ধর্ম এবং বিপ্লবীর বোঝাপড়া: ফরহাদ মজহার

??? এর ছবি
লিখেছেন ??? (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৬/২০০৭ - ৩:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoফরহাদ মজহার-এর চিন্তা নিয়া আলাপ চলতেছে, তাই এই পুরান লেখাটা পোস্ট করা (ছাপা হৈছিল প্রথম আলোর ২০০৬ সালের কোন সংখ্যায়)

মোকাবিলা। ফরহাদ মজহার। ফেব্রুয়ারি ২০০৬। বাঙলায়ন। প্রচ্ছদ অস্ট্রিক আর্যু। ২১২ পৃষ্ঠা। ১২৫ টাকা।

কার সাথে কার মোকাবিলা? বন্ধু আকিজ (ছদ্মনাম) কম্যুনিস্ট হবার ‘শর্ত’ হিসেবে অতি ছোট বয়সেই নাস্তিক হয়ে গিয়েছিল! ধর্ম ও পরকাল সম্পর্কে তার নানান ‘দুঃসাহসী’ কথাবার্তা আন্দাজে ভিরমি খাবার দশা তাদের গোটা পরিবারের! ফলাফল: বাপ তাকে বাড়ি থেকে পত্রপাঠ বের করে দিলেন: নাস্তিক-কম্যুনিস্টের জায়গা নাই মুসলমানের বাড়িতে! আকিজের বাপের বিবেচনায় নাস্তিক মানেই কম্যুনিস্ট, আবার আকিজের বিবেচনায় কম্যুনিস্টমাত্রই নাস্তিক। আকিজের নেতাদের কাছেও তাই। পরম ধার্মিকের নিয়মে, তাদের ভাষায়, ‘ধর্মহীনতার’ চর্চা করতেন তারা। বলতেন, কমরেড, ‘বিপ্লব’ কিন্তু ফ্যামিলি থেকেই শুরু করতে হবে। সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবার পর তাদের অনেকেই হজ্ব করে এসেছেন, শুনতে পাই।

আলাপের বিষয় ফরহাদ মজহার-এর গ্রন্থ ‘মোকাবিলা’। মনে পড়ে, এই স্বাধীন বঙ্গদেশে মোকাবিলা আরেকটা হয়েছিল। ‘ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র’ নামক নাইভ সেই মোকাবিলাটির উদ্গাতা কমরেড মোজাফফর আহমদের ন্যাপ পার্টি। সেটা দার্শনিক মোকাবিলা ছিল না, বড়জোর ছিল একটা রাজনৈতিক কৌশল, এবং ব্যর্থ। সত্তরের দশকের শেষদিকে এই আওয়াজ তুলেছিল ন্যাপ পার্টি, আর আশি পার হতে-না-হতে তো সমাজতন্ত্রেরই দিন ফুরিয়ে সন্ধ্যা! তো, এই ভরসন্ধ্যায় যিনি রেওয়াজ করতে বসেছেন তিনি ফরহাদ মজহার এবং তার বয়ানের ধরন মোটেও সমাজতন্ত্রের পোস্টমর্টেম গোছের কিছু নয়। বিশ্বব্যাপী সমাজতন্ত্রের যবনিকা নিয়ে তার বিষণœতা নেই, মোটেও হতাশ নন তিনি তার কম্যুনিস্ট পরিচয় নিয়ে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।

মাত্র দু’শ পৃষ্ঠার এই বইতে ফরহাদ মজহার ধর্ম, ধর্মনিরপেক্ষতা, নাস্তিকতা ইত্যকার বিষয়ের সাথে সমাজতন্ত্র, এবং সমাজতন্ত্রীদের মোকাবিলার ধরনটি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সেসব তিনি বলেছেন মুখ্যত মার্ক্স আর এঙ্গেলসকে হাজির নাজির রেখে। তিনি দেখিয়েছেন, ধর্ম সম্পর্কে মার্ক্সের যে বিখ্যাত ‘আফিম’ উদ্ধৃতি যুগ যুগ ধরে চলছে, তাকে পূর্বাপর বিবেচনা করলে সেটা সম্পূর্ণ অন্য জিনিস। ধর্মের অবসানের জিগির মার্ক্স তোলেন নি, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষতাকে তিনি ধর্মের মীমাংসা বলে মানেন নি। আর এঙ্গেলস তো বিকশিত হয়ে-থাকা খৃস্টধর্মকে সমাজতন্ত্রেরই একটা রূপ বলেছেন প্রকারান্তরে। আরো বলেছেন, ১৮০০ বছর ধরে যে জিনিস সভ্য দুনিয়ার একটা বিরাট অংশের ওপর আধিপত্য চালিয়েছে (অর্থাৎ খৃস্টধর্ম) তাকে অর্থহীন বেকার জিনিসের স্তূপ বলে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

অথচ তাকে উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁদেরই অনুসারীরা! কালেক্রমে তাদের কাছে কেশরদোলানো নাস্তিক্যই হয়ে দাঁড়াল কম্যুনিস্ট হবার পূর্বশর্ত! কেন সেটা হল, বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে, সেটা স্বতন্ত্র আলোচনার বিষয়। কিন্তু স্বতন্ত্র হলেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি ফরহাদ মজহার পরবর্তীতে এরও বিস্তারিত মোকাবিলা হয়ত করবেন। ইঙ্গিত কিছু দিয়ে রেখেছেন, বিশেষত ১৩২-৩৩ পৃষ্ঠায় বাঙালি ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সংঘাতের আলাপ প্রসঙ্গে। পাকিস্তান যেভাবে ইসলামকে ব্যবহার করে বাঙালিদের শোষণ নির্যাতন করেছে, সেই অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হল তখন তার রাষ্ট্রীয় অন্যতম স্তম্ভ ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ কিছুটা হলেও ইসলামের ভূমিকাকে উৎখাত করা অর্থে বুঝেছি আমরা। আর সমাজে ভাষাভিত্তিক সংস্কৃতি ও ধর্মভিত্তিক সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব তো ছিলই। সেই দ্বন্দ্ব কমে নি একটুও, বরং বেড়েছে গোকুলে, আর তার তোড়ে খড়কুটোর মত ভেসে গিয়েছে আমাদের জাতীয় ঐক্য। ফরহাদ মজহার তাই বলেন, একপক্ষের ত্রিশূল আর অন্য পক্ষের তলোয়ারের তলে মাথা রেখে এখন ধর্ম নিরপেক্ষতা সম্পর্কে আলোচনা করতে হয়। আবার ধর্ম নিরপেক্ষতাকে এই দেশে ধর্ম ও রাজনীতির সম্পর্ক হিসেবে না দেখে একটা ‘সাংস্কৃতিক’ উপাদান হিসেবে দেখা হয়েছে, যেন এই দেখনদারির মধ্যেই ‘আবহমান বাঙালি’র আত্মপরিচয় আছে। ফরে অনেকের কাছে ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া মানে হয়ে দাঁড়াল বাঙালি হওয়া, আর বাঙালি হওয়া বলতে তারা যা বোঝেন তার সাথে উপনিবেশিক কলকাতার উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আচার-সংস্কৃতির ফারাক যে নেই সেটা ফরহাদ বলেছেন। যা ছিল ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রকৌশল, সিভিল সমাজে তার অনুবাদ হল অন্যরকম। কার্ল মার্ক্স এজন্যই বলেছিলেন, বেহেশতের সাথে দুনিয়ার সম্পর্ক যেমন আধ্যাত্মিক, ঠিক তেমনি আধ্যাত্মিক রাষ্্েরটর সাথে সমাজের সম্পর্ক!

ধর্ম প্রসঙ্গে ফরহাদ মার্ক্স-এঙ্গেলসের পরে যার কথা সবচে বেশি আমলে নিয়েছেন তিনি লেনিন। লেনিনের মতে, ধর্ম গরিব মেহনতি শ্রমিকের ওপর ভর করতে সক্ষম হয় এজন্য যে, পুঁিজতন্ত্রের অন্ধশক্তির সামনে সাধারণ মানুষ অসহায় বোধ করে। এই ভয় আর পুঁজির চলাচলের পূর্বাপর অনুমান করতে না-পারাই ঈশ্বর এবং ধর্ম তৈরি করে। ফলে, সমাজ থেকে পুঁজিতন্ত্রের বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মের বিনাশ হবে না। সস্তা নাস্তিক্যবাদী ‘কের্দানি’ দিয়ে মানুষকে আরো বিপন্নই কেবল করে তোলা যাবে। ফরহাদ মজহারের মতে, সেটাই করেছেন বাংলাদেশের কম্যুনিস্টরা।

প্রশ্ন ওঠে, এই অভিযোগ যিনি করছেন তিনি কে? কোথায় দাঁড়িয়ে তিনি তুলছেন তার তর্জনী? প্রশ্নটি শুরুতে তুলে মুলতবী রেখেছিলাম, যথাস্থানে আলোচনা করব বলে। এই বইয়ের লেখক ফরহাদ মজহার বলছেন তিনি একজন কম্যুনিস্ট। কিন্তু সমাজ যেভাবে একজন কম্যুনিস্টকে চিনেছে এবং বিচার করেছে তিনি সেই মাপে কম্যুনিস্ট নন। তার মতে, সোভিয়েতের পতন বা পূর্ব ইয়োরোপের ভাঙ্গনের ফলে বিষয়টি আরো সহজ হয়েছে তার কাছে। ‘যারা কমিউনিজমকে কোনো ‘মত’ বা ‘ধর্ম’ নয়, মানুষের চিন্তা ও তৎপরতা বিকশিত হয়ে ওঠার ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিশাবে গ্রহণ করেন তাঁরা এখন নিজেদের কমিউনিস্ট বলতে পারবেন অনেক সহজে’ [পৃষ্ঠা ৪৯]। এই কম্যুনিস্ট পরিচয়ের সাথে আধ্যাত্মিকতা কিংবা ধর্মের কোনো সংঘাত নেই। এই কম্যুনিস্ট সহজ মানুষের ধ্যানের মধ্যেই বাস করে, এবং বিকশিত হয়। তার লক্ষ্য মানুষের সার্বিক মুক্তি, শোষণ বঞ্চনার অবসান। ধর্মেরও লক্ষ্য তাই।

ফরহাদ মজহারের এই আলাপকে নিছক তত্ত্বকথা বলার সুযোগ খুব নেই, প্রথমত তিনি নিজে এর আমল করেন বলে জানা যায়। আর দ্বিতীয়ত, ইন্দোনেশিয়ায় অতি সম্প্রতি ‘ইসলামিক লেফট’ নামে যে বিপ্লবী গোষ্ঠীর আবির্ভাব হয়েছে, তাদের উদ্ভাসের পেছনেও ফরহাদের তত্ত্বের যৌক্তিকতাকে হাজির করা যায়। ফরহাদ নিজেও জানিয়েছেন যে, লাতিন আমেরিকায় লিবারেশন থিওলজির সাথে মার্কসবাদীদের আলাপ আলোচনা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই ‘রিলিজিয়ন এন্ড দি লেফ্ট’ প্রবন্ধে কর্নেল ওয়েস্ট লিখেন যে, ধর্মের প্রশ্নে মার্কসবাদীদের মধ্যে ইয়োরোপীয় এনলাইটমেন্টের বরাবরে তৈরি ধরো-তক্তা-মারো-পেরেক নীতির দিন ফুরিয়ে গিয়েছে [উদ্ধৃতি ফ.ম. পৃষ্ঠা ৩০]।

পুনরুক্তি আছে ‘মোকাবিলা’য়, একটা দার্শনিক গ্রন্থের মেজাজের জন্য এরকম পুনরুক্তি হয়ত একটু চড়া। কিন্তু বইটি মূলত একটি প্রবন্ধ সংকলন আর এর প্রাক্সিসের দিকটা আমলে নিলে একে সঙ্গতই বলতে হয়। যে-কয়টা আর্গুমেন্ট হাজির আছে এই বইতে, সেটির পুরো উদঘাটন এই অল্পদৈর্ঘের আলোচনায় সম্ভব নয়। নানা বিষয়ে বিস্তারিত বুঝবার, শুনবার এবং বলবার আছে। যেমন, প্রশ্ন জাগে, কেন জগতের গরিব মানুষগুলো মার্ক্সের কাছে বিপ্লবী দর্শন ফলিয়ে তোলার কাজটি পেল, অথচ নিজেরা দর্শন তৈরির ভারটি পেল না [পৃষ্ঠা ২৮]? তাদের সৃষ্টিশীল প্রতিভা বিষয়ে ‘অবিশ্বাসী ও উন্নাসিক’ থাকা ইয়োরোপীয় এনলাইটমেন্টের ‘জন্মগত অসুখ’ হতে পারে মানলাম, কিন্তু মার্ক্সবাদের সাথে তার বোঝাপড়া কিভাবে হবে? যেহেতু এই বোঝাপড়া বাংলাদেশে বিপ্লবী রাজনীতি পুনর্গঠনের প্রাথমিক পরিবেশ তৈরি করতে পারে সেটা ফরহাদ জোর দিয়ে বলছেন।

আমার মতে, বাংলা ভাষায় এই মাপের একটি চিন্তা উদ্রেককারী গ্রন্থ খুব কমই লেখা হয়েছে। আবার সেটা নিছক গ্রন্থরচনাবিলাস থেকেও রচিত হয়নি, হয়েছে জরুরি দার্শনিক বোঝাপড়ার জায়গা থেকে। ফরহাদ বারবার বলেছেন যে, ধর্মের প্রতি বিপ্লবী রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি আশপাশের পেটিবুর্জোয়া মতাদর্শ থেকে আলাদা হতে হবে। ধর্মকে যেমন আমরা নিছক আল্লা ও শয়তানের লড়াই হিসাবে দেখব না, তেমনি শ্রেণীসংগ্রামকেও আমরা শয়তানরূপী বুর্জোয়া এবং ফেরেশতারূপী শ্রমিকের লড়াই হিসাবে দেখব না। দুটোই ধর্মতত্ত্বের এপিঠ ওপিঠ। তাহলে বিপ্লব কি? বা ধর্মই বা কি? কিংবা বিপ্লবের ধর্ম বা ধর্মের বিপ্লব বলতেই আমরা কি বুঝব? ফরহাদের জবাব হচ্ছে: ‘[সেটা] শয়তানের বিপরীতে শুভকে ব্যাখ্যা, বর্ণনা বা ধারণা করা নয়, বরং শুভ কি, সেই প্রশ্নকে শয়তান বা অশুভের ধারণা থেকে পৃথকভাবে ভাববার শক্তি অর্জন করা’ [পৃষ্ঠা ৩৬]।

বইটির পাঠ শেষ হবার পর প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায় যে, কেন আমাদের কম্যুনিস্ট বিপ্লবীরা ‘ধর্মহীনতা’ বা ‘নাস্তিক্য’কে শিরোধার্য করেছিলেন? সেটা কি নিছক বস্তুবাদী দার্শনিক বোঝাপড়ার জায়গা থেকে? নাকি এর পিছনে নানান আর্থ-সামাজিক-ঐতিহাসিক প্রণোদনাও ছিল? আর নাস্তিক্যের শিরোপা যারা পড়েন নি, সেই কম্যুনিস্টরাই কেন বা এমন একটি ‘পুঁজিবাদী প্রচারণা’র বিপক্ষে শক্ত পায়ে দাঁড়াতে পারলেন না? ফরহাদ মজহারের পরবর্তী ‘মোকাবেলা’ যদি এই নিয়ে হয়, তাহলে আমাদের সবারই লাভ। বইয়ের পরিশিষ্টের প্রথম প্রবন্ধটি কিন্তু আমাদের সেই লোভ আরো উসকে দিয়েছে।


মন্তব্য

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ সুমন ভাই।

এইবার পড়ি।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পড়লাম। কিন্তু জিজ্ঞাস্য থাইকাই গেল।

১.মার্কস-এঙ্গেলসের কোন রেফারেন্স

২.ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে যদি ধর্মের প্রসংগে উল্লেখ না করার লাইন কাদ দেওয়া হয় তাইলে রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক না হয় কেমনে?

৩. মোজাফফর ন্যাপের উদাহরণ খুবই হাস্যকর। কারণ তখন তারা অলরেডি নিম্নমুখী। "ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র"শ্লোগান তোলা হইছিল দেখি এইটা কেউ খায় কিনা মতলব লইয়া।

৪.মার্কস এঙ্গেলসের যেইসব উদাহরণ মান্যবর মজহার সাহেব দিছেন সেগুলা মার্কসীয় বস্তুবাদরে কিভাবে অগুরুত্বপূর্ণ করতে পারে?

৫. সাম্রাজ্যবাদের প্রোগ্রাম করা ফ্যাসিস্ট চক্র আর তার থিকা ছিটকাইয়া পড়া কিছু বেকুব বোমাবাজের বাইরে কোন কোন ধর্মীয় সংগঠণ শ্রেণী সংগ্রামের প্যারালালে কাজ করতেছে।

এরকম প্রশ্ন আরো তৈরী হইতে পারে। তবে সেই জন্য মজহার সাহেবের নিজস্ব লেখা দরকার। সেইটার কোন অনলাইন লিঙ্ক পাইতেছি না।

.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বাঘ নাই বনে শিয়াল রাজা!!

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হিমু এর ছবি

শেষ পর্যন্ত তাহলে কী দাঁড়ালো ব্যাপারটা? ধর্মের চিৎকার দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলই বিপ্লব? এই বিপ্লবের প্রস্তুতি আর প্রয়োগই ধর্ম?


হাঁটুপানির জলদস্যু

উৎস এর ছবি

মজহার বা উমর সাহেবকে কি সচলায়তনে গেস্ট ব্লগার হিসেবে আনা যায় দেঁতো হাসি? একটু রয়েসয়ে আচরন করা হবে উনাদের সাথে।

উৎস এর ছবি

বিপ্লবের ধর্ম বা ধর্মের বিপ্লব বলতেই আমরা কি বুঝব? ফরহাদের জবাব হচ্ছে: ‘[সেটা] শয়তানের বিপরীতে শুভকে ব্যাখ্যা, বর্ণনা বা ধারণা করা নয়, বরং শুভ কি, সেই প্রশ্নকে শয়তান বা অশুভের ধারণা থেকে পৃথকভাবে ভাববার শক্তি অর্জন করা’ [পৃষ্ঠা ৩৬]।

কেমন একটা সুফীভাব আছে মজহারের এই মন্তব্যে।

??? এর ছবি

প্রিয় সুমন চৌধুরী,

খুব ভাল লাগল যে ইস্যুটাকে ক্রিটিক্যালি এনগেজ করা যাইতেছে। আপনের জিজ্ঞাস্যগুলার সাথে একটু মোকাবিলা করা যাক:
১. ফরহাদ মজহার মার্কস এঙ্গেলস-এর বেশ কয়েকটা রচনা ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে মার্কসের "আর্লি রাইটিংস" মার্কস-এঙ্গেলস-এর "ধর্ম প্রসঙ্গে" এবং "দ্য জর্মন ইডিওলিজ" কথা আমার মনে আছে।
২. এই প্রশ্নটা বোঝা যাচ্ছে না। একটু খোলাসা করে কৈবেন কি?
৩. মোজাফফর ন্যাপের উদাহরণ হাস্যকর না, মোজাফফর ন্যাপের "ধর্ম-কর্ম-সমাজতন্ত্র" বিষয়ক প্রস্তাবনাটাই হাস্যকর। কিন্তু এই হাস্যকর চেষ্টার মধ্যে বাস্তবতাকে একটু ক্রিয়েইটভলি বুঝনের চেষ্টা আছিল।
৪. মার্কসীয় বস্তুবাদরে অগুরুত্বপূর্ণ করার চেষ্টা ফরহাদ করেছেন বৈলা ঐ বইয়ে দেখি নাই। বরং মার্কসীয় বস্তুবাদের দ্বান্দ্বিক ডাইমেনশনটাকে হাইলাইট করার চেষ্টা দেখছি তার মধ্যে।
৫. এইখানে একটু খোলাসা করার আছে। "বেকুব বোমাবাজরা" "সাম্রাজ্যবাদের প্রোগ্রাম করা ফ্যাসিস্ট চক্র" থিকা ছিটকায়া পড়ছে এইটা কিভাবে অনুমিত হৈল? তারা কি ফ্যাসিস্ট চক্রের অংশ আছিল? খুবই অনৈতিহাসিক মন্তব্য। বরং আপনে পলিটিক্যাল ইকনমি-র মেথড নিয়া আগান না... কী ম্যাসেজ আসে?

আর.. কোনো ধর্মীয় সংগঠন শ্রেণী সংগ্রামের প্যারালালে কাজ করতেছে কিনা, ফরহাদে এর কোনো করভিন্সিং জবাব আমি পাই নাই। তার আলোচনা ছিল অনেকটাই নরম্যাটিভ, অর্থাৎ, ধর্মীয় (আধ্যাত্মিক) বাতাবরণেই শ্রেণীসংগ্রামের মীমাংসা হৈবে ধরনের। এইটা ভবিষ্যকথন, ইংরাজিতে ঠিকভাবে বলা যায়, প্রোগনস্টিক্যাশন। ফরহাদের প্রব্লেম ফাইন্ডিং আমার পছন্দ,ফ্রেমওয়ার্ক চমৎকার, কিন্তু ভবিষ্যকথন না। আর সমাজস্থিত শ্রেণীবিশ্লেষণের এবং শ্রেণীসংগ্রামের বিষয়ে আমার কিছু ভিন্ন ধারণা আছে।

দু:খের বিষয় যে, ফরহাদ মজহারের বইটার কোন অনলাইন লিংক নাই। একমাত্র বই আকারেই অ্যাভাইলেবল।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সুমন ভাই ৫ম পয়েন্টটা টিকমতো বুঝি নাই। ভারতবর্ষে অন্তত মনে পড়তাছে না...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

??? এর ছবি

পয়েন্টটা আপনার আছিল। এইটা কেবল ভারতবর্ষের ঘটনা না, সারাদুনিয়ারই ফেনোমেনা, "ইসলামী টেররিজম" নামের বাতাবরণে। আপনার অনুমান হৈতেছে, ইসলামী টেররিজম (আপনার ভাষায়, বোমাবাজ বেকুবরা)ফ্যাসিস্ট চক্র থিকা ছিটকায়া পড়া একটা গোত্রবিশেষ। এইটা আমার মনে হৈছে সঠিক ব্যাখ্যা না। জা বদ্রিয়ার "দ্য স্পিরিট অব টেররিজম" নামে ছোট্ট একটা বহি আছে, আপনার হয়ত পড়া। সেইখানে তিনি দেখাইছেন, কীভাবে এই ইসলামী টেররিজমই আসলে বর্তমান ইম্পিরিয়ালিজমের এক নম্বর শত্রু। সমাজতন্ত্রের পতনের পরে সাম্রাজ্যবাদের বিপক্ষে খাড়ানোর মত "ধৃষ্টতা" ওদেরই দেখা যাইতেছে। আর এইটা এত সহজে জিতবার মত যুদ্ধ না, সাম্রাজ্যবাদের তরফে। কারণ, ইসলামী টেররিজমের প্রধান অস্ত্র হৈতেছে, তাদের মৃত্যু। আবার তার সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তিরো পনের আনা ফায়দা নিতে প্রস্তুত তারা। ফরহাদ মজহারের দাড়াইবার জায়গাটাও এইখানে, কিন্তু দুজনের কনক্লুশন ভিন্ন। বদ্রিয়া যেখানে একটা ফাটাল পরিণতির আশংকা করেন পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায়, ফরহাদ সেইখানে বিপ্লবের গন্ধ পান।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি পাই না। নাকে সমস্যা আছে।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

??? এর ছবি

ভাই শোহেইল মতাহির চৌধুরী,

আপনের মারেফতি ইশারা বোঝার মত আক্কেলমন্দ আমি হই নাই। কারে বাঘ বানাইলেন আর কারে শিয়াল?

মেশিন হ্যাং করলে রিস্টার্ট দেওয়াই ভাল।

??? এর ছবি

হিমুর প্রশ্নটা খুব সুন্দর! শেষপর্যন্ত দাড়াইতেছে কী তাহলে? আমি রাজনীতিক না, নিছক অ্যাকাডেমিক আগ্রহে পাঠ করি। ফলে, আমার কাছে "শেষ"টার চেয়ে প্রবাহটার গুরুত্ব বেশি, অর্থাৎ কোন ডিসকাশনের যৌক্তিক প্রণালীসমূহ কি, কীভাবে সে আগায়, কী সে যোগ করে, এবং পুরানো কোন জিনিসটারে সে চ্যালেঞ্জ করে। আমার কাছে শেষ বৈলা কিছু নাই।

কিন্তু ফরহাদের কাছে আছে, বা থাকা উচিত, যেহেতু তিনি তার মতামত প্রচার করেন এবং আমল করেন। হিমু যদি বাংলাদেশে অবস্থান করেন, তাইলে মূল বইটা পড়ার সুযোগ তার আছে, চাই কি তিনি ফরহাদ মজহারের মুখোমুখি হৈয়াও তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

??? এর ছবি

উৎস,

কাছাকাছি ধরছেন আপনি। তবে যারে আপনি "সুফীভাব" বলতেছেন, সেইটা, অ্যাকাডেমিক পরিভাষায়, একটা এথিক্যাল বোঝাপড়া। ফরহাদের এই জায়গাটা আমার দারুণ পছন্দ। তিনি বলতেছেন, "ভাল" ও "খারাপ"এর যে ডাইকাটমির মধ্যে আমরা আবহমানকাল ধৈরা স্বচ্ছন্দে আছি, তার বাইরেও দাড়াইবার পাটাতন আছে।

ভাস্কর এর ছবি

সুমন ভাই
ফরহাদ মজহারের বিবর্তন এতো ঘনঘন হইছে গত ১০ বছরে তাতে তারে খুব ভালোমতো ফলো না করলে কোন কমেন্ট করা দুষ্কর। তয় ভালো আর মন্দের ডাইকোটমির প্রসঙ্গ যখন উঠাইলেন তখন একটা কথা মনে হইলো...ধর্ম হইলো এই ডাইকোটমির চরম আধার...তাইলে ধর্মের পাল্টা পঠন ক্যান প্রয়োজনীয় হইবো?


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

এই কারণেই ভাস্কর। অর্থাৎ সাবেকি ধর্মতত্ত্ব (এবং সাবেকি নীতিশাস্ত্র) ভাল এবং মন্দের ডাইকাটমি দিয়াই জগৎ ব্যাখ্যা কৈরা ফালাইছে। অর্থাৎ কোন জিনিস ভাল না হৈলে তা অবশ্যই মন্দ - এই হৈল যাবতীয় ধর্মতত্ত্বের মূলকথা। এইখানে ফরহাদ কৈতেছেন, "ভাল"কে "খারাপ" থিকা আলাদা কৈরা ভাবার শক্তি অর্জন করার কথা। অর্থাৎ "ভাল" চিনবার জন্য তাকে "খারাপের" সাথে তুলনা করবার যে রীতি, সেইটার বাইরে আসার জন্যই ধর্মের পাল্টা পঠন দরকার। তুমি দর্শনের ছাত্র, ফলে বুঝতেই পারতেছ যে, ফরহাদের এই যুক্তি মেটা-এথিক্স থিকা নেয়া হৈছে।

ভাস্কর এর ছবি

সাদাকালো বিচার প্রক্রিয়া কিন্তু ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সিজমে যতো না বলছে তার চাইতে তার চর্চ্চা হইছে অনেক বেশি...বরং চিরায়ত মার্ক্সবাদে ভালো-মন্দ, কিম্বা শত্রু-মিত্র চিননের ক্ষেত্রেও দ্বান্দ্বিক বিচার পদ্ধতির কথা বলা আছে...যেইখানে ফরমাল লজিকের মতোন...কিংবা সাবেকী(?) নীতিশাস্ত্র মতোন এই আর ঐ বিভাজনে যাওনের কোন অবকাশ নাই। তাইলে ধর্ম ফ.ম.'এর টুল হিসাবে আসে ক্যান? কেবলই কি যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হিসাবে? নাকি অন্য কোন ফান্ডা এই খানে নিহিত থাকে। লোকটারে অনেক কম গুরুত্ব আসলে তাত্ত্বিক এরেনাতে ভাবনের অবকাশ নাই। কারন কথিত(?) সাব অল্টার্ন কাহিনী কিম্বা বড়লোকের ওরিয়েন্টালিজমেও তার আনাগোনা যে কোন আন্তর্জাতিক পন্ডিতগো মতোই...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

ধর্ম টুল হিসাবে আসে, কারণ যে মানুষরে তুমি মবিলাইজ করতে চাইতেছ, সে তার জগতব্যাখ্যায় ধর্মের আর মিথলজির কাছেই ফিরা ফিরা আসে। এঙ্গেলস যেমন খৃষ্ট ধর্ম নিয়া বলেন, যে, ১৮০০ বছর ধরে সভ্য দুনিয়ার একটা বিরাট অংশের ওপর আধিপত্য চালাইছে যে জিনিস, সেইটারে স্রেফ প্রতারকদের জড়ো করা বেকার জিনিসের স্তূপ বৈলা উড়ায়া দেওন যায় না।

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আসলে মজহার সাহেবের নিজের লেখা একটা না পোস্টাইলে তারে কায়দা মতো ধোলাই করা যাইবো না। তবে সুমন রহমান আমলের কথা কইছেন। সেই আমল গুলা আসলে কি সেইটা জানতে পারলে কৃতার্থ হইতাম।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

??? এর ছবি

ধোলাই দিবেন ভাল কথা, ফরহাদ মজহাররে সচল হৈতে কন না ক্যান? আর তার বইপত্রতো বাজারে আছে। একটু কিন্যা পড়েন। খালি ব্লগ পৈড়া কি জীবন পার কৈরা দিবেন নাকি?

আমল মানে প্রাক্সিস, শঙ্কু ভাইজান। ফরহাদ মজহারের নিছক বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় বিশ্বাস নাই। উনি উনার দার্শনিক মতকে রাজনৈতিক হাতিয়াররূপে দ্যাখেন। যেমন: উনি মনে করেন, কৃষিতে সবুজ বিপ্লব একটা সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট ষড়যন্ত্র। প্রজন্মবাহিত লোকায়ত জ্ঞান-ই এক্ষেত্রে যথেষ্ট। এই বিশ্বাস থিকা তিনি নয়াকৃষি নামক একটি আন্দোলন শুরু করছেন বৈলা শুনছি। এইটা হৈল আমল।

উৎস এর ছবি

এরকম কিছু অতিথি সচলদের আমন্ত্রন জানানো যায়। আমরা আরেকটু গুছিয়ে উঠলে, বিশেষ করে বেশ কিছু ভালো লেখা যোগ হলে (এজন্য শোমচৌ, হাসান মোর্শেদ, সুমনদ্বয়, আরিফ, পিয়ালভাই কে এগিয়ে আসতে হবে)। আমার লিস্টে থাকবেঃ
- ডঃ জাফর ইকবাল
- আনিসুল হক
- ফরহাদ মজহার

সাধক শঙ্কু এর ছবি

দেঁতো হাসি


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

ভাস্কর এর ছবি

কিন্তু সুমন ভাই রাজনৈতিক আন্দোলন যখন ব্যবসায় যায় তখন আর ঐটা আমল থাকেনা ঐটা ফিকির হইয়া দাঁড়ায়...যেইটা আসলে অসংখ্য ব্যক্তির উন্নয়ন করে ঠিক...কিন্তু সমাজ কিম্বা রাষ্ট্রে বৈষম্যসূচক বাড়ানি ছাড়া আর কিছু করে না।

আমলনামা, তত্ত্বের বলিহারী সবকিছুর দরকার আছে মাইনা নিয়াও কওন যায় অর্থশাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু বাদ দিয়া দেওনের মতোন বিষয় না।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

ভাস্কর এর ছবি

তত্ত্বের বলিহারী মানলেও মনোহারী নিশ্চিত না...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

তর্কসাপেক্ষ, ভাস্কর। নির্ভর করে, তুমি কোন্ প্লাটফর্মে আছো, মুক্তবাজার অর্থনীতি, না সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি।

ভাস্কর এর ছবি

ঐটা মাইনা ব্যবসা যদি আন্দোলনের কৌশল হয় সুমন ভাই তাইলে...বিটপির মালিক রেজা আলীওতো তাই করতেছে...ত্রিশালের এক গ্রাম কিনা নাকি সে জৈব পদ্ধতিতে মাছের আর ধানের চাষ করতাছে...

ফ.ম.'এর রাজনৈতিক তত্ত্ব নিয়া আমার প্রশ্ন থাকলেও অনাগ্রহ নাই, কিন্তু তার ব্যবসারেও রাজনৈতিক আন্দোলনে আইনা তারে বিশেষ্যীকৃত রূপ দেওনের ব্যাপারটা ঠিক জুইতের মনে হইতেছে না।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

অফ টপিক হৈয়া যাইবে, তবু একটু ইঙ্গিত দিয়া ঘুমাইতে যাই। সোশ্যাল এন্টেপ্রেনিয়রশীপ বৈলা একটা ডিসকোর্স চালু হৈছে ভাস্কর, এই ধরনের কর্মকাণ্ডরে বৈধতা দিবার জন্য। মানা না মানা তোমার ব্যাপার, কিন্তু তারা মনে করে এই ধরনের "সামাজিক ব্যবসা" সমাজে বৈষম্য বাড়ায় না, বরং ট্রিকল-ডাউন কৈরা হৈলেও একটা লাভালাভ নিচ পর্যন্ত পৌছায়। ইত্যাদি। আমি সেইটা মানি কিনা সেই আলাপে না যাই, তবে এই বিষয়ের পক্ষেও যুক্তি আছে।

ভাস্কর এর ছবি

এইটাতো নতুন শুরু হয় নাই সুমন ভাই সেই আশির দশকের শুরুতেই চীনাদেশ নিয়া আমাগো দেশের অর্থনীতিবিদ আনিসুর রহমান সাহেব এই জিনিসের আরেকটা নাম দিয়া বর্ণনা করছিলেন...তিনি কইছিলেন মার্কেট সোশ্যালিজমের কথা। আর ট্রিকেল ডাউন শব্দটা তত্ত্ব হিসাবেই দাঁড় করাইছেন ৩০ দশকে কেইন্স সাহেব...কিন্তু একই জিনিসরে যদি জায়েজ করনের লেইগা মানবীয় আবরনে ঢাকা হয় তাইলেই কি তা আন্দোলনে পর্যবসিত হইবো...ব্যাপারটা কি আপনেই এতো সোজা ভাবতেছেন?


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

আমার একটা প্রশ্ন। এইটার লগে জোসেফ স্টিগলিটজ বিশ্বব্যাঙ্কে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ১৯৯৭ সালে International development: Is it possible নামে যেইটা বা ঐ সময় এই ধরণের আরো যেইসব লিখছিলেন তার লগে মৌলিক পার্থক্য কই? (স্টিগলিটজ ২০০০ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক ছাড়ার সময় মুখ খুলছিলেন বলা তারে চুপ করাইতে নোবেল দেওয়া হইছিল। এই কাহিনি আপনে জানেন)


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

??? এর ছবি

ভাস্কর,
মার্কেট সোশ্যালিজম বা সোশ্যাল এন্টেপ্রেনিয়রশীপ এক জিনিস না। যাক... আমরা মনে হয় ক্রমাগত অফ টপিক হৈয়া যাইতেছি। জায়েজ করনের লাইগা ঢাইকা ব্যবসা করলেই সেইটা সামাজিক আন্দোলন হৈয়া যায় কিনা, এইটা আমি ভাবছি তুমি কৈ পাইলা?

স্টিগলিটজের যে কাহিনী লিখছেন শঙ্কু, সেইটা আমি জানি, কিন্তু এত সরলভাবে জানি না। সবখানেই কনস্পিরেসির গন্ধ! স্টিগলিটসকে চুপ করাইতে নোবেল দেওয়া হৈবে কেন (চুপ করাইতে বাশডলা দিবার ক্ষমতা যেন উনার-ই আছে, আম্রিকার নাই!), উনি কি নোবেল পাওনের যোগ্য আছিলেন না? আপনের স্টিগলিটস-সংক্রান্ত জিজ্ঞাস্য একটু খোলাসা কৈরা কন, আলাপ করি।

ভাস্কর এর ছবি

সোশ্যাল এন্টিপ্রেনিওরশীপ মালটা আলাদা সেইটা ঠিক আছে, আমি দৃষ্টিভঙ্গীর কথা কইছিলাম। পুঁজিবাদী প্ল্যাটফর্মে থাইকা সমাজতান্ত্রিক চোখের যেই উদ্দেশ্য সেইটাতো অলমোস্ট এক। তয় এই পদ্ধতিতো সকল এনজিও'ই পালন করে। ফরহাদ মজহার সাহেবতো আর অনন্য না এইখানে।

তয় ইউনুস সাহেবের লগে তার এক তর্কমূলক কলামে উনি খুব জোরদার ভাবেই কইছিলেন তার ব্যবসায়িক অবস্থানের কথা। ইনুস সাবের ভন্ডামীরে উনি সেইখানে তার এই সত্যবচন দিয়া ধরাইয়া দিছিলেন...এখন যদি সেইটারেই আবার নিজের আন্দোলন কৌশল হিসাবে দেখান তাইলেতো হইবো না।

আমি আপনে ভাইবা নিছেন এইটা বলি নাই সুমন ভাই, বলছিলাম আপনেও তো নিশ্চিত ঐটারে সহজ উপায় ভাইবা নিবেন না।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

ফরহাদ মজহার কিন্তু নিজেরে সোশ্যাল এন্টেপ্রেনিয়র দাবি করেন না, অ্যাক্টিভিস্ট দাবি করেন। ফলে, নয়াকৃষি বা উবিনীগের ছিপ দিয়া উনি যে রাঘব বোয়াল বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতেছেন, সেইটার প্রকাশ্য কোন বিবৃতি উনি দেন না। আমি তার সংগঠন বা এনজিও চালানোর ধরন সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না, তবে লোকমুখে যা শুনি, তাতে মনে হয় ঐগুলা খুব অটোক্র্যাটিক ধরনে চলে। নানান বঞ্চনার কাহিনী শোনা যায়। আবার ইউনুস সাহেবের জিনিস একটা প্রকাশ্য ব্যবসা, ঐটারে উনারা কন, সামাজিক ব্যবসা। অর্থাৎ ব্যবসা করলাম, ওয়েলফেয়ার হৈল, কিন্তু ট্যাক্স দেওয়া লাগল না! ইউনুস সাহেবদের তবু একটা মিনিমাম জবাবদিহিতা আছে, সামাজিক ব্যবসা নামের বাতাবরণে। কিন্তু ফরহাদ মজহারের সাংগঠনিক পদ্ধতির মাঝে সেইটা আছে কি?

পরার্থপরতার যে অর্থনীতি, সেইটা সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির ভাল ভাল দিকগুলি নানাভাবে আত্মীকৃত করার চেষ্টা করতেছে ভাস্কর। এই চেষ্টায় আমি খারাপ কিছু দেখি না। পুজিবাদের ধর্মই ধনী-গরিব বৈষম্য ক্রমাগত বাড়ায়া তোলা, পরার্থপরতার অর্থনীতি দিয়া যদি সেই সেই দুর্দশায় একটু ত্যানাপোড়া দেয়া হয়, ক্ষতি কি? কারণ, হালের সমাজতান্ত্রিক স্বপ্নতো সেই নি:স্বায়ন ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারতেছে না।

ভাস্কর এর ছবি

এই দুলকী চালের সমাজতান্ত্রিক বিনির্মাণ করছিলেন রবার্ট ওয়েন প্রায় দেড়শো বছরেরও আগে। মানুষরে সমবায়ের ভিত্তিতে মাথায় হাত বুলাইয়া কাজকাম করানের একটা স্বপ্ন দেখছিলেন উনি। তারো আগে আরো গুণীজনেরা এইরম ভাবে ভাবছে বুর্জোয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের অসারতা বুঝতে পাইরা। এইটাও আসলে নতুন কোন উপলব্ধি না।

দুর্দশায় ত্যানা প্যাচাইতে গিয়া যদি বিদ্রোহের সলতে ফুরাইয়া যায় তাইলে খুব ভালো হয় না আসলে মনে হয়। তখন অ্যাক্টিভিস্ট কইলে মানুষ আসলে কি ভাববো কে জানে! উনার উবিনীগে বন্ধু জাকির কাজ করছিলো বেশ কিছু দিন। তার কাছ থেইকা কোন মন্দকথা না শোনা গেলেও বহুতবার 'বাদ দ্যাও!' এক্সপ্রেশনটা পাইছি। জাকিরও তার ভক্ত হইছিলো তত্ত্বের বিনির্মাণেই...স্পিভাকের নেওয়া সাক্ষাতকার ডেইলী স্টারে পইড়া।

ফরহাদ মজহার সাবের আরেকটা কাহিনী শুনছিলাম সারোয়ার ফারুকীর মুখে...এরশাদ বিরোধী আআন্দোলনের টাইমে তাগো দুনিয়া কাঁপানো দশদিনের আন্ডারগ্রাউন্ড ইতিকথা। আর আমার খালু মহসিন শস্ত্রপাণি ক'ন সে সিআইএ'র এজেন্ট। সব বাদ দেই তার তত্ত্বকাহিনীর পঠনে রত হই...কারণ এই জায়গায় সে অনেক পোমো কাহিনী দেশজ ভঙ্গীতে কওয়ার চেষ্টা করেন। এইটার বিকল্প পঠনে হয়তো আসলেই কিছু দিকনিশানা পাওন যাইবো। কিন্তু তার নয়া টাইপ আন্দোলনের সাফাই গাওয়াটা আসলেই বহুত রিস্কি...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

সেইটাই তো আমি কষ্ট কৈরা কৈতে চাইতেছি ভাস্কর। ফরহাদের তত্ত্বের মোকাবিলা যদি তুমি তার ব্যক্তিজীবন বা সাংগঠনিক তৎপরতা দিয়া কর, তাইলে তার তত্ত্বের সুপ্রিম্যাসীই প্রমাণ হয়।ব্যক্তিজীবনের আলোচনা ছাড়া ফরহাদের তত্ত্বে ফাক পাওয়া যাইবে না, এমন আমার মনে হয় না। তবে সেইটার জন্য আরো একটু হোমওয়ার্ক লাগবে আমাদের।

যেকোন কিছুকে পুরান আদলে খুইজা পাওয়ার প্রবণতা দেখি তোমার মধ্যে। এইটা এমন কঠিন কোন বিষয় না। চাইলে জগতের সবকিছুই পুরান জিনিস দিয়া ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা যায়। তবে এই কাজ তারাই করে যাদের আলস্য বেশি, যারা মিথলজি মানে,কিংবা যারা মেটাফিজিক্স-এ আসক্ত।

ভাস্কর এর ছবি

হা হা হা ভালো কইচেন সুমন ভাই। পুরান আদল দিয়া দেখি কারণ একধরনের গ্লোরিফাইং ব্যাপার কইরা এইসব তত্ত্বগুলি নতুন অভিধা দিয়া তো আসলেই প্রচার হয় সুমন ভাই। বিজ্ঞাপণী সংস্থায় চাকরী করনের কারনে তো জানি টার্ম-জার্গন বানাইয়া আসলে কেমনে কাজ করা হয়। এইটা কইলাম নিজেরে ডিফেন্ড কইরা, তয় নতুন পড়ালেখাতো আসলে করি না, সেইটাও সত্য। ক্ল্যাসিকাল মার্ক্সিজম ছাড়া খুব বেশি জিনিসতো পড়ি নাই পলিটিক্যাল ফিলোসফিতে...যা পড়ছি সেইগুলিও সেই ৬০ দশকীয়। আর আমার মৌলিক তত্ত্বের প্রতি আগ্রহ বেশি হইছে ইদানিং...নাইলে হুদাই গুরুত্ব দিমু ক্যান একজন ব্যক্তিরে!


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

তাও তুমি তো অন্তত ক্ল্যাসিক্যাল মার্ক্সিজম পড়ছ। ... যারা মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক, তাদের কথা বুঝতে আমার অসুবিধা হয় না। কিন্তু মার্ক্সবাদী অ্যাক্টিভিস্টদের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা যখন শুনি প্রায় কিছুই বুঝি না।

ভাস্কর এর ছবি

আমাগো এই অঞ্চলে মার্ক্সবাদী অ্যাক্টিভিস্ট তাত্ত্বিক হিসাবে যারা লেখালেখি করছে বা এখনো করতাছে বদরউদ্দিন উমর সাহেব ছাড়া আর তো কাউরে দেখি না যে পার্টি সংগঠনের বাইরে কিছু নিয়া ভাবছে...বাকীটা তো আরেকজনের ইন্টাপ্রিটারের ভাষ্যমতেই চলে রিপিটেশন...আর মূলতঃ এই অঞ্চলের কথিত তাত্ত্বিকেরা পদ্ধতিগত দর্শন না পইড়াই মার্ক্সবাদে হাত পাকাইছে...যেই কারনে কিছু মুখস্ত বিশ্বাসকেন্দ্রীক ব্যখ্যায়ন করনেরও প্রবণতা দেখন যায়। মেথডলোজী, মোরালিটি সব বুর্জোয়া সংস্কার কইতেও তো এই দুইটারে জাননের দরকার আছে...

তয় পার্টি সংগঠন নিয়া ভাবতে হইছে এই অঞ্চলের মানুষরে কারন বাউলিয়ানা-সহজিয়ার ভূমিতে একটু অটোক্রেটিক পার্টিজান চটক দিয়াই বিপ্লবী বাহিনীর সম্ভাবনা তৈরী করন যায়।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

হ্যা। ঠিকই। তুমি তো আমার বন্ধু খায়েররে চিন, পাচটা বছর একলগে কাটাইলাম, কিন্তু ওর মার্ক্সিজমের কিছুই প্রায় বুঝলাম না। এমনকি যে কয়টা বই ওর কালেকশন থিকা পড়ছিলাম (এন্টি ডুরিং, প্লেখানভের মার্কসবাদের মূল সমস্যা, লেনিনের ডেভেলপমেন্ট অব ক্যাপিটালিজম ইন রাশিয়া ইত্যাদি)সেইগুলাও, ওর কমেন্ট্রির দাপটে, ঠিকমত বুঝি নাই। এখন শুনি সে, আওয়ামি লীগের তাত্ত্বিক হৈবার কৌশেস করতেছে। হাসিনা আপার সাথে মিটিং থাকে ঘন ঘন, নাস্তা করে তোফায়েল ভাই-র সাথে!!

ভাস্কর এর ছবি

আপনে দাউদ হাসানের সাগরেদগো পাল্লায় পরছিলেন সুমন ভাই। সে কিন্তু পোমো টাইপ আছে। তারো মূল চিন্তা শত্র-মিত্র চিহ্নিতকরণ নিয়া। তারা আওয়ামিগো প্রগতিশীল বুর্জোয়া হিসাবে আগে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তারপর নাকি তাগো পাল্টাইয়া সমাজতন্ত্র আনবো দেশে। দাউদ হাসানের কিছু চটিবই পড়ছিলাম...সে রীতিমতো ঔপন্যাসিক স্তরের লেখক। তার এক শিষ্য মুশে হকের কন্যা সামহোয়্যারের রাগ ইমন। খুবই ইন্টারেস্টিং আর ধোয়াটে এই গ্রুপ।

খায়ের ভাই অদূর ভবিষ্যতে আওয়ামি লীগ থেইকা নির্বাচন করলেও অবাক হমু না।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সাধক শঙ্কু এর ছবি

দাউদ হোসেনের একটা বৈশিষ্ট হইলো সোজা কথা সোজা কইরা না কওয়া। লেনিনের অন দি সো কল্ড মার্কেট কোশ্চেন এর ভুমিকা লিখছে বইটার প্রায় ৭০% ধইরা। তাতে একধারছে আনু মুহাম্মদরে গালি দিছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিকাশ রহিত পুজিবাদ না হইলে কি সেইটা পরিস্কার হয় নাই।


গড়ি দালানকোঠা ফেলে দিয়ে শ্মশাণে বৈঠকখানা

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সুমন ভাই কি জাহাঙ্গীরনগরের সুমন ভাই?(ভয়ে ভয়ে জিগাই)
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

??? এর ছবি

হ। তবে জাহাঙ্গীরনগরে আমার আমলে কম কৈরা হৈলেও ১১ জন সুমন আছিল। সুমনদের একটা ক্লাব বানানোর প্ল্যান করছিলাম আমরা। আপনের লগে কি আমার পরিচয় ছিল?

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সম্ভবত পরিচয় ছিল না। তবে আপনি যদি ইংলিশের সুমন ভাই হইয়া থাকেন তাইলে আপনারে চেহারায় চিনি। আমি নিতান্তই পোলাপান। ২৫ তম ব্যাচ।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ভাস্কর এর ছবি

তুমি কোন সুমন ভাইয়ের কথা জিগাও? এই সুমন ভাই দর্শনে পড়তো। দামোদর নামে একটা পত্রিকা বাইর করতো তখন...আরেকটা সুমন ভাই আছে ইংলিশের তার ভালো নাম শামসাদ মর্তুজা।


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তাইলে পরিচয় ছিল না। তবে দামোদর এর একটা সংখ্যা পড়ছিলাম শশাংকর কল্যাণে।
......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

??? এর ছবি

আমরা ১৭ ব্যাচ। আর আমি মোটামুটি হলেই থাকতাম, গাঞ্জাগুলি খাইতাম। মানুষের সাথে পরিচয় খুব যে আছিল তা না। তবে কেউ কেউ আমারে "কবি" হিসাবে চিনত। পরে, চাইর-চাইরটা বইসহ কবি মাসুদ ক্যাম্পাসে আইসা পড়লে আমার সেই পরিচয়েরও সলিল সমাধি ঘটে। অনার্স দেওনের পর থিকা অবশ্য ক্যাম্পাসে আর থাকা হয় নাই।

ভাস্কর এর ছবি

তুমি তো আমারে এলা আপার কথা মনে করাইয়া দিলা সুমন...যেইদিন জাবিতে ভর্তি ফর্ম আনতে গেছিলাম ঐদিন তারে নিয়া এক কবিতা লিখছিলাম...সেইসব দিনগুলি...আহা!


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

ভাস্কর এর ছবি

মাসুদ ভাইয়ের কথা আমি আগের এক পোস্টে এক জায়গায় কইছি...তখন কি শিমুল ভাইয়ের বই বাইর হয় নাই? শিমুল মাহমুদের কথা কইতেছি...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

??? এর ছবি

না মনে হয়। তবে মাসুদ আইসা যখন আমাগো দশা দেখল, তখন সে তার বই লুকায়া ফেলল। আমরা জিগাইতাম মাসুদ, তোমার বই কই? সে আড়ষ্ট হাসি দিয়া কৈত, ধুর, লজ্জা দিতেছেন ক্যান!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এলা আপারে দেখছি। তার ছোটবোনরেও দেখছি। ভাবলে ভালো লাগে। উদাসো লাগে...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

হিমু এর ছবি

এলার প্রসঙ্গে গুরুতর দার্শনিক চিন্তা একটু এলো হয়ে গেলো, মনে হচ্ছে। দর্শনের স্মৃতি দর্শনের তত্ত্বকে ঘায়েল করে দিলো, মনে হচ্ছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

উৎস এর ছবি

হু তাই দেখছি।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আমি এক এলারে চিনি হে আমারে চাকরী দেওনের কথা কয়া দেয় নাই----
ইজরাইলের মাইয়া!!
___________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হাহাহাহাহা
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

??? এর ছবি

এমনি হয়, সব তত্ত্বেরই ঠিকানা
তোমার আমার বিছানা!

??? এর ছবি

কিন্তু আলোচনা খুব উপভোগ্য হৈছে। ধন্যবাদ সবাইকে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সুমন ভাই পোস্টান নতুন কিছু...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

উৎস এর ছবি

গুছিয়ে সংকলন বের করা হবে। তো নেক্সট টপিক কি করা যায়। ডাটা ট্রান্সফার রেট নাকি কমে গেছে, একটু রগরগে টপিকে যাবো?

??? এর ছবি

একটু দৌড়ের ওপর আছি ভাই। গুছায়া আবার পোস্টাইতে বসমু। আপনেরা চালায়া যান।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

শনিবার পর্যন্ত আমারো কোপাকোপি অবস্থা। তারপরে দেখি...
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ভাস্কর এর ছবি

আলোচনা অন্য মুখী কইরা দেওনের জন্য দুঃখিত...


বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সুমন ভাই ফিরা আসেন। এই রকম মারদাঙ্গা কিছু লেখেন।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।