পাতা বড় দ্রুত উল্টায় সচলায়তনের। এতো দ্রুত, মন ওর সাথে পারে না। মন পিছিয়ে পড়ে, পুরনো লেখার মমতায় নিজের হাত-পা জড়িয়ে পড়ে থাকে। আর সচলের বিরাম নাই, কাল যাকে শীর্ষে রেখেছিল আজ সে বিস্মৃতির তলদেশে। তবু সচল তো শিশু এখন অব্দি, দর্জির দোকান থেকে তার বানানো ইউনিফর্ম সে গায়ে পরেছে মাত্র। সেই ইউনিফর্ম, অজস্র প্রশ্নের ফুলঠোকায় প্রশ্নবিদ্ধ, ভ্রুকুটিবিদ্ধ, যেনবা ওর গায়ের মাপ থেকে ছোটই হয়েছে ! সঙ্গত কারণেই আমাদের পোশাকী সচলায়তন যেন বা একটু আড়ষ্ট, যেন বলছে, দেখো, এই পোশাকে আমার গা তো ঢাকছে না, তবু তোমরা আমায় জোর করে এর ভেতরেই ঢুকাচ্ছ!
হ্যাঁ তো। ঢুকাচ্ছি আমরা। ঘরপোড়া বলে কথা। সামহোয়ারের সন্ত্রাস এখানে দেখতে চাই না। তাই মেঘ সিঁদুরে হবার আগেই ভয় পেতে ভালবাসি আমরা। ভালবাসি ভয় ছড়াতেও।
তাই বলে এতো এতো চেকপোস্ট! চিত্ত আমার যে হারায়, এই ঘন ঘন পুলিশি প্রহরায়!
ভাবছি, আচ্ছা, নিজের ব্লগে আমি কতটুকু স্বাধীন? নীতির খপ্পর এড়িয়ে নিজের ঘরেই ঘাপটি মেরে বসে থাকবো নাকি? যদি তাইই থাকি, যদি প্রথম পাতায় ঠা ঠা অট্টহাসিসমেত হাজির না হই, তবে পাঠক, এসো এসো আমার ব্লগে এসো আমার ব্লগে!
মন্তব্য
বেশী কইরা ল্যাখেন
আপনেরো ভয় কাটবো, আমাগোরো
ঘটনা হল গতবছরের শুরুসামহয়ার একটা অসাধারন জায়গা ছিল। তারপর আমরা ফ্লাডিং, ট্রলিং বহু কিছু দেখে বেশ ধাক্কা খাই। তাই নীতির কঠোর একটা খাঁচা তৈরি করা হয়েছে। সেই খাঁচায় তো সুমন রহমানকে আটকানোর সুযোগ দেখা যাচ্ছে না..
সবাই চাইছেন সাইট বড় হোক, উন্মুক্ত হোক
সেই সময়টার কথা ভেবে চিন্তিত। সবাই সুমন রহমান না যে লিখতে ভালো লাগে বলে লিখে যান। তাদের জন্য কিছু কালাকানুন না রাখলে বিপদ, কারন ধূর্ত মানুষের সাথে যীশু খ্রীষ্টের নীতি চলে না..
অসুবিধা হলে জানাবেন। আপনার আমন্ত্রিতকে নতুন পাসওয়ার্ড এখনও পাঠাইনি বলে দুঃখিত। বাড়ি গিয়ে করে দেব। ফোন নাম্বার দিলে আলাপ করা যাবে :)
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
অরূপ, কবিসভা নামক একটা ইয়াহু গ্রুপে লেখালেখি করছি বছর তিনেক ধরে। এই গ্রুপের মডারেটর ব্রাত্য রাইসু। তিনি এই গ্রুপ চালাবার জন্য কোনো প্রকাশ্য নীতি ঘোষণা করেন নাই। তবে কবিসভার অ্যাকসেস মডারেটর নিয়ন্ত্রিত, সচলেরও তাই। আর এ কারণেই আমি সচলায়তনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছি, অথচ সামহোয়ারে আমার সদস্যপদ ছিল প্রায় গোড়া থেকেই। অনিয়ন্ত্রিত গ্রুপ বলে সেখানে লিখি নাই। কবিসভার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রিত হলে তেমন বড় কোনো সমস্যা হয় না। আর যদি হয়ই, সেটা কেস-বাই-কেস মিটিয়ে ফেলা যায়।
নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার ধারণা হল, নীতিমালা দিয়ে এর উদ্দীষ্ট পপুলেশন খুব কমই এফেক্টেড হন। নীতিমালা সবচে বেশি সমস্যায় ফেলে এর প্রণয়নকারীকে।
যন্ত্রশাস্ত্রে একটা নীতি আছে, কোনো যন্ত্র যতক্ষণ পর্যন্ত চলমান থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত তার ট্রাবলশুট না করা।
তবু, প্রণীত নীতিমালাকে আমি স্বাগত জানাই। শুধু ভয় এটাই যে, এইসব নীতির রক্ষণাবেক্ষণে কর্তাদের ব্লগারসত্তার না অপমৃত্যু ঘটে!
অরূপ আমার ফোন নম্বর আপনাকে ব্যক্তিগত মেইলে দিই? দয়া করে আপনার মেইল অ্যাড্রেসটা পাঠিয়ে দেন।
আমরা বহুরকম এক্সপিরিমেন্ট করছি কিভাবে ক্লোজড গ্রুপ ম্যানেজ করা যায়। কবিসভা নিয়েও বহু গল্প (ভালো/মন্দ) শোনা..
দেখা যাক কি হয়..
ঠিক। নীতিমালায় কড়াকড়া পয়েন্ট আছে। তবে আসল কথা হইলো বাস্তবায়ন। মিষ্টিকথা বইলা বাঁশ দেওয়ার চাইতে কড়া কথার নীতিমালা রাইখা একটা ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করাটা কাম্য।
উলটাপালটা কাম করলে গালির টার্গেট হিসেবে মডুগণতো আছেনই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ইললিবারাল ডেমোক্র্যাসি! সচল যেন সিঙ্গাপুর না হয়!
সিঙ্গাপুর হবে মনে হচ্ছে, দেশটা আফটার উন্নত
সারছে! এক বাঙালের জন্য দুই-দুইখান সিঙ্গাপুর! একটু বেশি হয়া গেল না?
সিঙ্গাপুরের খান-পড়েন, সিঙ্গাপুরেরই নিন্দা করেন!
আপনে দাদা কঠিন নেমকহারাম! =))
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
সচলায়তনকে নিয়ে শুধু আশঙ্কা করে গেলে তো মুশকিল :) ... আশার কথাও শুনতে চাই।
তার আগে আরো গল্প পড়তে চাই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
অরূপের ফর্মূলা, হিমু। লেইখ্যা লেইখ্যা ভয় কাটাইতেছি!তবে আমার ভয় আপনাদের ভয় থেইকা আলাদা। আপনেরা ভয় পাইতেছেন ফ্লাডিং, ট্রলিং আর গালাগালি। আর আমি ভয় পাই প্রাণহীন ঐকমত্যের মনোটনি। আপনেরা আপনেগো ভয় থেইকা নীতিমালা দিছেন, আমি আমার ভয় থেইকা ব্লগর ব্লগর করতেছি!
খালি গল্পই পড়বেন? কবিতা পড়েন না ক্যান? :(
বস,
পোলাপাইনরে ক্ষেপাইয়েন না,
শেষে ইস্পাতের জাঙ্গিয়া কিনতে হবে =))
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
কবিতা একটু রয়েসয়ে পড়তে হবে। কবিতার ভয়টা কাটুক আগে একটু।
প্রাণহীন ঐকমত্যের মনোটনি মাশাল্লাহ এই বাঙালি জাতির মধ্যে হবে না। ইতিহাস অন্তত তাই বলে। তর্ক চলবে সমানে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
প্রথম অভিযোগ করছি স্বয়ং নীতিপ্রণেতার বিরূদ্ধে। মাননীয় অরূপ তার উপর্যুপরি দুই মন্তব্যে আমার বিরূদ্ধে ব্যঙ্গাত্মক ও অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেছেন। এবং তারই প্রণীত সচলায়তন নীতিমালার ৪ ও ৬ ধারা লংঘন করেছেন।
যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টা ভেবে দেখবেন।
ROFL!
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
অর্থ বুঝলাম না অরূপ। এটা কি গালি?
বস, rofl মানে Rolling on Floor Laughing, আপনি যদি ইয়াহুতে কখনো চ্যাট করেন তাহলে দেখবেন এরকম একটা শর্টকাট আছে ওখানে। এটা গালি নয়।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিকাছে হিমু। নীতিমালা পইড়া দেখুম এইটা কোন্ ধারায় পড়ে? আমার অভিযোগ পইড়া অরূপ গড়াগড়ি দিয়া হাসতেছেন ক্যান! আমি কি ওনারে প্রশংসা করছি?
হ্যাঁ, আমার মনে হয় আপনি নীতিমালা নিয়ে এমন কিছু ফাঁকফোঁকর খুঁজে বের করে ফেলতে পারবেন যা হয়তো আমাদের চোখেই পড়তো না কোনদিন। ভবিষ্যতে সেগুলি বোঁজানোরও ব্যবস্থা হয়ে যাবে তাহলে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমার ধারনা এখানে অযথাই একটা ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে নীতিমালাকে ঘিরে। নীতিমালাকে সিরিয়াসলি নেয়ার কোন দরকার নেই। নীতিমালা তৈরী করেছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে যখন সচলায়তনকে খুলে দেয়া হবে। এখন যেমন সবাই সবাই মোটামুটি চিনি, এবং আমাদের মধ্যে বিশ্বাস আছে। সচলায়তন উন্মুক্ত হবার পর এটা থাকবে না। তখন আস্তমেয়ে, তেলাপোকা টাইপের ট্রোলদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য কিছু পন্থা দরকার, বিশেষ করে গোলাম আজমের পক্ষ নিয়ে, অথবা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ছড়াতে এখানে কেউ যেন ঢুকে না পড়ে। এ মুহুর্তে যারা সদস্য তাদের বিচলিত হওয়ার কোন কারন দেখি না। লিখে যান নিজের মতো, কোন বাধা আসার সম্ভাবনা নেই। সচলায়তনকে নিয়মের ফাদের বেধে ফেলাটা উদ্দ্যেশ্য নয়, শুধু ভবিষ্যতে কেউ সচলায়তনের সুযোগ নিয়ে ছাগুরামের মতো করলে তাদেরকে কিভাবে আটকানো যায় সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। আর সব নীতিমালাই সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে, এটা কারো প্রেরিত গ্রন্থ নয়।
আমি সচলদের আহ্বান করবো, নীতিমালা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে সময় নষ্ট না করতে। কারো লেখাই বাধাগ্রস্ত হবে না।
অরূপ বেচারাকে ছেড়ে দিন সুমন ভাই। সে একমাস না ঘুমিয়ে আছে। এমনিতে অরূপ খুব ইমোশনাল। অরূপ আর এসএম৩কে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য আরো অনেকে আছে। ওরা বেয়াড়া হয়ে গেলে শাস্তি দেয়া যাবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি নীতিমালা-বিচলিত না উৎস। আমি আমার পোস্টে লিখেছিলাম যে, প্রণীত নীতিমালা এর প্রণয়নকারীকেই প্রথমে খায়। এরই প্রমাণ হিসেবে অরূপের বক্তব্যের ব্যাপারে নীতিমালাসম্মত উপায়ে আপত্তি করছি। আমার বক্তব্য অযৌক্তিক হলে অরূপ বা কর্তৃপক্ষের যে কেউ আমার ভুল ধরিয়ে দেবেন নিশ্চয়।
আসলে অরূপ নীতিমালাটা প্রনয়ন করেছে বলে মনে হয় না। সে আমাকে বলেছিলো এটা সে লিখিয়ে এনেছে, যেহেতু অন্য কেউ পোস্ট করে দায়িত্ব নিতে চায় না তাই সে পোস্ট করেছে। নীতিমালায় বাগাড়ম্বর বেশী ছিল, নানারকম অসঙ্গতিও আছে। তবে আমার মনে হয় না কমনসেন্সের উপরে কোন নীতিমালা সচলায়তনে আছে। অরূপের সুনাম আছে মাথা গরম করার জন্য। সেরকম হলে অরূপকে কয়েকদিনের জন্য ব্যন করা যায়। তবে আপাতত নীতিমালা প্রসঙ্গটা বাদ দিয়ে লেখালেখিতে মন দেই। সচলায়তনের টার্গেট ভালো লেখা, ভালো লেখক, ভালো পরিবেশ। ছাগুরাম, রাজাকার, ফ্লাডারদের হাত থেকে মুক্তি দরকার। এ মুহুর্তে এসবের উৎপাত নেই। কিন্তু একসময় না একসময় সবার জন্য হয়তো দ্বার খুলে দিতে হবে, তখনকার কথা ভেবে নীতিমালার চিন্তাভাবনা আছে অনেকদিন ধরেই। জেবতিক ভাই, শোমচৌ এরা সিনিয়র ব্লগার হিসেবে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। এসবের ওপর ভিত্তি করে কি করা যায় সেসব নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চলছে। কোনটাই নিশ্চিত না। শুধু সচলকে সামহ্য়্যার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করাটাই লক্ষ্য।
অরূপকে ব্যন করার পক্ষপাতী আমি না উৎস। তিনি এত পরিশ্রম করেছেন সচলায়তনের জন্য। এর প্রতিদানে উনার দুয়েকটা মাথা গরম কথা তো আমি সহ্য করতেই পারি!
অরূপের জাঙ্গিয়ার ব্যাপারটা ভালো লেগেছে। একটা ছোট্ট প্রশ্ন ছিল এ ব্যাপারে, জাঙ্গিয়াতে কি জিপার সংযুক্ত করা হবে নাকি তালা-চাবি? :)
__________
কি মাঝি? ডরাইলা?
দেশি হুড়কোও মন্দ ন্য়।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
দ্রোহী, আমি কিন্তু অরূপের জাঙ্গিয়ার ব্যাপারটাকে অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ বলে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেছি। আপনার ভাল লাগলে ওর জাঙ্গিয়া আপনি পরে দেখতে পারেন। দরকার হলে দুজনে শেয়ার করে পরতে পারেন সকাল বিকাল। সেটা নিজেদের ব্লগে বলুন এবং করুন। এসব আলাপ শুনবার ধৈর্য বা রূচি কোনোটাই আমার নাই।
সচলায়তন এবং তাকে ঘিরে জড়ো হওয়া মানুষজনের ব্যাপারে আমি ইতিবাচক থাকতে চাইছি।
নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আমার ধারণা হল, নীতিমালা দিয়ে এর উদ্দীষ্ট পপুলেশন খুব কমই এফেক্টেড হন। নীতিমালা সবচে বেশি সমস্যায় ফেলে এর প্রণয়নকারীকে।
সুমন ভাই আপনের এই বক্তব্য এক্কেরেই খাটি! যুগে যুগে কালে কালে নীতিমালা কিন্তু প্রণয়নকারীগোই বিপদে ফেলে। তয় নীতিমালাতে যদি পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস থাকে তাইলে ভিন্ন কথা।
লেখা মডারেশন নিয়া আমার বক্তব্যও আপনের কাছকাছি। সামহোয়্যার ইনে ত্রিভুজ তরীকা আটকাইতে আসলে মডারেশন কোন কামে লাগে না। কারন ত্রিভুজ তরীকা আসলে ফিক্সড বিলিফ থেইকা আসে...যেইটার একটা যুক্তি বচন সেইটা হইলো বিশ্বাস। নীতিমালাও সেইরম বিশ্বাস হইয়া গেলেতো সমস্যাই....
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
সেইটাই ভাস্কর। আমি সতর্ক করার জন্য কিছু প্রশ্ন রেখেছিলাম, তারপরেও কিন্তু নীতিমালাকে স্বাগত জানাইছিলাম। জানানোর পরেও এই আলোচনা আইসা অরূপের জাঙ্গিয়াতে কেন ঠেকল তার জবাব অরূপ এবং অন্যান্য মৌনব্রতীরা ভাল দিতে পারবেন। উৎস বললেন ওরে ছাইড়া দিতে। ছাইড়া দিলাম। আমার মনে হয়, আমাদের অনেকেরই ভিন্নমত সহ্য করবার অভ্যাস গড়ে ওঠে নাই। নিজের বা নিজেদের মতকে দুনিয়ার শেষকথা বলে মানার প্রবণতা আছে আমাদের। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, এটা কিন্তু আরো কঠিন মৌলবাদ, যতই প্রগতিশীলতার মোড়কে জড়ান থাক।
তবে, নীতিমালা যে একটা পরিবর্তনযোগ্য বিষয় সেটা সচলের কর্তাব্যক্তিদের মনে হয়েছে দেখে স্বস্তি পাচ্ছি। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
ভিন্ন মত যদি ত্রিভুজীয় তরীকার হয় তাইলে আমারো খুব একটা ভালো লাগে না। কিন্তু যদি সেইটা যুক্তিবচনের উপর দাড়ায় তাইলে আমিও আছি সেই তর্কে।
কর্তা ব্যক্তিরা আসলেই পরিবর্তনের কথা কইতেছেন...এইটা অন্য ব্লগসাইটের চাইতে সচলায়তনরে আলাদা কইরা দিবো নিঃসন্দেহে।
গালি কিম্বা খোঁচা আসলেই অনেক সহজে দেওন যায়...যুক্তিরে যুক্তি দিয়া ঠেকানটা আসলেই সহজ না।
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
সেটাই।
প্রতিটা অবস্থানেরই একটা রাজনৈতিক বক্তব্য থাকে। সচলায়তনেরও আছে। রাজনৈতিক বক্তব্য যে সবসময় সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে হবে তা তো না। এইখানে যেইটা আসলে পক্ষপাতিত্বের জায়গা সেইটা হইল ইন্টেলেকচুয়াল তর্কবিতর্কের অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ডের বাইরে ফ্যাসিবাদীঅবস্থানরে ঠেকানো হইছে।এইখানে কেউ যদি ওয়ালীর মতো বলে যে ইসলাম বিরোধী কথা বললে বেইসবল ব্যাট দিয়া পিটানো হবে তাইলে সচলায়তনের মডুরাম ঠাকুর তারে লাত্থি দিয়া বাইর কইরা দিবো। তার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার উদারতা সচলায়তনের নাই। ব্রাত্য রাইসু সেই সময় সামহোয়ারে ওয়ালীর পক্ষ নিতে গিয়া আমার আর মুখফোড়ের হাতে ধোলাই হইছিলেন।তো সেই অবস্থান সচলায়তনে নিতে গেলে সম্ভাব্য সকল প্রকার নিষ্ঠুরতা করতে আমরা প্রস্তুত।
তবে কেউ যদি ইন্টেলেকচুয়াল আর্গুমেন্ট তুলতে পারেন যে কোন জায়গা থিকা। সেইটা অনুমোদিত যতক্ষণ সেইটা অ্যাকাডেমিক ভব্যতার আওতায় পড়বে। সন্ত্রাসের রকমফের নিয়া যেমন এখনি একটা তর্ক উঠতে পারে। উঠান কোন সমস্যা নাই। তর্কে আমার হর্ষ হয়। নিজের ভুল গুলাও ধরা পড়ে। বৃহত্তর অর্থে ডায়ালেকটিকস ছাড়া শিক্ষা অসম্পূর্ণ থাইকা যায়।
তো সেই ডায়ালেকটিকস এর জায়গা থিকাই বলতেছি যে প্রতিটা প্লাটফর্মেরই কোন না কোন জিরো টলারেন্সের জায়গা থাকে। আমাগো জিরো টলারেন্সের জায়গা হইল ধর্ম ব্যবহারকারী ফ্যাসীবাদ।
কেউ যদি উত্তরাধুণিকতার মুখোশ পইড়া গো আ মুখী প্রচার চালায় তাইলে তাকে ততক্ষণ সহ্য করা হবে যতক্ষণ সে তার মুখোশ ধইরা রাখতে পারে। খুইলা গেলেই বোলারস ব্যাক ড্রাইভ।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আকর্ষনীয় পোস্টে জম্পেশ আলোচনা।পুরোটাই পড়ে গেলাম।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
উত্তরাধুনিকতা মানে কি পরিত্যক্ত, পরিত্যাজ্য বিষয়গুলোরে মাথার উপরে স্থান দেয়া। আলোচনার টেবিলে নিয়া আসা। এই ব্যাখ্যা কে বা কারা চালু করলো? হ্যা উত্তরাধুনিকতা মানে সব ধরনের উচ্চারণকে টেবিলে আসতে দেয়া। সেটা তো কখনও কোনো একটা বিষয়ের নিলজ্র্জ পক্ষপাত করার উদ্দেশ্যে না। অবহেলিত, দৃষ্টির আড়ালে পড়ে যাওয়া বিষয়গুলোও যাতে বিবেচনায় আসে সে দরোজা খোলার চেষ্টা।
মহত্ চেষ্টার অসত্ সুযোগ নেয়াটাকে পাশ করিয়ে দেয়ার জন্য উত্তরাধুনিকতার অজুহাত ব্যবহার করলে কি আর হবে? এসব সাধারণ বা মৌলিক বিষয় নিয়ে তর্ক তোলাটাকে আমার কাছে মাথামোটাত্বই মনে হয়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মাথামোটা লোক যেহেতু আছে সুতরাং সুযোগ নেওয়ার লোকও আছে। একই কারণে ছাগু খেদানো লোকও আছে। :D
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সুমন চৌধুরী, এত "যদি" আর "তবে" দিয়া যে কাহন আপনে গাইলেন তাতে আমার কোনো দ্বিমত থাকনের দরকার আমি দেখি না। আপনার বক্তব্য সম্ভাবনাময়। অর্থাৎ এইটা হৈলে এইটা হৈবে, এইরকম হৈলে লাত্থি মাইরা খেদায়া দিমু, এইরকম হৈলে সম্ভাব্য সকল প্রকার নিষ্ঠুরতা দেখামু, ইত্যাদি ইত্যাদি। বাহ। বেশ চমৎকার!
ভাল কথা, এইসব থ্রেট এই পোস্টের লেজে দেওনের দরকার কেন ফিল করলেন? পোস্টে পোস্টকারীর বক্তব্য তো যথেষ্ট পরিষ্কার। বোঝার সমস্যা থাকলে জিগাইতে পারেন। সেইটা না কৈরা আপনের অনাগত এবং বিগত সকল প্রকার উদ্বেগ নিয়া এই বক্তব্যের ওপর ঝাপায়া পড়তে যাওয়ার হেতু কি? ওয়ালি বা ব্রাত্য রাইসুর দৃষ্টান্ত এখানে আনার অর্থ কি? আমার বক্তব্য কোন্ জায়গায় তাদের প্রতিনিধিত্ব করে দেখায়া দেন। আপনে কবে কাকে ধোলাই দিছিলেন এই গল্পে এই আলোচনার কী লাভ, সন্ত্রাস ছড়ানো ছাড়া?
এইসব রাইখ্যা সরাসরি একটা কথা বলেন: আমার নাম সুমন রহমান, এই ব্লগে লিখতেছি অল্প কিছুদিন। আমার যা বক্তব্য আমি সরাসরি বলি, কোন "যদি" বা "কিন্তু"র ধার ধারি না। টেক্সট আপনার সামনে হাজির আছে, সেইখান থেকে কথাবার্তা বলেন। গায়েবী প্রকল্প প্রণয়ন কৈরা কথা কৈলে আমার বুঝতে সমস্যা হয়।
শুধু প্লাটফর্ম কেন, প্রতিটা মানুষেরই জিরো টলারেন্স ইস্যু আছে। আমার বেলায় সেইটা হৈল, ছদ্মবেশী অসম্মান। অরূপের বক্তব্য অসম্মানজনক ছিল, প্রতিবাদ করেছি বিধি মোতাবেক। আপনার বক্তব্যেও তার আলামত দেখতেছি। বোঝা যাচ্ছে, প্রতিবাদে আর লাভ নাই। প্রস্থানই শ্রেয়তর বিষয়। আপনার/আপনাদের ক্লারিফিকেশন শোনার আকাঙ্ক্ষা থেকে একটু সময়ক্ষেপণ করি, তার আগে। তারপর বিদায়ী পোস্ট।
এইবার মনে হয় বিষয়টা এট্টু ভুল বুঝাবুঝির দিকে যাইতেছে। আমার বক্তব্যের সারবস্তু ছিল পোস্টের দিকে। আর মাইর ধইর বা খেদানোর উপমা ব্যবহার করা হইছে কিছু সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্ররে বুঝাইতে। যেইটা অরূপের প্রথম মন্তব্যে আছে। অভিজ্ঞতার জায়গা থিকা কড়াকড়িগুলি উচ্চারণ করা হইছে। কোন ক্ষেত্রে মডারেশনের প্রয়োজন হইতে পারে তার উদাহরণ হিসাবে একটু স্মৃতি হাতড়াইলাম। আমার শব্দ ব্যবহার কিছুটা কর্কশ হইয়া গেছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। তবে সেই ধারালো বাক্যের টার্গেট আপনি কোন অবস্থাতেই না। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনারে কোনরকমের কষ্ট দিয়া থাকলে পুর্ণমাত্রায় লজ্জ্বিত।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
একটা কথা জানাইয়া রাখা ভালো...অরূপের জাঙ্গিয়া বিষয়ক মন্তব্য আমার চোখে এইমাত্র পড়ছে। আমার করা প্রথম মন্তব্য পুর্ববর্তী মন্তব্যের ধারাবাহিকতা না।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সুমন রহমান, আপনি কারিগর বেচারাদের একটু বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ দিন। ওদেরকে নিয়ন্ত্রনে আনার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। আসলে অনেক কিছুই নতুন বা প্রথমবারের মতো করা হচ্ছে সেজন্য টুকটাক ভুল হতে পারে, তবে আমার ধারনা সবাই শেষমেশ একমত হবো গনতান্ত্রিক মুল্যবোধই এরকম একটা প্ল্যাটফর্মের শেষ কথা। প্রতিবাদে লাভ নেই এটা আপনার ভুল ধারনা। আপনার প্রতিবাদে লাভ হয়েছে। গায়েবী প্রকল্প থাকবে না। আর ব্যক্তি অরূপকে সচলায়তন প্ল্যাটফর্মের সাথে না গুলিয়ে ফেলাই উচিত হবে। নানা জনের নানা মতামত থাকবেই, মতদ্বৈততাও হবে। কারো কথাই শেষ কথা নয়।
সুমন রহমান আমি বেশ অবাক হলাম- যদিও কবি সভার বিষয়ে এমন কথা শুনেছিলাম যে এঁড়ে তর্কে তারা ব্যতিব্যস্ত থাকে তবে এখানে তার একটা প্রমাণ দেখলাম- বিষয়টা আসলে ভুল স্থানে হস্তক্ষেপের-
আপনি ভালো লেখক- আপনার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আছে- নিজস্ব নীতিবোধ আছে-
তবে অরুপের সমস্যা কিংবা এই মন্তব্যের মারামারি কাটাকাটিতে সমস্যার জায়গা হচ্ছে মানসিকতার-
আপনি মানসিকতায় নীচ এটা বলতে চাইছি না তবে সমস্যার কেন্দ্র আসলে অরুপের ভাবনা যে সে আপনাকে বন্ধু ভাবতে পারে কিংবা বন্ধু ভেবে কোনো ঠাট্টা করতে পারে এই ভাবনাটার-
সমস্যা নেই
আপনি অবশ্য নীচের নীতিমালায় লিখে দিতে পারেন- আমি বন্ধুত্বা আশা করি না আমি লেখব- আমার লেখায় শোভন মন্তব্য করিবেন-
আপনার এই মধ্যবিত্ততাকে কিভাবে সামলাবেন আপনি এটা আপনার সমস্যা-
তবে আমার মনে এঁড়ে তর্কের অভ্যাস যা কবিসভা জাত সেটা এখানে না এনে ব্যক্তিত্বপূর্ণ আচরণ হতো অরুপকে স্পষ্ট করে বলা
দেখেন অরুপ আমি আপনার বন্ধু না- আমার সাথে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ কথা না বলাই বাঞ্ছনীয়-
আপনি তা না করে অযথাই একটা বিতর্ক গড়ে তুলেছেন- বিষয়টা সম্পর্কে আমরাও অবগত-
তবে অরুপের সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টা বিবেচনা করে অরুপ যদি এমন কোনো মন্তব্য আমাকে করতো আমি সেটাকে নিজস্ব সম্পর্কের বিবেচনায় এর যথার্থতা খোঁজার চেষ্টা করতাম
যাই হোক আমার কথা কটু লাগলে নিজগুণে ক্ষমা করিয়া দিবেন-
গঠনমূলক আলোচনা হইতেছে।
এইটা পুরা জায়েজ না করলে নীতিমালার খবর আছে। :)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
তবে ফ্যাসিজম সমর্থন করি না সে যতই মুক্তিযুদ্ধের বা প্রগতিশীলতার পক্ষে হোক। দুনিয়ার সব পুলিশ রাষ্ট্রই নিজের কাছে পরাজিত হয়েছে। এখানে যদি ওয়ালীকে ঠেকাতে নিজেরাই ব্যাট ধরি, তাহলে সচলায়তনের আয়ু যে সীমিত হবে সন্দেহ নেই।
অপ বাক, আপনার কথা কটু লাগে নাই, বেহুদা লাগছে। যৌক্তিক তর্কে কিভাবে বন্ধু-অবন্ধু বিবেচনাকে পাশ কাটাইতে হয়, কবিসভার সদস্য হৈলে অন্তত এইটা শিখতে পারতেন। আর শোনা কথায় ভর কৈরা কবিসভা নিয়া মন্তব্য করে ফেলা আপনার উচিত হয়েছে কিনা আপনি বুঝবেন। কবিসভা নিয়া টানাটানি করারই বা অর্থ কি? আমি কবিসভার সদস্য বৈলা? তাহলে আমি যদি বলি... সচলায়তনে আসার আগে আপনারা তো সামহোয়ার নামক গোয়ালঘরে ছিলেন, যেখানে গালাগালি, ইতরামি আর নোংরা কথার ছড়াছড়ি হয়... সেইটা কেমন শোনাইবে বলেন তো? খেয়াল করলে দেখবেন, সামহোয়ার নিয়ে আপনাদের যাবতীয় হল্লাচিল্লায় আমার একটা শব্দও কন্ট্রিবিউশন নাই। নিজে যুক্ত ছিলাম না, তাই মন্তব্য করি নাই। কবিসভা নিয়াও এই মিনিমাম নৈতিক পজিশনটা আপনাকে অফার করতেছি।
অরূপের মন্তব্য প্রসঙ্গে আপনি বন্ধুত্বের যে উড়াধুরা ব্যাখ্যা হাজির করলেন, আমার দুর্ভাগ্য আমি তেমনটা মনে করতে পারি নাই। এই ব্যাখ্যা আপনের কাছেই রাখেন, আপনার কনজাম্পশনের জন্য। আমার যেমন মনে হয়েছে আমি তেমনি বলেছি। পরিতাপের বিষয় হল, অরূপের বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাওয়ার লোকের অভাব দেখি না, নিত্য নিত্য কর্তাধ্বনি শুনি একেকবার, কিন্তু এক উৎস ছাড়া আর কাউকেই বলতে শুনলাম না যে বিষয়টা ওর অনুচিত হয়েছে। সেলুকাস!
অপ বাক, ভালো লেখকের ভালো পাঠক দরকার। আপনাকে সেই জায়গায় দেখতে চাই ভবিতে। আর নিজেও যেহেতু লিখেন, বন্ধুত্বের ব্যাখ্যার নামে বন্ধুকৃত্য ছাড়াও ব্লগে আরো ভালো কিছু কন্ট্রিবিউশন রাখবেন এই প্রত্যাশা করি।
কী যে ক্লান্তিকর এই অলিগোপলি-র চক্কর!
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত পুরোটাই পড়লাম। আমার মন্তব্য নিম্নরূপ-
১.সচলায়তনের আদর্শগত অবস্থানের ভিত্তিটা মজবুত। কিন্তু গলদটা অন্যখানে। ভিত্তিটা অবশ্যই মজবুত, তবে আরো মজবুত করতে গিয়ে সেটা দেয়াল হয়ে উঠছে, চোখের সামনে দৃষ্টিপথের আড়াআড়ি হয়ে যাচ্ছে। ভিত্তির প্রস্থর মাটির তলায় আরো না গিয়ে আকাশমুখী।
২. এর মূল কারন একটাই। কর্তাদের ভবিষ্যত ভাবনা। সামহোয়্যারের ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহনের তাড়না।
৩.তবে আশংকা হচ্ছে যে,এভাবে কি মুক্ত চিন্তা সম্ভব? তার চেয়ে ব্লগারদের মননের উপর বিশ্বাস রাখাটাই কি বেশি সহজ না? ছাকুনি দিয়ে সামহোয়্যার থেকে তুলে এনে সভ্য কুয়াতে ফেলার জন্য তো আর সচলায়তনের যাত্রা শুরু হয়নি।
৪. আমাদের হয়তো আরো সহিষনু হওয়া জরুরী। এটা কর্তৃপক্ষ এবং ব্লগার দুপক্ষের জন্যই জরুরী। বিশেষ করে মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্যের বেলায়। অযথা ঘাটাঘাটি না করাই শ্রেয়।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
কবি সভায় রোমান বাঙলায় পড়ছি, এখন পুরা বাংলায়। যাক বস, আপনে দারুণ লিখেন শুনছি, পড়ি নাই কখনো। একটু পড়ার সুযোগ দিবেন না? এই তর্কে তো আপনারে কেউ হারাইতে পারব না। আপনে জিতবেন ই। তারচেয়ে চলেন ভাব ভাব খেলি, আড়ি বাদ
..................................
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
পিয়াল ভাই, আমি তো আড়ি দিতে চাই না। এই আসরের কর্তাব্যক্তিদের অসুবিধার কথা ভেবে পাততাড়ি গুটাইবার ধান্ধা করতেছি। এইখানে থাকলে আমার তো অনেক ভাল, আবার না-থাকলেও জীবনের গতি ব্যাহত হৈবে না। নিজের এবং অপরের স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রব্লেমাটাইজ না করার ইচ্ছা।
সচল থাকুন :)
উৎস,
ধন্যবাদ আপনার হৃদ্য বিবেচনার জন্য। আমার বক্তব্যে সচলায়তনের উপকার হয়ে থাকলে খুব ভাল লাগবে আমার। নিজের ব্যাপারে কী আর বলব, এইসব নীতিমালায় আমার লেখার সমস্যা হবে না, একথা অরূপ ঠিকই বুঝেছিলেন। শুধু বোঝেন নাই, এরপরও আমার আপত্তির জায়গা কোথায়?
আমি অপছন্দ করেছি, এইসব নীতিমালার অ্যাটিটুডকে। এপ্রোচকে। তাই কথা বলেছিলাম। নীতিমালা বাতিল করার দাবি ছিল না আমার।
"ছাগুহাগু"র সাথে তর্ক করতে করতে নিজের অজান্তেই আমরা ওদের ভাষা শিখে ফেলেছি কিনা ভেবে দেখতে হবে। আপনার ওপর ছেড়ে দিলাম।
কথা তো সেটাই। অ্যাটিচুডটা নিয়া আমারো আপত্তি ছিল, কিন্তু দেখা গেল ব্যাপারটা আসলে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ, আপনার আমার বিপন্ন হবার কিছু নাই।
..................................
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
তোর জন্য আকাশ থেকে পেজা
এক টুকরো মেঘ এনেছি ভেজা
বৃষ্টি করে এক্ষুনি দে তুই
বৃষ্টি দিয়ে ছাদ বানিয়ে শুই
সুমন ভাই, কিছু মনে নেবেন না। নীতিমালাটার জন্য অরূপকে দায়ী করা বোধ হয় অন্যায় হবে। যারা লিখেছে আমার ধারনা তারা শুধু ছাগুকে মাথায় রেখেই লিখেছে, সব কিছু বিবেচনা করে ওঠেনি। তবে সচলায়তনের মূল লক্ষ্য কখনই দেয়াল তুলে দেয়া নয়। এই যে বিতর্কটা হচ্ছে এরকম সুস্থ প্ল্যাটফর্ম তৈরী করাটাই সচলের লক্ষ্য। ছাগুর সাথে এই তর্ক হলে এতক্ষনে বেনামে গালাগালি শুরু হয়ে যেত। সচলের নির্বাহীদের আমি তাগাদা দেয়ার চেষ্টা করছি নীতিমালার ভাষা/এ্যাটিচুড বদলে দিতে। আমি কিছু বিকল্প প্রষ্তাবও করেছি। নীতিমালা এখন যেখাবে আছে সেটা আসলে কিছুটা অশোভন, সচলের আগের ঘোষিত ভাবধারার সাথে মোটেই যায় না, সামহয়্যারে মডুরামের বিরুদ্ধে আমি/আমরা যেগুলো বলেছিলাম তার অনেকগুলোই ওখানে আছে। দেখি কি করা যায়।
এই তর্ক এত দ্রুত তিক্ততার দিকে চলে গেছে দেখে বিমর্ষ বোধ করছি।
একটা বিরাট টেনশন কাজ করছে সবার মধ্যেই, আমি জানি না এর কারণ কী। আমরা কি উত্তরাধিকার সূত্রে ব্লগীয় চর্চায় কিছুটা ক্রোধ সাথে করে পথচলা শুরু করলাম?
নীতিমালা নিয়ে অনেকেই আক্রান্ত বা আহতবোধ করছেন, এর পেছনে যে ক্লান্তি এবং আশঙ্কাটুকু কাজ করেছে, সেটার দিকে অনেকেই দৃষ্টিপাত করেননি। নীতিমালার কঠোরতা, বা তার উপস্থাপনের কঠোরতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া হোক, বিকল্প প্রস্তাব আসুক। কিন্তু এভাবে তিক্ততার বিবর্ধন না ঘটলেই ভালো হতো।
সচলায়তন নিয়ে আশঙ্কা যে সচলায়তনকে ঘিরে ভালোবাসা থেকেই, তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। আশার কথাও ভাবি আমরা? ভবিষ্যতে সচলায়তন উন্মুক্ত হচ্ছে পাঠকের কাছে, সাইটের নির্মাণের সাথে যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁদের শ্রমের সাথে আশঙ্কাও যুক্ত হচ্ছে। আশঙ্কিত মন নিয়েই রচিত হয়েছে নীতিমালা। আমাদের দেয়ালের প্রয়োজন হতো না যদি এই আশঙ্কা কাজ না করতো। ঠেকে শেখার চেয়ে দেখে শেখা ভালো।
সুমন রহমান, আপনি আহত বোধ করেছেন অরূপের মন্তব্যে। আমি এটাকে ভুল বোঝাবুঝিই বলতে চাই। আপনি দীর্ঘদিন ধরে কবিসভায় লিখছেন, আমরা বেশ কিছুদিন ধরে লিখছি সামহোয়্যার ইনে। প্রকাশ আর ভাষাভঙ্গির ভিন্নতাই বোধহয় এতদূর ঠেলে নিলো এ তর্ককে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমাকে কি ব্যন করা হৈল? মন্তব্য পাঠাচ্ছি, কিন্তু পোস্টিং হচ্ছে না কেন?
সরি, কোন এক কারিগরি ঝামেলার কারণে হিমুকে লেখা আমার লম্বা মন্তব্যটা হারায়া গেল। এ মুহূর্তে সেইটা আবার পুনরুৎপাদনের ধৈর্য নাই। কাল বরং লিখব।
আমার মনে হয়না নীতিমালা টা এখন যারা আছে বা যারা আমন্ত্রিত তাদএর জন্য।যদি তাদের জন্য ই হতো তবে এি নীতিমালা এই সাইট সচল হবার আগে ই প্রনয়ন করা হতো।নীতিমালা আসছে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে,যখন এটা সবার জন্য ুন্মুক্ত হবে।আর এতো কঠোর হবার কারন হলো সামহ্য়্যার এর অতীত।
একটা বিষয় ভবতে হবে, এখানে যারা সামহয়্যার থেকে এসেছেন,তারা অনণ্ত বলবেন ,এি যে এতো কথা বলতে পারছে সবাই,তর্ক করতে পারছে ,নিজের মতামত দিতে পারছে,তা মূল্যায়ন করার ও লোক পাচ্ছে এটা ওখানে হতো না।
সচলায়তন কোন রেস্ট্রিকটেড এরিয়া হবে না যখন সিদ্ধন্ত নিয়েছে, তখন তাকে যেকোন খারাপ সিচুয়েশন এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে,যাতে সে তার মূল্যবোধ ধরে রাখতে পারে।
সবার মতামতের ভিত্তিতে পরিবর্তন আসবে এটা ই আমি আশা করি।
একটা ঘটনা মনে পড়ল। একবার এক বাম দলের বক্তৃতার অনুষ্ঠান শুনতে গেছি। গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য। অনুষ্ঠান শুরু হল। ঘোষক একে একে অতিথি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে মঞ্চে ডাকতে লাগলেন। এক পর্যায়ে দেখলাম মঞ্চ টইটম্বুর। দর্শক সারিতে আমি প্রায়-একা!
সচলায়তনের কর্তৃপক্ষীয় ভাষ্যমালা সিরিজ সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল।
অরূপের মন্তব্যে আহত হই নাই হিমু, বিপন্নও লাগে নাই। বরং মজাই লেগেছে, এত দ্রুত আমার প্রকল্প ("নীতিমালা তার প্রণেতাকে প্রথম খায়") সত্য হতে দেখে। যতদূর বুঝি, আমার ডিফেন্সে সমস্যা নাই। অভ্যাসবশত, দীর্ঘদিন ক্রসব্যাট না খেলেও থাকতে পারি আমি। আর ফাইনলেগে পুরা টিম খাড়ায়া থাকলেও বাউন্সারে হুক লাগাতে দুইবার ভাবি না। সচল নীতিমালাকে আমি স্বাগত জানিয়েছি, এজন্য যে এগুলো অতীত অভিজ্ঞতার নিরিখে আপনারা প্রণয়ন করার দরকার মনে করেছেন। সেই সাথে, ঐ একই পাত্রে নীতিমালা বিষয়ে আমার দুই পয়সার আশংকাটুকুও আপনাদের অবগতির জন্য হাজির রাখতে চেয়েছি। আমার বাস্তবতায় (আমার জন্য) এটা দরকারি মনে হয়েছিল বলে। অন্যদের অভিজ্ঞতার ব্যাপারে আমার সম্মান দেখানোর শিক্ষা আমার কিছু আছে, ফলে সামহোয়ারের তেলাপোকা আর কী সব হাবিজাবি নিয়ে দিনের পর দিন যেসব অবসেশন চলেছে সচলায়তনে, মন্তব্যশূন্য থেকেছি। একই ধরনের সম্মান আমার নিজের অনুধাবনের প্রতি অন্যরা দেখাবেন এটা আমার প্রত্যাশা ছিল। ঠিক এই জায়গাটায় এসে আপনি আবার অরূপের মন্তব্যটা পড়েন, আবার ভেবে দেখুন এটা আমাদের "ভুল বোঝাবুঝি" না অন্য কিছু।
যাদের শ্রম আছে, যাদের ত্যাগ আছে এই সাইট বানানোয়, তাদের সবার ব্যাপারে আমার টুপিখোলা অভিনন্দন। এখানেও একটা বিনীত আরজ, ব্লগারদের সময় এবং শ্রমকেও মূল্য দিন আপনারা: দুইটা না মিললে কোনো ফোরামই অর্থবহ হবে না।
সুমন চৌধুরী, ধন্যবাদ। সব তিক্ততারই একটা শেষ আছে। মানুষ চিরকাল কর্কশ থাকে না। থাকতে পারে না। চুনপোড়া মুখ একদিন না একদিন দৈ নিশ্চয় গিলবে, যদি গিলবার ইচ্ছা আদৌ থাকে। আপনার আর শোমচৌ-র উত্তরাধুনিকতা বয়ান শোনার পর আমারো মুখ চুলকাচ্ছিল খুব। কিন্তু থামলাম।
অপালা, আগের চিঠিগুলো দেখেন। সে কেন জলের মত ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়?
অবসাদ নাই তার?
একটু আছে বোধয়। তাই ছুটি নিচ্ছি। অধ্যয়ন ছুটি বলতে পারেন। হয়ত অবসর প্রস্তুতি ছুটিও। যাওয়ার আগে একটা গল্প রেখে যাচ্ছি নিজের ব্লগে। হিমু আর ইমরুলের অনুরোধ ছিল। অমি রহমান পিয়াল, আমার ব্লগে আমার লেখা আছে।
যারা এই অধমের লেখার পড়েছেন, পছন্দ করেছেন, তাদের শুকরিয়া।
যাদের লেখা আমার ভাল লেগেছে, তাদের খুঁজবো আমি। হেথা হোথা অন্য কোনোখানে।
অনেক কিছু ভেবে আমার মন্তব্য মন্তব্য আকারেই দিচ্ছি, আলাদা পোস্ট করলাম না।
ভাল থাকবেন সবাই।
এইটা কী হইলো?
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
সুমন ভাই,আমি দুটি কথা যোগ করি এই বেলা।
'সচলায়তন'একটি গঠন প্রক্রিয়ার মাঝ দিয়ে এগুচ্ছে,সেই গঠন প্রক্রিয়াটা হয়তো ত্রুটি মুক্ত নয়।কিন্তু গঠন প্রক্রিয়াটাকে 'ট্রায়াল এন্ড এরর'পদ্ধতির মাঝ দিয়ে যেতে হচ্ছে।
'সচলায়তনের' এই গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য আপনার মতো মানুষের প্রয়োজন আছে খুব।
এর বেশি কিছু বলার নেই।
-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...
সুমন, বুঝলাম না আপনার সিদ্ধান্ত। কবিসভায় এর চেয়ে ভালো খেলেছেন আপনি। রিটায়ার্ড হার্ট? তাহলে ঠিক আছে, আপনাকে সাময়িক ছুটি বরাদ্দ করা যেতে পারে। তবে ইনিংস শেষ হওয়ার আগে ফেরা চাই।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই, বুঝতে হলে তো পুরো জিনিসটা পড়তে হবে। মৌনব্রতী ছিলেন যেহেতু, বোঝার সমস্যা হতে পারে। রিটায়ার্ড হার্ট কিনা জানিনা, তবে আমি ক্লান্ত। সেটা "ডাক" মেরে কি সেঞ্চুরি করে, সেটা যারা পড়েছেন তারাই বলবেন। কবিসভা কেন, সবখানে আমি আমার নিজের খেলাটা খেলি। সে কারণে বোধয় আমাকে কোনো দলের ব্যানারে চেনা সম্ভব না। আপনি কবিসভা চেনেন, জানেন যে আমি কোনো সিন্ডিকেটবাজির মধ্যে ছিলাম না। নাই এখনো। নিজের কব্জির ওপর যতদিন আস্থা থাকবে, এরকমই থাকতে চাই।
সুমন, আপনার লেখাটা কাল পড়েছিলাম, মন্তব্যগুলো পড়লাম কিছু আগে। আমাকে উদ্দেশ করে সিন্ডিকেটবাজি জাতীয় জিনিস কেন বললেন তা আপনিই বলতে পারবেন। আমাকে কি তার অংশীদার ভাবলেন?
আপনার মূল লেখা এবং তৎপরবর্তী মন্তব্যগুলো বোঝার সমস্যা কিছু হয়নি (আমার বোধবুদ্ধির ওপর আপনার এইটুকু ভরসা আছে, আশা করি), আপনার শেষ মন্তব্যে হলো। আপনার কব্জির জোরের ওপর আমার ভরসা না থাকলে ইনিংস শেষের আগে আপনাকে ফিরতে হবে বলতাম না।
সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনার। আপনাকে আপনি নিজে সবচেয়ে ভালো চেনেন, আর কেউ নয়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই, আপনাকে উদ্দেশ্য করে ঠিক কোনো কথাই বলি নাই। আপনার উসিলায় কিছু কথা বলা।
আপাতত ছুটিতে যাই। যে কোনো প্রয়োজনে সচলায়তনের সাথে থাকার ইচ্ছা আমার তো আছে। সেটা তৎপরতা আকারে না আসলেও।
বহুক্ষন ধরে চুপচাপ আছি এইটা নিয়ে। চুপ থাকার অর্থকে যদি ভিন্নার্থ দেওয়া হয় তাহলে মুস্কিল
দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। সুমন রহমান রহমানের সমস্যাটা পরিচিত, আরেক কবি সভার সভ্যের মধ্যে স্পষ্ট। তিনিও নাম বদল করেছিলেন, স্বভাব বদল করতে পারেননি
যাই হোক, সচলায়তন প্রতিষ্ঠার একটা কারন ছিল রামছাগলদের থেকে দূরে থাকা। যখন শোহেইল মতাহির চৌধুরীর সাথে পায়ে পা দিয়ে কুতর্কের শুরু করলেন জনাব সুমন রহমান তখন থেকেই পরিস্কার হয়েছিল এই মানুষটির বিনোদন নির্বোধ ক্যাচালের সূচনায়, ক্যাচাল প্রতিষ্ঠায় তাই নিজেকে মাথামোটা প্রতিপন্ন করতেও পিছপা নন। নীতিমালার একটা ধারা ছিল কুতর্ক বিষয়ে। সুমন রহমান সম্ভবত সেটা আঁচ করেছিলেন ভালো করেই যে লাইনগুলো তার কুতর্ককে বাধাগ্রস্থ করবে। যার বিনোদন এর উতস ক্যাচাল করা তার পক্ষে এটা মানা সম্ভব না সেটাই স্বাভাবিক। দুবার মন্তব্য করেও যখন পায়ে পা বাজলো না, তখন আরেকটু খোঁচা দিয়ে দেখলে কেমন হয়। নীতিমালার এটিচুড ভালো না লাগতেই পারে, তবে খোঁচাখুচি করাটা মনে হয়ে দমন করা যেত, "এসো এসো আমার ব্লগে এসো আমার ব্লগে" শিরোনামেই স্পষ্ট। সবাই শুরু করতে পারে, কোথায় থামতে হয় সেইটা জানেনা কেউ কেউ। বেশী খারাপ লাগলে কেউ তো আটকে রাখেনি! লেবু কচলে তিতা করার মানে কি?
অশ্লীলতার আর ব্যঙ্গ নিয়ে তার যে অভিযোগ তাতে মনে হতে পারে যে হয় তিনি রসবোধহীন নয়তোবা মুর্খ। তিনি আদতে কোনটাই না, তাই স্পষ্ট যে উদ্দেশ্য ক্যাচাল তৈরি। আমি আসলেই গড়াগড়ি খাই। চেনা চেনা ধান্দা..
সুমন রহমান,
ক্লোজড গ্রুপে থাকতে হলে রামছাগল হলে মুস্কিল, সেটা হয়তো কোন কুসভায় সম্ভব। ক্যাচাল করলে যুক্তিতর্ক চলে না, অন্তত মাথায় মাংসের পরিমান বেশী হলে..
আসলেই, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। পানি ঘোলা করা থেকে বিরত থাকুন, জলাশয়ের অভাব হবে না।
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
অরূপ তোমার উপরের মন্তব্য ভীষনভাবে অগ্রহনযোগ্য। খুবই দুঃখজনক তুমি এসব কথা লিখছ। তোমার গোয়ালে কাদের রাখবে ঠিক নিশ্চিত না, রাখালের ভাষা যদি এমন হয় তাহলে আমার নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে। সামহ্য়্যারে অন্তত হাসিন বা আরিলকে কখনও এরকম সরাসরি আক্রমন করতে দেখি নি। এমনকি নোটিশবোর্ডও কাউকে নাম ধরে বাজে কথা বলতে শুনিনি। তোমার এই মনোভাব আর সচলায়তনের মনোভাব যদি একই হয়ে থাকে তাহলে বলতে হবে আমি নিজেও ভুল জায়গায় এসেছি।
হা হা হা... উৎস। আপনাকেই খুঁজছিলাম। এখনতো আপনাদেরই বলবার পালা।
আসলে সুমন রহমান আপনার চলে যাওয়ার ব্যপারে আমার কিছু বলার নেই। পোষালে থাকবেন, না পোষালে নেই। কিন্তু অরূপ আর হিমুর এই পরিবর্তন দেখে খুব আশ্চর্য হতে হচ্ছে। ব্লগে ত্রিভুজ নেই নেই বলতে বলতে অরূপ এখন ত্রিভুজের মতো দাম্ভিক মন্তব্য করা শুরু করলে ভয় তো লাগবেই। অরূপ স্রেফ ব্লগার হলে একটা কথা ছিল, সবাই জানে এই ব্লগের পেছনে সেই মূল, তার মুখে এসব কথা একদমই মানায় না।
Cool down, man. What's so rush?
অনেক কথা হয়েছে দেখছি।
কিন্তু আসল কথাটাই নাই।
নীতিমালার কোন অংশের জন্য কার কোন ভাব প্রকাশের অসুবিধা হচ্ছে এবং সেই ভাব প্রকাশ যাতে বাধাহীন হয় তবে নীতিমালায় কী সংশোধন আনতে হবে তা।
সচলায়তন এখনও আমাদের সবার একটা উদ্যোগ হিসেবে এর নীতিমালার সীমাবদ্ধতা অতিক্রমে আমাদের সবারই সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকা উচিত।
যারা কষ্ট করে নীতিমালা পড়ে নানা ত্রুটি বের করতে সাহায্য করছেন তাদেরকে অনুরোধ করি সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করুন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমি কিছু প্রস্তাব করেছি। মনে আছে দীক্ষক দ্রাবিড় এসে তার প্রথম পোস্টেই লিখেছিল গনতন্ত্রমনা ঈশ্বর চাই? সেরকম চাই।
সুমন চোধুরি আপনার এই তথাকথিত যৌক্তিক আলোচনার প্রধান ভ্রান্তি হলো এইটা ধরে নেওয়া যে একটা আদর্শ অবস্থান আছে- কোথাও না কোথাও একটা আদর্শ স্থাপন করা সম্ভব-
আদতেই কি আদর্শ স্থাপন সম্ভব- এই প্রশ্নটার মীমাংসা ন করে কিভাবে সামনে এগুনো যায়?
আপনি নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন- সামহোয়্যার ইন নামক গোয়ালঘরে আমরা যখন ছিলাম তখন আপনি এর শালীনতা এবং অশালীনতা বিষয়ে কোনো আলোচনায় অংশগ্রহন করেন নি- সেখানে আলোচনায় অংশগ্রহন না করে আপনার যেই সমস্যাটা হয়েছে সেটা হলো সেখানে আমরা অন্তত এইটুকু প্রগতি অর্জন করেছিলাম- আমরা নির্ধারণ করতে পেরেছিলাম শালীনতা এবং নৈতিকতা বিষয়ে কোনো আদর্শ অবস্থান থাকা সম্ভব না-]
মানুষের ব্যক্তিগত স্বস্তিকর অবস্থান থাকতে পারে- এটা স্বীকৃত হলেও প্রতিটা মানুষই যে একই রকম স্বস্তি নিয়ে জীবন যাপন করে এই বিষয়টা প্রমাণিত হয় নি-
আপনার নিজস্ব একটা দর্শণ আছে- সেটা থাকতেই পারে-
আমারও নিজস্ব একটা রুচিবোধ এবং দর্শণ আছে- তবে আমি এই আদর্শ বা রুচিবোধকে সবার উপর চাপিয়ে দিয়ে একটা যৌক্তিক আলোচনা শুরু করি না-
অরুপের বিষয়টাকে সমর্থন করার জন্য এবং অরুপের আচরণকে ভুল বলার জন্য যারা এখানে এসেছে তারা সবাই অন্তত এই সত্যটুকু সম্পর্কে অবগত-
আমি নিজস্ব ব্যবহারের জন্য ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টা তুলে রাখলাম--
আপনি আপনার মধ্যবিত্ত আদর্শবাদীতার ভুত এবং রাহুমুক্ত হয়ে প্রথমে বিবেচনা করে নির্ধারণ করুন আসলেই কোনো আদর্শ অবস্থান সম্ভব কিনা০
এইটুকু সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আপনি আমার নতুন লেখাটা পড়তে পারেন- এর আগে যেহেতু বোধজনিত দুর্বলতা বিদ্যমান তাই এর সারবস্তু উপলব্ধিতে সামান্য সমস্যা হবে
দুঃখিত সুমন রহমান হবে- নাম জনিত বিভ্রান্তি নিয়ে আরো একটা যৌক্তিক আলোচনা শুরু না করলে বাধিত হবো।
নতুন মন্তব্য করুন