ডিসক্লেইমার: অনেকদিন পর লিখছি.. লিখতে ঠিক কখনোই পারতাম না... কাজেই এমনিতেই ভাঙা যন্ত্রে আরো জং ধরলে খুব একটা উচ্চমানের কিছু তৈরি হবার কথা না... এই লেখাও নিশ্চিতভাবেই খুব একটা উচ্চমানের কিছু হবে না তারউপরে খুবই নিম্নমানের দার্শণিক কচকচানি থাকবে.. পড়ে সময় নষ্ট করলে নিজ দায়িত্বে..
অ্যাবসল্যুট মোরালিটিকে বাংলা করতে পারছিলাম না.. গুগল অনুবাদকও মনমতন কিছু দেখালো না.. সার্বজনীন বোধকরি কাজ চালাতে পারবে.. পরে ভালো কিছু মনে হলে পাল্টে দিতে পারি..
প্রায় পুরোপুরিই পয়সার লোভে পেশায় এখন তড়িৎ প্রকৌশলী। দর্শণ বুঝি না, কিন্তু পড়তে ভালই লাগে.. নিজেকে একটু জ্ঞানী জ্ঞানী মনে হয়। কয়েকবছর আগেও আমি প্রচণ্ড ধর্ম বিশ্বাসী ছিলাম, প্রার্থনা না করে ভাত পর্যন্ত খেতাম না। এর কৃতীত্ব(!) মা'কেই দিতে হয়। আমি ধর্মে বিশ্বাস হারাই ১৭ বছর বয়সে। ব্যাপারটা খুব একটা সহজ ছিলো না.. Bertrand Russel এর একটা উক্তি আমাকে প্রচণ্ড ভাবে নাড়া দিয়েছিলো -
If a man is offered a fact which goes against his instincts, he will scrutinize it closely, and unless the evidence is overwhelming, he will refuse to believe it. If, on the other hand, he is offered something which affords a reason for acting in accordance to his instincts, he will accept it even on the slightest evidence. The origin of myths is explained in this way. - Bertrand Russell
কিন্তু এরপরে ঘটলো এক উদ্ভট বিপত্তি। ছোটোবেলা থেকে ধারণা ছিলো নৈতিকতা আসে ধর্ম থেকে, এতদিন অন্ততঃ সেভাবেই ঠিক বেঠিক যাচাই করে এসেছি। এবার তাহলে ধর্ম বিসর্জন দিলে কি হবে? এর সাথে কি নৈতিকতাকেও বিসর্জন দিতে হবে? ১৭ বছরের ক্ষুদ্র মাথার জন্য এই ধরণের চিন্তাভাবনা একটু ভারিই ছিলো বটে। সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের নৈতিকতাকে নিজেই নির্ধারণ করবো... কিন্তু কিসের ভিত্তিতে? এই বিষয়ে পড়ালেখা করা দরকার।
প্রাথমিক পড়াশোনায় যা বুঝলাম, নৈতিকতা দুই ধরণের হতে পারে। অ্যাবসল্যুট আর রিলেটিভ।
সর্বজনীন নৈতিকতা : একটা সাধারণ আইনের মতন, সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন – খুন করা মহা পাপ, চুরি করা খারাপ।
আপেক্ষিক নৈতিকতা : কোনো কাজ নৈতিক নাকি তা অবস্থার উপরে নির্ভর করে। এই ধারণাটা পছন্দ হলো.. নৈতিকতার বিবর্তনকে সমর্থন করে এই ধারণা।
মনে হয় আরো পড়াশোনা করা দরকার... কিছু কিছু আইডিয়ার সাথে পরিচিত হচ্ছি। নৈতিকতাকে কনসিকোয়েনশিয়াল আর ক্যাটাগোরিকাল হিসেবেও ভাগ করা যায়।
ক্যাটাগোরিকাল মোরালিটি : আমি যতদূর বুঝলাম এইটা মোটামুটি সর্বজনীন নৈতিকতারই অন্য নাম। ক্যাটাগোরিকাল মোরালিটি অনুসারে “The end does not justify the means”. কাজের প্রতিফলের উপর কাজটি নৈতিক নাকি তা নির্ভর করে না। রবিনহুডের উদ্দেশ্য ভালো হলেও চুরি চুরিই। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে বছর কয়েক আগের যৌবনজ্বালা সম্পর্কিত বিতর্কগুলি।
কনসিকোয়েনশিয়াল মোরালিটি : এই ক্ষেত্র “The end does justify the means” তা্র মানে প্রতিফল কি তার উপরে নির্ভর করছে কাজটি নৈতিক নাকি অনৈতিক। তবে তার মানে হলো জীবন বাচানোর জন্য খুন করা ক্ষেত্র বিশেষে নৈতিক হলেও হতে পারে। ব্যাপারটা কি এতই সাধারণ?
কয়েকটা চিত্র কল্পনা করা যাক।
১) ধরুণ সরু এক রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ খেয়াল করলেন অন্য একটা গাড়ি আসছে। সংঘর্ষ অনিবার্য। অন্য গাড়িতে পাঁচজন যাত্রিী, তার মাঝে দুইজন শিশু। সংঘর্ষ হলে তাদের মৃত্যু অনিবার্য। গাড়ি একটু অন্যদিকে ঘোরানো যেতে পারতো, যদি না একটা পথচারী থাকতো পথের পাশেই। অন্য গাড়িকে বাচাতে গেলে পথচারী মারা পড়বে। এই ক্ষেত্রে কোন অ্যাকশনটা নৈতিক হবে? কনসিকোয়েনশিয়াল মোরালিটি বলছে পাঁচ জনকে বাঁচানো নৈতিক হবে.. কারণ এর পরিণামে একজন মারা পড়বে, কিন্তু পাঁচ জন বাঁচবে। ক্যাটাগোরিকাল মোরালিটি এ বিষয়ে কি বলতে পারে আমি ঠিক নিশ্চিত না। খুব সম্ভবত দুটোই সমান দুর্ঘটনা।
২) ধরুণ আপনি পথচারীকে বাঁচিয়ে গাড়িকেই বেছে নিলেন। পাঁচজনই গুরুতর আহত হল। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পাঁচজনের পাঁচটি ভিন্ন অঙ্গ ভয়ানক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। দ্রুত ট্রান্সপ্ল্যান্ট না করা গেলে কাউকেই বাঁচানো যাবে না। এমন সময় পখচারী এসে ঢুকলো। সেও হাসপাতালে এসেছে সর্দির চিকিৎসা নিতে। তার বাকি সব অঙ্গই সুস্থ। চিকিৎসক যদি সেই সুস্থ পথচারীর পাঁচটি অঙ্গ কেটে পাঁচ গাড়ি যাত্রীকে বাঁচায় তাহলেও কিন্তু পরিণাম একই হচ্ছে, একজনের জীবনের বিনিময়ে পাঁচজন বাঁচলো। কিন্তু তা কি নৈতিক হবে?
তাহলে এই ক্ষেত্রে “End is not justifying the means”। তার মানে কনসিকোয়েনশিয়াল মোরালিটি ধোপে টিকছে না এই ক্ষেত্রে। পরিণাম যাই হোক, এক নির্দোষ ব্যক্তিকে মারা অনৈতিক।
তাহলে কি ক্যাটাগরিকাল মোরালিটিই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা? কিন্তু ক্যাটাগোরিকাল মোরালিটির ভিত্তি বা উৎস কি? ধর্মের মত কোনো এক্সিয়মে ফেরত যেতে হচ্ছে কি?
৩. এক সাইকোপ্যাথ পাঁচ জনকে খুন করতে যাচ্ছে। আপনি দূর থেকে দেখছেন। ঘটনাক্রমে আপনার হাতে একটা বন্দুক আছে, আপনি সাইকোপ্যাথকে গুলি করে পাঁচ জনকে বাঁচাতে পারেন। এক্ষেত্রে কিন্তু ক্যাটাগরিকাল মোরালিটি বলছে পরিণাম যাই হোক, একটা মানুষ (সাইকোপ্যাথ হলেও) খুন করা আপনার জন্য অনৈতিক.....
তাহলে এক্ষেত্রে কনসিকোয়েনশিয়াল মোরালিটি জয়ী হচ্ছে কি?
আরো পড়াশোনা করা দরকার....
হার্ভাডের অধ্যাপক মাইকেল স্যান্ডেলের একটা কোর্স দেখছি। পুরোটাই ইউটিউবে আছে –
http://www.justiceharvard.org/
সাড়া পেলে ঐখান থেকে মাল মশলা ধার করে সিরিজ করে ফেলতেও পারি... উপরের দুটো উদাহরণের কনসেপ্ট তার কাছ থেকে ধার করা...
প্রথম লেকচারটা দিয়ে দিলাম
মন্তব্য
এইসব লেখা ভালো পাই। আরামে বসে বসে চিন্তা করা যায়
ভিডু পরে দেখতাছি। আগে ওয়েল্কাম্ব্যাক জানাই। ছিলেন্কই এত্তদিন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ । ছিলাম এইখানেই .. খালি লিখতাম পারিনা
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
কই। মন্তব্যেও তো দেখতাম না আপনারে! যাউকগা। ফেরত আইছেন তাতেই খুশি।
(শিরোনামে সর্বজনীন নাকি সার্বজনীন?)
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একটা সকলের জন্য প্রযোজ্য, আরেকটা সকলের জন্য হিতকর। দুটো গুলিয়ে ফেলেছি কি? সম্ভাবনা আছে
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এই ব্যক্তি অবশ্য বলছে এখন দুইটাই এক?
সর্ব আবার বলছে অন্য কথা।
পরিবর্তন করে দিলাম
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
সকলের জন্য হিতকর'টা জানা ছিল না। নিজের ভাষাই জানিনা! হাঁ ঈশ্বর!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইন্টারেস্টিং। ধর্মশিক্ষায় পড়েছিলাম কোন অবস্থায় কর্তব্য যাচাই করার জন্য বেদ(সরাসরি ঈশ্বরের বাণী), স্মৃতি (ঈশ্বরের বাণীর এক্সটেনশন/ জ্ঞানীদের ব্যাখ্যা?) এবং বিবেকের বাণী এই ক্রমে কাজে লাগাতে হবে। নৈতিকতা কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে মনে হয় মানুষ অনেক আগে থেকেই ভাবিত। সিরিজ লিখে ফেলুন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ধন্যবাদ চেষ্টা করব।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ধন্যবাদ
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
সিরিজের আশায় রইলাম।
ভালো বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করেছেন। সিরিজ চলতে থাকুক।
আমার কাছে চরম/পরম নৈতিকতা বলে কিছু নেই। সবই আপেক্ষিক। আজ যা পরম নৈতিকতা কাল তা পরম নৈতিক নাও হতে পারে। এক সময় দাস প্রথা অনৈতিক ছিল না আজ তা অনৈতিক। এক সময় কন্যা শিশুকে জীবন্ত মেরে ফেলা অনৈতিক ছিল না আজ তা অনৈতিক। এ রকম বহু কিছুই সময়ের বিবেচনায় অনৈতিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে কিভাবে এটি নির্ধারিত হবে, কোনটা নৈতিক আর অনৈতিক। আমার মতে এটি নির্ধারণ হয় সাধারণ জনগণ দ্বারা। যখন একটি নৈতিকতা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দ্বারা সাদরে গৃহীত হয় তখন সেটি সার্বজনীন রূপ ধারণ করে। যে সব মানুষ তার সময়ের থেকে এগিয়ে থাকে তারা ভবিষ্যতের নৈতিকতাকে তৈরী করে দিয়ে যায়, কিন্তু সেটাকে সার্বজনীন নৈতিকতা হতে হলে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন লাগবে। ধর্মের নৈতিকতা এ জন্যেই পরম নৈতিকতা হতে পারে না কারণ সেটা আপডেট হয় না সময়ের সাথে। চৌদ্দশত বছরে আগের নৈতিকতার মানদন্ড দিয়ে একুশ শতকে চলার কথা চিন্তাও করা উচিত নয় কারোর।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি নারীর অধস্থন অবস্থান, বিবাহিতা নারীর স্বামী কতৃক নিররাযাতিতা হওয়া (শাসনের নামে), পুত্র/কন্যার মধ্যে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির অসম বন্টন, ধর্মের সমালোচনার কারনে শাস্তিপ্রদান - ইত্যাদিকে নৈতিক আচরন হিসাবে সাদরে গ্রহণ করে, তখন কি বলবেন ? তখন কি লিঙ্গ, বর্ণ ইত্যাদি নির্বিশেষে মানুষের সমানাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ইত্যাদি মূল্যবোধ প্রযোজ্য থাকবে না ? "ভবিষ্যতের নৈতিকতা" হিসাবে ঐ "ভবিষ্যত" না আসা পর্যন্ত বাতিলের খাতায় অন্তর্ভুক্ত হবে ?
কি বলতে চাচ্ছি আশা করি বুঝতে পারছেন। চাইলে উদাহরনগুলি সুবিধামত বদলে নেয়া যেতে পারে।
****************************************
মন-মাঝি ভাই
আপনি বিশেষ ভুল বলেননি। আপনার প্রশ্নের জবাবে আমি বলতে পারি যে একটি দেশ/জাতি যদি পিছিয়ে থাকে এবং সেই ক্ষেত্রে যদি তারা অনেক পুরোনো প্রথাকেও মেনে চলে, আমি তাদেরকে জোর করে আমার আমার নৈতিকতার সংজ্ঞাকে তাদের উপর চাপিয়ে দিতে পারি না। আমি যেটা করতে পারি তারা যেসব কারণে পিছিয়ে আছে সেগুলোকে সরানোর ব্যবস্থা করতে পারি। হয়তো তারা আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে, হয়তো তারা শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। যদি তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে পারেন, আর শিক্ষার আলো দিতে পারেন, তবে তারা নিজেরাই নিজেদের নৈতিকতার মান উন্নত করবে। সেগুলো না করে যদি তাদের উপর নিজদের নৈতিকতা চাপাতে চাই তবে সংঘর্ষ অনিবার্য হবে। সেখানে কার নৈতিকতা কতটা সঠিক সেটা প্রশ্ন নয়।
এখন আপনার প্রদত্ত উদাহরণ গুলোর ক্ষেত্রে বলতে পারি যে আমাদের দেশে অনেক আইনই তো রয়েছে, কিন্তু তারপরেও কি সেভাবে নারী নির্যাতন, কিংবা সংখ্যা লঘু নির্যাতন, কিংবা ঘুষ খাওয়া কি বন্ধ আছে? কেন নেই? নেই তার কারণ হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজেরা এখনো নৈতিকতার সেই লেভেল উঠেনি। তাই আমার বক্তব্য যেটা ছিল তা হচ্ছে শুধু আইন করলেই বা ধর্ম গ্রন্থে থাকলেই যে কোন কিছু সার্বজনীন আকার ধারণ করে না, করে তখনই যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সেটাকে গ্রহণ করে।
এখন তাই বলে কি আমরা বসে থাকবো? না থাকবো না। কিন্তু কি করবো? সেটা শুরুতে বলেছি। সাধারণ মানুষের নৈতিকতার লেভেল যে কারণে পিছিয়ে সেই কারণগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। সেটা না করে কারোর উপর যে কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হলে সেটার ফলাফল কখনোই ভালো হবে না।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নৈতিকতা নিয়ে অ্যান্ডি টমসন-এর একটি লেকচার দেখেছিলাম, বেশ ভালো লেগেছিলো। অবাঞ্ছিত যে প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেছেন এই লেখায়, সেগুলোর অনেকটাই উঠে এসেছে অ্যান্ডি টমসন-এর এই লেকচারটিতে।
সুন্দর লেখার জন্যে ধন্যবাদ।
লিংকটার জন্য ধন্যবাদ.. আস্তে ধীরে ওদিকেই যাচ্ছিলাম
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হায় হায় কি করলাম!
আমার কাছেও সব ই আপেক্ষিক । সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে situation depends and situation demands রুল ফলো করি । আর নৈতিকতা নিয়ে এখনো confused । সিরিজ টা চালিয়ে যান । আশা রাখছি অনেক কিছুই জানতে পারব
কতটুকু জানাতে পারবো জানিনা. . কেবলই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জড় করছি।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এ ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা পড়তে খুব আরাম লাগে।
মোরালিটি সে অ্যাবসলুট হোক আর রিলেটিভ; সময়ের সাথে তা সবসময় পরিবর্তিত হয়। ইতিহাসের দিকে তাকালে তাই দেখতে পাওয়া যায়।
অতি সত্যি কথা
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমার কাছেও মোরালিটি আপেক্ষিক।
আপনার এই লেখা থেকে নিজেও কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
জ্ঞান তো নাই.. বিশ্বাসও নাই.. জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা মাত্র যদি কোনো যুক্তিসঙ্গত উপসংহারে পৌঁছানো যায়
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
এ ধরনের জ্ঞানগর্ভ লেখা পড়তে বেশ ভাল লাগে। পড়ে হয়ত সব বুঝিনা। বোঝার চেষ্টা করি। মোটামুটি বুঝলে নিজেকে বেশ জ্ঞানী জ্ঞানী মনে হয়। যাহোক লেখাটা পড়লাম, আমার বিশ্বাসমতে নৈতিকতা আপেক্ষিক। পরবর্তিতে আরও লেখা চাই। লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা
নৈতিকতা আমার কাছে আপেক্ষিক। পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমার কাছেও মোরালিটি আপেক্ষিক।
আপনার এই লেখা থেকে নিজেও কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নৈতিকতা আপেক্ষিক এটা বাস্তবতা। স্থান-কাল ভেদে এটি পরিবর্তনশীল। তবে নৈতিকতার প্রয়োজন আছে আমি মনে করি।
আলোচনা চলুক...........পরের পর্বের অপেক্ষায়................
_____________________
Give Her Freedom!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
ইন্টারেস্টিং...
ডায়নামিক না হলে কোন কিছুর টিকে থাকাটা মুশকিল মনে হয়... আর ব্যক্তি জীবনে নৈতিকতায় আপেক্ষিকতা ব্যবহার করি। যেইটা আমার বোধ-বুদ্ধি বলছে ঐ ক্ষেত্রের জন্যে ঠিক, সেটাই অ্যাপ্লাই করছি। মাঝে মাঝে কিন্তু আবার ভুলও হচ্ছে, মানে পরবর্তীতে দেখছি, অন্যরকম সিদ্ধান্ত ভালো ফল দিতে পারতো, মানে কনসেকোয়েনশিয়াল মোরালিটির ব্যাপারটা আসছে..
ওয়েলকাম ব্যাক বাই দ্য ওয়ে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ জিনিসটা আসলেও কনফিউজিং
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম...
--স্বপ্নাদিষ্ট
=============================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
১। আমার কাছে নৈতিকতা, ধর্ম, দর্শন, এমনকি শিল্প/সাহিত্য যা - তার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত অথচ লাগসই সংজ্ঞা বোধহয় দিয়ে গেছেন ফিল ওক্সঃ
পরম নাকি আপেক্ষিক ? ক্যাটেগরিকাল নাকি কনসেকুয়েনশিয়াল ? যুক্তি না আবেগ ? স্বার্থভিত্তিক নাকি নিঃস্বার্থ ? সর্বজনীনতা না ইন্সটিংক্ট ? এসব প্রশ্নের জবাব আসলে বোধহয় অনেকখানি নির্ভর করে আপনি অস্তিত্ত্বের মৌলিক এ্যাবসার্ডিটিকে কিভাবে কাবু করেন তার উপর।
২। অবাঞ্ছিত ৩ টা সিনারিও দিয়েছেন মূল পোস্টে। আমি ১ নং সিনারিওটা যদি একটু এডিট করে বলি, ধরুন এক্ষেত্রে যদি কথিত 'পথচারী'-টা আপনার সন্তান হয় তাহলে কি করবেন ? কোন এ্যাকশনটা নৈতিক হবে ? এক্ষেত্রে আপন সন্তানকে বাঁচানোর চেষ্টাটা কি 'অনৈতিক' হবে ? নাকি যান্ত্রিক ভাবে কনসেকুয়েনশিয়াল মরালিটিকে শিরোধার্য করে নিজের প্রিয়তম নিরপরাধ ও একমাত্র সন্তানটিকে গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলে অচেনা কয়েকটা লোককে বাঁচানোটা খুব 'নৈতিক' ও মহৎ হবে ? আমি উত্তরটা জানি না। আপনার কি মনে হয় ? আপনি কি করবেন ?
****************************************
সংগাটা বুঝিনাই.. এ্যাবসার্ডিটির সাথে একমত না.. আমার মতামত এইটা হল এমন একটা সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা যার অস্তিত্ব নাই। মানুষের কোনো "পারপাস" নাই.. শেষ প্রশ্নের উত্তর হয়তো পরে নিজেই পেয়ে যাবেন
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
হ্যাঁ সেটাই। অথচ মানুষ 'পারপাস' ছাড়া বাঁচতে পারে না। আর তাই তারা যে যার নিজের মত করে 'পারপাস' তৈরি করে নেয়। এই কাল্পনিক পারপাসটাই শেষমেশ ধর্ম, নৈতিকতা, দর্শন, শিল্প-সাহিত্য থেকে শুরু করে জীবনের অন্য সব বিশ্বাস আর প্রেরনার রূপধারন করে। এ ছাড়া জীবন চলত না। মানুষের ম্যাটেরিয়াল ও বায়োলজিকাল চাহিদা যেমন আছে - তেমনি কিছু এসেনশিয়াল সাইকোলজিকাল চাহিদাও আছে। এই কাল্পনিক পারপাস সেই চাহিদা পূরন করে। কিন্তু গোড়াতে গেলে এর সবই কাল্পনিক। কিম্বা, অন্য ভাবে বললে - বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মনুষ্য উদ্ভাবিত। তবে কাল্পনিক বলে সেটা ফেলনা নয় - শুধু যদি এই গোড়ার কথাটা মনে রাখা হয়। এইটুকু মনে রাখতে পারলে মনে হয় নৈতিকতা/ধর্ম/দর্শন/রাজনীতি নিয়ে অনেক মাথা ফাটাফাটি এড়ানো যেত !
(এগুলি সব আমার ব্যক্তিগত অভিমত)
****************************************
মানুষের অস্তিত্বটিকেই মাঝে মাঝে খুব ট্র্যাজিক মনে হয়। শেষ পর্যন্ত আমাদের নিরর্থক জীবনকে তাৎপর্যপূর্ণ করার সব চেষ্টাই ব্যর্থ। সবকিছুই অর্থহীন। এই নিরর্থক অস্তিত্বকে তাৎপর্যপূর্ণ করার জন্যে আমরা নানা কল্পিত অর্থ তৈরি করেছি। কোনো কোনো কল্পনা সুন্দর, কোনো কোনোটি করুণ এবং কোনো কোনো কল্পনা ক্ষতিকর। শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই নিয়তিদন্ডিত সিসিফাসের মতোন, কেবলই পাথর ঠেলতে থাকি পাহাড়ের চূড়োয়।
_____________________
Give Her Freedom!
আমার মতে, মানুষের 'পরম নৈতিকতা' হলো মানুষের 'টিকে থাকার প্রয়োজন'। এর বাস্তবায়ন কিভাবে হবে সেটা সাধারণত কনটেক্সট নির্ভর। যে কনটেক্সটে যেভাবে অভিযোজন করলে টিকে থাকার সুবিধা সেটাই 'আপেক্ষিক নৈতিকতা'। আপেক্ষিক নৈতিকতা পালটায়; কিন্তু পরম নৈতিকতা পালটায় না।
পোস্ট ভাল্লাগছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
নতুন মন্তব্য করুন