সোয়াকোটি লোকের এই ঢাকা শহরে শায়লা নাজনীন কোথায় থাকতে পারে ?
আমার দারিদ্র বিমোচন প্রজেক্টের ড্যানিশ কনসালটেন্ট শীতের শুরুতে ঢাকায় ল্যান্ড করলে তারে এই প্রশ্নটা ছুঁড়ে মারি, এজন্য না যে তিনি শায়লারে চেনেন, বরং এজন্য যে, গতবার নিজদেশে ফেরত যাওয়ার আগে তিনি বলতেছিলেন, হাতের তালুর মত আমাদের এই ঢাকাশহর মেট্রোপলিটন হয় কেম্নে? এইবার আমি তারে বিনয় মজুমদার স্টাইলে ধরি:
............................
..........................
মন্তব্য
ভাল লাগলো পড়ে। আমার মত ছ্যাকামাইসিন খাওয়া পাবলিকদের জন্য দুঃখদায়ী, তবে ভাল।
-------------------
প্রবাসী,ছাত্র,দুস্থ,দেশপাগল
-------------------
এই গল্পটা আমার অনেক পছন্দের...
বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
এই পরথম অফিসের কাজ বাদ দিয়া একটানে একটা গল্প পড়লাম। হ্যাটস অফ।
_____________________________
Little by Little
the Night Turns Around...
অসাধারণ, বরাবরের মতন।
এর আগে কই পড়েছি বলুন তো! প্রথম আলোয়? নাকি অন্য কোথায়ো? ব্রেইন ইদানিং বিট্রে করছে।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
ভালো-লাগা গল্প। প্রথম পড়েছি কবিসভায়। দুমড়ে মুচড়ে একটা পাঁচ মিনিট উপযোগী চিত্রনাট্যও লিখেছিলাম, পাঁচে। মনে ধরেনি খসড়াটি, তাই চিরকাল বন্দী নোটবুকে। তারপর শায়লাকে ভুলে গেছি কবে। আবার পোস্ট করায় একটু একটু করে ফিরে যাচ্ছি শায়লার দিকে।
ধন্যবাদ।
আর আপনার নতুন লেখা পড়তে আগ্রহী।
_____________________________
জিকোবাজি | ফটো গ্যালারি | ইমেইল
কোথায় জানি পড়ছিলাম। ভালো লাগছিল বইলাই মনে আছে।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
না আগে পড়া হয়নি ।
পুরোটা পড়লাম । একবার ।এবং আবারো ।
দুটো সমান্তরাল গল্প চলছে পাশাপাশি অথবা একজনেরই দুটো গল্প । মানুষ একই সময়ে অনেকগুলো গল্পের সাথেই সহবাসে থাকে ।
সমালোচনার যথেষ্ট ধৈর্য কিংবা সুক্ষবিচারবিশ্লেষনের মুন্সীয়ানা নেই আমার । পাঠক হিসেবে আমি মুগ্ধতায় ডুবলে পরিত্রান পাই ।
সে কারনেই শায়লার গল্পের চেয়ে 'ডুমরি' আমাকে বেশী মোহিত করে ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
কবিতা (নাকি ছাইপাশ!) লেখার ক্ষমতা হারিয়েছি অনেকদিন হল। আপনার লেখা পড়ে আবার ইচ্ছে হল। কোথাও কোন হাহাকার নেই তবু, কষ্টটা অনুভব করা যায়!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
শায়লার দিকে যাওয়া আমার প্রথম ছাপা গল্প। ২০০৫ সালে প্রথম আলোর সাহিত্যপাতায় ছাপা হয়েছিল। তার আগে সঞ্চালিত হয়েছিল ব্রাত্য রাইসুর কবিসভায়।
আপনাদের পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অমিত আহমেদ-এর মন্তব্যের পরের অংশ (টুপি খোলার পরের অংশ) পড়া যাচ্ছে না। বক্স বক্স আসছে। সম্ভবত ইংরেজি বলে। সমাধান কি?
শায়লা গল্পের আরেকটা পরিসংখ্যান আছে। এটা অনেকেই জানেন না। নিতান্ত অপরিচিত এক লেখকের গল্প শায়লা ছাপা হয় প্রথম আলো-য়, বলেছি। ছাপা হবার দিন প্রথম আলোর সাহিত্য সম্পাদক এই গল্প বিষয়ে ফোন রিসিভ করেন বহুবার। কে এই লেখক? কোনো প্রতিষ্ঠিত লেখকের ছদ্মনাম কিনা...ইত্যাদি। শায়লার গল্পের পেপার কাটিং ব্র্যাকের রিসার্চ এন্ড ইভালুয়েশন ডিভিশনের নোটিশবোর্ডে টাঙিয়ে রাখা হয় কয়েকদিন, রংপুরের আরডিআরএস নামক বৃহদায়তন এনজিওতে কে বা কারা যেন এই গল্পের ফটোকপি বিলি করেন কর্মীদের মাঝে। আমাকে ইমেইল করেছেন পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই, ই-কার্ড এবং কাগজের কার্ডও পেয়েছি বেশ কিছু। বেশ কজন লেখক প্রথম আলো-র সাহিত্য বিভাগ থেকে আমার ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছেন আমাকে। কবিসভায় সঞ্চালনের পর সেখান প্রতিক্রিয়া তো কবিসভায় গেলেই দেখা যাবে। এই আসরের অনেকেই কবিসভারও সদস্য। তারা জানেন সেসব।
দয়া করে এই বয়ানকে আত্মপ্রচার ভাইবেন না ভাইসকল। জাস্ট একটা জিনিস শেয়ার করার জন্য এই আলাপ। এই আসরে অনেক নতুন নতুন লেখককে দেখি। আমি নিজেও প্রায়-নতুন লেখকই। ঘটে মাল থাকলে আপনার স্পেস অটোমেটিক্যালি তৈরি হয়া যাবে, আর মাল না থাকলে বন্ধুরা যতই গাল ফুলায়া বাতাস করুক, পাঁচে পাঁচ রেটিং করুক, কোনো ফায়দা নাই। আমার মনে হয়, লেখকের কাজ হচ্ছে ভাল লেখাটা লেখা। ভাল লেখার এপ্রিসিয়েশন হয় না, এমন ঘটনা খুব নাই এই কালে।
অ্যাহেম!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মা. মু. ...অমিতের মন্তব্যটার বাক্সগুলা খোলার ব্যবস্থা কি? ইট্টু কন না !
অমিতের মন্তব্যে ওইঅংশটুকু তার সিগনেচার দেখতে পাই। তবু আপনার জন্য তিনটা অল্টারনেটিভ সমাধান বলি।
১। কিছুদিন ধৈর্য্য ধরেন। অরূপের সাথে কথা হয়নাই। তবে সে অটোমেটিক ফন্ট লোডের জন্য কিছু করতেছে। সমস্যাটা সেখান থেকে আসছে। সমাধান হয়ে গেলে মুক্তি। তবে আজকে আমিই বসব, দেখি কিছু করা যায় কিনা।
২। এইখানে গিয়া ইন্সট্রাকশন ফলো করেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে দেখার জন্য।
৩। ফায়ারফক্স ইন্সটল করেন এইখান থেকে ডাউনলোড করে। এইখানে গিয়া ইন্সট্রাকশন ফলো করেন ফায়ারফক্সে দেখার জন্য।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একটানে পড়ে গেলাম! চমৎকার!!!
মনোগ্যামির ভুত আমারো অনেক পছন্দের। এখানে মুক্তি দিব কিনা ভাবতেছি... আমি মানুষের কত কত লেখায় সমালোচনার কামলা খাটি, আর লোকে দেখি আমার লেখা পড়ার পর "ভাল" বৈলা আস্তে কৈরা কাইট্টা পড়ে! ঝাইড়া কাশেন না ভাইসকল, একটু শিখি আপনাদের কাছ থেকে।
আপনার গল্পের ভালো/মন্দ একটা সমালোচনা লিখার ইচ্ছা প্রথম থিকাই আছে। কিন্তু সময় হয় না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
খুবই আফসোসের কথা। আমি তো মোটামোটি অ্যাক্রোবেট স্টাইলে সময় এখনো বাইর করতে পারতেছি। নানান চিপা বাইর কৈরা এট্টু "সচল" হওয়া! আপনে সেরকম চিপা খুঁইজা পাইবেন নিশ্চয়।
ঐ বাড়িতে ফুঁচকি আর এই বাড়িতে হাজিরার ভান করতে গিয়ে এই চমত্কার গল্পটাই চোখে পড়েনি।
একবার পড়লাম। নাহ, এত চট করে একটা মন্তব্য নামিয়ে দিতে চাই না। এই গল্প আরেকটু বেশি মনোযোগ দাবী করে। আমি অবশ্য সমালোচক নই। তবে পাঠের প্রতিক্রিয়া জানাতে আমি দ্বিধায় ভুগি না।
ইন্টারনেটে প্রথম আলোর সংবাদ পড়েই অন্য পত্রিকায় চলে যাই, সাময়িকী আর পড়া হয় না। কবিসভায়ও উঁকি দেয়া হয় না। শেষ কবে গল্প পড়েছিলাম মনে পড়ছে না। সচলায়তনে এ এক বড় পাওয়া। সামহোয়ারে থাকলে এটা পড়তাম না হয়তো।
আরেকবার পড়ার সময় বের করতে হবে। তারপর প্রতিক্রিয়া লেখা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
প্রথম আলোতে পড়েছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
শায়লার ব্যাপারটা বাদে বাকী বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারলাম (আসলেই কি?!)। সম্ভবত এ জন্য যে, ড্যানিডার প্রজেক্টে একসময় কাজ করার সুবাদে গল্পের ভেতরের ঐ সংক্রান্ত বক্তব্যগুলোই পুরা বোধটা আচ্ছন্ন করে ফেলেছিলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সুমন, কবিসভায় পড়েছিলাম মনে পড়ছে।
একটা ছোট্টো মন্তব্য। গল্পের শেষে টীকা যোগ করে বলেছেন, না পড়লেও ক্ষতি হবে না। দারিদ্র্যের অর্থনীতি (বা অর্থনীতির দারিদ্র্য), এনজিও ইত্যাদি বিষয়ে আমার মতো অজ্ঞ যারা, তাদের জন্যে ক্ষতিবৃদ্ধির কারণ ঘটে। টীকা-অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি গল্পের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার একটা কায়দা মনে হয় চেষ্টা করলে বের করতে পারবেন।
ওপরের অংশটা লিখে আবার গল্পে চোখ বুলিয়ে মনে হলো, না হলেও ক্ষতি আসলেই নেই। সব না বুঝলেও গল্প বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই। টীকা অংশটা আমি মজা করার জন্যই লিখি। পরে দেখলাম এই গল্পের মেজাজের সাথে ঐ মজাগুলো মিলে ভাল একটা আবহ তৈরি করছে। তাই রেখে দিলাম। তবে এটা না রাখলেও চলে। রেখেছি এজন্য যে, আমাদের দেশে এক ধরনের এনজিও ঘরানার গল্প লেখা হয়। সেসব গল্প পড়লে মনে হয় যেন উন্নয়নের ম্যানুয়াল! গল্প আর বিশ্বব্যাংকের ভাষ্যে তফাৎ পাওয়া যায় না। ভুল বললাম, পার্থক্য একটা আছে: বিশ্বব্যাংকের ম্যানুয়াল অনেক বেশি কৌশলী।
জিও।
শায়লা নাজনীন কে ভালবাসি দুধে ডোবা তুলোর মতন।
আমি ঢাকা শাহরের উপরের মেঘ দিয়ে রিক্সাও চালাতে চাই।
আমি ইথিওপিয়াও যাইতে পারি শায়লা নাজনীনের লগে।
সাবাস।
লেখা চালায়ে যান।
আপনিই আমাগো সাপ্লাই ম্যান।
ফুল রেটিং দিসি।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
ইথিওপিয়া গিয়া লাভ নাই, আছে সে ঢাকাতেই। ঢাকা শহরের ওপর দিয়া রিক্সা চালাইবার সময় খেয়াল কৈরেন শায়লার মত কাউরে দেখা যায় কিনা। আটবছর ধৈরা কত জাতের স্ট্যাটিস্টিকস লাগায়া খুঁজলাম! কতরকম স্যামপ্লিং করলাম! কত অলিগলি, শপিং মল, একতলা দোতলা বাস! কত কত গুরুগম্ভীর আফিসঘর! মাগার পাইলাম না তো!
ইথিওপিয়া গিয়া লাভ নাই, আছে সে ঢাকাতেই। ঢাকা শহরের ওপর দিয়া রিক্সা চালাইবার সময় খেয়াল কৈরেন শায়লার মত কাউরে দেখা যায় কিনা। আটবছর ধৈরা কত জাতের স্ট্যাটিস্টিকস লাগায়া খুঁজলাম! কতরকম স্যামপ্লিং করলাম! কত অলিগলি, শপিং মল, একতলা দোতলা বাস! কত কত গুরুগম্ভীর আফিসঘর! মাগার পাইলাম না তো!
ভাবতেছি, কয়দিন পর পোলারে লৈয়া খুঁজুম। বাপবেটায়।
নতুন মন্তব্য করুন