আপনি জানছেন না, আপনার শিশু সন্তানটি কিভাবে কখন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এই পৃথিবী মোটেও সভ্য নয়, নিরাপদ নয়। শত সহস্র যৌন বিকারগ্রস্থ মানুষরূপী পশু ওত পেতে আছে সর্বক্ষণ। তাদের ভয়ঙ্কর থাবায় কখন আপনার পরম আদরের নিস্পাপ শিশুটি নিগ্রহিত হচ্ছে তা আপনি সত্যিই হয়তো জানতে পারছেন না। এই না জানার কারণগুলো-
১) এ বিষয়ে আপনার সন্তানের অজ্ঞতা
২) প্রকাশের ক্ষেত্রে ভীতি
৩) আপনার সাথে সন্তানের সম্পর্কে পৌনঃপুনিক দূরত্ব
উপরোক্ত তিনটি ক্ষেত্রেই দায়ী আপনি।
মনে রাখবেন শুধু বাংলাদেশে নয়, গোটা বিশ্বে জরিপে দেখা গেছে প্রতি ছয় জন ছেলে শিশুর মাঝে একজন এবং প্রতি চারজন মেয়ে শিশুর মাঝে একজন কোনো না কোনো ভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার। মেয়েশিশুদের নির্যাতিতা হবার হারই অধিক। আর হ্যা, শিশুদের উপর ভয়ঙ্কর এই আঘাতটি প্রাথমিক ভাবে আসে খুব নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে।
এতকিছুর পর আপনার ফুটফুটে ছেলে কিংবা মেয়েটিকে নিরাপদ ভেবে নেয়া নিতান্তই বোকামি হবে। কখনই নিশ্চিত হওয়ার কারণ নেই যে আপনার ছেলেটি প্রতি ছয়জনের মধ্যে অন্য পাঁচজন কিংবা আপনার মেয়েটি প্রতি চারজনের মধ্যে অন্য তিনজন। আপনি হয়তো কোনোদিনই জানবেন না যে আপনার তিন বছরের মেয়েটি হয়তো এরই মধ্যে এই নির্যাতনের শিকার। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং তার আশপাশের দেশগুলোতে এই সমস্যা চরমে। আমাদের সন্তানদের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব লক্ষ কোটি আলোকবর্ষের সমতুল্য। আমাদের দেশে এখনও কিশোরীরা ঋতুবতী হলে প্রথম রক্তপাতে ভয়ে কুঁকড়ে ওঠে। প্রথম বীর্য স্খলনে ছেলেরা আতঙ্কগ্রস্থ হয়। তাদের যৌনাঙ্গের আশাপাশে যখন লোম গজায় তারা ভয়ে জড়সড় হয়ে যায়। আপনার পাঁচ বছরের মেয়েকে আপনার ত্রিশ বছর বয়েসী কোনো পুরুষ আত্মীয় যখন আদর করার ছলে ঠোঁটে চুমু দিয়ে দেয় কিংবা নিতম্ব চেপে ধরে, আপনার মেয়েটি স্বাভাবিক আদর আর এই নোংরা স্পর্শের কোনো পার্থক্যই বোঝে না; কারণ আপনি তাকে সেটি বোঝাননি।
এক্ষেত্রে কি করণীয়?
প্রথমেই যেটি করতে হবে, সেটি হচ্ছে আপনি আপনার সন্তানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠুন; একেবারে বুকের বন্ধুর মতন; যার কাছে অকপটে সবকিছু বলা যায়। আপনার শিশু যেন আপনাকে এসে সবকিছু অনায়াসে বলতে পারে সেই পরিবেশ তৈরী করুন। ব্যাপারটি সহজ নয়, তবে অসম্ভবও নয়। চেষ্টাতো আপনাকেই করতে হবে। সন্তানটিতো আপনারই।
শুরুতেই, অর্থাৎ সন্তানের তিন, চার অথবা পাঁচ বছর বয়সে আপনার সন্তান এবং পরিবারের অন্যন্যদের নিয়ে বসে খেলার ছলে কিছু কর্মশালার আয়োজন করুন। ঘরেই করতে হবে। যেমন বড় কোন কাগজে ছবি এঁকে তা দেয়ালে সাটিয়ে তা হাসিখেলার মাধ্যমে সন্তানের কাছে ব্যাখ্যা করুন। কি ছবি? অনেকটা এমন-
ব্যাখ্যাটি কেমন হবে?
অনেকটা এমন-
(আমি আমার মত করে লিখলাম, আপনি আপনার মত করে সাজিয়ে নেবেন।)
প্রথমেই সরাসরি প্রসঙ্গে অবতরণ করবেন না। এভাবে শুরু করুন-
আসো আজ আমরা একটা মজার খেলা খেলি। এরপর কিছু সাদা কাগজ ও কলম নিয়ে বসুন। আপনি নিজেই একটি মানব শরীর আঁকুন, অনেকটা এমন করে-
আপনার শিশুকে সেখানে চোখ আর মুখ (ওষ্ঠাধর আঁকতে বলুন)।
সেটি দেখতে হয়তো এমনটা হবে-
এরপর লাল সাইন-পেন দিয়ে নিম্নোক্ত ছবি অনুসারে স্পর্শকাতর স্থানগুলো চিহ্নিত করুন।
আরো স্পষ্ট করে বোঝানোর জন্যে নিজেও এঁকে এভাবে স্থানগুলো চিহ্নিত করতে পারেন-
আপনি চাইলে আরো ভাল ছবিও আঁকতে পারেন। এমনকি পুরো বিষয়টি অভিনয় করে সন্তানকে দেখাতে পারেন। ছবির সাথে অভিনয় খুবই কার্যকরী হতে পারে।
এরপর খুব কায়দা করে নরম সুরে চোখ মুখ স্বাভাবিক রেখে বলুন- তোমার এই জায়গাগুলোতে একমাত্র মা হাত দিতে পারে। বাবাও পারে। অন্যরাও পারে, যদি মা কিংবা বাবা পাশে থাকে। যদি কখনও এমন হয় আশেপাশে মা-বাবা নেই, কিন্তু এইসব জায়গায় কেউ তোমাকে ছুঁতে চাইছে তখন তুমি প্রথমেই খুব জোরে চিৎকার করবে। চিৎকারের মাত্রাটি পরখ করে নিন। চিৎকার দিতে শিশুরা পছন্দ করে। চিৎকারের পরবর্তীতেই শিশুকে দৌড়ে অন্য কারো কাছে যেতে পরামর্শ দিন। ভুলেও শিশুকে এই পরামর্শগুলো আদেশের সুরে দেবেন না; তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। এরকম কর্মশালা নিয়মিত করতে থাকুন, অন্তত ছ’মাস অন্তর অন্তর। মাঝে মাঝে অসস্থিকর অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে; বাড়ীর অন্য কোনো কাছের মানুষ আন্তরিকতার সাথেই হয়তো তাকে আদর করতে গেলেও শিশুটি চিৎকার দিতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশুকে বারবার সম্পূর্ণ বিষয়টি ভাল মত বোঝানোর চেষ্টা করুন এবং সেই সাথে বাড়ীর অন্যান্যদের ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলুন এবং তাদের প্রতিও নজর রাখুন। একটু কষ্টের, তবে ভুলে যাবেন না সন্তানটি আপনারই। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- চিকিৎসকের ঘরে সন্তানকে কখনই একলা ছাড়বেন না। চিকিৎসকের ঘরে আপনার অবস্থান অবশ্যই নিশ্চিত করুন।
আর হ্যা, সন্তানের কাছে কর্মশালা চলাকালীন শব্দ ও ভাষা ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। স্পর্শকাতর স্থানগুলো বর্ণনা করবার সময় অতি গুরুগম্ভীর শব্দ প্রয়োগ করবেন না। যেমন- যৌনাঙ্গ, পশ্চাদদেশ অথবা নিতম্ব। এইসব শব্দ শিশুদের বোধগম্য হবে না। তাইবলে আবার একেবারে চটুল ভাষাও ব্যবহার করা উচিৎ নয়। যে শব্দগুলো শিশুদের জন্যে প্রযোজ্য, সেসবই ব্যবহার করুন। আপনার শিশু যদি 'পুছুনি', 'মুনুপাখি' ধাঁচের শব্দে অভ্যস্ত থাকে তবে তাই ব্যবহার করুন।
এ বিষয়ে ইন্টারনেটে অসংখ্য শিক্ষামূলক তথ্য আছে; ”How to prevent children from sexual abuse” লিখে গুগল-এ সন্ধান করুন, ইউটিউবে সন্ধান করুন। যেমন ধরেন এইটি-
শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত ভিডিও (ইউটিউব লিঙ্ক)
এ প্রসঙ্গে দুষ্টু বালিকা-র এই পোস্টটিও পড়ে দেখতে পারেন। সেখানেও শিশুমনে সচেতনতা তৈরিতে কি কি করণীয় তা বিশদে উল্লেখিত হয়েছে।
এরকম আরো অসংখ্য আছে। এইসব ভিডিও গুলো অনুসন্ধান করে আপনারা অর্থাৎ অভিভাবকেরা বারবার দেখুন, শিখুন। প্রয়োজনে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে দেখুন, তাদেরও শেখান। যারা এই ব্লগ পড়ছেন, নিশ্চিতভাবেই তারা ইন্টারনেট ব্যবহারে মোটামুটি পারদর্শী। যদি আপনার নিজের কিংবা ঘরের অন্য কারো সন্তান থেকে থাকে তবে নিজের ফেসবুকের জন্যে বরাদ্দ কয়েক ঘণ্টা থেকে অন্তত এক দুই ঘণ্টা বের করে এই অনুসন্ধান কাজে ব্যায় করুন। সন্তান অন্য কাউরো নয়, আপনারই, আপনাদেরই। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে এটিই যে একমাত্র টোটকা তা নয়, তবে এই কর্মশালা বিলক্ষন অনেকাংশে কার্যকরী।
(ইচ্ছে ছিল এই লেখাটি নারী সপ্তাহের শেষ দিন দিব। নীড়পাতার প্রথম পাতাতে আরেকটি লেখা থেকে যাবার কারণে দিতে পারিনি।)
মন্তব্য
৫ তারা।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
ভালো বিষয়, ভালো লেখা। শিশুদের জন্য পৃথিবীটা এখনও কী ভয়ানক আর বীভৎস!
আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত স্কুলের সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সহায়িকা তৈরি করার সময় এই ভিডিওটি আমরা দিয়েছি। অন্তত কিছু বাচ্চা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি শিখবে, এটাও আশার। তবে সবার জন্য চেষ্টাটা করতে হবে পরিবার থেকেই, বিকল্প নেই।
দেবদ্যুতি
‘বডি বাউন্ডারি’কে কেন্দ্র করে আমাদের এক সহযোগী সংস্থা একটা চমৎকার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে, সংস্থাটির নাম ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’; বাংলাদেশে বহু এনজিও’র ভিড়ে এই সংস্থাটির কাজে আমি সামগ্রিক আন্তরিকতা খুঁজে পাই। এই সংস্থাটির সাথে কাজ করতে করতে আমরা কিছুদিন আগে জাতীয় পাঠ্যক্রমে সপ্তম শ্রেণীতে সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স বিষয়টি সংযোজন করতে পেরেছি। NCTB’র সাথে আরও কিছু কাজ এগুচ্ছে, বিদ্যালয়গুলোতে, পাঠ্যক্রমে বিষয়গুলো সংযোজন করতে পারলে বেশ কিছুদূর এগিয়ে যাওয়া যাবে, দেখা যাক।
আপনার এই লেখাটি খুব ভাল লাগলো। আমি আশা করছি কিছুদিনের ভেতর এই সংস্থাটির মাধ্যমে আরও কিছু বিষয় হয়তো সংযুক্ত করতে পারবো, এরা খুব সাধারণ থাকতে চায়, প্রচার চায় না, দেখি রাজি করাতে পারি কিনা।
‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা শুনলাম কাল একজনের কাছ থেকে। ও বলছিল, একেকজনের জীবনের ঘটনাগুলো নাকি ভয়ংকর ।
আর এনসিটিবি-র কথা যখন এলো তখন বলি-নিজে এনসিটিবির সাথে কাজ করছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের হয়ে প্রাইমারি লেভেলে। আবার আমাদের প্রতিষ্ঠানের বই তৈরি করতেও এনসিটিবি-র কারিক্যুলাম মেনে চলতে হয়। ব্যাপারটা হচ্ছে-কারিক্যুলাম বেশ সমৃদ্ধ কিন্তু বইয়ে তার প্রয়োগ কই? ক্লাস সেভেনের বই এ বছর প্রথমবার করলাম আমরা, এনসিটিবি-র বইয়ে তেমন কিছুই পেলাম না। কারিক্যুলামে সামাজিক সমস্যা দেয়া আছে এত্ত এত্ত, বইয়ে কেবল দুটো! তেমনই যৌন হয়রানি সম্পর্কেও তেমন করে বলা কই? এ বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া যায়, মানে আপনার, আপনাদের জায়গা থেকে যদি সম্ভব হয়?
দেবদ্যুতি
কিছুদিন আগে এনসিটিবি’র সাথে আলোচনা হয়েছে, এনসিটিবি টিচার্স ট্রেনিং কারিকুলামে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে, আমরা এই পর্যায়ে কতটা সাহায্য করতে পারবো জানি না তবে একটা বিষয় জানি- সপ্তম শ্রেণী’তে যে সংযোজনা হয়েছে তা আস্তে আস্তে প্রায় প্রতিটি শ্রেণীতে আসবে। বাংলাদেশে একটা বিষয় সংযোজনা করাতে পারার প্রাথমিক কাজটাই খুব সমস্যা জনক, হয়ে গেলে তারপর আমলাতন্ত্র তাকে নিজেই এগিয়ে নিয়ে যায়।
সমস্যা কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক, সব শিক্ষক এটাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নেবেন না, প্রশিক্ষণের সময় হয়তো কেউ বিরোধিতা করবে না কিন্তু পাঠদানে বিরত থাকবেন কিংবা বলে দেবেন, ‘বাসায় পড়ে নিস!’... আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রচুর সমস্যার উদ্ভাবক, নিয়ন্ত্রক, প্রতিপালক, প্রচারক আমরা নিজেরাই...
আরও কিছু কাজ এগুচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার গত বেশ কয়েকবছর ধরে যে প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে এগুচ্ছে সেইসব যদি ঠিকমত বাস্তবায়ন হয় তাহলে রাষ্ট্রীয় একটা ব্যবস্থাপনায় এইসব সমস্যা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেই আমি মনে করি। ২০১৮ সাল এর মধ্যে সমগ্র দেশব্যাপী একটা পরিবর্তন দেখতে পাবার কথা- যদি সবকিছু ঠিক থাকে; দেখা যাক, আমি খুবই আশাবাদী মানুষ
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
চমৎকার
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অবশ্যই পাঁচতারা। শিশু যৌন হয়রানি থেকে রক্ষার জন্যে পরিবারের মাঝে সচেতনা বাড়াতে সহজ এবং অনবদ্য এক লেখা। ঠিক এই জায়গাটাতে ব্লগের সাথে প্রধান মিডিয়াগুলোর পার্থক্য। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এমন একটি লেখার জন্যে ঈয়াসীন ভাই।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ধন্যবাদ কিংবা কৃতজ্ঞতার কিছু নাই। এসব আমাদের দায়িত্ব। সমাজের এইসব অসুস্থ দিক গুলো নিয়ে ঘন ঘন যত লেখা আসবে, ততই মঙ্গল। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার মন্তব্যের জন্যে।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
চমৎকার লেখা।
একটু সময় নিয়ে দেখুন আরো কিছু তথ্য যোগ করা যায় কি না।
কিংবা আরো পর্ব করতে পারেন।
যেমন, শুধু বাচ্চাদের স্পর্শ করা না। বাচ্চাদেরকে দিয়ে অনেক নির্যাতনকারী নিজেদের যৌনাংগ স্পর্শ করান, কিংবা যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন। এই জিনিসগুলোও বাচ্চাদের বোঝাতে হবে, ছবি দিয়ে, কথা বলে।
আরো আছে। যেমন বাচ্চাদের বিভিন্ন অশ্লীল ছবি দেখানো, অশ্লীল গল্প বলা এগুলোও নির্যাতনের প্রাথমিক ধাপ। আপনি চাইলে একটা পুরো সিরিজই করতে পারেন।
খারাপ লাগছে নারী সপ্তাহ এরকম একটা লেখা মিস করলো। লেখা প্রথম পাতা থাকা অবস্থায় কোন জরুরী বিষয়ে লেখা দিতে হলে প্রথমে প্রকাশিত লেখাটি নিজের ব্লগে নিয়ে যেতে পারেন।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্যে। আপনার উল্লেখ করা বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তীতে লিখবার চেষ্টা করবো।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
"খারাপ লাগছে নারী সপ্তাহ এরকম একটা লেখা মিস করলো।"
- আমারও খারাপ লেগেছে।
"লেখা প্রথম পাতা থাকা অবস্থায় কোন জরুরী বিষয়ে লেখা দিতে হলে প্রথমে প্রকাশিত লেখাটি নিজের ব্লগে নিয়ে যেতে পারেন।"
- রানা মেহের-দিদি, হাচলরা কি এই কাজটা করতে পারেন? পারলে, কি ভাবে পারেন? মানে, কি ভাবে কাজটা করতে হয়?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এক লহমা, অর্ধ সচলেরা এই কাজ করতে পারেন কি না আমার জানা নেই। যদি না পারেন তবে মডারেটরদের কারণ সহ সাহায্য চাইলে তারা নিশ্চই সাহায্য করবেন।
(আমার নামের বানান হলো, রানা)
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আপনার নামের বানান ঠিক করে নিলাম (সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ)।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
(প্রথম মন্তব্য কোথায় হাওয়া হয়ে গেলো কে জানে? )
এই লেখাটা প্রমাণ করে একটা ব্লগ যেভাবে মানুষকে সব বিষয়ে সচেতন করে তুলতে পারে তা অন্য কোন মাধ্যম কোনদিনও পারে না। অন্য মাধ্যমগুলো তো বানিজ্য থাকে, আর ব্লগে থাকে নিজের বিবেক, বুদ্ধি আর মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার স্বাধীনতা। যেখানে কোন ব্যবসা নেই সেখান থেকে সৃষ্টি সকল লেখাই কল্যানকর। এমন সহজ উপস্থাপনায় দারুণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ লেখার জন্যে ইয়াসীন ভাইয়ের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
চমৎকার আর দরকারী লেখা। রানা মেহের আপুর পর্ব বিষয়ক ব্যাপারটা করলে ভালো হয়।
খুবই সুচিন্তিত একটা লেখা। যদি সম্ভব হয় এই লেখাটিকে নারী সপ্তাহের সংকলনে যুক্ত করার সুপারিশ করলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। আমি ঠিক জানিনা এখনও এই লেখাটিকে 'নারী সপ্তাহে' যুক্ত করবার সুযোগ আছে কিনা। তবে সেটি অত জরুরী নয়, বিষয়টি জরুরী। এই বিষয়ে পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ রচনার ইচ্ছে আছে। মানে আরেকটু বিস্তৃত।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
আমাদের শিশুকালে এমন শিক্ষা না পাওয়ার ফলে যে কালো সব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, পরবর্তী প্রজন্ম যেন কম যায়। গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট-
facebook
সহমত। আমরা বঞ্চিত ছিলাম, আমাদের সন্তানেরা যেন এই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
পাঁচতারা!
দুনিয়ার কাজের চাপে পড়ে দৌড়াদৌড়িতে একটু সময় পাচ্ছিনা যে লেখাটাকে টেনে আরেকটা পোস্ট দিবো কিভাবে বাচ্চাদের শেখানো যায় এইসব নিয়ে। নেটে পড়াশোনা করার বিস্তর উপায় আছে, তবে মোটামুটি একটা লেখায় যদি তার সবকিছু বাংলায় সহজ বোধ্য করে এই অঞ্চলের পরিস্থির সাথে মিলিয়ে একসাথে করা যায় তাহলে খুব ভালো হবে। আজ চেষ্টা করবো লেখাটা ধরার। দেখি পারি কিনা। আপনিও লিখুন না? আমাদের সামান্য চেষ্টাতে আলো ঝলমলে ভবিষ্যত হতে পারে আমাদের বাচ্চাদের, মনের মধ্যে কোনও গ্লানি আর অন্ধকার ছাড়াই!
লেখার জন্য ধন্যবাদ,
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নতুন মন্তব্য করুন