(জানা শব্দের অজানা অর্থ)
ঢাকার পরে আমার দ্বিতীয় প্রিয় শহর কোলকাতা। তার অবশ্য অনেকগুলো কারণ আছে, তবে মূল কারণটি হচ্ছে আমার কিছু আপনজনদের অস্তিত্ব খুঁজে পাই এই অলিগলির শহরে আর এই শহরের আকাশে। রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, নজরুল, সুনীল, সুকান্ত বলতে গেলে আমার ঘরেরই মানুষ। তবে এঁরা যে কেবল কোলকাতার একক সম্পদ, তা নয়; তবুও এই শহরটার সঙ্গে ওঁদের একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। এই পরের দেশের আপন শহরটিতে এ পর্যন্ত নয় বার যাবার সুযোগ হয়েছে; আর স্মৃতি? সেতো অঢেল, ঝুলি ভরা। সে ঝুলিতে যথেচ্ছভাবে হাত না চালিয়ে এই ‘ভ্রমনে বিভ্রাট’ সিরিজের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক একটি ঘটনার উল্লেখ করছি।
(প্রথম পর্ব পড়া না থাকলে পড়ে নিতে পারেন।)
দ্বিতীয় পর্ব :
সাল- ১৯৯৬
স্থান- সদর স্ট্রীট, কোলকাতা
দেশ- ভারত
(কোলকাতায় প্রথমবার)
বিখ্যাত ‘কস্তূরী রেস্তোরা’-য় চারখানা শাহী সাইজের সরষে ইলিশ আর মুগডাল সহযোগে তিন থালা ভাত উড়িয়ে রাস্তায় নামতেই শরীরটা কেমন যেন খারাপ লাগা শুরু হল। বমি বমি আর অস্বস্তি একটা ভাব। সে কি ঢেকুররে বাবা! ইলিশ যেন পাকস্থলীতে পৌঁছে প্রাণ ফিরে পেয়েছে, এক্ষুনি বুঝি জ্যান্ত লাফিয়ে বেরুবে আমার গলা দিয়ে। আমি জাতে পেটুক, চোখ ও পেট- দুটোর খিদেই সাঙ্ঘাতিক। নইলে অতগুলো ভাত খেয়ে আবার দুটো ছানার জিলিপি আর মিষ্টি দই না খেলেই কি চলতো না? মোড়ের বিহারীর টঙ থেকে এক খিলি পান নিলাম। পান চিবনোর পর অস্বস্তি ভাব কিছুটা কাটলো বটে। আমার সঙ্গে বন্ধু উজ্জল। বদমাশটা খেয়েছে আমার চাইতে বেশী, অথচ দিব্যি সুস্থ। দুজন শখ করে কেনা চারমিনারের প্যাকেট থেকে দুটো শলাকা জ্বালিয়ে হোটেলে ফিরছি। রাত প্রায় বারোটা, টানা রিকশাগুলো মুখ থুবড়ে ঘুমুচ্ছে। পান-বিড়ির টঙগুলো ছাড়া বাকী সবাই ঝাপ ফেলে দিনের হিসেব চুকিয়েছে। ফ্রি স্কুল স্ট্রীট ধরে এগিয়ে হাতের ডানে ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়টিকে রেখে বায়ে সদর স্ট্রীটে বাক নিতেই মাথাটা একটু ঝিম ঝিম করে উঠলো। পই পই করে মানা করবার পরেও বিহারী ব্যাটা নির্ঘাত পানে জর্দা মিশিয়েছে। কফি হাউসের গান শুনে শুনে ‘চারমিনার’ টানবার শখ ছিল অনেকদিনের, তবে সেই শখ মেটানো বোধহয় একটু কষ্টকরই হয়ে গেল। ফিল্টার ছাড়া সিগারেট, বড্ড ধক; টানতে গেলেই মনে হয় গলায় কেউ ছোবল মারছে। এমনিতেই রাক্ষসের মত খেয়ে দম বন্ধ হবার যোগার হয়েছিল, তার উপর জর্দা-তামাকের এই বেদম যৌথ ছোবল শরীর ঠিক সইতে পারছে না। মিছে কইব না, সন্ধের মুখে দুই বন্ধুতে মিলে এলিয়ট রোডে গালিব-এও বসেছিলাম। অভ্যেস নেইতো, তাই সবটা মিলে এক জগাখিচুড়ী অবস্থা। উজ্জলের উপদেশমত ফুটপাতে বসে পড়লাম, এখানে খানিকটা জিরিয়ে নিয়ে তারপর হোটেলে ফেরা যাবে।
সদর স্ট্রীটের এক ফুটপাতে বসে আছি আমরা দুই বন্ধু। এই সদর স্ট্রীটেরই কোনো এক বাড়ীর বারান্দা অথবা ছাঁদে বসে সূর্যোদয় দর্শনে পুলকিত হয়ে আমাদের সকলের প্রাণের কবি লিখেছিলেন সেই বিখ্যাত কবিতা- ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’; ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। অভ্যাসবশত আমি গুনগুন আবৃত্তি করছি- ‘থর থর করি কাঁপিছে ভূধর, শিলা রাশি রাশি পড়িছে খসে’; ঠিক সেই মুহূর্তে এক নিপাট ভদ্রলোক (দর্শনে অন্তত তাই মনে হয়েছিল) গুটি গুটি পায়ে কাছে এগিয়ে এসে বললো- "দাদা, সেবা লাগবে"? ভাবলাম, আমাকে কি দেখতে এতটাই অসুস্থ মনে হচ্ছে? আর যদি হয়েও থাকে, তবু সেবা প্রদানের এই অভিনব পন্থা আমার কাছে একদমই নতুন ঠেকলো। পথে ঘাটে অসুস্থ মানুষ দেখে কেউ যে সেবা অফার কিংবা সেবার সওদা করতে পারে তা আমার একটুও জানা ছিল না। বললাম- না, মানে। আমার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে ভদ্রলোক বললেন- "বুঝেছিতো, আর ‘না’ ‘মানে’ করতে হবে না। রাত হয়েছে, টায়ার্ড লাগছে নিশ্চই? হোটেলে গিয়ে কি নিরামিষ রাত কাটাবেন, তারচে বরং চলুন দাদা। এইতো ১০ মিনিটের হাঁটা পথ। জোড়া বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমুবেন; সেরকম সেবাতো আর আপনাদের হোটেলে নেই"; আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। লোকটিতো বাংলাতেই কথা বলছে, ভাষা সংক্রান্ত কোনো বিভ্রাট হবার কথাতো নেই, তবু তার কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না। বললাম- দাদা, ঠিক বুঝলাম না। - "কচি খোকাটিতো নন, কেন বুঝছেন না? মাইরি বলছি দাদা এমন দুর্দান্ত মিষ্টি আম এ তল্লাটে আর কোথাও পাবেন না"; আমার মাথার সবগুলো তার কেমন যেন জট পাকিয়ে যাচ্ছে। নির্জন রাস্তায় আমার শরীরটা খারাপ দেখে ভদ্রলোক স্বেচ্ছায় সেবার ব্যাবস্থা করতে চাইছেন, তা বেশ; কিন্তু তার সঙ্গে জোড়া বালিশ, দুর্দান্ত মিষ্টি আমের কি সম্পর্ক? অতিভোজনের পর মাথা চক্কর দিয়ে শরীর খারাপ করলে জোড়া বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমুতে হয়, মিষ্টি আম খেতে হয়- এমনধারা চিকিৎসা বা সেবার কথা আমি এ জন্মে শুনিনি। রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে বললাম- আম! - "ক্যাটালগ দেখুন, যেনতেন আমের ব্যাবসা এই সুবল করে না"; আমের আবার ক্যাটালগ! উজ্জল আর আমি দুজন দুজনের দিকে তাকালাম। -"আসুন ঐ ল্যাম্পপোস্টটার তলায়, পরখ করে দেখুন এই রত্নখনি; এর পাতায় পাতায় ঘোর। প্রতিটি স্টেটের জন্যে আলাদা আলাদা পেজ। গুজরাতি, মারাঠি, পাঞ্জাবী, কাশ্মীরি- কি নেইগো দাদা? তবে সবচে সরেসটি পাবেন শেষের পাতায়- এংলো ইন্ডিয়ান"; আমের জাত বলতে আগে জানতাম ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ এইসব। অঞ্চলভিত্তিক আমও আছে এবং তাতে আমের স্বাদও ভিন্নতর হয়; যেমন চাপাই নবাবগঞ্জের আম খেয়ে যে মজা পাওয়া যায়, টাঙ্গাইলের আমে তা নেই। সেই হিসেবেই হয়তো সুবলদা’র ক্যাটালগে আমের শ্রেণীবিন্যাস হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যকে ভিত্তি করে। কিন্তু ‘এংলো ইন্ডিয়ান’ সেই ক্যাটাগরিতে কি করে পড়লো বুঝলাম না। সে যাই হোক, এতক্ষন যা ঘটলো তাতে ক্যাটালগ দেখবার কৌতূহল জাগাটাই স্বাভাবিক। আমরা ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়ালাম। সুবলদা তার কাঁধে ঝুলতে থাকা শান্তিপুরী থলের ভেতর থেকে একটি মাঝারি আকৃতির এ্যালবাম বের করলেন। আমরা দুজন প্রথম পাতা থেকে পরের পাতায় আর গেলাম না, যেতে পারলাম না। বহু কসরত করে ক্ষমাটমা চেয়ে ভদ্রলোকের হাত থেকে রেহাই পেলাম। হোটেলে পৌঁছে যে যার বিছানায় সিঙ্গেল বালিশেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আজ সেই ঘটনার ১৭ বছর পর পাঠক সমীপে স্বীকারোক্তি দিচ্ছি। পাঠক, ঐ ক্যাটালগের পাতায় কোনো আমের ছবি ছিল না, বরং সবই তেঁতুল। তেঁতুল দেখলে মুখে লালা ঝরবে সেটাই স্বাভাবিক বলে দাবী করেছে এক শিশ্নদরপরায়ন মোল্লা, তা নইলে নাকি পুরুষত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। আমার মতে যত্রতত্র উগরে ওঠা লালাকে সংবরণ করার মাঝেই সত্যিকারের পুরুষত্ব নিহিত আছে।
বি দ্র : কোথাও বেড়াতে যাবার আগে সে স্থানের স্থানীয় ভাষা আপনার জানা থাকলেও স্থানীয় কিছু স্ল্যাং, কথ্য বা প্রচলিত শব্দ জেনে রাখলে ভ্রমন নিরবচ্ছিন্ন হয়। আর হ্যা মনে রাখবেন- সব ‘সেবা’ সেবা নয়।
(চলবে)
মন্তব্য
ও, এইজন্য অণু'দা সেদিন ল্যাংড়া আমের জন্য হাত পা ছুড়ে কাঁদছিল
অণুর মতিগতি ভাল না।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
- একলহমা
কাঠমান্ডুতে হোটেলের বেয়ারা জিজ্ঞাসা করেছিল- বাবুজি, শাদী হুয়া?
facebook
শিশ্নদরপরায়ন মোল্লা
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
তবে আসলে সত্যিকারের পুরুষত্ব, সত্যিকারের নারীত্ব, সত্যিকারের হিজরাত্ব, সত্যিকারের নপুংসকত্ব- এই টার্মগুলোও বর্ণবাদী।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক। তবে খেত্রবিশেষে প্রয়োগে বাঁধা নেই, যেমন এই রচনায়; কেননা এটা ফতোয়াবাজির বিরুদ্ধে প্রতিআক্রমন স্বরূপ।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
তাও ঠিক।
- একলহমা
@ ঈয়াসীন
যাচ্ছেতাই গল্প, এক্কেবারে যাচ্ছেতাই
কিন্তু গল্পের শেষটা অত্যন্ত চমৎকার ভাবে আজকের দিনের গল্পে এসে ঠেকেছে।
আর একটা কথা, আফ্নেরা কিন্তু অনেক বড় বিপদের মইধ্যেই পড়তে পারতেন সেই দিন!
- একলহমা
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
বিলকুল
- একলহমা
জটিল
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
হাহাহাহা - মজার ঘটনা।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ঐদিন অত মজা লাগে নাই, তবে এখন ঐসব মনে পড়লে আসলেই মজা পাই।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
চমৎকার লিখেছেন!
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
মাঝে মাঝে এই ধরনের লেখা লিখে আমাদের সেবা করলেই হবে
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
এরিও আম্নে আসলেই ইয়া...... এই কাহিনী বুঝতে এতোক্ষন লাগলো। আমি তো সেকেন্ড লাইনেই বুইঝা ফালাইসি এন্ডিং এ ক্রিমিনাল কে! :D
যাক...ভোকাবুলারি ইশট্রং হইলো...আম আর জোড়া বালিশ
ভাইরে বয়েস তখন কম আছিল। এখন হইলে কি আর বুঝতে অতক্ষণ লাগতো।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
হাহাহহাহাহ - দারুণ হচ্ছে -
৯৬ সাল, ফায়ারব্রিগেড শুনেই মনে হচ্ছে আপনার সাথে অল্পের জন্য দেখা হয় নাই Kathleen এ
অনেক পালটে গেছে এতদিনে সেই এলাকা ।
শেষবার গিয়েছিলাম ২০০৩ এ। সে অবধি বড় কোনো পার্থক্য দেখিনি। তবে এখন অবশ্যই অনেক কিছু পাল্টেছে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
হাসতে হাসতে শেষ
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আর আঙুর !
facebook
অণুর টার্গেটটা কি? হাঁটে হাড়ি ভাঙ্গা। আঙ্গুরের গল্পটা আপাতত চেপে যাই। পড়ে একসময়।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
দাদা, বেশ তো জমে উটেচে - চালিয়ে যান। দুই দেশে দুই রকম ভাষা বিভ্রাট দুই রকম মজা দিলো। আর শফি মিয়ারে দেয়া চকিত বাঁশটা জোশ হয়েচে।
বাঁশ!
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সদর স্ট্রিট এ রাত দুপুরে বসে থাকলে - আমলোকে তো সেবা দিতে আসবেই - সে গোলাপখাস নাই বা হোক - তেঁতুলখাস তো বটে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আমার ধারনা ছিল নিউ মার্কেট এলাকার নিপাট ভদ্রলোকেরা আমাকেই শুধু সেবার প্রস্তাব দেয়, সন্ধ্যার পর এদের জ্বালায় রাস্তায় হাঁটাই দায়। কিন্তু এখন দেখছি আপনাকেও!
আব্দুল্লাহ এ এম
সেবার প্রস্তাব পাবার একচ্ছত্র অধিকার কি শুধু আপনার?
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
মারাত্মক হচ্ছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তেতুল একটি লালাত্মক ফল।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ডরাইলেই ডর হান্দায়া দিলে কিয়ের ডর?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
২০০৮ এ মা আর ছোট বোনকে নিয়ে গেছি কলকাতায়। রাতের খাবার শেষে মাস আর বোন কে হোটেল রুমে রেখে বাইরে গেছি সিগারেট ফুঁকতে। কোত্থেকে এক ছেলে অন্ধকার ফুঁড়ে এসে আমাকে তেঁতুল-সেবা দেওয়ার জন্য এমন জবরদস্তি শুরু করেছিল যে - সেই গল্প পরে কোন এক সময় করবো।
দারুণ হচ্ছে ভাই।
এবার পর্ব ৩-এ যাই?
----------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
নতুন মন্তব্য করুন