ধর্ম এবং মতভেদে পরকাল ও স্বর্গের বর্ণনায় বিভিন্নতা প্রতীয়মান হয়। ইহকালের শত বঞ্চনা আর অপ্রাপ্তির অবসান ঘটে কাঙ্ক্ষিত স্বর্গে। অগনিত উদাহরণ না টেনে একটি উল্লেখ করি- গোটা বছর বরফাচ্ছাদিত একঘেয়ে জীবন কাটানো ‘এস্কিমো’ জাতির কল্পিত স্বর্গে নাকি বারোমাস গ্রীষ্মকাল। যথার্থ এবং ন্যায্য বাসনা বটে। যে কথাটি বলতে এত কথার লেজ ধরে টানাটানি তা হচ্ছে- স্বর্গের রুপ স্বতন্ত্র নয় মোটেও। সুইতজারল্যান্ড-কে অনেকেই মর্ত্যের স্বর্গ বলে মানে। তা সকলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আমিও মানবো কি, না মানবো সে সিদ্ধান্তে পৌঁছুবার পূর্বে এই ‘স্বর্গের মিনি মডেলটিকে’ একবার সচক্ষে দেখে আসতে মনটা আঁকুপাঁকু করছিল। সময় হলো, সুযোগও হলো; স্বর্গ ভ্রমণও হলো। ফিরে এসে প্রাপ্তাভিজ্ঞতা থেকে শুধু এটুকু বলতে পারি- স্বর্গ কি এর চাইতেও সুন্দর হওয়া সম্ভব!
বিশদ বর্ণনায় না ডুবে একটি চুম্বক অংশ উন্মোচন করছি। ইউঙ্গফ্রাউইয়োচ (কেউ আবার ভ্রু কপালে তুলে ভাববেন না যেন আবোল তাবোল ভুল কিছু টাইপ করে ফেলেছি। ‘Jungfraujoch’ শব্দটিকে স্থানীয়রা যেভাবে উচ্চারণ করে সেভাবে বাংলায় লিখবার চেষ্টা করলাম।) পর্বত চুড়াটি সুইস আল্পস-এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। এর উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় এগারো হাজার ফিট বা সাড়ে তিন হাজার মিটার। এর চাইতে উঁচু শৃঙ্গ আল্পসে আর নেই তা নয়; ঢের আছে। কিন্ত অমন উচ্চতায় চতুর্দিকে বরফাচ্ছাদিত রেল ইষ্টিশন কটা আছে? ইউঙ্গফ্রাউইয়োচ-কে তাই সচরাচর বলা হয় ‘টপ অফ ইয়োরোপ’।
আমাদের (অর্থাৎ আমার স্ত্রী ও তার পারসোনাল ফটোগ্রাফার) হোটেলটি ছিল জুরিখ-এ। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে প্রথমে বার্ন এবং বার্ন থেকে ট্রেন বদলে ইন্টারল্যাকেন। যুগাধিকাল ইয়োরোপে থাকবার সুবাদে ট্রেনের আভ্যন্তরীণ চাকচিক্যে অভিভুত হবার মত কিছু না ঘটলেও, জানালার বাইরের চলমান স্বর্গদৃশ্য সত্যিই পুলক জাগানিয়া, পুলক জাগলোও। ইন্টারল্যাকেন পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট ছবির মত এক শহর। নগরে এখানে নাগরীমূর্তি দৃশ্যত নয়। ছোট অথচ ছিমছাম কিছু বাড়িঘর, এদিকে ওদিকে রঙবেরঙের বাহারি ফুলের সাথে নরম ঘাসের জড়াজড়ি, টিলায় টিলায় সবুজের সে কী ছড়াছড়ি, তার পশ্চাৎ দৃশ্যে হঠাৎ হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা আল্পসের বরফ চুড়া আর তাতে সোনালী রোদ্দুরের প্রগাঢ় চুম্বন। উফ, কি অসম্ভব সুন্দর! অনেকটা পুরাণোল্লিখিত ঋষি আশ্রম কিংবা দেবদেবীদের অভিসারাস্থান যেন!
মূল গন্তব্যের উদ্দেশ্যে আবার ইষ্টিশন থেকে ট্রেনে চাপলাম। এবার রেলগাড়িটি কিছুটা ভিন্নধর্মী, কেননা সমতলের সঙ্গে সম্পর্ক চ্ছিন্ন করে এ যাত্রা ঊর্ধ্বগামী। কিছুদূর চলবার পর আবারো ট্রেন পাল্টাতে হলো এবং সেই সাথে পাল্টে গেলো ট্রেনের ও রেললাইনের ধরণ। অপেক্ষাকৃত সরু আর দু’পাশের লোহার পাতের মাঝখানে খাঁজকাটা নকশার আরেকটি লৌহপাত; রেলগাড়ির তলায় আছে খাঁজকাটা লৌহচক্র। চক্র ও পাতের অঙ্গাওঙ্গি ক্রম মিলনের ফলে রেলগাড়ি তরতর করে পাহারের ঢালু বেয়ে উপরে উঠে যায়। ইংরেজিতে এ ধরনের ট্রেনকে বলে ’cog wheel rail’.
এ ট্রেন যখন চলা আরম্ভ করলো, দু’পাশের সবুজাবৃত পর্বত শোভা পূর্বাপেক্ষা মনোরমতর অনুভূত হলো। কিছুদূর অন্তর পাহাড়ের বুক চিরে বেরিয়ে এসেছে ঝর্না, এদিকে ওদিকে আপন মনে ঘাস খেয়ে বেড়াচ্ছে কতগুলো সুঠাম ঘোড়া আর কিছু নধর গরু। এরই মাঝে অনেকের ঘরবাড়িও আছে। এতো সুন্দর বাড়িগুলো কে বানিয়েছে, স্বয়ং বিশ্বকর্মা ননতো! আশ্চর্য, বাড়িগুলো সবই তেরচা ডিজাইনে তৈরি; ভুল ভাঙ্গলো খানিক বাদে। বাড়িগুলো ঠিকই লম্ববান, আমাদের ট্রেনটিই বাকা হয়ে ছুটছিল ঊর্ধ্বমুখে। এমন দুর্গম পথে রেললাইন তৈরি করা বা তার পরিকল্পনা করা চাট্টিখানি কথা না। সৌন্দর্য গিলতে গিলতে যত উপরে উঠছি সৌন্দর্য আর পুলকের মাত্রা ততই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ চেয়ে দেখি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে যাওয়া ঘাস ও ফুলের জড়াজড়ি ঐ যেখানে সমতলে গিয়ে লুটিয়ে পড়েছে তা এতটাই নীচে যে বুকের ভেতরটা ভয়ে হিম হয়ে এল; পরক্ষনেই ভয়টা মিলিয়ে গেল যখন ভাবলাম জন্ম মাত্রই আমরা প্রত্যেকেই মৃত্যুর পানে ধাবিত আর সেই অবধারিত মৃত্যু যদি এমন সর্গস্বরূপ স্থানে হয় তবে মৃত্যু যন্ত্রণাটাকে মেনে নেয়া হয়তো সহজতর হবে। আগুনে পুড়ে, আরিচা রোডে ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে, রোগে ভুগে কিংবা দড়ির এক প্রান্তে দোদুল্যমান শবদেহ- না এর কোনোটিই আমার কাম্য নয়। তার চেয়ে প্রকৃতির অপার এই সুন্দরের মাঝে বর্ণিল সমাধি ঢের ভাল।
কিছু দূর আরোহণের পর সবুজ রঙটি অদৃশ্য হয়ে গেল। চারিদিকে সফেদ শুভ্রতা, যেদিকে চোখ যায় শুধু বরফে ঢাকা শৈলচুড়া। সে কী দৃশ্য, সে কী সুন্দর, ও এ কেমন সুখ! এরই মধ্যে আমরা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় দু হাজার মিটার উপরে উঠে এসেছি। আবার ট্রেন পাল্টাতে হবে, এবারে ট্রেনটি চলবে সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা পাহাড়ের গা বেয়ে বেয়ে, কখনো কখনো সর্পিলাকায় শৈলরন্ধ্রের ভেতর দিয়ে। এ যেন অন্য এক পৃথিবী; এ সৌন্দর্য, এ উপলব্ধি ভাষায় প্রকাশের যথার্থ নিপুনতা আমাতে নেই। এই খাড়া পথ, এই আবার রহস্য উপন্যাসের মত রন্ধ্রে রন্ধ্রে একেবেকে চলা- এমনি করে যেন উঠে যাচ্ছি আকাশের দিকে। জয়তু বিজ্ঞান! জয়তু প্রকৃতি! ও প্রকৃতেশ্বর, তুমি সুধায় সুধায় নিত্য পূর্ণ করে চলেছ আমাদের জীবন। দীর্ঘ এক শৈলরন্ধ্রের শেষ প্রান্তে এসে আমাদের রথ এসে থামলো ইউঙ্গফ্রাউ ইষ্টিশনে।
একেবারে পুরোদস্তুর ইষ্টিশন যাকে বলে। কফিশপ, মনোহরী দোকান, রেস্তোরাঁ কি নেই সেখানে! আরো আছে জগৎবিখ্যাত সুইস ঘড়ির শো রুম। দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে দিক নির্দেশনা যা অনুসরন করে যাওয়া যায় বিভিন্ন স্পটে। কোথাও যেমন আছে গুহার ভেতরে দেয়ালে দেয়ালে অঙ্কিত দৃশ্যাবলী, যা থেকে ইউঙ্গফ্রাউ ইষ্টিশনের নির্মাণ এবং অতীত ও বর্তমানের পর্যটন শিল্পের ধারণা ফুটে ওঠে; আবার কোনো গুহার ভেতরে রয়েছে আইস প্যালেস- যাতে বরফ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন স্কাল্পচার; বরফ কেলি বা স্নো ফান গেমস এর ব্যবস্থাও রয়েছে অন্য এক দিকে।
ভ্রমন কিংবা অভিজ্ঞতা নির্ভর রচনায় অনেকেই তথ্যের উল্লেখকে নিরস জ্ঞান করে থাকে, আমিও অনেকটা সে দলেরই; তা সত্ত্বেও এ যাত্রা ইউঙ্গফ্রাউইয়োচ (‘ইউঙ্গফ্রাউ’ ইষ্টিশনের স্থানীয় ভাষায় একত্রিত নাম ইউঙ্গফ্রাউইয়োচ, ইউঙ্গফ্রাউ পর্বতচূড়াটির নাম আর ইয়োচ এর অর্থ হয়তোবা ইষ্টিশন) সম্পর্কে গুটিকয় তথ্য পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নেবার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। তা তথ্য ভারে এ রচনা যতই ভারী হোক না কেন। ইউঙ্গফ্রাউ ভ্রমনে প্রকৃতির সৌন্দর্যে আমি যতটা অভিভুত ঠিক ততটুকুই আশ্চর্যান্বিত মানুষের এই সৃজন দেখে। মানুষ কি না পারে! দুর্গমকে সুগম করে সাড়ে তিন হাজার মিটার উঁচুতে হিমাচ্ছন্ন পাহাড়ের গায়ে রেল ইষ্টিশন দেখে আমি পুলকিত হবো না?
১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুন এই পথেই পাহাড়ের গায়ে ভেঙ্গেরনাল্প নামক একটি রেল ইষ্টিশন নির্মিত হয়, যার উচ্চতা ১৮৭৩ মিটার। এরও প্রায় দ্বিগুন উচ্চতায় ইউঙ্গফ্রাউ চুড়ার ‘পরে ইষ্টিশন নির্মাণ তখন হয়তো কল্পনাতীতই ছিল, কেননা ভেঙ্গেরনাল্প অবধি পথ ততটা দুর্গম নয়, স্থানটি হিমাচ্ছন্নও নয়, সেখানে গাছপালা ফুল পাখি ঘাস মাটি সবই বিদ্যমান। অসম্ভবকে সম্ভব করাইতো বিজ্ঞানের ধর্ম বা অন্য অর্থে মানুষের কর্ম। ভেঙ্গেরনাল্প ইষ্টিশন তৈরি হবার মাস দুয়েক পর বিখ্যাত সুইস শিল্পপতি এডলফ গুয়ের জ্যালার সেই অসাধ্য সাধনে উঠে পড়ে লাগেন। প্রথমে পেন্সিল স্কেচে তৈরি করলেন তার পরিকল্পনা। সে বছরের ২০ ডিসেম্বর তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তা পেশ করেন এবং দীর্ঘ এক বছর পর ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর সুইস ফেডারেল পার্লামেন্টে তা গৃহীত হয়। স্থানীয় জনসাধারণও তাৎক্ষনিক কর্মসংস্থান এবং ভবিষ্যৎ পর্যটন ব্যাবসার সুফল বাসনায় এই পরিকল্পনার জোরালো সমর্থন করেন। ১৮৯৬ এর ২৭ জুলাই ১০০ জন ইতালীয় দক্ষ শ্রমিকের সমন্বিত একটি দল নির্মাণ কাজ শুরু করে। দু বছরের মধ্যেই নির্মিত হয় পরবর্তী দুটি ইষ্টিশন ক্লেইন স্কেইডেগ এবং ইগেরগ লেটসচার (বানান ও উচ্চারণ শুদ্ধ হলো কিনা আমি কেন, ঈশ্বরও বোধ হয় জানেন না); এরপর শুরু হলো বিস্ফোরণের মাধ্যমে সুরঙ্গ তৈরি করা। মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক। যার রচিত স্বপ্নকে ছুঁতে এত আয়োজন সেই এডলফ গুয়ের জ্যালার অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে ১৮৯৯ এর ৩ এপ্রিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। কিন্ত তার স্বপ্ন যাত্রা থেমে থাকেনি। এমনি করে চলতে চলতে ১৯০৩ এর ২৮ জুন ইগেরবান্ড ইষ্টিশনের উদ্বোধন ঘটে। লক্ষ্যে পৌঁছুনোর আরও একটি ধাপ পার হলো। নির্মাণকাজ যত এগুচ্ছিল ততই জটিলতর হতে থাকে, কেননা পথ ক্রমেই হচ্ছিল দুর্গমতর। কাজের সুবিধা এবং যন্ত্রপাতি বহনের সুবিধার্থে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল ইগের থেকে পরবর্তী লক্ষ্য ইস্মার অবধি ঝুলন্ত ক্যাবলওয়ে তৈরির আর তৎক্ষণাৎ সে আবেদন প্রত্যাখ্যিত হয়। এতে কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করবার উপায় নেই, কারণ এরই মধ্যে মোট বাজেটের অধিক খরচ হয়ে গিয়েছিল। কিন্ত কাজ থেমে থাকে না; নির্মাণকর্মীরা স্বল্প বাজেটে অধিক পরিশ্রমে নেশাগ্রস্তের মত কাজ করে যেতে থাকে। ১৯০৫ এর ২৮ জুলাই ইস্মার রেল ইষ্টিশনটি উদ্বোধিত হয়। অন্তরীক্ষ ছুঁবার লক্ষ্যে অবিচল এই কর্মী দলের অগ্রযাত্রায় আবার ব্যত্যয় ঘটে সেই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে। অর্থ সংকটের কারনে কর্তৃপক্ষ কাজে দু’বছরের বিরতি ঘোষণা করেন। বিরতি শেষে আবার কাজ শুরু হবারও কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন, অর্থের যোগান হয়; বিরতি শেষে আবার নবোদ্যমে শুরু হয় স্বপ্নের জাল বুনা। অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে মূল বাজেটের দ্বিগুন অর্থ ব্যয়ে ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১ অগাস্ট গোটা ইয়োরোপের সবচেয়ে উঁচু রেল ইষ্টিশনটি উদ্বোধিত হয়। এই ইউঙ্গফ্রাউইয়োচ নির্মাণে সময় লেগেছে ১৬ বছর আর ব্যয় হয়েছে এক কোটি ষাট লক্ষ সুইস ফ্রাঙ্ক। বর্তমানে সে অর্থের মান কত কোটি ছাড়িয়েছে তা আর ঘেটে দেখবার প্রয়োজন নেই। আমার ভাগ্য বটে! জন্মের পরপরই রাশি রাশি সোনা রুপার চামচে ভরা মধু না খেলে এমন ভাগ্য হয় না, কেননা এ বছর ইউঙ্গফ্রাউইয়োচ এর শতবর্ষ পূর্তি; তাই সেখানে উৎসবের রমরমা।
তথ্যাতিতথ্যের ইতি টানি। বরফ কেলি, স্কাল্পচার, মিউজিয়াম সকল কিছুর হাতছানিকে অবজ্ঞা করে ছুটে গেলাম ইউঙ্গফ্রাউ এর উন্মুক্ত ক্ষুদ্রাকৃতি শৈলপ্রস্থে। সেথায় কয়েক কদম অন্তে এক আশ্চর্য অনুভূতিতে সর্বাঙ্গে কাঁপন দিয়ে উঠলো। আমার চারিদিকে শুধু বরফ নয়, যেন কে কাকে ছেড়ে আকাশ ছুঁতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা অগনিত শৈলচুড়া। কী দম্ভ আর আভিজাত্যের উষ্ণীষ পরিহিত শিখরের ছড়াছড়ি। আমি তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তিন হাজার মিটার উচ্চে অবস্থিত, আমার আশপাশে অনেক নীচে নীচে অনেক চুড়া রয়েছে, আমার অনেক অনেক অনেক নীচে সবুজ বনানী, আমি যেন আকাশের খুব কাছে, আমি যেন স্বর্গের খুব কাছে, যেন আমিও শৈলচুড়া কোনো! আমার চতুর্দিকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অনেক মানুষ। আমি তাদের দেখেও দেখতে পাচ্ছি না, দেখতে পাচ্ছি না আমার সহধর্মিণীকে, আমি যেন ভিড়ের মাঝে একা একজন, আমার দু’চোখে দারুণ ঘোর। প্রকৃতি সত্যি বড় সুন্দর, দু’হাতে এই প্রকৃতিকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনে চুম্বনে সিক্ত করে দিতে খুব ইচ্ছে করছিল।
... ঈয়াসীন
পূর্বের লেখা-
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/46667
মন্তব্য
সুন্দর লেখা। ছবি আরেকটু বেশি থাকলে আরো ভালো লাগত।
ধন্যবাদ রু। পরবর্তীতে আরো ছবির ব্যাপারটা মাথায় রাখবো।
প্রথম ছবিটা খুব সুন্দর। লেখাও ভাল লেগেছে।
প্রথম ছবিটা দারুণ এসেছে!!
স্বর্গ তো এসেছেই মানুষের কল্পনা থেকে, কিন্তু বুড়ো পৃথিবীটা আমাদের কল্পনার চেয়ে অনেক অনেক সুন্দর, তাই স্বর্গের চেয়ে মর্ত্য সুন্দর এবং শ্রেয়তর।
facebook
সত্যি শ্রেয়তর
্্্ ঈয়াসীন
লেখা ও ছবি খুব ভাল লাগল ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
লেখাটা পড়ে শুধু মনে হল সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখককে সত্যিই অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। এমন সৌন্দর্য কি ভাষায় প্রকাশ করা যায় !
ইস, যদি একবার যেতে পারতাম এই ভূস্বর্গে ! হবে কি কখনও পূর্ণ এই চাওয়া !
আরও একটু বেশী ছবি পেলে না হয় দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাতাম ! তৃষ্ণা থেকে গেল ।
অনেক ধন্যবাদ ইয়াসীন ভাই।
ইইউ এর বাইরে আছি নেহাত, তাও শিগগিরই যাব!
প্রথম ছবি’টা তুমুল ভালো লাগলো। দেখার অভিজ্ঞতা কি ছিলো তাই ভাবছি।
নতুন মন্তব্য করুন