আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
'হোয়েন গড ওয়াজ এ্য ওমেন' :
আমেরিকান গ্রন্থকার ও ভাস্কর শিল্পী মারলিন স্টোন রচিত গ্রন্থ, 'হোয়েন গড ওয়াজ এ্য ওমেন'।
এই বই থেকে জানা যায়, তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ করে প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্মমতের উদ্ভবের আগের সময়ের মূর্তি পরীক্ষা করেছেন, সে সকল মূর্তির দেহভঙ্গিমা পরীক্ষা করেছেন, পরীক্ষা করেছেন যাবতীয় পুরাতাত্ত্বিক-নৃতাত্ত্বিক কাজ। তিনি দেখিয়েছেন, প্রাচীণকালের মানুষের অতিপ্রাকৃত বিশ্বাস-আনুগত্যের কেন্দ্র ছিল নারী। মারলিন স্টোন বলেছেন,মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থান, জাপান, ভারতসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচীণ দেবীমূর্তির আড়ালে নারী ঈশ্বরেরই অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
পুরাতাত্ত্বিক ম্যারিঙ্গার বলেছেন, দক্ষিণ ফ্রান্স থেকে সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ইউরেশিয়ান অঞ্চলে যে কর্তৃত্বের চিহ্নবহ নারীমূর্তি পাওয়া যায় তা আসলে মহামাতার মূর্তি। নারীমাতার মূর্তিভাব খুব জটিল। এর মধ্যে প্রাচীণ গোত্রীয় জীবনের সঙ্গে নারী জীবনের সম্পর্ক প্রকাশিত হয়। সেই নারী ঈশ্বরও নয়, দেবীও নয়, সে হচ্ছে গোত্রমাতা। এ সব নারীমূর্তিতে মাতৃতান্ত্রিক সমাজের মতাদর্শই প্রতিফলিত হয়।
ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলে মন্দির গাত্রে স্বল্পবসনা নারীর নৃত্যরত মূর্তি বা নারী-পুরুষের যৌনসম্ভোগরত মূর্তি অথবা কামকেলিরত নারী-পুরুষের মূর্তি সেই খ্রীস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক থেকে হিন্দুযুগ পর্যন্তই খোদিত হয়েছে। এই মূর্তিগুলিকে পূর্বাচার্যরা মিথুনমূর্তি হিসাবে সজ্ঞায়িত করেছেন। খাজুরাহো এবং কলিঙ্গের নগর-দেউলের মূর্তিগুলিতে শৃঙ্গারভাব প্রকট।
ডক্টর কুমারস্বামী বলেছেন, "ভারতীয় শিল্পে যৌন-প্রতিকের মাধ্যমে জগৎপ্রপঞ্চের লীলার প্রকাশ- পুরুষ ও প্রকৃতির মিলনে বিশ্বছন্দের অনুবর্তন।"
স্যার রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর তাঁর 'Vaisnavism, Saivism and minor religious systems' বইতে লিখেছেন,
"অতএব, শাক্ত সম্প্রদায়ের অনুগামীরা নিজেদের পদবীটিকে এই বলে ব্যাখ্যা করেন যে, ঈশ্বর নারীই এবং নারীত্বই সকলের আদর্শ।"
শাক্তমতে নারীরা আদি-কারণের প্রতিক, তাঁদের প্রতি দুর্ব্যবহার করলে প্রকৃতি ক্রুদ্ধা হন, তাঁদের উপাসনা করলে প্রকৃতিরই উপাসনা করা হয়।
রবার্ট ব্রিফল্ট তাঁর, 'The Mothers' বইতে লিখেছেন, 'The art of cultivation has developed exclusively in the hands of woman'.
অর্থাৎ, 'একান্তভাবে মেয়েদের হাতেই কৃষিবিদ্যার বিকাশ ঘটেছে।'
পৃথিবীর পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে আজও এ বিশ্বাস অটুট যে নারীদেহ থেকেই আদিম শস্যের উদগম হয়েছে। (লোকায়ত দর্শন -পৃ: ৩৫৭-৭৯)
মার্কণ্ডেয় পুরাণে দেবী বলছেন,
"ততহহমখিলং লোকমাত্মদেহসমুদ্ভবইঃ
ভবিষ্যামি সুরাঃ শাকৈরাব্বষ্টৈঃ প্রাণধারকৈঃ
শাকম্ভরীতি বিখ্যাতিং তদা যাষ্যাম্যহং ভূবি।।" (মার্কণ্ডেয় পুরাণ, ৯২: ৪৩-৪৪)
অর্থাৎ, অনন্তর আমি নিজদেহ সুমদ্ভূত প্রাণধারক শাকের সাহায্যে বর্যা সমাগমে সারা জগতের পুষ্টি সরবরাহ করবো।এবং এইজন্য জগতে আমি শাকম্ভরী নামে বিখ্যাত হব।
শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ বলেছেন, 'যাঁর মাম শাকম্ভরী তাঁরই নাম দুর্গা। শাকম্ভরী বলেই দুর্গা হলেন অন্নদাতা বা অন্নপূর্ণা।
হরপ্পায় আবিষ্কৃত একটি সিলে দেখা যায় একটি নগ্ন নারীমূর্তির দুটো পা দুধারে প্রসারিত আর মূর্তিটির যোনি থকে একটি লতা বেরিয়ে এসেছে। এ নারী যে শস্যদেবী এবং ফসল এই দেবীর আত্মদেহসমুদ্ভবইঃ তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ইলাম, মেসোপটোমিয়া, ট্র্যন্সক্যাসপিয়া, এশিয়া-মাইনর, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, সাইপ্রাস, ক্রিট, বলকান, ইজিপ্ট ইত্যাদি স্থানে যে সকল নারীমূর্তি পাওয়া গিয়েছে, তা সবই হলো মহামাতৃমূর্তি বা প্রকৃতিমাতার মূর্তি আর এগুলিই হলো 'প্রকৃতির' নমুনা- যে প্রকৃতি থেকে 'শক্তি'র উদ্ভব হয়েছিলো।
বিশ্বের পিছিয়ে পড়া মানুষের বা আদিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে এখনও মাতৃদেবী হিসাবে ধরিত্রীমাতার উর্বরাশক্তি বৃদ্ধির মানসে নানাবিধ যৌনাচার পালিত হয়। এদের মাঝে নারীর উৎপাদনশীলতার সাথে মাটির উর্বরা শক্তির সম্পৃক্ততার ধারনা প্রচলিত।
এই যে মাতৃকার কল্পনা, নারীর প্রজনন শক্তির সাথে মাটির উর্বরাশক্তির সম্পর্ক স্থাপন, কৃষিপদ্ধতির সাথে নারীদেবীর সম্পর্ক ইত্যাকার ভাবনা থেকেই ধরিত্রীমাতা বা বসুমাতারধারণা উদ্ভূত।
বসুমতী বা শস্যদেবী রূপে যে মানস-প্রসুতার প্রথম আবির্ভাব তিনিই আদ্যাশক্তি। এই শক্তি থকেই পরম-পুরুষের উৎপত্তি।
প্রাচীণ ভারতে প্রাকবৈদিক ও আদিবৈদিক সমাজে নারীকেই শক্তি ও সৃষ্টির আধার রূপে কল্পনা করা হয়েছে। সেই শক্তিরূপই আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে আজও পুজিত হন। শাস্ত্রে নারীকে প্রকৃতি রূপেও কল্পনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নারী হচ্ছে শক্তির মূলাধার আর পুরুষ সেই নারীকে অর্থাৎ শক্তিকে ধারণ করেই শক্তিমান।
বিভিন্ন পুস্তকাদি বিশ্লষণে দেখা যায় যে, আদিম গোষ্ঠীসমাজে কৃষিপদ্ধতি আবিষ্কারের পরবর্তী সময়েও মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিলো। তবে নারীপ্রধান্য ছিলো কীনা এ কথা সঠিকভাবে জানা যায়না, বরং বলা যায় এক ধরণের সাম্যবাদই বিরাজিত ছিলো। কৃষি সরঞ্জামের আবিষ্কার, উন্নত চাষাবাদ ও পশুপালন ইত্যাদি কারণে গোষ্ঠীর মধ্যে কর্ম-বিভাজনের ফলে খাদ্যশস্য ও পশুসম্পদের উদ্বৃত্তের ফলেই ব্যক্তিপ্রাধান্যের ধারনা সৃষ্টি হয়। আর এই বিভাজিত কর্মযজ্ঞের পৌরহিত্যের দায়িত্বে থাকতেন পুরুষেরাই। কৃষি সরঞ্জান, লাঙ্গল ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে কৃষিকাজের ভারও পুরুষের উপরই বর্তায়। আর নারীরা গর্ভধারণ, সন্তান পালন, গৃহস্থালি, ফসল সংরক্ষণ ইত্যাদি কর্মে অধিকতর ব্যপৃত হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে গোষ্ঠীসমাজে সম্পদের অধিকার ও পুরুষপ্রাধান্য সৃষ্টি হতে থাকে।
আদিম গোষ্ঠীসমাজে সৃষ্টিকর্তা বা একেশ্বরের কোন ধারণাই ছিলোনা। তারা ছিল প্রকৃতিপুজক। তাদের ভাবনায় সৃষ্টি ও উৎপাদকের ভূমিকায় ছিলো নারী। তাই তারা নারীকে প্রকৃতির স্বরূপে চিহ্নিত করেছে।
ধর্মমতের উদ্ভবের অনধিক পূর্ব সময়ে সমাজে পুরুষপ্রাধান্যের উপলক্ষণ দৃষ্ট হয় বটে, তবে তা প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্তি লাভ করে প্রধান প্রধান ধর্মমতগুলির উদ্ভবের ফলেই। ধর্মমতগুলিতেও তদানিন্তন পুরুষপ্রাধান্যের দিকটিকে উপেক্ষা করা হয়নি বরং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তাকে সংহত করা হয়েছে।
নারীবাদী ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে আব্রাহামিক ধর্মমতের উদ্ভব এবং অন্যান্য পুরুষতান্ত্রিক ধর্মমতের প্রসারের কারনে ঈশ্বরের লিঙ্গভাবের পরিবর্তন ঘটে।
এই উপমহাদেশে পৌরাণিক যুগের শুরুর দিকে এইসব কারণে নারীগণ পুরুষের অধীন হয়ে যায়।
অসম্পূর্ণ।
সহায়ক গ্রন্থ সমূহ:
১) নারী, পুরুষ ও সমাজ - আনু মুহাম্মদ।
২) লোকায়ত দর্শন - দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
৩) বাউলতত্ত্ব - আহমদ শরীফ।
৪) তেহাই (ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন) - সপ্তর্ষি ভট্টাটার্য্য সম্পাদিত।
আগের পর্বসমূহ:
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (এক)
নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (দুই)
[url=http://www.sachalayatan.com/vabna/54261 ]নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (তিন)[/url]
মন্তব্য
অতিরিক্ত কোটেশনে আপনার নিজের বক্তব্য পরিষ্কার হলো না। আমি অনুরোধ করবো কোটেশন কমিয়ে আপনার বক্তব্য তুলো ধরতে।
ঠিক। উদ্ধৃতির ব্যাখ্যা ও লেখকের নিজস্ব বিশ্লেষণ না থাকলে টপিকের যৌক্তিকতা কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জী, আপনার সাথে সহমত পোষণ করেই বলছি, এ বিষয়ে আমিও দ্বিধান্বিত ছিলাম, আপনার অনুরোধে তার কিছুটা পরিমার্জন করলাম। এই লেখাটা সিরিজ আকারে লেখার কারণে ধরণা করেছিলাম, মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে একটি গ্রহণযোগ্য রূপ পরিগ্রহ করবে আর একেবারে শেষাংসেই নাহয় আমার নিজস্ব ভাবনাটা দেওয়া যেত।
ধন্যবাদ, পরামর্শের জন্য।
নারীর সন্তান প্রসব ছিল বিষ্ময়কর ঘটনা এবং একই কারণে ঐশ্বরিক। তো সেই নারী শক্তিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে প্যাগান রিলিজন। কিন্তু এক সময় পুরুষরা ভূমির উপর কর্তৃত্ব পেতে শুরু করলে দেবীরা মুছে যেতে থাকেন আস্তে আস্তে।
কথা হচ্ছে, আমরা কি চাই আসলে? পুরুষতান্ত্রিক নাকি নারীতান্ত্রিক সমাজ? যদিও নারীতান্ত্রিক যুগে পৃথিবী অনেক ভাল ছিল, তবু আমরা এই যুগে আসলে কোন একটি নির্দিষ্ট তন্ত্রে ফিরে যেতে চাই না। আমরা চাই প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা, হউক পুরুষ বা নারী, প্রতিটি মানুষ যেন তার জীবনের মানে খুঁজে পায়।
চলুক, প্রৌঢ়দা!
।।।।
অন্ধকূপ
সিরিজটা চলুক। হয়তো ভালো একটা আলোচনার উৎস হতে পারে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বৌদ্ধের মুখটা দেখতে নারীসুলভ(আমার কাছে তো সেরকম লাগে) এ বিষয়ে কোনো ধারণা আছে নাকি?
সিরিজটা নিয়ে আপনার নিজস্ব ভাবনা জানবার আগ্রহ থাকলো।
সিরিজ চলুক
প্রাচীণ বৌদ্ধমতে বুদ্ধকে কোন প্রতিমূর্তিতে উপস্থাপন করাকে বৌদ্ধশাস্ত্রগ্রন্থ 'দিঘা নিকায়' প্রবল ভাবেনিরুৎসাহিত করেছে। গৌতম বুদ্ধকে উপস্থাপিত বা চিহ্নিত করা হতো, শিরস্ত্রান, বোধিবৃক্ষ, বুদ্ধের পদচিহ্ন এবং ধর্মচক্র দ্বারা। ইতিহাসে গৌতম বুদ্ধকে চিহ্নিত করা যায়নি। তাই তাঁর প্রতিকৃতি তৈরি একটি দেবমূর্তি গঠনের সামিল। মহাবীর আলেকজাণ্ডারের ব্যাকট্রিয়া, গান্ধার প্রমুখ অঞ্চল দখলের পরে গ্রীক দেবতা এ্যাপোলোর মূর্তিদ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে বুদ্ধমূর্তি নির্মিত হয়।
সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রের পুরাণমতে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব সকলেই অর্ধনারীশ্বর রূপে কল্পিত হয়েছেন। অর্ধনারীশ্বর মূর্তিতে একই শরীরের দক্ষিণাংশ শিব এবং বাম অংশ পার্বতীমূর্তি। ডানদিকে সায়ুধ অর্ধমহাদেব, বামদিকে অর্ধপার্বতী । পুরাণমতে গৌতম বুদ্ধও বিষ্ণুর অবতার। যারা বুদ্ধমূর্তি গড়েছিলেন তাদের মধ্যেও এই ভাব কার্যকর ছিলো বোধহয়, তবে সঠিক ব্যাখ্যাটি আমার জানা নেই।
এত পড়েন কখন? অবাক লাগে।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
পড়ছি। সিরিজ চলুক, সঙ্গে আছি। অন্যদের সঙ্গে সহমত জানিয়ে পর্বগুলির আরেকটু বিস্তার আশা করছি
ডাকঘর | ছবিঘর
বোধহয় আগেও একবার বলেছিলাম, লেখকের বক্তব্য ধরতে পারিনি। আবার বললাম।
ভারতবর্ষের আয়রনি হল আমরা পাথরের মুর্তিকে দেবী মানতাম, মানি আর সমস্ত অত্যাচার করতাম এখনো করি রক্তমাংসের নারীদের। আজব!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ভেবেছিলাম, মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে লেখাটার দুর্বল দিকগুলো উঠে আসবে এবং সংযোজন,পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে লেখাটা একটা পরিপূর্ণতা লাভ করবে। আর লেখার একেবারে শেষাংসে অর্বাচিনের কিছু মতামত যোগ হতো আরকি! ধন্যবাদ, দিকনির্দেশনার জন্য।
নতুন মন্তব্য করুন