“No one can claim the name of Pedro
nobody is Rosa or Maria,
all of us are dust or sand,
all of us are rain under rain.
They have spoken to me of Venezuelas,
of Chiles and Paraguays;
I have no idea what they are saying.
I know only the skin of the earth
and I know it has no name.”
Pablo Neruda
মন্তব্য
সকল প্রশংসা ধৈর্যশীল ব্লগারের। সকল নিন্দা জুবায়ের ভাইয়ের!
আমি রাজি।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমি এই গল্পটা কালের খেয়াতে পড়েছিলাম। তবে এখনো লেখকের সাথে তার ইমেইল অ্যাড্রেস ছাপা হওয়ার চল শুরু হয়নি সবখানে। থাকলে হয়তো মেইল করে ভালো লাগার কথা জানাতাম।
কিন্তু মাঝে মাঝে পড়তে গিয়ে হালকা হোঁচট খেয়েছি। সংলাপ থেকে বর্ণনায় উঠে আসার সময়, বা সংলাপ থেকে বর্ণনায় যাবার সময় হঠাৎ যেন অসমতল ভূমি পড়েছে পায়ের নিচে। এটা কি গল্পের ভাষার বুনটের জন্য, নাকি আমার অনভ্যস্ততার জন্য, নাকি এ দুয়ের কোনটাই না, বুঝতে পারলাম না। তার পরও এই গল্পটার পঠিত হবার গতি অনেক, এক টানে পড়ে শেষ হবার মতো। আপনার অন্য গল্পগুলি পড়ার সুযোগের অপেক্ষায় রইলাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
- বিনির্মল- একটানে পড়ে যাওয়ার মতো, এবং অবশ্যই পাঠ্যাবশ্যক।
_________________________________
<স্বাক্ষর দিমুনা, পরে জমিজমা সব লেইখা লইলে!>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সমালোচনা যদি করতেই হয়,হিমুর বলা কথাটুকু যথেষ্ট । এর বেশী কিছু নয় । বাকী সবটুকু মুগ্ধতা ।
মুগ্ধ হয়েই পড়ে গেলাম শেষতক ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ হিমু, ধূসর গোধুলি ও হাসান মোরশেদ। ভাল লেগেছে শুনে ভাল লাগল। হোঁচট খেয়েছেন শুনে খারাপ লাগল। এর দুইটা কারণ থাকতে পারে:
১. আমার গল্পে, আমিও দেখেছি পরে, অন্তত দুইটা সমান্তরাল ভাবনা চলমান থাকে। এদের মধ্যে যাওয়া আসার কারণে এমন মনে হতে পারে।
২. বর্ণনা থেকে সংলাপে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে আমি এমনিতে পাঠককে খুব কনসার্ন রাখার পক্ষপাতী ছিলাম না এই গল্পে (অন্য কোনো কোনো গল্পেও)। আমার নিজের লেখায় আমি এসব ট্রানজিশন খেয়াল করতাম স্পেস অ্যালট করে, বা ইটালিক ব্যবহার করে। কাগজের মুদ্রণে, বা ইউনিকোডের আপলোডে সেসব বহাল রাখার ব্যবস্থা নাই। তবে পুস্তকের মুদ্রণে সেটা সম্ভব। এটাই আশার কথা।
এর বাইরে অবশ্য আরেকটা কারণও থাকতে পারে, আমার অদক্ষতা। সেটা কারণ হলে আমার বিশেষ কোনো কিছু করার নেই। আমি একটা গল্প বারবার লিখি, খানাখন্দ সমান করার জন্য। যার ফলে আমার লেখা হয় কম।
এখানে কিন্তু ইটালিক,বোল্ড এসব ব্যাবহার করা যায় খুব সহজেই ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হ্যাঁ, তা করা যায়। তবে স্পেস ব্যবহার করা যায় না মনে হয়। আমি অনেক সময় ইনডেন্ট ব্যবহার করি। সেটারো ব্যবস্থা এখানে আছে কিনা জানি না।
হিমু ও হাসান মোরশেদ গল্পে বর্ণনা এবং সংলাপে যাওয়া-আসা নিয়ে হোঁচট খেয়েছেন বলেছেন। আমি কিঞ্চিৎ দ্বিমত পোষণ করি। প্রথাগতভাবে সংলাপকে আলাদা করতে গেলে এই গল্পের বাঁধুনি এতো টানটান রাখা কঠিন হতো। আমার ধারণা বর্ণনার সঙ্গে সংলাপ মিলেমিশে 'ডুমরি'-তে একটা আলাদা আবহ তৈরি হয় বলেই আমার ধারণা।
বাংলাদেশের বাছাই ১০টি গল্প নিয়ে সংকলন করতে বললে আমি 'ডুমরি'-কে সেখানে অবশ্যই রাখবো।
বিধিবদ্ধ ডিসক্লেইমার : সুমনের সঙ্গে আমার চাক্ষুষ দেখাসাক্ষাত এ জীবনে ঘটেনি। এই গল্পটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে কবিসভা থেকে ইমেল সংগ্রহ করে তাঁকে ইমেল করেছিলাম। সেই ইমেল যোগাযোগও অনিয়মিত। সুতরাং আমরা পরস্পরকে ভালো করে চিনি, তা বলাও দুষ্কর। এই গল্পটি সম্পর্কে আমার মুগ্ধতা শুধুই (এবং প্রথমত) পাঠক হিসেবে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
যথেষ্ট যত্ন নিয়ে লেখা গল্প। হিমু যেরকম হোঁচট খেয়েছেন সেরকম আমার হয়নি। আমি বরং তর তর করেই পড়লাম।
আমার খটকা শুধু গল্পের শেষ হওয়ার কায়দা নিয়ে। শেষে এসে লেখক যখন গল্পটার একটা সমাপ্তি দিতে চান; যখন মা ভাবে শিশুটিকে রেখে সে নিরুদ্দেশ হবে। শিশুটি দু-দু'টি বাবার আদর-সোহাগেই বড় হবে। এই যে পরিণতি কল্পনা, তা পরিণতি নয় গল্পটার, শুধুই মায়ের একটা ভাবনা হিসেবেই রয়ে গেছে। তবুও গল্পের আগের অংশ মায়ের চরিত্রটির যে একটা দৃঢ়রূপ আমার মনে তৈরি করেছিল তাকে এই পরিণতি কল্পনা হঠাত্ ভিনভাবে হাজির করে। এরকম হওয়াতে কোনো সমস্যা নেই, শুধু মনে হয় লেখক আসলে এই মেসেজটা আমাকে দিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু আমি এই গোলযোগে তাল ছিঁড়ে যাওয়া মেসেজটি পাচ্ছি।
মুহাম্মদ জুবায়ের চেপে না ধরলে চমত্কার এই গল্পটা আমরা এখানে পেতাম না। সেজন্য লেখকের সাথে তাকেও ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ড. চৌধুরী, এই গল্পটা আসলে ডিডিউস করে লেখা। মানে... ফেলে রেখে যাওয়া একটা বাচ্চা থেকে তার আগের কাহিনীতে যাওয়া। ফলে আমি জানতাম গল্পটা এভাবেই শেষ হবে। আর বাচ্চাকে এত নির্ভারভাবে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্য আমার কাছে তার মায়ের তরফে কম দৃঢ় মনে হয়নি। আপনার পড়ার জন্য শুকরিয়া।
আপনি ঠিক বলেছেন যে, দু-দুটি বাপের বিষয়টি মা-র ভাবনার মধ্যেই রয়ে গেছে। এখানে বাস্তবতা কী হতে পারে সেটা আপনি অনুমান করতে পারেন, আমিও পারি। ঠিক এই জায়গায় এই গল্পটা অবাস্তব। এই ধরনের অবাস্তবতার চর্চা আমি করার চেষ্টা করি আমার লেখায়। ফলে খুব মুখস্থ কাহিনীতেও আমার সমস্যা নাই, নিজের অবাস্তব ধারণাগুলো ঠেসেঠুসে দেয়ার মত খানাখন্দ সেই কাহিনীর ভিতর পেলেই আমি খুশি।
জুবায়ের ভাই, চাক্ষুষ দেখাসাক্ষাৎ না হলেও খায়খাতির হয়ে যেতে পারে। এখানকার সদস্যদের মধ্যে যেরকম নাড়ির টান দেখা যায়, তাতে কি মনে হয় যে এদের অনেকের সাথেই অনেকের চাক্ষুষ দেখা নেই? প্রসঙ্গত একটা গল্প বলি: কদিন আগে এখানে কোন এক চৌধুরীর সাথে আমার একটা তর্ক চলছিল। সেখানে দেখলাম এক ব্লগার (তিনি সম্ভবত এই ব্লগের একজন কর্তাব্যক্তিও বটে!)মি. চৌধুরীর বক্তব্যের পর তাকে অভিনন্দন জানালেন এবং তর্কের এই ধারা যাতে চলে সেইমত ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। আবার আমি মুখ খোলার পরই সেই একই ব্লগার "শান্তি" খুঁজতে শুরু করে দিলেন! মজার বিষয়, শান্তি খোঁজার আগে আরেকটি মন্তব্য করে তিনি পরে সেটা মুছে ফেলেছিলেন, সম্ভবত তার নিজের কাছেই সেটা বেশি আপত্তিকর লেগেছিল!
যাক সে কথা।
আপনি নিজের বাছাই ১০ গল্পে "ডুমরি" রাখবেন সেটা আপনার পছন্দ। পছন্দের তালিকায় আমার গল্প থাকায় আমিও খুশি। কিন্তু, পেছন ফিরে যখন তাকাই, এমন সব অসাধারণ গল্প লেখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যে, তখন আপনার এই নির্বাচন খুব পক্ষপাত বলেই মনে হয়। এজন্যই আমি সাহিত্যিক বিচারে "পক্ষপাতের" পক্ষপাতী!
ধন্যবাদ।
আমি সমগ্র বাংলা সাহিত্যের কথা বলিনি, বলেছি ৭১-পরবর্তী বাংলাদেশের গল্পের প্রেক্ষিতে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আমার সময় নিয়ে মন্তব্য করার ইচ্ছা চমৎকার এই গল্পটা নিয়ে। সময় হয়ে ওঠে কিনা সন্দেহ। যাক, আপাতত দুইটা ছোট্ট বিষয়।
"ড্রাইভার তখন ভাগে। সে বান্ধায় নাই। কিন্তু জানতে চায় সে বান্ধাইছিল। সবাই জানতে চায়।"
এইটা "কিন্তু জানতে চায় কে বান্ধাইছিল।" হবেনা?
আরেকটা ব্যাপার 'আইল্যান্ড' শব্দটা খুব কৃত্রিম লেগেছে মূল চরিত্রের মুখে। 'আইলেন' বা 'আইল্যান' বললে মনে হয় আরো বাস্তব শোনায়।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
একদম ঠিক। প্রথমটা বোধয় টাইপো। এখানে "কে বান্ধাইছিল"ই হবে।
আপনার দ্বিতীয় অবজারভেশনও সঠিক। এখানে কী করা যায় ভাবতে হবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহবুব মুর্শেদ!
সাহস যখন দিয়েই ফেললেন তখন আরেকটা মাইনর শব্দ বলি, চাকা না হয়ে চাক্কা হলে ভালো শোনায়।
আসলে নিজের লেখার অনেক সময় 'সু অন আদার্স ফুট' টেস্ট করা হয় না; অর্থাৎ নিজের পায়ে জুতা কেমন লাগে না দেখে অন্যের পায়ে কেমন লাগে দেখা - তাহলে নিজের পায়েও ভালো লাগবে। আমার মনে হয়েছে এই সমস্ত ছোট্ট জিনিষ আপনি নিজে একবার পড়লেও ধরতে পারতেন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ঠিক ঠিক। আবারো ধন্যবাদ। আপনি সময় পাইলে আর রাজি থাকলে আমার প্রকাশিতব্য বইটার পাণ্ডুলিপির সম্পাদনার কাজটা আপনাকে দিতে চাই।
নতুন মন্তব্য করুন