নির্ণয় ন' জানি

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৮/০৪/২০১৫ - ৬:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের অলিগলি, মেঠো পথ, নদীর বাঁকে বাঁকে গড়ে ওঠা জনপথ- এর কিছুই পাকিস্তানি হায়েনাদের চেনা ছিল না। অথচ তারা এই বাংলাদেশের শহর ও গ্রামের প্রতিটি স্থানে চালিয়েছে তাদের আক্রমন, তাদের পাষণ্ডতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষেরাও। এই পথ তারা চিনলো কি করে? কোথায় কোন সোহাগপুর গ্রাম, সে গ্রামের খবর তারা পেল কোথা থেকে? হ্যা, এই বাংলাদেশেরই অস্পৃশ্য কুলাঙ্গার কিছু সন্তানেরা তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছে। কোন বাড়ীতে সমর্থ যুবক আছে, কোন বাড়ীতে ধর্ষণযোগ্যা মেয়ে আছে, হাজার মাইল দূর থেকে উড়ে আসা পাকিস্তানী হায়েনার পাল তা না জানলেও এই কুলাঙ্গাররা তা জানতো। এই এদেরই নাম রাজাকার; যাদের জন্ম এই বাংলাদেশেই, যারা এই বাংলাদেশেরই নাগরিক। যে আলো বাতাসে সূর্যসেন, সালাম, বরকত, রফিক, শেখ মুজিবরের জন্ম; সেই একই আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা একটি জাত এই রাজাকার। যে বাংলা তার শাশ্বত মাতৃত্বে অন্নজলে আমাকে আপনাকে বড় করেছে, সেই একই অন্নজল এই রাজাকারের উদরেও ছিল এবং এখনও আছে। কি করে এমনটা করতে পেরেছে তারা? কোন আদর্শে? কোন হীন মানসিকতায়?

যুদ্ধ শেষ হয়েছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা একটি স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি; কিন্তু যেটি সবচাইতে অনাকাঙ্ক্ষিত সেটি হচ্ছে আমরা আমাদের এই মানচিত্র আজও শকুনের ছায়া মুক্ত করতে পারিনি। রাজাকারের আদর্শ ধুলিস্যাত হয়নি। আজও যুদ্ধাপরাধীর বিচার নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় না। অনেকেই বলে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই এই এদের প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করেছে। এটি অনেকটা দায়িত্ব এড়ানো বক্তব্য। আমাদের ধর্মান্ধতার সুযোগ নিয়ে রাজাকারেরা ফুলে ফেঁপে দৈত্যে রূপান্তরিত হয়েছে। আর সেই সাথে আছে আমাদের উদাসীনতা। এর দায় শুধু রাজনৈতিক সংস্কৃতির উপর চাপিয়ে দিলে চলবে কি করে?

এইতো কাল লন্ডন প্রবাসী এক বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কোথা হচ্ছিল। বললো ছেলেকে পড়া শিখাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম কি পড়া? তোর ছেলে কেমন ছাত্র? গড়গড় করে বলে গেল- ছেলে তার প্রতি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ গ্রেড পায়, এছাড়া প্রতি উইকেন্ডে আরবী শিক্ষা, ড্রয়িং, মার্শাল আর্ট, সাঁতার এর লেসন আরো কত কি যে! বললাম- ৭১ সম্পর্কে জানে? বন্ধু আমার আকাশ থেকে পড়লো, মনে মনে হয়তো আমায় ‘আতেল’ বলে গালও দিল। বললাম- তোর ছেলে, আমাদের ছেলেরা সূর্যসেন কে তা জানবে না? কি করে আমরা বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা করলাম তা জানবে না? কি করে দেশ স্বাধীন হল, তাতে শত্রুপক্ষ কে, তাদের দোসর কারা- সেসব না জেনেই একটার পর একটা ক্লাস টপকে উচ্চশিক্ষিত অমানুষ হবে? বন্ধু ফোন কেটে দিল।

ফিনল্যান্ডে আছি প্রায় ১৪ বছর। প্রতিটি বাঙ্গালীর ঘরেই আমার লন্ডন প্রবাসী বন্ধুর বাড়ীর আবহাওয়া বিরাজ করে। ছেলেমেয়ে গুলো বড় হচ্ছে এক ভ্রান্ত আদর্শে। তারা ৫ দিন স্কুলে যায়, একদিন গানের ক্লাস অথবা সাঁতার কিংবা অন্য কোনো ক্রীড়া, আর একদিন মসজিদে গিয়ে আরবী শেখে। বাংলা বলতে গেলে দাঁত ভাঙ্গার শব্দ পাওয়া যায়। এদের বাড়ীতেও কখনও বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে আলাপ আলোচনা হয় না। এরা কখনই জানবে না, এদের পূর্বপুরুষেরা কী অদম্য সাহস নিয়ে শত্রুর বুহ্য ভেদ করে এদের জন্যে একটি জ্বলজ্বলে সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। এরা জানবে না ঢাকা শহরেই ধলপুর ময়লার ডিপোর উচ্ছিষ্টের নীচে চাপা পড়ে আছে কত নিরীহ বাঙ্গালীর মৃতদেহ। এরা দেশে বেড়াতে যায়, গাড়ী করে ঢাকা শহরের এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়, অথচ কখনই জানবে না এইসব রাস্তায় সামান্য ট্রেনিং পাওয়া একদল যুবক কী ভয়ঙ্কর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল শক্তিশালী পাক আর্মির বিরুদ্ধে। এরা কি সত্যিই কখনও জানবে এই আমাদের দেশের একটি ভিন্ন ধারার জাত যাদের নাম রাজাকার, কি ভুমিকা ছিল তাদের ৭১ এ?

ফিনল্যান্ডে বাঙ্গালীরা দুটি মসজিদ পরিচালনা করে; এর মাঝে একটি সরাসরি জামাতের অঙ্গসংগঠন। এদের মূল ‘হাব’ হচ্ছে লন্ডনের জামাত অধ্যুষিত ‘ইষ্ট লন্ডন মস্ক’, এদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন হচ্ছে আইএফই- যা কিনা বুদ্ধিজীবি হত্যাকারী কুখ্যাত রাজাকার চৌধুরী মাইনউদ্দিনের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। এই মসজিদের চাঁদার খাতায় আইএফই-র জন্যে চাঁদা তোলা হয়। এই মসজিদ ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ হেলসিঙ্কির রাজপথে রাজাকারদের মুক্তির জন্যে অবস্থান নিয়েছিল, এই মসজিদ রাজাকার শিরোমণি গোলাম আজমের গায়েবানা জানাজা করেছে, অধুনা সোহাগপুর গ্রামকে বিধবা পল্লী বানানোর হোতা কুখ্যাত রাজাকার কামারুজ্জামানের জন্যে দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করেছে।

এই মসজিদেই সিংহভাগ বাঙ্গালী নামাজ পড়তে যায়, তাদের ছেলে-মেয়েদের এই মসজিদের রাজাকার প্রেমীদের তত্ত্বাবধানেই আরবী শেখানো হয়। নবজাতকের প্রারম্ভিক আনুষ্ঠানিকতা, বিয়ে পড়ানো, জানাজা পড়ানো, অর্থাৎ এখানকার বাঙ্গালীদের জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে সবটাতেই প্রতিনিধিত্ব করে এই মসজিদ। এই মসজিদে উদার হস্তে দান করে এখানকার বাঙ্গালীরা। এই মসজিদ ফিনল্যান্ডের গোটা বাঙ্গালী কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করে। হ্যা, যে মসজিদে গোলাম আজমের মত বরাহের জানাজা পড়ানো হয় সেই মসজিদেই ভরসা এখানকার বাঙ্গালীদের। এর চেয়ে অনাকঙ্খিত আর কিইবা হতে পারে! ইহারা কাহার জন্ম নির্ণয় ন' জানি! সব বাঙ্গালী? প্রায় সবই। অন্তত ৯৫%। এদের ধারনা মসজিদতো মসজিদই। মসজিদতো আসলেই মসজিদই; সেক্ষেত্রে তুর্কী কিংবা অন্য কোনো মসজিদে গেলে সমস্যা কি? একথা বললে- জাতীয়তার প্রসঙ্গ টেনে আনে। সেক্ষেত্রে আরেকটি বাঙ্গালী মসজিদওতো রয়েছে।

যে কথা বলছিলাম; রাজাকারের এই যে বিস্তৃতি, এতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা এই নপুংসক ৯৫%-এর। এদের ছাতার তলাতেই রাজাকারেরা ঝড় বৃষ্টি রোদ্দুরে পথ চলে। এরা অনেকেই জামাতের সমর্থক নন, জামাতে ভোটও দেয় না, কিন্তু জামাতের ডালপালা এদের নপুংসকতাতেই বিস্তার লাভ করে। আর এই ‘৯৫’ সংখ্যাটির হয়তো দেশকাল ভেদে তারতম্য ঘটে, কিন্তু এই সংখ্যার ভুমিকা বিশাল; এই প্রদোষের অন্যতম রচয়িতা এরাই।


মন্তব্য

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

কী আর বলবো! লণ্ডন শহরের অবস্থাও কি এরকই নয়! তার চেয়ে কবিতাটা উদ্ধৃত করে দেই।
"যেই দেশে যেই বাক্য কহে নরগণ।
সেই বাক্য বুঝে প্রভু আপ নিরঞ্জন।।
সর্ব বাক্য বুঝে প্রভু কিবা হিন্দুয়ানী।
বঙ্গদেশী বাক্য কিবা যত ইতি বাণী।।
যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে-সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়।
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়।।
মাতাপিতামহক্রমে বঙ্গেত বসতি।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।।" (সপ্তদশ শতাব্দীর কবি আবদুল হাকিম)

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

মাসুদ সজীব এর ছবি

প্রথম কথা বেশিভাগ বাঙালির ইতিহাস জ্ঞান প্রায় শূন্য, রাজনৈতিক আগ্রহ থেকে তাদের ধর্ম নিয়ে আগ্রহ বেশি। বাঙালি ইউরোপ-আমেরিকা গেলে আরো বেশি ধার্মিক হয়ে ওঠে, আরো বেশি অন্ধতায় মেতে ওঠে। আর এ কথা অনস্বীকার্য যে প্রায় সব ধার্মিকের কাছে একাত্তরের খুব বেশি মূল্য নেই। আমার অসংখ্য আত্নীয় স্বজন থাকে বাইরে, তাদের সবার ক্ষেত্রে এই একই অবস্থা দেখেছি। একাত্তর সম্পর্কে যাদের মমত্ববোধ নেই, তাদের সন্তার-রা তো জামাত-পাকিস্থানিদের সাথে মিলেমিশে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

ঈয়াসীন এর ছবি

ঠিক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

জিল্লুর রহমান সোহাগ  এর ছবি

প্রতি চারবছর পর পরই ইতিহাস ভুলে যাবার ব্যপারটাই আমাদের নিত্য অভ্যাস সেখানে ৭১ সাল সেতো বহুদূরের কথা। ইতিহাসবিমুখতা আমাদের মজ্জাগত যেটার জন্য হয়তোবা আমরা এককভাবে দায়ী নই কিংবা দায়ী। ক্ষমতার পালাবদলের ইতিহাস প্রত্যেকেই অপরপক্ষকে খারিজ করে দিয়ে তাদের নিজের হাতে ইতিহাস রচনা করেছে, যে ছেলেটা আজকে পড়ছে "যমুনা বহুমুখী সেতু কিংবা চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র" সে আগামীকাল পড়ছে "বঙ্গবন্ধু সেতু কিংবা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলণ কেন্দ্র"। এতো গেলো অতি সাধারণ কথা রাজনীতির ক্ষেত্রে সেটা আরও ভয়াবহ একেবারে নতুন প্রজন্ম পরের কথা আমরা যারা মাঝামাঝি তারা নিজেরাই এখনো প্রতিনিয়ত তব্দা খেয়ে যাচ্ছি কে সাধু আর কে শয়তান খুঁজতে গিয়ে। যারা নিজের চোখে এসব দেখেছে একমাত্র তারাই হয়তো চাইলে পারতো নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে। কিন্তু তারাও কোন না কোন পক্ষে বায়াসড্ হয়ে গ্যাছে। ইতিহাস রচয়িতাদের হাতেই ইতিহাস ভেঙ্গেছে মুহূর্মূহু। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে পরিবারগুলো তাদের স্বজন ও সম্ভ্রম হারিয়েছিলো শুধু তাদেরকেই এখনো প্রতিরাতে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফেরে। গোলাম আজম, নিজামী, কামরুজ্জামানের মতো নরঘাতকেরা যখন স্বাধীন দেশের নীতি নির্ধাকরের স্থান বসে বুক ফুলিয়ে হুংকার দেয় এ দৃশ্যকেবল তারাই সহ্য করতে পারেনা, তাইতো ৪৪ বছর পর আমরা যখন কিছুই হয়নি এমন ভঙ্গিতে এদের ক্ষমা করে দেবার কথা বলি তখন সেইসব সর্বশান্ত মানুষেরা সব হারিয়েও বুকের ভেতর "বিচার" নামক টিমটিমে আশা জিইয়ে রাখে।

ঈয়াসীন এর ছবি

এই আশাটাই বেঁচে থাকুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

বন্দনা এর ছবি

কিভাবে আমরাই এদেরকে সুযোগ করে দেই বারেবারে জেনে বা না জেনে!!! বাসায় বলছিলাম এইবার মাদ্রাসায় যেন আর চোখ বন্ধ করে অনুদান না দেয় যেন। কিভাবে ধর্মের নামে এরা আমাদের চিন্তাভাবনাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, থামিয়ে দিচ্ছে।

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক
তৃতীয় প্যারাটা প্রবাসের চিত্র কিনা জানি না, তবে নিবাসের সংখ্যাগরিষ্ঠের চিত্র মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ঈয়াসীন এর ছবি

এই চিত্র বুঝি সর্বত্রই!

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

রাজাকারের এই যে বিস্তৃতি, এতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা এই নপুংসক ৯৫%-এর। এদের ছাতার তলাতেই রাজাকারেরা ঝড় বৃষ্টি রোদ্দুরে পথ চলে। এরা অনেকেই জামাতের সমর্থক নন, জামাতে ভোটও দেয় না, কিন্তু জামাতের ডালপালা এদের নপুংসকতাতেই বিস্তার লাভ করে। আর এই ‘৯৫’ সংখ্যাটির হয়তো দেশকাল ভেদে তারতম্য ঘটে, কিন্তু এই সংখ্যার ভুমিকা বিশাল; এই প্রদোষের অন্যতম রচয়িতা এরাই।

এটাই মূল কথা। নিজের ইতিহাস আর সংস্কৃতির আগে ধর্ম চলে আসলে সেখানে শ্বাপদের শক্তিই জোর পায়।

স্বয়ম

ঈয়াসীন এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

রানা মেহের এর ছবি

লন্ডনের অবস্থা আপনার বন্ধু যতটুকু বলল তার থেকেও অনেক খারাপ!

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ঈয়াসীন এর ছবি

এখানেও (ফিনল্যান্ড) বড্ড খারাপ অবস্থা; তবে আশার বিষয় হচ্ছে এখনও এরা ততটা সাহসী হয়ে ওঠেনি, যতটা আস্পর্ধা অন্যান্য জায়গায় দেখা যায়।

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

বিবর্ণ সময় এর ছবি

ভাইরে বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় তাও তো কিছু বন্ধুরা ছিল। যাদের সাথে নৈতিক ব্যাপর গুলোতে একই অবস্থানে আসা যেত। বাইরে এসে না তো পারি এইসব সহ্য করতে একা একা। না পারি চুপ থাকতে। বেসিক্যালি কষ্টে আছি আইজদ্দি অবস্থা। মন খারাপ

এক লহমা এর ছবি

চলুক মন খারাপ

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রথমে দখল হয়েছে মাদ্রাসাগুলো, পরে সেখান থেকে মসজিদগুলো। এভাবে বাংলাদেশের সিংহভাগ মাদ্রাসা আর মসজিদগুলো জামায়াতের দখলে গেছে। প্রক্রিয়াটা সত্তরের দশকে শুরু হয়েছিল, এখন সেটা মহীরুহে পরিণত হয়েছে। দোষটা আমাদেরই। আমাদের মধ্যে যারা মসজিদে যান, মসজিদের কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকেন, তাদের অবহেলার জন্যই হোক আর উদাসীনতার জন্যই হোক এটা ঘটেছে। বিদেশের বাঙালীদের মসজিদগুলো তো দেশ থেকে যাওয়া বাঙালীদেরই গড়া। সুতরাং সেগুলোর অবস্থা একই হবে এ আর বিচিত্র কি!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ঈয়াসীন এর ছবি

পাণ্ডবদা, এই জামাত চালিত মসজিদ গুলো বিষয় নয়, পীড়াদায়ক বিষয় হচ্ছে সারাদিন বাংলাদেশ বাংলাদেশ করা, সারাদিন দেশাত্মবোধক গান শোনা মানুষগুলো সব কিছু জেনেশুনেও এই মসজিদে যায় এবং পালাপার্বণে এদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। দীর্ঘশ্বাস!

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।