অভিযোজন কাহিনী – সুইজারল্যান্ড ১০ (পুনশ্চঃ পর্ব)

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৮/২০১৪ - ১১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর দুই আগে একটা ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ সিরিজ লিখেছিলাম। তিক্ততা দিয়ে শুরু, ভালোর পূর্বাভাস দিয়ে শেষ। সেই ভালোটা পর্যায়ক্রমে ভালোলাগা এবং পরে কিভাবে ভালোবাসায় পরিণত হয়েছিলো, সেই গল্প না বললে জায়গাটার ওপর অবিচার করা হবে।

যেখানে শেষ করেছিলাম, সেখানেই শুরু। সুইজারল্যান্ডের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর খুবই রাগ হয়েছিলো একসময়। ডাক্তারেরা রোগ হলে ওষুধ দিতে চায় না, রক্ত পরীক্ষার দরকার হলে আঙ্গুলের কোণা কেটে চিপে চিপে রক্ত বার করে, দুই সপ্তাহের কথা বললে পাঁচ সপ্তা’য় রোগ সারে। মেয়ে হবার সময় স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করবার পরে পুরো উল্টে গেলো ধারণা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, হাসপাতালের কর্মচারী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী সবাই এত আন্তরিক ব্যবহার করল, কৃতজ্ঞ না হয়ে পারলাম না। আমার স্ত্রী দেড় দিনের মাথায় বাসায় যাবার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করলে রীতিমত অনুনয় করে তাকে আরও একদিন রাখা হলো, নজাতক এবং প্রসূতির স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে। গত এক বছরে যে পরিমান বাজে ব্যবহার চারপাশ থেকে পেয়েছি, তা এই তিন দিনেই যেন ধুয়েমুছে গেলো।

প্রতিবেশী এবং বাসার এজেন্সী আমার জীবন বিষিয়ে তুলেছিলো বারো মাস ধরে। তিন নম্বর বাসায় ওঠার সাথে সাথে বদলে গেলো সব। এজেন্সী থেকে এক একটা চিঠি আসে, আর আমি আঁতকে উঠি। এই বুঝি নতুন কোন অভিযোগ নিয়ে হাজির হলো কেউ। কিন্তু না, সবগুলোই বাসার বিভিন্ন খুঁটিনাটি সারাই নিয়ে চিঠি, প্রতিবেশীর কোন নালিশ নয়। একজন একজন করে প্রতিবেশীদের সাথে পরিচয় হতে থাকে, সবাই খুব চমৎকার মানুষ, হাসিখুশি, পরোপকারী। মাত্র দুইজন ইংরেজী বলতে পারে, তাদের সাথে খাতির হয়ে গেলো দ্রুত। বাকিরা দেখা হলে খোঁজ খবর করত নিয়মিত, ভাষার ব্যবধানটা প্রবল হলেও শুভেচ্ছার সুর ধরতে কোন কষ্ট হতো না। আমি বিচ্ছিন্নভাবে ফরাসি শেখার চেষ্টা করে চলেছি, খুব লাভ হচ্ছে, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু আজকাল পাশে বসে থাকা লোকজনের কথাবার্তা অর্ধেকের মতো ধরতে পারি, সেটাই বা কম কি? ছয় সপ্তা’র জন্য দেশে যাবো, সেই সময় বাসার কনশিয়ার্জেরও ছুটি। পাশের ফ্ল্যাটের স্টেফানিকে সংকোচ নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আমার বাসার চাবিটা একটু কষ্ট করে রাখবে? পরে কনশিয়ার্জের যদি কোন প্রয়োজন হয়, খুলে দিলে? সে একগাল হেসে বলল, আরে, এটা কোন ব্যাপার? চাবি রাখছি। তুমি শুধু বলো, সপ্তাহে কয়দিন তোমার বাসা পরিষ্কার করে দিতে হবে। আমি আকাশ থেকে পড়লাম। এই প্রস্তাব আশ্চর্যরকম অপ্রত্যাশিত। আমি নিজে কখনো আমার প্রতিবেশীর প্রতি এটার ভগ্নাংশ পরিমান উদারতা দেখাতে পারব কিনা সন্দেহ। বারংবার ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম, চাবি রাখলেই আমি খুশি, অন্যকিছুর প্রয়োজন নেই। স্টেফানির সন্দেহ যায় না। দুই বার জিজ্ঞেস করল, তুমি শিওর? আমার কিন্তু কোন কষ্ট হতো না।

মেয়ের জন্ম হয়েছে শীতের মাস দুয়েক আগে। শীতে চারপাশ বরফে ঢেকে যায়, ঘোরাঘুরি বন্ধ (!)। আমরা গরম থাকতে থাকতেই কিছুটা ঘুরে নেব বলে ঠিক করলাম। সদ্যজাত শিশু নিয়ে কতক্ষণ বাইরে থাকা যাবে এ নিয়ে ডাক্তারের কোন সুস্পষ্ট বিধিনিষেধ না থকলেও দীর্ঘক্ষণ খোলা বাতাসে থাকা বিপদজনক হতে পারে বলে ধরে নিলাম। তাই আমাদের লক্ষ্য থাকতো ঘন্টাখানেক থেকে ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যে ঘুরে আসা যায়, এমন জায়গায় বেড়ানো। আমার বাসার দক্ষিণে অল্পদূরে জেনেভা লেক। সেদিকটা বাদ দিয়ে বাসার তিনদিকে পঞ্চাশ থেকে সত্তর কিলোমিটার ব্যাসার্ধের সমস্ত জায়গা চষে বেড়াতাম প্রতি সপ্তাহান্তেই। কে যেন বলেছিলো, সুইজারল্যান্ড আদতে কোন দেশ নয়, বিশালকায় একটা সেমি-ন্যাচারাল থিম পার্ক। কথাটার মর্ম উপলব্ধি করলাম এই ঘোরাঘুরিতে। যেখানেই যাই, ভালো লাগে, দুচোখ জুড়িয়ে যায়, দৃষ্টি ফেরানো মুশকিল হয়ে পড়ে। পার্ক, সাজানো লেক, গোছানো জঙ্গল, গাছপালা আর বরফে ছাওয়া উচু পর্বত, আঁকাবাঁকা গিরিপথ, পাহাড়ী ঝর্না, বাঁধ দেয়া জলাধার, নদী, পাতাল নদী, স্ফটিক গুহা ইত্যাদির এক বা একাধিক সৌন্দর্যের সমাহার সবখানেই। বাড়তি অনুষঙ্গ হিসেবে রয়েছে অতি আধুনিক এবং নিয়মিত যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তা কিংবা রেললাইন ফুরিয়ে গেলে কেবল কার, চেয়ারলিফট না হয় ফানিকিউলার কিছু একটা আছেই দৃষ্টিসীমার ভেতরের মোটামুটি সবখানে যাবার জন্য।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দেশটি ছেড়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেবার পর উপলব্ধি করলাম, আমার কষ্ট হচ্ছে। দিনের পর দিন একটা জায়গার আলো বাতাস জল মাটির সাথে মিশে থাকার পর কতখানি নিবিড় একটা যোগাযোগ তৈরী হয়ে যায় মনের সাথে, সেটা ছিলো আমার জন্য একটা নতুন অনুভূতি। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করলাম, আমি কি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি? কোথাও কোন ভুল হচ্ছে না তো? সিদ্ধান্তের পেছনের কারণটি এতো বেশি ব্যক্তিগত এবং শক্তিশালী যে, মনের ওপর জোর খাটানো গেলো। কিন্তু সে বিদ্রোহী হয়ে রইল সারাক্ষণ।

আমার আরেক প্রতিবেশী স্টেফান, বিশালদেহী জার্মান তরুণ, চলে যাচ্ছি শুনে মন খারাপ করল। আমরা সুযোগ পেলেই একসাথে দাবা খেলার জন্য বসে যেতাম, বেচারা তার শাশুড়ির ওপর কেমন বিরক্ত ঘুরে ফিরে সেই গল্প করত। আমার পরিকল্পনা হচ্ছে মিলানো থেকে ফ্লাই করা, ঠিক হলো স্টেফান তার বড় গাড়িটাতে করে আমাকে চারশো কিলোমিটার দূরে মালপেন্সা এয়ারপোর্টে দিয়ে আসবে। বেচারা দৈনিক চুক্তিতে কাজ করে, একটা দিন বাদ গেলে তার রোজগার বন্ধ, কিন্তু শত অনুরোধেও তাকে টাকা নিতে রাজী করানো গেলো না।

একটা দেশ ছাড়ার যন্ত্রনা অনেক। যাবতীয় সরকারি বেসরকারি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে লিখিতভাবে চুক্তি অবসানের কথা জানাতে হয়। সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে বাড়ির এজেন্সী, এরা নাকি দরোজার চৌকাঠের ওপরে ধুলো পেলেও প্রফেশনাল ক্লিনিং এর পুরো পয়সা নিয়ে নেয়। সবার আগের কাজ, বাসা আর সেলার খালি করতে হবে। আমার জীর্ণ আসবাবপত্র কেউ পয়সা দিয়ে কিনবে না, কাজেই যতখানি পারি বিলিয়ে দেবার চেষ্টা করলাম। ফ্রিজ, ডাইনিং টেবিল, কিচেন কাবার্ড, অব্যবহৃত ক্রোকারিজ, বাচ্চাদের বড় ও ভারী খেলনা, টিভির ওয়াল মাউন্ট, মাইক্রোওয়েভ ওভেন আর কার্পেটগুলোর গতি হলো। স্টেফানির স্প্যানিশ বর আমার গিটারখানা কিনে নিলো নগদ পয়সায়। সোফা, কফি টেবিল, ম্যাট্রেস, ব্যবহৃত তৈজসপত্র, রিডিং টেবিল আর বড় আলমারির জায়গা হলো দেশেত্রি (পৌরসভার ভাগাড়)। শেষেরটা আমি নিজের হাতে লাগিয়েছিলাম, এর প্রতিটা স্ক্রু আমার চেনা। কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লেও সামলে উঠলাম, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, এখনও অনেক কাজ বাকি। আমাকে সাহায্য করছিলো স্টেফান আর এনরিকো। দোতলার প্রতিবেশী এই বুড়ো একজন প্রফেশনাল মোটর রেসার, তার ভাঙ্গা ট্রাকে তোলা হলো সব মালপত্র। বাসন কোসন আর হাঁড়িগুলো টুংটাং করতে করতে ছুঁড়ে ফেলে দেবার সময় বিড়বিড় করে বললাম, বিদায়। আমার গাড়িটা বড় বাধ্য ছিলো, তাকে বেচে দিতে কিছু কম কষ্ট হলো না।

শেষ মুহুর্তে এসে পরিচিত স্বদেশীরা খুব করে বললেন যেন থেকে যাবার ব্যাপারটা আবার বিবেচনা করে দেখি। আমার নিজেরও তাই ইচ্ছে ছিলো, কিন্তু পাশার দান ফেলা হয়ে গেছে বহু আগে, সেটাকে আর ফিরিয়ে নেবার উপায় নেই। অনিশ্চিত একটা পরিণতির দিকে যাচ্ছি বটে, কিন্তু এটুকু ঝুঁকি নিতেই হবে, বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে।

সেখান থেকে চলে এসেছি মাস ছয়েক আগে, ইতিমধ্যে অনিশ্চয়তাও কমে গেছে অনেকখানি। তবু ঘুরে ফিরে দেশটার কথা মনে পড়ে। ভবিষ্যত সবসময়েই অজানা। তবু কেন যেন মনে হয়, আমি আবার সেখানে যাব, নিছক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হলেও। এখনও অসংখ্য জায়গা দেখা বাকি রয়ে গেছে.........


মন্তব্য

নীলকমলিনী এর ছবি

নুতন দেশের নুতন নুতন গল্পের আশায় থাকলাম.

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

নতুন দেশে গল্প আসতে সময় লাগবে আপা, ঘোরাঘুরির সেই আগের জোশটা আর নেই। তাছাড়া শীতকালে বৃষ্টি বাদলার ভেতরে বের হওয়া হয় নি। গরমকালে ঘুরতে পারব আশা রাখি। হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

সুইজারল্যান্ডে যাওয়ার আগে আপনার পায়ের ধূলা নিয়া যামু হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

এইটা কি বল্লা ম্যান? পায়ের ধূলা বড় কঠিন জিনিস, সবার পায়ে থাকে না। আমার পায়ে নাই, কখনো হবে বইলাও মনে হয় না মন খারাপ

সুমাদ্রী এর ছবি

নতুন দেশ কোন দেশ?

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক অশান্তির লেখা পড়ার পর একটা শান্তির লেখা পড়ে ভাল লাগলো। এটা ভেবেও শান্তি পেলাম যে এত সুন্দর দেখতে একটা দেশে থাকাটা পুরোপুরি অসুন্দর নয়।

জীবনের অনিশ্চয়তা কিছুটা কমেছে শুনে স্বস্তি এলো মনে। বিস্তারিত জানালে খুশী হব।

সচলায়তনের ক্যাপচা এখন পর্যন্ত পার হতে পারি নি। প্রতিবারই সে আমার মন্তব্য স্প্যাম হিসেবে ধরে নেয়। তাই মন্তব্যও করা হয় খুব কম। এই লেখা দেখে শেষ পর্যন্ত অতিথি একাউন্টে লগইন করতে হলো মন্তব্য করার জন্য। এই সমস্যা কি শুধু আমার হচ্ছে (সম্ভাবনা কম, কারন আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যন্ত্র থেকে চেষ্টা করেছি, সব খানেই ফলাফল এক)? যদি তা না হয়, এডমিন টিমের একটু লক্ষ্য করার দরকার বলে মনে করি। সচলের সদস্য ছাড়াও অন্য পাঠক আছেন, তারাও মন্তব্য করতে ইচ্ছুক হন অনেক সময়, লগইন না করেই।

-সুমন্ত

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

নাহ, দেশটা ভালোই। অনেক রকম লোক আছে দুনিয়ায়, প্রথমবার প্যাঁচে পড়ে গেছিলাম এই আর কি।

ক্যামেরার জন্য একটা ব্যাগ কিনলাম একজনের কাছ থেকে, সে জানালো আগে টাকা দিতে হবে, তারপর সে ব্যাগ পোস্ট করবে। টাকা দেবার আগে প্রতিটা ইমেইল আধাঘণ্টার মধ্যে জবাব দিচ্ছিলো। টাকা দেয়ার পরে টানা তিনদিন কোন খবর নাই। আমি ভাবলাম দেড়শো কিলোমিটার দুরের কারো কাছ থেকে কিছু কেনাই একটা গাধামী।

চার দিনের দিন ইমেইল এসে হাজির, সরি একটু ব্যস্ত ছিলাম, আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। তোমার ব্যাগ পোস্ট করে দিছি, কালকেই পেয়ে যাবা। ব্যাগের চেহারা দেখে খুব খুশি হইলাম। একদম ঝকঝকে নতুন, বোঝাই যায় যত্ন করে ব্যবহার করা হইছে, প্যাকিংটাও ভালোভাবে করা।

মানুষকে এক দুই কথায় জাজ করা যায় না, এটার প্রমাণ বহুভাবে পাইছি, এটাও তার মধ্যে একটা। বিস্তারিত অফলাইনে।

মরুদ্যান এর ছবি

ক্যাপচা কাটানোর একটা ট্রিক ছিল মনে হয়। ক্রোম ব্যবহার করলে, জবাবের জানালাটা নতুন ট্যাবে খুলেন। তাহলে ক্যপচা মনে হয় আসেনা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

কেবল সচলে মন্তব্য করার জন্য একটা সম্পুর্ন নতুন ব্রাউজার ইন্সটল করাটা বেশি কাজের কথা মনে হল না। আমি সাধারনত ফায়ারফক্স ব্যাবহার করি, এবং এটা মনে হয় যথেষ্টই জনপ্রিয় একটা ব্রাউজার। প্রত্যেক ওয়েব পোর্টালেরই উচিত ফিচারগুলো ফায়ারফক্স দিয়ে পরীক্ষা করা। ক্যাপচা সমস্যা সংক্রান্ত বিষয় আগেও সচলে দেখেছি বলে মনে পড়ছে। এটা যেহেতু এখন আছে, তার মানে হয় কোন গভীর টেকনিক্যাল সমস্যা আছে এর পিছনে, অথবা সচল ওয়েব এডমিন বাইরের মানুষের বেশী মন্তব্য পেতে আগ্রহী নন। কোনটা, জানার ইচ্ছা রইল।

-সুমন্ত

মরুদ্যান এর ছবি

ভাই এখানে কোন বেতনধারী এডমিন নাই, এডমিনরা নিজেদের ব্যস্ত জীবন থেকে সময় বাঁচিয়ে কাজ করেন। তাই অন্য ব‌্যবসায়িক ব্লগের সাথে একে তুলনা করা ভুল হবে। আপনি একটু কষ্ট করে অতিথি একাউন্টে লগিন করেন, নাহলে ফায়ারফক্সেই ট্যাব খুলে দেখেন। এটা খুব বেশি কষ্টের কিছু না। নির্ভর করে আপনার অংশগ্রহণের ইচ্ছা কতটুকু।

বাইরের মানুষের বেশী মন্তব্য পেতে আগ্রহী নন

ভিতরের মানুষ কারা? যারা সচল বা হাচল তারা সবাই একসময় বাইরের মানুষই ছিল।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

এক লহমা এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আমিও সুমন্ত ভাইয়ের সাথে সাথে প্রশাসক (অ্যাডমিন)দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এখন অতিথি হয়ে গিয়েছি, তাই ‌ক্যাপচা ভাঙা লাগে না হাসি

তবে, অতিথি হবার আগে আগে, শেষের দিকে ক্যাপচাগুলো কিছুতেই মিলত না। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে যেটা দেখাচ্ছে, সেটাই লিখছি তবুও মিলত না ।(কোন সিরিয়াল নড়ে চড়ে গিয়েছে নাকি?)

আরেকটা জিনিস খেয়াল করুন, শুধু রেজিস্টার করা নিকগুলো থেকে যেগুলোর পাশে "যাচাই করা হয়নি" লেখা থাকে সেই মন্তব্যগুলো অনেক কমে গেছে আজকাল। এর মানে দাঁড়াচ্ছে নতুন পাঠকদের মন্তব্য করা কঠিন (বা অসম্ভব) হয়ে যাচ্ছে।

শুভেচ্ছা হাসি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

যেগুলোর পাশে "যাচাই করা হয়নি" লেখা থাকে সেই মন্তব্যগুলো অনেক কমে গেছে আজকাল

সত্যিই তাই চাল্লু

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

নতুন দেশ = আস্ত মহাদেশ, ঠিকানা নবদক্ষিণ ওয়েল্শ হাসি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

এই কমেন্ট সুমাদ্রীর জন্য ছিলো, ভুল জায়গায় চলে আসছে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

আর তো কিছু নাই আপাততঃ। পপ্পন দিয়া কি হইবো???

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নতুন জায়গার লেখার জন্য পপ্পন। আমিও বসলাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পুনশ্চঃ আইলে পুনঃপুনশ্চঃ আইতে পারে না?? পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তিথীডোর এর ছবি

আমার সুইজারল্যান্ড যাবার এত্তগুলা শখ!
আর প্রোপিকে যেখানকার ছবি দিয়ে রেখেছেন, ঐখানে। চাল্লু

প্রথম বাইরে এসে যে বাসাটা নিয়েছিলাম, সেখানে ছিলাম মোটে পাঁচ মাস।
ছাড়ার সময় প্রায় চোখ ভিজে যাওয়ার জোগাড়!

মায়া একটা অদ্ভুত জিনিস। কী সহজে বসে যায়...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

শখ পূরণ করে ফেলেন। যত পয়সাই খরচ হোক, উশুল হয়ে যাবার পাক্কা গ্যারান্টি আছে হাসি

শেষ বাসাটা ছাড়তে আসলেই কষ্ট হয়েছে। অনেক সুখস্মৃতি আছে এটার সাথে। নিত্য ব্যবহার্য জিনিস ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবার সময় মনে হয়েছে, আহা! কালকেও তো এগুলোয় রান্না করে বেড়ে টেড়ে খেতাম।

মায়া খুব খারাপ জিনিস

এক লহমা এর ছবি

খুব ভাল লাগল। কি দেশে, কি বিদেশে কিছু কিছু উটকো অবাঞ্ছিতরা অনেক সময় আমাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলে যে মনে হয় কবে পালাব এখান থেকে। সেই পরিবেশটা বেরিয়ে আসতে পারলে, নুতন পরিবেশে এসে উঠতে পারলে অনেক সময়ই আবার দেখে অবাক লাগে যে আগের ঐ খারাপ লোকগুলোর থেকে সামান্য দূরত্বেই এত এত চমৎকার মানুষেরা ছিল, এত এত বন্ধুরা ছিল!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

পালানো কোন কাজের কথা নয়। সব জায়গাতেই ভালো মানুষ আছে, তাদের খুঁজে বের করাটাই সাফল্য হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা আটপৌরে ঘোরাঘুরি পড়ে অনেক ভাল লেগেছিল। বাকিগুলো পড়া হয়নি। শুনলাম সেখানে নাকি অশান্তির লেখা ছিল। তাহলে তো না পড়ে ভালই হয়েছে। যাই হোক এই লেখাটাও ভালো লাগল চলুক

সচলায়তনের কিছু সমস্যা আছে সেটা সত্যি আবার এডমিনরা অনেক ব্যস্ত সেটাও সত্যি। তবু আমি এডমিনদের কাছে অনুরোধ করব যেন অতিথিদের লেখা বা মন্তব্যকেও সেই একইভাবে মডারেট করা হয় যেভাবে একজন সচলের লেখা ও মন্তব্যকে করা হয়।

ফাহিমা দিলশাদ

হিমু এর ছবি

পূর্ণ সচলদের লেখা বা মন্তব্য মডারেট করা হয় না।

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ফাহিমা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।