বোবা-বোবা শীতকালীন বৃষ্টি ঝরছে পথে, লেইট রেইনফল
ডিয়ার রেইন, তুমি অনেক অনেক লেইট, তুমি আসাদ গেইট --
ম্রিয়মাণ এক আইল্যান্ড, কিন্তু স্ট্রেইট, মাঝবরাবর তৃণভূমি জাগে
আর সেখান থেকে ভেজা-ভেজা হাওয়া আমার পৌরুষে এসে লাগে
চায়ের দোকানে হি হি কাঁপাকাঁপি, ভাবলাম পুস্তক পড়া যাক
এক বদমাইশ বই, মাল্টিলিঙ্গুয়াল, উরু খুলে সেলাই দেখাল!
তুমি আসছো না, তাই চুলার আগুন পোহায় যে গুটিশুটি বুড়ো
তারে পুছলাম, কী তার হবি? সে কি হিব্রুভাষার নবী?
উত্-কর্ণ হতে-হতে শেষে খেয়াল করি নি -- লম্বা হচ্ছিল কান
আঙুল লাগল জোড়া, একি একি, ভেসে আসছে কোন্ বিপজ্জনক ঘ্রাণ!
হঠাত্ এমনিতর ঘ্রাণের জগতে কেন আমি, ধ্বনির জগতে?
হ্যাঁগো অন্তর্যামী, রোম জাগছে কেন চামড়ার পরতে পরতে?
আমার বলবার কথাগুলি ঐ হিব্রু নবীর ঝোলায় গুমরে মরছে
পাসওয়ার্ড চাইলাম পুলিশের কাছে, সেও বাষ্পরূদ্ধ হয়ে পড়ছে
সন্ধ্যা ঘনাল যখন, যারা কেটলিতে ফুটছিল -- তাদের সে কী তেজ!
তারা প্রকাশ্য হবার আগেই যে আমার গজিয়ে গেল লেজ!
খারাপ কি, চতুষ্পদী আমি এবার পরম আরামে লিখব চতুর্দশপদী
ওগো চতুর্দশী, প্রতি শীতে তোমায় পাঠাব উড়ো মেঘের ইমেইল
নানান হুমকিসহ। সন্ধ্যায় ঘাসবিচালির ছুতায় যাব তোমার উঠানে
মুখ দেব যত্রতত্র, রেখে যাব মলমূত্র, আর তোমার বিরহ!
মন্তব্য
দারুণ
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আসলেই দারুণ!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
দারুণ কোনটা? কবিতা? না গানটা?
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
দুইটাই
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
কবিতাটা কবে লেখা জানতে পারি? কবিতার পর তামিল গানটা কি এক কাপ চা পানের আমেজ দিল!।......না, এখনো কবিতাটাই থাকুক মাথায়.....".............সন্ধ্যায় ঘাসবিচালির ছুতায় যাব তোমার উঠানে
মুখ দেব যত্রতত্র, রেখে যাব মলমূত্র, আর তোমার বিরহ"
দুইটাই মারদাঙ্গা!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
প্রথম লিখিত: ১৯৯৭
(তারপর হারিয়ে যায়)
স্মৃতি থেকে পুনর্বার লিখিত: ২০০৫
ধন্যবাদ সবাইকে।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
কবিতা তো দারুণই! সাথে গানটা আসলেই বৃষ্টির পরে বারান্দায় বসে মুড়িভাজার পরে চা।
গানটার হিন্দি ভার্সন শুনেছিলাম, এ.আর.রহমানের মিউজিক, ব্যাটা জিনিস একটা।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বৃষ্টি ভালো, কিন্তু এমন বৃষ্টি, যেটা পৌরুষে এসে স্পর্শকাতরভাবে হেনে গায়ে রোম জাগিয়ে দেয় এবং কান লম্বা হয়, গজায় লেজ ও অতিরিক্ত দুটি পা-- সত্যি ভয়ংকর। দৃশ্যমান রূপান্তরণে সক্ষম এমন বৃষ্টির সাথে এই প্রথম সাক্ষাৎ। চমৎকৃত হলাম। সে কি কবিতাটির স্মার্ট বলনকেতার কারণে, নাকি ওর ভেতরে লুকিয়ে থাকা ছেঁড়া ফিকশনটির জন্যে?
তামিল গানটির সুর স্পর্শ করল, যদিও পুরোটা শোনা হলো না। আধাআধিতে থেমে গেল, হয়ত টাইমড আউট হওয়ার কারণে। আবার চেষ্টা করা যাবে। অর্থ বুঝলে না জানি আরো কত ভালো লাগত।
মুজিব, এই গানটার হিন্দী ভার্সন আছে। নিঘাত সেটা বলেছেন, ইন ফ্যাক্ট আমারো ঐটাই শোনা ছিল। কিন্তু লিরিক থেকে সুর-কে আলাদা করার জন্য অবোধ্য তামিল ভাষার আশ্রয় নিলাম, যাতে গানের কথা কবিতার চরণের সাথে ঝামেলা না পাকায়।
কম্বিনেশন খারাপ যাচ্ছে না তাহলে? গুড, পরে আরো ট্রাই করা যাবে।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
সর্বনাশ! আমার তো ধারণা ছিল আমি পুষে রাখি পাঁজরাতে জোড়া মফস্বল!!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
তামিল ফিল্ম-ইন্ডস্ট্রি এখন ভারতে সবচেইয়ে বড় আঞ্চলিক ফিল্ম-ইন্ডস্ট্রি। তামিল নায়ক রজনীকান্ত হলেন ভারতের হায়েস্ট পেড অভিনেতা (শাহরুখ বা অমিতাভের চেয়ে বেশী) - কিন্তু আমি তার সিনেমায় ভাল কিছু পাই না। কষ্ট করে সাবটাইটেল পড়ে সিনেমা দেখার চেষ্টাই বৃথা বলে মনে হয়।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ক্লাসিক!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন