"গিয়াছিনু সরোবরে স্নান করিবার তরে
দেখিয়াছি একজন অপরূপ কামিনী
চক্ষুমুখ পদ্মছন্দ কিবা ছন্দ কিবা বন্ধ
নিলাম্বরে ঝাঁপে তনু মেঘে যেন দামিনী।।
ঈশ্বর সহায় হন দূতী মিলে একজন
এইক্ষণে তার কাছে যায় দ্রুতগামিনী।
যত চাহে দিব ধন দিব নানা আভরন
কোন মতে মোর সঙ্গে বঞ্চে এক যামিনী।।" (ভারতচন্দ্র রায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর বাঙালি কবি)
এই কবিতায় যে মানসিক বৃত্তি প্রকাশিত তারে বলি 'কাম'।
ভাষায় যৌনবাদ ও লিঙ্গীয় বৈষম্য:
ভাষার ব্যবহারে যখন নারীর প্রতি সরাসরি হয়রানিমূলক সহিংস ও অশ্রাব্য শব্দ বা বাক্য ব্যবহৃত হয় বা সাহিত্যে, কবিতায় নারীদেহের আদিরসাত্মক বর্ণন এবং যৌনচাহিদা এককেন্দ্রিক, তখন সেটাই যৌনবাদী ভাষা যা লৈঙ্গিক বৈষম্যমূলকও বটে।
নারীবাদীরা বলছেন, ভাষায় যৌনবাদ হলো নারীর বিরুদ্ধে ভাষার বৈষম্যূলক প্রয়োগ, চর্চা, যেখানে নারীকে নেতিবাচকরূপেই উপস্থাপন করা হয়। অস্ট্রেলিয় নারীবাদী লেখিকা ডেইল স্পেন্ডার বলেন, "যৌনবাদী ভাষা হচ্ছে পুরুষ ক্ষমতার বচন: যেখানে নারী নিজেকে দেখতে পায় হেয়কারী ভাষার নেতিবাচক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। ঐতিহাসিকভাবেই পুরুষ সামাজিক বাস্তবতাকে বিশ্লেষণ করার এবং সেই দৃষ্টিতে অন্যকে বাস্তবতা চেনানোর ক্ষমতা ধারণ করে। ফলে নারীর অভিজ্ঞতা কোনভাবেই ঐ উপস্থাপনায় স্থান পায়না।"
পাবলিক টয়লেটে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের/সিনেমা হলের দেয়ালে বা প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য স্থানে, নববর্ষের খেতাবে বাক্য অথবা কার্টুন চিত্রের মাধ্যমে নারীকে যৌনবস্তু হিসাবে চিহ্নিত করার প্রবনতা সচরাচর নজরে পড়ে বৈকি! এও তো যৌনবাদী ভাষা ব্যবহার করে নারীকে হেয় করার প্রবনতাই বটে।
"দিমু নাকি ঝোপে টান?" ১৯৯৭সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত ছাত্রীদের প্রতি এক মাস্তানের যৌনবাদী হুমকি। অথবা ১৯৯৩ সালে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের সু্র্যাস্ত আইন বাতিলের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছে প্রশাসনের পাঠানো চিঠিতে ব্যবহৃত ভাষার বাক্যাংশ, 'ছাত্রীরা ঝোপেঝাড়ে রাত কাটায়'।
দুটি ক্ষেত্রেই যৌনবাদী ভাষার ব্যবহার ও লৈঙ্গিক বৈষম্যের চিত্র পরিস্ফুট। প্রকটিতও বটে!
'বেশ্যা' শব্দটি নারীর জন্য একটি অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্নকারী শব্দ। ইদানিং অবশ্য বিভিন্ন এনজিও 'যৌনকর্মী' শব্দটি ব্যবহার করছে। তবে এতে কিন্তু ঐ নারীর সামাজিক অবস্থানের কোন হেরফের হয়নি। শুধুমাত্র শব্দই পরিবর্তিত হয়েছে, সমাজের প্রচলিত মানসিকতা নয়। নারীর এই বৃত্তিটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে দেখা যাবে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার দায়ভাগই অধিক। আরও মজার বিষয়, পুরুষের দ্বারা, পুরুষের জন্যই এই বৃত্তিটি আজও টিকে আছে। এর পৃষ্ঠপোষক সেই পুরুষই, এরাই খদ্দের বা খরিদ্দার।
মাল, মাগী, খানকী শব্দগুলো নারীর প্রতি যে অর্থে ব্যবহৃত হয় ঠিক এরই সমার্থক শব্দ যা পুরুষের প্রতি ব্যবহার করা যেতে পারে এমন শব্দ কি আছে? বেশ্যা, পতিতা, নষ্টা অথবা যৌন উৎপীড়নের প্রতিশব্দ যেমন, শ্লীলতাহানী সম্ভ্রমহানী, বলাৎকার জাতিয় শদ্ব যা নারীর সম্পর্কে ব্যবহার করা হয়। পুরুষের জন্য কি এর সমার্থক শব্দ আছে যা পুরুষের প্রতি প্রযোজ্য! উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, 'পতিব্রতা', নারীর একটা উৎকৃষ্ট গুণ। অপরদিকে, 'স্ত্রৈন' আবার নেতিবাচক শব্দ হিসাবে স্বীকৃত। একই ভাবসম্পন্ন দুটি প্রত্যয় লিঙ্গীয় ভিন্নতায় সম্পূর্ণ বিপরীত মর্যাদার অর্থময়তা সৃষ্টি করে।
বঙ্কিমচন্দ্র তাঁর সমসাময়িক কালের বর্ধিঞ্চু ধনিক শ্রেণী সম্পর্কে লিখেছেন,
"স্ত্রীলোকদিগের উপর যে রূপ কঠিন শাসন, পুরুষদিগের উপর সেরূপ কিছুই নাই। ভ্রষ্ট পুরুষের কোন সামাজিক দণ্ড নাই। একজন স্ত্রী সতীত্ব সম্বন্ধে কোন দোষ করিলে তিনি মুখ দেখাইবার অযোগ্য হইয়া পড়েন। আর একজন পুরুষ প্রকাশ্যে সেইরূপ কার্য্য করিয়া, রোশনাই করিয়া, জুড়ি হাকাইয়া রাত্রিশেষে পত্নীকে চরণরেণু স্পর্শ করাইয়া আসেন, পত্নী পুলকিত হয়েন। সেই পুরুষ লোকসমাজে যেমন প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, সেইরূপ প্রতিষ্ঠিত থাকেন।"
বঙ্কিমচন্দ্রের সময়ে এবং তৎপরবর্তীকালে কোলকাতার বাবু সমাজের বিত্তবান পুরুষেরা রক্ষিতা অধবা বাঈজী বাড়িতেই নিশিযাপন করতেন। তাঁদের এই মাধুকরী বৃত্তিকে কখনই নিন্দিত হতে দেখা যায়নি। বরং এটাই ছিল তৎকালীন সমাজে বিত্তবান শ্রেণীর মর্যাদা এবং অহং প্রকাশক ...। আর এই বিত্তবান বাবুমশাইরা চাটুকার পরিবেষ্টিত হয় নিজেরা বড়ই আহ্লাদিত বোধ করতেন।
ধারণা করি, কলকাতার বাবুদের এই স্বভাবের কারণে তাঁদের স্ত্রীগণ প্রায়শই স্বামীসঙ্গ থেকে ছিলেন বঞ্ছিতা। তাই সম্ভবত নিচের এই সম্পাদকীয়টি লেখা হয়েছিল:
"কস্যচিৎ 'চেতো পরগণা নিবাসিনঃ বিপ্রসন্তানস্য' ইতি সাক্ষরিত এক পত্র আমরা গত সপ্তাহে প্রকাশিত করিয়াছি।"
"চেতো পরগণা নিবাসী বিপ্রসন্তান লিখিয়াছেন যে, ইঙ্গরেজী বিদ্যা শিক্ষাকরণাশয়ে তিনি স্বদেশ পরিত্যাগপূর্ব্বক কলিকাতায় উপনীত হইয়া সুযোগক্রমে এতন্নগরস্থ কোন প্রধান ব্যক্তির ভবনে বাসা করিলেন। দিবা অবসানে যখন ঐ বিপ্রসন্তান সায়ংসন্ধ্যা করিয়া বসিয়াছিলেন তখন প্রথমতঃ বাটির বৃদ্ধ কর্তা, তৎপরে তাঁহার জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম পুত্র ও পরে তাঁহার কনিষ্ঠ পুত্রও, ইহারা একে একে তাবতেই বাটী হইতে বহির্গমণ করিলেন, তৎপরে দুইজন দৈবারিক ও অন্য কোন কোন চাকর অন্দর মহলে প্রবেশ করিয়া নিশাবসান করিল, যাবৎ কর্ত্তা ও তাঁহার পুত্রেরা বাহিরে যামিনী যাপন করিয়া প্রাতঃকালে গৃহে প্রত্যাগমণ করিলেন।"
নারী জাতির মদন পুরুষাপেক্ষা অষ্টগুণ প্রবল (এইরূপ অনেকে কহিয়া থাকেন), তাহাতে অস্মদ্দেশের কঠিন রিত্যানুসারে বিদ্যারূপ যে জ্ঞান তাহা তাহাদিগকে বঞ্চিত করাতে ঐ দুর্ব্বার মদন অজ্ঞান অবলাদিগের উপর পূর্ণতা ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া তাহাদিগের কামানল উজ্জ্বল করিয়া যে তাহারদিগকে অতি ঘোরতর দুষ্কর্ম্মে প্রবৃত্ত করাইবেক ইহার বাধা কি? আর ইহাতে যে তাহাদিগের সতীত্বও বিনাশ হইবেক ইহারইবা অসম্ভাবনা কি আছে?
কিন্তু ইহা জানিয়াও যদি পুরুষেরা স্বপত্নীদিগকে অবহেলা করিয়া উপপত্নীদিগের বশীভুত হইয়া কেবল তাহারদিগের সহিত আলাপে/বিলাপে রত হন তবে সব স্বপত্নীদিগের সতীত্বধর্ম বিনাশ জন্য যে অনুযোগ তাহা ঐ অবোধ পুরুষদিগকে বই আর কাহাকে অর্শিতে পারে? বাস্তবিক যে তাহারাই কুরীতির মূলাধার, অতএব ইহাদিগকেই আমরা অনুযোগ করিতে পারি।"
(১৮৩১ সনের ৫ নভেম্বর কলকাতা থেকে প্রকাশিত 'সম্মাদ সুধাকর' পত্রিকার সম্পাদকীয় কলামে লিখিত)
"পুনর্বার ঘর বাঁধি সে নিয়ন নাই-
ঘর পুড়ে ঝরে গেছে কবে; পুরুষবিহীন।
পুনরায় ভালোবাসা গাঢ় গূঢ় অপরাধ!
চেনা পুরুষেরা একাধিক নারী নিয়ে ঘর করে!
আমার পুরুষনেই, ঘর নেই, পতিহীনা, পুত্রহীনা
একাকিনী, বিরহিনী নারী।" ('একাকিনী বিধবা রমণী' - কৃষ্ণা বসু - জাতিস্মরী সিরিজ)
ভাষা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আশা করছি এই প্রবাহমানতার ভিতর দিয়েই ভাষা তার সঠিক রূপটি পরিগ্রহ করবে।
অসম্পূর্ণ।
সহায়ক গ্রন্থসমূহ:
১) 'বাঙ্গালী জীবনে রমণী' - শ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরী
২) 'চর্চা' নৃবিজ্ঞানের প্রবন্ধ সংকলন - জহির আহমেদ ও মানস চৌধুরী সম্পাদিত
৩) 'তেহাই' ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা - সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য সম্পাদিত
আগর পর্বসমূহ:
[url=http://www.sachalayatan.com/vabna/54169 ]নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (দুই)[/url]
[url=http://www.sachalayatan.com/vabna/54092 ]নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (এক)[/url]
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা
মন্তব্য
বাপরে কি কঠিন বাংলা ছিল আগে!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
৫ তারা।
কৃষ্ণা বসু-র কবিতাটা পুরোটা পড়তে ইচ্ছে করছে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ।
আপনার ইচ্ছাপূরণের অভিপ্রায়ে,
'একাকিনী বিধবা রমণী'
কৃষ্ণা বসু
"গভীর নিশুতরাত জেগে আছে চারিপাশে
আমি একা রাতে জেগে আছি
স্বামীহীন আশ্রয়বিহীন একা বিধবা রমণী
মন্দিরে জেগে আছি, একা
পুরোহিত চলে গেছে। পুজো সেরে চলে গেছে।
পাথরের প্রতিমার মুখ থেকে করুণা মাখানো হাসি ঝরে
আমার একার জীবন ঘিরে সেই হাসি ঝরে
প্রদীপের ক্ষীণ শিখা একা একা জ্বলে
কেউ নেই কাছে শুধু বিরহ রয়েছে।
পুনর্বার ঘর বাঁধি সে নিয়ম নাই,---
ঘর পুড়ে ঝরে গেছে কবে; পুরুষবিহীন।
পুনরায় ভালোবাসা গাঢ় গূঢ় অপরাধ!
চেনা পুরুষেরা একাধিক নারী নিয়ে ঘর করে!
আমার পুরুষ নেই, ঘর নেই, পতিহীনা, পুত্রহীনা
একাকিনী, বিরহিনী নারী।
কোন পাপ করিনি কোথাও, তবু কঠিন একাকী আমি,
মন্দিরের বাইরে বৃষ্টি পড়ছে ঝির্ ঝির্ ঝির্ ঝির্
প্রদীপের ম্লান শিখা মৃদু মৃদু কাঁপে,---
একাকিনী নিরালা মন্দিরে রাত জাগি
কত রাত জাগি কেউ আসবেনা কাছে?"
অনেক ধন্যবাদ, ভাবনাদা।
নূতন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতিও শুভেচ্ছা।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
অসাধারণ কাজ হচ্ছে। আয়নামতি উসকে দিলে বিস্তারিত মন্তব্য হপে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
দেবদ্যুতি
উপস্হিত বলে গেলাম। পরে পড়ে যাবো
বেশ, তাই হোক।
বাপ্রে এত সহজ বাংলা ছিল আগের!
সম্ভবতঃ রোকেয়া হলে গভীর রাতে পুলিশি হামলার সময়কার ঘটনায় ভিসি হলের মেয়েদের গার্মেন্টসের মেয়ে বলে ছোট করার দৃষ্টান্ত রেখেছিলেন, কোনো একটা লেখায় পড়েছিলাম। ঠিক মনে পড়ছে না এখন। আসলে ভাষা বা শব্দ বদলে তেমন লাভ হবে না যদি না মানসিকতার বদল ঘটানো না যায়। তারপরও চেষ্টাটা অন্তত করা যায় অপমানসূচক শব্দের ব্যবহার রোধের। পাণ্ডবদার পোস্টের এই লাইন পড়ে আমার মনে প্রশ্ন এসেছিল
মানুষের প্রতি এত এত অপমানসূচক শব্দের ক্ষেত্রে এরকম ইচ্ছেটা দেখা যায় না কেন? কিসের সাথে কী-ই হয়ত, তারপরও বলিলাম। পরের পর্ব আসুক। আপনার এই সিরিজের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ থাকলো।
জানিনা, সিরিজটা তেমন কিছু হলো কিনা! আর এই সিরিজটা শুরু করার জন্য আপনার ইণ্ডিয়া'স ডটার' - এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা' লেখাটার দায়ভাগই অধিক।
দারুন। পড়ে যাচ্ছি।
স্বয়ম
ধন্যবাদ। পড়া জারি থাকুক।
চমৎকার পৌঢ়দা। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। ৫ তারও দিলাম কিন্তু!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
অসংখ্য ধন্যবাদ।
নারীবাদী লেখাগুলো সবসময়ই মন দিয়ে পড়ি.......প্রতিটা লেখার প্রেক্ষঅপট এক হলেও বিষয়ে বৈচিত্র্য থাকে বলে নতুন কিছু জানা হয়, নতুন করে জানা হয়......যদিও বহু আগেই এসব বিষয় উপলব্ধি করে আসছি
ভালোলাগা রইল
ধন্যবাদ, উৎসাহ যোগানিয়া মন্তব্যের জন্য।
লিঙ্ক পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ। এই লেখাটাতেও আপনার নিজস্ব বিশ্লেষণ বিশেষ নেই। আমরা আপনার বিশ্লেষণ জানতে আগ্রহী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন