((প্রথমেই বলে নেই।পরে প্যাদানি খেতে রাজি নই।আমার এই পোস্ট এর সাহিত্যগুনতো দূরে থাক,এটি যে কোন ধরণের গুণাগুণ বর্জিত একটি আজাইরা পোস্ট।কাজেই সময়ের মূল্য রচনাটা যাদের এতদিন পরেও ভালভাবে মুখস্ত আছে তারা চাইলে এখান থেকেই ফিরে যেতে পারেন।অবশ্য যদি কারো কাছে মনে হয় সময় এবং নদীর স্রোত- দুটোই তাদের জন্য পথ চেয়ে অপেক্ষা করে তাহলে সামনে আগায়া যান।আমিও আপনার মত পাঠকের জন্যই অপেক্ষা করছি।))
আজকের দিনের শুরুটা কেমন ছিল সেটা আগে বলি।এই মডার্ণ যুগেতো রাত বারোটা থেকেই দিনের শুরু।আমারটা আজাইরা প্যাচাল এর শুরুও সেখান থেকেই।কোন এক কারণে আমাদের একটা গ্রুপ ব্লগের একজনের সাথে হেভী ঝগড়া দিয়ে দিনের শুভ সূচনা।গড়াতে গড়াতে রাত সাড়ে তিনটা বাজলো।সূচনা আর শেষ হয়না।কমেন্ট এর পর কমেন্ট দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টায় সকাল আটটার ক্লাসটেস্টের চিন্তা বিসর্জন দিলাম।অপমানের চেয়ে মৃত্যু ভাল।ক্লাসটেস্টের মত ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ভাবার সময় কই।একটা সময় ঝড় থামিলো।অনেক বাকবিতন্ডার পর প্রতিপক্ষ লেজ গুটিয়ে রণে ভংগ দিল।আমিও বিজয়ের হাসি হেসে কাল্পনিক গোঁফে তা' দেই।ঝড় থামলেই আসে পূনর্বাসনের চিন্তা।ক্লাসটেস্টটা এইভাবে ছেড়ে দেবার চিন্তা মাথায় আসলেই কোথায় জানি খঁচখঁচ করতে লাগলো।কাম অন জিহাদ... তোমার মত যুদ্ধজয়ী বীর ক্লাসটেস্ট এর মত মামুলি ব্যাপার এর কাছে হেরে গেলে হয় নাকি... মনের মদ্ধে কে জানি কথা কয়।খানিকটা অপমানের আভাসও পাই যেন।মৃত্যু আর অপমান এর ইকুয়েশনটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।সহ্য করতে না পেরে পড়ার টেবিলে বসে গেলাম।রাত বাজে সাড়ে চারটা।সামির টা আজকেও ঘড় ঘড় করে নাক ডাকছে।পাশের বেডের দিকে চেয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস কোথা থেকে তৈরী হয়ে কোথা দিয়ে যেন বের হয়ে গেল।আমি পড়ায় মন দিলাম।
.........
হঠাৎ মনে হল আশে পাশেই কোথাও প্রচন্ড তীক্ষ্ণ শব্দে সাইরেন বাজছে।আমার বুকটা কোন কারণ ছাড়াই ধড়ফড় করা শুরু করলো।সামির দেখি বুকে ফুঁ দিয়ে লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা পড়ছে।সামিরকে জিগাই
-দোস্ত,কি হইসে??
-কেয়ামত!!! বলেই আবার দরুদ পড়ায় মন দেয় ও।
আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বুক ধড়ফড়ানির কথাও ভুলে যাই।সাইরেনটা তখনো বাজছে।কোন দিকে দৌড়ামু বুঝতেসিনা।হাশরের ময়দানে আগে তো কখনো যাইনাই।ক্যামনে কি??
হঠাৎ কথা নাই বার্তা নাই সামির সামনে এসে দুই হাত দিয়ে আমাকে ঝাকাতে শুরু করলো।আমিও ওষুধের শিশির মত ব্যবহারের পূর্বের নিয়ম অনুসরণ করে ঝাঁকতে লাগলাম।
...... অনেক কষ্টে চোখ খুলে দেখি সামির দুই হাত দিয়ে ঝাঁকাচ্ছে।
-দোস্ত,ক্লাস টাইম হয়া গ্যাসে।ওঠ।...চেয়ারে বসেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
টেবিলের উপর পিচ্চি ঘড়িটা তখনো গলা ফাটিয়ে ষাঁড়ের মত চেচাচ্ছে।থাবড়া মেরে ওঠাকে ঘুম পাড়িয়ে নিজে জেগে উঠলাম।ক্লাসটেস্ট শুরু হবার বেশি দেরি নেই... দে দৌড়...
......
স্কুলে থাকতে বাংলা সাবজেক্টটারে অনেক গাল দিতাম।বাংলা পরীক্ষা মানেই অলিম্পিকে ম্যারাথন দৌড়ের জন্য নাম লেখানো।মাইলের পর মাইল লিখেও উত্তর শেষ হতে চায়না।আজকে অটোমেশন পরীক্ষা দিতে গিয়া প্রথমবারের মত বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার কথা মিস করলাম।"একটি শীতের সকাল" রচনা পরীক্ষায় লিখতে আসলে পরীক্ষার খাতায় নির্দ্বিধায় "ব্ল্যাক" এর গানের লিরিকস- "বাতাসে ফুলের সৌরভ,পাতা ঝরেছে... শীত আসবে বলে...পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়েছে..." এইসব হাবিজাবি লিখে জনৈক কবির ঘাড়ে চাপিয়ে দিতাম।"অটোমেশন এন্ড সিস্টেম কন্ট্রোল" এর উপর কোনকালেই কোন জনৈক কবি কিছু লিখে যায়নাই।এই জন্য পুরো পরীক্ষার টাইমে কবি গোষ্ঠীর নামে অমৃতবাক্য বর্ষন করলাম আর অটোমেশন এর উপর কবি কেন কিছু বলে নাই এহেন অবিচার এর প্রতিবাদস্বরুপ পরীক্ষা শেষে প্রায় সাদা খাতা জমা দিলাম...
......
ক্লাসটেস্ট এর পরের ক্লাসটা যার নেয়ার কথা তিনি আই ইউ টি তে "ক্রেজি গাই"(গাই রে গাভী ভাইবেন না আবার)হিসেবে সুপরিচিত।এমনিতেই রাতে ভাল ঘুম হয়নাই।তারমধ্যে এরকম ব্যাপক একটা পরীক্ষা দেবার পর পরই পাগলের খপ্পরে পড়ার কথা ভাবতেই খালি মনে হচ্ছিল পেছনের দরজাটার সদ্ব্যবহার করি।কিন্তু কেন জানি শেষ মেষ থেকে গেলাম ক্লাসে।স্যারকে অতি মনোযোগের সাথে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম।স্যার লিখে ব্ল্যাকবোর্ডে।আর আমি লিখি খাতায়।কি লিখলাম সেটাই বলি এখন-
গোঁফঅলা মাস্টার
হাতে নিয়ে ডাস্টার
ঘষে চক কালো কালো বোর্ডে
পেছনেতে ছাত্র
জপে দিবারাত্র
আজকের মত বাপু ছোড়দে।
চশমাটা ঝুলিয়ে
ভুঁড়িখানা দুলিয়ে
করে যায় বকবক তবুও
ঘ্যানঘ্যানে বয়ানে
ঢুলুঢুলু নয়নে
ঘুমুবে যে জাগরণ প্রভূও।
ক্লাস প্রায় শেষের দিকে।স্যার হঠাৎ যাবার আগে সেকেন্ড টাইম এটেন্ডেন্স নেয়া শুরু করলেন।এমন কখনো হয়না।উড়োফোনে খবর পেয়ে ক্লাসপলাতক বালকদের কয়েকজন পিছনের দরজা দিয়ে গেরিলা স্টাইলে প্রবেশ করতে লাগলো।সবাই চিতার ক্ষিপ্রতায় ক্লাসের একেক কোনায় টুপ করে বসে গেল।ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার উদাহরণ হলো সিয়াম।স্যার ওকে দেখে ফেললেন।
-এই ছেলে,কোথায় গিয়েছিলে?
-স্যার,টয়লেটে। এইটুকু বলে সিয়াম মাথা চুলকায়।
-আমারে দেখলেই কি খালি হাগা মুতা আসে নাকি ?
শুনে পেছনে হাসির রোল উঠলো।সিয়াম কি উত্তর দিবে বুঝতে না পেরে তখনো মাথা চুলকাচ্ছে।
আর আমি মনে মনে ভাবি... স্যার এরও নিশ্চয়ই রাতে ঘুম হয়নাই...
......
এরপর জাপান ফেরত সেমি টেকো এক ইয়াং প্রফেসর এর ক্লাস।আই ইউ টি তে এসে দুইজন জাপান ফেরত টীচার এর ছায়াতলে আসার ভাগ্য(সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য সেটা আর বললাম না) হয়েছে।এই দুইজনের ছাত্রত্ব গ্রহণের অভিজ্ঞতা থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ অনুসিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি তা' হলো- এরা নিজে ভাল বুঝে কিন্তু অন্যকে বুঝাইতে পারেনা (কথাটা সবাইকে ঠিক মত বুঝাইতে পারলাম কীনা বুঝতেসিনা)।কোন একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে কিছুক্ষন উইন্ডোজ ৯৮ এর মত হ্যাং হয়ে থাকে।তারপর প্রসেসিং শুরু হয়।আমার এক বিজ্ঞ ক্লাসমেট এর ধারনা সেখানে জাপানি ল্যাংগুয়েজে পড়াশোনা করার দরুণ কোন কিছু ইংরেজীতে প্রশ্ন করলে তারা মনে মনে সেটাকে প্রথমে জাপানী ভাষায় কনভার্ট করে।তারপর আগডুম বাগডুম একটা উত্তর দাঁড় করানোর পর সেটা জাপানী থেকে ইংরেজীতে কনভার্ট হয়ে তারপর আমাদের কানের পর্দায় অনুরণন তোলে।ম্যানুফ্যাকচারিং লীড টাইম এই জন্যে একটু বেশি হয় এইসব জাপান ফেরত পন্ডিত মশায়দের।(আমার ক্লাসমেট এর এই থিওরী শোনার পর সবাই ভেবেছিলাম এই যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য ওর জন্যে জাপানে একটা স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করা যায় কীনা।)
যাই হোক স্যারকে দেখে আমার আবার ছড়া লেখার ভাব জাগ্রত হল।রাতে ঠিক মত ঘুম না হলে নানা সিম্পটম এর কথা শুনে এসেছি এতদিন।কিন্তু কারো ছড়া লেখার ঝোঁক উঠে এটা কখনো শুনিনাই।তবে আজকে নিজের চোখেই দেখতে লাগলাম।ক্লাস লেকচারের খাতায় আরেকটা না ঘুমানো শিল্প সৃষ্টি হল।
নতুন এবং ওল্ড fellas,
জাপান থাইক্কা ফার্স্ট কেলাস
আইসে নিয়া একজনা
ঢুকিয়ে নিজের বগলে;
তালিয়া দেন হগলে।
বিদ্যাসাগর এই মশায়
সব ঢেলে দেন এক বসায়
বলবিদ্যার যন্ত্রণা
চুবানি খেয়ে কই allas!!
মিস গেল যে A পেলাস (+)
......
এই লেখা পড়তে শুরু করার একেবারে প্রথমে কারো মনে যাও একটু সন্দেহ ছিল উদ্ভট ছড়ার এহেন ভয়ংকর মহড়া দেখে সেই সন্দেহও উর্দ্ধপাতন প্রক্রিয়ায় নিশ্চিতভাবেই পুরোপুরি উবে গেছে।কারো মনে আর এতটুকু সন্দেহ থাকার কথা না যে এইটা আসলেই একটা আজাইরা পোস্ট।অবশ্য জানি কেউ গালাগালি করবেন না।কারণ আপনি নিশ্চিত ভাবেই আমার গোত্রীয়।আজাইরা সময় কারো না থাকলে এতক্ষন ধৈর্য ধরে কেউ এই লেখা পড়েনা।
মন্তব্য
ভাইসব,
ঘুমের অভাবে আমার পৃথিবী দুলিতেছে।
আমি ঘুমাতে গেলাম... আপনাদের জাগরণ শুভ হোক...
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
পড়া শেষ করলাম।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
ঘুম থেকে উঠেই এরকম একজন হোমরা চোমরা "আজাইরা" মানুষের কমেন্ট দেখে মনডা তো ফুরফুরা হয়া গেল
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
জাপানফেরত স্যার সম্বন্ধে আমি বলতে পারি প্রশ্ন শুনে উনি হয়ত চিন্তা করেন ক্লাসে এরা প্রশ্ন করে কেন? আমি যখন জাপানে ছিলাম তখন তো আমার চারপাশে কাউকে আমি ক্লাসে প্রশ্ন করতে দেখিনাই। হয় সবাই ঘুমাচ্ছে কিংবা মেয়েরা বসে বসে রূপচর্চা করছে। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন আমি কিভাবে জানলাম তাহলে বলব জীবন থেকে নেয়া।
---উলুম্বুশ
বুঝলুম... যে জহির রায়হান কোন এক কালে জাপান গমণ করিয়াছিলেন।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কালকের ঝগড়ার তাইলে ভাল ভাল কয়েকটা আউটপুট পাওয়া গেল। যেমন, জিহাদের মধ্যে কবিত্ব জেগে উঠল।
---------------------------------
মুহাম্মদ
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ছড়াত্ব
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তুই তো এইবার ফেল করবি রে?
failure is the piller of success
বদ দোয়া করার জন্যে ঠ্যাংকু
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
পড়ে মজা পেলাম। আমি অবশ্য জাপান ফেরত কোন শিক্ষক পাইনি ছাত্রাবস্থায়, তাই এ ব্যাপারে কমেন্ট করতে পারলাম না।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আল্লাহ বাঁচাইছে যে পাননি... নিশ্চুই পূর্ব জন্মে আপনার অনেক পূণ্যি...
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আপনার ভবিষ্যত জীবনের জন্য আমার আন্তরিক দোয়া হইলো এই যে, বড় হইয়া (কর্মজীবনে) আপনি যেন একজন শিক্ষক হতে পারেন। হইা অবশ্যই শাস্তি সরুপ তখন আমরা (যদি ভাগ্য থাকে) আপনার ছাত্রদের ছড়াত্ব দেখবো/পড়বো তাদের মাষ্টার মশাইকে নিয়ে যাহা তারা লিখবে
কল্পনা আক্তার
...........................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আমি হমু শিক্ষক??... সিরিয়াসলি ডরাইসি...
CGPA'র যা অবস্থা...ছাত্রত্ব নিয়াই টানাটানি... শিক্ষকত্ব পাইতে হইলে নতুন করে অ আ ক খ শিখা স্টার্ট করতে হইবো।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভালৈয়াছিস তাইলে?
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
হিংসা হয় নাকি?
মাতাডা ঠান্ডা কর... পানি খা...
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
পড়লাম। পোলাপাইন কত সুখে আছে !!..............
কি মাঝি? ডরাইলা?
আপনের আবার কি হইলো?
ভাবীসাব কি ইদানীং আবার বালিশ সমেত মেঝের রাস্তা চিনাইতেসে নাকি?
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
সময়ের মূল্য রচনা মুখস্ত নাই। তাই লেখার প্রথমে সতর্কবানী থাকা সত্বেও পড়ে ফেললাম। মজা পাইলাম।
- শামীম হক
হায় হায়... আপনি তো দেখি মহা ফাঁকিবাজ।রচনা মুখস্ত করা বাদ দিয়ে ব্লগে এসে উঁকিঝুঁকি মারছেন।
দাঁড়ান,আজই আপনার আম্মুকে বলে দিচ্ছি...
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
আজকের পরীক্ষাটা খুবই কঠিন, তাই পড়ে কোন লাভ নাই।
কালকের পরীক্ষাটা সোজা, পড়ার দরকার নাই।
পরশুর পরীক্ষাটায় দেখে লেখা যাবে, তাইলে পইড়া আর কি হইবো?
yeee...তিনদিন ছুটি... ঢিঁচ্চু ঢিঁচ্চু...
---------
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
ঐসব কথা বলে লাভ নাই।তোরে খুব ভাল মতই চেনা আছে।মুখে বলবা পড়ুম না পড়ুম না আর সবাই যখন ঘুমায়া যাবো তখন চোখ মুখ ধুয়ে পারলে মোবাইলের আলোতে পড়িস।
ভাল হয়া যা।ভাল হইতে পয়সা লাগেনা।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
শাহ আব্দুল করিম এর গানের চারটা লাইন মনে পড়ে গেলো
ইসকুলো যাইতাম
খেইড় খেলাইতাম
মাস্টরসাব মরবার লাগি
দোয়া করিতাম
মাস্টর ছাত্রের সম্পর্ক সেই আগের মতোই রয়ে গেছে
শুধু পাল্টেছে খোলস আর ভাষা
শাহ আবদুল করিম তো বস। আচ্ছা, এই গানটার নাম কি? এখনো শুনিনি। শিরোনামটা বললে ভাল লাগত।
------
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
এটাও তার আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম গানের অংশ
গানটি অনেক দীর্ঘ
কিন্তু আমরা সাধারণত শুনি অর্ধেকেরও কম
আগের সেই দিন বদলের চেষ্টা তো আছেই...
মাগার বাংলালিংক এর তো কোন দেখা পাইতেসিনা
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- অতীব গুরুত্বের সহিত লেখাখানা পঠিত হইলো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু আর গুরুত্ব- দুইডা তো একই লগে চলে।
তাইনা গুরু?
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- গুরু তাইলে গুরুতর তত্বের গুরুত্ব একেবারে গুরুত্ব সহকারেই বুঝলেন!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খাইসে!!!
গুরু,এত গুরুপাক মন্তব্যের গূঢ় অর্থ ঠিক মত বুঝার আগেই পেটে ঢুকে গুরুগম্ভীর গুড় গুড় করা স্টার্ট করসে!!!
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- গুরু,
গুড়া গুড়া আখের গুড় নিয়া, গুড়া ইসপগুলের লগে গুড়া দুধের টিনে মিশাইয়া রেগুলার গরগরা করলে পেটের গুড়গুড়া ভাবটা দূর হৈয়া যাবো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর পারছিনা গুরু।
মন্তব্যের গুরুভারে এইবার পুরোপুরি আক্কেলগুড়ুম।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
মজা
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
স্বপ্নাহতের আজিরা পোস্ট পইড়া, তার ক্লাশরুমিক বান্দ্রামি দেইখা আমারো একটা আজিরা গল্প মনে পড়ল, তখন বর্ষাকাল, একবার স্কুলে ক্লাশ এইটে বাংলা ক্লাশে রঞ্জিত স্যার আইসা কইল আজকে আর পড়া নাই, তোদের যা ইচ্ছা হয় লেখ আমারে বিরক্ত করিস না। পোলাপান্রে পায় কে, কে আর লেখে সব যার যার বান্দ্রামিতে লিপ্ত হইয়া গেল। স্যার কি জানি নিয়া ব্যাস্ত আসিল, আজিজুল্লাহর বান্দ্রামিতে শেষমেষ টিকতে না পাইরা বলল, "আজিজুল্লাহ! লিখসস কিছু? দেখি নিয়া আয়!"
আজিজুল্লাহ লেখসিল ঠিকই, আমরা দেখলাম স্যার লেখাটা পইড়া ওর দিকে তাকাইয়া একটা শ্বাস ফেলল আর কইলো, "বাবারে...অনেক সময় পাবি রে বাবা...পড়াশুনা কর" । স্যার যখন গেসেগা আমরা সবটি হুমড়ি খাইয়া পড়লাম অর খাতার উপর, দেখি হালায় লিখসে "এই বৃষ্টির দিনে ক্যাথার তলে বঊ রে নিয়া ঘুমাইতে ইচ্ছা করে"
- খেকশিয়াল
বড়ই সময়োপযোগী চিন্তা।
আপনার বন্ধুকে জাঝা
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
really cool n' nice one......ur writin' reminds me of my hons dayz in D.U. thankzzzzzzz a lottttttt......plz forgive me for usin' English......coz the bangla font is not workin' currently.....
take care......kathinnnnnnnnn n' josssssss..........
দিলেন তো ভাই মন ভালো কইরা।
ঠ্যাংকু
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নতুন মন্তব্য করুন