ঠাকুরগাঁওয়ের জমিদারদের মধ্যে বুদ্ধিনাথ চৌধুরী কিছুটা ব্যতিক্রমী। সমকালীন অন্য জমিদারদের চেয়ে তার খ্যাতি একটু বেশিই ছিল। পৈত্রিক সূত্রে বাবা বুদ্ধিনাথ-এর কাছ থেকে জমিদারি পান টঙ্কনাথ। তিনিও তার সময়ে অত্যন্ত খ্যাতিমান ছিলেন। জমিদারির ব্যাপ্তী এবং শাসনকাজের বলিষ্ঠতার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে রাজা উপাধি পেয়েছিলেন তিনি। রাণীশঙ্কৈল থানার পূর্বপাশে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ারে রাজা টঙ্কনাথের রাজবাড়ি। রাজবাড়িটির খুব কাছেই রাধামাধব মন্দির। ১৮৫০ সালের দিকে জমিদার বুদ্ধিনাথ চৌধুরী বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। একই সময়ে তিনি কয়েকটি বিদ্যালয়ও নির্মাণ করেন। মন্দিরটিও ঐ সময়ে নির্মিত হয় বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়। ভিক্টোরিয়ান শৈলীতে নির্মিত তিনতলা বাড়িটির বিভিন্ন অংশের কাজ শেষ করেন রাজা টঙ্কনাথ চৌধুরী। মন্দিরটি বাড়ি তৈরির সমসাময়িক হলে এর বয়স প্রায় ১৫০ বছর।
দেশীয় রীতিতে ইটের তৈরি আটচালা মন্দিরটির সারা গা জুড়েই রয়েছে অসংখ্য কারুকাজ। জ্যামিতিক নকশা ছাড়াও নানা প্রাণী ও উদ্ভিদচিত্র পুরো মন্দিরের গা জুড়েই অলঙ্কৃত করা হয়েছে। সাধারণত মন্দিরগাত্রের অলঙ্করণগুলো পোড়ামাটির ফলক দিয়ে আবৃত থাকে। এখানে পোড়ামাটির ফলকচিত্র ছাড়াও ইট কেটে বা পলেস্তারা নকশা করে ফলক খোদিত হয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে এই অনন্যসাধারণ মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, মন্দিরের পুরোহিত ও টঙ্কনাথ চৌধুরী পরিবারের অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যান। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে এই মন্দির।
সম্প্রতি আমাদের অনুপ্রেরণায় স্থানীয় জনসাধারণ এই মন্দিরটি পুনরানয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্দিরের আদি বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ব্যবহারোপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্ম ও ব্যয়-পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক কাজ-ও শুরু হয়েছে। এখন প্রয়োজন মন্দির পুনরানয়ন কাজকে বেগবান করার জন্য ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা।
এই মন্দিরটির সংরক্ষণ কাজ করতে প্রায় ২০ (বিশ) লাখ টাকা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত স্থানীয় উদ্যোগে ১ (এক) লাখ টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। বাকী টাকা কিভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে সচলদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছি।
মন্তব্য
স্পন্সরশীপের মাধ্যমে। কোন ব্যাংক বা তেমন কেউ করতে পারে। তাদের কাছে ২০লাখ টাকা তেমন কিছু নয়। স্পন্সরদের নাম কৃতজ্ঞতা-স্মারক হিসেবে প্রদর্শিত হবে উল্লেখযোগ্য কোন স্থানে।
আচ্ছা, আপনারা বালিয়া মসজিদ সংরক্ষণের জন্য টাকা কীভাবে জোগাড় করলেন? একইভাবে এটাও করা যায় না?
মসজিদের জন্য মানুষ যেভাবে টাকা দিয়েছে, মন্দিরের জন্য সেভাবে দিচ্ছে না। কারণটা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে কি?
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
আপনারা যে পুরোপুরিই ব্যক্তিউদ্যোগে কাজটা করছেন সেটা বুঝিনি, ভেবেছিলাম সরকারী বা কোন দাতা সংস্থা'র অনুদান টনুদানও আছে!
তাহলে তো ভালোই মুশকিল ......
বিলেতের বাংলা ভাষাভাষি টিভি মিডিয়াগুলোর সাহায্য নিতে পারেন।
এরা প্রায় ৭ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে প্রায় ৬ ঘন্টার জন্য টিভি চ্যানেল ভাড়া দেয়। তাতে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার পক্ষে লোকজন অনুদান/সাহায্যের টাকা তোলে। এক রাতে গড়ে ৫০ হাজার পাউন্ড উঠে। তাতে আপনাদের হয়ে যাওয়ার কথা।
এ পর্যন্ত অবশ্য শুধু মসজিদ, মাদ্রাসা বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য সাহায্য চেয়ে এরকম লাইভ চ্যারিটি অ্যাপিল দেখেছি। মন্দিরের জন্য দেখিনি। তবে সেক্ষেত্রে আরো অনেক বেশি টাকা পাওয়ার কথা।
সচলের ধ্রুব হাসান (এনটিভি) ও থার্ড আই (ইকরা টিভি) কিংবা রনি মির্জা (চ্যানেল আই) আপনাকে ঠিক যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারবেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
৮ লাখ টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে ৫০লাখ টাকা তুলতে পারলে তো বিশাল ব্যাপার। আমিও আপনার সাথে একমত, মন্দিরের জন্য টাকা পাওয়অর সম্ভাবনা হয়তো বেশী।
বিজ্ঞাপনের ৮ লাখ কোথায় পাবো? ওরা কী বাকিতে কাজ করে?
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
যেহেতু টাকার পরিমাণটা অনেক, স্পনসর চাইবে তার নাম অনেকবার অনেক জায়গায় উল্লেখিত এবং/অথবা উচ্চারিত হোক।
আপনারা যা করতে পারেন, একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারেন আপনাদের কাজের ওপর। সেটি নানা জায়গায় প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ডকুমেন্টারির নিচে ছোটো টেক্সট ব্লকে স্পনসরের নাম উল্লেখ করা থাকবে।
তারপর ছবি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে পারেন স্পনসরের সাথে যৌথ উদ্যোগে।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন এই সংরক্ষণ কাজের ওপর, সেখানে স্পনসরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এতো ফুসলি দেবার পর বড়সড় অনেক কর্পোরেট আপনাদের অর্থ-সহায়তা করতে আগ্রহী হতে পারে।
টাকার কথা টাইটেলে দেখে ভড়কে গিয়েছিলাম. সহজাত প্রবৃত্তিতে প্রথমে এড়িয়ে গিয়ে আবার ফিরে আসলাম কৌতুহলের বসে.
কারনটা বুঝিয়ে বলবেন কি? আমার ঘিলু কম. আগের কোনো পোস্ট থাকলে পড়া হয়নি. মসজিদ বেশি পুরাতন ছিলো - নাকি কম টাকা লাগছিলো?
আমার ধারণা মন্দিরের উপর ইতিহাস সহ একটা প্রামান্য চিত্র টাইপের ভিডিও বানিয়ে যদি বিভিন্ন জায়গায় দেন - তাহলে হয়তো লোকজনের গুরুত্ব বুঝতে সুবিধা হবে. টিভির লোকজনকে ডেকে কনভিন্স করতে পারলে তারাই ভিডিও বানিয়ে প্রচার করতে পারে. আমার শ্বাশুড়ির তৈরী আদিবাসীদের কিছু স্কুলের জন্য চানেল আই না কোন টিভি যেনো নিজের উদ্যোগেই স্বাক্ষাতকার নিতে এসেছিলো - সেখানে অবশ্য টাকা পয়সার কোনো ব্যাপার ছিলো না. এতো টিভি হয়ে গেছে যে অনুষ্ঠানের টপিক পাওয়া মুশকিল. দেশে ট্রাই করে না পেলে বিদেশী চানেল তো আছেই, তাদের ওয়েব-সাইট থাকলে ঘেটে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন. আপনি ভিডিও তৈরী করে দিলে আমার ধারণা তারা আগ্রহী হতে পারে. গেট দ্যা ওয়ার্ড আউট. দেখুন না কি হয়.
আমরা সকলের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান করেছিলাম। মুসলমানেরা মসজিদ করার জন্য যতোটা দরাজদিল, মন্দির করার জন্য ততোটা না। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক মুসলিম হওয়ার কারণে, মসজিদের টাকাটা উঠে গেছে, কিন্তু মন্দিরের টাকাটা এখনো হয়নি।
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...
নতুন মন্তব্য করুন