গত ৪ই মে গণমাধ্যমে খবর এলো মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত ইতিহাস বিকৃতি রোধে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। আইনের খসড়া অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে তথ্য/ইতিহাস বিকৃত করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করে ধরা পড়লে শাস্তি দ্বিগুণ হবে বলেও বলা হয়েছে। খবর মতে, আগামী নির্বাচনের আগেই এই আইন সংসদে পাশ করতে আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর।
উপরে শেয়ার করা বাংলাট্রিবিউনের লিঙ্ক থেকে চুম্বক অংশঃ
"বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন-২০১৬’-এর খসড়ায় বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে তখনই, যখন ১৯৭১ সালের ১ মার্চ তারিখ থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মধ্যবর্তী ঘটনাগুলো কেউ অস্বীকার করবে। পাশপাশি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে সংঘটিত ঘটনাবলি অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের কোনও ঘটনাকে হেয় প্রতিপন্নের উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিলে ও প্রচার করলে সেই কাজকেও ইতিহাস বিকৃতি হিসেবে গণ্য করা হবে। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারিভাবে প্রকাশিত ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়র ইতিহাস সংক্রান্ত দলিল, যেকোনও ধরনের প্রকাশনার অপব্যাখ্যা বা অবমূল্যায়ন; পাঠ্যপুস্তকসহ যেকোনও মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অসত্য, অর্ধসত্য, ভ্রান্ত বা বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন; মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা বা জনগণকে হত্যা, ধর্ষণ ও তাহাদের সম্পত্তি লুট বা তাতে অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত যেকোনও তথ্যের অবনমন; মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত কোনও ঘটনা, তথ্য বা উপাত্ত ব্যঙ্গাত্মকভাবে উপস্থাপনও ইতিহাসের বিকৃতির আওতাভুক্ত। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকে জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রাম ছাড়া অন্য কোনোভাবে দেখা; ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি দখলদার সশস্ত্রবাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পক্ষে কোনও যুক্তি দেওয়া বা প্রচারণা চালানো; মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ কোনও ধরনের অপপ্রচার করলে তাও ইতিহাস বিকৃতির অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।"
উন্নত বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে গণহত্যা অস্বীকৃতি আইন আছে, যার মধ্যে জার্মানি,হাঙ্গেরি, গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স, চেক রিপাব্লিক অন্যতম। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর চালানো ইহুদী গণহত্যার ইতিহাস অস্বীকৃতি/বিকৃতি রোধে সেই আইনগুলোর প্রয়োগ করা হয়ে এসেছে (যদিও এইসব অনেকগুলো দেশের আইনই কিন্তু যে কোন রকম গণহত্যা বা মানবিতাবিরোধী অপরাধ অস্বীকার করা বা তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য)। এমন আইনের কার্যকরিতাও প্রমানিত হয়েছে বেশ কয়েকবার। উদহারন স্বরূপ বলা যেতে পারে ব্রিটিশ লেখক এবং নাৎসি এপলজিস্ট ডেভিড আর্ভিং এর কথা। নাৎসিদের ভাবমূর্তি পুনর্বাসন এবং ইহুদি গণহত্যার নৃশংসতা কমিয়ে দেখানোর প্রচেষ্টার অপরাধে তাকে একাধিকবার 'Holocaust/Genocide Denial Law' এর আওতায় আনা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে অনেকগুলো দেশ থেকে। যদিও ইহুদী গণহত্যা অস্বীকার এবং তা নিয়ে মিথ্যাচারে আর্ভিং এখনও সক্রিয় আছেন, এতবার আইনি প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে একজন ইতিহাসবিদ বা নির্ভরযোগ্য গবেষক হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা এখন প্রায় শুন্যর কোঠায়। সুতরাং এমন আইনের উপযোগিতা যে একাত্তরের প্রসঙ্গেও থাকতে পারে, তার পিছনে শক্ত যুক্তি রয়েছে। 'Holocaust/Genocide Denial Law' এর আদলে আমাদের দেশেও আইন প্রণয়নের দাবী তাই অনলাইন/অফলাইনে বহুদিন ধরেই অনেক প্রো-৭১ ব্লগার/এক্টিভিস্ট/সাধারন মানুষ করে এসেছেন গত কয়েক বছর ধরে। সেই দাবী বাস্তবায়ন হতে পারে এই "মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন" সংসদে পাশ হলে, তাই আমাদের অনেকেই এই খবর ইতিবাচক চোখে দেখছেন। আমিও তাদের ব্যতিক্রম নই। তবে অজনপ্রিয় মতামত হলেও এখানে কিছু 'তবে, কিন্তু্' তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি আমি।
এ ধরনের আইন বেশ স্পর্শকাতর, লেখার সময় খুব সহজেই (ইচ্ছাকৃতভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃত) বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী হয়ে দাড়াতে পারে, এবং তখন সেই আইনের অপপ্রয়োগ হবার ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এবং একটা গণতান্ত্রিক দেশে বাকস্বাধীনতার হরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। ঠিক এই ঝুঁকির কারনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য, দুই দেশের সংসদেই বেশ কয়েকবার "Genocide Denial Law" এর প্রস্তাবনা আসলেও আজ পর্যন্ত এমন কোন আইন পাশ হতে পারেনি। বাংলাদেশের প্রসঙ্গে আমরা ইতিমধ্যে এক কালো আইনের লাগাতার অপপ্রয়োগ দেখেছি। ৫৭ ধারা নামক জঘন্য আইনের ভুক্তভোগী অনেককেই হতে হয়েছে গত কয়েকবছরে। সেই আইনের উত্তরসুরি হিসেবে 'ডিজিটাল সুরক্ষা আইন' নামক যা প্রস্তাবিত হয়েছে, তার খসড়া ইতিমধ্যে অনলাইনে এসেছে, যার কিছু অংশ ৫৭ ধারার থেকেও ভয়াবহ। কি সেই বিধানগুলো, তা নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা প্রাসঙ্গিক না। আগ্রহীরা উপরের হাইপারলিঙ্কে ক্লিক করে পড়ে দেখতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধে আইন প্রণয়নের যৌক্তিকতা থাকলেও সেই আইন যাতে ৫৭ ধারার মত মানুষের বাকস্বাধীনতা হরনের অস্ত্র না হয়ে যায়, সে বিষয়ে নিজর রাখা জরুরি। এবং সে জন্য দরকার কোন কোন ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট বিধান থাকা। যেমন দেখা যাক জার্মানির আইন এই বিষয়ে কি বলেঃ
"Whosoever publicly or in a meeting approves of, denies or downplays an act committed under the rule of National Socialism of the kind indicated in section 6 (1) of the Code of International Criminal Law, in a manner capable of disturbing the public peace shall be liable to imprisonment not exceeding five years or a fine.[33][34]
---------------------------------
The definition of section 6 of the Code of Crimes against International Law referenced in the above § 130 is as follows:
§ 6 Genocide
(1) Whoever with the intent of destroying as such, in whole or in part, a national, racial, religious or ethnic group:
1) kills a member of the group,
2) causes serious bodily or mental harm to a member of the group, especially of the kind referred to in section 226
of the Criminal Code,
3) inflicts on the group conditions of life calculated to bring about their physical destruction in whole or in part,
4) imposes measures intended to prevent births within the group,
5) forcibly transfers a child of the group to another group, shall be punished with imprisonment for life. (...)[35]"
আরও একটা উদহারন হিসেবে দেখা যাক ফ্রান্সের 'Gayssot Act':
LAW No 90-615 to repress acts of racism, anti-semitism and xenophobia (1990)
MODIFICATIONS OF THE LAW OF JULY 29, 1881 ON THE FREEDOM OF THE PRESS Art 8. – Article 24 of the Law on the Freedom of the Press of 29 July 1881 is supplemented by the following provisions: In the event of judgment for one of the facts envisaged by the preceding subparagraph, the court will be able moreover to order: Except when the responsibility for the author of the infringement is retained on the base for article 42 and the first subparagraph for article 43 for this law or the first three subparagraphs for article 93-3 for the law No 82-652 for July 29, 1982 on the audio-visual communication, the deprivation of the rights enumerated to the 2o and 3o of article 42 of the penal code for imprisonment of five years maximum;
Art 9. – As an amendment to Article 24 of the law of July 29, 1881 on the freedom of the press, article 24 (a) is as follows written: (a). - those who have disputed the existence of one or more crimes against humanity such as they are defined by Article 6 of the statute of the international tribunal military annexed in the agreement of London of August 8, 1945 and which were a carried out either by the members of an organization declared criminal pursuant to Article 9 of the aforementioned statute, or by a person found guilty such crimes by a French or international jurisdiction shall be punished by one month to one year's imprisonment or a fine.
Art 13. – It is inserted, after article 48-1 of the law of July 29, 1881 on the freedom of the press, article 48-2 thus written: - publication or publicly expressed opinion encouraging those to whom it is addressed to pass a favourable moral judgment on one or more crimes against humanity and tending to justify these crimes (including collaboration) or vindicate their perpetrators shall be punished by one to five years' imprisonment or a fine.[30]
ফ্রান্স বা জার্মানি, কারো আইনই যে নিখুঁতভাবে লেখা হয়েছে, যেখানে অপপ্রয়োগ বা অপব্যাখ্যার অবকাশ নেই, তা দাবী করা যাবে না। তবে আইনগুলো কখন প্রযোজ্য, তা যথাসম্ভব সুনির্দিষ্টভাবেই তুলে ধরার আন্তরিক চেষ্টা করা হয়েছে, সেটা বলা যায় বলেই আমার মনে হয়েছে। আমার আশা হলো, "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকরণ অপরাধ আইন" কখন কিভাবে প্রযোজ্য হবে, তা বিস্তারিতভাবে লেখার সময় সংশ্লিষ্ট আইনপ্রনেতারা এসব আমলে নিয়েই লিখবেন। ডেভিড বার্গম্যানের মত কোন সাংবাদিক যখন বিদেশি গণমাধ্যমে লাগাতারভাবে একাত্তরের গণহত্যার ভয়াবহতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ান, বা বিএনপি সিনিওর ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক রহমান যখন একাত্তরের প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নোংরা মিথ্যাচার করেন, তখন তা অবশই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির দোষে দুষ্ট বলে ধরা যায়। কিন্তু ধরা যাক এমন কোন ঘটনা, ফেসবুকে কোন এক ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে মানতে অস্বীকার করে পোস্ট দিয়েছেন, সেই সাথে লিখেছেন তার কাছে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যবহার করছেন, সেই অধিকার তার আছে। ঠিক যেমনটি আপনার বা আমার অধিকার আছে তার পোস্টের জবাবে পাল্টা পোস্ট দেয়ার, বা (যদি সেই ব্যক্তি আপনার পরিচিত হন) তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার। কিন্তু তাকে যদি মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস বিকৃতিকরণ আইনের আওতায় এনে হয়রানির শিকার করা হয়, তা হবে একেবারেই দুর্ভাগ্যজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং এই আইনের অপপ্রয়োগ/অপব্যাখ্যার নমুনা।
আমি আইন বিশেষজ্ঞ নই। উপরে যে লিখলাম, সবই নিজের ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা মাত্র। তবে একাত্তরের চেতনা বুকে ধারন করি বলে স্বাধীনতাবিরোধী একাত্তরের প্রেতাত্মারা যাতে ইতিহাস বিকৃত না করতে পারে, সে বিষয়ে সদা জাগ্রত থাকা যেমন নিজের দায়িত্ব বলে মনে করি, ঠিক একইভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হোক, সেটাও আমার কাছে কোনভাবেই কাম্য নয়। কারন একাত্তরের ইতিহাস সুরক্ষার দোহাই দিয়ে যদি আমরা বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী কোন আইনের প্রণয়ন করি, তাহলে সেটা হবে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তিরিশ লক্ষ শহীদের স্মৃতির প্রতিই অপমান স্বরূপ। বিষয়টা যেন আওয়ামী লীগ সরকারের মাথায় থাকে এবং তার প্রতিফলন যেন আমরা এই আইনের চূড়ান্ত সংস্করণে দেখতে পাই, সেই প্রত্যাশা থাকলো।
জয় বাংলা।
মন্তব্য
২০০৯তে এটা নিয়ে লিখেছিলাম। আমার কাছে মনে হয় এই আইন করার আছে এটা যেন স্বাধীনতা বিরোধীদের অস্ত্র না হয়ে ওঠে সেটা নিশ্চিত করা জরুরী।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আরেকটি প্রাসঙ্গিক পোস্ট ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যা প্রত্যাখ্যান ও সামান্যীকরণ বিরোধী আইন’ চাই।
প্রথম অংশ নিয়ে বলার নাই তেমন। কেউ বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা না মানলে সে ক্ষেত্রে জোর জবরদস্তি বা আইন প্রয়োগপূর্বক শাস্তির আওতায় আনার কিছু থাকে না। বাংলাদেশের অনেকেই শেখ মুজিববুর রহমানকে জাতির পিতা মানেন না। কিন্তু, স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানকে স্বীকৃতিদানের বিষয়টা যতদূর মনে পড়ে কোর্ট মারফৎ মীমাংসিত বিষয়। সেটা নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাইলে জটিলতার সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয়।
*
'ডেড রেকোনিং: মেমোরিজ অব দি ১৯৭১, বাংলাদেশ ওয়ার' কিংবা 'দেয়াল', জোছনা ও জননী গল্প' এই রকম নানান বইতে লেখকেরা মনের মাধুরী মিশিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে শর্মিলা বসু সব সীমা অতিক্রম করেছেন। এই আইন এধরনের লেখার জন্য লেখকদের শাস্তির কথা উল্লেখ থাকলেও সেটা কতটা প্রয়োগ হবে সেটাও দেখার বিষয়।
*
সময়োপযোগী পোস্ট দেবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।
* হাসিব ভাই এবং পাণ্ডবদার পোস্ট দুটো জটিল পোস্টের জন্য । আহা পাণ্ডবদারে মিসাই!
সহমত
---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।
নতুন মন্তব্য করুন