আমার কবিতায় অনাগ্রহ দেইখা উপর্যুপরি হামলার সিদ্ধান্ত নিলাম। এমনি এক মধ্যরাতে লেখা ছিল এই কাব্য। বছর দশের আগের কথা। তখন তো ব্লগও ছিল না, নিজেও বেদনাহতাহত আছিলাম। তাই কবিতাখানি স্মার্ট হৈয়া উঠতে পারে নাই।
খুব ক্যাজুয়াল, কোন জলদি নাই, যেন নিরবধি
যেন কারো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাচ্ছে মধ্যরাতের নদী
পাঁচমিশালী ধারাস্রোতের দোটানা-সহ।
আলোকসজ্জার নৈশ অনুরোধ ঠেলে যেতে মন কি তার একদম সরছে না?
নাকি ভুলে গেছে,পাহাড়ের বেণী খুলবার দিনে সেও ক্রন্দনশীলা পথ
আর জয়দ্রথ
কিংবা আমি
এসে বসলাম পা ডুবিয়ে,ইউরিয়া ফ্যাক্টরির সবুজ বিষ্ঠা মিশছে
ঘুমন্ত ইলিশের ফুলকায়
তবু গুনগুনিয়ে যাচ্ছে নদী, যেন ওর গানের ভেতর ইলিশের
বোকা বোকা শ্বাসকষ্ট আছে। সহজ মরণ আছে।
নদীকে বললাম আমার নানাবিধ পদ্যসম্ভাবনার কথা
এক বালিকার খেয়ালখুশির ভেতর তীব্র বেদনারাশিসমেত
লতিয়ে উঠত ওরা –
সেই বালিকা, যাকে আমি লুকিয়ে রেখেছিলাম ওর সহচরীদের কাছ থেকে
আগলে রেখেছিলাম পৃথিবীর সবাইকে তস্কর ভেবে
বলতে ইচ্ছা করছে: তাকে হারিয়ে ফেলেছি, অথবা তাকে
কোনদিনই পাই নি
তাকে আমি একদম বুঝি নি, সেও আমাকে নয়
আমি হয়ত তাকে একদিন বুঝে উঠতে পারবো,কিন্তু সে আমাকে
কোনদিনও বুঝবে না
একটি নিঃসঙ্গ জেলেনৌকার আলোয় আমার চোখ
ঝাপসা হয়ে আসছে
নদী বইছে ধীরে, সপ্রতিভ উপেক্ষার অল্প অল্প ঘূর্ণি ওর গায়ে
যেন আমি যে গল্পটি বলছি সেটি বহুবার তার বহুজন থেকে শোনা
যেন তার তীরে তীরে পুনরাবৃত্তি বোনা
যেন কোন উচ্চাভিলাষী শহরের পাশ দিয়ে
একবারও বয়ে না-গিয়ে
আমার বুঝবারই কথা নয় দাম্পত্য কাকে বলে
যেন আমার সম্ভাব্য কবিতা
ঐ উঠতি শহরের পয়ঃনিষ্কাশনের মতই
একপেশে একটি বধির ব্যবস্থামাত্র!
সমবেত স্নান শেষে শ্রমিকদের হল্লা মিলিয়ে যাচ্ছে দূরে
ছুটি চেয়ে বড় বড় শ্বাস ফেলছে ঘাটগুলো, যেন আমি উঠে গেলেই
একযোগে নাইতে নামবে –
সারাদিনের ক্লান্তি আর লোহার অ্যাংকরের খামচিগুলোতে ব্যাণ্ডেজ বেঁধে
ঘুমাতে যাবে তারা।
মন্তব্য
এইটাতেও আমার অনাগ্রহ...তাইলেতো আরেকটা পড়তে পারুম নিশ্চয়ই?
বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!
স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...
অনাগ্রহ অর্থাৎ আরো দ্যান..
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
তা পারবা। তবে তাতে তোমার অনাগ্রহের পাল্লাই ভারি হৈবে বৈলা আমার ধারণা। আগ্রহী হৈয়া পড়া বরং পলিসি হিসাবে ভাল।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
২০ বছরে কবিতা লিখছি মাত্র ৩০ খান। তাতেই এত অনাগ্রহ! খাড়ান, হজম করতে দেন!!
আচ্ছা কখন লেখা গদ্য হয় আর কখন তা পদ্য সে সম্পর্কে একটা আলোচনা হলে ভালো হতো না।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শিরোনামে 'গদ্য' কথাটা উললেখ থাকলে কিংবা গদ্য গদ্য একটা ঘ্রাণ থাকলে সেটা গদ্য, আর উল্টাটা হইলে সেটা পদ্য, সোজা হিসাব।
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জটিল প্রস্তাব! আমার কাছে গদ্য পদ্য একই, প্রেমিকা ও বৌ, খাটে গিয়া দেখা গেল, একজনই।
এইরকম না হলে আর কবিতা! কবিতার মতই কবিতা।
নতুন মন্তব্য করুন