এই দুর্লভ
স্বপ্নজন্তুটিকে তুমিই পাহারা দিও
নইলে সে ভেসেই বুঝি যায়
মন্দিরচূড়ার গর্বিত হাওয়ায়
প্রহরী হারিয়ে গেছে মাইল মাইল
অরণ্য গভীরে। তার পদচিহ্ন
মরা পত্রালির শিরদাঁড়া ছুঁয়ে
"নীলাভ্র মেঘে মেঘে ঢেকে যায় সমাধি
পাহাড়"
এতকাল শুধু নিরবধি নদীতীর শুধু
নিজ রক্তগঙ্গায় ভাসানো কঙ্কাল ফুল
আজ মন্দির খালি
পথের দু-ধারে
গোলপাতা, দীর্ঘ সুপুরির বন
তার চলে যাওয়া
এখনো বিভ্রম হয়ে ভাসে
যেন জোনাকি সে, বহুকাল আগে মৃত
শুধু আলো নেভাতে ভুলে গেছে
................
তারপর একদিন আমাদের ডানাও হারিয়ে
গেল ঝড়ে
দিগবিদিক হাওয়া উড়িয়ে নিয়েছে
নিজের খেয়াল মত, তোমাকে
আমাকে
মর্ত্যভূমি
ছুঁতে দেয় নি মৃত্তিকা
রোহিনী অরুন্ধতী এবং আরো সব
নিকটজনেরা
ছুঁড়ে মেরেছে বল্লম
নোনা
রক্তের ঘ্রাণ পেয়ে
পিছু নেয়া সব ক্ষুধার্ত ও প্রাবাদিক প্রাণীগর্জনে
আমার যে পেয়েছিল
ঘুম
পথ খুলে গিয়েছিল চারদিকে
আর মনে হয়েছিল তুমি
বিছিয়ে দিয়েছো হাত
.........................
ঝড়
ক্ষীয়মান হলে জাগে হাহাকার
নীলাভ্র মেঘে মেঘে ঢেকে যাওয়া সমাধি ও পাহাড়ে
জাগে চন্দ্রালোক, তোমার রক্তের রেখা
শেষ হয়
একটি বৃক্ষের কাছে
থেমেছি মুন্ডিত সেই বৃক্ষের
নিচে। নগ্ন বাহু তার
শুধু তুষার ঝরিয়ে যায়, অনেক
অনেক দিন পরে
সূর্যের সহস্র আয়নায় খুলে যায়
সারি সারি পাতার
কবর , বিষণ্ণ ভুতের মত
তারা ওড়ে
এই স্বল্প গোধূলি আলোয়
আরো বহুদিন পরে
মনে নেই কতদিন পর
অসংখ্য চড়ুই এল কোত্থেকে, তারা
শিসে আর তীক্ষ্ম চিত্কারে
ফোটাল মঞ্জরী, মৃতশাখা ভরে গেল
বাদামি পালকে আর পালকে পালকে
শীর্ণরেখা জাগরিত করে
পাতায় পাতায় এল নুপুরপরা নদী
এল কাঠুরিয়া, ঘুমাল সে
পাকুড় গাছের নিচে
এল উত্ সবের দল, এল
ঢোলক বাজিয়ে, হাসতে হাসতে তারা
আমাকে ঝুলিয়ে দিল পাকুড়ের
সবচেয়ে উঁচু মগডালে
হল মন্ডপ। বাজল
মঙ্গলশাঁখ। ধানে ও দুর্বায়
হল অধিবাস
বহুদূর শূন্য মন্দির থেকে খুলে-খুলে পড়ল
প্রাচীন কারুকাজ
..................
তবু যোগী নেয় নি কিছুই। দূর বনাঞ্চল থেকে
খরবায়ু নিয়ে আসে টইটম্বুর
ফলের কান্না, আসে দাবানল
হাসে দুর্গা, দুর্গতিনাশিনী
কেউ কি দেখে নি
বন পুড়ে গেলে ভয়ার্ত পশুপাখিদের
পলায়নপর রেখার আড়ালে তার নাচ
নাচে একেশ্বরী
আগুনরঙের শাড়ি শরীরে জড়িয়ে
১৯৮৯
মন্তব্য
উত্তম
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
আরেব্বাস! কঠিন দম!!
.......................................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
অসাধারণ!!!
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
এই জায়গাটা মনে ধরেছে ভীষণ।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এই জায়গাটা আমারো মনে ধরল। এটা কি কবির স্বার্থকতা নাকি পাঠকের অনুভূতির মিল?
(মন্তব্য পড়ার আগেই এই লাইনগুলো মনে ধরেছে)
এইটা মনে হয় কবির স্বার্থপরতা, একটা ছোট্ট জায়গার মধ্যে পাঠককে বাউঘুরান্টি খাওয়ানোর মতলব!
........................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
আমারও মনে ধরত খুব, সৌরভ!
তারেক, সবার জন্য নয় এইসব কাব্যপ্যাঁচাল। আমার সৌভাগ্য, অল্প হলেও পাঠক আমার আছে।
................................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
পঞ্ তারকার বিপ্লব।
"বল বল আরো বল, লাগছে মন্দ নয়"
............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
নতুন মন্তব্য করুন