হুলো আর দোয়েলা, তাহারা আলাদা আলাদা কতই না সুখে ছিল, অতঃপর একত্রে অসুখী হইল
: ঘিঞ্জি ফ্ল্যাটবাড়িগুলো, এর বারান্দা থেকে ওর টয়লেট, ওদের রান্নাঘর থেকে এদের শোবার ঘর, মাঝখানে একটামাত্র ভেজামলিন পর্দা। বাড়িগুলোর তবু ফাঙ্গাস-পড়া প্রাইভেসি, বেশ টনটনে বাউন্ডারির ভেতর তারা দাঁড়িয়ে। সেখানে একবার, একফালি দমকা হাওয়া, উচ্চাভিলাষী, ফলত দলছুট, বাউন্ডারির ধাঁধায় পথ হারিয়ে ফেলল। আমি তখন চাঁছাপোঁছা একটা হাড্ডির গায়ে মাংস গজানোর ম্যানুয়াল বানাচ্ছিলাম। তুমি কোথায় ছিলে, দোয়েলা?
:আমি? আমি থাকতাম ফানুষ-মনোহর প্যাট্রিয়ার্কির ওমে, স্নেহে-নমিত আমার স্তনজোড়ার সাথে। স্পেয়ার থাকলে ঐ ফালি বাতাসটার পিঠে দু'টা পাখনা গুঁজে দিতাম নিশ্চয়। ওর গান শুনি নি, বয়সহেতু এটুকু বধিরতা মানানসই বলে। আমি শুধু দেখছিলাম, গলির ধারে, ওর মিনতিরাশিকে তুমি তোমার রোমশ ইগোর ওপর ঢেউ খেলাতে দিচ্ছো।
: আর আমাদের একত্রীভবন আড়াল করতে চারপাশে দেয়াল তুললো মৌসুমী ডিপ্রেশন, আহা, সে কী বন্ধুর মত বৃষ্টি! আমি তোমার গায়ে জমাট বাঁধলাম, আবার অনিদ্রা হল, আয়না দেখার সাহস ফিরে এল। তুমি আমাকে আঁকলে ভবিষ্যতের বলিরেখাদের ম্যাপে, প্রায় একইরকম অসহ্য আশাবাদে প্যান্ট গুটিয়ে হাঁটা লোকটা চেঁচাচ্ছিল, এই দেখো, পানির লেয়ার একটু হলেও উঠবে। বৃষ্টি ঝরছিল তার সর্বশক্তি দিয়ে, আমাকে সে ফিসফিস করে তাড়া দিচ্ছিল, আমি তার বাষ্পসংকটের বিষয়টি অবগত ছিলাম, জানতাম ফকফকে বেহায়ামত রোদে সেলাইসমেত আমরা প্রকাশ্য হয়ে উঠবো, তাই তোমার দিকে তাকিয়ে আমি তোমার মৃত্যুর কথা ভাবছিলাম, তখন তুমি কথা বলছিলে আমার পূর্বঘোষিত দেশান্তর নিয়ে।
২০০৪
মন্তব্য
-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নির্বাক হয়ে গেলাম, অনন্যগতি বলে।
নতুন মন্তব্য করুন