জীবনের বেশিরভাগ সময় কংক্রিটের জঙ্গলে কাটিয়ে দেওয়ায় মনের ভেতর একটা তৃষ্ণা কাজ করে। চারিদিকে এত সুন্দর প্রকৃতি, তার কিছুই তো দেখা হলো না ! তাই যখনই ছিটেফোঁটা সুযোগ পেয়েছি, উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে গেছি সবুজ, নীল, লালকমলা কিংবা সাদার সান্নিধ্য পেতে।
চোখজুড়ানো কোন জায়গায় গেলে অনেক সময়ই সেটা উপভোগ করবার পরিপূর্ণ সুযোগ হয়ে ওঠে না। কারণ বিবিধ, কখনো দিনান্তে হাজির হওয়া, কখনো ফিরে যাবার তাড়া , কখনো আরো দেখবার তাড়া, কখনো ছবি তুলবার তীব্র তাড়না। তাড়া খেয়ে চলা মানুষের নিয়তি, আমি কোন ছার্ যে রেহাই পাবো?
ছবি তোলার ব্যাপারটা অবশ্য একটু আলাদা। এতে তাড়াহুড়োয় চোখ বোলানো জায়গা পরে নিরিবিলিতে খুঁটিয়ে দেখবার সুযোগ থাকে। এইখানে একটা কিন্তু আছে, আমার হতচ্ছাড়া যন্ত্র ঠিকভাবে দৃশ্যগুলো তুলে আনতে পারে না। কখনো জমিন আঁধার কখনো আসমান গায়েব। ফ্যাকাশে রংয়ের ব্যাপারটা তো বাদই দিলাম। পয়সা দিয়ে একটা জিনিস কেনা, সেটা কাজ না করলে কার ভালো লাগে?
বিভিন্ন ফোরামে চোখধাঁধানো ছবি দেখি আর দীর্ঘশ্বাস ফেলি, না জানি কত দামী ক্যামেরায় তোলা! একদিন আমিও বড়লোক হব, দেখে নেব সবাইকে, এইরকম একটা গোপন বেদনা নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
ইন্টারনেটের যুগ, না চাইলেও অনেক কিছু চোখেকানে চলে আসে। ফটোগ্রাফির ব্যাপার হলেই লোকে কি সব যেন বলে, আমার অতিক্ষুদ্র এন্টেনার বহু ওপর দিয়ে সেগুলো নাচতে নাচতে উড়ে যায়। এক্সপোজার, অ্যাপারচার, শাটারস্পিড, আইএসও, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, টেলিফোটো, মিটারিং মোড, ব্র্যাকেটিং, এইচডিআর, পোস্ট প্রসেসিং, হোয়াইট ব্যালান্স, শার্পনেস, ব্লার, টোন কার্ভ ইত্যাদি শব্দগুলো ধাঁধার মত লাগে, জট পাকিয়ে যায়। আমি অটো মোডে শাটার রিলিজ করতে করতেই কয়েক বছর পার করে দিই। এটাই সুবিধাজনক, নতুন কিছুতে নাক না গলানো, নিজের ক্ষুদ্রগন্ডির ভেতরে পড়ে থাকা!
ভাগ্যক্রমে এমন একটা দেশে গিয়ে হাজির হই, যেখানে চোখ খুললে আর বন্ধ করতে ইচ্ছে করে না। খালিচোখে দেখা জায়গাগুলোর ছবি যখন কম্পুতে দেখি তখন মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়া ছাড়া উপায় থাকে না। না আছে সেই রং না আছে সেই উজ্জ্বলতা। হারিয়ে যাওয়া অনুসন্ধিৎসু মন থেকে থেকে খোঁচা দেয়, নাও না একটু ছবি তোলা শিখে! আমি গ্যাট হয়ে বসে থাকি, এত সময় কিংবা আগ্রহ কই?
আমার অনুজ ছবিটবি তোলে। সেইবার ঢাকায় গিয়ে তার কাছ থেকে ফাও কিছু জ্ঞান পেলাম। বলাই বাহুল্য, সে নিজে থেকে এসে না বললে হয়ত আমি কখনই আগ্রহ করে শিখতে যেতাম না। আলস্য কারো কারো একেবারে মজ্জাগত।
নতুন বিদ্যা ফলাতে গিয়ে দেখি, এই জিনিস সহজে বাগে আসবার নয়। বহুত ফ্যাকড়া, অনেক কিছু বুঝতে পারছি না। সচলের ফটোগ্রাফি বিষয়ক লেখাগুলো মন দিয়ে পড়তে শুরু করলাম। কিছু কিছু লোক ( নমস্য নাম সব, শোহেইল মতাহির চৌধুরী, অনুপম ত্রিবেদী , এস এম মাহবুব মুর্শেদ, অরূপ, মরুদ্যান) সহজ ভাষায় জিনিসগুলো লিখে না রাখলে বড় মুশকিল হতো। বাংলায় পড়ালেখার যে আরাম, সেটা অন্য কিছুতে পাওয়া কঠিন।
লেগে রইলাম, একটা পর্যায়ে মনে হলো, কিছু কিছু বুঝতে পারছি। তবে ছবি তোলা যতখানি গুরত্বপূর্ণ, পোস্ট প্রসেসিং তার চেয়ে কম নয়, এইটুকু বোঝার পর একদফা ক্ষ্যান্ত দিলাম। লাইটরূম আর ফটোশপ খুলে দেখছিলাম একবার, উরে বাবা ! এ যে সে লোকের কম্ম নয়।
ইতিমধ্যে পানি বহুদূর গড়িয়েছে, দেশ বদল করেছি। নানান ঝামেলা, চাকরি খোঁজা, ভাড়া বাসা খোঁজা , আসবাবপত্র কেনা, ঘরদোর গোছানো, বাচ্চার স্কুল সব মিলিয়ে কঠিন অবস্থা। যাবতীয় ঝামেলা পেরিয়ে, কোন এক শুভক্ষণে লাইটরুম নিয়ে কিঞ্চিৎ "ঘাঁটাঘাঁটি করবার প্রয়াস পেলাম"। সে এক অন্য দুনিয়া, মানুষ যে কত কিছুতে কত এগিয়ে গেছে, ফটো প্রসেস করবার কায়দাকানুন দেখলে সম্যক ধারণা করতে পারা যায়।
বেশিদিন আগের কথা নয় এটা, ধরেন গত বছর নভেম্বর ডিসেম্বর। নিজের তোলা পুরনো ছবিতে রং মাখামাখি চলতে লাগলো। আজকে যেই কাজটুকু আমি পাঁচ-দশ মিনিটে করতে পারি, তখন সেগুলো করতে এক থেকে তিন ঘন্টা করে সময় লাগতো। ওগুলোর সাথে এত সময় পার করেছি , দেখতে আহামরি না হলেও সবগুলো প্রিয় ছবির তালিকায় চলে গেছে। সেগুলো দেয়ার ইচ্ছে হলো হঠাৎ। পাঠক দর্শক নিজগুণে ত্রুটি মার্জনা করবেন
IMG_5720-LR by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ১ : মার্টিনির ছাদে
মার্টিনি একটি অদ্ভুত শহর, এর চার দিকেই পাহাড়। আকাশ দেখতে চাইলে ঘাড় অনেকখানি ভেঙ্গে তাকাতে হয়। পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দেখি বহু ওপর দিয়ে ছোট ছোট কি যেন চলছে। জিনিসগুলো গাড়ি, এটা বোঝার পর কিছুটা আতঙ্ক অনুভব করলাম। আমি নবীশ ড্রাইভার, সমতলে গাড়ি নিয়ে বেড়াতে গেলেই নানারকম ঝামেলা বাঁধাই, অত উঁচুতে গেলে নির্ঘাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাব। কপালফেরে অথবা কপালগুণে সেই পথে কয়েকবার যাত্রার সুযোগ হয়েছিল অনেকদিন পর। নিচে থেকে যে পযন্ত দেখা যায় তারও দ্বিগুনের বেশি উচ্চতায় উঠেছিলাম গাড়ি নিয়ে। এত অবিশ্বাস্য সুন্দর পথে আমি খুব কম গেছি। সেই দৃশ্যমান অংশ থেকে ছবিটা তোলা।
সাপের মত এগিয়ে আসা পাহাড়টার সামনে যে গোলমত মাথা সেটার গোড়ায় মার্টিনি শহর। বাঁয়ে দুরে দেখা যাচ্ছে সিওঁ শহর, ফ্রিওয়ে এবং রোন নদী। ডানপাশে মনোমুগ্ধকর আরেকটি শহর ভ্যালেত। পেছনে (যে দিকে যাচ্ছি, ছবিতে নেই) ফ্রান্স সীমান্ত এবং রোমাঞ্চকর "অনুভবের হ্রদ"। সেই গল্প আরেকদিন
IMG_6867-LR by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ২ : ফুরকা পাস
যেই রোন নদী বয়ে গেছে মার্টিনির পাশ দিয়ে লেক জেনেভা হয়ে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত, তার জন্ম মার্টিনি থেকে মাত্র সোয়া শ' কিলোমিটার দুরে। এক কালের দুর্গম ফুরকা পাসের ওপরের দিকে রোন গ্লেসিয়ারে। সেখানে পৌঁছে পেছন ফিরে দেখা ফুরকা পাস এবং সদ্যজাত রোন নদী। দুরে নীলচে মায়ায় জড়ানো আল্প্স পর্বতমালার একাংশ
IMG_1729-LR by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৩ : আল্পসে গোধূলিলগ্ন
IMG_1704-LR-PS by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৪ : নি:সঙ্গ কুটির
সিওঁ শহর থেকে ডান দিকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অনেক খাড়া উঠে গেছে একটা গিরিপথ, একসময় মাথা কুটে মরে হার মেনেছে দূর্লঙ্ঘ কোন শৃঙ্গের কাছে। এই পথের ওপরেই আছে দেশের দ্বিতীয় উচ্চতম সেতু পঁ ন্যুক। সেখান থেকে কিছু দুরে এই ছবিটি তোলা। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, দূরে পাহাড়ের গায়ে দুটি ছোট্ট কুটির। খালি চোখে কোন পাকা, কাঁচা কিংবা ঝুলন্ত রাস্তা দেখা গেল না। এখানে নি কেউ থাকে নাকি পাহাড় বাইয়েদের জন্য বিশ্রামাগার?
IMG_9820-LR-PS by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৫ : ম্যাটারহর্ন
একে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। তার ওপর এই ছবিটা আগে ব্যবহার করেছিলাম পুরনো একটা লেখায়। তখন পোস্ট প্রসেসিং সম্বন্ধে কোন ধারণা ছিল না।
DSC_2205-PS by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৬ : বারান্দায় রোদ্দুর
নতুন দেশে এসে যে বাড়িটায় উঠেছিলাম সেটার পেছনের বারান্দায় গেলে পুরনো ঢাকার কথা মনে পড়ে যেত। এক কোনায় পুরনো ভাড়াটের ফেলে যাওয়া আবর্জনা , মেঝেতে কাঁচা লাল রং আর দেয়ালের আধাপাকা হলুদ, সব মিলিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর। কিন্তু একদিন সেই বারান্দাই অপূর্ব রঙয়ে ছেয়ে গেল। গাছের তলার দিকে ঘিঞ্জি বাড়িঘরগুলো কালো রং দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
DSC_2523-LR-2 by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৭ : স্বর্ণ তাড়া
সিডনির আকাশ অনেক সময় মধ্যদুপুরের দিকে সোনা রংয়ে ঢেকে যায়। আর একটু বিকেল হলে তো কথাই নেই। আরেক দফা অলিন্দালোক
DSC_5275-LR-PS by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৮ : প্যারামাটা নদী
সিডনির মাঝ দিয়ে বীরদর্পে বয়ে গেছে প্যারামাটা নদী। মোহনার কাছে গিয়ে সে কলেবরে এতটাই বেড়েছে যে তাকে সমুদ্রের অংশ বলে মনে হয়। এই ছবিটি ফেরিতে দাঁড়িয়ে তার শীর্ণ অংশে তোলা। আকাশ ঢেকে আছে পেঁজা তুলোর মত মেঘে, এতই সহজলভ্য দৃশ্য যে মাঝে মাঝে ভুলে যাই তা কতখানি সুন্দর
DSC_4867-LR by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ৯ : ত্রিসহোদরা
ব্লু মাউন্টেইনস, সিডনির অন্যতম আকর্ষণ। অনেক জায়গা আছে এই অঞ্চলে বেড়াবার মত। আমি কেবলমাত্র এইটিতেই গিয়েছি। শৃঙ্গত্রয় থ্রি সিস্টার্স নামে খ্যাত। এইচডিআর করতে জানি, সেটা একটু জানিয়ে গেলাম হে হে
DSC_1580-Edit-LR by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ১০ : লা পেরুজ
যেই দিকে তাক করে ছবিটা তোলা, বোটানি বে'র সেই প্রান্তে আরো কিছুটা বাঁয়ে ক্যাপ্টেন জেমস কুক নোঙ্গর ফেলেছিলেন, একটা স্মরণস্তম্ভ আছে সেখানে। আপাতত সেটার কৌণিক দূরত্বে দাঁড়িয়ে ক্যামেরাবাজি করছি, জায়গার নাম লা পেরুজ। একসময় যেটা চোরাচালান ঠেকাবার চৌকি ছিল। এখন পর্যটকদের তীর্থস্থান
DSC_1546-LR-2 by Yasir.Arafat, on Flickr
ছবি ১১ : সূর্যাস্ত
সূর্য ডোবার আগে মনে যে বিষাদের রং লাগিয়ে দিয়ে যায় তাকে ধরার ক্ষমতা কারো নেই।কিন্তু ডুবন্ত সূর্যের কমলা হলুদ আভা ধরবার একটা উপায় খুঁজে পেয়েছি। আবারও লা পেরুজ!!
মন্তব্য
আহ!
ছবি তো নয়, যেনো তাল মিছড়ি! তবে গলা নয় শীতল করে দৃষ্টি। বিশেষ করে "ডিএসসি_২২০৫-পিএস" ছবিখানা আমাকে ফিদা বানিয়ে ফেলেছে। এমন ছবি দেখেছি বলে মনে হয়না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আর নিরন্তর শ্রদ্ধা।
গৌতম হালদার
উদার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ গৌতম হালদার।
যে ছবির কথা বলছেন সে দিনটি ছিল ২৮শে জুলাই ২০১৪। Sydney Sky 28 July 2014 লিখে গুগল ইমেজ সার্চ দিলে বিভিন্ন রংয়ে আরো ছবি দেখতে পাবেন
সুইজারল্যান্ড টু সিডনি, আহা...
কী কপাল নিয়ে যে আপ্নেরা দুইন্যাতে আসছেন রে ভাই! (উদাস ইমো)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আম্রিকার কথা শুনলে আমরা একই রকম উদাস হয়ে যাই। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, মনুমেন্ট ভ্যালি, আর্চেস, নায়াগ্রা ফলস, ডেথ ভ্যালি, ইয়োসেমিটি পার্ক জাতীয় সম্পদের মালিক হয়ে টোনার ঘরের দুই আনার দিকে ঈর্ষা নিয়ে তাকানো কি ভালু?
গরিবের জন্যে দুটোই সমান অগম্য! (আরো বেশি উদাস চোখে তাকিয়ে ফ্যাৎ ফ্যাৎ করে নাক মোছার ইমো)
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ছবিগুলো দেখতে পারলাম না। দুর্ভাগ্য। সসাসরি ব্লগের মধ্যে আসেনি, সেটা বোধহয় ইচ্ছাকৃত। ফ্লিকারে গেলে শুধু কালো দেখাচ্ছে, সেটা বোধহয় আমার ফায়ারফক্সের কারনে (যদিও ফ্লিকার বলতে চায় ফায়ারফক্সে কাজ করা উচিত)। উইন্ডোজে গিয়ে আই-ই তে দিলাম, বলে আনসাপোর্টেড ব্রাউজার। আচ্ছা তাই সই। বাকি থাকে ক্রোম। সেটা বোধহয় আমি ইন্সটল করবো না। কাজেই ছবিগুলো আর দেখা হল না। দুর্ভাগ্য।
দু:খ পাইস না বন্ধু, ইমেল করে পাঠায় দিবানে।
কিন্তু শিয়াল মিয়ারে কৈষা কান মলা দে, ব্যাটা ফাজিল
অফ টপিক: ক্রোম কি ফাউল?
নাহ, এখন দেখতে পাচ্ছি। শিয়ালেই পাচ্ছি, ব্লগের ভেতরই এম্বেডেড। চমৎকার।
ক্রোম ফাউল না, বোধহয় ভালই। কিন্তু আমার মনে হয় এমনিই গুগলকে যথেষ্ট ডেটা দেওয়া হয়, তার মধ্যে যদি একদম আমার ব্রাউজিং এর প্রতিটা অক্ষর পর্যন্ত দিয়ে দেই, তাইলে কেমনে কি? সেই জন্যই
ক্রোমিয়াম ব্যবহার করতে পারিস, ক্রোমের ওপেন সোর্স ভার্সন। গুগলের হাবিজাবি ট্র্যাকিং জিনিসপাতি নাই।
মাথা খারাপ করে দেয়া ছবি!! আপনাকে অ্যাডেলেইডে দাওয়াত দিলাম, এসে ছবি তুলে যান। আর আড্ডাটা ফাও।
____________________________
আপ্নাগো দ্যাশে গ্যালে ক্যাম্রা নিয়াই যামু, তয় কবে যামু জানি না। ইদিকে আইলে খবর দিতে ভুইলেন্না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কারখানায় আছে কিছু মালমাল, খালাস হৈলে ছলে আসপে
আমাদের পৃথিবীটা কত সুন্দর!
অদেখা রয়ে যাবে কত সুন্দর জায়গা... ভাবলে খারাপই লাগে। আপনার ছবিব্লগ চলুক।
পুরো পৃথিবী ঘুরে ফিরে দেখবার কপাল আমাদের নেই (সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে তার্কাণু কে একবস্তা হিংসা)
দুয়েকটা যা পাই তার ছবিটবি দিয়ে মাঝে মধ্যে বিরক্ত করার ইচ্ছে আছে
অপ্রাসঙ্গিক-এর অ-টা কি টাইপো?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনে মিয়া পারেনও!
____________________________
বুনোদি, মতিদি আর খুকিদি কি সুন্দর ফটাফট বানান ভুল ধরে।
আমিও এট্টু টেরাই নিলাম আরকি। ক্যান ভুল কইচ্চি নাকি?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আরে নাহ! ইয়াসির ভাই তারেকাণুর কথা "অপ্রাসঙ্গিক" বলে ভাব নিলেন, আর আপনি সেটাকে আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়ে আরেক খানা জব্বর ঘাব (বাঘের উপ্রে ঘোগ, তেমনি ভাবের উপ্রে ঘাব) দিলেন। তাই বললাম!
____________________________
হুয়াই সো সিরিয়াস?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সিরিকাস হলাম নাকি? দেখলেন না চামে আপনাকে ঘাব বানিয়ে দিলাম!
আপনার লেখা পাই না কেনু?
____________________________
শিওরলি ইউ আর জোকিং প্রোফেসর!! লেখালেখি করতাম নাকি? কে জানে, করতাম বোধহয়, কল্যাণদারে দেখার পর থিকা ভুইলা গেছি।
আর, দেশে তেল নাই, গ্যাস নাই, পানি নাই, আসিফ নজরুলের মানবাধিকার নাই, জাফরুল্লার সম্মান নাই, ফোরকান মল্লিকের আপীলের ট্যাকাটুকা নাই, মোঃ শাহীদের উইকেট নাই, আমিন বেগের বাকস্বাধীনতা নাই, সাকীদার লাইটারে বিপ্লব নাই, পুটুনদার সেলফিতে আগের মত কুফা নাই... আর আপনে আছেন মিয়া আমার লেখা নিয়া!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সচলে দেখার মত এত দারুণ দারুণ সব লোকজন, কত চমৎকার সব লেখা দিচ্ছে তারা আর আপনি কিনা দেখলেন আমারে! (দেওয়ালে মাথা ঠোকার ইমো)
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ, চণ্ডীশিরায় নজর দিয়া লাভ নাই। হুদাই টাইম লস। আবদুল্লাহ ভাই'র প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লাইনে আসুন।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এখন শেষ বয়সে ওই লাইনে টাইনে আর আসতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। তবে দোয়া করি আপনাদের মত পুলাপান যারা আছেন সব ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির মত লাইনে আসুন ।
যাই আব্দুল্লাহ ভাইএর প্রশ্নের উত্তর দেয়ার টেরাই করি গিয়া।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আমারও তো সেই কথা - সাক্ষী দাদা লাইনে আসুন!
____________________________
হুমম... লাইনে আসা বাদ দেন,
আসেন এইটারে আবার জাগাই!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এই মাত্তর আমিও আমার পোতিভার সাক্ষর রেখে আসলাম ওই পোস্টে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আম্মো
____________________________
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"নেই নেই কিছু নেই তবুওতো আছে কিছু বলতে যা বাধা নেই" - সে রকমই কিছু বলুন। আর আপনার মহাকাশ নিয়ে লেখা কি আলোকবর্ষ দূর থেকে আসছে নাকি?
____________________________
আমার ড্রাফট নিউ হরাইজন্সে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আমারডা কেপলার৪৫২বি তে খিক্ক খিক্ক খিক
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
শুধু শুধু লজ্জা দেন কেন কল্যাণ দা - আপনারডা এখনো ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজনের ওপাশেই আছে, এপাশে আসেনি!!
____________________________
ওহ টাইপো! আমারটা নিউ হরাইজন্স না ইভেন্ট হরাইজনের ওপারেই!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
এখন আর চ্যা ভ্যাঁ করে লাভ নাই। ইভেন্ট হরাইজন আমার
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দেখা যাক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
তাইলে আমি বিচার জারি করে দেই - যার লেখা ইভেন্ট হরাইজন পার করে এপাশে আগে আসবে, ইভেন্ট হরাইজন তার! খি খি খি!
____________________________
ওরে পল্টিবাজ, চার কমেন্টের দূরত্বে ইভেন্ট হরাইজনের মালিকানায় কিরিবিরি লাগায় দিচ্ছেন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ইয়ে, মানে - লেখা ইভেন্ট হরাইজনের ওপারে থাকলেই কী জায়গাটার মালিকানা দখলীস্বত্ব হয়ে যায়? সাক্ষী ব্যাটার পেছনে লেগে একটা লেখা বের করে আনার তাল করছিলাম। পাজী সত্যানন্দ সবার কাছ থেকে লেখা আনছে, নিজে কিছু দিচ্ছে না! আপনের পিলিজ লাগে একটু ধরেন ওডারে।
____________________________
আমার পেছনে আবার কি হল?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
চরম উদাসের লেখার কথা মনে পড়িয়ে দিচ্ছেন যে!
____________________________
দারুণ বিচার!
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রতিটি ছবিই চমৎকার লেগেছে, সূর্যাস্তের ছবিখানা দেখে একটু হিংসেও হচ্ছে!!!! এরকম একটা 'পটে আঁকা সূর্যাস্ত' নিজের ক্যামেরায় তুলতে না পারা পর্যন্ত হিংসে কমবে না!!!
------------------------------------------------------------------------------
জিপসিরা ঘর বাঁধে না,
ভালবাসে নীল আকাশ
আপনি বোধহয় বলতে চেয়েছেন নিজের কম্পিউটারে।
পৃথিবীর কোন ক্যামেরাই সরাসরি এই জিনিস আপনাকে দিতে পারবে না। খোঁজ নিয়ে দেখুন, আপনার হার্ড ড্রাইভেই পড়ে আছে এমন কিছু দুর্লভ ছবি যা প্রসেস করলে এই জিনিস বা আরো ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে
দারুণ
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপ্নে মিয়া প্রশংসা ছাড়া আর কিছু করতে পারেন না
আমারে কইলেন? হেহ হে, বয়স হইছে তো তাই মনটা নরম হইছে, বকা ঝকা করতে মায়া লাগে
ফ্লিকারে আপনার গিয়ার দেখলাম নিক ডি৭১০০ সাথে ১৮-১০৫। চালায়া যান, যন্ত্রপাতির দাম উশুল করেন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
গত এক বছরে তালিকায় একটা ২৪-৭০ ২.৮ আর একটা ৭০-২০০ ২.৮ যোগ হৈছে। উসুল করার বিয়াপক চেষ্টা জারী আছে।
সব্বোনাশ, করছেন কি এইটা! এখন সপ্তায় একটা করে ছবিব্লগ না পোস্টালে যন্ত্রপাতির অপমান হবে না?
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
লেন্স কিনার পর থেকে ছবি তোলা আশংকাজনক ভাবে কমে গেসে। সেটার মূল কারণ হচ্ছে ঘোরাঘুরি কমে গেসে। দেখি শীতকাল শেষ হইলে আবার বাইর হব
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আরে ভাই, সে জন্যেই তো আমাদের এখানে দাও্য়াত দিয়ে রাখলাম। আইসা পড়েন। (আর চামে আমরাও আপনার ছবি তোলার সাবজেক্ট হয়ে যাই!)।
____________________________
আচ্ছা ছবি ১ ছবি ২ ইত্যাদি নামকরন গুলোকে ছবিতা ১ ছবিতা ২ এমন ভাবে লেখা যায় কি! এক কথায় ছবি আর কবিতা বোঝাতে!
---------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/
দুটো কারণে করা ঠিক হবে না। এক, প্রশংসাটা বাড়াবাড়ি রকম হয়ে গেছে দুই, কাছকাছি নামের এক আইনি ভগ্নী আছেন, তাকে একটু দূরে রাখাই ভালো।
ছবি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
ছবিগুলো বেশ সুস্বাদু লাগলো, হয়তো ল্যান্ডস্কেপ খুব ভালো লাগে বলেই। আপনার হাতও মাসাল্লাহ, বেশ। চালিয়ে যান। আমার মনের সব ক্ষুধা এখনও বাংলাদেশটা দেখার জন্যেই। ওটা দেখে মন ভরলে পরে একটু এদিক-সেদিক যাবার ইচ্ছা আছে। দেখা যাক, কী হয়।
ছবি-ব্লগ চলুক ধুমছে ...
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আপনার প্রশংসা পাওয়া একটা বিশাল অনুপ্রেরণা। ল্যান্ডস্কেপ আমারও খুব ভালো লাগে। যদিও সাম্প্রতিককালে পোর্ট্রেটে হাত পাকানো চলতেসে। দেখা যাক কি হয়
বর্ননা সাথে ছবি দারুন লাগলো পুরাই লবনাক্ত
মানকচু
ভালো লাগা জানানোয় কৃতজ্ঞতা
বাঃ! খুব সুন্দর! ১০ আর ১১ জব্বর হয়েছে!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনেক ধন্যবাদ দাদা
চমৎকার ছবি সব
দেবদ্যুতি
ভালো লাগা জানানোয় কৃতজ্ঞতা
কিছু কিছু লোক ( নমস্য নাম সব, শোহেইল মতাহির চৌধুরী, অনুপম ত্রিবেদী , এস এম মাহবুব মুর্শেদ, অরূপ, মরুদ্যান)
মশকরা করেন ক্যারে??!!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
তোমার লেখাগুলা কি পরিমাণ ইনস্পায়ার কর্ছে বলে বোঝানো যাবে না। নিউ ইয়ারের আতশবাজির ছবি দেখে ঠিক করে ফেলি, একটা D7000 কিনব। কিনতে গিয়ে দেখি 7100 ছলে আসছে। প্রমোশনে পাইয়া সেইটাই বগলদাবা (আক্ষরিক অর্থে) করে ফেল্লাম
এবার একটা ডি ৭৫০ বা ৮১০ কিন্না ফালান!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
নিজেকে একটা পার্সোনাল টার্গেট দিসি, দশ গামট্রি কমপ্লিট করলে একটা আটশ' দশ কিনব
নতুন মন্তব্য করুন