আয় তবে সহচরী

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/১০/২০১৬ - ৭:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“কাল রাতে না খুব বাজে একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম।“

বিছানায় চোখ আধবোজা অবস্থায় শুয়েছিল শাহেদ। অফিসে থেকে ফিরেছে কিছুক্ষন আগে। শুনে ড্রেসিং টেবিলের দিকে তাকালো, যেখানে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মীরা চুল আঁচড়াচ্ছে। আজ তার অফিসে বিকেলে ডিউটি পড়েছে, একটু পরে বেরোবে, তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে।

“তাই?”

“হু, তোমার মনে আছে ভোর চারটের দিকে তোমাকে যে ঘুম থেকে ডেকে তুললাম? এই বলে যে আমার খুব শীত লাগছে জানালাটা একটু বন্ধ করে দিতে? আসলে জানালা বন্ধ করার জন্য না, তোমাকে ডেকেছিলাম কারন মাত্র স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে খুব ভয় লাগছিল। তখন বলিনি কারন সাহস পাচ্ছিলাম না, উফফ এত্ত ভয়ঙ্কর!”

“আচ্ছা? কি স্বপ্ন?”

“দেখলাম আমাদের বিছানাতেই শুয়ে আছি। সারা ঘর অন্ধকার, জানালা দিয়েও কোন আলো দেখা যাচ্ছে না। বুঝতে পারছিলাম গভীর রাত। পাশে হাতড়ে দেখি তুমি নেই। দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলাম করিডর থেকে এক চিলতে আলো পড়ছে, সেটা বাথরুমের। স্বপ্নের মধ্যেই ভাবলাম তুমি বোধহয় বাথরুমে গিয়েছ। খুবই সাধারন ঘটনা, তাই না? কিন্তু...”

“কিন্তু কি?”

“কেন যেন প্রচন্ড অস্বস্তি লাগছিল। বাথরুমের দরজা খুলার আওয়াজ শুনতে পেয়ে একটু সাহস পেলাম, তোমার নাম ধরে ডেকে উঠলাম, কিন্তু কোন উত্তর দিলে না। তোমার পায়ের শব্দ শুনতে পেলাম বেডরুমের দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছে। দরজার সামনে এসে দাঁড়ালে তুমি, করিডর থেকে ঠিকরে পড়া অল্প আলতে দেখতে পেলাম তোমার চোখমুখে স্পষ্ট ভয়ের ছাপ। আমার দিকে চোখগুলো বড় বড় করে তাকিয়ে কাঁপা স্বরে বললে ‘জান, আমার পিছনে কে?’...” এতটুকু বলে চোখ বন্ধ করে শিউরে উঠলো মীরা, দুঃস্বপ্নের স্মৃতি গা ঝাড়া দিয়ে দূর করতে চাইলো যেন।

শাহেদ একটু অধৈর্য হয়ে বললো, “আহহা, শেষ করো না, তারপর?”

“তোমার পিছনে তাকালাম, দেখতে পেলাম হঠাৎ একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়িয়েছ তোমার ঠিক পিছনেই। শুধু অবয়বটা বোঝা যাচ্ছে, একটা মেয়ে, পরনে মনে হলো যেন আমারই ঘুমের পোশাক। তোমার শরীরের কারনে তার চেহারা ঠিকমত দেখতে পারলাম না...কিন্তু কেন জানি চোখ দুটো পরিস্কার দেখতে পাচ্ছিলাম, আমার দিকে তাকিয়ে আছে, কি ভীষণ সেই কালো চোখের চাহনি...উফফ আর জানতে চেয়ো না তো শাহেদ, এতটুকু মনে করেই দেখো, আমার হাতে কাটা দিচ্ছে। সারাটা দিন তুমি যখন অফিসে ছিলে কিভাবে যে ফ্ল্যাটে একা থেকেছি বোঝাতে পারবো না। একটু পরপর মনে হচ্ছিল যেন বাথরুমের দিক থেকে কেউ এখনই হেঁটে বেড়িয়ে আসবে।“

শাহেদ হেসে দিলো। বিছানা থেকে উঠে মীরাকে জড়িয়ে ধরে বললো,

“আরে, মাঝেমাঝে তো খারাপ স্বপ্ন আমরা সবাই দেখি। টেক ইট ইজি, বেবি। ইট ওয়াজ অনলি এ ড্রিম। গত সপ্তাহে নেটফ্লিক্সে যে হরর মুভি ম্যারাথন করলাম দুজনে, সেটারই আছর আর কি। দেখবে কালকের মধ্যেই এই স্বপ্নের কথা মনে পড়লে হাসি পাবে তোমার।“

“না শাহেদ, তোমাকে ঠিক বুঝাতে পারছি না। তুমি জানো এসবে অত সহজে ভয় পাওয়ার মত মেয়ে আমি নই। কিন্তু কেন জানি সারাটা দিন খুবই অস্বস্তিকর লেগেছে আমার। ফেল্ট লাইক সাম্থিং ইজ ভেরি রং। যেন ভীষণ বাজে কিছু হতে যাচ্ছে...”

“ধুস, কিছুই হবে না। হলেও আর কি, তুমি আমি আর জনৈক পেত্নীর একটা মিষ্টি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনীর জন্ম হবে, মন্দ হবে না কিন্তু!”

“যাহ, ফাজিল! খুব সখ, না? দাড়াও ঝেটিয়ে ত্রিভুজ প্রেমের ভূত মাথা থেকে ছাড়াচ্ছি তোমার...” ধাক্কা দিয়ে শাহেদকে সরিয়ে দিলো মীরা, মুখে আলতো হাসি। দেখে আশ্বস্ত হলো শাহেদ, যাক তার বউ ইতিমধ্যে ভয় ভুলে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে কিছুটা! তার নিজের মুখেও হাসি ফুটে উঠলো।

------------------------------

সাড়ে ছয়টার মত বাজে, পড়ন্ত বিকেলের বিষণ্ণ আলো ড্রয়িং রুমের জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকছে। চারিদিক নিস্তব্ধ, সেই নিস্তব্ধতা চিরে কদাচিৎ কয়েকটা গাড়ির শব্দ ভেসে আসছে। মীরা অফিসে গেছে আধা ঘন্টা হলো। শাহেদ সোফায় হেলান দিয়ে ট্যাবে বই পড়ছে। টিভি ছাড়া, যদিও শব্দ একেবারে মিউট করা।

শাহেদ সোফার যেখানটায় শুয়ে আছে, সেখান থেকে বাথরুমের দরজাটা দেখা যায়। বই পড়ার মাঝে একটু পরপর খোলা দরজাটার দিকে চোখ চলে যাচ্ছে তার। যতবার সেদিকে চোখ যাচ্ছে, ততবার মীরার স্বপ্নটার কথা মনে পড়ছে। প্রথম কয়েকবার পাত্তা দেয়নি, কিন্তু একটু পরে টের পেলো খুব বেশীই তাকানো হচ্ছে সেদিকে। একটু বিরক্ত হলো সে। কি আজীব, একটা নিছক স্বপ্ন নিজের উপর এতোটা প্রভাব ফেলছে কেন? ট্যাবটা পাশে রেখে উঠে বসলো, বাথরুমের দরজার কাছে হেঁটে গেলো। দরজার উল্টোদিকে বাথরুমের ভিতরে বড় আয়নাটা, বিকেলের আবছা আলোতে নিজের প্রতিবিম্বটা কেমন অদ্ভুত লাগলো। কার্নিভালের ম্যাজিক মিররে নিজের প্রতিবিম্বগুলো যেমন বিকৃত রূপ ধারন করে থাকে, সেরকম।

কেন যেন গা ছমছম করে উঠলো শাহেদের। বাথরুমের দরজাটা লাগিয়ে দিলো। নিজেকে বোঝাল ভয় থেকে নয়, যাতে বই পড়া থেকে নজর না সরে আর, তাই দরজাটা লাগিয়ে দিচ্ছে সে। ফিরে এসে আবার বই পড়ায় মগ্ন হলো।

আচমকা পায়ের সাথে কিসের ঘষা লাগতে চমকে উঠলো শাহেদ। তাকিয়ে দেখলো তাদের বিড়াল লিলি মুখ ঘষছে পায়ে। সে তাকাতে তার দিকে চেয়ে মিউমিউ করতে লাগলো। খাবার শেষ হয়ে গেছে নিশ্চয়। রান্নাঘরের ক্লজেট থেকে ক্যাট ফুডের প্যাকেটটা বের করে এক কাপ মেপে লিলির বাটিতে ঢেলে দিলো সে। খাবার দিকেই দৌড়ে আসছিল লিলি, কিন্তু আচমকা বাটি থেকে কয়েক ফুট দূরে থমকে দাঁড়ালো। শাহেদের পেছনে কিছু একটা দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেন। হঠাৎ হিংস্রভাবে ফোঁস করে উঠে পিছন ফিরে ক্ষিপ্রগতিতে সোফার নীচে ছুটে গেলো। অবাক হয়ে চেয়ে রইলো শাহেদ। পেছনে ফিরে তাকালো।

বাথরুমের দরজাটা হাঁ করে খোলা।

কয়েক সেকেন্ড কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না শাহেদ। গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে টের পেলো। অনেক কষ্টে বাথরুমের দরজা-ভরা অন্ধকার থেকে নজর সরালো সে। যান্ত্রিক মানবের মত সোফার কাছে ফিরে গিয়ে বসে পড়লো সে। স্পষ্ট মনে আছে দরজাটা লাগিয়ে দিয়েছিল সে। নাকি ঠিকমত লাগায়নি, শুধু ভেজিয়ে দিয়েছিল, তারপর বাতাসে খুলে গেছে? কিন্তু জানালা তো বন্ধ, বাতাস কোথা থেকে আসবে? আচ্ছা, টিভিটা চালিয়ে রেখেছিল না? কিন্তু এখন বন্ধ কেন? নিজেই কি আনমনে বন্ধ করে দিয়েছিল বই পড়তে পোড়তে? অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারলো না শাহেদ।

কতক্ষন সেভাবে বসেছিল জানে না। দেয়ালঘড়ির ঘন্টায় আচ্ছন্নতা ভাঙলো, সাতটা বাজে। বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে উঠে ঘরের আলো জ্বালালো। মাতালের মত টলতে টলতে বেডরুমের দিকে এগোল শাহেদ, কেন জানি অনেক ক্লান্ত লাগছে, ঘুমে দু-চোখ বন্ধ হয়ে আসছে খালি। বিছানায় লেপমুড়ি দিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ে চোখ মুদলো।

এরপরে ঘটনাগুলো যেন ঘোরের মধ্যে আধো ঘুম আধো জাগ্রত অবস্থায় উপলব্ধি করতে লাগলো শাহেদ। দূরে কোথায় যেন দরজা খোলার আওয়াজ পেলো। মীরা অফিস শেষে ফিরে এসেছে ভাবতে ভাবতে আবার সময়ের হিসেব হারিয়ে ফেললো সে। এই তো বেডরুমে এসে ঢুকেছে মীরা, আলমারি খুলছে, বাইরের কাপড় ছেড়ে পোশাক বদল করছে। এবার তার পাশে বিছানায় শুয়ে পড়লো সে, লেপের তলে চলে এলো।

জ্বরে যেন পুড়ে যাচ্ছে শাহেদের শরীর। কোন রকমে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো, “মীরা আমার শরীরটা খুব খারাপ লাগছে...”

জবাবে পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরলো মীরা। শাহেদের কাঁধে এসে পড়ছে তার শ্বাসের গরম ভাপ। কানের কাছে ফিসফিস করে বলতে শুনলো “এই তো আমি চলে এসেছি।“

যেন শরীরে একটু বল ফিরে পেলো শাহেদ। মীরার দিকে তাকাতে পাশ ফিরলো।

------------------------------

সাড়ে আটটা বেজে গেছে। কাজ প্রায় গুছিয়ে আনছে মীরা। আজকে একটু দেরীই হয়ে গেছে সব ক্লায়েন্টদের তদারকি সম্পন্ন করতে। শাহেদ একা বাসায় কি করছে কে জানে। মোবাইল বেজে উঠতে পার্স থেকে বের করলো। স্ক্রিনে জ্বলছে নিভছে শাহেদের নাম। তাড়াতাড়ি কল রিসিভ করলো সে।

“হ্যালো জান, সরি, একটু দেরী হয়ে যাচ্ছে, এই পাঁচ মিনিটের মধ্যে রওনা দিচ্ছি...”

অপর পাশে কোন উত্তর শুনতে পেলো না মীরা। শুধু শোঁশোঁ শব্দ।

“হ্যালো? হ্যালো? শাহেদ আমাকে শুনতে পারছো না? কি হলো? হ্যালো?”

যেন অনেক দূর থেকে কেটে কেটে ভেসে এলো শাহেদের কণ্ঠস্বরঃ

“জান...আমার পিছনে...কে?”

খুট করে লাইন কেটে গেলো।


মন্তব্য

সাফি এর ছবি

আরে জোশিলা হইসে! আমি যেটুকু বুঝতে পারলাম, বাসায় তুমি একলা(বান্ধুবী নিয়া) ছিলা, ভাবী ছিলো অফিসে। এর পরে ভাবী হুট করে এসে পরার পরে, তাড়াহুড়ায় তোমার বান্ধুবী হাতের কাছে যেই কাপড় পাইছে(ভাবীর ঘুমের পোশাক) সেইটা নিয়াই লুকায়ে পরেছে। এর পর তোমরা ঘুমায়ে যাওয়ার পরে সে জানালা খুলে পালাতে গেছে যখন, তখন ভাবীর ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় বাথরুমে লুকায়ে পরেছে। তারেই ভাবী দেখেছে।
পরের দিন ব্যাপারটা আরো ফুল প্রুফ করার জন্য তুমি বাকী গল্প বানাইসো।

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ওজুহাতের আম্মা! (Mother of Excuse!)

ইয়ামেন এর ছবি

হুম, সাফি একটু বেশীই বুঝে আর কি। পুরাই শার্লক হোমস। চাল্লু

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

ঈয়াসীন এর ছবি

হো হো হো

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

বৃষ্টি স্নাত কবি  এর ছবি

ভাল লিখেছেন!

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অনিকেত এর ছবি

সিরাম হইসে ম্যান !!

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

উৎস এর ছবি

জোশ

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

সোহেল ইমাম এর ছবি

দুর্দান্ত ভালো লাগলো।

“জান...আমার পিছনে...কে?”

এই লাইনটা পড়বার সময় দু’বারই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছে। গুরু গুরু

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

ইয়ামেন এর ছবি

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ভাই

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

তারপর এর ছবি

"মীরার দিকে তাকাতে পাশ ফিরলো"... এইটাই তো শেষ খবর ছিল বিছানায়, তাইলে ফোনে কেন বলল যে আমার পেছনে কে? খাইছে

মেঘলা মানুষ এর ছবি

রবীন্দ্রসংগীতের লাইন থেকে নাম দেয়া দেখে ভেবেছিলাম কোন মিষ্টি প্রেমকাহিনী হব। এখন পেছন দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছি

ইয়ামেন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভাল লাগলো।

মুন্না সন্দ্বীপী

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লাগলো। শেষের অংশটা পড়ে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মত অবস্থা। ভাল হইসে অনেক। হাততালি

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।