ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর জনসমাবেশ এর একাংশ (ভুল ছবিটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে)
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রমনা রেসকোর্সের ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কত লোক বঙ্গবন্ধুর ভাষন শুনতে এসেছিলো? নজরুল ভাইয়ের ‘৭ই মার্চের সত্য ভাষণের খোঁজে’ পোস্টে আনুমানিক লাখ বিশেক লোকের উল্লেখ রয়েছে। কিছু কিছু লোকজন এই সংখ্যাটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বিভিন্ন উৎস থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা অনুমানভিত্তিক এবং সঠিক সংখ্যা কোথাও আনুষ্ঠানিক ভাবে লিপিবদ্ধ নেই।
এই পোস্টে ইতিহাস অসম্পৃক্ত একজন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ৭ই মার্চ এর জনসভায় উপস্থিত লোকসংখ্যার একটি অনুমানভিত্তিক হিসেব করার চেষ্টা করা হয়েছে। নতুন বা পুরাতন প্রজন্মের যারা ‘রাজনীতি ভালো নয়’, ’৭১ এর এর ইতিহাস মানেই দলীয় প্রোপাগান্ডা’, ‘কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির ইতিহাস থেকে দূরে থাকাই ভালো’ ইত্যাদি নীতি গ্রহণ করেছেন, তাদের জন্য একটা ‘নিরপেক্ষ’ বাড়ির কাজ সংযুক্ত করা হলো।
প্রথমেই দেখি গুগল ম্যাপে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কেমন দেখায়। তারপর দাগ দিয়ে উদ্যানের জায়গাটুকু হাইকোর্ট থেকে আলাদা করে ফেলি। যে আকৃতিটা তৈরী হয়েছে সেটা সহজে পরিমাপযোগ্য নয়, তবে হালকা আঁকিবুকি করলে নিম্নমাধ্যমিকের ছাত্রছাত্রীরা পর্যন্ত হিসেব কষে এলাকা বের করে ফেলতে পারবে এরকম কিছু একটা দাঁড় করানো যায়।
গুগল ম্যাপে বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
উদ্যান এলাকা
চেনা আকৃতিতে ভাগ করে নেয়া
ত্রিভুজ, আয়তক্ষেত্র আর ট্র্যাপিজিয়াম এর ক্ষেত্রফলের সূত্র জানে না এমন লোক পড়ালেখা জানা মানুষের মধ্যে বিরল। গুগল রুলার দিয়ে প্রয়োজনীয় দৈর্ঘ্যসমূহ পরিমাপ করে দেওয়া হলো। এখন বাড়ির কাজ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ক্ষেত্রফল কত?
প্রসঙ্গতঃ জাতীয় শিশু পার্ক তৈরী হয়েছে ১৯৭৯ সালে, ৭১ এ এটা খালি ছিলো। উদ্যানের সর্বদক্ষিনে রয়েছে তিন নেতার মাজার, সপ্তদশ শতাব্দীর শাহবাজ খাঁ মসজিদ এবং নতুন রমনা কালী মন্দির (পুরাতনটি একাত্তরে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়)। দক্ষিনের এই অংশ উদ্যানের মোট ক্ষেত্রফলের পনেরো শতাংশের বেশি হবার কথা নয়।
পাঠকদের দেবার আগে বাড়ির কাজটি আমি নিজে করার চেষ্টা করেছি। আমার হিসাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কার্যকর ক্ষেত্রফল (জনসমাগম উপযুক্ত) চার লক্ষ বর্গমিটারের বেশি। অধ্যাপক ডঃ স্টিলের মতে প্রতি বর্গমিটারে সমাবেশ সংখ্যা পাঁচের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। যদিও আমরা পাশ্চাত্যের তুলনায় বেশি গা ঘেঁষাঘঁষি করে দাঁড়িয়ে অভ্যস্ত এবং ৭ই মার্চের সমাবেশের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিলো না, তবুও পাঁচ সংখ্যাটিকেই আপাততঃ আমলে নিয়ে নিই।
সেই হিসেবে চার লক্ষ বর্গমিটারে সমাবেশে লোকসংখ্যা হবার কথা বিশ লক্ষ। এই হিসেব শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতরের অংশ বিবেচনায় নিয়ে, উত্তর দিকে শাহবাগ হয়ে বাংলামোটর, রমনা পার্ক এবং পশ্চিম ও দক্ষিণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হিসেবের বাইরে রেখে।
আশা করা যায় অন্ততঃ একটা কু-তর্কের অবসান হবে।
(জনসমাগমের যে কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য, সংযুক্তি, সংশোধন পোস্টে আপডেট করে দেয়া হবে)
সংশোধনী একঃ
৭ই মার্চ ১৯৭১ এর জনসমাবেশ এর সঠিক চিত্র (কৃতজ্ঞতাঃ লুৎফর রহমান রিটন)
সংযুক্তি ১: প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান
ঠিক ঐ সময়টাতেই গভর্নরের দায়িত্ব নিতে কুখ্যাত টিক্কা খাঁ আসছিল। রাও ফরমান আলী খানও ছিল তার সাথে। বিমানটি ছিল রেসকোর্স ময়দানের উপরে। বিমানে তাদের একজন সহযাত্রী বলেছেন,
"আমাদের বিমান সোজা রেসকোর্স ময়দানের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। আমরা নীচের দিকে তাকালাম। দিগবলয় পর্যন্ত প্রসারিত মানুষের মাথার সমুদ্র। টিক্কার চোখ যেন সেই জনসমুদ্রের উপর কে এঁটে দিয়েছে..."
সুত্রঃ
১। বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত (মাহবুব-উল আলম) সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৬৩।
২। (পাকি মেজর জেনারেল (অবঃ) রাও ফরমান আলী খান এর) How Pakistan Got Divided এর অনুবাদ গ্রন্থ বাংলাদেশের জন্ম (অনুবাদ- মুনতাসীর মামুন) ষষ্ঠ মুদ্রণ ২০১১, পৃষ্ঠা- ৬৯।
সংযুক্তি ২: সমাবেশ এলাকা (কৃতজ্ঞতাঃ ষষ্ঠ পাণ্ডব)
হিসেবের মধ্যে যে এলাকাগুলো যোগ হওয়া উচিতঃ
১। শিশু একাডেমি
২। সচিবালয় থেকে দোয়েল চত্ত্বর পর্যন্ত রাস্তা (এই রাস্তা বেশ প্রশস্ত, এবং এই রাস্তায় এক কালে সাইকেল চলার আলাদা পথ ছিল)
৩। দোয়েল চত্ত্বর থেকে বাংলা মোটর পর্যন্ত রাস্তা (এই রাস্তাও বেশ প্রশস্ত)
৪। বর্তমান মৎস্য ভবন মোড় থেকে আইইবি, শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত রাস্তা
৫। বর্তমান জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গন (তখন জাদুঘর নিমতলীতে ছিল)
৬। শাহ্বাগ হোটেল প্রাঙ্গন (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা অধুনা লুপ্ত আইপিজিএমআর)
৭। বর্তমান বারডেম ও ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতাল প্রাঙ্গন
৮। ঢাকা ক্লাব প্রাঙ্গন
৯। জাতীয় টেনিস ফেডারেশন প্রাঙ্গন
১০। রমনা পার্কের লেকের পশ্চিমা ও দক্ষিনা পাড়
১১। আইইবি প্রাঙ্গন
১২। বর্তমান সড়ক ভবন প্রাঙ্গন (তখন এটা ছিল না)
১৩। বর্তমান বিএসএমএমইউ'র আউটডোর এলাকা (তখন এটা ছিল না)
১৪। বর্তমান আজিজ মার্কেট ও তৎসংলগ্ন পাওয়ার হাউজ এলাকা (তখন এগুলো ছিল না)
১৫। জাদুঘরের পেছনের আবাসিক এলাকা, জিয়া হল ও মুজিব হল প্রাঙ্গন (তখন এগুলো ছিল না)
১৬। চারুকলা, নজরুলের মাজার, বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ, লাইব্রেরি, হাকিম চত্ত্বর, আইএমএল, নতুন সমাজবিজ্ঞান ভবন চত্ত্বর (তখন এগুলোর বেশির ভাগ ছিল না)
১৭। টিএসসি চত্ত্বর
১৮। টিএসসি থেকে ঢাকা মেডিক্যাল পর্যন্ত রাস্তা
১৯। নিউক্লিয়ার শক্তি কমিশন, পুষ্টি ভবন, অ্যানেক্স ভবন চত্ত্বর, শিববাড়ি আবাসিক এলাকা (তখন এগুলোর বেশির ভাগ ছিল না)
টিএসসি থেকে ঢাকা মেডিকেল/কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তাটা ইংরেজি বর্ণ 'ওয়াই'-এর মতো। তাই এর দুই বাহুই হিসেব করতে হবে। আরো যোগ হবেঃ
২০। শামসুন্নাহার হল আর জগন্নাথ হলের মাঝখানের পথ
২১। জগন্নাথ হলের মাঠ
২২। টিএসসি থেকে ভিসি'র বাসভবন পর্যন্ত রাস্তা (এই রাস্তাও বেশ প্রশস্ত)
সংযুক্তি ৩:
ওয়েববেজড টুলে উদ্যান এলাকার ক্ষেত্রফল
সংযুক্তি ৪
ভুল করে দেয়া ছবিটি, আমার মত আরও অনেকেই এটিকে ৭ই মার্চ ১৯৭১ এর জনসভার ছবি বলে ভুল করেন।
মন্তব্য
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আগের ধন্যবাদজ্ঞাপক কমেন্টটা গায়েব হয়ে গিয়েছে মায়াবলে। তাই আবারও ধন্যবাদ জানাতে আমার আবির্ভাব![দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/4.gif)
ফালতু প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র কমনসেন্স।
আপনার উদ্যোগ দেখে চমৎকৃত হলাম। চলুক।
আপনার প্রশংসায় সুখী হলাম। কাজটা যদিও একেবারেই প্রাথমিক ধরণের![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
সেবা প্রকাশনীর জনপ্রিয় লেখক রওশন জামিল সেদিন চেষ্টা করেছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে ভাষণটি সামনে বসে শুনতে। তাঁর কাছ থেকেই শুনুন বিবরণ:
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম তাঁর একাত্তরের দিনগুলি বইতে লিখেছেন সেদিন উপস্থিত ছিলো প্রায় তিরিশ লক্ষ মানুষ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চিন্তা করেন অবস্থাটা। চেনা জায়গাগুলো সেদিন মানুষের পদভারে কেমন প্রকম্পিত হয়েছিলো ভাবতে একটা অজানা অনুভূতি ঘিরে ধরে।
ব্লগবাড়ি । ফেসবুক
ধন্যবাদ সুঅ![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
আহাঃ হাঃ করেছেন কি! কিছুকাল পূর্বে হেফাজতী ভাইদের মতিঝিলের সমাবেশ সর্বকালের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিল বলে বিএনপি'র কিছু নেতা নেত্রী এবং তাদের সমর্থক বুদ্ধিজীবী গোষ্ঠীর অনেকে তৃপ্তি সহকারে উল্লেখ করেছিলেন। সে তুলনায় যেতে আমার প্রবৃত্তি হচ্ছে না, কিন্তু অবাক হয়ে ভেবেছিলাম ৭ই মার্চের সমাবেশ ছোট হলে তাদের কি লাভ, হেফাজতী সমাবেশ বড় হলেই বা তাদের কি লাভ।
সুইজারল্যান্ডে কিছু তরুন বিএনপি সমর্থকের সাথে আমার কথা হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর উদ্ধৃতি দিয়ে তারা আমাকে বলেন যে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ১৯৭১ এর মহাসমাবেশ থেকে অনেক বড় ছিলো। তারা আমাকে একটা ভিডিও দেখান যেখানে তিনি কাছাকাছি কিছু একটা বলছিলেন। আজকে গুগল করেও সেরকম কিছু পেলাম না। বি চৌধুরী এতবড় একটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলতে পারেন, সেটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। কিন্তু তার নাম করে দেশে বিদেশে সমাবেশের রেকর্ডের কথা ছড়িয়ে গেছে। কিছু পাতি এবং মধ্যম সারির নেতা অবশ্য এইসব কথা সরাসরি বলেছেন।
বিএনপি সমর্থকেরা পরিষ্কার জানে হেফাজতে ইসলামের নামে এটা আসলে বিএনপি-জামাত-জাপা-ক্কওমী মাদ্রাসা সমাবেশ এবং তারা ১৯৭১ এর 'আওয়ামী লীগ' সমাবেশের ওপরে টেক্কা দেবার আত্মতৃপ্তিতে ভোগে। এদের এতটুকু সাধারন জ্ঞান নেই যে সবকিছুর পেছনে 'দল' সংস্কৃতি খুঁজতে হয় না।
Excellent!
ধন্যবাদ ফাইজুল মোমেন
সচলে গত কিছুদিন একাধারে খুব ভাল ভাল পোষ্ট আসছে। মডু প্যানেলকে নিশ্চয়ই ভাবতে হচ্ছে, কোনটা রেখে কোনটা ষ্টিকি করি!
ঠিক ঐ সময়টাতেই গভর্নরের দায়িত্ব নিতে কুখ্যাত টিক্কা খাঁ আসছিল। রাও ফরমান আলী খানও ছিল তার সাথে। বিমানটি ছিল রেসকোর্স ময়দানের উপরে। বিমানে তাদের একজন সহযাত্রী বলেছেন,
যদি সূত্র যোগ করে দেন, তাহলে ভালো হয়।
আপনার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ নামহীন। আমার বিবেচনায় এটা স্টিকি করবার মত পোস্ট নয়
সূত্র জানা থাকলে উল্লেখ করুন, আমি পোস্টে যোগ করে দেবো। ভালো থাকবেন
সূত্র:-
১। বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত (মাহবুব-উল আলম) সংস্করণ ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১৬৩।
২। (পাকি মেজর জেনারেল (অবঃ) রাও ফরমান আলী খান এর) How Pakistan Got Divided এর অনুবাদ গ্রন্থ বাংলাদেশের জন্ম (অনুবাদ- মুনতাসীর মামুন) ষষ্ঠ মুদ্রণ ২০১১, পৃষ্ঠা- ৬৯।
(অতিথি লেখকের মেইল একাউন্টে রিপ্লাইয়ের নোটিফিকেশন না আসায় সূত্র জানাতে দেরী হল।)
ধন্যবাদ মেঘলা মানুষ![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
ছাগুদের ল্যাদানি কোনদিনও শেষ হবে না, তবুুও অামাদেরকে সত্য বলে যেতে হবে। আপনার এমন গবেষনামূলক পোষ্ট তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
অনেক ধন্যবাদ মাসুদ সজীব
হা হা হা । খাড়ার'পরে হুতাইলছেন। ইউনিক চিন্তা।
-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------
বলছেন???![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
খুশি হলুম
চমৎকার কাজ!
হিসেবের মধ্যে যে এলাকাগুলো যোগ হওয়া উচিতঃ
১। শিশু একাডেমি
২। সচিবালয় থেকে দোয়েল চত্ত্বর পর্যন্ত রাস্তা (এই রাস্তা বেশ প্রশস্ত, এবং এই রাস্তায় এক কালে সাইকেল চলার আলাদা পথ ছিল)
৩। দোয়েল চত্ত্বর থেকে বাংলা মোটর পর্যন্ত রাস্তা (এই রাস্তাও বেশ প্রশস্ত)
৪। বর্তমান মৎস্য ভবন মোড় থেকে আইইবি, শাহবাগ হয়ে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত রাস্তা
৫। বর্তমান জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গন (তখন জাদুঘর নিমতলীতে ছিল)
৬। শাহ্বাগ হোটেল প্রাঙ্গন (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় বা অধুনা লুপ্ত আইপিজিএমআর)
৭। বর্তমান বারডেম ও ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতাল প্রাঙ্গন
৮। ঢাকা ক্লাব প্রাঙ্গন
৯। জাতীয় টেনিস ফেডারেশন প্রাঙ্গন
১০। রমনা পার্কের লেকের পশ্চিমা ও দক্ষিনা পাড়
১১। আইইবি প্রাঙ্গন
১২। বর্তমান সড়ক ভবন প্রাঙ্গন (তখন এটা ছিল না)
১৩। বর্তমান বিএসএমএমইউ'র আউটডোর এলাকা (তখন এটা ছিল না)
১৪। বর্তমান আজিজ মার্কেট ও তৎসংলগ্ন পাওয়ার হাউজ এলাকা (তখন এগুলো ছিল না)
১৫। জাদুঘরের পেছনের আবাসিক এলাকা, জিয়া হল ও মুজিব হল প্রাঙ্গন (তখন এগুলো ছিল না)
১৬। চারুকলা, নজরুলের মাজার, বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ, লাইব্রেরি, হাকিম চত্ত্বর, আইএমএল, নতুন সমাজবিজ্ঞান ভবন চত্ত্বর (তখন এগুলোর বেশির ভাগ ছিল না)
১৭। টিএসসি চত্ত্বর
১৮। টিএসসি থেকে ঢাকা মেডিক্যাল পর্যন্ত রাস্তা
১৯। নিউক্লিয়ার শক্তি কমিশন, পুষ্টি ভবন, অ্যানেক্স ভবন চত্ত্বর, শিববাড়ি আবাসিক এলাকা (তখন এগুলোর বেশির ভাগ ছিল না)
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদা, জায়গার ক্ষেত্রফল স্রেফ দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এই মন্তব্যের গুরুত্ব পোস্টের তুলনায় অনেক বেশি![গুরু গুরু গুরু গুরু](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/77.gif)
দ্বিগুণ হলে দ্বিগুণই হিসেব করবে। ইতিহাস তো আর পালটানো যাবে না। আমি যে সব রাস্তার কথা বলেছি সেগুলোর ১০০%, প্রাঙ্গনগুলোর ৫০% (রাফলি) যোগ করে হিসেবটা আবারও করতে পারো।
টিএসসি থেকে ঢাকা মেডিকেল/কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তাটা ইংরেজি বর্ণ 'ওয়াই'-এর মতো। তাই এর দুই বাহুই হিসেব করতে হবে। আরো যোগ হবেঃ
২০। শামসুন্নাহার হল আর জগন্নাথ হলের মাঝখানের পথ
২১। জগন্নাথ হলের মাঠ
২২। টিএসসি থেকে ভিসি'র বাসভবন পর্যন্ত রাস্তা (এই রাস্তাও বেশ প্রশস্ত)
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখার শুরুতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ৭ মার্চের নয়। ৭ মার্চের ভাষণের সময় রস্ট্রামে শাদা চাদর ছিলো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনীর জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা রিটন ভাই।
আপনার কাছে সম্পূরক প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের মাঠে কয়টি মহাসমাবেশে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন? ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এ রেসকোর্স ময়দানে সমাবেশের যে ছবিটি দেখতে পাই সেখানে ফ্রন্ট ডেস্ক সলিড বলে মনে হচ্ছে। আমার দেয়া ভুল ছবিটাতে একটা চারপেয়ে টুল দৃশ্যমান। এটা কবেকার? তথ্যগুলো কম জানা ব্যক্তিদের কাজে লাগবে।
এটা ৭ই মার্চের ভাষণের ছবি।
বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সের মাঠে কয়টি মহাসমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন তা বোধহয় বের করতে পারবো। বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণগুলো নিয়ে একটা বই থাকার কথা আমার কাছে, ঠিক এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছি না। তবে আশাকরি পেয়ে যাবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার সংযোজনা নজরুল ভাই। ভালো রেজলুশ্যনে একটা সমান ছবি খুঁজেছিলাম, পাই নি।
বইটা দ্রুত খুঁজে পাওয়া যাক, শুভকামনা
নজু ভাই, বইটার নাম-ধাম-প্রকাশনী জানাতে পারেন?![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রিয় ইয়াসির আরাফাত, ৭ই মার্চের ভাষণের যে ছবিটা এখন লেখার শুরুতে সংযোজন করা হয়েছে(নজরুলের দেয়া)সেটা একটা টেম্পারড্ ছবি। জোড়াতালি দেয়া। এই অপকর্মটি ফটোগ্রাফার আফতাব আহমদের। এই লোক তার আলোকচিত্রের এলবামে এরকম বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। লক্ষ্য করে দেখো--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শরীরের পারসেপশন ঠিক নেই। কাঁধ থেকে কনুইয়ের ভাঁজ পর্যন্ত কতো দীর্ঘ কিন্তু কনুই থেকে কবজি কতো কাছে। শেখ মুজিবের শারীরিক গঠন এরকম অস্বাভাবিক ছিলো না। এই বিষয়ে অর্থাৎ ৭ই মার্চের আলোকচিত্রের ব্যাপারে রশীদ তালুকদারের এল্বামটা অথেনটিক। আফতাবের এই ছবিটাও ইয়াসিরের রচনায় থাকতে পারে বা রাখা উচিৎ অপকর্মটির প্রমাণ হিশেবে। দুঃখিত, আমি দেশের বাইরে বলে হাতের কাছে এলবামগুলো নেই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ডিসেম্বরের শেষে ঢাকায় যাচ্ছি রিটন ভাই। রশীদ তালুকদারের অ্যালবামটি জোগাড় করার চেষ্টা করব। আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ আবারও।
উইকিপিডিয়ার একাধিক লেখায় ভুল ছবিটা আছে, আপনার এ ছবিটা ওখানে ব্যবহার করতে পারি?
আসল ছবিটা ব্যবহার করতে অনুমতি লাগার কথা না![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি
অনেক ধন্যবাদ অভিমন্যু
প্রিয় ইয়াসির আরাফাত ভাই,![ইয়ে, মানে... ইয়ে, মানে...](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/17.gif)
পোস্টের একদম প্রথমে সংযুক্ত 'ভুল' ছবিটি কি সরিয়ে নেয়া যায় না?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ঠিক বলেছেন। সরিয়ে দিলাম
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভুল ছবিটি সরিয়ে নেয়া কি ঠিক হলো? বরং ভুল ছবিটি থাকলে পরে যুক্ত হওয়া সঠিক ছবির সঙ্গে এর পার্থক্যটা বুঝতে সহজ হতো। কারণ না জেনে ওই ছবিটিকে ৭ই মার্চের ছবি হিশেবে অনেকেই ব্যবহার করেন।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লেখার প্রথমেই ভুল একটা ছবি বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে মনে করিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলাম। একেবারে নীচে দিয়ে দিলাম আবার।
ধন্যবাদ রিটন ভাই।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রিয় ইয়াসির আরাফাত, ৭ই মার্চের ভাষণের যে ছবিটা এখন লেখার শুরুতে সংযোজন করা হয়েছে(নজরুলের দেয়া)সেটা একটা টেম্পারড্ ছবি। জোড়াতালি দেয়া। এই অপকর্মটি ফটোগ্রাফার আফতাব আহমদের। এই লোক তার আলোকচিত্রের এলবামে এরকম বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। লক্ষ্য করে দেখো--বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের শরীরের পারসেপশন ঠিক নেই। কাঁধ থেকে কনুইয়ের ভাঁজ পর্যন্ত কতো দীর্ঘ কিন্তু কনুই থেকে কবজি কতো কাছে। শেখ মুজিবের শারীরিক গঠন এরকম অস্বাভাবিক ছিলো না। এই বিষয়ে অর্থাৎ ৭ই মার্চের আলোকচিত্রের ব্যাপারে রশীদ তালুকদারের এল্বামটা অথেনটিক। আফতাবের এই ছবিটাও ইয়াসিরের রচনায় থাকতে পারে বা রাখা উচিৎ অপকর্মটির প্রমাণ হিশেবে। দুঃখিত, আমি দেশের বাইরে বলে হাতের কাছে এলবামগুলো নেই।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
বাসন্তী-কাণ্ডের প্রযোজক-পরিচালক আফতাব আহমেদের এমন কুকর্মগুলোর লিস্ট থাকা দরকার, কেননা এই লোক অহরহ স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের "রেফারেন্স" হিসেবে ব্যাবহৃত হন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন