দিন পাল্টেছে

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/১০/২০১৩ - ২:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

1246646368odt8zl

(১)

অনেক দিন আগের কথা; আমাদের বাড়ীতে মাকসুদা নামের সাত আট বছর বয়েসী একটি মেয়ে কাজ করতো। তার বাবা একদিন ছোট্ট মেয়েটিকে ঝি খাটতে আমাদের বাড়ীতে দিয়ে গিয়েছিল। না, মেয়েকে দিয়ে কাজ করিয়ে অর্থ উপারজনার্থে নয়; মেয়েটি অন্তত তিনবেলা ভাত খেতে পাবে সেটাই ছিল মাকসুদার বাবার মূল উদ্দেশ্য। মাকসুদা মেয়েটি ছিল অদ্ভুত প্রকৃতির। প্রথমদিনই বলে বসলো- আমারে অত বড় নামে ডাইকেন না, আমার মায় বাপে আমারে ম্যাক্সি কয়া ডাকে। আফনেরাও হেই নামে ডাইকেন। কি অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার! কাজ করতে আসা মেয়েরা সাধারণত এভাবে কথা বলে না। আর এ ধরনের আধুনিক নামই বা ও কোত্থেকে জানলো! কথায় কথায় সে ‘খোদার কসম’ কাটে, আবার মাঝে মাঝে দুগগা দুগগা বলেও জপ করে। বাবার নামটাও ব্যাতিক্রম- আজুরা, মায়ের নাম পিতলি। ধর্মের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে- রাহু হামরার পিতা। ভাষায় কখনও উত্তরবঙ্গীয়, কখনও নোয়াখাইল্লা, কখনও বরিশাইল্লা, কখনও আবার ফরিদপুরী টান। দেশের বাড়ী কোথায় জানতে চাইলে বলে- গাঙ্গের ধারে। তখন বুঝতাম না তবে এখন বুঝি, শত শত বছর ধরে রাহুর বংশধর বাজিকর যাযাবরেরা উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে ভাগ্যের বিড়ম্বনায় দেশান্তরী হতে হতে ছড়িয়ে পড়েছিল বিহার, মুরসিদাবাদ, রাজশাহী, নাটোর সহ অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে। বিলুপ্ত হতে হতে তাদের কিছু অংশ এখনও বাংলাদেশে রয়ে গেছে। এখনও তারা বাস স্ট্যান্ডে কিংবা লঞ্চ ঘাটে ভেল্কি দেখিয়ে, বাঁশের উপর হেঁটে হেঁটে সস্তা সার্কাস দেখিয়ে দু’পয়সা আয় করে। ম্যাক্সি তেমনি একজন হতভাগ্য বাজিকর শিশু।

শুরুর দু’একদিন সব ঠিকই ছিল; কিন্তু কয়েক দিন যেতেই ম্যাক্সির কর্মকাণ্ড আমাদের হাপিয়ে তুললো। আমাদের দোতলার বারান্দার রেলিং-এ সে প্রায়ই হেঁটে বেড়াতো। কি ভয়ঙ্কর! সাত আট বছরের একটি মেয়ে দিব্যি রেলিং-এ হাঁটছে, পড়লে নির্ঘাত মৃত্যু। কিছু বললেই মুখ ঝামটা দিয়ে বলতো- “আরে বকেন কা? মুই ছুডু না?” বুঝুন ঠ্যালা। তবে ওর কাজকর্মের ব্যাপারে অভিযোগ তুলবার কোনো উপায় নেই। ওইটুকু শরীরে এত জোর সে কোথা থেকে পায় আল্লাহ খোদা জানে। বয়েসের কারণে যেসব কাজ ওর জন্যে বরাদ্দ ছিল না, চোখের আড়ালে সেসবও সে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করতো। একদিন আমাদের বাড়ীর পিছনের চারতলা সমান নারকেল গাছ তরতর করে বেয়ে আগায় আটকে থাকা একটি ঘুড়ি পেড়ে নিয়ে এলো। ওকে ভীষণ এক ধমক দিয়ে সাবধান করে দিলাম ভবিষ্যতে এমনটি হলে ওর গালে পাইকারি হারে চড় বসানো হবে। সে হুঙ্কার দিয়ে বললো- “ভাইডি, আরে মারবেন কা? মুই ছুডু না?” একদিন বিরাট বিপদের হাত থেকে কোনরকমে বেঁচে গেলাম আমরা। ম্যাক্সি গাল ভর্তি কেরোসিন নিয়ে ডান হাতে জলন্ত মোমে সেই কেরোসিন নিক্ষেপ করে করে আগুনের গোলক তৈরি করা অনুশীলন করছিল। সবই অবশ্য আমাদের অগোচরে। হঠাৎ ঘরের একটি পর্দায় আগুন ধরে যায়। সে এক স্মৃতি বটে! বহু হুজ্জত করে আগুন টাগুণ নেভানোর পর আমরা কেউ কিছু বলার আগেই ম্যাক্সি সাফ বলে দিল- “আরে কেউ কিছু কবা না; মুই ছুডু না?”

ম্যাক্সি আমাদের বাসায় বেশীদিন থাকেনি। আজুরা একদিন মেয়েকে দেখতে এলে বাবাকে কাছে পেয়ে সে বললো- “তিনবেলা ভাত মজা লাগে না বাপ। আরে দূরে রাহো কা? মুই ছুডু না?”

হাজারো অন্যায় করলেও ম্যাক্সিকে আমরা কোনদিন ঠিক মত বকতে পারিনি, মারধোর করাতো দুরের কথা। ম্যাক্সি আসলেই ছুডু অর্থাৎ ছোট। এই বয়েসের মানুষদের আমরা সাধারণত ক্ষমা সুন্দর চোখেই দেখি। ছুডুত্বের কারণে ম্যাক্সি অনেক বড় বড় অপরাধ করেও পার পেয়ে গিয়েছিল।

(২)

যুগ পাল্টেছে। আগে চার আনায় এক জোড়া লজেন্স কিনে খেতাম, এখন চার আনা দেখতে জাদুঘরে যেতে হবে হয়তো। আগে সতী নারী জীবিতাবস্থায় মৃত স্বামীর চিতায় বসতো, এখন সেসব অনাচার দূর হয়েছে। আগে কোনো এক কালে বিয়ে করলে বৌ এর সাথে শালী ফাউ পাওয়া যেত, দূর হয়েছে সেসব মিঠাচারও; এখন বিয়ে করে বৌ পাওয়াটাই ভাগ্যের ব্যাপার। আগে ফুটবল খেলায় মালদ্বীপ বাংলাদেশের কাছে ৮-০ গোলে হারতো, এখন; থাক চেপে যাই। আগে ম্যাক্সিরা ছুডুত্বের কারণে রেহাই পেয়ে যেত, এখন ম্যাক্সিদের স্থান দখল করেছে বুড়ো ধামেরা।

আমার বন্ধু শাহেদ, বিরাট এক প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করতো। অফিসের বস অর্থাৎ বড়বাবু একজন দুদে ব্যবসায়ী। তার মেয়ে অদিতি অফিসের বেশীর ভাগ কাজ দেখাশুনা করেন। শিক্ষিতা, দারুণ স্মার্ট। অফিসের প্রতিটি কর্মচারী বড়বাবুকে পিতৃজ্ঞান করে থাকে। আর বড়বাবুও বিরাট দিল দরিয়া মানুষ। শাহেদের অফিসের বৃদ্ধ পিয়নটিও যে বেতন পেত, অন্যান্য অনেক অফিসের অফিসাররাও হয়তো তেমনটি পায় না। বেতনটাই বড় কথা নয়, মূল বিষয়টি হলো আন্তরিকতা ও ভালবাসা। এই পিয়নের মেয়ের বিয়েতে বড়বাবু গয়নার সেট গড়িয়ে দিয়েছিলেন, সপরিবারে নেমন্তন্ন রক্ষা করেছিলেন। অথচ বয়েসের ভারে ন্যুজ এই পিয়নটি কাজে কর্মে কিন্তু তেমন দক্ষ নয়। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে এই ফার্মে কাজ করেছে, অনেক দিনের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। মানবিকতার খাতিরেই তাকে ছাটাই করা হয়নি। অফিসের একটি চাবিও তার কাছে থাকতো। অত্যন্ত বিশ্বাসী লোক।

এই শহরেই এমন আরেকটি ফার্ম আছে, তার মালিক একজন স্মাগলার, নাম তার আজগর। টাকার জাহাজ যাকে বলে। তবু তার সর্বদাই আরো চাই আরো চাই স্বভাব। শাহেদদের ফার্মের সাথে তাদের সবসময় একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা লেগে থাকে। তবে সততার সুখ্যাতির কারণে শাহেদরাই সবসময় এক কদম এগিয়ে। একবার বেশ কয়েকটি ডিল অর্থাৎ কারবার হাতছাড়া হবার পর আর সেসব ডিল শাহেদদের ফার্ম পাবার কারণে আজগর আলী বেপরোয়া হয়ে উঠলো। নোংরামির শেষ পর্যায়ে যেতে তার স্বভাবে বাঁধে না। বিশাল অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে শাহেদদের অফিস থেকে মূল্যবান অনেক কাগজ পত্র চুরি করে নিল। সব অফিসেই সিন্দুক থাকে, সেই সিন্দুক ভেঙ্গে বিশাল অঙ্কের টাকা এবং সই করা চেকবুক সরিয়ে নিল। ঐ ঘুষখোর আগেই বসকে দিয়ে সেসব সই করিয়ে রেখেছিল। শাহেদের বসকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে ঐ ঘুষখোরের সহযোগিতায় বসের মেয়ে অদিতিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক সন্ধ্যায় শপিং মল থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেল। তিনদিন ধরে অদিতিকে অজানা স্থানে ধর্ষণ করা হয়। অদিতি ফিরে আসে বটে, তবে বড্ড ম্লানাবস্থায়। শাহেদ অদিতিকে ভালবাসতো। যদিও একতরফা। তবু সত্যিকারের ভালবাসতো। থানা পুলিশ কোর্ট কাচারি অনেক কিছুই হল। তবে সাব্যস্ত দোষী পলাতক। আজগর আলীই তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। সেই ঘুষখোর আর কেউ নয়, অফিসের বৃদ্ধ পিয়ন।

শাহেদদের ফার্মটি আর বেশীদিন টিকেনি। অদিতির বাবা অপমানে লজ্জায় সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। সেই থেকে শাহেদ আর কোনদিন অদিতিকে দেখেনি, কিন্তু ভুলতেও পারেনি। এসব কয়েক বছর আগেকার কথা। ঐসব কেসটেসও নাকি মিটিয়ে ফেলেছে আজগর আলী।

সেদিন শাহেদ আর আমি চা খেয়ে রেস্তোরা থেকে বেরিয়ে দেখি হুইল চেয়ারে এক বৃদ্ধ আমাদের দেখে তড়িঘড়ি সজোরে চেয়ারের চাকতি ঘুরিয়ে অন্যদিকে পালাবার চেষ্টা করছে। পালাতে পারলো না। শাহেদ দৌড়ে তাকে ধরে ফেললো। ব্যাপার কি বুঝবার আগেই দেখি শাহেদ রাস্তায় পরে থাকা দশ ইঞ্চি একটি ইট তুলে নিয়ে বুড়োর মাথা থেতলে দিতে উদ্যত হল। বুড়ো বললো- “খবরদার আমারে কিছু করবা না; আমি বুড়া না?”

আমরা সেদিন হাতের সামনে পেয়েও ঐ অপরাধী নরাধম বৃদ্ধ পিয়নকে কিছু করতে পারলাম না। কেননা অপরাধ যত ভয়ঙ্করই হোক, আইন আমাদের বুড়োদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে শিক্ষা দিচ্ছে।

(ছবি নেট থেকে নেয়া)


মন্তব্য

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

আপনার লেখা আমার ভালো লাগে। এই পোস্টটির ১ এবং ২ আলাদা আলাদা ভাবে ভালো লেগেছে। তবে আজগর আলীর মত ঘৃণ্য কৃতঘ্নের গল্পের সমান্তরালে মাকসুদার শিশু সুলোভ চঞ্চলতার গল্প আমার চোখে বেমানান লাগলো।

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ঈয়াসীন এর ছবি

অপরাধ মোটেও সমমানের নয়। বোঝাতে চাইছিলাম যে, আমরা যেমন ছোট্ট শিশুদের অপরিপক্ক ভুল গুলোকে উপেক্ষা করতে অভ্যস্ত তার সমান্তরালে কুখ্যাত বুড়োদের অমার্জনীয় পাপগুলোকেও ছাড় দিয়ে দিচ্ছি। ব্যাপারটা অনেকটা এমন- 'নাহয় গু আযম কিংবা আলীম স্বভাবদোষে একটু আধটু ভুল করেছেই, হাজার হোক বুড়ো মানুষ, চলতে ফিরতে পারে না; তাদের তো আর অত কঠিন শাস্তি দেয়া যায় না'

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

এক লহমা এর ছবি

প্রিয় ঈয়াসীন, আপনার সব লেখা মন দিয়ে পড়ি, আনন্দ পাই। আপনার সুরে আমার সুর মেলে। আপনার এই লেখার উদ্দেশ্য বুঝতে কোনই ভুল হয় নি। আর সেই উদ্দেশ্যটায় অবশ্যই একমত। কিন্তু উদ্দেশ্যটাকে বুঝতে গিয়ে 'আসলে ঈয়াসীন বলতে চেয়েছেন' এই ছাড়টা দিতে হয়েছে। এটা আপনার যে কটা লেখা আগে পড়েছি, তার কোনটায় দিতে হয় নি। ঠিক আছে, ব্যাপার না কোন। কোন কোন লেখায় এরকম হয়ে যায়। আপনার পরের লেখার সাগ্রহ অপেক্ষায় আছি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

কৌস্তুভ এর ছবি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক গল্পগুলো দারুন লাগলো লেখা -গুড়- হয়েছে । সমসাময়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসল জায়গায় আঘাত করেছেন।

অপরাধের শাস্তিতেও বয়স বিবচেনা করা হয়, কি অপূর্ব দৃষ্টান্ত। লজ্জা আর হতাশ হওয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই।

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পের ছলে হলেও চরম বাস্তবতার কথা বলেছেন, বিশ্বাস

তুহিন সরকার।

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

আমদের আসলে অজুহাত দেবার বাজে একটা অভ্যাস দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
বড় বুদ্ধি ব্যবসায়ীদের মত মত, দেশের সবাইকে গালি দিয়ে নিজে নিরপরাধ থাকার চেষ্টা করব না। আমি নিজেও হয়ত প্রচুর অজুহাত দিয়ে বেড়াই। একসময় মনে পড়ে, বাসের বচসাগুলো।
"আমি সবসময় ৫টাকার যায়গায় ৩ টাকাই দেই, আমি ছাত্র না?" আমার খুব কম সময়ই মনে হয়েছে যে ঐ তর্কবাজদের বাসের ঐ ২ টাকা দেবার সামর্থ্য ছিল না যেটা সবচেয়ে গরিব যাত্রিটিও দিচ্ছে, বরং ঐসব ছাত্র(!)দের হাতে মূল্যবান মোবাইল শোভা পেত।

আজ আমাকে কিছু বলবেন? আমি বলব, "আমাকে এসব বলছেন কোন সাহসে? আমার মামা, ****** (বড়, উঁচু, ধনী, ক্ষমতাবান কিছু একটা) না?"

লেখার সমান্তরাল তুলনাটা ভালো লেগেছে, প্রথম অংশের পর দ্বিতীয় অংশটা প্রত্যাশিত ছিল না। প্রথম অংশটা পড়ে মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছিল, দ্বিতীয় অংশটা পড়ে ঠিক সে পরিমাণই বিবমিষা জেগেছে।

ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা হাসি

রিক্তা এর ছবি

লেখা ভালো লাগছে। কিন্তু বৃদ্ধ পিশাচের কথা মনে হওয়ার শেষে এসে মেজাজ খারাপ হল মন খারাপ

--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

অন্যকেউ এর ছবি

লেখার দুটো ভাগ এতোটা আলাদা; এজন্যই বোধহয় এতোটা সার্থক। বার্তাটা ধরতে পেরেছি চরমভাবে। চলুক চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

এস এম নিয়াজ মাওলা  এর ছবি

অদ্ভুত সুন্দর লেখা! অবশ্য শেষে এসে কেমন জেনো বিক্ষিপ্ত হয়ে উঠলাম।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

ই ই ই ই ই ই --- এটা রাগের বহি: প্রকাশ। না, না, আপনার উপর না, ঐ "মুই বুইড়া না" ইবলিশটার জন্য- গল্পের না, বাস্তবের।

____________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।