বাথরুমের আয়না থেকে পারদ উঠে গেছে -- বছর পনের আগে হয়ত এটুকু বললেই চলত। আজ এই বিবৃতির কোনো মানেই হয় না, যেহেতু পারদভরা নিটোল আয়নার ধারণাও জামান সাহেবের মন থেকে বিদায় নিয়েছে অনেক দিন। আবার প্রস্থানমাত্রই অ্যাবসলিউট নয়, বিদায়ী পারদ স্থানে স্থানে তার প্রাক্তন অধিষ্ঠানের চিহ্ন প্রস্থানের যথানিয়মেই রেখে গেছে, যাতে করে আমাদের প্রায়-অশীতিপর জামান সাহেব তার মগবাজারের দোতলা বাড়ির বাথরুমে লাগানো এই চতুষ্কোণ ভৌতিক পদার্থটিকে আজো আয়না বলেই চিনতে পারেন।
...........
..................
................................
মন্তব্য
পড়লাম। নয়টা বেজে পঞ্চাশেই তাহলে হার্ট এটাক টা হলো!
বরাবরের মতনই দুর্দান্ত লেগেছে গল্পটা।
তবে এই গল্পটার বেলায় মনে হয়েছে যে পাঠক হয়তো আগে থেকেই গল্পের পরিণতি ধরে ফেলবে। অন্তত আমি যা ভাবছিলাম তাই দেখলাম শেষে। ছোটোগল্পের এই দিকটা আরেকটু চকমকে না হলে আমার ভালো লাগে না (একান্তই নিজস্ব মতামত)।
আপনার গল্প সবসময়ই সুখপাঠ্য। সাহিত্য পাঠের নির্মল আনন্দায়ী।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
আচ্ছা আমি রেটিং দিতে পারছিনা কেনো?
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি
ধন্যবাদ ফাহা। এই গল্পের "চমক" বলে যদি কিছু থাকে সেটা বোধয় এর উপসংহারে নাই। আছে গোটা দ্বিতীয় অংশ ধরেই, সময়ের উল্টা চলনের বিবরণের মধ্যে। এই বিষয়টাকে হাইলাইট করাই আমার উদ্দেশ্য আছিল, তাই উপসংহারের চমকটা অ্যাভয়েড করছি।
আমার ব্লগের রেটিং-এর দায়িত্ব আমি একটা সিণ্ডিকেটের হাতে ছাইড়া দিছি। উনারা উনাদের খেয়ালখুশি মত রেটিং কমান, ঘুইরা ঘুইরা কমান, পুরান ব্লগে গিয়া খুচায়া খুচায়া কমান। এতে উনাদের আনন্দ হয়। আমারো আনন্দ হয়। সব জায়গাতেই শিশুদের জন্য প্লে-গ্রাউণ্ড থাকে দেখি। এখানেও থাকুক। আপনের সেইখানে যাওনের কী দরকার?
হিট ৬৬, আর মন্তব্য ১ জনের! বাহ! আমার ব্লগে বোবাহিট বাড়তেছে, বোঝা যায়। সেইসব বোবা হিটাচি ভাইবোনদের জন্য থাকল জাঝা!
নামটা ইকটু বদলাইলাম। পাঠক আবার কলকব্জার ভয়ে মুখ খুলতেসে না কিনা বুঝতেসি না। আগের ব্লগে শোহেইল চৌধুরী গল্পের কলকব্জা দেখায়া দিছেন তাতে কেউ কেউ ভয় খাইয়া যাইতে পারেন এই আশংকায়।
অবশ্য শোহেইল ম. চৌধুরীর গল্পটা আমার কাছে মন্দ লাগে নাই। কলকব্জা টানাটানি না-করলেও বোধয় চলত। উনার গদ্য সুখপাঠ্য।
এই গল্প আগে কোথায় পড়েছি বলুন তো? 'স্রোতচিহ্ন' এ কি?
প্রথম পাঠে ভালো লেগেছিলো ।
পাঠকের প্রতি ক্ষুব্দ নাকি?পড়িবামাত্র পাঠক মন্তব্যপ্রদানে বাধ্য?
আর রেটিংবাজ সিন্ডিকেট ও আছে তাহলে সচলায়তনে? ভয়ংকর সংবাদ ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
প্রথম আলো-য় বেরিয়েছিল, মনে আছে। "স্রোতচিহ্ন"এ বের হয়ে থাকতে পারে। আমি শিউর না।
বালাই ষাট! পাঠকের ওপর ক্ষুব্ধ হৈতে যামু ক্যান? লক্ষ্মী পাঠক আমার, এরাই তো আমারে চাঙে তুইল্যা রাখছে। ঘুমায়া গেছে কিনা সেইটা বোঝার জন্য এট্টু জাঝা দিলাম।
আপনার গল্প-কবিতা সব কিছুর ভক্ত হইয়া পড়তেছি দিনদিন। ভয়ংকর ভালো গল্প। বোবা পাঠকের লাইগা টেনশন নিয়েন না। আমার কয়টা বন্ধুরেও এইটা লিংক দিয়া পড়াইছি। তারা কমেন্ট করে নাই। আরে, এত ভাল গল্পে আবার কমেন্ট লাগে নাকি? শুধু ভাল লাগা।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
ভরসা পাইলাম।
টেনশন নেই না তো! এটটু জাঝা দিই আর কি পাঠককে, অন্য লেখককে দিলে তো আবার নিজেরো জাঝা খাওনের সম্ভাবনা!
জাঝা 'র আলো ট্রাফিক লাইটের মতন জ্বলিতেছে ইধার-উধার। জা-ঝা বিপ্লব দীর্ঘজীবি হউক।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
জাঝা।
প্রথম আলোতে পড়েছিলাম
গত কিছুদিনে বেশ ভাল কিছু লেখা জমে গেছে সচলায়তনে। পড়ে কুলাতে পারছি না। দুর্দান্ত! আপনার লেখাটা ভাগে ভাগে পড়ছিলাম দেখে মন্তব্য করিনি আগে।
খুব ভাল লেগেছে পড়ে। ধন্যবাদ।
হুমম...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
ধন্যবাদ পুরজিৎ, অভি, ইমরুল ও ভাস্কর। সবার জন্য রইল জাঝা।
এই গল্পটা অন্যরকম। আমি আপনারে একটা প্যাটার্নে ফালাইতে চাইছিলাম। আমার সেই দুরভিসন্ধী সফল হইল না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নতুন মন্তব্য করুন