সচলে কিংবা সচল পাঠককুলে কোনো সুহৃদ আছে কি, যে কিনা কমোড ডিজাইন করতে পারেন? হয়তো আছেন। একটা স্যাম্পল দিচ্ছি-
অনেকটা এরকমই হবে, তবে একটু এদিক ওদিক করে এতে গোলাম আযমের মুখটি বসিয়ে দিতে হবে। হ্যা, এই পশুটিকে আমি এতটাই ঘৃণা করি। আমার পুরীষে হলদেটে হয়ে যাক ঐ হারামজাদার সফেদ দাঁড়ি।
কিন্তু এই যে চাওয়া, তাতে লাভটা কি? আমি, আমরা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কয়েক কোটি মানুষ তাকে শুধু ঘৃণাই করে যাবো; আর এই বরাহটি মৃদু বাতাসে তার দুলতে থাকা দাঁড়িতে হাত চালিয়ে চালিয়ে খিক খিক করে বিজয়ীর হাসি হেসেই যাবে। না, আমার ঘৃণা, আমাদের ঘৃণা তাকে একটুও ছোঁয় না। শুধুমাত্র ‘ঘৃণা’ ঐ পশুটির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত শাস্তি নয়।
আমাদের এতদিনের আশা, এতদিনের স্বপ্ন আজ ধূলিসাৎ হয়েছে ভেবে যারা হতাশা কিংবা অসহায় বোধ করছেন, যারা ভাবছেন আর বুঝি হতে হতে হল না; তারা আজ হতাশাটুকু ঝেড়ে ফেলুন, কেননা সেই সুযোগে ঐ দাঁড়ির শুভ্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে, ঐ হাসির বিশ্রী শব্দ প্রসারিত হবে, হতে হতে বিকট হা হা শব্দে পরিনত হবে।
হ্যা, আমাদের লড়াইটা লড়তে হবে আমাদেরই। মাঝ দরিয়ায় খড়কুটো ভেবে যে দলটাকে আমরা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছিলাম, সেই দলটি প্রমান করেছে একটি ডুবতে থাকা মানুষকে সামান্য খড়কুটো কখনও ভাসিয়ে রাখতে পারে না। হাত পা ছড়িয়ে শেষ চেষ্টাটুকু করে জীবনের তাগিদে আমাদেরই ভেসে থাকা জানতে হবে। আমার হাতেই নিলাম আমার নির্ভরতার চাবি।
কিন্তু এই অদ্ভুত আঁধারের কালে, এই গুমোট প্রদোষে সেই পন্থাটি কি? জানি না। যেমন জানতো না সেই তরুণ ছাত্রগুলো, যারা ১৯৫২-র ২১ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত হরতাল রাজনৈতিক নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থে স্থগিত করা সত্ত্বেও গভীর রাতে ঢাকা হলের পাশে পুকুর পাড়ে গোপন সভা করেছিল। পরদিন সেই তরুনেরাই পুলিশের বন্দুকের সামনে জামার বোতাম খুলে চিৎকার করে গাইছিল- ওরা আমার মুখের ভাষা কাইর্যা নিতে চায়। কোনো গঠনমূলক দীর্ঘ পূর্বপরিকল্পনা ছিল না তাঁদের, সব কিছু বিসর্জন দিয়ে তারা পথে নেমেছিল। পথই তাঁদের পথ দেখিয়েছিল। আমাদের ভাষা আন্দোলন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর গণআন্দোলন, ২০১৩-র গণজাগরণ এর সবগুলোর পেছনেই আছে ছাত্র ও তরুণদের ঐকান্তিক অংশগ্রহন। তারাই বাংলাদেশের শুদ্ধ চেতনার মূল চালিকা শক্তি। তারা অন্য কারো প’রে আস্থা রাখে না, ভরসা করে না, তাঁরাই তাঁদের নিয়ন্ত্রক।
আসুন, আমরা পথে নামি। গোলাম আযম নামক ভয়ঙ্কর ঐ রাক্ষসটিকে আমরা পার পেতে দেবো না। আমরাই ডালিম কুমার, আমরাই রাম, ভীম, এপোলো, হ্যারি পোট্টার; আমরাই বধিব রাক্ষস। কি করে তা সম্ভব হবে? পথেতো নামি, পথই আমাদের পথ দেখিয়ে দেবে।
এই রায় মানি না
মন্তব্য
কমোড ডিজাইন বা অট্টহাস্য কর্মসূচির মতো বালখিল্য কিছুতে গোলাম আজমের কিছু আসবে যাবে না। আপিল করার জন্য প্রসিকিউশনকে চাপ দিতে একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি গণবিক্ষোভ। সরকার সে কথা জানে বলেই শাহবাগে "যান চলাচল" নির্বিঘ্ন রাখার জন্য গতকাল রাতে শয়ে শয়ে পুলিশ সক্রিয় ছিলো।
এইসব কর্মকান্ডে গোআ'র কিচ্ছু আসবে যাবে না। যদি এমনই হত, বাঙালির এতদিনের ঘৃণা দেখে আরও অনেক আগেই নিজেই নিজের কাজের জন্য ফাঁসিতে ঝুলত। নির্লজ্জ, বেহায়াদের এই বোধটুকু থাকে না।
আমি জানি না
এই রায় মানি না
facebook
আগামীকালকে আবার না জানি কি প্রহসন দেখবো?
-----------
মিলন
কিছু বোকা মানুষ বাদে সবাই যেখানে 'সন্তুষ্ট' সেখানে প্রসিকিউশনকে চাপ দেবার মত চাপটা আসবে কোথ্থেকে!
কোনো কর্মসূচিতেই কিছু হবে না যদি না গণ প্রতিবাদ করা যায়। আর এইসব হাসা হাসির কর্মসূচি কাল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। জানি না কার কেমন লেগেছে তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত নিজেদের আমরা হাস্যকর বানিয়েছি এইসব করে। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের শরীরের চামড়া গণ্ডারের চামড়া থেকেও মোটা। এইসব সুক্ষ্ম ব্যাপার স্যাপার বোঝার বুদ্ধি তাঁদের নেই।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
হাসাহাসির , বালখিল্যের সময় যে ফুরিয়েছে সেটাই কিন্তু লেখাতে স্পষ্ট।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সব কিছু বলার ভাষা হারিয়ে গেছে
ইসরাত
নতুন মন্তব্য করুন