××× বিশুদ্ধ শৈল্পিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিখ্যাত দুষ্টু ছবি থাকার সম্ভাবনা ব্যাপক। সুতরাং ঢোকার আগে সাধু সাবধান।×××
আরেকবার ঝালিয়ে নিচ্ছি-
বারোক চিত্রকল্পের খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল ছবিতে যেভাবে "ইলিউশনিজম" বা ভ্রম সৃষ্টি করা হয়েছে।
সময়, স্থান, আলোক এবং গতির ব্যবহার ও সাথে অনুভূতিকে প্রচণ্ড ভাবে নাড়িয়ে দেবার অভিনব (তখনকার প্রেক্ষিতে) বারোক শিল্পকে করে তোলে অনবদ্য। বেশি জানিনা, সীমিত জ্ঞান থেকে যুক্তরাজ্যের, ডাচ ও ফরাসী কিছু বারোক শিল্পীর ছবি আজ দেখাতে চাচ্ছি আপনাদের ।
প্রথম ছবি সাধু লিভিনাসের।
ছবির গল্প খুব একটা জটিল না। আয়ারল্যান্ডের এক খ্রিষ্টান বিশপ, যাচ্ছেন প্রচার কার্যে। পথে ডাকাত দল হামলা করল। সব লুটে নিয়েই তারা শুধু ক্ষান্ত হল না, যাবার আগে তাঁর জিভটা কেটে নিয়ে গেল। সেই নৃশংস বর্বরতার ছবি এটি। এঁকেছেন রুবেন্স। অ্যান্টওয়ের্পের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
ছবির বিষয়বস্তু প্রচণ্ড নির্মম, বর্বর ও অনুভূতিকে নাড়িয়ে দেবার মত। ভালো করে দেখলে দেখা যাবে ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক ডাকাত ছিঁড়ে আনা জিভটা এক কুকুরকে খাওয়াচ্ছে। বারোক যুগের ছবিতেই প্রকাশভঙ্গীর মাধ্যমে অনুভূতিকে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে। ছবিটি দর্শকের অনুভূতিতে কঠোর আঘাত করার উদ্দ্যেশেই আঁকা। সময়ের ক্ষেত্রে আবারো সেই প্রচণ্ড গতিময় একটি মুহুর্ত পুরো বিষয়টিকে ধারণ করে রাখছে। স্বর্গ থেকে প্রতিশোধ নিতে একদিকে স্বর্গদূতেরা নেমে আসছে বজ্র হাতে, আরেকদিকে স্বর্গদূতেরাই অন্যরূপে তাকে তুলে নিচ্ছে উপরে। ভাল-মন্দের তুমুল লড়াই, জীবনের কষ্ট ও পরে অনন্ত শান্তি, অনেকগুলো খুব জটিল বিষয় খুব অল্প পরিসরে আটকে ফেলেছে এই ছবি। আলোর ব্যবহার লক্ষণীয়, নীল আকাশ হল সেকুলার আকাশ, আর সোনালী আকাশ হচ্ছে স্বর্গীয়। রঙের ব্যবহার খুব জমকালো।
আসি রুবেন্সের "ভেনাস এন্ড এডোনিস" এর দিকে । এইটা একটু দুষ্টু ছবি, তো আগেই সাবধান।
ছবির বিষয়বস্তু সে সময়ে বেশ জনপ্রিয় ছিল। স্বর্গের দেবী ভেনাস মর্ত্যলোকের মানুষের প্রেমে পড়েছেন। মজার ব্যাপার হল এই কেলেঙ্কারীর জন্য দায়ী স্বয়ং ভেনাস-পুত্র কিউপিড। ছবির গল্প হল, সারা রাত দুষ্টু প্রেম করার পর, সকালে এডোনিস বের হচ্ছে শিকার করতে। দেবী ভেনাস দৈব বলে জানেন যে এডোনিস শিকারে গেলেই তার বিপদ আসন্ন, পরিণাম মৃত্যু। ভেনাস সর্বশক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরে ঠেকাতে চাচ্ছেন এডোনিসকে। ভেনাসের ছেলে কিউপিডও চেষ্টা করছে তাকে ঠেকাতে। ছবির ঘটনা কিন্তু আবারো একটি স্থির মুহুর্তে আবদ্ধ। মুহুর্ত স্থির হলেও বিষয়বস্তু প্রচণ্ড গতিময়। ছবিতে ভালোবাসা আছে, দুষ্টু প্রেম আছে, প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা আছে। সবই একটি ফ্রেমে ধারণ করা। এই ছবিতে অবশ্য রেনেসাঁ ছবির একটু গন্ধ আছে। খেয়াল করে দেখলে দেখা যাবে ভেনাস ও এডোনিস মিলে তৈরি করেছে একটি প্রায় সমবাহু ত্রিভুজ, আর সেই সাম্যের মধ্যেই ছবিটি মূর্ত হয়ে উঠেছে।
.
তাকানো যাক রুবেন্সের সমকালীন ভ্যান ডাইকের দিকে।
এই ছবিতে নেদারল্যন্ডের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও ডাচ গর্ব প্রবলভাবে ফুটে উঠেছে। ছবির বিষয় রাজা প্রথম চার্লসে কিন্তু শিরোচ্ছেদ করে মারা হয়।
এই ছবিতে ভ্রম আবার স্পষ্ট। রাজার মাথায় মুকুট নেই, হাতে নেই রাজদন্ড! মুকুটের বদলে মাথায় সাধারণ টুপি, হাতে লাঠি। তবে দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে ব্যাপক দর্প! গাছের পাতা মাথার উপরে ক্যানোপি হয়ে রয়েছে, আর ঘোড়া হয়েছে নত মস্তক! ঠিক যেন প্রজা !
.
.
.
.
রেম্ব্রান্ট ... আহ্ রেম্ব্রান্ট! এই লোকের আমি বিরাট পাঙখা!! পুরি অমানবিক! এঁর ছবিতে সমসাময়িক সামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথে অনেক বিষয়ই উঠে এসেছে - যেমন দর্শন, বিজ্ঞানে অগ্রগতি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ।
ছবির নাম "এনাটমি অব ডক্টর টাল্প"
ছবিতে ডাক্তার নিকোলাস টাল্পকে দেখা যাচ্ছে এক অপরাধী আরিস কিন্ডটের মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করে সহকর্মীদের সাথে আলাপরত অবস্থায়। আগের দিনে কিন্ডকে গলা টিপে হত্যা করা হয় ডাকাতির অভিযোগে। ডাক্তারদের সঙ্ঘ রেম্ব্রান্টকে তাঁদের এক ছবি একে দিতে বললে তিনি তাঁদের কর্তব্যরত অবস্থায় এ ছবিটি আঁকেন। একক ভাবে বা সাধারণ প্রেক্ষাপটে কেন আঁকলেন না? কারণ তিনি যে বারোক শিল্পী! কর্মব্যস্ত গতিময় জীবনকে তিনি ধারণ করেন একটি মুহুর্তে। পেছনে দেখা যাচ্ছে একটি ফলকে উপস্থিত সকলের নাম লিপিবদ্ধ। আর সামনের খোলা খাতাটিতে দেখা যাচ্ছে আন্দ্রে ভেসালিয়াসের এনাটমির বই। সে সময়ের প্রেক্ষিতে এটি হুড়োহুড়ি ফেলে দেবার মত একটা ছবি। তখন প্রচলিত বিশ্বাস ছিল দেহ হল ঈশ্বরের সম্পত্তি। একে কাটাকুটো করে নষ্ট করার অধিকার মানুষের নেই। তেমন একটি সময়ে এমন একটি ছবি বেশ উগ্র ভাবেই চোখে পড়বার মতন। উল্লেখ্য, এই ছবিটিতেই রেম্ব্রান্ট প্রথমবারের মতন অদ্যক্ষরের বদলে নিজের পুরো নামে স্বাক্ষর করেন।
তাকাই বিখ্যাত "নাইটওয়াচ" এর দিকে-
খুব সমসাময়িক একটি ছবি। এটিও আগের ছবিটির মতই একটি গ্রুপ পোর্টেট। স্প্যানিশদের তাড়ানোর লক্ষ্যে গঠিত সেই সময়ের অনেক মিলিশিয়া বাহিনির মধ্যে এটিও অন্যতম। ছবির বিশেষত্ব আবার ঐ একটিই, সবাই যেন জীবন্ত। ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে একদল মানুষ যুদ্ধে যাবার জন্য। দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা জীবন্ত হয়ে আমাদের সময়ে, আমাদের স্থানে প্রবেশ করছে। এই ছবিতে আলো আঁধারির কারসাজি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় - ছবিটি আসলে দিনের। কিন্তু সেই সময়ে উঁচু দালানকোঠার জন্য দিনের আলো প্রবেশ করতে পারছে না। যে সামান্য ফাঁক দিয়ে প্রবেশ করছে তা ছবির বিশেষ বিশেষ অংশকে আলোকিত করছে প্রকটভাবে।
ফারমিয়েরের তিনটি ছবি দেখি এই আলোর কারসাজি সম্বলিত। সাথে সে যুগের বিজ্ঞান সাধনার বিষয়টিও লক্ষ্যনীয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ছবিটি অ্যান্থনি ফন লিউয়েনহুকের। বৈজ্ঞানিক, অংকবিদ, দার্শনিক এ মহারথিকে দেখা যাচ্ছে নিজ কাজে ব্যস্ত।
প্রথম ছবি জিয়োগ্রাফারে বাম থেকে ডানে আলোর গতি ক্যানভাসকে জীবন্ত করে তুলছে। ডানের খালি জায়গায় আলো ছড়িয়ে গিয়ে ছায়ার এক শক্তিশালী আবহ তৈরি করছে। মাথার অবস্থান এমনভাবে নির্ধারণ করা যাতে বিশয়কে খুব সক্রিয় মনে হচ্ছে। মুখ ও যন্ত্রের মাঝে আলোর গতি, পোশাকের ভাঁজ সব মিলিয়ে খুব সক্রিয় ও জীবন্ত এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি। ধরনীর অণ্বেশকের বিপরীতে একই ব্যক্তির অ্যাস্ট্রনমারে দেখা যাচ্ছে আকাশমণ্ডলের ছাত্র হিসেবে নিজ কর্মে মগ্ন।
তৃতীয় ছবি "উম্যান উইথ এ ওয়াটার জাগ" এ দেখছি প্রায় একই চিত্র মধ্যবিত্ত খুব সাধারণ এক রমনীর জীবনে। একই রকম আলোর কারসাজি ও গতিময়তা লক্ষ্যনীয়। সেই সাথে লক্ষ্যনীয় দেয়ালে টাঙানো মানচিত্র। এসময় পৃথিবীকে মানুষ নতুন করে জানছে, আর সে খবর পৌঁছে যাচ্ছে সাধারনের ঘরে ঘরে। ছবিতে সক্রিয়তা আবারো লক্ষ্যনীয়।
.
.
.
.
আজকের মতন শেষ করব রুইসডেলের "ভিউ অব হারলেম ফ্রম দ্য ডুনস অব হেভেন" দিয়ে -
আলোর ব্যবহার সম্পর্কে কি নতুন করে বলতে হবে? দেখুন না মেঘগুলো কী জীবন্ত! উইন্ডমিলের উপস্থিতি বলছে বাতাস আছে.. এখুনি এই মেঘগুলোকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। মেঘের জন্যে নিচে যে আলো ছায়ার খেলা, তাতে আসবে ভিন্ন বৈচিত্র্য। ছবির বিষয়রা লিনেন ব্লীচ করছে। আবারো সক্রিয়তা, কর্মব্যস্ততা, গতি ও প্রাণবন্ততা। প্রকৃতির শক্তি, জীবন্ততা কি আশ্চর্যভাবে মূর্ত এই ছবিতে !
পরে আরো হবেনে :)।
মন্তব্য
্রেম্ব্রান্ট এর সেলফ পোট্রেইট আর এচিং দেন নাই দেইখা কঠঠিন দূঃখ পাইছি।(আচ্ছা ছবি আনতে পারছিনা কী অতিথি বলে? দূঃখজনক)
পরের বার দিবোনে তাইলে কী বলেন?
ছবি আনতে লিংক কপি পেস্ট করে হাইলাইট করে উপরে "ছবি" তে ক্লিক করুন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আবারো ফাট্টফাট্টি একটি কিস্তির জন্য ধন্যবাদ। আপনি লেখাটা না দিলে মন্তব্যো করা হত না, এ নিয়ে আলাদা করে ভাবাও হত না। তাই কিছু কথা কটু হলে মাইন্ড খাইয়েন না।
আপনি বেছে বেছে আমার প্রিয় তারকাদের কাজ তুলে দিচ্ছেন। আমার তো 'কই যাই এত রাইতে' অবস্থা। বেশ উপাদেয়। অনেক ধন্যবাদ।
---
পোস্টগুলি 'ছায়াছন্দ' আকারে না করে একটু 'আনন্দমেলা' আকারে করুন। মানে শুধু ছবিগুলোর গল্পও না বলে শিল্পীদের গল্পও কিছু বলুন। এতে মজাটা একটু বাড়তে পারে। একটু চেষ্টা করেই দেখুন না, কেমন হয়।
--
'দুষ্টু প্রেম' = যৌনতা? বড়দের জন্য লেখাতে তাহলে বড়দের শব্দটাই আসুক।
--
রুবেন্স এর সন্ত লিভিনাস এর শাহাদাত (?) ছবিটি এক দিক থেকে তার গুরুদক্ষিনা। ফেদেরিকো বারোকি এর আঁকা ছবি , পোপোলোর ম্যাডোনার সাথে একে পাশাপাশি রাখলেই কিছুটা সামঞ্জস্য চোখে পড়বেই। চরিত্রগুলোকে বাদ দিয়ে শুধু বিন্যাসের আর ফর্মগুলোর দিকে তাঁকালে মিলগুলো আরো প্রকট ভাবে চোখে পড়ে, এমনকি দুটি ছবির কুকুর দুটিও একই জায়গায়। রুবেন্সের দেবশিশু দুটির অবস্থান ভিন্ন কিন্তু তাদের অঙ্গভঙ্গির সাথে বারোকির ছবির দেবশিশুদুটোর (ওপরের কোনারগুলো নয়)মিল পরিস্কার। আরেকটি মিল, হয়তো আমারই চোখের ভুল - বারোকির ছবির শান্তির ঘুঘুর ডানা আর রুবেন্সের ছবিতে ঘোড়ার সহিস (নাকি ডাকাত) এর উড়নি, অবস্থান ও গাঠনিক মিল। রুবেন্স ইতালি গিয়ে বারোকির ছবি থেকে স্কেচ করেছিলেন, এটা গবেষনা থেকে উঠে এসেছে। তবে গুরুর ছবির স্টাডি থেকে কিছু জিনিস নিজের ছবিতে চলে আসাতে আমি দোষের কিছু দেখিনা।
---
রুইসডেল = রাউসডেল।
---
কী করব বলেন, আপনার প্রিয়রাই তো সব সে যুগের তারকা!
আসলে আমি নিজেই বলতে গেলে একেবারেই নবীশ এই দিকে। খুব বেশি কিছু জানি না, তবে ভবিষ্যতে দেখি শিল্পীদের সম্পর্কে আরো বেশি কিছু দেবার চেষ্টা করব। আমি আসলে সেই সময়কালের ছবি গুলোকেই তুলে ধরতে চাচ্ছিলাম, যেহেতু রেনেসাঁর নাম অনেক শোনা গেলেও, বারোক-প্রায় অশ্রুতই রয়ে যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশের দিকে..
বারোকির ব্যাপারটা জানতামনা আমিও পোস্ট দিচ্ছি যেন আপনি এমন মন্তব্য করেন, আমিও শিখছি, অন্যরাও হয়তো শিখছেন। আরো বেশি করে এমন মন্তব্য আশা করছি আপনার কাছ থেকে।
আপনি তো ঐদিকেই থাকেন, আমি তো শুধু বিখ্যাতদের ধরে টান দিচ্ছি। অজানা-অশ্রুত আরো কত না জানি আছে। আপনি একটা সিরিজ নামিয়ে দিন না ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে! রসিয়ে রসিয়ে পড়ি!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধন্যবাদ। আমার বেলায় আলস্যের কাছে ইচ্ছেটা মার খেয়ে যায়। একটা সিরিজ শুরু করে বসে আছি। দ্বিতীয় কিস্তির ড্রাফট কিছুটা এগিয়ে আলসেমিতে আর সম্পূর্ন হয় না।
তবে আপনার লেখার স্বাদই আলাদা।
আমার কাছে এটি একটি ভিন্ন স্বাদের লেখা। খুব ভাল লাগলো।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ছবিগুলো দারুন। অনেকদিন এমন লেখা দেখিনি সচলে।
--------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------
ধন্যবাদ বেশি বেশি এমন লেখা না দেখাই কি ভালো না? বৈচিত্র্য থাকে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এই সিরিজের প্রতিটি লেখা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি...
এটা প্রিয়তে নিলাম।
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে কৃতজ্ঞ ও গর্বিত হলাম! এই প্রথম!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আহা এমন লেখার জন্য ধৈর্য ধরে বসে থাকতেও কষ্ট নেই। বালকবয়সে সেই যে ভালো লাগলো ইম্প্রেশনিজম, তা কোনো দিন কমলো না, তাই এই নিয়ে লেখা পড়তে পারলে ভীষণ ভীষণ খুশি হই। আপনার লেখায় মাঝে মাঝেই ছবির স্ট্রাকচারাল / গঠনগত দিকটা তুলে ধরেন (ঐ সমবাহু ত্রিভুজ ইত্যাদি), সেটা উপরি পাওনা। অনুরোধ রইলো ঐ জিনিসটা আরো বেশি করে আনার।
আমিও একটা সাজেশন দিই, কয়েক দিন পরে পরে এক লেখায় ৫-৬ খানা ছবি নিয়ে না লিখে আপনি রোজ একটা করে ছবি নিয়ে লেখেন না! কোনো সময় তুলনা করার থাকলে না হয় ২ খানা নিলেন। তাহলে বেশ পত্রিকা খুলে আগেই যেমন অরণ্যদেব আর রিপ কার্বিটা পড়ে নিতাম তেমনি সকালে কফির সাথে একটু ছবি দেখে নিতে পারি।
বেশ ভালো উপদেশ মূলোদা! তবে প্রতিদিন লিখতে গেলে সময়ে কুলিয়ে উঠতে পারব নাকি জানি না, আর একটা ছবি নিয়ে বেশি কথা বলতে গেলে সীমিত জ্ঞানভাণ্ডারেও বোধহয় টানাটানি পড়ে যাবে!
পড়ছেন বলে কৃতজ্ঞতা।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ছবিগুলো অনলাইনে কোনো আর্ট গ্যালারিতে বড় করে দেখা যায়? আরেকটু ডিটেল সহ? লিঙ্কটা দেবেন?
নিশ্চই। প্রথম লেখাতেই দিয়েছিলাম। এইখানে বেশ ভালো সংগ্রহ আছে -
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
যথারীতি এই পর্বটাও খুব ভালো লেগেছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আগের লেখাগুলো এখনো পড়া হয়নি, এটা মুগ্ধোতা নিয়ে পড়লাম
অনেক ধন্যবাদ
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
খুব ভালো লাগলো।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
অবাঞ্ছিতের পোস্ট আর দুর্দান্তের মন্তব্য মিলে সিরিজটা বেশ চলছে। চলুক।
দুর্দান্তের দুর্দান্ত সব মন্তব্য আসলেই জমিয়ে দিচ্ছে!
অনেক ধন্যবাদ!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
দারুন ! প্রিয়তে নিলাম।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এত তুচ্ছ একটা লেখা প্রিয়তে নিচ্ছেন ! আমি কৃতজ্ঞ !
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
তাইলে কৃতজ্ঞতা দেখাতে চটপট পরের পর্বটা দ্যান!
নতুন মন্তব্য করুন