এইটা "লালাবাই"-এর যমজ ভাই। মনে পড়ে, দুটো কবিতা পরপর লেখা হয়ে গিয়েছিল, যেটা আমার লেখালেখির অভ্যাসের ক্ষেত্রে খুব বিরল ঘটনা। সম্ভবত একই দিনে আমি কবিতাদুটো ইমরুল আর আমিনুল বারী শুভ্রকে শুনিয়েছিলাম। আরেকজন বন্ধু ছিল আমার, আজিজ। আজিজ একদা খুবই পাগলা গোছের ছিল, অনুষ্ঠানের নামে একদঙ্গল স্কুলছাত্রকে দুই ঘণ্টা ধরে আমার কবিতা পড়ে শুনিয়েছিল একদিন। সেই রূদ্ধশ্বাস অঘটনের দর্শক ছিলাম আমিও, ভাবতে আজো বুক হিম হয়ে আসে।
.......................................
কন্যাকুমারি //
কন্যাকুমারির শেষ শিলাখন্ডের কথা অনেক ভেবেছি
আরশোলার লাল চাঁদোয়া-ঢাকা কোনো গ্রামে শুয়ে থেকে
এভাবে ভাবনাশূন্য হয়েছি। বোবা হয়ে গেছি
ভরা বর্ষার হাওড়ে
শেষরাত্রির উচ্চাকাঙ্ক্ষী মাস্তুলে আটকে-থাকা নক্ষত্রগুলোর মত
ভেবেছি নক্ষত্রের কথা
মুহূর্তের অগ্নিশিখায় ছাই হয়ে গেছে কত অজস্র উল্কা
এই ভূ-ত্বকে ফুটে-থাকা সন্ধ্যামালতিগুলোর প্রশংসা না করেই
আপন আনন্দে ওরা দগ্ধ হয়ে গেছে
প্রতিটি সমাপ্তিরই বর্ণমালা ও নিজস্ব কোলাহল থাকে
মাস্তুল থেকে দড়িদড়া খুলে নেয়ার দিনগুলোতে আমার
যেরকম মনে হয়েছিল -- কোনোরকম দুঃখবোধ না করেই ভেবেছিলাম
মাঝিরা এবার থেকে ভাটিয়ালি বিক্রি করে কিনবে মবিল
আরো দশটি বন্দরের মাটি নখে নিয়ে যে স্টীমার সমুদ্রে যাবে
তার ঢেউ পৌঁছাল কামারের নিভন্ত চুল্লীতে -- ওয়েল্ডিং এর শিখা
জ্বলল যত্রতত্র -- অসংখ্য প্রপেলার আর অধীর হয়ে ওঠা
শিশুনোঙ্গরগুলো -- যেন বর্ষার বিস্তীর্ণ জলাভূমির নিঃসীমে কোথাও
কোনো শৈলতীর থেকে ওদের জন্য সিঁড়ি নামিয়ে রেখেছে
কন্যাকুমারি
১৯৯৩
মন্তব্য
আপনার অবশ্য নরমালগুলাই যা হইতাছে!! পাঙখা!!!
কালকের খাড়িকে ঘুম পাড়ানোর ললাবাই আর আজকের কন্যাকুমারী পড়ে পুরা টাসকি ... আবারও বুঝলাম কবিতা লেখা সহজ না ...
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সহজ না? কী কন? তাইলে কি অন্য রাস্তা ধরুম?
.........................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
হে হে বস্, আপনেই তো কঠিন কইরা দিলেন দুইটা 'জিনিস' ছাইড়া .... এখন আপনেরেই সামলাইটে হইব ... অন্য রাস্তায় যান আপত্তি নাই, তবে এই রাস্তাতো আর ছাড়ার জো নাই
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
চমৎকার কইতে চাইছিলাম। কিন্তু মনে পড়ল এই লেখক আমারে রেসিস্ট কইছে। তাই কইলাম "ভুয়া"। চরম ভুয়া হইছে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
নিজেরেই তো নিজে রেসিস্ট কৈলেন? আপনের পয়লা কেসস্টাডি-র ঐ ইন্ডিয়ান ব্যাটা তো নির্ঘাত রেসিস্ট! নাইলে, এমনভাবে কওনের পরও.....
..................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
উত্তম!
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
সমগ্র ভারতবর্ষের দিকে পিছন ফিরে কন্যাকুমারীতে এক দুর্বাশা কবি
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এইটা বেসিক্যালি একটা সিলেটি কবিতা! মানে সিলেটের বিস্তীর্ণ হাওড়ের সামনে একটি অসহায় ভ্যাবাচ্যাকা মানুষের কন্যাকুমারি-ইল্যুশন!
.......................................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!
নতুন মন্তব্য করুন