সালভাদর দালির পক্ষে যতটা নিরীহ করে আঁকা সম্ভব ততটাই নিরীহ একটি বালিকার ছবি, তার সাথে এবার চিপাগলির ("ডায়ার স্ট্রেইটস") সঙ্গীত সহযোগে একটা কবিতা হোক। গানটা প্রথম চালু করে দিন। গান শেষে বেশ খানিকটা ইনস্ট্রুমেন্টাল আছে, সেই অবসরে না হয় কবিতাটা পড়ে নেন!
[url]
|
[/url]
বেড়াল যেভাবে হাঁটে, কিংবা ধরো, যার অভিলাষ নাই
নখ আছে গোলাপি থাবার নিচে, উদ্ভাস নাই
সেভাবেই আমি আমার প্রজ্ঞাকে
তোমার শ্রুতিসীমা থেকে লুকিয়ে রাখতে চাই
কিশোরী ঘূর্ণির কাছে হঠাত্ একটি উলুঝুলু নারকেল গাছ
যেভাবে নাকাল হয়, অথবা শুশুক
যখন রক্তাক্ত হয়
কালো মেঘ আর ভাসমান ট্রলারের পার্থক্য না বুঝে
আর মনে করো: পিপীলিকা যে নিয়মে তার
মৃত স্বজাতিকে
খাদ্য তালিকায় স্বতঃসিদ্ধ করে, যেভাবে একটি হাট
শ্রাবণের সামান্য হাসিতে
টুকরো টুকরো হয়ে পালায় চালাঘরে
নিজ বিকাশের প্রাত্যহিক বারান্দায় বসে
তুমি এদের ওপর হাসির হররা বইয়ে দাও
এদের জন্য তৈরি করো কার্যকারণের
শাদাকালো স্কুলড্রেস
আর আমি ভাবি, তোমার কৌতূহলের কথা
দূরাগত শান্ত জিজ্ঞাসার কথা
যখন জানবে তুমি কেন এরা চিরদিন পরস্পর-অভিযোগহীন
ততদিনে, নিরুত্তর ধোপাঘরে, তোমার স্কুলড্রেস তুমি হারিয়ে ফেলেছো!
মন্তব্য
::::::::::::::::::::::::::::::::::::
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
সাধু সাধু
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সেইরম একটা কবিতা পড়লাম । মেজাজ বিলা কইরা বয়া ছিলাম । এখন গা ঝাড়া দিয়া উঠলাম । স্কুল ড্রেস হারাইতে দেওন যাইবো না ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ধন্যবাদ। ফিউশনগুলো মনে হয় খুব খারাপ হৈতেছে না।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ছবি, অডিও ও কবিতা!
হুমম, বেশ ভালো একটা ঐক্যতান।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
একটা কবিতা পড়লাম বলে মনে হলো।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
একটা মন্তব্য পড়লাম বলে মনে হল।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
কিশোরী ঘূর্ণির কাছে হঠাত্ একটি উলুঝুলু নারকেল গাছ
যেভাবে নাকাল হয়
এবং
যেভাবে একটি হাট
শ্রাবণের সামান্য হাসিতে
টুকরো টুকরো হয়ে পালায় চালাঘরে
এই অসাধারণ চলচ্ছবি (!) দুটো আমার খুবই নিবিড়ভাবে চেনা। কিন্তু আমি লিখতে পারি নি আহা!
মুজিব মেহদী
আপনি দেখেছেন বলেই না আমার লেখার অর্থ দাঁড়াল।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ডালি সাহেব ছবি ভালোই আঁকেন যেমন সুমন রহমানের কবিতা
-----------------------------------------
'প্রিয়তম পাতাগুলো ঝরে যাবে মনে ও রাখবেনা
আমি কে ছিলাম,কি ছিলাম--কেন আমি
সংসারী না হয়ে খুব রাগ করে হয়েছি সন্ন্যাসী
হয়েছি হিরন দাহ,হয়েছি বিজন ব্যথা,হয়েছি আগুন'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপাতত গান শোনার স্কোপ নেই। কবিতা পড়লাম এবং অবশ্যই ছবিটা দেখলাম। মন ভরে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অন্যরকম একটা কবিতা পড়া হল। অনেকদিন আর কিছু লিখতে ইচ্ছে করবেনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
কী বলেন?
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আহ, শান্তি! যেমন পেইন্টিং, তেমন গান, আর ঠিক তেমনই কবিতা। কোত্থেকে আসে এগুলো? এই একই গান আমি শুনেছি কত শত বার। কই, আমার মাথায় এসব আসে না তো!
কিছুদিন ধরে আমি নিজেও মার্ক নফলারে আটকা পড়ে আছি। একবার ঢুকার পর লেখা-পড়া-ব্লগ-কাজ ফেলে শুধু শুনেই চলেছি। এর মাঝেই এই গান, কবিতা!
অভি, গানটা শুনতাম সাতাশি-আটাশি-র দিকে, দালির ছবিটা দেখেছিলাম বিরানব্বই-তিরানব্বই-এ, আর কবিতাটা লিখেছিলাম সম্ভবত পঁচানব্বই সালে। ২০০৭ সালে এসে এই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ের অভিজ্ঞতা কী সুন্দর একই ঐকতানে পড়ে গেল! এখানেই ব্লগ, কাগজের পাতায় এ ধরনের ঐকতান রচিত হয় না।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
অসাধারণ একটা কবিতা! এমন কবিতা পড়িনা অনেকদিন... সুমন রহমানকে ধন্যবাদ। ভাল কবিতা পড়লেই ইদানিং আমার ইচ্ছে করে আমার কোনো গল্পে কিংবা উপন্যাসে ঢুকিয়ে ফেলতে! হয়তো নিজের গদ্যের দূর্বলতা ঢাকতে এটা আমার অবচেতন মনের একটা কুটকৌশল। তবু অনুমতিটা নিয়েই রাখি, নাকি?
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
রয়্যালটি দিতে হবে
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
এইরে, কাম সারছে!
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
নতুন মন্তব্য করুন