ডিসক্লেইমার
(ধর্মের ব্যাপারে স্পর্শকাতর মানুষজনকে এইটা না পড়ার অনুরোধ রইলো। আমার উদ্দেশ্য আঘাত করা নয়, বরং নিজস্ব চিন্তা তুলে ধরা। লেখায় কিছু ইংরেজি শব্দের ব্যবহার রয়েছে। ক্ষমা প্রার্থণীয়।)
ডেভিড অ্যাটেনবরোর প্রামাণ্যচিত্রটা দেখার পর থেকেই ভেবেছিলাম এই নিয়ে কিছু লিখবো। রায়হান আবীরের “(ওয়াজ ডারউইন রং?)” শীর্ষক পোস্টটা দেখার পরে মনে হলো আসলে পোস্ট না দিয়ে ভালই করেছি। এত গুছিয়ে এবং কার্যকরী ভাবে আমি কোনোদিনই লিখতে পারতাম না। তবু একটা খচখচানি রয়ে গেল.. প্রামাণ্যচিত্রটা সম্পর্কে কিছু বলতে গিয়েও না বলার অপরাধবোধ থেকেই লিখতে বসলাম।
বিবিসির সাথে সম্পর্ক আছে আর “লাইফ” সিরিজের জন্য বিখ্যাত ডেভিড অ্যাটেনবরোকে চেনে না এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া শক্ত। এবছরের প্রথম দিকে এই অ্যাটেনবরোর “ডারউইন এন্ড দ্য ট্রি অব লাইফ” শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রটি বের হয়। যুদয়োখ্রীস্টিয়ান আদিপুস্তক এ সৃষ্টির বর্ণনা দিয়ে শুরু করা এই চিত্রে তিনি ডারউনীয় মতবাদ ও তার ব্যাপ্তি নিয়ে আলোচনা করেন। ঘর থেকে শুরু করে সেই সব স্থান যেগুলো স্বয়ং ডারউইনকে অনুপ্রেরণা ও চিন্তার খোরাক জুটিয়েছিলো, সব ক্ষেত্র্রেই সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি প্রকৃতির সাথে প্রাণীর সম্পর্ক ও বিবর্তনের সরলতম ধারণাগুলিকে উপাত্তের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন। বেশ শিক্ষণীয় এবং সুনির্মিত। বেশি বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলামনা, তাইলে আপনারা দেখবেন কি?
বেশ কিছু চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। দেখি বর্ণমালায় রূপ দেওয়া যায় কিনা।
ইয়াং আর্থ থিওরি কি? কারা বিশ্বাস করে?
১৬৫০ সালে, আশার নামক এক আর্চবিশপ বাইবেল ঘেঁটে ঘুঁটে উল্লেখিত বছরগুলি যোগ করে আর মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রস্তাব করলেন যে পৃথিবীর বয়স ৬০০০ বছর। সেই থেকে হলো ইয়াং আর্থ থিওরি (বলে রাখা দরকার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আর এই তত্ত্বে আকাশ পাতাল ফারাক)।বিবর্তন মতবাদের আবির্ভাবের পর এই থিওরি আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। বলা বাহুল্য, এটা খ্রীস্টিয়ান ধর্মতত্ত্বের অংশ নয়, একটি বিশেষ গোত্রের ইন্টারপ্রিটেশন। সবাই বিশ্বাস করে না, আবার অনেকেই করে।
বিবর্তন কি?
এই প্রশ্নের উত্তর বোধকরি সবাই জানেন। না জানলেও রায়হান আবীরের লেখাটি সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করতে যাবেন। উনার থেকে ভাল করে লিখতে পারবনা বলেই আমি সেদিকে যাচ্ছি না ।
ট্রি অব লাইফ কি?
ফাইলোজেনি, বা সকল শ্রেনী গোত্রের উদ্ভব ডারউইন ব্যাখ্যা করেছিলেন একটি ট্রি অব লাইফ যাকে আমি জীবন-বৃক্ষ বলছি, তার মাধ্যমে। রায়হান আবীরের লেখায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা আছে এ বিষয়ে। আমি শুধু উল্লেখ করতে চাচ্ছি যে সম্প্রতি কিছু বিজ্ঞানী দাবী করছেন যে ডারউইন এর জীবন-বৃক্ষ তত্ত্বে কিছু ঘাটতি আছে, আন্তপ্রজাতীয় প্রজননের কারণে বাইনারী ট্রি হিসাবে না হয়ে মডেলটি জালের মত হতে পারে।(একটি সূত্র : http://www.telegraph.co.uk/science/4312355/Charles-Darwins-tree-of-life-is-wrong-and-misleading-claim-scientists.html)
কেন ভুল হতেও পারে ক্ষুদ্র ডিটেইলস?-
বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। প্রচলিত ভাষায় “থিওরি”কে যেভাবে ব্যাখ্যা করা হয়, বৈজ্ঞানিক থিওরি মোটেও তা নয়। সেই কারণে অজ্ঞ এবং দুরভিসন্ধিকারীরা বিবর্তনকে “জাস্ট আ থিওরি” বলে নাকচ করে দিতে চায়। একই ভাবে, ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাসে অভ্যস্ত জোকার নায়েকের মতন এইসব লোক দুই একটা অসম্পূর্ণতা (যেমন মিসিং লিংক এর ব্যাপারটা) খুঁজে পেলে লাফিয়ে উঠবে ডারউইনের সম্পূর্ণ তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করতে। তারা ভুলে যায় যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব “গসপেল ট্রুথ” এর মত গাঁজাখুরি এক্সিওম নয়। পরীক্ষা সাপেক্ষে শোধরানোর সুযোগ থাকে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল এর কথা চিন্তা করতে পারি। তাঁর তত্ত্বে ভুল ছিলো, অসম্পূর্ণতা ছিলো, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাঁর সমগ্র চিন্তাধারাই ভুল ছিলো। তাঁর দেখানো পথ ধরেই, তাঁর তত্ত্বের অসম্পূর্ণতাকে পূর্ণ করেই আজ বিজ্ঞানের এ অগ্রগতি। তেমনি বিবর্তনবাদের জনক (যদিও হেনরি হাক্সলী হাজার হাজার মাইল দূরে বসে একই সময়ে একই বিষয় নিয়ে ভাবছিলেন, ততদিনে ডারউইন তাঁর গবেষণায় অনেক এগিয়ে গিয়েছেন) প্রদত্ত তত্ত্বে যদি অসম্পূর্ণতা থাকেও তার মানে কখনোই এই নয় যে বিবর্তন মতবাদ ভুল। প্রধানত যেহেতু প্রাপ্ত সকল প্রমাণ ও উপাত্ত তাঁকে সঠিক প্রমাণ করে।
এইখানে মনে হয় বৈজ্ঞানিক থিওরি এবং হাইপোথেসিস নিয়ে একটু কথা বলা দরকার।
হাইপোথেসিস বা প্রস্তাবনা:
প্রস্তাবনা হলো একটি ধারনা বা প্রেডিকশন। গবেষণার পূর্বেই ফলাফল সম্পর্কে ভবিষ্যতবানী। ধরি, একটা স্টাডি করা হবে পড়াশোনার অভ্যাস এবং পরীক্ষাভীতির উপরে। প্রস্তাবনা হতে পারে, যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে তাদের পরীক্ষাভীতি কম হবে। প্রস্তাবনা পরীক্ষার ফলাফল আগে থেকেই আন্দাজ করার চেষ্টা করে।
থিওরি বা তত্ত্ব:
তত্ত্ব হল পরীক্ষিত নীতিমালা যা প্রকৃতি জগতের কোনো ঘটনা ব্যাখ্যা করতে দাঁড় করানো হয়েছে। তত্ত্ব তৈরি হয় বারবার নীরিক্ষণ ও পরীক্ষণের পর প্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে।
তত্ত্ব সাধারণ ভাবে কোনো ঘটনাকে ব্যাখ্যা করে বা পূর্বপ্রাপ্ত উপাত্তের ভিত্তিতে কোন ঘটনার ফলাফল অনুমানের চেষ্টা করে। যেমন: আগের ২০০ টি পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে তারা পরীক্ষার আগে ভয় পায় না। কাজেই তত্ত্ব হতে পারে যে যারা নিয়মিত পড়াশোনা করে তাদের পরীক্ষাভীতি থাকে না। এখানে লক্ষ্যণীয় যে প্রস্তাবনার জন্য পূর্বপরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য উপাত্ত দরকার হয় না। তত্ত্বের জন্য তা অবশ্য প্রয়োজনীয়।
“ল” বা সূত্র:
যে তত্ত্বকে একটা সাধারণ নীতিমালায় ফেলা যাবে যা সকল বস্তুর ক্ষেত্র্রে প্রযোজ্য, তাই সূত্র। যেমন বল = ভর * ত্বরণ। ক্লাসিকাল পদার্থবিজ্ঞানের সকল বস্তুর জন্য এ নিয়ম খাটবে।
বিবর্তন “ল” নয় কেন? কারণ এখনো এমন কোনো সূত্রে আমরা উপনিত হতে পারিনি। তার কারণ হিসেবে অনেকটাই দায়ী হলো বিবর্তন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রীতা, নিয়ন্ত্রিত চলকের অভাব ও সময় পিছিয়ে গিয়ে উপাত্ত সংগ্রহ করে আসা অসম্ভব। তার মানে এই নয় যে কোনোদিনও বিবর্তনকে সাধারণ সূত্রে ফেলা সম্ভব হবে না। আজকে অন্তর্জাল যে এই অবস্থানে আসবে, তা ত্রিশ বছর আগে হলেও কি আমরা স্বপ্নেও বিশ্বাস করতাম? এর নামই তো বিজ্ঞান- অজানাকে জানা, আপাত উত্তরহীন প্রশ্নের উত্ত্র খুঁজে বের করা।
মোদ্দা কথা হলো, বিবর্তন তত্ত্ব (উপরোক্ত সঙ্গার ভিত্তিতে) কোনো “বিশ্বাস” না। ধর্মের সাথে এখানেই এর পার্থক্য। বরং বিবর্তন একমাত্র পরীক্ষিত, গ্রহণযোগ্য এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। একে অস্বীকার করে মানসিক শান্তি পাওয়া গেলেও যেতে পারে, কিন্তু সত্যের সন্ধান কখনোই পাওয়া যাবে না।
মন্তব্য
ট্রি অফ লাইফ ডকুটা দেখেছি কয়েকদিন আগে। অসাধারণ। ডারউইনের পদক্ষেপ অনুসরণ করার আইডিয়াটা দারুন ...
আমার লেখার সময় লীলেন ভাই বলেছিলেন বেশ কিছু টার্মের বোধগম্য ব্যাখ্যা থাকা দরকার, বইটি কিশোর উপযোগী করার জন্য। এইজন্য বেশ কিছু জিনিস নিয়ে ছোট ছোট টিকা লিখা শুরু করেছি। যেমন, ফসিল কী, ডিএনএ কী? এই সব আরকি ... আপনার লেখার মধ্যেও বেশ টিমু টার্মের ব্যাখ্যা এসেছে- যেগুলো পাঠকের সামনে পরিষ্কার করা দরকার।
বিবর্তনকে কেন ল বলা যাবে না, এই ব্যাপারে আমার একটু কনফিউশন আছে। ফসিল রেকর্ডের কথা বাদ দিলেও, প্রতিটা প্রানী কেমন হবে, এইটা কিন্তু জীববিজ্ঞানীরা জীনতত্ত্ব দিয়ে বলে দিতে পারেন। একদম একুরেট হবে সেটা। এমনকি অনান্য গ্রহে প্রাণের বিকাশ ঘটলে সেটাও ডারউনের বিবর্তন তত্ত্ব মেনেই হবে। তাহলে ল হবে না কেন?
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
"ল" হবে না তা কিন্তু বলিনি ভাই। অদূর ভবিষ্যতে "ল" হতেও পারে, তবে এখনো পর্যন্ত ল নয় কারণ যথেষ্ট এম্পিরিকাল এভিডেন্স আমরা এখনো পাইনি। সেকারনেই কিন্তু গবেষণা চলছে। আমার জ্ঞান সীমিত, তবে যতটুকু বুঝি, অনেক ভেরিয়েবল আছে যেগুলো সবসময় কন্ট্রোল করা সম্ভব নয় এবং এই স্বল্প সময় পরিসরে বাস্তব পরিণতি দেখে উপাত্ত সংগ্রহ কঠিন।
ধরুন, ভিন গ্রহের প্রাণীর কথা। সিমুলেটেড একটা থিওরি দেওয়া যাচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে সেই গ্রহে গিয়ে জীবন্ত এমন এক প্রাণীর বিবর্তন ঘটানো এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। গননা করে বলে দিতে পারছি এমন হবার কথা এবং হয়ত এমনই হবে, কিন্তু বিজ্ঞানের ধারাটাই এমন যে চাক্ষুষ না দেখে কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা (ল ঘোষনা করা.. যেটা সকল ক্ষেত্রে সকল প্রেক্ষিতে সিদ্ধ হবে) সম্ভব না ।
ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। আশা করছি আপনার বইটা খুব তাড়াতাড়িই পাব।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
বিবর্তন নিয়ে সাধারণ্যে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো ভাঙানোর জন্যই এ ধরণের লেখার খুব প্রয়োজন। অ্যাটেনব্রো-র প্রামাণ্য চিত্রটা আমারও খুব ভাল লেগেছে। তার মত এত সুন্দর করে আর কেউ বঝাতে পারে বলে মনে হয় না। এক সময় কার্ল সেগান পারতো।
সমস্যা হচ্ছে মানুষজন বৈজ্ঞানিক জার্নাল ফার্নালের ধার ধারে না। বিবর্তন নিয়ে যারা পকপক করে ওদের তথ্যসূত্র জিজ্ঞেস করলে বলে- ওমুক বড় ভাই, আমার আব্বা, আমার চাচা, ওমুক ধর্মবেত্তা, ওমুক জোকার নায়েক ইত্যাদি ইত্যাদি। মাঝেমাঝে এমনও বলতে শোনা যায় আমাদের শহরের ভার্সিটির ওমুক প্রফেসর কইছে বিবর্তন ভুল। এইসব কিছুই যে তথ্যসূত্র হিসেবে মূল্যহীন সেটা যে অধিকাংশ মানুষ কখন বুঝতে পারবে কে জানে! অদূর ভবিষ্যতে হবে না এটা নিশ্চিত। কারণ মানুষ বাপ-দাদার কথা অন্ধের মত মেনে না নিলে তো ধর্মই টিকে থাকতো না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
প্রচণ্ড সত্যি কথা।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
খুব ভাল পোস্ট, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
বিশেষ করে বিজ্ঞানের ভাষায় থিওরি বলতে কি বুঝায় সেটা তুলে ধরার জন্য ।
--
জীবন বৃক্ষের গঠন কোন কোন জায়গায় জালের মত হতেই পারে, আমি সহমত । যদ্দূর জানতাম, এমনকি মানুষের বিবর্তনেই দুই একবার জাল তৈরী হয়ে থাকতে পারে ।
--
কয়েকটা ইংরেজী বাক্যাংশের বাংলা এমন হতে পারে,
ইয়াং আর্থ থিওরি = তরুন পৃথিবী তত্ত্ব
ডিটেইলস = খুঁটিনাটি
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ধন্যবাদ আপনাকে
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভালো পোস্ট।
এরকম আরো পোস্ট দরকার। লিখতে থাকুন। (পাঁচতারা)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসংখ্য ধন্যবাদ
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
- হাইপোথিসিস হলো একটা বিষয়ের সম্ভাব্য ভুল-নির্ভুল ফল ।
- তত্ত্ব বা থিওরী হতে গেলে পূর্বপরীক্ষিত ও গ্রহণযোগ্য উপাত্ত অবশ্য প্রয়োজনীয় না । অনেক সময় বাস্তবে প্রয়োগ বা অনুভব সম্ভব না বা আপাতত সম্ভব না এরকম বিষয়ও তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধন্যবাদ। বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যে উপাত্ত ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ তথা অবজারভেশন ব্যতিত তৈরি হতে পারে তা জানা ছিলো না । একটা উদাহরণ দিতে পারবেন কি? মিরিয়াম ওয়েবস্টার অভিধান বলছে - "a plausible or scientifically acceptable general principle or body of principles offered to explain phenomena
"
আমার শিক্ষা যা বলে - " A scientific theory is constructed to conform to available empirical data about such observations, and is put forth as a principle or body of principles for explaining a class of phenomena".. (তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া, যদিও আমার শিক্ষা উইকিপিডিয়া থেকে নয়।) তবে অবৈজ্ঞানিক শাখার তত্ত্বের জন্য অবশ্যই উপাত্ত প্রয়োজনীয় নয় ।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
- ভাই সবকিছুতে ডিকশনারি আর উইকিপিডিয়ার আশ্রয় নিলে তো মুশকিল!
- গণিত আর ফিজিক্সে রিয়ালাইজেশন হয়নি বা সম্ভব না এরকম উদাহরন বেশুমার । এই মুহুর্তে মনে পড়া দুটো উদাহরন দেই । স্ট্রিং থিওরী বলে ডাইমেনশন ১০/১১টা সেটা কি রিয়ালাইজেশন বা এম্পিরিকাল ফাইন্ডিংস থেকে বলে ? ফেরমার লাস্ট থিওরেম একটা থিওরেম হিসেবে সাড়ে তিনশত বছর অপ্রমানিত অবস্থায় ছিলো ।
- গণিতে কোন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য এম্পিরিকাল ভিত একটা পদ্ধতি মাত্র । এখানে খেয়াল রাখা জরুরী যে এম্পিরিকাল কোন পদ্ধতি গাণিতিক তত্ত্বকে সমর্থন করতে পারে কিন্তু এ দিয়ে গাণিতিক কোন থিওরেম প্রমান (proof) করা যায় না ।
- অবৈজ্ঞানিক শাখা বলতে কি বোঝাচ্ছেন ?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ডিকশনারী থাকলে ভাই সঙ্গা বুঝতে সুবিধা হয়। এখানে বোধহয় আমাদের কিছু মতবিরোধ আছে সঙ্গার ক্ষেত্রেই। তাই সশ্রদ্ধ দ্বিমত পোষণ করছি। স্ট্রিং থিওরি নিয়ে গবেষণার কিছু ইতিহাস আছে বলেই জানি।
"অবৈজ্ঞানিক" শাখা বলতে আমি সেই সব শাখাকে বোঝাচ্ছিলাম যেখানে তত্ত্ব ঘোষনার জন্য "ফলসিফায়াবিলিটি" (য্যুত্সই বাংলা পাচ্ছিনা, দু:খিত) আবশ্যকীয় নয় (উদাহরণ- অধিবিদ্যা)। আমি স্যার কার্ল পপারের মতবাদ অনুসারে আমার সঙগা দিয়েছি। আমাদের মতভেদ বোধহয় সেখানেই
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ডিকশনারী থাকলে ভাই সঙ্গা বুঝতে সুবিধা হয়। এখানে বোধহয় আমাদের কিছু মতবিরোধ আছে সঙ্গার ক্ষেত্রেই। তাই সশ্রদ্ধ দ্বিমত পোষণ করছি। স্ট্রিং থিওরি নিয়ে গবেষণার কিছু ইতিহাস আছে বলেই জানি।
"অবৈজ্ঞানিক" শাখা বলতে আমি সেই সব শাখাকে বোঝাচ্ছিলাম যেখানে তত্ত্ব ঘোষনার জন্য "ফলসিফায়াবিলিটি" (য্যুত্সই বাংলা পাচ্ছিনা, দু:খিত) আবশ্যকীয় নয় (উদাহরণ- অধিবিদ্যা)। আমি স্যার কার্ল পপারের মতবাদ অনুসারে আমার সঙগা দিয়েছি। আমাদের মতভেদ বোধহয় সেখানেই
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
পড়তে ভালো লেগেছে, জানিয়ে গেলাম।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
অনেক ধন্যবাদ জানালাম
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আসলে পৃথিবী ও বিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে আমার জন্ম মুহূর্তে এবং ধংস্ হবে আমার মৃত্যুদিন। যদি আমি মারা যাই। ঃ)
হা হা... তাইলে ভাই মইরেন না প্লিজ
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ভালো লাগলো! ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগলো।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নতুন মন্তব্য করুন