গত কয়েকদিন যাবৎ একটা অদ্ভুত গুজব ভাসছিলো ঢাকা শহর জুড়ে। ঈদের দিন সকাল দশটায় নাকি পাঁচ জনের একটা কমান্ডো দল পিজি হাসপাতাল থেকে গোলাম আযমকে বের করে নিয়ে আসবে, তারপর শাহবাগ ওভারব্রিজের গায়ে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। কোথা থেকে এ গুজবের উৎপত্তি কেউ বলতে পারছে না। কিন্তু ঈদের দিন ভোর বেলায় পিজি হাসপাতালের সামনে কয়েক হাজার লোকের ভীড় দেখে বোঝা গেল, অনেকেই গুজবটা বিশ্বাস করেছে।
ভীড়ের আকারটা প্রতি ঘণ্টায় জ্যামিতিক হারে বাড়ছে। সকাল এগারোটা বাজে, এখনও কিছু হয় নি দেখে জনতা যারপরনাই বিরক্ত। ঈদের দিন নামাজ, কোলাকুলি, সিন্নি পায়েস বাদ দিয়ে ভ্যাপসা গরমে দাঁড়িয়ে থেকে মেজাজ অনেকেরই চূড়ান্ত রকম খারাপ। গুজবে কান দেয়াটাই একটা বোকামি, বলাবলি করছে বেশিরভাগ লোক। সত্যি সত্যি যদি কারও একটা মানুষকে ফাঁসি দেয়ার ইচ্ছা থাকত, সেটা তারা কিভাবে করত এটা অবশ্য একটা প্রশ্ন। হাসপাতালের সামনে, করিডোরে, ওভারব্রীজে, কোথায় লোক নেই?
সরকারও মনে হচ্ছে গুজবটাকে আমলে নিয়েছে, কারণ ওপরে ওঠার প্রতিটি সিঁড়ি, লিফটের সামনে দুজন করে পুলিশ দাঁড়ানো। রাস্তায় ছয়টা পুলিশ ভ্যানে কমপক্ষে দুইশো দাঙ্গাপুলিশ বসা, এরা অবশ্য লোক জড়ো হওয়ার পরে এসেছে, পাবলিক বেচাল কিছু করতে গেলে লাঠিচার্জ করার জন্য প্রস্তুত। এটা অবশ্য সরকারের একটা ইজ্জতের প্রশ্নও বটে, যাকে শান্তিতে মরার জন্য সুযোগ দিতে তারা এত ব্যাকুল, তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে দেশে বিদেশে বিভিন্ন মহলে তারা মুখ দেখাবে কেমন করে?
জনতার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। অনেকেই ফিরে যাবার জন্য মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এমন সময় হঠাৎ একটা চাঞ্চল্য দেখা গেল ফুলের দোকানগুলোর দিকে। কিছু তরুণ মাইক নিয়ে এসেছে, তারা ভাষণ দিচ্ছিলো,
উপস্থিত ভাইসকল, কারও জন্য বসে থাকলে আমরা কোনদিনই কিছু অর্জন করতে পারবো না। এখানে আমরা কেন এসেছি? গোলাম আযমের ফাঁসি দেখতে, তাই না? কোথাকার কোন লোক এসে কবে তাকে ফাঁসি দিয়ে যাবে, এই আশায় থাকলে সারাজীবন শুধু অপেক্ষাতেই কেটে যাবে।
সংগ্রামী সাথী ও বন্ধুগণ, আজ আমরা এতগুলো মানুষ এখানে জড়ো হয়েছি, আমরা নিজেরাই পারি প্রিজন সেলের দরজা ভেঙে গোলাম আযমরে বের করে আনতে। আমরা নিজেরাই পারি তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে দিতে। কি বলেন, পারি না?
ভীড় থেকে একজন ঝাঁকড়াচুলো তরুণ চিৎকার দিয়ে বলল, অবশ্যই পারি। ফাঁসি চাই, ফাঁসি। মাইক হাতে তরুণটিও মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে শ্লোগান দিলো, ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। জনতার মধ্য থেকেও রব উঠছে, ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই। মিনিটখানেকের মধ্যেই সম্মিলিত চিৎকার গর্জনে পরিণত হলো। চলে যেতে থাকা লোকজনও এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলে চিৎকার করছে। ইতস্ততঃ ছড়িয়ে থাকা ভীড়গুলো একমুখী হয়ে দ্রুত মিছিলের আকার নিচ্ছে, এগোবার চেষ্টা করছে পিজি হাসপাতালের গেটের দিকে।
দাঙ্গা পুলিশের দল গাড়ি থেকে নেমে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। অফিসার হুকুম দিলেই তারা লাঠিচার্জ শুরু করবে। অফিসারের কপালে গভীর ভাঁজ। লাঠিচার্জের পরিণাম যে ভালো হবে না, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। দুইশো পুলিশ এই হাজার হাজার লোককে দুই মিনিটও ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। রিইনফোর্সমেন্ট দরকার। ওয়্যারলেসটা হাতে নিয়ে দ্রুত কন্ট্রোলরূমের সাথে কথা বলা শুরু করল সে।
গোলাম আযমের রুম। প্রশস্ত মেঝেতে অস্থির ভাবে পায়চারি করছে আব্দুল্লাহিল আযমী। এইমাত্র ফোনে এসেছিলো, পাবলিক নাকি সার বেঁধে হাসপাতালের দিকে এগোচ্ছে, উদ্দেশ্য তার আব্বাকে ছিনতাই করা। অবশ্য ফোন না এলেও ব্যাপারটা টের পাওয়া যেত। ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই গর্জনটা প্রতি মিনিটে আরও জোরালো হচ্ছে। বিছানায় শোয়া গোলাম আযমের চোখ বন্ধ, কপালে ভাঁজ। বয়সের নাকি দুশ্চিন্তার, বোঝা যাচ্ছে না এই মুহুর্তে। রুমে আরও আছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডাঃ মাহতাব রহমান। তাঁর চোখ গোলাম আযমের দিকে। কি ভাবছে লোকটা এই মুহুর্তে?
পায়চারি থামিয়ে আব্দুল্লা বাপকে জিজ্ঞেস করে, আব্বা, কিছু একটা বলেন। কি করা উচিৎ এখন?
গোলাম আযম চোখ না খুলেই বলল, আর্মি চিফকে জানিয়েছ?
আব্দুল্লা বলল, ওই শুয়োরটার কথা আর বলবেন না আব্বা। ভীড় দেখেই তার সাথে আমি যোগাযোগ করি, কমপক্ষে দুইটা ট্যাঙ্ক পাঠাতে বলি। হারামখোর রাজি না। আমি দশ কোটি টাকা পর্যন্ত বলেছি। সে কিছু করবে না।
দুর্বল গলায় গোলাম আযম বলে, বিশ কোটি বলে দেখ। রাজি হবেই, না হলে ত্রিশ, পঞ্চাশ, একশো কিছু একটা বলো। পাবলিকরে ঠেকাও তাড়াতাড়ি।
ডাঃ রহমান মনে মনে হাসলেন। আজকে ভয় পেয়েছে ব্যাটা। পাক, পাওয়া উচিৎ। গতকাল পর্যন্ত বুড়োকে হাসিখুশি দেখাচ্ছিল। মনে করেছিলো, চুক্তি ফুক্তি করে বেঁচে যাবে।
হঠাৎ ভেজানো দরজা এক ঝটকায় খুলে যায়। একজন ওয়ার্ডবয় হাঁপাতে হাঁপাতে এসে ভেতরে ঢোকে। সবাইকে কড়া করে বলে দেয়া আছে, পারমিশান নিয়ে ঢুকতে। এর দেখি সেটা মনে নেই। গোলাম আযম চোখ মেলে তাকায়।
স্যার, স্যার, কিছু লোক দোতলায় উঠিয়া আইছে। হাতে লাঠি। মনে হয় এইদিকেই আইতাছে। উত্তেজিত গলায় দ্রুত বলে যায় ওয়ার্ডবয়। আযমী আর আযম দুজনের চোখেই উৎকণ্ঠার ছায়া দেখতে পান ডাঃ রহমান। ইশারায় আযমীকে ডেকে নেন এক পাশে। নীচু গলায় বলেন,
আপনার আব্বাকে এই ঘর থেকে সরাতে হবে, সবাই জানে সে এই ঘরে আছে। অন্য কোন ঘরে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন তাড়াতাড়ি। শক্ত সমর্থ দেখে চারজন লোক ডাকুন। খাট আনার সময় নেই, স্ট্রেচারে করে সরিয়ে ফেলতে হবে, জলদি করুন।
আযমী দ্রুত ফোন টেনে নেয়। এই মুহুর্তে তার চারজন শক্ত সমর্থ লোক দরকার। প্রিজন সেল এরিয়ার বাইরে তার খাস লোক জব্বারের থাকার কথা। তার সাথে আছে ট্রেনিং পাওয়া কিছু লোক। জব্বারের ফোন বন্ধ দেখে আযমীর কপালে ভাঁজ বাড়ে। সে ডাঃ রহমানের দিকে তাকিয়ে বলে, কাউকে তো পাচ্ছি না। আমার লোকের ছয় তলার থাকার কথা।
ডাঃ রহমান বললেন, তাহলে বসে আছেন কেন? তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখুন কি করা যায়। সময় কিন্তু একদমই নেই।
আযমী ইতস্ততঃ করে বলে, কিন্তু আব্বা একা.........
যান যান। আমি আছি। তাড়াতাড়ি আসবেন। আযমী ছুটে বেরিয়ে যায়।
ডাঃ রহমান এবার একটু হেসে ওঠেন। আযমীর আসতে দেরি হবে। সাত তলার কনস্টেবলের সাথে বন্দোবস্ত করা আছে। হাসির আওয়াজে আযমের চোখ খোলে।
বুঝলেন গু আজম সাহেব, আজকের গুজব কিন্তু আমার চেম্বার থেকেই ছড়িয়েছে, হাসতে হাসতে বলেন ডাঃ রহমান। আমি ঢাকায় সপ্তাহে পাঁচ দিন পাঁচটা চেম্বারে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করি। যত রোগী পেয়েছি সবাইকে বলেছি ঈদের দিন আপনার ওপর কমান্ডো হামলা হবে, হা হা হা। পাঁচ কমান্ডো নয়, আমিই আপনাকে মারব। এই যে দেখুন বিষ।
বলতে বলতে পকেট থেকে খুব ছোট একটা হাইপোডার্মিক সিরিঞ্জ বের করেন ডাঃ রহমান। অবিশ্বাসে আর আতঙ্কে গোলাম আযমের কথা আটকে যায়, চোখে ফুটে ওঠে নগ্ন ঘৃণা।
বেঈমান! বলে চিৎকার করে ওঠে আযম।
থামুন! গর্জে ওঠে ডাঃ রহমানের গলা। আপনার মত বিশ্ব বেঈমানের মুখে অন্যকে বেঈমান বলা মানায় না। কথা বাড়াবার সময় নেই। মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হোন।
দ্রুত কাজ সারেন ডাঃ রহমান। বাম হাতের ধমনীটা খুঁজে বের করে সুঁই বসিয়ে তরলটুকু আযমের শরীরে ঢুকিয়ে দেন। ছটফট করে ওঠে আযম। চোখে পরিষ্কার মৃত্যুভয় ফুটে উঠেছে তার।
ডাঃ রহমান আবারও হাসেন। বলেন, আযম রাজাকার, তোমার শরীরে এখন বিষ। ভয় পাও, বেশি করে ভয় পাও। আমি চাই বিষে মরার আগে তুমি ভয় পেয়ে মর। তাও যদি না মরো, আমি তোমার গলায় ফাঁসির দড়ি পরাবো, খোদার কসম। আমার চার লোক এখনই তোমাকে তুলে নিতে আসবে।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আযমের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেন ডাঃ রহমান। আযমকে তিনি বিষ দেন নি। বিষ লুকানো খুব কঠিন। একজন বেঈমানকে মেরে তিনি আদালতের মুখোমুখি হতে চান না। আদালত ছেড়ে দিলেও জামাত শিবির তাকে ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় না। আযমের শরীরে তিনি ঢুকিয়ে দিয়েছেন একটি শক্তিশালী হ্যালুসিনেটিং ড্রাগ। এটার সাইড ইফেক্ট হচ্ছে, যে কোন অনুভূতি কয়েকশোগুণ বাড়িয়ে দেয়া। আযমের মনে তিনি যে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছেন, সেটা ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে যাবার কথা। কেউ এটা ধরতে পারবে না, এটার চিহ্ন এক ঘণ্টার বেশি শরীরে থাকে না।
বাইরে পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আযমী তার চার লোককে নিয়ে ভেতরে ঢোকে। তারা দ্রুত আযমকে স্ট্রেচারে তুলে ফেলে।
হ্যালুসিনেটিং ড্রাগ কাজ করতে শুরু করেছে। আযম ভয়ে চিৎকার করে ওঠে, কে তোমরা? আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ? এলোমেলো দৃষ্টি দেখে ডাঃ রহমান বুঝতে পারেন, চোখে ভালো দেখতে পাচ্ছে না আযম। আযমী মুখ খোলার আগেই ডাঃ রহমান দ্রুত বলে ওঠেন, বলেছিলাম না আমার লোক আপনাকে নিতে আসবে।
কথা বলতে বলতেই আযমের গলার চারপাশে একটা ভাঁজ করা রুমাল জড়িয়ে দেন ডাঃ রহমান। বলেন, ভয় পাবেন না আযম সাহেব, ফাঁসির দড়ি আপনার কিচ্ছু করতে পারবে না। আযমের মুখ দিয়ে আর্ত-চিৎকার বেরিয়ে আসে। সে ভাবে কেউ বুঝি সত্যিই তার গলায় ফাঁসির দড়ি পরিয়ে দিয়েছে। দুই হাত দিয়ে গলা খামচে ধরতে যায় সে, কিন্তু দুর্বল হাত গলা পর্যন্ত ওঠে না।
আযমী অবাক হয়ে ডাঃ রহমানের দিকে তাকায়। ডাঃ রহমান তাড়া দেন, তাড়াতাড়ি, তাড়াতাড়ি, জলদি নিয়ে যান একে। ভয় পেয়েছে, একে ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করুন।
ডাঃ রহমান বুঝতে পারছেন, আযমের ভয় ঠাণ্ডা হবার নয়। তার শরীর ভয়ানক ভাবে মোচড়াতে শুরু করেছে। খক খক করে কেশে ওঠে আযম, পরিষ্কার শ্বাসকষ্টের লক্ষণ। ব্যাটা সত্যি ভাবছে তাকে ফাঁসির দড়ি পরিয়ে দেয়া হয়েছে। আযমী তার লোকদের তাড়া দেয়, বাপকে দ্রুত অন্য রুমে নিয়ে চিকিৎসা করাতে চায় সে দ্রুত।
আযম ফ্যাঁসফ্যাঁসে চাপা গলায় চিৎকার করে ওঠে, বাবা আযমী, কোথায় তুমি, আমাকে তো এরা ফাঁসি দিয়ে দিচ্ছে। আমাকে বাঁচাও।
আযমী দৌড়াতে দৌড়াতে জবাব দেয়, এইতো বাবা আমি আপনার পাশে। সে জবাব আযমের বিভ্রান্ত কানে পৌঁছায় না। ছটফট করতে করতে তার হাত পা নিথর হয়ে আসে। বাতাসে রুমালের কোনা উড়ে গেলে আযমী দেখে, তার বাপের গলার চারপাশে একটা গাঢ় কালো দাগ।
মন্তব্য
ধন্যবাদ
গল্প হোক সত্যি
একদিন এরকম কিছু একটা হবে বলে বসে আছি
ডুপ্লিস্বপ্ন
ইসরাত
স্বপ্ন সত্যি করার মত কাউকে পেয়ে যাব মনে হয়
ইশশশশশ !!! এমন যদি হত
- মুকুল
আমার মনে তীব্র আশা, বাংলাদেশে পশুটার স্বাভাবিক মৃত্যু যেন না হয়
মাফ করবেন। এমনটা চাইনা। আমরা চাই, সত্যিকার অর্থেই আদালতের রায়ে তার ফাঁসির আদেশ কার্যকর হোক।
ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা।
আমিও চাইতাম না, যদি দেখতাম কোন আশা আছে। আগামী পাঁচ বছরে জামাত শিবির সমর্থিত সরকার ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই এই রাক্ষসের মৃত্যু ঘটবে বলে আমার ধারণা। এই লেখাটা তাই একটা উইশফুল থিংকিং
"আমার বন্ধু রাশেদ" এর কথা মনে পড়ে গেল...
ঐ বরাহগুলো তো জীবনভর অনেক প্রপাগান্ডাই ছড়াল... ছাগল্কে কুত্তা, আর কুত্তারে ছাগল বানায়ে ছেড়ে দিল...আসেন এই একটাবার আমরাও শুওরকে ছাগু বানায় ছেড়ে দেই... ... এমন কিছু যদি ঘটেই ... ক্ষতি কি ???
লেখা হইছে... আজকের জন্য সব আপনার
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেক ধন্যবাদ
গল্প হোক সত্যি
ধন্যবাদ
আপনার গল্পে ফুল চন্দন পড়ুক।
-----------
মিলন
পড়ুক
ধন্যবাদ
আপনি মাঝে মাঝে এমন সাইন্স ফিকশন বা ফিকশন ছাড়েন! বেশ লাগে-
facebook
অ আ করে মাত্র দুটো হয়েছে
অ আ করে মাত্র দুটো লিখেছি
একটা অসহ্য অসহায় পরিস্হিতিতে এসে পৌঁছেছি আমরা। তাই এই গল্পে বিশ্বাস রাখতে ইচ্ছে করছে।
আমার ধারণা কেউ না কেউ তাকে ছিনতাই করবেই
গল্প হইক সত্যি। যেকোন ডাক্তার এই কাজ টা করে দিলে, আমি নিজে সম্পুর্ণ (১০০% ভাগ) দায়ভার নিতে রাজি আছি। শুধু নিজে ডাক্তার না বলে এখনো বসে আছি।
আমি জানি না
শুধু ডাক্তার না, যে কেউই সুযোগ পেলে ডালিমকুমার হয়ে যাবে
অসাধারণ । অসাধারণ । অসাধারণ ।
জিনিস টা মাথায় ধরসে , কইরা ফালা যায় কি কন ?
বেশি কিছু করতে হবে না। একটা দড়ি হাতে অপরিচিত দুইটা লোক ফাঁসি চাই বলে কানের কাছে চিৎকার দিলেই কাজ হবার কথা
ভালো লাগলোো
ধন্যবাদ
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবই সম্ভব। এভাবে না হলে গনপিটুনি হবে শেষ ভরসা। এই রোজার ঈদে না হলে, পরে কোরবানি দিয়া কুত্তারে খাওয়াইয়া দিলেই চলবে। মাটিতে পুতে পবিত্র মাটি অপবিত্র করতে চাইনা। গোঃয়াঃ র যেন সাভাবিক মরন না হয় সেটাই আমাদের চাওয়া।
ন্যায়বিচারহীনতার যুগে গণপিটুনি সবচেয়ে ভালো বিকল্প। দশের অংশগ্রহণ থাকলো
কে জানে , হয়ত গল্পটাই সত্য হবে
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
গা বাঁচিয়ে কিছু করার সুযোগ পেলে, কেউ ছাড়বে বলে মনে হয় না। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রিশাদ
সত্যি হোক এইটা
এমন কিছু হওয়া খুবই সম্ভব
হাসপাতালের বিলাসী জীবন কাট করে কয়েদির পোশাক পরাইয়া জেলে পাঠাইয়া দিলেই হয়ে যাবে। বাকিটা তিনি নিজে নিজেই সেরে নেবেন বলেই তো মনে হয় ! হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
একটা নতুন আইডিয়া দিলেন বস
ন্যায়বিচারহীনতার যুগে গণপিটুনিই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
থেকে তার স্বজাতির নীড়ে ফিরিয়ে দিলেই তো হয়। দেশের আলো বাতাস তার জন্য নিষিদ্ধ।
লেজকাটা শেয়াল
ফাঁসির দড়িতে ঝোলার আগে কোন একটা বেজন্মার মনে হত আসলেই পরকালের (!!) কথা - তারপর কাঁদতে কাঁদতে বলত, স্বীকার করত তাদের অপরাধগুলো, বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতা করতে যেয়ে ্তাদের নরপশুর মত কুকর্মের সেই জবানবন্দী দেখানো হত কোন টেলিভিশনে - তারপর থেকে বাংলাদেশের কোন মানুষ আর ৭১ বিরোধী কিছু বলতোনা - সিনেমার মত ভাবনা মাথায় আসে !
এমন কিছুই হ্য়নাই আপসুস! তার জানাজাতে হাজারের উপর লোক হইসে উল্টা! মানীর মান আল্লায় রাখসে। ঈমান মজবুত করেন, লাইনে আসেন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নতুন মন্তব্য করুন