আপডেট:
বইটা কারা লিখছেন?
যতদূর বুঝছি, এই বইয়ের লেখক হচ্ছেন সেসব সচলবৃন্দ যারা জীবিকা, শিক্ষা ইত্যাদি উপলক্ষে পৃথিবীর নানান শহরে (বাংলাদেশসহ) ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। তারা হতে পারেন সাহিত্যিক, হতে পারেন প্রধানত সাহিত্যের পাঠক, কিন্তু এতে কোনো সমস্যা নাই।
কী লিখবেন ব্লগাররা?
সরল অর্থে, আপনার নিজের অভিজ্ঞতা। যে যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বিশ্বময়, তারা তাদের চারপাশ নিয়ে লিখুন। ব্যাপক কোনো ক্যানভাসে লিখতে পারেন, তবে ছোট কোন বিষয়কে ধরে নিজের রিফ্লেকশনস-সমেত হাজির করাটা এই বইয়ের জন্য কাজের হবে। এরকম নজির সচলায়তনে ভুরি ভুরি দেখছি। নতুন কোন ভাবনা না এটা।
লেখায় নিজে চরিত্র হিসেবে আসলে খুব ভাল। এসব লেখা ভ্রমণকাহিনীর চেয়ে গভীরে যাবে, কিন্তু ইনডেপথ ফিল্ডস্টাডিও হয়ে উঠবে না। এরকম। এই দুইয়ের মাঝখানে থেকে ব্লগার আসলে বাংলাগদ্য চর্চা করবেন। তিনি নিছক বিবরণ লিখতে পারেন, সাহিত্য হাজির করতে পারেন লেখার এখানে সেখানে, নানারকম তুলনা করতে পারেন, নস্টালজিক হতে পারেন। তার ওপর।
বইয়ের লক্ষ্য কি?
প্রধান লক্ষ্য ব্লগ রাইটিং এর একটা নমুনা কাগজে হাজির করা। যেহেতু ব্লগারদের অনেকেই বিদেশে, কাজেই তাদের রচনার মাধ্যমে প্রবাসী/ডায়াসপোরা অভিজ্ঞতার একটা ডকুমেন্টেশন করাও অন্যতম লক্ষ্য। আবার দেশী বিদেশী প্রায়-সব ব্লগার শহরবাসী। ফলে এই সংকলনের মাধ্যমে প্রতিদিনের বিশ্বে শাহরিক জীবনের নানান বৈচিত্র্য সম্পর্কেও একটা ধারণা নির্মাণ করা সম্ভব।
আমি কেডা
আমার নাম সুমন রহমান (এইটা একটা সমস্যা, সুমনের অতিবৃষ্টি সর্বত্র, ফলে সব জায়গাতেই পুরা নাম লিখতে হয়। সবসময় ফুল প্যান্ট পরে থাকার মত ব্যাপার!) আমি সম্পাদক হিসাবে এই সংকলনে হাজির থাকতে চাইছি। খুব খারাপ সম্পাদনা করার রেকর্ড আমার নাই, যদি সেরম দেখা যায় তবে মডুরা তো আছেনই।
সম্পাদক হিসাবে আমার উদ্দেশ্য এই ধরনের সংকলনের জন্য একটা লম্বা ভূমিকা লেখা। ব্লগরাইটিং, বাংলাদেশী ডায়াসপোরা আর প্রতিদিনের নগরাভিজ্ঞান মিলিয়ে।
আপাতত এই। নিচের লেখার সংযুক্তি হিসাবে এটা পাঠ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। কোয়েরিজ, কারেকশনস, কমেন্টস ওয়েলকাম।
..........................
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ, একটা প্রস্তাব রাখছি সবার জন্য। আমি একটা পুস্তকের সম্পাদনা শুরু করতে চাই যেটা বই এবং ব-eদুইই হবে। যদ্দূর দেখেছি, ই-বুক পরিকল্পনার সাথে কোনো সংঘাতও হবে না মনে হয় (হলে জানাইয়েন)।
প্রস্তাবটা হল: আমরা দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেসব শহরে বাস করছি তার ছোটবড় এথনোগ্রাফি এবং/অথবা প্রতিদিনের জীবনকড়চা। অনেক চমৎকার লেখা পড়েছি আমি এ বিষয়ে সচলায়তনে, সামহোয়ারেও হয়ত এমন অনেক লেখা আপনাদের কেউ কেউ আগে পোস্ট করে থাকবেন। সেগুলোর একটা সংকলন। টার্গেট করছি আগামি ফেব্রুয়ারিতে বই আকারে বের করার।
কয়েকটি লেখা আমি স্মৃতি থেকে এই সংকলনের জন্য প্রস্তাব করছি:
১. ডালাস নিয়ে মুহাম্মদ জুবায়ের (তাজা স্মৃতি, মাত্র পড়লাম)
২. ইশতিয়াক রউফের প্রবাসের কথোপকথন থেকে একটা অংশ
৩. শোহেইল মতাহির চৌ-এর দিনের শ্লেট থেকে
৪. ফারুক হাসান এর কাতার-নামা (যদিও ভ্রমণকড়চা)
ইত্যাদি। আরেকটু ঘেঁটে একটা পূর্ণ তালিকা পরে প্রণয়ন করছি। যারা সামহোয়ারে এ ধরনের লেখা লিখেছেন তাদের লেখাগুলো সচলায়তনে পুনরায় পোস্ট করতে অনুরোধ করি।
লেখা নির্বাচনে আমি আমার নিজের রূচি দিয়ে চালিত হতে চাই, কারো সমস্যা না-থাকলে। এক শহর নিয়ে একাধিক লেখা হতে পারে। কেউ যদি ইতোমধ্যে এ ধরনের লেখায় হাত না-দিয়ে থাকেন, অনুরোধ করব তাকে এই কাজে ব্রতী হতে।
সাড়া ফেলবে এই বই, আমার বিশ্বাস।
আপাতত এই। কারো কোন মন্তব্য/আপত্তি থাকলে জানান। সংকলনে কেউ যদি অন্তর্ভূক্ত হতে না চান সেটাও আগেভাগে জানিয়ে রাখতে পারেন।
মন্তব্য
দারুন দারুন!! এই রকম অসাধারন সব প্রজেক্ট বের হয়ে আসতে থাকুক সচলায়তন থেকে। আমি আছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আরেকটা জিনিস। সংকলনটা নন-ফিকশনের। নন-ফিকশনে কখনো কখনো ফিকশন এসে যেতে পারে, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এমন ধরনের লেখায় সমস্যা নাই।
মা.মু., এবং সবাই, আপনাদের পড়ার মধ্যে এই ধরনের লেখার হদিস থাকলে আমাকে নোটিফাই কইরেন। আমার অনেক লেখাই হয়ত পড়া হয় নি।
...................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
জার্মানিতে সুমন চৌধুরী, হাসিব, ধূসর গোধূলি। ব্যাংককে আনোয়ার সাদাত শিমুল। ইংল্যান্ডে হাসান মোরশেদ, অলৌকিক হাসান। আরিজোনার মুরুভূমিতে এস. এম. মাহবুব মুর্শেদ। অস্ট্রেলিয়ায় কনফুসিয়াস। কুয়ালালামপুরে অরূপ। জ্বিনের বাদশাও কোথায় যেন। দ্রোহী নিউ ইয়র্কে। এ তো বিশ্বময়!
এই পর্যন্ত জানি বা মনে করতে পারলাম।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জ্বিনের বাদশা জাপানে। সুমন ভাই নিজেই সিঙ্গাপুরে। অমিত আহমেদ, কেমিকেল আলী কানাডায়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
শুভ উদ্যোগ। সচলায়তনে এরকম লেখা প্রচুর। এখানে এত বেশি ভাল লেখা আছে/আসে যে আমার মতে এখানকার অনেক লেখাই পরবর্তীতে ছাপানোর মত করে সম্পাদনা করা উচিত। অনেক আলোচনার সূত্র ধরে দুর্দান্ত সব মন্তব্যযুদ্ধও হয়েছে। সেগুলোকে কোনভাবে নথিবদ্ধ করার উপায়ও ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সুমন রহমানকে জাঝা
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
সুমন চৌধুরী-র একটা লেখা মনে পড়ল, জার্মানীতে পানশালা নিয়ে মনে হয়। কনফুসিয়াসের পেট্রোল পাম্প নিয়ে সাম্প্রতিক একটা লেখা দেখেছিলাম। অন্যদের লেখাও খুঁজে দেখব।
আপাতত তালিকাটি একটা ওয়ার্ড ফাইলে সরিয়ে রাখি।
ঢাকাবাসীদের কথা কেউ কৈলেন না! দুনিয়ায় এরম মেগাসিটি কয়টা আছে? ঢাকাও থাকবে সংকলনে, ডেফিনিটলি।
...................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আরেকটা বিষয়: ডানপাশের লিংকটা ঠিক কিভাবে ব্যবহার করব আমি বুঝতে পারছি না। এই ধরনের সম্পাদনার জন্য এমএস ওয়ার্ড ফাইল দরকার। আর এইভাবে প্রকাশ্যে ধীরে ধীরে লেখা জমানোর চেয়ে আমি একবারে একটা বই বানিয়ে আপলোড করার পক্ষে।
....................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
বইয়ের লিংক? ওইটা শুধু বই ব্রাউজ করে পড়ার জন্য। কিভাবে বই পাবলিশ করতে হয় তার জন্য আমার আগের লেখাটা পড়েন। নাইলে মেসেঞ্জারে আলাপ করা যায়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
বেশ তো।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
মা.মু.. ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারালয়ে যাচ্ছি। ফিরে এসে আলাপ করব।
সুমেরু এবং শ্যাজা, কলকাতা নিয়ে লেখেন।:)
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ঠিকাছে। ততক্ষন জেগে থাকলে হয়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মেশিন অন রাইখেন, ঘুমায়া গেলে জাঝা দিয়া জাগায়া নিমু।
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
লিখি তো, পছন্দ না হইলে কিম কর্তব্য?
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
জোস্ একটা আইডিয়া!!
আমি নিশ্চিত এটা একটা ফাটাফাটি বই হতে যাচ্ছে ...
আমি ইয়োকোহামাতে আছি ... তবে জাপানে আমার হোমটাউন সেনদাই ... সময় করে অবশ্যই লেখার ইচ্ছে আছে
বিঃদ্রঃ সৌরভ(টোকিও), শামীম ভাই (মিয়াজাকি)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আইডিয়াটা হুলুস্থুলু!
আমি মেগাসিটির হাতিপাড়ায় থাকি। মাছবাজার নিয়ে লেখা যায়, ট্রাই করি সুমন ভাই? না ছাপাইলে খেলুম না!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
মা.মু./অরূপ, শহরওয়ারি ব্লগারদের একটা চার্ট বানানো সম্ভব কি? সেই সাথে কারা কারা তাদের শহর নিয়ে লিখেছেন (একই চার্টে), এরকম একটা জিনিস সামনে থাকলে সুবিধা হয়। এই চার্ট দেখে দেখে যারা ইতোমধ্যে এরকম লেখা লেখেন নি তাদের নিয়মিত তাগাদা দেয়া সম্ভব।
....................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
সম্ভব। কইরা আওয়াজ দিবো।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মা.মু...ফ্রি থাকলে বাচালে আসেন, ম্যাসেঞ্জারে সাইন ইন হচ্ছে না।
..................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
সুমন রহমানের বইয়ের আইডিয়াটা ভালো।
ডায়াসপোরার এথনোগ্রাফি নিয়ে লেখা বই নি:সন্দেহে নতুন একটা কিছু হবে বাংলায়। বিশেষ করে অনেকগুলো দেশ থেকে প্রবাসীরা যদি লেখেন।
ইশতিয়াক রউফের লেখাটাই অবশ্য এই বইয়ের মূলসুর হবে। প্রবাসী ছাত্র ও পরে পেশাদার হয়ে ওঠাদের জীবনের জটিলতা ফুটে উঠেছে।
লন্ডনে একটা ভিন্ন চিত্র আছে। অদক্ষ শ্রমিক অভিবাসী। আমরা বলি এল-টু-এল। লাঙল টু লন্ডন। কি অসামান্য খেটে তারা একটা আত্মপরিচয় গড়ে তুলেছে। না ব্রিটেন না বাংলাদেশ সরকার কেউ এখন তাদেরকে অস্বীকার করতে পারে না। এই জনগোষ্ঠী নিয়ে অনেক অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। আমি আসলে কিছু লেখিনি।
আমার দিনের শ্লেটের কোনো লেখা আসলে ঠিক খাপ খায় না এ হিসেবে। তবে এরকম একটা কিছু লেখা যায়। লিখে ফেলবো। আগে কিছু লিখেছিলাম কিনা দেখতে হবে।
সুমন রহমান এ ধরনের লেখায় হাত দেয়ারও একটা আহ্বান করেছেন। তার কাছে নিশ্চয়ই বইটার একটা ছবি আছে মনে মনে, কী ধরনের হবে সেটা, কী রকম লেখা থাকলে তার পরিকল্পনার সাথে যায় বা খাপে খাপ মিলে। সেগুলো একটু বিস্তৃত বললে নতুন লেখাগুলো হয়তো সে জায়গাগুলোকে ছুঁতে পারতো।
সুমন রহমান, আপনি কি আরেকটু বিস্তৃত ছক কাটাকাটি করে জানাবেন?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোমচৌ... আপনি গোড়াতেই একেবারে জায়গামত ধরেছেন। ইশতিয়াক রউফের লেখাটিকেই আমার কাছে আদর্শ মনে হচ্ছে এ ধরনের বইয়ের ক্ষেত্রে। তবে অন্য ধাঁচের ভালো লেখাও হতে পারে, যেমন আপনি ইঙ্গিত দিলেন অদক্ষ অভিবাসী নিয়ে। আমি হোম ওয়ার্ক করতেছি। ডিটেইল লিখব কিছুক্ষণের মধ্যে।
...................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আলোচনা চলুক। লটকে দিলাম উপরে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আমি অন্য একটা বইয়ের কথা ভাবছি।
সম্মিলিত সবার লেখায় বই। বাংলাদেশের মানুষের জন্য বই। ট্রান্সফার অব নলেজ এ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স। জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার স্থানান্তর।
বাংলার তরুণরা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছে। তাদের গবেষণার কথা নিয়ে বই। আলাদা আলাদা। কেউ করছে যন্ত্র নিয়ে। কেউ বা করছে সমাজ নিয়ে। উচ্চ মার্গের বিষয় সব। এই কথা গুলো জানতে চায় এমন ছাত্র-পাঠক অনেক আছে দেশে। তাদের জন্য একটা স্বপ্ন হিসেবে কাজ করতে পারে এমন লেখা। প্রেরণা হিসেবে। জ্বিনের বাদশা তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভ নিয়ে লিখেছিলেন। আরেকটু ডিইলসে বোধ হয় লেখা যায়। একটু প্রবন্ধ গোছের । কিন্তু লাইট রিডিং।
গবেষণা করাটাই তরুণ বাঙালিদের একমাত্র কাজ না। অনেকে বিচিত্র ধরনের পদে কাজ করছেন। তারা কীভাবে সে জায়গায় আসলেন, কী কাজ করছেন, ভবিষ্যতে কী করবার স্বপ্ন দেখেন সে কথাগুলোও লিখবেন। প্রবাসে চাকুরির কথা। সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। প্রতিভা ও জীবিকার কথা।
আমি প্রস্তাব দিব পরে ডিটেইলসে। আপাতত: এই নিয়ে ভাবতে থাকেন। কী লেখবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন ---- সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আমার জ্ঞান সীমিত, তবে আছি আমিও।
ইমরুল, ঢাকা বা ভৈরব নিয়া লেখা তো যায়ই। সিলেট চট্টগ্রাম সব জায়গা নিয়েই লেখা যায়। "নিজের শহর" নিয়ে লেখার চাইতে "অন্যের শহর"এ নিজের বসবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বেশি প্রার্থিত। সেই অর্থে তুমি ঢাকা, চট্টগ্রাম বা সিলেট নিয়ে লেখতে পারো।
নিজের শহর নিয়েও লেখতে পারো। যা খুশি।
....................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আমি সাইপ্রাস নিয়ে হালকা পাতলা লিখার টেরাই দিতে পারি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অধম শর্মিন্দা, শঙ্কিত, এবং বিপুল পরিমাণ উৎসাহিত! ভ্রমণকাহিণী নিয়েও কিছু একটা করা যায় এরকম। এটায় দেশে হিমু ভাইদের ট্রেকিং, আর বিদেশে আমাদের সবার রোডট্রিপকে পাশাপাশি রেখে তুলনাও করা যায়।
সুমন রহমানের প্রস্তাব পছন্দ হয়েছে। আমার এ ধরণের একটা লেখা সিরিজ আকারে বাংলালাইভে বের হয়েছিলো এক সময়। আপাতত সেগুলো আবার নিজের ব্লগে তোলা আছে। সুমন রহমান একবার উঁকি মেরে দেখে আসতে পারেন।
-যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
অছ্যুৎ বলাই, সাইপ্রাস নিয়া টেরাই দেন। ধন্যবাদ কনফু, আপনার ব্লগে ঢুকব সময় নিয়ে। ইশতিয়াক, ভ্রমণকাহিনী নিয়ে বই হতে পারে, তবে বর্তমান বইটা ঠিক ভ্রমণকাহিনী না। আপনার শরম, উৎসাহ তো আছেই, তবে শংকা যা আছে খুলে বলুন। শংকার কথা আগে শুনে ফেলা ভাল। আরো কাউকে কাউকে দেখছি নীরব। তাদের নীরবতা কি শংকামূলক কিনা বুঝতে পারতেছি না। সুমন চৌধুরী, হিমু-সহ অন্য যারা বর্তমানে অনলাইন আছেন, মতামত দিতে পারেন। উপকৃত হব।
....................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ভ্রমণ নিয়ে আলাদা বইয়ের কথাই বলছিলাম। এই সিরিজের জন্য আমি sm3র 'হানিফ সাহেবের দ্বিধা (মাইক্রো গল্প)' ও 'স্বপ্ন (মাইক্রো গল্প)' প্রস্তাব করছি। আমার খুব ভাল লেগেছে গল্পদুটো। doc ফরম্যাটে কিছু লাগলে চাহিবামাত্র পাওয়া যাইবে।
আমার শঙ্কা এখানেই যে আমি তেমন সুলেখক নেই। আপনাদের মত রথীদের ভাল কথাগুলো শুনে মন ভরে উঠেছে অনেক। সাথে সাথে প্রত্যাশাটাও বেড়ে যায়। সেই সাথে বেড়ে যায় হতাশ হবার এবং হতাশ করার ভয়। ওটুকুই।
পোস্টামু শনিবার...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
শনিবার যে চইল্যা গেল, বদ্দা!
.................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
ইশতিয়াক, এখনো হতাশ করেন নাই, আর কখন হতাশ হবেন সেই ভয় আগে থেকে পেয়ে কী ফায়দা?
ইমরুল, অজ্ঞাতবাসের কাহিনী নামাও তবে।
ধন্যবাদ অন্যদের। এই কাজ নীরবেই চলবে। তবে ই-বুক অপশনে একটা বই খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু সেখানে জিনিস যেভাবে জড়ো হবে, তার সাথে আমার কল্পনায় দেখা বইয়ের বেশ ফারাক বোধ করি। দেখা যাক। কারো কোনো কহতব্য থাকলে এই ব্লগে এসে সেইটা কইয়া যাইতে পারেন যে কোনো সময়।
.....................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
বই চালু হয়া গেছে। "উপপৃষ্ঠা জুড়ে দাও" লিংকে লেখা জুড়ে দেন।
...................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
নতুন মন্তব্য করুন