• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নবঅঙ্কুরে জয়পতাকা

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ৩০/০৮/২০১৩ - ৫:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৯৫ কি ৯৬ সালের কথা, মতিঝিলের কলোনীপাড়ায় বসবাস। আমাদের কলোনীতে গাছপালার অভাব ছিল না। আম, কাঁঠাল, নারকেল, চালতা, বড়ুই, জাম, খেজুর ছাড়াও সন্ধ্যামালতি, মেহেদি, কৃষ্ণচূড়া আরো কত কি! ভাবছেন, বিশাল এলাকা জুড়ে আমাদের কলোনী? মোটেও না, মাত্র চারটি বিল্ডিং ছিল। মতিঝিলের কলোনী পাড়া ব্যাপক আর দালানের সংখ্যাও অনেক, তবে আমাদের দেয়ালে ঘেরা স্বকীয় মনোরম গণ্ডিটুকু ‘চার কলোনী’ নামেই পরিচিত। পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চার কলোনী তার প্রাক্তন লাবন্য হারিয়েছে, তবু নামটি এখনও অম্লান। ফল ফুলের গাছের এমন প্রাচুর্যতার কারণে কৈশোরে কখনও কাঁচা আম, টসটসে জাম, বড়ুই, চালতা কিনে খেতে হয়নি, আবার যৌবনেও কখনও ফুল কিনতে বেইলি রোড যেতে হয়নি।

বাচ্চাকাল থেকেই বুঝে নাবুঝে আমি মাত্রাতিরক্ত রোমান্টিক। একুশ বাইশে এসে সেই গুনটির যাকে বলে একদম বাঁধন খুলে গেল। বৃক্ষবিশেষজ্ঞ না হলেও কলোনীর গাছগুলোকে এই একুশ বাইশে অর্থাৎ ৯৫ কি ৯৬ সালে বড্ড বেশী বৈষয়িক মনে হতে লাগলো। কোথায় নীপের শাখে কোকিল গাইবে, অশত্থের ডালে ঝিমোবে প্যাঁচা, সপ্তপর্ণ শাখা তলে ফুলগুলো বিছাইবে তাদের মরণশয়ন! তা না, সেই আম, জাম, কাঁঠাল, কলা। কৃষ্ণচূড়া আছে বটে, কিন্তু তার পাশে রাধাচূড়া না হলে কি মনোহরকে একলা মানায়?

আমি আর নোয়াখাইল্লা (বন্ধু তালেবকে সারাজীবন এ নামেই ডেকে এসেছি) দুজনে মিলে একটি কদম, একটি কৃষ্ণচূড়া, একটি রাধাচূড়া আর একটি ছাতিমের চাড়া জোগাড় করে কলোনীর মাটিতে পুতে দিলাম। অশত্থের ঝামেলায় আর জড়ালাম না। কৃষ্ণচূড়া যদিও আগেই ছিল, তবে সেটি অনেক বড়। নতুন রাধাকে তার পাশে অত্যন্ত খাটো দেখাবে। নবীন কৃষ্ণ ও রাধাকে পাশাপাশি রেখে ছাতিম আর কদম একটু দূরে দূরে পুঁতলাম। এরপরতো তুলকালাম কাণ্ড; গাছগুলো যেন সকলের চক্ষুশুল হয়ে উঠলো। এক মুরুব্বী তেড়ে এলেন- এরিও তগো কি আক্কল নাইনি; আর ডাইবিটিসে ধইচ্চে, বিকালে মাঠে ইকটু হাটুম আরি, হেইয়ার উপায় রাইকচসনি? তিনতলার খালুজান এসে বললেন- তুমরার মাথা খারাপ হইছে, এই ছাতিম গাছডা যহন বড় হব আমরার জানলা খুলবার পাম? আলু-বাতাস-অইদ আবো ক্যামনে? মহল্লার বিজ্ঞ বড়ভাইয়েরা বললেন- ঐ বলদ, কারেন্টের খাম্বার নীচে যে গাছ লাগাইছস, ডাল পালা ছড়াইলে সব তারতুর ছিঁড়া বিদিকিচ্ছা লাগবো, দেহিস। আরেক ভাই বলে- আবে, লাগাইছস ভাল কথা, দুইডা হাত সরাইয়া লাগাবিনা বেক্কল; সামনের শীতে ব্যাডমিন্টন কোর্ট কাটতে ঝামেলা হইব কয়া দিলাম। বাকী সাহেব আবার অতি উৎসাহে আমাদের বাহবা দিতে লাগলেন। তার বাসা দোতলায়, দুটি সুন্দরী মেয়ে, তারা আমাদের মত বজ্জাত ছেলেদের জ্বালায় বারান্দায় দাঁড়াতে পারে না। রাধাচূড়াটা একটু বড় হলে সামান্য একটু আড়াল তৈরি হবে। ভদ্র মেয়েদুটি মাঝে মাঝে বারান্দায় গাছের আড়ালে অবসর কাটাবে। বাকী সাহেব একটা ঘোচু, কিসসু জানে না; যতক্ষণ তিনি বাড়ী না থাকেন মেয়েদুটি বারান্দাতেই থাকে। জানলাম ক্যাম্নে? কিছু কথা থাকনা গুপন।

যে যাই বলুক আমরা দাঁতে দাঁত কামড়ে সব সয়ে গেলাম। বন্ধুরা আর ছোট ভাইয়েরা সাথে ছিল। ছোট ভাই রুপককে বহুদিন গাছে পানি দিতে দেখেছি, বন্ধু নোমান প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ম করে গাছগুলোর সাথে কথা বলতো। তিনতলার জামালপুইরা খালুজানের বদদোয়ায় ছাতিম গাছটি অল্প কয়েক দিনের মাথায় মারা গেল, সুন্দরী দুই বোনের দুষ্টুমিতে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেক্ষেত্রে নারী হয়ে নারীর মন রাখতে রাধাচূড়া এক হাত লম্বা না হতেই শেষ, সেই শোকে শ্যামেরও মরণ। আসলে তাড়াহুড়োয় খেয়াল করিনি যে রাধা সহ কৃষ্ণচূড়াটি যেখানে পোতা হয়েছিল সে জায়গাটা অত্যন্ত পাথুরে। তবে বছর ঘুরতেই দেখা গেল কদম গাছটি ফুলে ফেঁপে উঠছে। সে কি উদ্দাম তার বেড়ে ওঠা। গোঁড়ায় আর পানি ঢালতে হয় না, তবে গল্প শোনানো, কবিতা শোনানো চলতে লাগলো। সন্ধ্যায় কদমের পাশে বসেই চলতো আমাদের আড্ডা। মোম জ্বালিয়ে গোল হয়ে বসে চলতো আমাদের নীপবন্দনা। কলোনীর অনেকেরই ধারণা যে আমাদের মাথা একেবারেই গেছে, দু’একজন নাস্তিক বলতেও দ্বিধা করেনি। থুতনিতে দাড়িওয়ালা এক বড়ভাইতো বলেই বসলেন- আলো জ্বেলে বৃক্ষপুজার দায়ে হাবিয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো গতি নেই, কেননা শিরকের সমতুল্য আর কোনো গুনাহ নেই।

আমি যখন দেশ ছেড়ে আসি তখন আমাদের সন্তানতুল্য কদমগাছটি প্রায় ১২ হাত লম্বা হয়েছে। তখনও তাতে ফুল আসেনি। এর পরের বছর আমার এবং কলোনীর সবার আদরের ছোটভাই রুপক ডেঙ্গিতে মারা যায়, তালেব অর্থাৎ নোয়াখাইল্লা সে বছরই লন্ডনে চলে গেল। বাবাদের রিটায়ারমেণ্টের কারণে আমরা আর কেউই এখন ঐ কলোনীর বাসিন্দা নই, তবে কদমগাছটি আছে। শুনেছি এবং এক বন্ধুর কল্যানে ছবিতে দেখেছি আমাদের সেই গাছটি ভয়ঙ্কর রকমের বড় হয়েছে, চার তলা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবছর বর্ষায় সে গাছ সহস্রাধিক ফুল ফুটিয়ে বিকশিত করে প্রেম, নান্দনিক করে তোলে চার কলোনীর পরিবেশ। আমরা সেই ফুল দেখি না, যারা দেখে আমাদের নামও তারা জানে না; তাতে কি? তার কোনো আবশ্যকতাও নেই। ফুলতো ঠিকই ফোটে।

(২০১০ এ দেশে বেড়াতে গিয়ে কদমতলায় গিয়ে তোলা ছবি। আরো ছবি ছিল, খুঁজে পাচ্ছি না। নভেম্বর মাস, তাই ফুলের দেখা মেলেনি। তবে কাণ্ডে হাত বুলিয়ে খুব আদর করেছিলাম। নিজ সন্তানকে বাবারা যেমন করে।)

নবলব্ধ যৌবনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কবে কোন গাছ লাগিয়েছিলাম সেই ব্যাক্তিগত বিষয়টি কেন উল্লেখ করলাম? কেন? আমি যেন কোথায় একটা মৃদু মিল খুঁজে পাই! দেশপ্রেম ও স্বচ্ছদৃষ্টির অনুঘটকে অর্জিত জ্ঞান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একঝাক নবীন অধুনা চেতনার বীজ পুঁতেছে। তার বিপক্ষে ঝড় এসেছে, এসেছে ঝঞ্ঝা। তার পক্ষে স্বার্থে বিনাস্বার্থে এগিয়ে এসেছে অনেকে। তার বিপক্ষে অস্ত্রে শান দিয়েছে এবং দিচ্ছে আরো অনেকে। কেউ সেই রোপিত বীজে খুঁজে পাচ্ছে মুক্তির পথ, কেউবা প্রশ্নে প্রশ্নে কলুষিত করছে তাকে। যারা এই বীজ রোপন করেছে আর যারা সেই নবঅঙ্কুরে জল দিচ্ছে, ভালবাসার সার ঢালছে তারা তাদের জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবে কিনা জানিনা; তবে এই বৃক্ষ একদিন আকাশ ছুঁবে, একদিন দুষিত বাংলাদেশের বায়ুতে সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে।

(২য় ছবিটি নেট থেকে সংগৃহীত)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

"সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে।"
দেবে, দেবেই।
ভাল লাগল।
- একলহমা

ঈয়াসীন এর ছবি

প্রতীক্ষায় রইলাম।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

বন্দনা এর ছবি

ভাল লাগল আপনার কঁদম গাছের গল্প।আমি নিজে ও গাছপালা ভালবাসি, আপনার মত কদম লাগাতে পারিনি,তবে মানিপ্লান্টের একটা গাছ থেকে যখন অন্য আর একটা গাছ বানিয়ে টবে বুনে দেই, কি যা ভালো লাগে বোঝাতে পারবোনা। রোজ পানি দিবার সময় গাছগুলাকে একবার সুপ্রভাত ও বলি।তরতর করে বেড়ে উঠা গাছ দেখলে মনটাই ভরে যায় ভাইয়া।

ঈয়াসীন এর ছবি

নিজ হাতে লাগানো কোনো গাছ আসলেই সন্তানসম

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

মইনুল রাজু এর ছবি

মতিঝিল এরিয়ার পাশেই কলেজ হবার কারণে, এখানকার অনেকগুলো কলোনি দেখার সুযোগ হয়েছিলো। কলোনির একটা সুবিধা হচ্ছে নানা ধরণের মানুষের সাথে মেশার এবং তাদেরকে জানার সুযোগ পাওয়া যায়। আপনি বেশ সুন্দরভাবেই সবার মন্তব্যগুলো তুলে ধরেছেন। ঠিক এভাবেই বলেন। :)
আসলেও নিজের লাগানো একটা গাছ, অনাবিল এক আনন্দের উৎস। লেখা ভালো হয়েছে। (Y)

ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .

ঈয়াসীন এর ছবি

(ধইন্যা)

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

(Y)

রাসিক রেজা নাহিয়েন

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

(Y)

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সাইদ এর ছবি

এ জি বি কলোনিতে ছিলাম।

ঈয়াসীন এর ছবি

বিল্ডিং নং কত?

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

কৌস্তুভ এর ছবি

কোনো ছবি তো দেখতে পাচ্ছি না দাদা। তবে এমন মিঠে লেখায় ছবি লাগে না।

ঈয়াসীন এর ছবি

ছবি কি কেউই দেখতে পাচ্ছে না? দেখি কি করা যায়।
আরেকটা কথা, আপনার কমেন্টটি ('মিঠে লেখা') আমার দিনটি মধুর করে দিল।
(ধইন্যা)

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি


যারা এই বীজ রোপন করেছে আর যারা সেই নবঅঙ্কুরে জল দিচ্ছে, ভালবাসার সার ঢালছে তারা তাদের জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবে কিনা জানিনা; তবে এই বৃক্ষ একদিন আকাশ ছুঁবে, একদিন দুষিত বাংলাদেশের বায়ুতে সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে।


এই কামনাই করি। লেখা (গুড়)
ইসরাত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাহলে বৃক্ষরোপন অভিযানের তিনটা গপ কই শোনেন

১) তখন লিও ক্লাবে ঢুকেছি। বিশাল আয়োজন করে আমরা তুরাগ নদী পার হয়ে পাঁচআনি গ্রামে গিয়ে ৫টা গাছ রোপন করে আসলাম। গাছ কয়টা সেইটা বড় কথা না, আয়োজনটা বিশাল।

২) তখন স্কুলে পড়ি। স্কুলের সামনের প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন করবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আর শরীফ। যেই ভাবনা সেই কাম। হেডস্যারের কাছে দরখাস্ত দিলাম, অনুমতিও মিললো। কিন্তু গোল বাঁধলো তার পরে। গাছ লাগাতে হলে মাটি কোপাওরে, এটা সেটা আরো কতো কাজ... এগুলো কে করবে? ফন্দি আঁটলাম বৃক্ষ রোপন হবে সকালে, মানে মর্নিং শিফটে, মানে মেয়েদের সময়ে।
হামিদ স্যার অবাক হয়ে জিগাইলো সকালে ক্যান? গাছ লাগাবি বিকালে, এইটাই তো নিয়ম।
আমরা বললাম বিকেলে আমরা বিজি থাকি, ফুটবল খেলা বাদ দিয়া গাছ লাগান যাইবো না। অতএব সকালে।
অনেক বাঁধা পার হয়ে সকালের অনুমতিও পায়া গেলাম।
মর্নিং শিফটে স্কুলে ঢুকে বীরত্ব দেখানোর সুযোগ পেয়ে প্রচুর পোলাপান দলে ভীড়ে গেলো। তারাই চান্দা মান্দা দিয়ে গাছ কিনে আনলো, তারাই প্রবল বীরত্বের সাথে বৃক্ষ রোপন করলো। আমি আর শরীফ দাঁড়ায়া দাঁড়ায়া খালি ভাব নিলাম।

৩) কলেজে উঠে কোথায় জানি পড়লাম মিন্টু রোডে বন অধিদপ্তরের একটা অফিসে গাছের চারা বিক্রি হয় মাত্র দুই টাকা করে। সিদ্ধান্ত নিলাম পুরো এলাকা গাছ লাগিয়ে ছয়লাব করে ফেলবো। আমি মামুন, রিপন, কামরুলসহ অনেকেই বাজারের টাকা মেরেকেটে কিছু টাকা জোগাড় করে দুইটাকা দরে প্রচুর ফলজ আর বনজ গাছ কিনে আনলাম। রাস্তায় বা খোলা জায়গায় গাছ লাগানোর বড় সমস্যা হলো সেগুলোকে বেড়া দিয়ে নিরাপত্তা দিতে হয়, সেই বেড়ার দাম অনেক। তারপরও অধিকাংশ গাছই টিকে না।
তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম এসব ঝামেলাতেই যাবো না। একটা ভ্যানে গাছের চারা নিয়ে আমরা মহল্লার বাড়ি বাড়িতে গিয়ে নক নক নকিং অন আ হ্যাভেন্স ডোর শুরু করলাম।
ঐ আমলে ফ্ল্যাটবাড়ি নাই, বেশিরভাগ টিনশেড বাড়ি, সামনে খোলা জায়গা। আর মহল্লার সবাই সবাইরে চেনে। আমরা যাবতীয় খালাম্মাদের তাদের নিজেদের পছন্দের একটা করে গাছ তাদের বাড়িতে রোপন করে দিয়ে আসলাম। এবার তারাই যত্ন নিবে, আমাদের আর কিছু করার নাই।
তার কিছুদিন পরেই আমি মহল্লায় অনিয়মিত হয়ে গেলাম। একেবারে বাউন্ডুলে। যেখানে রাত সেখানে কাত। অনেকদিন পর পর মহল্লায় ফিরে যখন দেখতাম বিভিন্ন বাড়িতে বিভিন্ন গাছগুলো বড় হয়েছে, ফল দিচ্ছে, ফুল দিচ্ছে... তখন কী যে ভালো লাগতো।
এখনো কিছু গাছ টিকে আছে...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

(গুড়)

তারেক অণু এর ছবি

মন ছোঁয়া লেখা, ছবি হিসেবে মনে হয় আপনার কভার পিকটা দিয়েছিলেন, নাকি?

ছবি আরেকবার অ্যাড করে দেন, সেইটা থাকলে খুব ভাল হবে

ঈয়াসীন এর ছবি

চমৎকার অভিজ্ঞতা নজরুল ভাই

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

যারা এই বীজ রোপন করেছে আর যারা সেই নবঅঙ্কুরে জল দিচ্ছে, ভালবাসার সার ঢালছে তারা তাদের জীবদ্দশায় দেখে যেতে পারবে কিনা জানিনা; তবে এই বৃক্ষ একদিন আকাশ ছুঁবে, একদিন দুষিত বাংলাদেশের বায়ুতে সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে।

(Y)

-নিয়াজ

স্যাম এর ছবি

(২য় ছবিটি নেট থেকে সংগৃহীত)

কোন ছবি দেখতে পাচ্ছিনা।

ঈয়াসীন এর ছবি

এডিট মারছি। ছবি কি দেখা যায়? আওয়াজ দিয়েন ভাইয়েরা, বোনেরা।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

যতবার চার কলোনির নাম আসে ততবার তরুণ ছড়াকার বাপ্পি শাহারিয়ার কথা মনে পরে। ঢুকতেই ডানদিকের বিল্ডিংটার একতলাতে থাকতেন সম্ভবত। দুর্ঘটনায় আহত বাপ্পি বারান্দায় বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন।শুকনো মলিন ফ্যাকাসে মুখচ্ছবি। একবারই দেখেছিলাম হয়ত কিন্তু আজীবনের জন্য মাথায় ঢূকে গেছে । আর একবার এরশাদের শেষ সময়ে কারফিউইয়ের মধ্যে আর্মির চরম দাবড়ানি খেয়ে আপনাদের চার কলোনিতে আশ্রয় নিয়ে জান বাঁচিয়েছিলাম।
সৃতিতে ভরা চমৎকার মায়াময় লেখা ।

শাকিল অরিত ।

ঈয়াসীন এর ছবি

বাপ্পি ভাই (ছড়াকার) আমাদের কলোনির গর্ব। ধন্যবাদ আপনাকে শাকিল অরিত ভাই, বাপ্পি শাহরিয়ার ের কথা মনে পড়িয়ে দেবার জন্যে।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।