এমন বাদল দিনে (কর্ডসঙসহ)

??? এর ছবি
লিখেছেন ??? (তারিখ: শুক্র, ০৯/১১/২০০৭ - ৮:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto








তোমার চুল ও এথিকসে হামলে-পড়া উরাধুরা ভাইরাস
আমি, এইতো... বেশ শিখে ফেলছি বর্ষাবন্দনা -- রাগ মেঘমল্লার -- মন্দ না
ওগো অন্তর্যামী, দেখো দুইজন জবুথবু মনোগ্যামি --
হাঁটছি দুটি ভিন্ন ভিন্ন ছাতার প্রযত্নে
আমি হাঁসফাঁস, তুমি সমাহিত,
দু'জনেই সমান মীমাংসারহিত
রোড ও রেস্তোরাঁভিন্ন কোন যৌথগন্তব্য নাই, হায় আমাদের!

গল্প করতে করতে হাঁটি আমরা -- খুব নির্দোষ -- শিশু-শিশু
খুব একমত-একমত গন্ধ সেসব গল্পের গায়ে
তারপর আরও কিছু -- ধরো, খুব ধুরন্ধর -- সুঁইয়ের আগায় কারিকুলাম
বলছিলাম, ওরা তোমার চোখের চামড়ার নিচে নীল হয়ে জমতে থাকবে
তোমারই খাঁচার ভেতর পোষ্য হতে হতে
ওরাই তোমায় শেষে পোষ মানিয়ে ফেলবে!

তুমি তবু ভোঁতা তরবারিগুলোকেই ভয় পেতে পছন্দ করো
শক্তপোক্ত পাঁজরসমেত ওদের সামনে কম্পমান থাকাই তোমার পেশা
ফলে, তোমার বাদল দিনের মনমরা পৃষ্ঠাগুলোর কোনও ভাঁজে
এখন আমার হারিয়ে যাওয়া খুব সাজে
তোমাকে আমার আমাকে তোমার দেখবার সাধ লটকে যাচ্ছে যাক
আমাদের নিজ-নিজ পারিবারিক ফোটোগ্রাফের মাঝে

নেহাত ঘটনাচক্রে তোমার চুল ও এথিকস একসঙ্গে উড়ছিল
আর অবসর ছিল আমাদের। আমি বানিয়ে-বানিয়ে তোমায় বলছিলাম
নানান কৌশলের কথা -- যাদের ব্যর্থতা প্রমাণিত
সেগুলো শিখেছিলাম কোন এক কাঁঠালপাতা ও মাটির ঢেলার
প্রণয়কাহিনী পড়তে পড়তে:
আজ যখন বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া একজোট হয়ে এল -- আমাদেরও যৌথতায়
বোকা-বোকা মাধূর্য ছাড়া কিছুই রইল না
এমন বাদল দিনে, এমন উস্কানিভরা দিনে
একসঙ্গে হাঁটছি আমরা, বিদ্যাকুটের রাস্তা কোনোদিনও খুলবে না জেনে!

..........................
এইবার তবে গান হোক


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

গানটা শুনা যাচ্ছেনা যে ।
মনোগ্যামি মাত্রই জবুথবু নাকি? বড় হাঁসফাঁস বড় বেশী মীমাংসারহিত
-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

??? এর ছবি

শোনা যাচ্ছে না কেন বুঝলাম না। আমি তো শুনতে পারছি লিংক দিয়ে। আবার ট্রাই করে দেখুনতো! মডারেটর-দের শরণ নেয়া যায়।

মনোগ্যামিমাত্রই জবুথবু কিনা? প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট লাগবে। চোখ টিপি
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

অনাবিল আনন্দ এর ছবি

নঈম বলছি
সুমন ভাই, একে কি ঝিঁঝিঁটের সিক্যুয়াল ধরে নিবো? বিদ্যাকূট জায়গাটা আবার ফিরে এসেছে দেখা যাচ্ছে।
.........................................
নিবন্ধনের আবেদন জানানোর পর স্বনামে মন্তব্য করতে দিচ্ছে না। তাই অনাবিল আনন্দ। এ নামে এক বন্ধু ছিলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রায় উপাধিসহ। ধার নিলাম, আগেও নিয়েছি।

??? এর ছবি

নঈম, বিদ্যাকুট আমি কোনোদিনই যাই নি আসলে! তাই ঘুরে ঘুরে আসে হয়ত!
তুমিও তাহলে নিবন্ধনের কিউ-তে আছো? আশা করি শিগগিরই তোমায় স্বনামে দেখবো।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কমেন্ট লিখছি গান শুনতে শুনতে। হিন্দির দৌড় আমার যদিও বলিতব্য নহে হাসি

আমারও মনে ধরেছে "দুইজন জবুথবু মনোগ্যামি "। মিল নেই, তবু কেন জানি মনে পড়ে গেল বীটলসের
Two of us
Wearing raincoat
Standing solo
In the sun...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

??? এর ছবি

ধন্যবাদ। আমিও সংসারে সন্ন্যাসী!
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

মুজিব মেহদী এর ছবি

মনোগ্যামিতা বড়ো খারাপ ব্যাপার, পলিগ্যামিতা আরো।
আর মন হলো এমন এক রহস্য, সব জেনেশুনেও যে বরাবর ওই আরোপন্থী।

চুল ও এথিকসের একসঙ্গে ওড়ার ব্যাপারটা কিন্তু দারুণ লাগল সুমন ভাই।

নিঘাত তিথি এর ছবি

আমি অর্ণবের "বৃষ্টি রাতে গানের মাটি ভেসে" শুনতে শুনতে পড়ছিলাম কবিতাটা...তারপর "আজনাবী" শুনলাম। অসাধারণ গান, "ম্যায় আধুরা, তু আধুরি জি রাহি হ্যায়..."। লেখাটাও তেমন।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

??? এর ছবি

মনোগ্যামিতা বড়ো খারাপ ব্যাপার, পলিগ্যামিতা আরো।

সে কি মুজিব মেহদী? ভয়ংকর "উভগ্যামী" কনফেশন? বলি, ভাবী কি ব্লগ পড়েন না?
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মুজিব মেহেদীর জন্য জাঝা

-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মুজিব মেহদী এর ছবি

কিছুটা গুমর রেখে আমি ট্রান্সপারেন্সির পক্ষে।

সব ফাঁস হয়ে গেলে একজীবনে সংকট সামলানোই দায় হয়ে পড়বে,কামকাজ তো দূর অস্ত।

??? এর ছবি

কিছুটা গুমর রেখে ট্রান্সপারেন্সি...... হা হা হা
ভালই বলছেন। সুবিধামত সিক্রেসি, সুবিধামত ট্রান্সপারেন্সি। চোখ টিপি

..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বুঝলাম।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

বিবাগিনী এর ছবি

‌‌সব গ্যামীই জবুথবু।গ্যামীর পাল্লায় পড়লেই খেল খতম।আর সার্টিফিকেটটা আমার আছে।
::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বুদ্ধদেব বসু 'রাত ভরে বৃষ্টি' উপন্যাসে লিখেছিলেন (হুবহু মনে নেই), ইচ্ছে হওয়াটাই আসল। ইচ্ছেটা পূরণ হলো কি না, তা আর গুরুত্বপূর্ণ নয়।

সেই হিসেবে প্রত্যেক মানুষই বহুগামী। বুকে হাত দিয়ে কোনও পুরুষ বলতে পারবে না, পরনারী গমনের ইচ্ছে তার কখনও হয়নি। তেমনি কোনও নারীর অন্য কোনও পুরুষের শয্যাসঙ্গী হবার বাসনা আদৌ হয়নি, তাও বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই 'সুযোগের অভাবে চরিত্রবান/একগামী'।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।