচ্চবর্গ কিংবা নিম্নবর্গ যা-ই বলুন না কেন, নারীকে কোণঠাসা করতেই ব্যবহৃত,উদ্ভাবিত।
হেহেহেহে জ্বী না নারীবাদী টাদী কিছু নই। এ বিষয়ে অতি সামান্য পড়েছি সম্প্রতি, তার প্রকাশ না ঘটালে কেম্নে কি!
আমার তো মনে হয় কোনোটাই না। লেখাটা যথেষ্ট আকর্ষণীয় এবং তথ্যসমৃদ্ধ। তথ্যসমৃদ্ধ লেখাতে আলোচনামূলক মন্তব্য করতে গেলে আঁটঘাট বেঁধে বসতে হয়। আমার কাছে কিন্তু বাংলা ভাষার শব্দের খেলা বেশ লাগে। শব্দের উচ্চবর্গ বা নিম্নবর্গের ব্যবহারের ক্ষমতা তো আমাদের কলমে, মুখে।
অভিধান খুললাম, ‘মাগি, মাগী ‘ শব্দটি দেখতে পাচ্ছি, যার অর্থ-প্রাপ্তবয়স্কা স্ত্রীলোক; সাবালিকা নারী; বেশ্যা, গণিকা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
গী : বাণী, বাক্য, ভাষা (বাঙ্গালা ভাষার অভিধান - শ্রীজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস কতৃক সঙ্কলিত ও সম্পাদিত)
গীঃ : বাক্য, বচন (বঙ্গীয় শব্দকোষ)
গীঃ : বাক্য, বাণী (চলন্তিকা - রাজশেখর বসু সংকলিত)
মাগী : স্ত্রী, অধিকবয়স্কা স্ত্রীলোক (অসম্ভ্রমার্থে), প্রাকৃতরূপ: মাউগাঅঁ- মাউগ- মাগু (বাঙ্গালা ভাষার অভিধান- শ্রীজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস কতৃক সঙ্কলিত ও সম্পাদিত)
মাগি/মাগী: বেশ্যা, অসতী মেয়ে, নিন্দার্থে নারী (গালি অভিধান- আবদুল মান্নান স্বপন কতৃক সংকলিত ও সম্পাদিত)
নিম্নবর্গ আর উচ্চবর্গ এই উভয়ক্ষেত্রেই পুরুষকারের অহং বিদ্যমান। আমরা যারা শহুরে শিক্ষিত (?) ভদ্দরনোক তারা সচরাচর আলঙ্কারিক ভাষা ব্যবহার করি। আর গ্রামীন
জনসাধারণ তারা আঞ্চলিক ভাষা অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃত ভাষা ব্যবহার করে থাকে। তবে মানসিকতার ফারাক বড় একটা নেই।
হ্যাঁ, স্বীকার করতেই হবে বিষয় নির্বাচণ এবং উপস্থাপনের ঢং নিশ্চয়ই আকর্ষণীয় নয়! এটা আমারই খামতি, পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারিনি। তবে হ্যাঁ, আমার জানার পরিধি
অনেক বিস্তৃত হয়েছে। আর যে দু-চারজন সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করছেন, এটাতো ফেলনা নয়! জীবন চলার পথে যা কিছু পাওয়া যায় অবজ্ঞা না করে তাই অঞ্জলি
ভরে কুড়িয়ে নিতে জানলে এক সময়ে ভাঁড়ার পূর্ণ হয়ে ওঠে বৈকি!
লেখাটা শুরু করার পরে বুঝতে পারছি বিষয়টি কত ব্যাপক, এর শাখা-প্রশাখা কত বিস্তৃত! যাহোক অন্তত আরেকটা পর্ব লিখতে হবে। নিজের আনন্দের জন্যেই লিখবো।
সীমিত জ্ঞানে যেটুকু সামর্থে কুলিয়েছে তাই লিখেছি। তা, দিদি, তুমিও শুরু করো, আরও অজানা অনেক কিছু জানা হবে।
ভাইয়া, কথাগুলো রাগের মুখে বলা এবং অবশ্যই আপনার পোস্টকে উদ্দেশ্য করে নয়।
পোস্টটা পড়ে জানছি অনেক, কিন্তু সেভাবে আলোচনা চললে জানবার পরিধি আরো বাড়তো, তাই রাগ, তাই ওসব বলেছি বাবা! দেবদ্যুতি এ বিষয়ে অনেক বেশি জানে, বরং ওকেই চেপে ধরি আসুন, কিছু লিখুক সে এমন বিষয়ে।
আমি কেবল তিড়িং বিড়িং 'ই ভালু আছি আপাতত। মাথা পাকলে লিখবো হয়ত একদিন
আমি কিছু জানিনে, দিদি। বহুকাল এইসব পড়ালেখার মধ্যে নাই, এখন খালি বিসিএস মাথায়! কার সাথে কে রাজনৈতিক বৈঠক করল-সেই সবের বয়ান পড়ি । আমি পারবেক লাই।
দেবদ্যুতি
বিসিএস দিয়েই না হয় লিখুন সমস্যা নাই
হ্যাঁ, অবসরেই নাহয় লিখুন। আপনিতো রাবি থেকে নৃতত্ত্ব বিষয়েই পড়াশুনা করেছেন!
মর্গান পাঠ্য ছিল, পড়তে হয়েছে নারীবাদ আবার ভাষাতত্ত্বও। পড়তে গিয়ে আরও ভালোভাবে দেখেছি যুগের পর যুগ ধরে নারীর অধ্বস্তনতার বিনির্মাণ। এখনও প্রায়ই শুনি-ছেলেদের বিয়ের কথা শুনলে পরিচিতদের প্রশ্ন ‘বউ দেখতে কেমন’ আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ‘জামাই কী করে?’ । মানে ছেলেদের পেশা তথা যোগ্যতা আর মেয়েদের রূপ সমান্তরাল বিষয় ! টিভিতে আটার বিজ্ঞাপন দেখায়, ভোরবেলা উঠে সুন্দরী গৃহবধূ একটার পর একটা রুটি বেলে যায়, খাবার টেবিলে ফোলানো রুটি পেয়ে সবার হাসিমুখ দেখে তার হাসির মাধুর্য আরও বাড়ে!
লেখাটা খুব ভালো হয়েছে
দেবদ্যুতি
অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ ব্যক্তির মন্তব্যে উজ্জীবিত বোধ করছি।
.
****************************************
কিছু বললেন কী!
মন মাঝি, ভাইয়া কিছু্ই বলার নাই! শুধুই একখানা .
একখান ঘুম দিয়ে উঠে ঠাণ্ডা মাথায় ২ রাতের নির্ঘুম ডিলিরিয়াস মাথায় লেখা নিজের মন্তব্য দেখে আমার নিজেরও একই অবস্থা! আমারও কিছুই বলার নাই, শুধুই….
তাইতো….
****************************************
এই সিরিজ চলুক।
একটা অনুরোধ করছি। আপনি যেহেতু এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন ই
সিরিজের একেকটা পর্ব হোক একেক বিষয়ে। যেমন একটা পর্ব শব্দচয়নে নারী (সাহসী পুরুষ-কোম্ল স্বভাবা নারী), আরেকটা পর্বে সামাজিক অবস্থানে নারীর অবস্থান (বর কী করে- বউ কি দেখতে সুন্দর)।
এতে লাভ হবে প্রতিটা পর্ব হবে স্বয়ংসম্পুর্ন তারপর সব মিলিয়ে একটা পূর্নাংগ বক্তব্য উঠে আসবে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ। দেখি চেষ্টা করে।
নারীবাচক নাম নিয়ে এতো চিন্তার কী আছে ! মহান মনুশাস্ত্রেই তো তার দিকনির্দেশনা দেয়া আছে সেই অন্তত দু'হাজার বছর আগেই ! যেমন-
এবার মিলিয়ে নেন কোন নামটা যথার্থই নারীবাচক হবে ! হা হা হা !!
পোস্টে
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আবার দেখুন, কন্যার গুণ বিচারে মনু বলেছেন,
"নক্ষত্র, বৃক্ষ, নদী, ম্লেচ্ছ, পর্ব্বত, পক্ষী, সর্প ও দাস ইহাদিগের নামে যে স্ত্রীর নাম, তাহাকে অথবা অতি ভয়ানক নাম, তাহাকেও বিবাহ করিবেনা।" (মনুসংহিতা:৩য় অধ্যায়, শ্লোক - ৯)।
"যে স্ত্রী অঙ্গহীনা নয়, যাহার নাম অতি সুখে উচ্চারণ করা যায়, হংস ও মাতঙ্গের ন্যায় যাহার মনোহর গমণ, যাহার লোম ও কেশ মৃদুল এবং দন্ত ক্ষুদ্র, এমন কোমলাঙ্গী স্ত্রীকে বিবাহ করিবে।"
(মনুসংহিতা:৩য় অধ্যায়, শ্লোক - ১০)।
মনুর বিধান বিষয়েওতো শাস্ত্রকারেদের মধ্যে মতভেদ আছে। অনেকেই বলতে চেয়েছেন, বর্তমানে প্রচলিত যে 'মনুসংহিতা' বাজারে পাওয়া যায়, এর অনেকাংশই প্রক্ষিপ্ত। অর্থাৎ মূলে এগুলো ছিলোনা, ইত্যাদি, ইত্যাদি। এ ক্ষেত্রে তাঁরা পণ্ডিত ম্যাক্স মুলারকে উদ্ধৃত করেন, "বৈদিক সমস্ত গ্রন্থ যাহা আমাদের নিকটে আছে তাহার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া যদি জানিতে চাই মনুসংহিতায় এবং বর্ত্তমান হিন্দু-ভারতে যে রকম জাতিবিভাগ (বংশগত) বিদ্যমান উহা প্রাচীণতম শাস্ত্র বেদ-সম্মত কি না? নিঃসঙ্কোচে উত্তর হইবে- 'না'।" হা হা হা।
অসংখ্য ধন্যবাদ, বিশেষ একটি দিগনির্দেশনায়।
নতুন মন্তব্য করুন