প্রান-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের 'বিশিষ্ট' শিল্পপতি মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী মারা গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক মেডিক্যাল হাসপাতালে বুধবার ভোরে তার দেহান্তর ঘটে। তার মৃত্যুর খবর দেশে পৌছানোর পরপরই দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে সমবেদনার ঢল বয়ে যায়। ফেসবুকে অগনিত সাধারন মানুষতো বটেই, মোস্তফা সারওার ফারুকি থেকে সাইখ সিরাজ থেকে এমনকি প্রধানমন্ত্রীও শোক প্রকাশ করেছেন। এত মানুষের আহাজারি এখানে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই নমুনা হিসেবে খালি একটা দেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো শোকবার্তায় বলা হয়েছেঃ
"প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী সরকার বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা অর্জনে আজমাজ খান চৌধুরীর পদক্ষেপ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহি আত্মার মাহফেরাম কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।"
(সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪ডটকমঃ http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article994552.bdnews)
দেশের গনমাধ্যমে এই শোকসংবাদের সাথে মেজর জেনারেল চৌধুরীর জীবন বৃত্তান্ত ছাপানো হচ্ছে। এই শোকসংবাদগুলোর একটা নমুনা তুলে ধরছি, আবারও বিডিনিউজ২৪ থেকেঃ
"১৯৩৯ সালের ১০ নভেম্বর নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ খান চৌধুরীর। ঢাকার নবকুমার ইন্সস্টিটিউটে তার শিক্ষা জীবন শুরু। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক করেন।
সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮১ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে এই বাহিনী থেকে অবসর নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন আমজাদ খান।"
(সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪ডটকমঃ http://bangla.bdnews24.com/business/article994445.bdnews)
এখানে একজন পাঠকের একটা জিনিস দেখে খটকা লাগতে পারে। ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কিন্তু এর পরে থেকে ১৯৮১ সালের আগ পর্যন্ত তিনি কি করেছেন তার কোন বিবরণ দেয়া হয়নি! শুধু বিডিনিউজ২৪ এর ক্ষেত্রে না, মেজর জেনারেল চৌধুরীর জীবনের এই অংশের কথা আমার এখন পর্যন্ত দেখা দেশের সব খবের কাগজ ও নিউজ পোর্টালগুলোই চেপে গেছে। বিশেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন বাঙ্গালী সামরিক অফিসার ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কি ভুমিকা রেখেছেন, সে ব্যাপারে কিছু যখন লেখা না থাকে তখন মনে সন্দেহ জাগতেই পারে। অবশ্য কিছু ঘাটাঘাটি করলেই কিন্তু মেজর জেনারেল চৌধুরী ১৯৭১ সালে ঠিক কি করছিলেন তা বের করা কঠিন কিছু না। আর সেটা বের হলেই এই ভদ্রলোকের মৃত্যুতে সমবেদনা জানানো দুরের কথা, যে কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী বাঙ্গালীর ঘৃণা আসাটাই স্বাভাবিক।
প্রবীণ সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ ঢাকাটাইমস২৪ডটকম নামক নিউজ পোর্টালে এই বছরের ২৬শে মার্চ 'সেইসব বাঙ্গালী পাকসেনা' শিরোনামে একটি কলাম লিখেন। সেই কলামে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্মরত যেসব কুলাঙ্গার বাঙ্গালী অফিসার তাদের সামরিক প্রভুদের আদেশ মেনে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধেই যুদ্ধে নেমেছিলেন তাদের একটি নাম এবং কিছু কুকীর্তি তালিকাভুক্ত করেছিলেন। সেই লেখা থেকে আমরা মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরীর ১৯৭১ সালে রাখা ভুমিকার কিছু আলামত পাইঃ
"রংপুর ক্যান্টনমেন্টে বিএম-২৩ ব্রিগেডের মেজর আমজাদ আহমদ চৌধুরী সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। রংপুর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তিনি হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুট করার মতো কাজেও জড়িত ছিলেন। পঁচাত্তরের পর তিনি ব্যবসায় নামেন এবং মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর নেন।"
(সুত্রঃ ঢাকাটাইমস২৪ডটকমঃ http://www.dhakatimes24.com/2015/03/26/59515/%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AC--%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE)
জাফর ওয়াজেদ সাহেবের লেখা থেকে বোঝা যায় মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মেজর ছিলেন এবং সক্রিয়ভাবে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি হিন্দুদের বাড়ি লুটপাট করার মত অভিযোগও তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এখানে অবশ্য একটা সমস্যা আছে, ওয়াজেদ সাহেব নাম লিখেছেন 'মেজর আমজাদ আহমদ চৌধুরী', কিন্তু প্রান-আরএফএল এর প্রতিষ্ঠাতার নাম 'আমজাদ খান চৌধুরী'। কিন্তু পচাত্তর পরবর্তী সময়ে (১৯৮১?) যে তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে অবসর গ্রহন করেন, তারপর ব্যবসায় নামেন, এসব কিন্তু মিলে যাচ্ছে। ধরে নেয়া যায় যে ওয়াজেদ সাহেব নাম কিছুটা ভুল করেছেন। কিন্তু তাহলে এই তথ্যের কিছুটা ক্রস রেফারেন্সিং করা দরকার।
এই ক্রস রেফারেন্সিং করতে আসা যায় মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল শাফায়াত জামিলের লেখা 'একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর' বইটিতে। বইয়ের ৫০ নম্বর পৃষ্ঠায় কর্নেল জামিল লিখেনঃ
"৩০ মার্চ তৃতীয় বেঙ্গলের ব্যাটালিয়ন অ্যাডজুট্যান্ট সিরাজকে ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারে একটা কনফারেন্সে যোগ দেয়ার জন্য পাঠানো হয়। তার সঙ্গে ১০/১২ জন সশস্ত্র প্রহরী ছিল। পাকিস্তানিরা পথে তাদেরকে বন্দি করে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় সে রাতেই প্রায় সবাইকেই নির্মমভাবে হত্যা করে। দলটির মাত্র একজন সদস্য দৈবক্রমে বেঁচে যায়। পরে সে তৃতীয় বেঙ্গলের সঙ্গে আবার মিলিত হতে পেরেছিল। উল্লেখ্য, তখন রংপুর ব্রিগেডের গুরুত্বপূর্ণ ব্রিগেড মেজর পদে আসীন ছিলেন একজন বাঙ্গালী মেজর আমজাদ খান চৌধুরী। উল্লেখ, তিনি ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কুমিল্লার ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন এবং তারি নিয়জিত সেনা দল বঙ্গবন্ধুর বাসভবন পাহারার দায়িত্বে ছিল। আক্রমণকারীদের প্রতিরোধে এরা সেদিন ব্যর্থ হয়। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে তিনি পরবর্তীকালে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছিলেন।"
(সুত্রঃ 'একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর', কর্নেল শাফায়াত জামিল, সাহিত্য প্রকাশ, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮)
জাফর ওয়াজেদ সাহেব এবং কর্নেল শাফায়াত জামিল যে একই মেজর আমজাদ চৌধুরীর কথা বলছেন, দুটো রেফারেন্স একসাথে নিয়ে দেখলে আর সন্দেহ থাকে না। আর এ থেকে মেজর জেনারেল চৌধুরীর ১৯৭১ সালে ভূমিকা কি ছিল সে ব্যাপারেও আর প্রশ্ন থাকে না। হিন্দুদের উপর তিনি অত্যাচার করেছিলেন কিনা সেটা প্রমান করা যাচ্ছে না এখান থেকে। কিন্তু আরও অনেক বীর বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তাদের মত মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে না নেমে তিনি যে তার পাকিস্তানি প্রভুদের পা চাটা কুকুরের মতই নিজের দেশের মানুষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন এটা নিশ্চিত। কর্নেল জামিল তার বইয়ে এটাও ইঙ্গিত করেছেন যে ১৫ই আগস্টের হত্যাযজ্ঞেও মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরীর কিছুটা হলেও ভূমিকা ছিল। এ বিষয়েও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি এতে অবাক হব না।
১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কুখ্যাত রাজাকার আল-বদর সদস্যদের বিচার হয়েছে, হচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। দুই কুখ্যাত নরপিশাচ কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামানের ইতিমধ্যে ফাঁসি হয়েছে, আমি আশাবাদী অচিরেই আরেক নরপিশাচ মুজাহিদের ফাঁসি দেখতে পারব। কিন্তু একটা বিশাল আফসোস, মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরীর মত অনেক সেনাসদস্য দেশদ্রোহী, যারা নিজেদের দেশের মানুষের বিরুদ্ধেই ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল, তাদের কখনই বিচারের আওতায় আনা হয়নি। অথচ যে কোন রাজাকার আল-বদর আল-শামস সদস্যদের চেয়ে এই কুলাঙ্গার সেনা কর্মকর্তাদের অপরাধ কোন অংশে কম না। শুধু যে বিচারে আনা হয়নি তা না, মেজর জেনারেল চৌধুরীর মত এনারা অনেকেই বহাল তবিয়তেই স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করেছেন, কোনদিন তাদের কৃতকর্মের অনুশোচনা করা ছাড়া। এরকম আরেকজন হলেন প্রাক্তন বিএনপি এবং বর্তমান বিকল্পধারার সেক্রেটারি জেনারেল, মেজর এম এ মান্নান।
দেশের একটা বিশাল অংশ তাদের কুকীর্তির কথা হয় ভুলে গেছে, বা কখনও জানতেই পারেনি। শুনেছি মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরীর মৃতদেহ দেশে আসলে নাকি যথাযথ মর্যাদা দিয়ে সামরিক গোরস্থানে দাফন করা হবে। এই লোকের মৃতদেহ পাঠানো উচিৎ পাকিস্তানে, কারন মুক্তিযুদ্ধে তার ভুমিকাই প্রমান করে, বাংলাদেশের ক্রান্তিলগ্নে তার হৃদয়ে কোন দেশ ছিল! কিন্তু তা যে হবে না, এবং এ দেশের গণমাধ্যম এই দেশদ্রোহীর কুকীর্তির কীর্তন চেপে যাবে, বেশীরভাগ মানুষ তাকে একজন শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবেই স্মরন করবে, দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখের বেটি হয়েও (হয়ত পুরো বিষয় না জেনে, কিন্তু তাহলে প্রশ্ন জাগে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং ঠিক কতটা গুরুত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে) এই মৃত্যুতে সমবেদনা জানাবেন, এটাই হয়ত স্বাভাবিক। কারন আমাদের দেশের নির্মম সত্য এটাই, এখানে গোলাম আযমের জানাজায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়, শফি হুজুরের কাছে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন জিতে 'অসাম্প্রদায়িক' দলের মনোনীত প্রার্থী দোয়া চাইতে যায়, মোহম্মদ জাফর ইকবালের মত মানুষকে সরকারী দলের সাংসদ (এবং রাজাকার পুত্র) প্রকাশ্যে চাবুক দিয়ে মারার হুমকি দিয়ে পার পেয়ে যায়, খোদ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের সচীবের কাছে অপমানিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যা করেন, অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে মারা হয় জনসমক্ষে কিন্তু তার মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে প্রধানমন্ত্রী চুপিসারে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেন যাতে খবরটা জানাজানি হয়ে দেশের 'ধর্মভীরু' মানুষের অনুভূতিতে আঘাত না লাগে, শ্রদ্ধেয় আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে সরকার দলের নাম ভাঙ্গিয়ে খাওয়া অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদী সংগঠন আওয়ামী ওলামা লীগ 'নাস্তিক মুর্তাদ' ঘোষণা করে তাঁর বিচার দাবী করে।
দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু এমন অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন বাস্তব হল, আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরীর বিষয়ে দেশের মানুষের অজ্ঞতা এবং আহাজারিতে তাই অবাক হই না। লেখা ফেসবুক থেকে একটা স্ক্রিনশট দিয়ে শেষ করছি (কৃতজ্ঞতায়ঃ বিধান চৌধুরী)। নন্দিত চলচ্চিত্র এবং নাটক নির্মাতা (এবং বিশিষ্ট দুই নৌকায় পা দেয়া সুশীল) মস্তফা সারওয়ার ফারুকির সাথে একজনের মেজর জেনারেল চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে কথোপকথনের অংশবিশেষ। ফারুকি সাহেবের মন্তব্য, এবং অন্য ভদ্রলোকের তুলনায় তার মন্তব্যতে পড়া লাইকের সংখ্যা দেখলেই কিছুটা আঁচ করা যাবে, একটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশে লক্ষ্যে আরও কতটা পথ পাড়ি দেয়া বাকি আছে আমাদের।
এই লেখার সময়েই ঠিক করেছিলাম মেজর জেনারেল আমজাদের উপর নতুন রেফারেন্স যা পাবো তা এখানেই যোগ করে দিতে থাকব। যায় যায় দিন পত্রিকায় লেখক/সঙ্গিতজ্ঞ মোবারক হোসেন খানের 'আমার একাত্তর' নামক সিরিয়ালি ছাপানো স্মৃতিচারণের বুধবার ৭ই মার্চ, ২০১২, তারিখের কিস্তিতে আমরা তৎকালীন মেজর আমজাদের উল্লেখ্য পাই। মোবারক হোসেন খান সাহেব যে সময়ের কথা লিখছেন তখন তিনি রংপুরে বেতার ভারপ্রাপ্ত সহকারী আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। লেখার চম্বুকাংশঃ
"আমি কক্ষে যেতেই দেখলাম দুইজন সামরিক অফিসার বসে আছে। তাদের একজনকে আমি আগে থেকেই চিনি। তিনি বাঙ্গালি মেজর। তার নাম আমজাদ খান চৌধুরী। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হয়ে অবসর গ্রহন করেন। তাসিকুল আলম সাহেবের আত্মীয়। একদিন তাকে ও আমাকে এক রাত্রিভোজে তাসিকুল সাহেব আপ্যায়ন করেছিলেন। সেখানেই তার সঙ্গে আমার পরিচয়। কিন্তু তার সঙ্গী সামরিক অফিসারকে চিনতে পারলাম না। তখন মেজর আমজাদ পরিচয় করিয়ে দিলেন। আপরিচিত সামরিক অফিসারের নাম কর্নেল তাজ। তিনি সামরিক বাহিনীর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের একজন কর্নেল। কথা প্রসঙ্গে সামরিক অফিসার দুজন বলল, তাদের একজন ব্রিগেডিয়ার আসছেন তার আগমন উপলক্ষে একটি সান্ধ্যসালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে সামরিক বাহিনীর শিল্পঈরা অংশ নেবেন। সিভিলিয়ান কয়েকজন শিল্পীকে সেই অনুষ্ঠানে গান গাইবার জন্য আমার সহযোগিতা চান। তখন দেশে সামরিক শাসন চলছে। কয়েকজন শিল্পী তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিবে বলে আমি জানালাম। তারা বেশ খুশিই হলেন। ধন্যবাদ প্রতি ধন্যবাদের পালাও শেষ হলো। তারা চা-বিস্কুট আপ্যায়ন শেষে তারা চলে গেলেন।"
(সুত্রঃ http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=07-03-2012&feature=yes&type=single&pub_no=60&cat_id=2&menu_id=23&news_type_id=1&index=1)
মোবারক হোসেন খানের স্মৃতিচারণ থেকে দুটো জিনিস আরেকটু স্পষ্ট হয়। এক নম্বরঃ তৎকালীন মেজর আমজাদ খান চৌধুরী রংপুরেই পোস্টেড ছিলেন। সুতরাং জাফর ওয়াজেদ সাহেবের কলামের 'মেজর আমজাদ আহমেদ চৌধুরী' যে 'মেজর আমজাদ খান চৌধুরী' সেটা আরেকটু দৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয়। এটা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করার একমাত্র উপায় হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এযাবতকাল পর্যন্ত সব মেজর জেনারেলের তালিকা সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা। এই তালিকা বের করার চেষ্টা করছি আমি। দুই নম্বরঃ তৎকালীন মেজর আমজাদের সাথে যে রংপুরের উচ্চপদস্থ পাকিস্তানী কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের অফিসারদের সখ্যতা ছিল, তিনি নজরবন্দী বা বন্দী অবস্থায় ছিলেন না, সেটা আরেকটু পরিস্কার হয়।
মেজর জেনারেল আমজাদ 'আহমেদ' চৌধুরী কোনখানে, কোনখানে মেজর জেনারেল আমজাদ 'খান' চৌধুরী। কেউ যাতে 'এই আমজাদ সেই আমজাদ নয়' কুযুক্তি দিতে না পারেন, তার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে বাংলাদেশের ১/১১ পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত সব মেজর জেনারেলের তালিকা জোগাড় করেছি। এই তালিকা অনুযায়ী কেবল একজন মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরী আছেন, তার মধ্য নাম 'খান'। আমার মতে এই 'আহমদ' নামটার উৎস বোধহয় শামসুল আরেফিনের বই 'Bangladesh Documents 1971' থেকে, যেখানে দুটি পৃথক লিস্টে উনি আমজাদ চৌধুরীর নাম দুভাবে লিখেছেন, এক জায়গায় 'আহমদ', আরেক জায়গায় 'খান'। কিন্তু এই তালিকা অনুযায়ী মেজর জেনারেল হয়ে অবসর গ্রহন করা ইনফ্যান্ট্রি ডিভশনের আমজাদ চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একজনই ছিলেন।
তালিকাটি নীচে যোগ করে দিচ্ছি (মেজর জেনারেল চৌধুরীর নাম 'বোল্ড' করা)। আশা করি কেউ আর 'এই আমজাদ সেই আমজাদ নহে' তত্ত্ব ফলাতে গিয়ে ভাত পাবে না।
রেফারেন্স পাওয়া গেলে যোগ করে যাওয়া চলবে।
মন্তব্য
স
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
তার দেশে আসাটা কি ঠেকানো যায় না? যেমনভাবে রাজাকার ত্রিদিব রায়ের আগমন ঠেকানো হয়েছিল।
-ইমতিয়াজ।
সেটা বোধহয় এখন আর সম্ভব না। অনেক হাই প্রোফাইল গণ্যমান্য শিল্পোদ্যোক্তা বলে কথা!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
নিউজটা পড়ার সময় মনের ভিতর যে খটকাটা ছিল আপনার এই লেখায় তা পুরোপুরি দূর হয়ে গেল। পঁচাত্তরের পর এই বাঙ্গালী পাকিসেনা ব্যবসায় নামেন, এই তথ্যটাই অনেক কিছুরই ইঙ্গিতবহ। তার কুকীর্তির কথা কিছুই জানতাম না, জানলাম মারা যাবার পর। পুজির বল্গাহীন দাপটে মিডিয়া সবকিছু চেপে গেলেও এই লেখাটা তার কুকর্মের দলিল হয়ে রইল। চৌধুরীর সাহেব যত বড় শিল্পউদ্যোক্তাই হয়ে থাকেন না কেন, তার মতো দেশদ্রোহী সেনাসদস্যদের শুধু একটা কথাই বলার আছে আমার।
ওয়াক থু।
আমি তোমাদের কেউ নই -> আতোকেন
ফারুকির পোস্টে দেখলাম শয়ে শয়ে আহাজারি পড়েছে। একজন আবার লিখেছেন, প্রাণের পণ্যের মধ্যেই আমজাদ বেঁচে থাকবেন!
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন আছে, এরকম যে কুলাংগার সেনা কর্মকতা রা, স্বাধীনতার পর এরা চাকরী তে থাকে কিভাবে, এদের ক্ষেত্রে প্রশ্নটা আসে, কারন সেনাবাহিনী তে সব কিছুররেকর্ড থাকে, আপনার লেখা পড়ে, বা এমনি আগে থেকেও জানি যে এরা সবাই ৭৫ এর পরে, অনেক উন্নতি করেছে , পদোন্নতি পেয়েছে, কিন্তু আমার কথা হল, ৭৫ আগেই তো চাকরী তেই তাদের না থাকার কথা।ওই সময় কালে তারা কোথায় ছিল? কি করছিল?
অনন্যা
এরা বেশীরভাগ ১৯৭৪ সালের দিকে ভারত/বাংলাদেশ/পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবন্দী বিনিময় চুক্তি অনুসারে দেশে ফিরে আসে, এবং তারপরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পায়।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
একটা প্রশ্ন, সিভিলিয়ান রাজাকারদের বিচার তো হচ্ছে বা হবে, কিন্তু মিলিটারি রাজাকারদের বিচারের বিষয়ে কেন সবাই চুপ??
কারন আমার মতে এ বিষয়ে আসলে খুব কম মানুষ জানে। আমরা রাজাকার বললে চোখের সামনে গোলাম আযম, আল্লামা সাঈদি, মুজাহিদ, নিজামী, এদেরকেই দেখি। মিলিটারি পোশাক পড়া বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তা পাকিস্তানীদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিবাহিনির সাথে যুদ্ধ করছে, এই দৃশ্যটা আসলে আমরা কল্পনা করি না।
এবং ১৯৭৩/১৯৯৪ সালে পাকিস্তানে 'আটকে পড়া' অথবা ভারতের হাতে যুদ্ধবন্দী অনেক বাঙ্গালী সামরিক কর্মকর্তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এদের অধিকাংশকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়। তখনকার পরিস্থিতে হয়ত কে আসলেই যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকা পড়েছিল আর কে জেনেশুনে পাকিস্তানের হয়ে নিজেদের জাতভাইদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল, সেটা আর যাচাই করে দেখা হয়নি।
এর পরে এসব নিয়ে আর তেমন উচ্চবাচ্যও করা হয়নি, এবং এইসব সেনাকর্মকর্তারাও আর বিচারে আওতায় আসেনি। আশা করব আস্তে আস্তে মানুষ এই বিষয়ে অবগত হবে, এবং এইসব মিলিটারি রাজাকারদের বিচারের দাবীতেও সোচ্চার হবে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখা।
এই আমজাদই যে সেই আমজাদ সেটি নিশ্চিত হবার জন্য আরো রেফারেন্স প্রয়োজন। তার চাকুরির দাপ্তরিক ফাইলপত্র পাওয়াগেলেই বোঝা যাবে। এই লোক ৭৪ সালে বিনিময়ের মাধ্যমে দেশে ফিরেছে মনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, অবশ্যই তার বাংলাদেশ আগমন "ডকুমেন্টেড" থাকার কথা। তারপর আর কি? বাংলার ণূড়াকামী মুখ ফসকে একটা কথা সত্য বলেছেন- "There is ICT", সেইসঙ্গে, মান্নানের আমলনামাও লেখা হোক।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
"এই আমজাদই যে সেই আমজাদ সেটি নিশ্চিত হবার জন্য আরো রেফারেন্স প্রয়োজন।"
কথাটা বোধহয় সত্যি, কিন্তু এই আমজাদ যে সে আমজাদ নয় তা কিন্তু তিনি নিজে কখনও অস্বীকার করেননি। এবং রংপুরে মেজর পদে কর্মরত বাঙ্গালী আমজার চৌধুরী একজনের বেশী থাকবে তার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। দুঃখের বিষয় এই যে রিপাট্রিয়েটেড সেনা কর্মকরতাদের আসলে যুদ্ধাপরাধ বিচারের আওতায় আনা হয়নি, এ নিয়ে কাজও অনেক কম হয়েছে, কারন এরা আসলে অন্যান্য বাঙ্গালী সেনা কর্মকর্তা যারা প্রকৃত অর্থেই যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আটকা পড়ে ছিল তাদের সাথে মিশে গিয়েছিল। দেশে ফেরার পর সবাইকেই ঢালাওভাবে নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়া হয়, এরপর এ নিয়ে দুই একটা লেখা ছাড়া আর কোথাও বেশী কিছু নেই।
শুনেছি '৭১ বীরত্ব বীর গাথা' নামে কয়েক খন্ডে সাম্প্রতিক কালে প্রকাশিত একটা বইয়ের তৃতীয় খন্ডে নাকি আরও কিছু রেফারেন্স আছে আমজাদ চৌধুরীকে নিয়ে। কিন্তু সেই বইটা হাতে না থাকায় তা থেকে রেফারেন্স দিতে পারলাম না।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
সত্যানন্দ-দা,
আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে বাংলাদেশের ১/১১ পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত সব মেজর জেনারেলের তালিকা জোগাড় করেছি। এই তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অবসরপ্রাপ্ত কেবল একজন মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরীই আছেন। এই আমজাদই যে সেই আমজাদ, সে বিষয়ে মোটামোটি নিশ্চিত বলা যেতে পারে।
বিস্তারিত এবং পুরো তালিকাটি উপরে যোগ করে দিয়েছি, পড়ে দেখতে পারেন।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
ধন্যবাদ ইয়ামেন ভাই। দারুণ পরিশ্রমলব্ধ কাজ।
৭৪এ ফেরত ব্যাক্তিদের তালিকাও দিতে পারেন, অনেককে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে সেখানে।
(পুনশ্চের সাথে একটু কষ্ট করে তারিখ/সময় জুড়ে দিতে পারেন? তাতে আগের আর পরের মন্তব্য বোঝা যেত)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ভালো বলেছেন, দিয়ে দিচ্ছ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ফারুকী ওনার ভাল কাজের প্রশংসার দায়িত্ব এফবিসিসিআইয়ের উপর ছাড়েননি কিন্তু খারাপ কাজের নিন্দা করার দায়িত্ব আইসিটির উপর দিচ্ছেন।
উনার মত জননন্দিত মানুষের তো সবদিক দেখে রাখতে হয়, বুঝেন না শেহাব ভাই? শুধু এই আর কি রাজাকারের বিচার বা রাজাকারদের নিন্দা করার বিষয়টা আদালতের উপর একটু ছেড়ে দেয়া, আর কি!
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পত্রিকাগুলো এসব কথা লিখবে না, প্রাণ আরএফএল এর বিজ্ঞাপনের টাকায় তাদের ভাত খেতে হয়। এই লোকটা শুধু ৭১ বা ৭৫ এ না, আজীবনই দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে গেছে। প্রাণের খাদ্যপণ্যগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। গোটা জাতিকে এসব খাইয়ে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে যাচ্ছে। কিছুই বলবে না কেউ, বিজ্ঞাপনের অনেক টাকা
মুনীর চৌধুরীর ভাই কাইয়ুম চৌধুরীও পাকিস্তানের হয়ে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই, প্রান-আরএফএল এর খাদ্যপণ্য নিয়ে লিখতে গেলে তো গোটা আরেকটা লেখা হয়ে যাবে। এই লেখাতে খালি আমজাদ সাহেবের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার ভুমিকার উপর গুরুত্ব দিতে চাইছিলাম তাই সেদিকে আর যাইনি।
কাইয়ুম চৌধুরীর বিষয়টা জানা ছিল না অবশ্য। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
কাইয়ুম চৌধুরীর বিষয়টা পূর্বাপর ১৯৭১ : পাকিস্তানি সেনা-গহ্বর থেকে দেখা বইয়ে আছে। এছাড়া আরো অনেকের বিষয়ও আছে, যারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন।
আফসোস।
- ইমতিয়াজ।
বইটার নামের জন্য ধন্যবাদ। খুঁজে দেখব একটা সফট কপি খুঁজে পাই কিনা।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
প্রাণের হলুদ সহ বেশ কিছু মসলা আমেরিকায় আমদানি নিষিদ্ধ।
লেখাটা ভালো হয়েছে। রাজাকারদের পরিচয় লিখে আকর্াইভ করে রাখা দরকার। বর্তমান প্রজন্ম এদের অনেকেরই কুকীর্তির কথা জানে না। এখন নূতন করে শুনলে তারা বিস্মিত হয়। আগামীতে এই বিস্ময় অবিশ্বাসে পরিণত হবে। তাই দেরী হবার আগেই অকর্াইভ গঠন করা দরকার।
টুইটার
পড়ার জন্য ধন্যবাদ নিয়াজ মোর্শেদ ভাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ভালো লেগেছে পরে ইয়ামেন। আমি এমনি কিছু লিখার কথা আজকেই ভাবছিলাম। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ রায়হান ভাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
মুড়াকামির স্টাটাসটার ব্যাকাপ টুকে রাখি এখানে।
মৃতব্যক্তিকে কিছু বলা যাবে না এই তত্ত্ব নিয়ে হাজির জ ই মামুন
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
বাহ, মামুন সাহেবও! সো নাইস, এইটা জানতাম না, ধন্যবাদ এখানে যোগ করে দেয়ার জন্য হাসিব ভাই। আর মামুন সাহেবকে বোধহয় রইসুল ইসলাম আসাদ সাহেবের সাক্ষাতকারটা দেখানো উচিৎ। কিছু শিখলেও শিখতে পারে (যদিও আশা কম)।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
অনেক লোকের মুখোশ খুলতে শুরু করেছে। লাশটা দেশে আসা এবং দাফন পর্যন্ত পোস্টটা স্টিকি রাখা যায় না?
ফারুকি এই ব্যাপারে শুধু স্ট্যাটাস দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, এরপর কমেন্ট সেক্শনে ক্রমাগত সাফাই গেয়ে গেছে [লিংক, স্ক্রিনশট]। আরিফ আর হোসাইনদের কাজ সহজ করে দেয় ফারুকিরা।
জ ই মামুনের সাথে কথোপকথনটা কার পোস্টে হচ্ছিল?
--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!
আক্কু চৌধুরীর স্ট্যাটাসে। স্ক্রীনশটেই তো আছে।
প্রাসঙ্গিক হিসেবে কর্নেল শাফায়াত জামিলে বই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর বই থেকে স্ক্যানড অংশ,
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
গোলাম আজম মরার আগে দুটো কোবতে লিখে গেলে কিংবা একটা আচারের কারখানা দিলে আজ অনেক গ্যানীগুনী শিলপোসমোসকৃতি করা লোকজন তার প্রশংসা করে ভাসিয়ে ফেলতে পারতো।
হিমু ভাই প্রশংসায় পঞ্চমুখ মানুষের অভাব কি অদ্য হয়েছে? অধ্যাপক সাহেবের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ দেখে আমি বাকহারা হয়ে গিয়েছিলা।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
সংবাদমাধ্যমগুলি এইসব তথ্য উইকিপিডিয়া থেকে নিয়েছিল। আমি উইকি তে তার রাজাকারি ভূমিকা যুক্ত করে দিয়েছি। তবে সেটা একবার মুছে ফেলা হয়েছিল। আবার দিয়েছি। একটু চোখ রাইখেন।
উইকিতে আমজাদ সাহেবের ভুমিকা যোগ দিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
উইকিতে কারা মুছছে তাদের হিস্টোরিটা এখানে টুকে রাখেন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দিলাম
এখানে প্রথমবার মোছা হল, যিনি মুছেছেন তিনি 'জাগো নিউজ' এর সহকারী সম্পাদক।
আবার মোছা হল । সত্য কথা উইকি তে থাকবে না !!
জাগো নিউজ কি করভীর?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেইরকমই মনে হইতেসে।
সম্পাদনার কাজকর্ম এখানে পাবেন। দেখতে পারবেন কারা মুছছে রাজাকারি অংশটুকু।
এই আফতাবুজ্জামান ভদ্রলোক তো দেখি ডেডিকেটেডভাবে মুছে যাচ্ছে। প্রান গ্রুপ থেকে টেকাটুকা দিয়েছে নাকি?
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
মাঝেমাঝে ভাবতাম ব্লগ বা নতুন প্রজন্মের লেখালেখির প্রতি কিছু বিশেষ শ্রেণীর মানুষের এত রাগ কেন। উত্তরটা এখন ভালো করেই জানি। এধরণের কিছু লেখার কারণেই রাগ! সুশীল সমাজের বড় একটা অংশ যখন রাজামশাই এর অদৃশ্য পোশাকের সুন্দর কারুকাজের প্রশংসা করতে করতে গলায় রক্ত উঠিয়ে ফেলে তখন দেখা যায় এরকম একটা বেয়াদ্দব মার্কা লেখা আর তার সব আলোচনা এসে ফট করে বলে দেয়, রাজামশাই ন্যাংটো। শুধু বলেই ক্ষান্ত দেয় না, ছবি তুলে প্রমাণও দেখিয়ে দেয় - এই যে দেখুন রাজামশাই ন্যাংটো, এইযে দেখা যায় তাই এই ইয়ে। তখন দেশের বিশেষ বুদ্ধিজীবী আর সুশীল সমাজ পড়ে সবচেয়ে বিপদে। বিপদ থেকে উদ্ধারের একমাত্র উপায় হিসেবে বলগাররা বেয়াদব, খালিখালি অশান্তি আনে, ওরে কে কথায় আছিস চাপাতি ভাইদের একটু খবর দে রে বলে হাউকাউ শুরু করে।
"বিপদ থেকে উদ্ধারের একমাত্র উপায় হিসেবে বলগাররা বেয়াদব, খালিখালি অশান্তি আনে, ওরে কে কথায় আছিস চাপাতি ভাইদের একটু খবর দে রে বলে হাউকাউ শুরু করে।"
নাস্তিক ট্যাগ দিতে ভুলে গেছেন চৌদা :'(
অন এ সিরিয়াস নোট, মন দিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য এবং শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
যে জন্তু কে জন্তু বলে চেনা যায় না সেই জন্তু ই ভয়ানক।" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (নাটক : প্রজাপতির নির্বন্ধ )
৭১ এর চিন্হিত রাজাকার গুলা কোন পদের জন্তু সেটা পুরা দেশ সুদ্ধ মানুষ এ জানে । সেই জন্তু গুলা রে কেউ সেধে সুযোগ না দিলে তার থেকে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নাই. বিপদ আসলে এখন সুশীল সমাজ নামধারী যে মধ্যম রকম এর জন্তু আছে তাদের থেকে।
এইখানে আরেকটা খবর, তবে এইখানে ধর্মীয়ভাবে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা আছে যেইটার সাথে আমি একমত না।।
এইটা নিয়ে আমার নিজেরও কিছু ডাউট ছিল, সেই জন্য আমি এটা রেফারেন্সে দেইনি।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
যথেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। উনার দেশে ফিরে আসার আরো কিছু ডকুমেন্ট জোগাড় করতে পারলে ভাল হবে। আমজাদ সাহেবকে নিয়ে সরকার, মিডিয়া, সমাজসেবীদের গলাগলি করে কান্না দেখে যা মনে হল, অভিজিত রায়দের অনেক অর্থকড়ি থাকলে তারাও সবার সহানুভূতি পেতেন। তখন আর ধর্মানুভূতি আহত হত না।
উনি না হয় হাত ফসকে গিয়েছেন। কিন্তু অন্য যেসব দোষী সামরিক কর্মকর্তা জীবিত আছেন, তাদের পরিচয় উন্মোচন এবং ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি তোলার দাবি জানায়।
ধন্যবাদ। চেষ্টা করা হচ্ছে আরও কিছু রেফারেন্স খুঁজে ভেরিফাই করে যোগ দেয়ার জন্য।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
দেবদ্যুতি
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য
facebook
পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ, অণু ভাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
অনেক আগে ভাসাভাসা শুনেছিলাম। ভালো হলো এই পোস্টটা পেয়ে। এরকম আরো যারা আছে তাদেরদিকে ট্রাইবুনালের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হোক।
আর ফারুকী লোকটা হোপলেস। সৃষ্টিশীলতাও নেই, মানবতাবোধ বুদ্ধিবৃত্তি সব কিছুই নিম্ন স্তরের।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ফারুকী আমার কাছে নর্দমার কীটের চেয়ে বেশী ভালো কিছু না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
প্রথমেই পড়েছিলাম। মন্তব্য করা হয়নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। মরে গেলো বলে সব চুকেবুকে গেলো তা হতে পারে না। তেমনটা হলে ইতিহাস বলে কিছু থাকতো না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, অপু ভাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
পোস্ট পড়ে সারারাত ঘুমাতে পারি নাই ভাইয়া। শুধু ছটফট করেছি। আমি, আমরা এমন কেন?
লাভ নাই সব ধুয়ে মুছে যাবে, মুখ ঢেকে যাবে বিজ্ঞাপনে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এসব লেখা থেকে এমন কিছুই হবে না হয়ত। কিন্তু আসা করছি আরও কিছু এরকম লেখা আসুক, আরও কিছু রেফারেন্স পেলে এই লেখার সাথে যোগ করে দেই। কিছু মানুষ অন্তত প্রশ্ন করা শুরু করবে এই কুলাঙ্গারের ১৯৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে। বিন্দু থেকেই সিন্ধু হয়।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
কিছুই হবে না, এটা হতাশা থেকে বলা। নিশ্চয়ই কিছু হবে। লড়াই তো চালায়ে যাইতেই হবে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চালিয়ে যেতে হবে, কিন্তু যখন অমি রহমান পিয়ালের মত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কাজ করা মানুষ এত দৃঢ়ভাবে মেজর আমজাদ চৌধুরীকে বেনেফিট অফ ডাউট দিয়ে যেতে চান, কিছুটা মন খারাপ লাগে। তার ফেসবুক পেজে এ নিয়ে আইসিএসএফ এর রায়হান রশিদ ভাইয়ের সাথে অনেকখন আলোচনার পরে দেখলাম উনি 'ওয়াটেভার, এসব নিয়ে এখন আলোচনা এখন অবান্তর' বলে ডিস্কাশন ক্লোজ করে দিলেন।
এনাদের নিজেদের দিকের লোক বলেই চিনি। তাদের সামরিক রাজাকারদের বিষয়ে একেবারেই ল্যাক অফ ইন্টারেস্ট ডেকে অবাক লাগে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর রাজাকারদের নিয়ে খুব বেশী লেখালেখি হয়নি। সিভিল রাজাকারদের সাথে সামরিক রাজাকারদের নিয়ে যে গবেষণার দরকার এই লেখা পড়ার পর সেটা আরো জরুরী মনে হচ্ছে। নইলে এই আমজাদ সেই আমজাদ কিনা সেটা নিয়ে কোন প্রশ্ন আসতে পারতো না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এ নিয়ে কাজ খুবই কম হয়েছে আমার জানা মতে। আর যাদের ব্যাপারে জানা আছে, তাদের ব্যাপারেও কিছু করার মোটিভেশন দেখি না। বিকল্পধারার মেজর এম এ মান্নানের ১৯৭১ সালে পাকি কমান্ডো হিসেবে ভূমিকা কিন্তু মেজর জেনারেল আমজাদের থেকেও অনেক বেশী মানুষ জানে। তিনি কখনও অস্বীকার করেছেন বলেও জানা নেই। কিন্তু দেখেন উনি আজ সমাজের শিখরে কত আরামে আছেন।
আসলে আমরা সিভিলিয়ান রাজাকারদেন বিষয়ে যতটা তৎপর এবং খবর রাখি, সামরিক রাজাকারদের ব্যাপারে কেন জানি একটা ইচ্ছাকৃত লাকুনা থেকে গেছে। হয়ত সেনাবাহিনীকে কেউ ঘাটাতে চায় না, এটা একটা কারন হতে পারে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
সচলেই শুরু করা যেতে পারে।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
প্রানের বিজ্ঞাপনের জন্য যেই নোংরা রাজনীতি দেখেছি,
পত্রিকা আর জ ই মামুনেরা যে একে মহান করবে, এটাই স্বাভাবিক।
প্রান আবার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পনসর না?
অনেক ধন্যবাদ ইয়ামেন এরকম একটা লেখার জন্য।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পন্সর রবি।
হুঁ ঠিকাছে, ভারত সিরিজের স্পন্সর প্রাণ ছিল।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
লেখা উত্তম হইসে
ধন্যবাদ রানা আপু আর সাফি।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
প্রাণ-আরএফএল এর নানা উচ্চপদে এখনও অনেক পাকিস্তানী লোক চাকরী করে বলে জানি।
নাবিলা
প্রাণ-আরএফএল প্রোডাক্ট বর্জণের চেষ্টা করেছি অনেক আগেই। কিন্তু ব্যাপারটা ওরা প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ে নিয়ে আসছে। প্রাণ বা আরএফএল এখন প্রোডাক্ট নিজ নামে বাজারজাত না করে আরও নানা নামে বাজার জাত করে।
অলটাইম কেক, অলটাইম বান, পাপা কাপ কেক, ওয়ান্ডার কেক, টিফিন 50:50, ফানবাইট কেক। Kofi House, অরেঞ্জ প্লাস, সফট সল্টেড ড্রিংক, ম্যাক্স কোলা, ট্যাংগো, ফায়ার ফ্লাই, টিফিন কেক, ভিটা প্লাস, পাওয়ার কার্বোনেটেড ড্রিংক। ক্রাকো, স্ল্যাকো, স্ন্যাকার, ডিলাইট চকোলেট, টমটম, পটাটো স্টিক। মেট্রো চাল (প্রাণ চালও আছে আবার মেট্রো চাল ও আছে!), মেট্রো লাচ্ছা সেমাই, মিস্টার নুডলস, ক্যান্টন স্যুপ। ড.মিল্ক ক্যান্ডি (প্রাণ মিল্ক ক্যান্ডি ও আছে), লিচিটা, চকোচকো, এক্সেল, জেলিগো (১০১টা নামে ক্যান্ডি সেল করে কোনোটাতে প্রাণ লোগো থাকেম, কোনোটাতে থাকে না।)। মুঘল শাহী মিক্স, মুঘল মেওয়া মিঠা, মুঘল ফ্রেশনার, মুঘল পান মসলা, মুঘল সিউট সুপারী। ফিট, ইউরোপা, ফ্রুট ফান, স্ল্যাকবাইট সহ নানা নামে বিস্কুট, নো লোগে প্রিন্টেড। পমপন, ক্রিমি ক্রাঞ্চ, বাডি ওয়েফার। প্রাণের নিজ নামে নানা ডেয়রী প্রোডাক্ট থাকার পরও মিল্ক ম্যান নামে নানা প্রোডাক্ট। রিবোস্ট (হরলিস্কের মতো)। ঝটপট নামে নানা ফ্রোজেন ফুড, কোনোটায় লোগো প্রিন্টেড, কোনোটায় না। কার্নেল সানফ্লাওয়ার ওয়েল।
এছাড়াও ঢাকায় কোক-ফান্টা-স্প্রাইটের পেট বোতলের ম্যানুফেকচারিং এবং ডিস্ট্রিবিউশন সব প্রাণ করে।
এছাড়াও আরএফএল কম করে হলেও এক হাজার ভেরাইটির প্ল্যাস্টিক প্রোডাক্ট আছে, যেখানে নাম লেখার দরকার হয় না। তবুও ‘ইটালিয়ানো’ এবং আরও নানা নামে তারা প্ল্যাস্টিক পন্য বাজারজাত করে।
আরএফএল এই ব্রান্ডগুলোর নামে প্রোডাক্ট বাজারজাত করে। ব্রাইট এলুমিনিয়াম, রিগ্যাল ফার্নিচার, ট্রেন্ডি আলমিরা, কসমিক দরজা, ভিশন ইলেকট্রনিক্স (ফ্রিজ, ফ্যান,ওভেন), প্রোটন ল্যাপটপ, প্রোটন মোবাইল, এবিএস বাথরুম ফিটিংস, শাইন বাথরুম ফিটিংস, ডিলাক্স বাথরুম ফিটিংস, টপার নামে হাড়িপাতিল, কুকস নামে হাড়ি পাতিল, সেরা ওয়াটার ট্যাংক, প্রোপার্টি লিফট-এলিভেটর-জেনারেটর।
নাবিলা
এই লেখাটা দলিল হয়ে রইল
ব্লগ আসলেই খুব খারাপ জায়গা। দেশের টাকা মেরে দেশের মধ্যেই সেই টাকা খরচ করে সরকার থেকে শুরু করে মিডিয়া পর্যন্ত কিনে নিয়ে এরা খুব সুখেই ছিল। কিন্তু ব্লগাররা এদের পেন্ট খুলে তো খুলে সাথে আন্ডারওয়্যারটাও খুলে দেয়। এখন এসব ধান্দাবাজদের কি হবে ? ব্লগ আর ব্লগাররা আসলেই খুব খারাপ। রাজাকার আর তাদের দালালদের শান্তিতে থাকতে বা মরতেও দেয় না।
পোস্টের জন্য
পড়ার জন্য আপনাকে , জিরো ভাই।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
ইয়ামেন ভাই, আপনার কথায় যদি ধরে নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী না জেনে শোক বার্তা দিয়েছেন। তাহলে তিনি এবং তার প্রেস ইউনিটকে অনুরোধ জানাই, তারা যেন এ সামরিক রাজাকারের রাজাকারিত্ব সম্বন্ধে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যায় তার রহস্যজনক ভূমিকা বিষয়ে জানার পর আগে দেয়া শোকবার্তা প্রত্যাহার করে নেন। যে একবার রাজাকার সে চিরজীবন রাজাকার, এমনকি পৃথিবী সেরা উদ্যেক্তা হিসেবে আবির্ভূত হবার পরও রাজাকার।
লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুধুমাত্র ইটালীতে ইঁদুরের বিষ্ঠাযুক্ত প্রাণ চানাচুর আনার খবর বিদেশী সংবাদপত্রে দেখার কারণেই তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা দেখে মন খচ্খচ্ করছিল। এখন আপনার লেখা পড়ে তো একেবারে আক্কেল গুরুম।
- পামাআলে
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সামরিক রাজাকারদের বিষয়ে আমাদের নলেজ একেবারেই ধোঁয়াশা থেকে গেছে। মেজর জেনারেল আমজাদ চৌধুরীর বিষয়েও ডকুমেন্টেড প্রমান খুবই কম, কিন্তু যা আছে, তাতে আর যাই হোক, তাকে বেনেফিট অফ ডাউট দেয়ার কোন অবকাশ আছে বলে অন্তত ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না। এবং যার অতীত বিতর্কিত, সে যত বড়ই শিল্পোদ্যোক্তা হোক, তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে শোকবার্তা না পাঠালেও চলত।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী সংক্রান্ত আরেকটি রেফারেন্স হাতে এসেছে, এটি যায় যায় দিন লেখক/সঙ্গিতজ্ঞ মোবারক হোসেন খানের 'আমার একাত্তর' নামক সিরিয়ালি ছাপানো স্মৃতিচারণের বুধবার ৭ই মার্চ, ২০১২, তারিখের কিস্তিতে আমরা তৎকালীন মেজর আমজাদের উল্লেখ্য পাই। মোবারক হোসেন খান সাহেব যে সময়ের কথা লিখছেন তখন তিনি রংপুরে বেতার ভারপ্রাপ্ত সহকারী আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ থেকে অন্তত তৎকালীন মেজর আমজাদের পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের উচ্চপদস্থ অফিসারদের সাথে সখ্যতার নজির পাওয়া যায়। আমি রেফারেন্সটি লেখায় যোগ করে দিয়েছি, বিস্তারিত ওখানেই আছে। কলামের স্ক্রিনশট এখানেও দিলাম।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...
চমৎকার ভাই
নতুন মন্তব্য করুন