মাস ছয়েক হয় সিডনী এসেছি, মোটামুটি খুঁটি গেড়ে বসার পরিকল্পনা নিয়ে। একটা স্থায়ী ঠিকানা দরকার, ভাসমান জীবন আর কতদিন? নিজের দেশে স্থায়ী ঠিকানা বানানোর চেয়ে চাঁদে যাওয়া আমার কাছে সোজা, কাজেই সে চেষ্টা থেকে অব্যাহতি নিয়েছি বহু আগেই। ছাপোষা মানুষের বিদেশ বিভুঁইয়েই ভরসা, যদি দু’দণ্ড সুখ মেলে!
আমার মত দেশে ব্যর্থ লোকজন অসি সরকারের টিকেট নিয়ে দলে দলে দেশ ছেড়েছেন, ছাড়ছেন, হয়তো ভবিষ্যতেও ছাড়বেন। কেমন আছেন এখানে আসা লোকজন? তাই নিয়েই স্বল্পদৈর্ঘ্য পর্যবেক্ষণে ক্ষুদ্র লেখা।
অস্ট্রেলিয়ার মাইগ্রেশন স্কিমের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের এইচওয়ানবি এর মিল আছে, এই দেশে চাহিদায় থাকা নির্দিষ্ট পেশার লোকজন আবেদন করতে পারবেন, খুব বেশি কারিগরী পেশা না হলে স্নাতক ডিগ্রী হচ্ছে আবেদনের ন্যুনতম যোগ্যতা। নিয়মকানুন খুবই সহজ এবং অন্যান্য মাপকাঠি মোটামুটি শিথিল বলে দলে দলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারীরা আবেদন করছেন এবং নিয়মিত ভিসা পেয়েও চলেছেন। আমার ধারণা, এই মুহুর্তে হাজার চল্লিশেক বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়াতে আছেন এবং তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ স্নাতক বা তদুর্দ্ধ যোগ্যতাসম্পন্ন। বেশিরভাগই দেশে পড়েছেন, একটা ক্ষুদ্র সরাসরি এখানে চলে এসেছেন উচ্চমাধ্যমিকের পরে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এখানে আগমনের কারন উন্নততর, নিরাপদতর জীবনমান এবং কর্মজীবন নিয়ে হতাশা। যোগ্যতার বদলে ঘনিষ্ঠতার মূল্যায়ন করা যতদিন বন্ধ না হচ্ছে, ততদিন এই একমুখী দেশান্তর চলতে থাকবে বলে আমি মনে করি। আমার আধা গ্রীক আধা আরব সহকর্মী কয়েকদিন আগে আমার কাছে প্রশ্ন রেখেছিলো, ‘ঠিক কি কারণে তুমি পরিবার আত্মীয়স্বজন ফেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা কালচারের দেশে পাড়ি জমালে?’ সে নিজে জন্মেছে মিশরে, খুব ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। আমার হয়ত বলা উচিৎ ছিলো, ‘তোমার বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করে দেখো, উত্তর পেয়ে যাবে’। নিতান্ত কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে না ফেললে আমি কারো সাথে রুঢ় ব্যবহার করি না, কাজেই চুপচাপ উত্তর দিলাম, ‘পলিটিকাল আনরেস্ট’।
মূল কারনটি অর্থনৈতিক, কিন্তু সেটি বলে বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচলিত বিশেষনটিকে উদ্ধৃত করার হীনমন্যতা দেখাই না কখনো। ইউরোপীয়ান দুই একজন সহকর্মী অতীতে বাংলাদেশ ‘কেমন গরিব দেশ?’ জাতীয় কৌতুহল দেখাতে চেয়েছে, তাদেরকে বলেছি একজন বাংলাদেশীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিক উত্তর পাবে না, বেশি জানার ইচ্ছে থাকলে বেড়িয়ে এসো। তবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন আর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখে আসতে ভুলো না। বলাই বাহুল্য আলোচনা আর এগোয় নি। তবে একদিন ট্রেনে একজন কালো আমেরিকান দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নিয়ে বাড়াবাড়ি উচ্ছ্বাস দেখালো। বাংলাদেশের নাম সে জানতো না এর আগে, কক্সবাজারে সে অবশ্যই যাবে, গিয়ে আমাকে ফোন করবে ইত্যাদি অনেক কথা বলছিলো। দেখে শুনে মনে হলো ক্র্যাক, তাই নিজের ফোন নম্বর দিই নি।
যাই হোক, অস্ট্রেলিয়াতে ফেরত আসি। এখন পর্যন্ত যতদূর দেখেছি, নিজের পেশাগত জীবনে কেউই সন্তুষ্ট নন। বাংলাদেশে কিংবা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অন্য দেশে যেসব বাংলাদেশী উচ্চপদে কিংবা উচ্চমর্যাদায় আসীন ছিলেন, এখানে এসে তার থেকে এক, দুই অথবা তিন ধাপ নেমে কোন পদে তাদেরকে যোগ দিতে হয়েছে। চীন সহ পূর্ব এশীয় দেশসমূহ এবং সার্ক থেকে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তানের লক্ষ লক্ষ অভিবাসী অস্ট্রেলিয়াতে এসেছে এবং আসছে। বাজারে শিক্ষাগত যোগ্যতার অভাব নেই এবং সরবরাহের তুলনায় সমতুল্য খালি পদের সংখ্যা অপ্রতুল। কাজেই প্রথম যে জিনিসের দর পড়েছে সেটি হচ্ছে মজুরী।
আমি নিজে এসেছি নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে, আমার পরিচিতরা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি এখানে, তারপর ক্রমানুসারে সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় (অ্যাডিলেড), ভিক্টোরিয়ায় (মেলবোর্ন), কুইন্সল্যান্ডে (ব্রিসবেন) এবং ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় (পার্থ)। সিডনী শহরেই সব থেকে বেশি অভিবাসী এসেছে, এখানে লোক সংখ্যা বেশি, ব্যবসা বেশি এবং সঙ্গত কারনে খালি পদের সংখ্যা বেশি। দুইহাজার এগারোর আগে যারা এসেছে তারা অল্প কিছুদিন পরেই চাকরী পেয়ে গেছে, তখন নাকি আবেদন করলেই চাকরী পাওয়া যেতো। দুইহাজার বারোতে চাকরীর বাজার চূড়ান্ত খারাপ আকার ধারণ করে, নতুন নিয়োগ খুব কম হয়েছে শোনা যায়। তেরোতে বাজার একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে, চৌদ্দতে আরেকটু ভালো। আমি নিজে চৌদ্দতে আসা, সাড়ে চার মাস বসে থেকে চার শতাধিক আবেদনপত্র জমা দিয়ে দুটি ইন্টারভিউ এবং একটি চাকরী যোগাড় করতে পেরেছি। আমার একমাস এবং তিনমাস আগে আসা সাবেক দুই সহকর্মী এখনো বেকার, উপরন্তু এগারোয় আসা তিনজনের চাকরী এক মাসের নোটিশে চলে গেছে। একজন অবশ্য তিন মাস পরে চাকরী ফিরে পেয়েছেন। এই যদি হয় ভালোর নমুনা, বারোতে কি ছিলো ভাবতে একটু শিউরে উঠছি।
এটা অবশ্য সার্বজনীন চিত্র নয়। বন্ধু, সাবেক সহকর্মী, পরিচিতদের অনেকেই সিডনীতে বেশ ভালো আছেন। তাদের স্থায়ী(!) চাকরী আছে, অনেকেরই শহরের ভেতরে বা উপকন্ঠে বাড়ী কিংবা ফ্ল্যাট কেনা আছে/হচ্ছে। বাঙ্গালির আজন্ম লালিত স্বপ্ন, একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেয়া বেশ সহজ এখানে। ত্রিশ বছর মেয়াদী ঋণ পাওয়া যায়, আধা মিলিয়ন ডলার ধারের মাসিক কিস্তি মোটামুটি এক মাসের বাড়ি ভাড়ার সমান। মোট ঋণের দশ শতাংশ টাকা থাকলে ব্যাংক টাকা দেবে, বিভিন্ন কিছু যাচাই করে। মোট ঋণের বিশ শতাংশ দেখাতে পারলে যাচাই বাছাই ছাড়াই ব্যাংক লোন ছেড়ে দেয়। একটা স্থায়ী চাকরী জুটে গেলে বছর দুই পরেই নিজের একটা গতি করে ফেলতে পারব আশা রাখি, সকলের দোয়াপ্রার্থী।
সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে বেশ কয়েকজন সাবেক সহকর্মী আছেন। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারেরা এসেছেন বড় সংখ্যায়। বলে নেয়া ভালো, সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় কেউ শখ করে যায় না। যাদের সিডনী বা মেলবোর্ন আসবার মত পর্যাপ্ত পয়েন্ট নেই (অসি মাইগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রণীত নিয়মাবলী দ্রষ্টব্য), তাদেরকে আঞ্চলিক সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আবেদনপত্র জমা দিতে হয় এবং বাধ্যতামূলকভাবে প্রথম দুই বছর সেখানে থাকতে হয়। বেশিরভাগেরই আইইএলটিএস ঘটিত বিপর্যয়ে পয়েন্ট কাটা যায় যা আমাকে খুবই বেদনাহত করে। আমি নিশ্চিত, সাউথ অস্ট্রেলিয়া কিংবা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় তাদের জন্য একটু কঠিন জীবন অপেক্ষা করছে জানতে পারলে তারা কঠোর পরিশ্রম করতেন, ইংরেজীর সক্ষমতায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া দুই বছর বাধ্য হয়ে এক জায়গায় থাকার চেয়ে অনেক সহজ।
অ্যাডিলেডে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তারদের চাকরী তুলনামূলক ভাবে কঠিনলভ্য। শিক্ষক, নার্স, এজড কেয়ার ইত্যাদি পেশার লোকজন অবশ্য বেশ তাড়াতাড়ি কাজ পান, কাউকে কাউকে একটা স্বল্পকালীন সার্টিফিকেট কোর্স করে নিতে হয়। ডাক্তারদের বিপদ একটু বেশি, কারন অসি শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশসহ অনেক দেশের ডাক্তারদেরকে দুটি প্রাথমিক সার্টিফিকেট কোর্স করা বাধ্যতামূলক, সেগুলো পাশ করবার আগে তারা কোনভাবেই প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেন না। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারেরা নিরুপায় হয়ে নানান কারখানায় উৎপাদন পরিবহন বিভাগে কাজ করেন, যা তাদেরকে বেশ দমিয়ে দেয় বলে আমার ধারণা। আঞ্চলিক সরকারের হাত ধরে আসা অভিবাসীরা পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট নন, কাজেই তারা সরকারের প্রায় বিনামূল্য সেবা মেডিকেয়ারের সুযোগসুবিধা পান না। দুই বছর পর তারা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সির আবেদন করার সুযোগ পান, যার অনুমোদন পেতে আরও তিন থেকে আট মাস লেগে যায়। মেডিকেয়ার সুবিধা না পাওয়ার ব্যাপারটি বেশ ভয়াবহ, কারন এটা ছাড়া চিকিৎসা সেবা অত্যন্ত উচ্চমূল্যে কিনতে হয়। আমার এক বন্ধু নিয়োগদাতার স্পন্সরশিপে একটি বহুজাতিক কোম্পানীর চাকরী নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে। এমনিতে কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু বাচ্চার অসুখবিসুখে ডাক্তারের কাছে নিতে গেলে নাভিশ্বাস উঠে যায়।
এত কিছুরর পরও অ্যাডিলেডের পরিচিতরা বলছেন, বাংলাদেশের থেকে তারা এখানে ভালো আছেন। তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বেড়েছে। তারা বছরে একবার সপরিবারে দূরে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন, তিন চার বছর পার হলে একটা বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখতে পারেন, গাড়ি কেনা তো খুবই মামুলি ব্যাপার। ফলমূল, মাছমাংস কেনার আগে বিষ বা ভেজাল নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। ঢাকায় যাদের বাচ্চারা ক্রমাগত শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য সদৃশ গলা-কানের উপসর্গে নিয়মিত ভুগেছে তারা ক্রমশঃ সেরে উঠছে।
বাংলাদেশে ভেজাল, বিষ, দুর্নীতি আর হানাহানির রাজত্ব শেষ হবে কবে? কবি নীরব...............
মন্তব্য
তাহলে লোকে যাচ্ছে কেন?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মজুরি পড়েছে কিন্তু কোত্থেকে কোথায় পড়েছে সেটা জানলে বুঝবেন কেন মানুষ এখনো আসছে (বাকি অন্যান্য সুবিধা তো আছেই)। ইয়াসির ভাই আর আমি দুইজনই টেলিকমের তাই এর কথাই বলি। ২০১১ তে টেলিকমে লোকজন ৮০০ ডলার দৈনিক পর্যন্ত মজুরি পেয়েছে। চেয়ে চিন্তে নিতে হয়নি, ডেকে দিয়েছে। বড় বড় পদগুলোতে ১০০০ ডলার দৈনিকও শুনেছি। পরবর্তীতে এই রেট পড়ে গিয়ে এখন দাঁড়িয়েছে গড়ে ৪০০-৫০০ ডলার দৈনিক। এগুলা হল কন্ট্রাক্টের কাজ। স্থায়ী কাজে বেতন কম, কিন্তু পেইড লিভ আছে, যা কন্ট্রাক্টে নেই। চাকরি যাওয়ার জন্য অবশ্য সবই যেই লাউ সেই কদু।
অবশ্য ইয়াসির ভাইয়ের সাথে আমার এক জায়গায় দ্বিমত আছে, ২০১২ এর চেয়ে ২০১৩ তে পরিস্থিতি বেশি খারাপ ছিল। সেই হিসাবে ২০১১ বাম্পার, ২০১২ মোটামুটি, ২০১৩ খুব খারাপ, ২০১৪ কোনরকম।
সামনে যে খুব ভাল সময় আসছে তা না, বড় বড় আরো দুইটা টেলিকম কোম্পানি কাজ আউটসোর্স করা শুরু করেছে। কদ্দূর করবে ঠিক নাই, কিন্তু কাজ যাচ্ছে সব ভারতে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
এই কাজগুলার কিছু অংশ বাংলাদেশে নিয়ে আসার কোনও উপায় আছে?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আছে, আবার নেই।
নোকিয়ার উদাহরন দেই। নোকিয়ার বর্তমান সিইও একজন ভারতীয়। সিইও হবার আগে তিনি ছিলেন গ্লোবাল সার্ভিস হেড, তার আগে হেড অফ এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওন। নিজে সিইও হয়ে ক্ষ্যান্ত দেন নি, নিচের সারির ভারতীয় কর্মকর্তাদের তৈরী করেছেন বা তৈরী অবস্থায় পেয়েছেন। ফলে কোম্পানীতে একটা শক্তিশালী ভারতীয় নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে ভারতে টেলিকম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ হয়েছে ভয়াবহভাবে, একটা সময় ছিলো যখন অপারেটরদের হয়ে মাসে পাঁচ হাজার বিটিএস বসাতো নোকিয়া। এই বিশাল নেটওয়ার্কের মেইনটেন্যান্স কাজ পেয়ে ভারতে নোকিয়া ফুলে ফেঁপে ওঠে, ভারত এশিয়া প্যাসিফিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটা আলাদা রিজিওনে পরিণত হয়, চীনের মত।
একবার নেটওয়ার্ক বসানো হয়ে গেলে কারিগরি অনেক সমস্যার সমাধান ঘরে বসে করে ফেলা যায়, সাইটে দৌড়াতে হয় না। তো এইসব ক্ষেত্রে দূরত্ব কোন বাধা নয়, দক্ষতাটাই আসল। কর্মকর্তারা ছক এঁটে ফেলেন, ভারতের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতে দূর নিয়ন্ত্রিত মেইন্টেন্যান্স সার্ভিস দেবে নোকিয়ার জিনক (GNOC)।
বাংলাদেশে নোকিয়ার কর্মকর্তারা যদি উদ্যোগী হয়ে বাইরের বড়কর্তাদের বোঝাতে পারেন, আমাদের এখানে প্রয়োজনীয় দক্ষতা রয়েছে এবং আমরা ভারতের চেয়ে কম খরচে একই সুবিধা দিতে পারব, তাহলে একটা সম্ভাবনা আছে। প্রশ্ন,
১) কর্মকর্তারা উদ্যোগটা নেবেন কিনা? বাড়তি ঝামেলা কে নিতে চায় (আমাদের স্বাভাবিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য)? তার ওপর পরিকল্পনামাফিক কাজ না দিতে পারলে চাকরি চলে যাবার সম্ভাবনা ব্যাপক
২) শক্তিশালী ভারতীয় লবি কাজটা ভারতের বাইরে যেতে দেবে কিনা
এখন বুঝে দেখেন.........।
ভারতে যেহেতু অলরেডি বড় দুইটা নক আছে নোকিয়ার (নয়ডা আর চেন্নাই) বাংলাদেশে কোন উদ্যোগেই আর কাজ হবেনা। এশিয়া প্যাসিফিকের যেকোন কাজ ভারতেই যাবে।
এরিকসন ও জিনক বানিয়েছে ব্যাঙ্গালোরে, তাই এরিকসন বাংলাদেশেও কিছু আসবে না।
এয়ারটেলের অপারেশন ই তো দেশে রাখতে পারলনা, যদ্দুর জানি ওটাও ভারত থেকে হয়। হুয়াওয়েই অনেক দিন থেকে চেষ্টায় আছে, গ্রামীন, রবি আর বাংলালিংকের ম্যানেজড সার্ভিস পাওয়ার আশায়, তাই কাজ আসার থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
তাই কাজ আসার থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। -বালাই ষাট!
দুর্ভাগ্য হল এটাই বাস্তবতা :'(
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধুর মিয়া, বাংলাদেশি কারে দৈনিক হাজার ডলার পাইতে দেখছো? আমি ছয়শোর বেশি কাউরে চিনি না
চারশো পাওয়াও এখন ভাগ্যের ব্যাপার।
বারো তেরো চৌদ্দ'র ব্যাপারটা মনে হয় যে যেভাবে দেখছে সেভাবে বলে। কোন পরিসংখ্যান অবশ্য ঘাঁটি নাই, শোনা কথা ছাপায় দিছি
৭৫০ পাওয়া বাংলাদেশি বড় ভাইরে তো ভালমত চিনি। ১০০০ পাইত নেশনওয়াইড প্রোগ্রাম ডিরেক্টর লেভেলের লোক, তারে আমি সরাসরি চিনিনা। শোনা কথা। উনি মনে হয় এখন এখানে নাই।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
খালি তো ডলার উড়ে বেড়াচ্ছে দেখি!
ইসস! আপনারা কত বড়লোকদের জায়গায় বাস করেন
ভাই রে ভাই, টেকাটুকার কথা শুনে কেমন জানি মাথা ঘুরতেছে। দিনে ১০০০ টাকা হইলে মাসে কত হয়। উমম, ক্যাল্কুলেটর লাগবো। এত এত টেকাটুকা থাকলে তো একটা দ্বীপ-টিপ কিনে ফেলা যায় মনে হয়। মরুদ্যান আর তুই তো সেই লেভেল এর লোকজন মনে হইতেছে। - সুমন্ত।
ডিসেম্বরের শেষ আসছি মেলবোর্ণ,আর সিডনীতে। দেখা হবে হয়ত-
facebook
১০০%। আপনি তো আছেনই ফেসবুকে। খবর দিয়েন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আপ্নেরে পাইলে দুইটা চিমটি কাটব। একটা নিজের হাতে, একটা আপ্নের। যদি আপ্নের চিমটিতে রক্ত বের হয়, মাংস উঠে আসে, তাহলে বোঝা যাবে আপনি আসলেই 'রক্ত-মাংসের' মানুষ
কয়দিনের জন্য আসবেন? কই কই যাবেন? অনলাইনে বা অফলাইনে জানান। একটা প্ল্যান করে ফেলি। ফাঁকি দিলে গুল্লি.........
এ প্রশ্নের উত্তর হয়ত কারোই জানা নেই
ফাহিমা দিলশাদ
সাধারন মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হতে শিখবে, তখন। দশ বছরেও হতে পারে, আবার একশো বছরও লাগতে পারে। হবেই, আমি আশাবাদী
যেদিন আমাদের মগজের ভেজাল ও বিষ দূরীভুত হবে!
দরকার নাই আমার ডাক্তর/ইঞ্জিলিয়ার হওনের; ছোটখাট একটা কাজ পাইলেই চলে, তবু বিদেশ যাইতে মঞ্চায়!
.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল
চলে আসেন। ভোর পাঁচটায় কাবাবের দোকানে একটার পর একটা সতেরো কেজির ক্রেট ট্রাকে তুলতে গিয়ে টের পাবেন, কতো ধানে কতো চাল। বলবেন, আমরা কি এই বিদেশ চেয়েছিলাম?
আপনার কাছ থেকে অসি জীবনের নানা গল্প পাওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বলার মত কিছু ঘটলে অবশ্যই জানতে পারবেন। যেমন ধরেন, ডিসেম্বরে তারেকাণু আসার ব্যাপারটা
আসলেই বলার মত ব্যাপার
চলুক।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
ধন্যবাদ মাসুদ সজীব
যাক, আবার তোমার দেখা মিললো। আশা করি অচিরেই তোমার আকাঙ্খা পূর্ণ হবে।
বাংলাদেশীদের জন্য প্রবাসী হওয়াটা এখন আর বিলাসিতা বা পলায়ন নয়, এটা এখন প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৪৪,০০০ বর্গ কিলোমিটারের দেশে ১৮০ মিলিয়নের মতো লোকের বাস। প্রতি বছর আরো ২.৫ মিলিয়ন করে লোক বাড়ছে। এখন আমাদের উচিত সারা দুনিয়ায় যে যেখানে পারি সেখানে গিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা।
কেউ চাইলে দেশের বাইরে থেকেও দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। শুধু রেমিট্যান্স পাঠিয়ে নয়, বরং দেশে বিনিয়োগ করে, এফডিআই আনার ব্যবস্থা করে, নতুন ইনস্টিটিউশন গড়ে এমন হাজারো উপায়ে দেশের কাজ করার সুযোগ আছে। বিদেশে বাড়ি-গাড়ি করা যেমন দরকার আছে, তেমন সেই সাথে দেশের জন্য ভাবা ও উদ্যোগ নেবারও দরকার আছে। বিদেশে থেকে হাজারোটা অমুক সমিতি, তমুক সমিতি না করে দেশের জন্য সত্যি সত্যি কাজ করার অনেক স্কোপ আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার মন্তব্য মানেই 'পাওয়া' পাণ্ডবদা।
দেশে থেকে পলায়নের ব্যাপারটা ইদানীং খুব একটা ভাবায় না, জেনে গেছি আমি ভীরু, ঝুঁকি নিতে অপারগ এবং ঢাকার চাকরী সংস্কৃতির সাথে 'আনফিট'। বিদেশে এসে করে খেতে পারছি এটাই একটা অর্জন।
দেশে বিনিয়োগের লাইনে চিন্তাভাবনা আছে। তারও আগে প্রয়োজন পায়ের নীচে মাটি শক্ত করা। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি, দেখা যাক কদ্দূর যেতে পারি। আবারও দোয়াপ্রার্থী, তবে বিশেষভাবে আপনার
সোহেল লেহস
-------------------------------------------------------
এইটা কি লেখলেন ভাই! গল্পের ট্যুইস্ট দেইখা পেটে কেমন জানি একটু মোচড় দিল
১৯ তারিখে ফ্লাইট, যাচ্ছি অ্যাডিলেডেই!! ভয় পাইয়ে দিলেন কিনা এখনো বুঝছি না!!
আশা করি দেখা হবে একসময়, তারপর আমরা অস্ট্রেলিয়ায় একটা জম জমাট সচলাড্ডা বসাবো!!
____________________________
নতুন যারা আসছে তারা সবাই হয় এ্যডেলেইড না হয় পার্থ। ভয়ের কিছু নাই, ডরাইলেই ডর। কিছু একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবেই। আপনি কি ঢাকা থেকে আসছেন? টেলিকম কামলা?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
হ্যাঁ ভাই, ঢাকা থেকে। টেলিকম কামলা। কামলা মানে খাঁটি কামলা - ফিল্ড অপারেশন!!
____________________________
প্রোফেসর, লেখার সময় আপনার কথা মাথায় ছিলো। আমার স্ত্রী জানিয়েছিলেন যে আপনি অ্যাডিলেড আসছেন। তাই ভয় পাওয়ানো কথাবার্তা লেখা থেকে বিরত ছিলাম।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি আসার আগে ভালোভাবে খোঁজখবর করে নিয়েছেন। তিনটি প্রশ্ন
১। আপনি কি পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হিসেবে আসছেন? একা না ফুল ফ্যামিলি?
২। অনেকে বাইরে থেকে চাকরী ঠিক করে তারপর অস্ট্রেলিয়া ঢোকে। তিন চারজন এরকম লোককে আমি চিনি। একজনকে তো আপনিই চেনেন, মহামতি মরুদ্যান। আপনার অবস্থাটা কি?
৩। মার্চ এপ্রিল কিংবা জুলাই অগাস্ট চাকরী পাবার উৎকৃষ্ট সময়। অন্য সময়ে নিয়োগের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। আপনি কি বিশেষ কোন কারনে সেপ্টেম্বরে আসছেন?
সব কথার শেষ কথা, যদি কিছু খোঁজখবর নাও করে থাকেন, ভয় পাবার কিছু নেই আসলে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। দ্রুতই সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
আপনার সাথে যোগাযোগের উপায় কি?
২ নম্বরের আংশিক উত্তর আমি দেই, কিন্তু আগে কন আমার নামের আগে 'মহামতি' লাগাইসেন ক্যান? :( আমি সাইজের দিক দিয়া মহা হইতারি, কিন্তু মতি কোন দিক দিয়া?
প্রোফেসর সাবরে আমি চিনিনা, চিনলেও উনি সে সচলের প্রফেসর সেইটা জানিনা।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
যারা বাইরে থেকে চাকরী নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ঢোকে, তারা অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন। তাদেরকে সম্মান জানাতেই এই 'মহামতি' বিশেষনের আবির্ভাব। হারিকিরি থেকে হারি কে আলাদা করলে যেমন তার মাহাত্ম্য বোঝা যাবে না, তেমনই মহামতি থেকে মহা আলাদা করলে সে সুপরিচিত অথবা কুপরিচিত 'মতি' তে পরিণত হয়ে যাবে।
আপাততঃ তুমি 'বিশেষ কামেল ব্যক্তি' হিসেবেই থাকো।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
আয়নামতি'দির এট্টা সঙ্গী জুটল রে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
মহামতি মরুদ্যান!!!
____________________________
লোকজন পারেও!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সামনাসামনি চেনার কথা বলিনি, বলেছি লেখার মাধ্যমে পরিচয়ের কথা। সেই অর্থে ওনাকে আমিও চিনি না। নইলে যোগাযোগের উপায় নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে হতো না
১। হ্যাঁ, পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট হিসেবে আসছি। ফুল ফ্যামিলি
২। এখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চাকরী এখন সোনার হরিণের চেয়েও অধরা!! আপাতত: হাত পা কোলে করে আসছি!
৩। হ্যাঁ, এই সময়ে আসার বিশেষ কারণ আছে।
আমার সাথে যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ উপায় ফেসবুক। লিঙ্ক আমার সিগনেচারেই দেয়া আছে।
ধন্যবাদ।
____________________________
জানিনা অনেকেই কেন বিদেশে এসে থাকতে চাই। বিদেশে এসে থাকার অনেক বছর পরে অনেকের কাছে আবার নে হয় 'ধুর, বিদেশে এসে ভুলই করলাম, দেশে থাকলে অনেক বড় নামি দামী কিছু হতে পারতাম'। নিজেদের যোগ্যতা মতো কাজ না পেয়ে অনেকের কাছে বিদেশে থাকাটা মানসিক রোগ হয়ে দাড়ায় হয়তো। বিদেশে এসে তখন হয়তো দেশের অবস্থানের সাথে তুলনা করে আরো দীনতায় ভুগে। আমি নিজে দেশ ছেড়েছি ২০০৩ এ, প্রথমে থাকলাম সুইডেন, ৩ বছর পড়াশুনা করে আসলাম উত্তর আয়ারল্যান্ডে, ৪ বছর থেকে পরে পাড়ি দিলাম স্কটল্যান্ডে, বছর দেড়েক থেকে এবার গেলাম ইংল্যান্ডে, সেখানে প্রায় ২ বছর থেকে আবার ফিরে আসলাম স্কটল্যান্ডে। এতটা সময় পার করলেও কোথাও থিতু হতে পারলাম না। এখন মাঝে মাঝেই মনে হয়, দেশে থাকলে হয়তো ভাল কিছু করতে পারতাম, তখন হয়তো রাজার হালে বিদেশে ঘুরতে আসতে পারতাম। কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার মতো কম বুদ্ধির মানুষের পক্ষে দেশেও হয়তো ভাল কিছু করা সম্ভব হতো না, তাই হয়তো বিদেশে বিলাসী জীবনের স্বাধ না পেলেও নিম্নসারীর জীবন যাপনকেও মনে হয় আপাত শান্তি
সাজ্জাদূর রহমান
"নদীর ওপারেতে যত সুখ আমার বিশ্বাস"- এ থেকে মানুষের মুক্তি নাই।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
সাজ্জাদূর সাহেব, আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আপনার নিজস্ব 'প্রত্যাশা'র সাথে পর্যাপ্ত 'প্রাপ্তি'যোগ ঘটে নি। আমার ধারনা এই অনুভূতি ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভরশীল নয়। ক্যারিয়ার নিয়ে যদি সুনির্দিষ্ট এবং বাস্তবসম্মত প্ল্যান না থাকে, তবে এই অনুভবের জন্ম হতে পারে (নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)।
যদি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রথাগত সময়ের ভেতর অর্জন না করতে পারেন, তখনই কেবল নিজের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, নচেৎ নয়। আমি কিন্তু আপনার ঘোরাঘুরি দেখে ঈর্ষান্বিত
প্রত্যাশা'র সাথে পর্যাপ্ত 'প্রাপ্তি'যোগ ঘটানোই কঠিন, সেটা যে কোন দেশে থাকলেই হতে পারে। এটা শুধু নিজের অক্ষমতাকে বললে ভুল হবে, এর সাথে যে দেশে থাকবেন সেখানকারও অনেক কিছু বিষয় জড়িত।
আরে ভাই, আমার এই ঘুরাঘুরি জীবিকার সন্ধানে, সাধে পড়ে কি এই যাযাবর জীবন বেছে নিয়েছি?
ভালো গাইডবই দিলেন... অনেকের কামে লাগবো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হ নজু ভাই, গাইডবই টাইপ লেখা হয়ে গেছে
হুম কাজে লাগবে আপনার কথা। আমাদের দেশে ত পরিশ্রম করেও লাভ নাই, বিদেশে গাধার খাটুনি খাটলেও শান্তি আছে, এজন্যই মনের কোণে সবসময় একটা আশা কাজ করে যদি সুযোগ মেলে একবার।
দেশে পরিশ্রম করে লাভ নেই, একথা পুরোপুরি ঠিক নয়। পরিচিত অনেকেই সৎপথে দিব্যি ভালো আছে। তবে এটা ঠিক, এই কপাল সবার হয় না। আশা করি একদিন আপনার হতাশা দূর হবে মেঘ-বৃষ্টি-জল, ভালো থাকবেন।
কিন্তু আমার জানামতে, আমার কিছু বন্ধু সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক সরকারের অধীনে পি আর নিয়ে সিডনি এবং মেলবোর্নে দিব্যি আছে এবং তারা মেডিকেয়ার সুবিধাও ঠিকমত পাচ্ছে। ওদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, এখন বেশিরভাগ লোকই এডিলেডের নমিনেশন নিয়ে অন্য জায়গায় থাকছে, প্রথম দুই বছর বাধ্যতামূলক ওখানে থাকতে হচ্ছে না।প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে যেকোন দু'বছর থাকলেই চলে জানি। আর সাউথ অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক সরকারকে মেইল করে যদি জানানো যায় যে সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় সে চাকরী পাচ্ছে না তবে সে অন্য অঞ্চলে গিয়ে থাকতে পারবে। ব্যাপারটা নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে চাইছি।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সত্যি কথা বলতে কি, আঞ্চলিক সরকারের নমিনেশন বিষয়ে আমার জানাশোনা একেবারে নিরেট নয়। আমি পড়ে পড়ে কিঞ্চিৎ উদ্ধার করার চেষ্টা করে হাল ছেড়েছি। বদলে, আমার বেশ পরিচিত দুইজনের কথা বলি। দুজনেই সাউথ অস্ট্রেলিয়া সরকারের নমিনেশন নিয়ে এসেছে। একজন পিআর, একজন টিআর।
পিআর ওয়ালা থাকে সিডনীতে। ইমিগ্রেশন অফিসের সাথে সে যোগাযোগ করেছে। অফিসার জানিয়েছে আবেদনকারী সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থাকতে পারবে। পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে প্রথম দুই বছর না থাকা কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা, নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। বলেছে সময় হলে দেখা যাবে। বন্ধুটি মেডিকেয়ার সুবিধা পাচ্ছে। প্রথম দিকে সে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার একটা ঠিকানা মেইনটেইন করত। এখন করে না কারন দুই বছর পার হয়ে গেছে।
দ্বিতীয়জন দুই বছর বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাডিলেড থাকার পর পিআর অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছে। অ্যাপ্রুভ না হওয়া পর্যন্ত সে মেডিকেয়ার পাবে না বলে জানিয়েছে। তবে অ্যাডিলেড ছাড়তে নাকি কোন বাধা নেই। এই ব্যক্তি প্রথমজনের মত প্রথমেই বেরিয়ে অন্য জায়গায় থাকতে পারত কিনা, সে নিশ্চিত নয়। তবে তার মত কেস সংখ্যায় অনেক, কোন উপায় থাকলে নিশ্চয়ই এতদিনে জেনে যাবার কথা।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা, সরকারের হাতে পিআর আর টিআর দুধরণের ভিসাই আছে, পয়েন্ট অনুযায়ী ভিসার ধরণ বদলায়।
অস্পষ্ট তথ্য দেবার জন্য দুঃখিত।
আপনি কেমন আছেন? আসবেন নাকি এদিকে?
নতুন মন্তব্য করুন