আবার এলো যে সন্ধ্যা...

ইয়ামেন এর ছবি
লিখেছেন ইয়ামেন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০২/১১/২০১৮ - ৫:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীতুকে খুন করতে যতোটা কষ্ট হবে ভেবেছিল রাতুল, তা হলো না।

প্ল্যান মোতাবেক নীতুকে পাহাড়চূড়ায় নিয়ে আসতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। 'চলো না, নির্জনে নিভৃতে পিকনিক করি, রোমান্টিক একটা ফিলিংস আসবে, এই জন্যই তো বেড়াতে আসা' বলে একটু চাপাচাপি করতেই নীতু রাজী হয়ে গিয়েছিল। এই বিকেলে চূড়ায় কোন মানুষ ছিল না, এমনিতেই এই দিকটা জনশূণ্যই বলাই চলে (গতকাল বিকেলে হোটেলে চেক-ইন করার পর জার্নির ধকলে ক্লান্ত ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন এক ফাঁকে এসে দেখে জায়গাটা দেখে গিয়েছিল রাতুল)। নীতু মাটিতে চাদর বিছিয়ে সাথে আনা চিকেন স্যান্ডউইচ আর কোকের ক্যানগুলো সাজাচ্ছিল। পাহাড়ের কিনারে দাঁড়িয়ে রাতুল ডাক দিলো 'এই দেখে যাও, ওই যে দূরে!' নীতু উঠে এসে যখন 'কই? কি দেখতে বলছো?' বলছে তখনই পিছন থেকে সজোরে একটা ধাক্কা...

অতলান্ত খাদের দিকে মাথা বাড়িয়ে একবার নীচে তাকালো রাতুল। নীতুর দেহাবশেষ দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য পাহাড়ের ঢাল বেয়ে যেই পরিমাণ জংলা গাছপালা, সেটাই স্বাভাবিক। এতদিনের পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা গিয়েছে, একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো সে। যাক, অবশেষে মুক্তি মিললো। আসলে ভালোবাসাটা তো কবেই মরে গিয়েছিল, কিন্তু নীতুর গোঁয়ার্তুমির কারনে ডিভোর্সটা দেয়া যাচ্ছিল না। আর চিন্তার কারন নাই। মনে মনে প্ল্যানের বাকি অংশটুকু আরেকবার অনুশীলন করে নিলো রাতুল। নীচে নেমে হোটেল ফিরেই পুলিশ ডেকে হৈচৈ করতে হবে, প্রাণপ্রিয় জীবনসঙ্গিনী কিভাবে অসাবধানবশত পা হড়কে পাহাড় থেকে পড়ে গিয়েছে, এই গল্প ফাঁদতে ফাঁদতে কিভাবে চোখ নাক মুখের জল ফেলে একাকার করে বিধ্বস্ত স্বামীর অভিনয় করবে, এইসব।

ভাবতে ভাবতে নীচে চলে এলো রাতুল। পার্ক করে রাখা গাড়িতে উঠে স্টার্ট দিলো। হ্যাপী আখন্দ গেয়ে উঠলো 'চলো না ঘুরে আসি অজানাতে...' তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা চমকে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলো রাতুল। নীতুর প্রিয় গান, গাড়িতে উঠলেই অন্তত একবার হলেও সিডিটা স্টিরিওতে ঢুকিয়ে বাজানো চাই। শুনতে শুনতে বিষিয়ে গেলেও রাতুলের চুপচাপ হজম করতে হতো, এইতো আজকেও এখানে আসার পথে পিড়াপীড়ি করে রেডিও বন্ধ করিয়ে গানটা দিয়ে গুণগুণ শুরু করেছিল নীতু, রক্ষে যে শেষ হবার এগেই গন্তব্যে চলে এসেছিল। 'যাক, এই গানটাও আর প্রতিনিয়ত শুনতে হবে না' মনে মনে বলতে বলতে স্টিরিওর পাওয়ার বাটনে চাপ দিলো রাতুল-

গানটা শেষ করতে দিলে না?

ভীষণভাবে চমকে উঠলো রাতুল, স্টিয়ারিং হুইল থেকে হাত ফসকে গেলো। ততক্ষণে গাড়ি সবে ঘুরিয়ে পাহাড়ি রাস্তায় উঠেছে, আরেকটু হলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লাগতে পারতো, শেষ মুহূর্তে ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষে থামালো। পাশের সিটের দিকে তাকালো। কেউ নেই, সেটাই স্বাভাবিক না? কিন্তু নীতুর গলা স্পষ্ট শুনেছে রাতুল, সেই চিরপরিচিত আহ্লাদ মেশানো রিনরিনে কণ্ঠস্বর। বুকটা ধড়ফড় করছে। সংযত হবার চেষ্টা চালালো রাতুল। এত বড় একটা পদক্ষেপ নিয়ে এসেছে, অবচেতন মনে কিছুটা অপরাধবোধ থাকতেই পারে, সেখান থেকেই ভুল শুনা, এটা বলে বুঝ দিলো নিজেকে। পাঁচ মিনিট চুপ করে বসে জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা বোধ করলে গাড়ি আবার স্টার্ট দিলো।

'যেখানে নদী এসে থেমে গেছে...'

কি আজব, তখনই না স্টিরিওর পাওয়ার অফ করলো? আবার কিভাবে গান চালু হলো? এইবার বিরক্তির সাথে সিডিটা ইজেক্ট করে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিলো রাতুল। ভয়ের থেকে রাগের মাত্রাটাই বেশী।

--------------------------------

পাহাড়ি ঢালু রাস্তা যেখানে নেমে হাইওয়ের সাথে মিশেছে, ঠিক সেখানেই একটা চায়ের দোকান। এক কাপ চা নিজেকে শান্ত করে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে মন্দ হয় না। থামিয়ে রাতুল বের হলো। একেবারে মামুলি ছোপরা দোকান। চা-ওয়ালা মামা ছাড়া কেউ নেই। রেডিও ছাড়া, স্থানীয় কোন স্টেশনে টিউন করা, গান বাজছে।

'মামা, এক কাপ চা দেন।'

'দিতাছি বাবা...এই যে নাও।'

চায়ের পেয়ালাটা নিয়ে চুমুক দিলো রাতুল। খেতে খেতে হোটেলে ফিরে কি করবে সেটা চিন্তা করতে লাগলো। সবকিছুই একটু ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। অযথা এই ভয়টা পেয়ে হিসাবে কিছুটা গড়বড় করে ফেলেছে। এই যে কিছু না ভেবেই চায়ের দোকানে ঢুকে পড়লো, এটাও তো পরে ঝামেলায় ফেলতে পারে। বউ দুর্ঘটনায় পড়ে বেঁচে আছে না মরে গেছে ঠিক নেই, আর স্বামী কিনা আরাম করে চা খেতে থেমেছে? পুলিশ যদি তদন্ত করতে করতে এই চা-ওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাহলে তো সমস্যা হয়ে যাবে। নাহ, এখনই চলে যাওয়া উচিৎ-

'লাল লাল শাড়ীগুলো উড়ছে
তার সাথে মন মোর দুলছে...'

এ কি, এখানেও রেডিওতে সেই একই হতছাড়া গান বাজছে কেন?

'মামা, রেডিও বন্ধ করেন তো! না হলে অন্য কোন স্টেশন ধরেন।'

'অন্য কুনো স্টেশন তো ধরে না বাবা, ক্যান সমিস্যা কি?'

'উফফ এতো প্রশ্ন করেন কেন? বন্ধ করতে বলছি করেন তো, মাথা ব্যাথা করছে।'

শেষবারের মত গানটা শুনতে দিলে কি ক্ষতি ছিল রাতুল?

চা-ওয়ালার সাথে কথোপকথন অন্যদিকে তাকিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিল রাতুল, এইবার ঝটকা মেরে ফিরে তাকালো।

'ক-কি বললেন??'

'কই বাবা কিছু কই নাই তো।'

বলে চা-ওয়ালা রাতুলের দিকে তাকিয়ে হাসলো। হাসিটা কেমন অদ্ভুত, যেন রাতুলকে নিয়ে কোন গোপন কৌতুকে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই মজা পাচ্ছে সে। আর কথা না বাড়িয়ে এক রকম ছুটেই গাড়িতে উঠে বসলো। পিছন থেকে চা-ওয়ালার 'বাবা কই যাও চা-টা শেষ না কইরা?' ডাক উপেক্ষা করে সজোরে এক্সেলেরেটরে পা দাবিয়ে হাইওয়েতে উঠে পড়লো। রিয়ারভিউ মিররে চায়ের দোকানটা ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে, তারপরেও কেন যেন রাতুলের মনে হতে লাগলো চা-ওয়ালা এখনও যেন তার দিকেই চেয়ে হেসে যাচ্ছে। ভাবতেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।

--------------------------------

একটা ঘোরের মধ্যে যখন হোটেল পৌঁছল ততক্ষনে বাইরে অন্ধকার হয়ে গেছে। গাড়ি থেকে বের হয়ে লবি দিয়ে টলতে টলতে রুমের দিকে হাটা দিলো রাতুল। তার যে পুলিশে ফোন দেয়ার কথা ছিল, নীতুর 'দুর্ঘটনার' কথা জানানোর কথা, শোকে পাগলপ্রায় স্বামীর অভিনয় করার কথা, সেসব প্ল্যান আর মাথাতেই নেই। লবিতে কেউ নেই, যদিও অন্তত কাউন্টারে তো নাইট ক্লার্কের থাকার কথা। সেসব অবশ্য রাতুলের চোখের পড়লো না।

লবি পেড়িয়ে করিডর, তার দুই পাশে সারি সারি গেস্ট রুম। রাতুলদের রুমটা একেবারে শেষ মাথায়। হেঁটে যাওয়ার সময় যেন শুনতে পেলো কোন একটা বন্ধ গেস্ট রুমে রেডিও চলছে,

'এই বুঝি বয়ে গেল সন্ধ্যা
ভেবে যায় কি জানি কি মনটা'

সেই এক গান তাকে তাড়া করেই চলছে!

যেন শরীরের শেষ শক্তিটুকু ব্যয় করে নিজের রুমের দড়জা পর্যন্ত পৌছালো, ঘরে ঢুকে দড়জা দড়াম করে লাগিয়েই বিছানার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো।

--------------------------------

কে যেন দড়জার কড়া নাড়ছে। রাতুল অনেক কষ্টে ঘুমের মায়াজাল কাটিয়ে মাথা উঁচু করলো। দেয়ালঘড়ি জানান দিচ্ছে প্রায় দশটা বাজে। কতক্ষন আগে রুমে ফিরেছে সে? ঘুমিয়েই বা পড়লো কখন? কোন কিছুর হিসাব মিলছে না। নীতুকে ডেকে কে দড়জা ধাক্কাচ্ছে দেখতে বলতে গিয়ে মনে পড়ে গেলো বিকেলের কথা। নিজেই ধড়মড় করে উঠে বসলো। দড়জার কাছে হেঁটে গিয়ে কান পাতলো।

'কে?'

'স্যার, রুম সার্ভিস, স্যার। আপনাদের খাবার নিয়ে এসেছি স্যার।'

রুম সার্ভিস? রুম সার্ভিস অর্ডার দিলো কে??

'আমি তো রুম সার্ভিস অর্ডার দেই নাই। বোধহয় অন্য কোন রুম হবে।'

'না স্যার, আপনাদের রুম নম্বর থেকেই তো।'

'আহহা, বললাম তো আমি কোন খাবার অর্ডার দেই নাই।'

কয়েক সেকেন্ড চুপ, তারপর উত্তর এলো-

'স্যার আপনি না, ম্যাডাম দিয়েছে।'

শিরদাঁড়া বরাবর ঠান্ডা স্রোত নেমে গেলো রাতুলের।

'ম-মানে?'

স্যার, ম্যাডামকে গানটা শেষবারের মত শুনতে দিতেন স্যার

ঝটকা দিয়ে দড়জা খুলে ফেললো রাতুল। কেউ নেই। পায়ের কাছে একটা ট্রে, তাতে এক প্লেট চিকেন স্যান্ডউইচ আর দুটো কোকের ক্যান রাখা।

সজোরে দড়জা লাগিয়ে পিছন দিকে ছিটকে পিছিয়ে গেলো রাতুল। এবার তার সারা শরীর কাঁপছে। পালানো দরকার, পালিয়ে কোথায় যাবে, পালানো আদৌ সম্ভব কিনা, এই দুঃস্বপ্নের শেষ আছে কি নাই, সেসব পরের কথা। কিন্তু এখানে থাকা যাবে না। গাড়ির চাবিটা কোথায়? খুঁজে বের করে এখনই ছুটে বেড়িয়ে যাওয়া দরকার -

বাথরুমের শাওয়ার চলার আওয়াজটা এতক্ষনে কানে এলো তার। চোখ আটকে গেলো বাথরুমের দড়জার দিকে। মেঝেতে নীতুর কাপড় অগোছালোভাবে ফেলে রাখা, বিকেলে যেই জিন্স আর টপ পড়েছিল। জিন্স টপ দুটোই প্রচুর ধুলোবালি মাখা, তার মাঝ দিয়ে কিছু কালো হয়ে জমাট বাঁধা কিছু রক্তের ছাপও যেন উকি দিচ্ছে।

শাওয়ারের পানির শব্দ ছাপিয়ে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে আবছা করে। রিনরিনে গলায় কে যেন গান গাইছে।

পাখিগুলো নীড়ে ফিরে চলছে
গানে গানে কি যে কথা বলছে

বিস্ফোরিত চোখে সেদিকে তাকিয়ে আছে রাতুল। এক অজানা আকর্ষণে রাতুল এক স্থানেই আটকে আছে, নড়তে পারছে না একবিন্দু।

এভাবে আমাকে ফেলে রেখে চলে এলে রাতুল? এতই কি সহজ? জীবনমরণ সবসময়েই আমার সাথে থাকার কথা ছিল না?

শাওয়ার বন্ধ হলো। বাথরুমের দড়জার কাছে কারো এগিয়ে আসার পদধ্বনি। রাতুলের সত্ত্বা সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার করে বলছে রুমের দড়জা খুলে ছুটে বেড়িয়ে যেতে। কিন্তু শত হুকুমেও পা মানছে না।

এই যে, আমি ফিরে এসেছি।

বাথরুমের দড়জা খুললো।

--------------------------------

ভোরে স্থানীয় লোকজন পাহাড়ের নীচে নীতুর রক্তাক্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। লাশের ছবি দেখে নীতুকে শনাক্ত করে হোটেলের ম্যানেজার, জানায় তারা এই হোটেলেই এসে উঠেছিল গতকাল। বন্ধ হোটেল রুম শত ডাকাডাকিতেও না খুললে ম্যানেজারের মাস্টার চাবি দিয়ে দড়জা খুললে বিছানাতেই উপুড় হয়ে থাকা রাতুলের লাশ আবিষ্কার করা হয়। গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও রাতুলের চোখদুটো ছিল খোলা, এবং তাতে ছিল তীব্র ভয়ের ছাপ।

সারা রুম খুঁজে পুলিশ অস্বাভাবিক কিছুর আলামত পায়নি। শুধু একটা জিনিস বাদে। রাতুলের মোবাইল ফোন চার্জে ছিল। এবং তাতে লুপে ক্রমাগত 'চলো না ঘুরে আসি' গানটা চলছিল। কোন অজানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বহু চেষ্টা করেও গানটা বন্ধ করা যাচ্ছিল না, শেষে পুলিশ ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলতে বাধ্য হয়।

'ভাবি শুধু এখানেই থাকবো, ফিরে যেতে মন নাহি চাইছে...'


মন্তব্য

Anonymous এর ছবি

প্রথম প্রেমিকের সাথে আজ সন্ধ্যায় প্রথম খেতে যাওয়া, রেস্তোরায় ঢুকার পর ই আমার প্রিয় গান বাজালো। গানটার লিরিকের সাথে আমাদের সম্পর্কের খুব মিল, ওকে ask out করার আগ পর্যন্ত এই গান খুব শুনতাম। আমাকে লজ্জা পেতে দেখে সে জিজ্ঞেস করেছিল কি ব্যাপার। বলেছি 'পরে বলবো' . এসে আপনার এই লেখা পড়লাম।

creepy/coincidental much? অ্যাঁ : অ্যাঁ অ্যাঁ

ইয়ামেন এর ছবি

হাহা, আশা করি কাকতালীয়তা শুধু এতটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে! হো হো হো

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভয় পেয়েছি। ভালো লেগেছে গল্প। মনে পড়ে গিয়েছে অনেক অনেক বছর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত একটি নাটকের কথা। নাটকের নাম মনে নেই। অভিনয় করেছিলেন নূপুর এবং আফজাল। ফাতেমাতুজ জোহরার কণ্ঠে অসাধারণ একটা গান ছিলো, 'বৈশাখী ঝড়/লয়ে যায় আমারে/অবেলায়...'। এখনো সে গানের সুর কানে লেগে রয়েছে।

---মোখলেস হোসেন

ইয়ামেন এর ছবি

নাটকটা খুঁজে বের করতে হবে তো, দেখি ইউটিউবে পাওয়া যায় কিনা।
পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

সত্যপীর এর ছবি

বাপরে অনেক ডরাইলাম।

..................................................................
#Banshibir.

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অবনীল এর ছবি

খাইসে। আর প্লট পাইলেন না। এক্কেরে বউ খুন ! ভাবীরে পড়তে দিছেন ? খাইছে কাহিনী জমসে। পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল "ডরনা নেহি" এর একটা পর্ব দেখতেসি। আরো লিখেন।

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

ইয়ামেন এর ছবি

বউ পড়েছে, পড়ার পর প্রথমে বললো 'ভালো, কিন্তু আরো ভালো হতে পারতো।' এর পর বললো 'মাথায় শুধু এইসব ঘুরে, না?' মন খারাপ

পড়ার জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-, ভাই!

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বলতাছেন যে বউমারলে ভূতে ধরে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ইয়ামেন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

এক লহমা এর ছবি

হাততালি চলবে দেঁতো হাসি । পরের গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ইয়ামেন এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।